নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\n

মা.হাসান

মা.হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যবাদিতা দেশে দেশে

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের সত্য বিমুখতা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন- মিথ্যার কাছে পরাভূত সত্য (একটি শিক্ষণীয় গল্প) । ঐ পোস্টের কমেন্টে কতিপয় দেশি-বিদেশি জ্ঞানীগুণী ব্লগার তাদের জ্ঞানগর্ব বক্তৃতা দ্বারা প্রমাণ করার চেষ্টা করিয়াছেন-- ইউরোপ-আমেরিকার মানুষ আমাদের চাইতে অনেক সত্যবাদী । আমরা অসভ্য জাতি । সভ্য জাতির লোকেরা মিথ্যা কথা বলে না।



আসলেই কি ইউরোপ-আম্রিকার লোকেরা সকলে সত্যবাদি যুধিষ্ঠির? দেখা যাক।

ইউনিভার্সিটি অফ মাসাচুসেটস (আমহার্ষ্ট্র) এর একটি রিসার্চ থেকে দেখা যায়, শতকরা ৬০ জন লোক সোশ্যাল কনভারসেশন এর সময় মিথ্যা কথা বলে থাকেন । গড় মিথ্যার পরিমাণ প্রতি ১০ মিনিটে ২.৯ টি।
রেফারেন্সঃ Self-presentation and verbal deception: Do self-presenters lie more?- R.S. Feldman et al - Basic and Applied Social Psychology, 24 (2002) , 163-170


ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান এবং টরন্টো ইউনিভার্সিটির একটি যৌথ গবেষণা থেকে দেখা যায় ধনী এবং শিক্ষিত লোকেরা মিথ্যা কথা বেশি বলে। শিক্ষিত এবং ধনী লোকের সংখ্যা কোথায় বেশি ইউরোপ-আমেরিকায় না বাংলাদেশ?
রেফারেন্সঃ Higher social class predicts increased unethical behavior- Paul K. Piff, et al PNAS -March 13, 2012 -109 (11) 4086-4091

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির আরেকটি রিসার্চ পেপারে দেখা যায়, শতকরা ৪০ জন পার্টিসিপেন্ট স্বীকার করেন তারা গত ২৪ ঘন্টায় মিথ্যে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৩২ জন ১ থেকে ৫ টি মিথ্যা বলেছেন, এবং বাকি শতকরা ৮ জন পাঁচের উপরে মিথ্যা কথা বলেছেন । যারা মিথ্যা কথা বলেননি বলে দাবি করেছেন, তাদের দবি আসলে কত সত্য সে বিষয়েও গবেষণা আছে, সে কথা পরে লিখছি। এই রিসার্চের পার্টিসিপেন্টদের মধ্যে প্রায় ৮০% সাদা আমেরিকান, ১২% কালো, বাকি ৮% হিস্পানিক, এশিয়ান ইত্যাদি। রেফারেন্সঃ The Prevalence of Lying in America: ThreeStudies of Self-Reported Lies- Kim B. Serota et al Human Communication Research, Volume 36, Issue 1, 1 January 2010, Pages 2–25


ResumeLab এর একটি স্টাডি থেকে দেখা যায় শতকরা ৩৬ জন লোক বিনা বাক্য ব্যয়ে স্বীকার করে নেন যে তারা তাদের সিভিতে মিথ্যা তথ্য দেন। অভিজ্ঞতা, পূর্ব চাকরীর স্যালারি, স্কিল এসব বিষয়েই মূলত মিথ্যে তথ্যে দেয়া হয়। যে ৬৪%পার্রটিসিপেন্ট প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন যে তারা তাদের সিভিতে মিথ্যা তথ্য দেন নি, তাদের মধ্যে আরও শতকরা প্রায় ৩৩% ভাগ (অর্থাৎ মোট স্যাম্পল সাইজের ২০% এর বেশি) পরবর্তীতে স্বীকার করে নেন যে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন । অর্থাৎ মোট ৫৬% জনের বেশি লোক তাদের সিভিতে মিথ্যা তথ্য দেন।
তবে এটি কোন peer-reviewed রিসার্চ না, বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। এদের স্টাডির লিঙ্ক: https://resumelab.com/resume/lying

যারা মিথ্যা বলছেন তারা কি সকলে নির্দোষ মিথ্যা বলেন? দেখা যাক গবেষনা কি বলে-

ইউএসএ এবং ইউকে মিলিয়ে করা আরেকটি বড় আকারের রিসার্চ (স্যাম্পল সাইজ ২৯৮০) থেকে দেখা যায়, দুই দেশেই শতকরা প্রায়৭৫ জন লোক স্বীকার করেন তারা নিয়মিত নির্দোষ মিথ্যে কথা বলেন। পক্ষান্তরে শতকরা প্রায় ২০ জন লোক স্বীকার করেন তারা প্রলিফিক লায়ার। রিসার্চারদের একজন আরো জানিয়েছেন, যে লোকেরা প্রথম দফায় সত্যবাদিতার কথা দাবি করেছিলেন, পরবর্তী জিজ্ঞাসায় তাদের মধ্যে শতকরা ৯২ জন স্বীকার করেছে তারা মাঝে মাঝে মিথ্যে বলেন।
রেফারেন্সঃ Few Prolific Liars: Variation in the Prevalence of Lying- Kim B. Serota and Timothy R. Levine--Journal of Language and Social Psychology2015, Vol. 34(2) 138–157

আরেকটি রিসার্চে কিছু পার্টিসিপেন্টকে বলা হয়েছিলো তাদের ইসপি ক্ষমতা আছে কি না পরীক্ষা করা হবে, পরীক্ষায় ইসপির প্রমান পাওয়া গেলে ক্ষমতাধারীদেরকে ৫০ ডলার পুরস্কার দেয় হবে। ফলাফল? ৯০% এর বেশি লোক মিথ্যা বলেছিলো। শুধু তাই না, যখন গবেষকরা পার্টিসিপেন্টদেরকে খোলাশা করে বলেন যে ইসপির রিসার্চটি ভুয়া, মূলত এটা অর্থের কারনে মানুষ মিথ্যে বলে কি না এই বিষয়ে রিসার্চ, তখনো ঐ মিথ্যবাদিদের ৮০% দাবি করে তারা সত্য বলেছে, মিথ্যা না।
রেফারেন্সঃ Deceptive Communication -G. R. Miller, & J. B. Stiff, (1993). Newbury Park, Sage Publications.

