![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেডি বাইক চালক, পুরুষ আরোহী
প্রথমদিন কাঠমুন্ডুর রাস্তায় দৃশ্যটি দেখে নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একি আমি ঘুমের ভেতর স্বপ্ন দেখছি? না! এটা কোন স্বপ্ন নয়। জীবনে প্রথম দেখেছি বলে হয়ত এমনটা মনে হয়েছে। আস্তে আস্তে বাস্তবে ফিরে এলাম। না এটা ঢাকা কিংবা বাংলাদেশ নয়। এটা নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ব্যস্ততম রাজপথে মেয়েরা বাইক চালাচ্ছে রীতিমত পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে। ইতোপূর্বে ২০০৭-এ ইন্ডিয়ার আজমীরে ইন্ডিয়ান মেয়েদের ব্যাপকভাবে মোটর বাইক চালাতে দেখেছি। এমনকি তার মধ্যে হিজাব পড়া কিছু মহিলাকেও দেখা গেছে বাইক ড্রাইভ করতে। সেটা ছিল মেয়েরা একাকী কিংবা মেয়ে আরোহী নিয়ে বাইক চালনা। কিন্তু কাঠমুন্ডুতে এসে দেখলাম, মেয়েদের একাকী কিংবা পেছনে মহিলা আরোহী বাইক নিয়ে চালানো তো নস্যি। মাঝে মধ্যে দেখা যায়, বাইক চালাচ্ছে মহিলা আর তার দুই কাঁধে দুই হাত দিয়ে অথবা আলতো করে কোমর পেচিয়ে ধরে সামনের দিকে ঝুঁকে পিছনে দিব্যি বসে আছে পুরুষটা। এরকম কয়েকটা দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ক্যামেরা তাক করা মাত্রই সা সা গতিতে চলে যায়। পোখারা যাওয়ার দিন গাড়িতে লাগেজ রেখে আমরা নাস্তার জন্য এদিক-সেদিক যখন ঘুরাঘুরি করছিলাম। ঠিক আমাদের সামনেই এসে থামল একটি মোটর বাইক। চোখ তুলে তাকাতেই বাইকের পেছন থেকে লাফ দিয়ে নামল পিঠে ট্রাভেল ব্যাগ ঝুলানো এক ইয়ংম্যান। বাইকের ড্রাইভার এক ইয়ং লেডি। পুরুষটাকে বাসের সামনে নামিয়ে দিয়ে আবার মূহুর্তে অদৃশ্য হয়ে গেল লেডি বাইক চালক।
Bhat Bhateni তে কেনাকাটা
শোয়াম্বু টেম্পল ভিজিট শেষে আমরা গেলাম কাঠমুন্ডুর বিখ্যাত Bhat Bhateni মার্কেটে। কাঠমুন্ডুর মহারাজগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয়তলা বিশিষ্ট্য অত্যাধুনিক সুপারমার্কেট Bhat Bhateni । কাঠমুন্ডুতে বাজেটের মধ্যে কেনাকাটা করতে চাইলে আদর্শ স্থান এই Bhat-Bhateni Super Market সংক্ষেপে (BBSM)।
BBSM এর অফিসিয়াল ওয়েবাসাইট ((bbsm.com.np) থেকে জানতে পারলাম, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ৬০০-এরও বেশি সাপ্লায়ার থেকে সংগৃহীত প্রায় ১ লক্ষ রকমের পণ্যের সমাহার রয়েছে মার্কেটটিতে। কী নেই! সব ধরনের মুদী মালামালসহ সব রকমের ক্রোকারিজ (Glassware, plasticware, Utensils, Dinnerware, Electrical appliances) খেলাধুলার সামগ্রী, গিফ্ট আইটেম, নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের জামা-কাপড়, বিছানার চাদর, কভার, জুতা, খেলনা, গয়না, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, রান্নাঘর সামগ্রী, বাথরুম সামগ্রী, ফার্ণিচার, ঘড়ি-চশমা, এমনকি তাজা ফুল, শাকসব্জি ও কাচা বাজারের সব আইটেম পর্যন্ত এক জায়গায় পাওয়া যায়। দামও বেশ reasonable। প্রত্যেক পণ্যের গায়েই ফিক্সড প্রাইস লেখা রয়েছে, কোন দামাদামীর প্রয়োজন নেই। তাই সহজেই পকেটের অবস্থা অনুযায়ী বাজেটের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করা যায়। ইতোপূর্বে কলকাতার Big Bazar এবং মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে Mydin Super Market এর কথা মনে পড়ে গেল। ২০০৭ সালে ইন্ডিয়া ভ্রমণের সময় কলকাতার বিখ্যাত বিগ বাজার সুপার মার্কেটে কেনাকাটা করেছিলাম। এরপর ২০০৯ সালে কুয়ালালামপুরের মাইডিন। আর আজ কাঠমুন্ডুর ভ্যাট ভ্যাটানি। এসব সুপারমার্কেটে ঢুকলে পণ্যের সমাহারে চোখে যেন ধাঁধা লাগে কোনদিক দিয়ে যে সময় চলে যায় টের পাওযা যায় না। শুধু নয়াদিল্লী, কুয়ালালামপুর আর কাঠমুন্ডু কেন সারা বিশ্বেই ইদানিং এ ধরনের ওয়ানস্টপ সুপারমার্কেটের কদর বাড়ছে। ঢাকাতেও ইদানিং কিছু সুপারসপ চালু হয়েছে। বিদেশ গিয়ে এসব সুপারার্কেটে যারা বাজেটের মধ্যে কেনাকাটা করতে চান তাদের জন্য আমার ৩টি দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে বিনা পয়সায় একটা ছোট্ট টিপ্স দিই। টিপ্সটি হল, প্রথমে মার্কেটে ঢুকেই হুট করে কিছু কিনে ফেলবেন না। কারণ, এর পর আরো ভাল কিছু আপনার নজরে আসতে পারে। এজন্য প্রথমে পছন্দের পণ্যের একটি তালিকা করুন। একদিকে পণ্যের নাম অন্যদিকে দাম এবং পণ্যটি কোন্ ফোরে তা লিখে রাখুন। নিচতলা থেকে মার্কেটের উপরের তলা পর্যন্ত একবার ভিজিট করুন। এবার আপনার তালিকার পণ্যগুলোর দাম হিসাব করুন। আপনার বাজেটের সাথে মিলিয়ে তালিকা কাটছাট করে নিন। এরপর ফাইনাল তালিকা অনুযায়ী পছন্দের জিনিসগুলো এক এক করে ট্রলিতে তুলতে তুলতে উপরের তলা থেকে নিচ তলা পর্যন্ত নেমে আসুন। আবারও বলে রাখি, আপনার তালিকায় পণ্যের পাশে দাম ও ফ্লোর নাম্বার লিখতে যেন ভুল না হয়। দাম না লিখলে যেমন বাজেট করতে অসুবিধা হবে তেমনি ফ্লোর নাম্বার না লিখলে বিভিন্ন ফ্লোরে খোঁজাখুজি করে মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। ইতোপূর্বে কলকাতায় বা কুয়ালালামপুরে কেনাকাটার সময় আমাদের তেমন কোন তাড়া ছিল না। তাই সময়ের কোন হিসাব করিনি। কিন্তু এখানে তো লিমিটেড সময়। ইতোমধ্যে ঘড়ির কাটা দুপুর ১ টা ২০ এর ঘরে। বাইরে আমাদের ড্রাইভার অপেক্ষা করছে। তাই আর দেরি না করে আমরা কেনাকাটা শেষ করে এলাম। আমাদের এর পরের যাত্রা ভক্তপুর এবং নাগরকোট।
(চলবে)
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
১১স্টার বলেছেন: মালয়েশিয়াতে ছেলেদের মটর এর থেকে মেয়েদরে মটর এর গতি বেশি এবং সচারচর।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার ভ্রমন অভিজ্ঞতা। আগের পর্বগুলোও পড়ার ভাবনা রইলো।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
টেকনিসিয়ান বলেছেন: আহ্! আজকের কাঠমুন্ডু ভ্রমণে গিয়ে ঢাকা শহরকে অনেক বেশী মিস করলাম
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
লজিক মানুষ বলেছেন: ঢাকা শহরেই এখন অনেকেই বাইক চালায়। এমনকি অবিশ্বাষ্য হলেও সত্যি যে আমি এক মেয়েকে পারসার-১৫০ চালাতে দেখেছি যদিও সেটা ৩০-৪০কিঃমিঃ/ঘঃ।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
লজিক মানুষ বলেছেন: দুঃক্ষত, পালসার-১৫০।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২
ডক্টর এক্স বলেছেন: কাঠমুন্ডুর এই মেয়েদের বাইক চালানোর দৃশ্যটি আমার অন্যতম প্রিয় একটা দৃশ্য । তবে আমাদের দেশে এমন হতে হতে আরো অনেকদিন লেগে যাবে । তবুও আশাবাদী । সুন্দর বর্ননা ।