(এমআইটির এর কাছাকাছি একটা রিসার্চ আছে, রেফারেন্স খুঁজে পাচ্ছি না বলে দিলাম না।)

নূরু ভাইয়ের পোস্টে কমেন্টকারিদের কেহ কেহ সম্ভবত দেশে থাকেন। কেহ দেশি-বিদেশি পাসপোর্টে বাহিরে আছেন ।এতে আমার কোন সমস্যা নাই। কেহ কেহ নিজেদের সত্যবাদি বলিয়া দাবি করতে পারেন। এতেও আমার সমস্যা নাই। এনারা নিজেদেরকে সভ্য জাতির অংশ বলে মনে করতে পারেন, আমাদেরকে অসভ্য ছাগল মনে করতে পারেন, এতেও আমার কোন সমস্যা নাই। তবে চাপাবাজি যখন অতিরিক্ত হইয়া যায় তখন মাঝে মাঝে আশঙ্কা হয়, এনাদের চোয়াল আবার খুলিয়া না যায়।

(পোস্টের বিপরীতে পাল্টা পোস্ট ব্লগের অ্যাডমিন নিরুৎসাহিত করে। পোস্টের বিষয়ে বক্তব্য থাকলে তা পোস্টের কমেন্টে আসলেই ভালো হয়। তবে যদি কমেন্ট মূল পোস্টের চেয়ে বড় হয় তবে তা দৃষ্টিকটু হয়ে যায়। এছাড়া নূরু ভাইয়ের পোস্টটি খানিকটা ভিতরে চলে গিয়েছে। এই কারনেই পৃথক পোস্টের অবতারণা।)

মন্তব্য ৯১ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৯১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

দারাশিকো বলেছেন: রেফারেন্স দিয়ে তথ্য উল্লেখ করেছেন - ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগলো। তবে, বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে ইউরোপ-আমেরিকার মানুষ কম বা বেশি মিথ্যা বলে - তার প্রমাণ কিন্তু পাওয়া গেলো না। এই ধরণের রিসার্চ বাংলাদেশের জনগোষ্ঠির উপর হলে ভালো হতো। আমাদের কপাল এতই খারাপ, প্রয়োজনীয় গবেষণার জন্যই ফান্ড পাওয়া মুশকিল হয়, এই ধরনের ইস্যুর জন্য তো ফান্ড পাওয়াই যাবে না, গবেষণা করবে কে?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ দারাশিকো ভাই। আমার পোস্টের কোথাও আমি বলি নি বাংলাদেশের মানুষ কম বা বেশি মিথ্যা বলে। বিদেশের বাতাস লাগা কেহ কেহ ইউরোপ-আম্রিকাকে ধর্মরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। আমার পোস্টে আমি দেখিয়েছি ইউরোপ-আম্রিকার লোক সবাই সত্যবাদি একথা সত্য নয়। আরো অসংখ্য রেফারেন্স দেয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের কারো কারো মতে এভারেজ মানুষ তার শোশাল ইন্টার‌্যাকশনের সময় যা বলে এর শতকরা ২৫% মিথ্যা। জগতে সত্যবাদি কেউ নেই এমন না। তবে এভারেজ লোক মিথ্যা বলে। সুইডেন, বেলজিয়াম, ইউএসএ, ইউকে, কোরিয়া, বিভিন্ন দেশের লোকদের উপরে গবেষনার ফল খুব সিমিলার। মিথ্যাবাদি লোকদের সংখ্যা গড়ে সব দেশেই প্রায় সমান। ৭০% এর উপরে লোক হোয়াইট লাই বলে থাকে। ২০% এর মতো লোক প্রলিফিক লায়ার।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে মান সম্পন্ন গবেষনা কম হয় (হয় না একথা ঠিক না)। এই বিষয়ে বাংলাদেশে গবেষনা হয়েছে কি না আমার জানা নেই (হবার সম্ভাবনা বেশি)।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সব জামাত শিবিরের প্রভাব। এদের প্রভাবে সারা জাতি মিথ্যাবাদী হয়ে গেসে। আপনে কষ্ট কইরা যেসব লিংক , রেফারেন্স দিয়েছেন খোজ নিয়া দেখেন যে সেখানেও জামাত শিবির ঘাপ্টি মেরে বসে আছে। B:-/

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

মা.হাসান বলেছেন: ব্লগে দু-চারজন বিদেশি ডিগ্রিধারি চেতনা সম্পন্ন লোক আছেন বলে রক্ষা। না হলে ব্লগও মিথ্যায় ভেসে যেতো, কি বলেন? 8-|

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে মা. হাসান ভাই
ব্লগটা বর্তমানে খুবই্ ভয়াবহ উঠছে বিশেষ
করে আমার জন্য। যা লিখি তাতেই ছিদ্র খোঁজে
ছিদ্রান্বেষীরা। কোরআন হাদিসের কথা বললেও
উষ্ণা প্রকাশ করে। একটা নির্দোষ শিক্ষামূলক
গল্প দিয়েও ক্যাচালে জড়াতে হবে ভাবি নাই।
বাংলাদেশের মানুষ সবাই যেমন মিথ্যা বলেনা
তেমনি সবাই সত্যও বলেনা। আমার ধারণা বিদেশেও
তাই। তবে তুলনামূলক হয়তো কম মিথ্যা বলে। কারণ
তাদের প্রাচুর্যের অভাব নেই। অভাবে মানুষের স্বভাব নষ্ট
হয় এ প্রবাদ বাক্য আমরা সবাই মানি। মিথ্যা হলো সব
অপরাধের জননী। তাই মিথ্যা এড়িয়ে চলবো এটাই সবার
কর্তব্য। তাই বলে নিজ দেশকে একেবারে অপাংক্তেয় ভাবতে
হবে এ কেমন মানসকিতা। যে দেশে জন্মে নি্ন্দে সে দেশকে
জন্ম তার কোথা নির্নয় ন জানি !!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪

মা.হাসান বলেছেন: নূরু ভাই, আপনার সাথে ক্যাচাল করা নিরাপদ। সকলেই জানে আপনি স্বেচ্ছায় জন্ম-মৃত্যু এসব দিবস নিয়ে পোস্ট দেন। এসবের জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। কাজেই আপনাকে আক্রমন করলে এর জবাবদেয়ার সময় বের করা আপনার জন্য সহজ হবে না। ক্যাচাল থাক। শোভন ভাষায় হলে সমস্যা নেই। তবে কিছুদিন আগেও দেখেছি বিভিন্ন মাল্টি খুলে আপনাকে গালিগালাজ কর হতো। অ্যাডমিনকে ধন্যবাদ এগুলো সাময়ীক ভাবে বন্ধ।

সব দেশেই যে মিথ্যাবাদি আছে এটা বুঝতে রিসার্চ লাগে না। সব দেশেই পুলিশ আছে, আদালত আছে। সবাই সত্যবাদি হলে তো সিভিল কোর্ট ছাড়া ফৌজদারি আদালত উঠেই যেতো।

বাংলাদেশে যে লোকটা হাল চাষ করে তার মিথ্যা বলার সুযোগ কোথায়? বউকে এই কথা বলতে পারবে না যে টাকা ছিলো না বলে বউয়ের শখের জিনিস কিনতে পারে নি। হয়তো বলবে যে বাজারে নেই, এজন বদলে অন্য কিছু (কমদামের) কিনে এনেছে।
বেসরকারি চাকরিতে মিথ্যা বলার সুযোগ কম। ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি । একবার ধরা পড়লে , ব্র্যান্ড হয়ে গেলে তখন বড় বিপদ।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইএসপি ক্ষমতা মাপার পরীক্ষাটা খুব মজা লেগেছে। আমার মনে হয় মিথ্যা যদি ধরা না পড়ার শম্ভবনা থাকে সেক্ষেত্রে মানুষ নির্ভয়ে মিথ্যা বলে কারণ সে জানে যে পার পেয়ে যাবে। বিদেশে সামাজিক পর্যায়ে মিথ্যা বলা যায় যেমন যায় আমাদের দেশে। তবে লেনদেন সংক্রান্ত মিথ্যার ক্ষেত্রে উন্নত অনেক দেশে মিথ্যা বললে আইনি ব্যবস্থার ভয় থাকে। যেমন আমাদের দেশে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অনেক উন্নত দেশে খাবারের দোকানদার মিথ্যা তথ্য দিতে সাহস পাবে না কিন্তু আমাদের দেশে দোকানদাররা হর হামেশা মিথ্যা কথা বলে বিক্রি করছে। তাই আমার মনে হয় সামাজিক ও পারিবারিক পর্যায়ে মিথ্যার ক্ষেত্রে দেশে আর বিদেশে খুব পার্থক্য মনে হয় নাই। পার্থক্য আছে যেখানে আইন ও সিস্টেম বাগড়া বাধায়। লেনদেনের ক্ষেত্রে মনে হয় আমাদের দেশের মানুষের সততার মাত্রা অনেক নীচের দিকে কারণ এই দেশে আইনের শাসন নাই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

মা.হাসান বলেছেন: আমার সীমিত জ্ঞানে আপনার পর্যবেক্ষন যথার্থ বলে মনে হয়। ভেজাল জাতীয় জিনিস ঘটে থাকে সুশাসনের অভাবে। সুশাসন আলাদা বিষয়। এটা গড়ে উঠতে সময় লাগে। আমরা এই দিক থেকে এগিয়ে না গিয়ে বরং পিছিয়ে গিয়েছি বলে মনে হয়।

এমআইটির পবেষনাতে কিছু পার্টিসিপেন্টকে কুড়িটার মতো এমসিকিউ দিয়ে ঠিক উত্তর বাছাই করতে বলা হয়। প্রশ্ন এমন ভাবে সেট করা হয়েছিলো যে, কেউ চারটার বেশি উত্তর দিতে পারবে না। দুটা কন্ট্রোল গ্রুপে পার্টিসিপেন্ট দের ভাগ করা হয়। এক গ্রুপ শেষ করার পর তাদের অ্যান্সার শিট নিয়ে নেয়া হয় এবং ঠিক উত্তর সাপ্লাই করে জিজ্ঞাসা করা হয় তারা কতগুলো উত্তর ঠিক দিয়েছিলো। পার্টিসিপেন্টরা সত্য উত্তর দেয় (মিথ্যা ধরা পড়ে যাবে)। দ্বিতীয় কন্ট্রোল গ্রুপের ক্ষেত্রে অ্যান্সার শিট না পড়েই পেপার শ্রেডারে কুচি করার পর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় কত গুলো সত্য উত্তর দিয়েছিলো। এখানে প্রায় ৭০% পার্টিসিপেন্ট মিথ্যা বলে।
দুই গ্রুপেই প্রতিটি সত্য উত্তরের জন্য কিছু ইনসেটিভ রাখা ছিলো।
এই তথ্য চ্যালেঞ্জ করলে তার জবাব দিতে পারবো না, আগে থেকে বলে রাখছি। স্মৃতি থেকে লিখছি বলে কিছু সংখ্যায় ভুল হতে পারে।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ঘুষ নিয়েও আপনি এমন একটি পোস্ট দিতে পারেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: তবে যতটুকু বুঝি, ঘুষ-দুর্নীতি হয়ে থাকে সুশাসনের অভাবে। বিভিন্ন গবেষনায় উঠে এসেছে আমাদের দেশ সুশাসনে পিছিয়ে আছে (সব সরকারই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এসব গবেষণার তথ্য উপাত্ত বরাবরই ভুয়া বলে দাবি করে এসেছে)। এই বিষয়ে লেখার মতো জ্ঞান আমার নেই।
তবে বিভিন্ন জনের কাছে শুনেছি আপনি যে দেশে আছেন- সেই মালয়েশিয়ার পুলিশের কেউ কেউ ঘুষ খান। আশির দশকে যারা সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন, এরকম একাধিক লোকের কাছে শুনেছি ইমিগ্রেশনের সময়ে পাসপোর্টের ভিতর ৫০ ডলারের নোট রেখে দিলে ঐ সময়ে পুলিশ সিল মেরে দিতো। সিঙ্গাপুরে এই সমস্যা ছিলো। এখন যত দূর জানি নাই। মালয়েশিয়ার বিষয়ে কম জানি।

মানুষের মিথ্যা বলার অভ্যাস আগেও ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো পোষ্ট !
উন্নত দেশে আইন কানুন কড়া, তারা যতই মিথ্যে বলুক নিজেদের ভালো বোঝে।
আমি তথ্য উপাত্ত কম বুঝি , কিন্তু ইউরোপ আমেরিকার অনেক মুভি তে ও দেখি চিটিং বাটপারিং কম না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু।
ব্লগ রিসার্চের জায়গা না। তথ্য উপাত্ত দেবার ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু কেহ যদি বলে আমার দেশের লোকেরা অসভ্য, এই কারনে মিথ্যা কথা বলে ; আর ইউরোপ-আমেরিকার লোক সভ্য কাজেই তারা মিথ্যা বলে না তবে এর প্রতিবাদ না করে পারি না। মিথ্যা আদিম কাল থেকে ছিলো। নবীর যুগেও ছিলো। কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে।
পোস্ট ভালো লেগেছে বলায় অনেক কৃতজ্ঞতা।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই সুবাদে নুরু ভাইয়ের পোষ্টটাও পড়া হলো। নুরু ভাইয়ের গল্পটা নিয়ে আমার একটা কথা আছে। মিথ্যা কুয়া থেকে বের হয়ে সত্যের কাপড় পড়ে ভেগে গেল। ভালো কথা। গল্পে কোথাও বলা নাই যে, মিথ্যা তার নিজের কাপড়ও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল। সত্য তাহলে মিথ্যার কাপড় না পড়ে নেংটা হয়ে সভ্য সমাজে গেল কেন? সত্যর কি জানা নাই, ইনডিসেন্ট এক্সপোজার একটা অসভ্যতা!!! :P

এবার আসি আপনার পোষ্টে। পশ্চিমা বিশ্বে ফর্মালি মিথ্যা বলে পার পাওয়া মুশকিল। তাই, বড় বিপদে না পরলে কেউ সাধারনতঃ মিথ্যা বলে না। আর বললেও আজ অথবা কাল ধরা পড়ে যায়। এর মানে এই না যে, এরা বিরাট সত্যবাদী। এটা হয়ে থাকে এদের সিস্টেমের কারনে। পক্ষান্তরে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মিথ্যা বলে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে। তাই মানুষ এই সুযোগ নেয়। এটা হিউম্যান বিহেভিয়ারের একটা স্বাভাবিক দিক। কাজেই দেশভেদের কারনে এটা যতোটা না সত্য, সিস্টেমের কারনে তার চেয়ে বেশী।

অপরদিকে, ইনফর্মাল আড্ডা বা আলাপ-আলোচনায় এরা অবশ্যই মিথ্যা বলে। সেটা সব দেশেই বলে। আলাদা করে দেখার কিছু নাই।

সবমিলায়া আপনের এই পোষ্টের প্রাসঙ্গিকতা খুইজ্জা পাইলাম না। =p~

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

মা.হাসান বলেছেন: সবমিলায়া আপনের এই পোষ্টের প্রাসঙ্গিকতা খুইজ্জা পাইলাম না।

নূরু ভাইয়ের পোস্টের সাপোর্টে বা প্রতিবাদে এই পোস্ট দেয়া হয় নি। ঐ পোস্টে একাধিক কমেন্টকারি দাবি করেছেন ইউরোপ-আমেরিকার লোক মিথ্যা বলেন না। একজন কমেন্টকারি এরকমও মন্তব্য করেছিলেন (ঐ মন্তব্যটি মুছে দেয়া হয়েছে) যে বাংলাদেশের লোক অসভ্য বলে মিথ্যা কথা বলে। সভ্য দেশের লোক মিথ্যা কথা বলে না।
মানুষ নিজের অরিজিন ভুলে যেয়ে যখন স্বজাতিকে হেয় করার জন্য এরকম মন্তব্য করে তখন এর প্রতিবাদ না করে পারি না। সেজন্যই এই পোস্ট লেখা। আশা করি বিষয়টি পরিস্কার করতে পেরেছি।

গল্পে কোথাও বলা নাই যে, মিথ্যা তার নিজের কাপড়ও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিল।
সবাইকে নিজের মতো ভুয়া ভাবলে কি চলে? ঐটা তো আর ভুয়া মিথ্যা না। তা ছাড়া কাঠাল খাবার সময়ে এবং ধুতি পরে হাঁটার সময়ে - দুই দুই বার বরিশালের লোক ..খালির লোকের কাছে নাজেহাল হইসে। নূরু ভাই সঙ্গত কারনে নিজের ইজ্জত বাঁচানোর জন্য এইবার মিথ্যার পরিচয় গোপন করে গেছেন।

পশ্চিমা বিশ্বে ফর্মালি মিথ্যা বলে পার পাওয়া মুশকিল।

পার পাওয়া মুশকিল। এইটা হলো আসল কথা। ওখানকার মানুষ সত্য কথা বলে এর কারণ তারা নৈতিক ভাবে আমাদের চেয়ে উন্নত এমন না। সত্য কথা বলে কারণ মিথ্যা বলার উপায় নাই। যেখানে মিথ্যা বললে ধরা পড়তে হয় না সেখানে ঠিকই মিথ্যা বলে।

ট্রাম্পের উদাহরন দিবো না। উনি ব্যতিক্রম। উনি পৃথিবীর মানুষকে যেভাবে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছেন তাতে ওনার সাত খুন মাফ হবার কথা।

বুশের কথায় আসি। বুশ-ব্লেয়ার-জ্যাক শিরাক সবাই এক স্বরে বললেন সাদ্দামের কাছে উইপন অফ মাস ডিস্ট্রাকশন আছে। খুঁজে এক ছটাক কিছু পাওয়া গেলো না।
বলবেন এটা পলিটিকাল ঘটনা। দেশের স্বার্থে মিথ্যা বলা জায়েজ। আচ্ছা, মেনে নিলাম।

প্লে বয় ক্লিনটনের কথায় আসি। বারবার অস্বীকার করলো মনিকার সাথে সম্পর্ক। মনিকা বললো সম্পর্কের চিহ্ণ তার অন্তর্বাসে এখনো আছে। তদন্ত সংস্থা বললো ডিএনএ এনালাইসিস করা হবে। ক্লিনটন এখন সত্য কবুল করলো। একশ বছর আগে হলে, ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা না থাকলে কি ক্লিনটন স্বীকার করতো? এখানে কি নৈতিকতা থেকে সত্য বলেছে বলে মনে হয়?

বিলাতে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই বিলিয়ন পাউন্ডের বেনিফিট ফ্রডের ঘটনা ঘটে। সবাই যদি সাধু তাহলে এই ফ্রড কে করে?

২০০৮-০৯ সালের ঘটনা । বিলাতে এমপিদের সরকারি ফান্ডের অপব্যবহারের কিচ্ছা পত্রিকায় আসলো। ঘটনা আরো আগের । ফাস হইছে ঐ সময়ে। যতদূর মনে পড়ে একাধিক এমপি পদ হারান। একজন এমপির স্বামী আবার সরকারি পয়সায় পর্নোগ্রাফিও নাকি দেখছিলো। ঐ ঘটনা কি ষড়যন্ত্র ছিলো ? নাকি সত্য?

সম্ভবত ২০০৯ সালেই হবে। প্রচন্ড গরমে বৃটেনে রেল চলাচল ব্যহত। পত্রিকায় আসলো এর মূল কারণ ঠিকাদারেরা যে কোয়ালিটির লোহার তৈরি রেল লাইন দেয়ার কথা তা না দিয়ে নিম্ন মানের লোহার লাইন দেয়ায় এই অবস্থা।

আনুমানিক তিন বছর আগে কেনসিংটনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। তদন্তে উঠে আসে ঠিকাদার নিম্মমানের মাল সরবরাহ করেছিলো। কন্সট্রাকশন চলার সময়ে নাকি অভিযোগও করা হয়েছিলো , কতৃপক্ষ সেসব আমলে নেয় নি।

হাওয়া ভবন শুধু বাংলাদেশে আছে? মার্গারেট থ্যাচারের ছেলে মায়ের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসা করছিলো। তবে দেশে কম। বেশি ব্যবসা ছিলো দক্ষিন আফ্রিকার সাথে। ওখানে অপকর্ম করার কারনে জেল-জরিমানাও হয়েছিলো। মায়ের ক্ষমতা ব্যবহার করে জেলটাকে সাসপেন্ডেড প্রিজন সেন্টেন্সে পরিনত করতে পারে। এত আকাম করেও কিন্তু মা দমে যায় নি। মার্গারেট থ্যাচার ক্ষমতায় থাকটেই তার স্বামীকে ব্যারন বানায় (ঘোষনা দেয় রানী, কিন্তু বিলেতের রানী পার্লামেন্টের পরামর্শ ছাড়া তো নিজে থেকে কাউকে ব্যরন মনে হয় করতে পারে না)। ঐ লোক মরার পর মার্ক থ্যাচার কিন্তু এখন ব্যারন।

বিলাতের ব্যবসায়ীরা সৎ? শুধু টেলিকম সেক্টরের উদাহরন দেই। অফ কম প্রতি বছর হাজার হাজার অভিযোগ পায়- মিস-সেলিঙের কারনে। ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল কোম্পানি গুলোর সেলস এজেন্ট মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষের কাছে প্ল্যান বেচে এর অভিযোগ।

আমেরিকা এই সবের বাইরে না। অ্যালাবামাতে ৪০ বছর ধরে কালো লোকদের উপরে সিফিলিসের পরীক্ষা করা হয়। এটা ছিলো সরকারি পরীক্ষা। এই ঘটনা ১৯৮০র দিকে ফাস হয়ে যায়। পরে ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকা কালে ঐ পরীক্ষার ভিক্টিম বা ভিক্টিম বেচে না থাকলে স্বজনদের কাছে অফিসিয়াল ক্ষমা চান ।

আরো আছে। আমার স্নায়ুতে কুলাবে না। লিঙ্ক দিলাম- https://en.wikipedia.org/wiki/Unethical_human_experimentation_in_the_United_States

ইউরোপ-আমেরিকার দেশ গুলোতে গনতন্ত্র আগে এসেছে। জবাব দিহিতার অবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। লোককে থানায় ডায়েরি করতে গেলে হয়রানি হতে হয় না। অভিযোগ করার জায়গা আছে। অভিযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাকশন নেয়া হয়। কিন্তু ওখানকার লোকদের নৈতিক চেতনা আমাদের দেশের লোকদের চেয়ে অনেক বেশি, এ কারনে ওনারা সত্য বলেন এ কথা মানা মুশকিল।

আমার কাছে মনে হয় জাতি-ধর্ম-চামড়ার রঙ নির্বিশেষে মানুষ ইনডিফারেন্ট। মানুষে মানুষে মেধার কম বেশি থাকতে পারে। কেউ জন্মগত ভাবে ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারি, কারো বা খারাপ। কিন্তু শুধু জন্মগত কারনে কেউ অন্যের চেয়ে বেশি নৈতিকতা বোধ সম্পন্ন এমন মনে করাটা হিটলারি চিন্তা বলে মনে হয়।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার পোষ্ট, মন্তব্য গুলো বুঝতে পারি না। আমি আপনাকেই বুঝতে পারি না। আসলে আপনি কোন দিকে আছেন?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

মা.হাসান বলেছেন: যে আমাকে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে পেট ভরায়ে খাওয়াবে আমি তার দিকেই থাকবো।

দাওয়াত কবে দিচ্ছেন বলেন B-))

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ভুয়া মফিজ ভাই আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্ন উত্তাপন করার জন্য।
মিথ্যা সত্যের পোষাক পড়তে কুণ্ঠা না করলেও সত্য কো্ন অবস্থাতেই
মিথ্যার পোষাক পড়তে পারেনা। পড়েনা। এই জন্যই সত্য চিরন্তন আর
মিথ্যা ভ্রান্তির ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

মা.হাসান বলেছেন: আমি অন্য রকম একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি, তবে আপনার ব্যাখ্যাটা আমার বেশি ভালো লেগেছে।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে বেশ গবেষণা করেছেন বোঝা যাচ্ছে!
আর যাই হোক আমরা বাঙ্গালীরা সবচেয়ে বেশি মিথ্যা কথা বলি বউ এর কাছে :) তবে এইগুলা ক্রিয়েটিভ ব্যাপার স্যাপার!

দারুন তথ্যবহুল পোষ্ট - এর সাথে মন্তব্যগুলোও চমৎকার

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

মা.হাসান বলেছেন: তপন ভাই অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনা মূলক মন্তব্যের জন্য। আসলে গবেষনা আমার না, শুধু কিছু লিংক যোগ করেছি মাত্র।

''এরকম রান্না আমি জীবনে খাই নি।''
''তোমাকে আজ একেবারে অন্য রকম লাগছে।''

এরকম কথার মধ্যে আমি কোনো মিথ্যা খুঁজে পাই না B-))

আর জান বাঁচানোর জন্য মিথ্যা কথা বলার বৈধতা অনেকেই দিয়ে রেখেছেন। কাজেই কোন দ্বিধা না রেখে যা করছেন চালিয়ে যান।
তবে আমার এখন মাঝে মাঝেই মনে হয়, স্ত্রী জাতি আমাদের চাইতে অনেক বুদ্ধিমান। সত্য বলছি না মিথ্যা সহজেই বুঝতে পারেন। বুদ্ধিমান বলে কোনো ভুল রিঅ্যাকশন দেখান না। তবে সব মেমরিতে জমা রাখেন । দরকার মতো ব্যবহার করেন।

১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একের পর এক বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে বিরক্তিকর কমেন্ট করার জন্য লরুজনকে ব্যান করা হোক।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

মা.হাসান বলেছেন: আপনি নতুন লোক, এরকম ঘটনা আগে দেখেন নি। এরা ব্লগে আসে, দু-তিন দিন লাফালাফি করে। ব্লক হয়ে যায়। কদিন পরে আবার নতুন নামে আসে।
প্রস্তুত থাকেন, আবার এই লোকের দেখা পাবেন।
ভালো লোক ভালো কাজ থেকে ইন্সপিরেশন নেন। এই নোঙরা লোকেরা নোঙরা থেকে ইন্সপিরেশন নেয়। এদের ব্যান করা যায়, একেবারে দমন করা মুশকিল।

১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লরুজনের ব্যান একদম সিদ্ধ হয়ে গেছে-

১। সে মিররডল সোনাবীজ ভাইকে নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করছে যা বলার অধিকার তার কোনোভাবেই নেই। সে এই ব্লগ রুল নির্ধারক না। এবং মন গড়া অসত্য বলে যাচ্ছে। এবং একই সাথে সে নিক বিকৃত করে বালছাই লিখেছে। যেটা তার ইচ্ছাকৃত।

২। আমি কার মাল্টি এটা উদ্ধার করে সে যেন ব্লগের বিশাল লরুজন হোমস হয়ে পড়েছেন। এই আবিষ্কার সকলের পোস্টে গিয়ে ভ্যানভ্যান করেও তার লাভও হচ্ছে না শান্তিও না।


কাজেই তার মৃত্যু বা ব্যানডই একমাত্র শান্তির ফলাফল হবে।

এইভাবে ফ্লাডিং এবং একটার পর একটা নানা ব্লগারের নাম নিয়ে তার নিজের পোস্টে কুৎসা মূলক পোস্ট করা ব্লগ রুল বিরোধী। সে নিজে যা করছে তা না দেখে অন্যের বিরুদ্ধে বলছে। নিজেকে মহা পন্ডিৎ ভাবতে শুরু করলে যা হয় আর কি।

পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে।

অনেক সহ্য করা হয়েছে।

আর না

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

মা.হাসান বলেছেন: এই লোক অন্য নামে আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি। সেরকম কিছু হলে মডারেটরের কাছে রিপোর্ট করতে পারেন।

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মিথ্যা ষবাই বলে তবে বেশী আর কম । ঠিক বলেছেন পাল্টা পোষ্ট না দিয়ে এখানে মন্তব্য বলা উচিত

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: সত্য কথা নেওয়াজ ভাই। দু-চারজন ব্যতিক্রম আছেন যারা কোনো পরিস্থিতিতেই মিথ্যা বলেন না। এটা ব্যতিক্রম। এভারেজ মানুষ কম-বেশি মিথ্যা বলে। আমি নিজে এর ব্যতিক্রম না।
পাঠ শেষে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পৃথিবীর কোন মানুষই ১০০% সত্যবাদী নয়, কোন কালে ছিলও না। বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে আপনি এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোন গবেষণাকর্ম না থাকায় প্রকৃত চিত্র পাওয়া মুশকিল।

যাই হোক, আমি মিথ্যাবাদী নই। আবার সত্যবাদীও নই। আমি আগে মিথ্যা বলতাম আমার মাকে, আর এখন মিথ্যা বলি আমার স্ত্রীকে। এই দুই মহিলা ছাড়া অন্যান্যদেরকে মিথ্যা কথা বলি না বললেই চলে। তাহলে আমি মানুষটা কেমন, একটু গবেষণা করে বলবেন প্লিজ!

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১২

মা.হাসান বলেছেন: হেনা ভাই, মন্তব্যের জবাবের বিলম্বের জন্য দুঃখিত। ব্যস্ততা থাকে, সময় করা সব সময় সম্ভব হয় না।

মহা ভারতে দেখা যায় ধর্মরাজার পুত্র যুধিষ্ঠিরও মিথ্যা বলছে। খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারিদের মতে যিশুর শিষ্য জুডাস যিশুর সাথে প্রতারনা করেছিলো। ইসলাম ধর্মের অনুসারি হিসেবে এরকমই জানি যে ইসলাম ধর্মের স্বর্ণযুগ ছিলো প্রিয় নবী বেঁচে থাকার সময়টা এবং এর পরে খোলাফায়ে রাশেদিনের সময়টা। বিভিন্ন বর্ননা অনুসারে ঐ সময়েও কিন্তু মানুষ মিথ্যা বলেছে, ব্যাভিচার করেছে, মদ্য পান করেছে। দু-চারজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন। বাকি এভারেজ মানুষ কম-বেশি মিথ্যা বলে থাকেন।

আমার মা এখনো জীবিত। সেই হিসেবে এখন আমি আপনার চেয়ে দ্বিগুন মিথ্যা বলি :P

মানুষ তার বেতন নিয়ে মিথ্যা বলে- বউয়ের কাছে কমিয়ে বলে, বন্ধুদের কাছে বাড়িয়ে বলে। এটা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। ইনকামট্যাক্সের কাছে মিথ্যা বলা না হলে এটাতে তেমন দোষের কিছু আছে বলে মনে হয় না। মহিলাদের সকলের বয়স ১৮তে আটকে আছে B-)) । এটাও আমার কাছে দোষের না। কেহ ডাল ভাত খেয়ে বলেন দেড় কেজি ইলিশের তরকারি আর ডাল-খাশি ছিলো। আবার কেহ রিচ ফুড খেয়ে বলেন ভর্তা-ভাত খেলাম। সোসাল লাইফে মানুষ এরকম অহরহ করে।

আমি মানুষটা কেমন, একটু গবেষণা করে বলবেন প্লিজ!
খুব বেশি গবেষণা না করেই বলা যায়, যারা চার বিয়ে করেছেন এদের তুলনায় আপনি চারগুন বেশি সত্যবাদি :)

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫

জুন বলেছেন: মি লর্ড যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যা বলিবা না। এইরকম শপথ নিয়ে আমরা একের পর এক মিথ্যা বলি মা হা। আপনে আবার বইলেন্না হাচাই নি! B:-)
সারা দুনিয়াতেই ট্রু ফলস কথাটা আছে, তবে গরীব দেশের মানুষ একটু বেশি বলে এইটা আপনাকে মানতেই হবে ফর সারভাইভাল।
+
অটঃ মাহা আপনার যে রাতে মোর দুয়ারগুলো পোস্ট কি আবার নতুন করে লিখেছেন কি?

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২০

মা.হাসান বলেছেন: সারা দুনিয়াতে ট্রু ফলস কথা আছে।
সহমত।
তবে গরীব দেশের মানুষ একটু বেশি বলে

আমরা এখন আর গরীব না। অনেক আগেই মধ্যম আয়ের দেশ ছিলাম। কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর-আম্রিকাকেও ছাড়ায়া গেছি। সেই হিসাবে আমাদের দেশের লোক কিন্তু সিঙ্গাপুর-আম্রিকারদেশের চাইতে কম মিথ্যা বলে। থাইল্যান্ড কিন্তু আমাদের চাইতে গরীব। B-))

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

মা.হাসান বলেছেন: যে রাতে মোর দুয়ারগুলো পোস্ট কি আবার নতুন করে লিখেছেন কি?

আপনার প্রথম কমেন্ট পড়ার পর পোস্ট চেক করে দেখেছিলাম যে পোস্ট করার সময়ে পোস্টের বেশি অর্ধেক ভুলে বাদ গেছিলো। ঐ সময়েই ওটা ঠিক করে দেই। এর পর আরো কোনো অদল-বদল করি নি।

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নূরু ভাইয়ের পোস্টটি পড়ি নি, তবে উপরের কমেন্ট থেকে বুঝলাম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া একটা গল্প ওটা। স্রেফ গল্পটা উপরও পর্যালোচনা করার অনেক স্কোপ আছে, যা মফিজ ভুইয়া কিছুটা করেছেন (সেটা কিন্তু কোনো দোষ না নূরু ভাই)।

সুন্দর একটা পর্যালোচনামূলক পোস্ট। রেফারেন্সসহ যুক্তিগুলো খুবই ভালো লেগেছে।

কোন দেশের লোক বেশি মিথ্যা কথা বলে, এটা যেমন এ পোস্টে উল্লেখ করা হয় নি, এবং এটা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে বলেও জানা যায় নি। কাজেই, আমরা অন্য আলোচনায় যেতে পারি।

প্রথম পয়েন্ট : আমরা মিথ্যা বলি কেন? মিথ্যা বললে সমস্যা কী?

আমরা মিথ্যা বলি নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। মিথ্যা বললে অপরের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, কিংবা অপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞান বলে, এ মিথ্যা বলার পেছনে এ দুটো কারণ না থাকলে সত্যমিথ্যা বলে পৃথিবীতে কোনোকিছুর অস্তিত্ব থাকতো।

এই সত্য এবং মিথ্যার উৎপত্তি কবে হয়েছে, তা নিয়েও বোধহয় অনেক গবেষণা হয়েছে। সভ্যযুগের আগে মিথ্যা বলা অন্যায় ছিল না। সভ্যযুগেই সামাজিক কারণে 'মিথ্যা' একটা অন্যায় হিসাবে প্রতিভাত হতে থাকে।

আমরা জেনুইন মিথ্যাগুলো জেনেশুনেই করি। কিন্তু, এমন কিছু মিথ্যা আছে, যা আমরা অহরহ বলে থাকি নিজের অজান্তে, এবং সেসব মিথ্যার কোনো অপকারিতা নাই বলে আমরা নিজেরাও টের পাই না যে আমি অনর্গল মিথ্যা বলে গেলাম। আমি আজ রাত ভইরা ঘুমাইছি দোস্ত। উঠছি দুপুর ১২টায়। হয়ত সে রাত ১০টায় ঘুমাইছে, উঠেছে সকাল ১০টায়। গল্প করার সময় চামে বলে ফেলেছে এভাবেই। জীবনেও এত স্বাদের তরকারি খাই নাই। তার মতো এত ভালো মানুষ আর একটাও নাই। এ কথাগুলোও এমন যে, এগুলো যে শতভাগ সত্য তা প্রমাণ করা যাবে না, কিন্তু কথক এ কথাগুলো বলে ফেলছেন।

কখনো মিথ্যাটাই সত্য হিসাবে ইতিহাসে ঠাঁই পেয়ে যেতে পারে। আমাদের ইতিহাস হলো সত্য আর মিথ্যার মিশ্রণ। একেক জন একেকভাবে ইতিহাস লেখেন। তাই ইতিহাসেও অনেক গড়মিল পাওয়া যায়।

কেউ কেউ 'সত্য' বলেন না। যেমন, খুনি, ধর্ষক, ঘুষখোর- এরা আদালতে কদাচিৎ নিজের দোষ স্বীকার করেন। এরা ঝানু মিথ্যুক।

নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলা যায়।

কৌতুক করেও আমরা অহরহ মিথ্যা বলে থাকি।

আপনি গুনে দেখতে পারেন, গত ৫ বছরে আপনি এমন কোনো মিথ্যা বলেন নি, যার দ্বারা অন্যের, কিংবা আপনার প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে। এ সময়টা ৫ বছর না হয়ে ১৫ বছর বা আরো বড়োও হতে পারে। আমি এত জোর দিয়ে বলছি এ কারণে, আমি খুব বড়াই করে বলি- আমি সৎ ও সত্যবাদী। যেহেতু আমার নিজেকে নিয়ে আমার এত আত্মবিশ্বাস, তা থেকেই আমি বিশ্বাস করি, আমার মতো মানুষের অভাব নাই এ দেশে, কিংবা আমিও অন্যসব মহান মানুষদের অনুসারী একজন।

কিন্তু এই যে নিজের সম্বন্ধে বড়াই করে এতবড়ো কথাটা বলে ফেললাম, কেউ হয়ত আমার পোস্ট ও কমেন্টগুলো অক্ষরে অক্ষরে পর্যালোচনা করে বের করে ফেলতে পারেন - কোথায় কোথায় আমি কয়টা মিথ্যা বলেছি। সেটা যে হতে পারে না, তা না, তবে সেগুলো অসতর্কতাবশত, কিংবা অজ্ঞাতসারে হয়ে থাকতে পারে, যা দ্বারা অন্যের ক্ষতি করা কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

আমার কমেন্ট বড়ো হয়ে গেলো। নূরু ভাই বা আপনার পক্ষে বা বিপক্ষে বলা আমার উদ্দেশ্য না, আমার বক্তব্যটা পেশ করাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল।

সারাংশ : আপনি গুনে বের করতে পারবেন না জীবনে এমন কী মিথ্যা বলেছেন যার দ্বারা অন্যের ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ, আপনি কোনো ক্ষতিকারক ব্যক্তি নন। কাজেই 'কৌতুক করেও মিথ্যা বলা' থেকে অনায়াসেই আমরা নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারি।

তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যেমন একটা অভ্যাস, কারো জন্য একটা আর্টও। আপনি সারাজনমে কোনো মিথ্যা না বলে থাকলে হঠাৎ এক মিথ্যা বলে ফেললেই ধরা খাবেন। কারণ, সত্যবাদীরা যখন মিথ্যা বলে, তখন তারা তোতলায়, ঠোঁট কাঁপে। মিথ্যাগুলো সাজাতে পারে না।

এ পোস্টের নীচের দুটো হেডিং একনজরে একটু পড়ে দেখবেন, যদি সময় পান।

পোস্ট খুব সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা হাসান ভাই।


০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫২

মা.হাসান বলেছেন: কোন দেশের লোক বেশি মিথ্যা কথা বলে, এটা যেমন এ পোস্টে উল্লেখ করা হয় নি, এবং এটা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে বলেও জানা যায় নি।

ইউরোপ আর আমেরিকায় মোটামুটি একই প্যাটার্ন দেখা গেছে। আমেরিকাতে সাদা -কালো-এশিয়ান-হিসপ্যানিক সব গোষ্ঠির এভারেজ প্যাটার্ন কাছাকাছি। সব গোষ্ঠির মাঝেই আনুমানিক ৭৫% সাদা মিথ্যে বলার লোক, ২০% কড়া মিথ্যে বলা লোক।

দক্ষিন-এশিয়া এবং আফ্রিকা নিয়ে হয়তো আলাদ গবেষনা হয়েছে, আমি চেক করে দেখি নি। চোখে পড়লে এখানে যোগ করে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবো।

এমন কিছু মিথ্যা আছে, যা আমরা অহরহ বলে থাকি নিজের অজান্তে, এবং সেসব মিথ্যার কোনো অপকারিতা নাই বলে আমরা নিজেরাও টের পাই না যে আমি অনর্গল মিথ্যা বলে গেলাম।
দু-চার জন ব্যতিক্রম আছেন যারা এরকম মিথ্যাও বলেন না। এটা ব্যতিক্রম। কয়েকদিন আগে আমি গেছোদাদার ইলিশ নিয়ে লেখা একটা পোস্টে কমেন্ট করেছি বাংলাদেশে এখন ৩০০ টাকা কেজি ইলিশ। ৩০০ টাকায় জাটকা পাওয়া যেতে পারে, চাদপুর মোকামেও ভালো সাইজের ইলিশ ৩০০ টাকা কেজি হবার কথা না। তবে প্রতিবেশির ঈর্ষা জাগানোর মাঝে একটু আনন্দ কেউ খুঁজলে ক্ষতি কি? B-))

ইউটিউবে পাওয়া সোসাল মিডিয়ায় মিথ্যা বলে ধরা পড়ার মজার দু-একটা ছবি নীচে দিলামঃ




আপনি মিথ্যা বলার কারণ অনুসন্ধান করেছেন। এই বিষয়েও গবেষনা আছে। সোসাল কথাবার্তায় মানুষ মিথ্যা কেনো বলে এই বিষয়েও গবেষনা আছে। তবে এই ধরণের মিথ্যা ইম্পরট্যান্ট না বলে মনে হয়। আমার এক শিক্ষক ছিলেন, উনি বলতেন ফান করেও মিথ্যা বলবে না। রসিকতা করেও মিথ্যা বলে না এমন লোকও আছেন, আমার পরিচিতের মাঝেও আছেন (তবে ঐ সার না। উনিও জীবনে মিথ্যা বলেছেন বলা জেনেছি।)

মানুষ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মিথ্যা বলে। এটা সব দেশেই হয়। আমাদের দেশে বিধবা ভাতা পাবার জন্য সধবার বিধবা হবার ঘটনা আছে। একই ভাবে ইউরোপে বেকার ভাতা পাবার জন্য চাকরিজীবির মিথ্যা বলার ঘটনাও আছে। ইউএসএতে ইনসিওরেন্স ফ্রডের ঘটনা আছে। ওখানে বেকার ভাতা দেয় কি না জানা নেই, দিলে সেটাতেও ফ্রডের ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক। ইনকামট্যাক্স জালিয়াতির ঘটনা সব দেশেই আছে। টেনিস তারকা স্টেফি গ্রাফের ইনকাম ট্যাক্স জালিয়াতির ঘটনা পত্রিকায় এসেছিলো। ওনার বাবা এজন্য জেলেও ছিলেন।

পশ্চিমা দেশ গুলো তাদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে অহরহ সিস্টেম আপডেট করে। যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে। আমাদের দেশে আপডেটের ঘটনা কম। ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেখেছি দশ টাকা কেজির চাল হাতের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেয়ার জন্য কোনো এক ইউএনও ব্যবস্থা নিয়েছেন। এটা চালু থাকলে এই নিয়ে চুরি কমে যাবে। মোবাইলের মাধ্যমে দুস্থদের জন্য সরকারি সাহায্য দেয়ার পরিকল্পনা চোরদের কারনে আটকে আছে। এই পরিকলপনা বাস্তবায়ন হলে এই চুরিটা কম হবে (তালিকায় উল্টা-পাল্টা লোকেদের নাম ওঠানো বন্ধ কি ভাবে করা যায় সে বিষয়ে অবশ্য আমার ধারনা নেই)।


খুনি, ধর্ষক, ঘুষখোর- এরা আদালতে কদাচিৎ নিজের দোষ স্বীকার করেনা। এরা ঝানু মিথ্যুক।

যদি সকলে সত্যবাদি হয়ে যেতো তবে পুলিশ, আদালত , উকিল এসবের পরয়োজনীয়তা অনেক কমে যেতো। সিসিটিভি, ডিএনএ টেস্ট এসবের কারনে কোথাও কোথাও মিথ্যে বলে পার পাওয়া মুশকিল। কিন্তু দক্ষ অপরাধীরা আবার জানে এসব কিভাবে এড়াতে হয়। আবার অতি প্রভাবশালী লোকেদের প্রমান গায়েব করা বা টেম্পারিং করার ঘটনা বিরল না।


তবে, কারো কারো ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যেমন একটা অভ্যাস, কারো জন্য একটা আর্টও। আপনি সারাজনমে কোনো মিথ্যা না বলে থাকলে হঠাৎ এক মিথ্যা বলে ফেললেই ধরা খাবেন। কারণ, সত্যবাদীরা যখন মিথ্যা বলে, তখন তারা তোতলায়, ঠোঁট কাঁপে। মিথ্যাগুলো সাজাতে পারে না।
এই বিষয়ে করুণাধারা আপার ২১ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলার ইচ্ছা আছে। আজকে সময় না পেলে কালকে আশা রাখি করবো।

আপনার দেয়া লিঙ্ক দেখেছি। মনের কষ্ট থেকে লিখেছেন। ২০১৪ সালে আসলে ঠিক কোন মিথ্যেটার কারণে ঐ পোস্ট দিয়েছিলেন এটা বলা মুশকিল। যে আমার শত্রু, তার কোনো গুন থাকলে এটা স্বীকার করলে আমি ছোটো হয়ে যাবো এমন মনে করাটা ঠিক বলে মনে করি না। কাদের সিদ্দীকির নিজের এলাকায় ওনার অনেক দুর্নাম আছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে ওনার অসম সাহসীকতার কথা, বা সেক্টর কমান্ডারদের অবদানের কথা অস্বীকার করা যায় না। ওসব কথা থাক। ৯৬, ২০০৮ এসময় আমিও অনেক স্বপ্ন দেখেছি। এখন বাস্তব জগতে এসেছি, যারা এসব বলেন , ওনাদের নিয়ে স্বপ্ন কম দেখি।

ইতিহাসের বিষয়ে বলি, এই ব্লগেই কেউ একজন বলেছিলেন যে ১০-৫০ বছরে ইতিহাস রচিত হয় না। আর ক্ষমতায় থেকে লেখা ইতিহাস টিকে থাকে না। আজ থেকে হয়তো ২০০ বছর পর ইতিহাসের বইতে অন্য কিছু লেখা থাকবে।

আপনার বিশ্লেষন এবং অনুপ্রেরনা মূলক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ খলীল ভাই।

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা প্যারায় একটা 'না' বাদ পড়ে গেছে :(

--

আমরা মিথ্যা বলি নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। মিথ্যা বললে অপরের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়, কিংবা অপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমার ক্ষুদ্রজ্ঞান বলে, এ মিথ্যা বলার পেছনে এ দুটো কারণ না থাকলে সত্যমিথ্যা বলে পৃথিবীতে কোনোকিছুর অস্তিত্ব থাকতো না

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

মা.হাসান বলেছেন: পড়ার সময়ে ওটা বুঝে গেছি খলীল ভাই, এর পরেও এসে বলে যাওয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা :)

১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সারা দুনিয়ার মাইনষেই মিছা কথা কয়। মিছা কথা ছাড়া অনেক সময় কিছু বিপদ থাইকা বাচন যায় না :(

সুন্দর পোস্ট

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

মা.হাসান বলেছেন: এতই যদি বুঝেন তয় কেউ আপনার কবিতা চুরি কইরা অন্য জায়গায় পোস্ট করলে এত চ্যাতেন ক্যা?

আমি বহুত চেষ্টা করতেছি। কবিতা তেমন বাহির হইতেছে না। এইটা লিখলাম- দেখেন তো কেমন হইসে-- B-))

বন্ধু মানে ছুটে চলা
তালে তাল মিলিয়ে
বন্ধু মানে কথা বলা
হাসি খিল খিলিয়ে।

বন্ধু হলো কাছের মানুষ
কথা বলা অন্তর খুলে
বন্ধু হলো রঙিন ফানুস
উড়াও কষ্ট ভুলে।

১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তিন ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যায়।
১। দুই জন মানুষের মধ্যে ঝগড়া মিটিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে।
২। স্ত্রীর সৌন্দর্য সংক্রান্ত মিথ্যা বলা। স্ত্রী যখন জিজ্ঞেস করবে যে শাড়িটাতে আমাকে কেমন লাগছে। তখন সব সময় বলবেন খুব ভালো লাগছে।
৩। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে ধোঁকা দিতে মিথ্যা বলা যায়। ঐ সময় ইমানদারি করিয়া মরার কোনও দরকার নাই।

পশ্ছিমে সিস্টেমের কারণে ওরা সঠিক পথে থাকতে বাধ্য হয়। অনেক আগে শুনেছিলাম যে অ্যামেরিকাতে কোনও শহরে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় কয়েক ঘণ্টার জন্য। এই সময়ে দোকান ও মার্কেটগুলিতে শুরু হয়ে যায় লুটপাট কারণ তখন সিস্টেম কাজ করছিল না।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০১

মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।

২ নম্বরটার ক্ষেত্রে আরকটু অ্যাড করবো। স্ত্রী যদি জিজ্ঞাসা করে- কোন শাড়িটা বেশি ভালো লাগছে, এটা না ওটা- তাহলে নিজের পকেটের অবস্থা চিন্তা করবেন না। কখনো বলবেন না ঐটা বেশি ভালো। সব সময়ে বলবেন এটা তো খুব সুন্দর ওটাতেও তোমাকে অসাধারণ লাগছে। দুটাই কিনে নেই চলো।

সব সময়ে যে রকম সত্য বলা উচিৎ না, অনেক সময়েই সত্য গোপনও করতে হয়। মানুষের ত্রুটি জানা থাকলে গোপন করা উচিৎ। তবে বিয়েশাদির ক্ষেত্রে কেউ অপিনিয়ন জানতে চাইলে, আমার জানা মতে এক্ষেত্রে ত্রুটি জানা থাকলে গোপন করা ঠিক না। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এরকম ক্ষেত্রেও সত্য গোপন করা ঠিক না।

বিভিন্ন পত্রিকার খবর, উইকিপিডিয়া এবং আরো কিছু সোর্স ঘেটে যা পেলাম
সভ্যদের দেশ ইউএসএ-তে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ জন লোক খুন হয়। (বছর ভেদে কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে) এর মধ্যে ৪০% মার্ডার আনসল্ভড , কোনো কিনারা হয় না।
পক্ষান্তরে অসভ্যদের দেশ বাংলাদেশে দিনে গড়ে ১০-১২টা মার্ডার হয়। (পুলিশ-র‌্যাবের ক্রসফায়ার বাদে।) বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমরিকার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।

প্রতি বছরে, প্রতি এক লাখ লোকে , অসভ্যদের দেশ বাংলাদেশে ধর্ষনের ঘটনা ৮টার মতো। ভারতে ২টা।
সভ্যদের দেশ ইউকেতে রেপ প্রতি বছরে প্রতি লাখে ১৮টা। আরো সভ্য দেশ ইউএসএ তে রেপ প্রতি বছর প্রতি লাখে ৩০টা।

মানুষ নিজে থেকে যদি সত্য কথা বলে তবে বলা যায় নৈতিক ভাবে সে ভালো। যদি তাকে সিস্টেম দিয়ে সত্য বলতে বাধ্য করা হয় তবে বলতে হবে সিস্টেম ভালো, কিন্তু নৈতিক ভাবে যে সে ভালো, এই ক্ষেত্রে এটা প্রমান হয় না।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮

মা.হাসান বলেছেন: দুঃখিত , পরিসংখ্যানে একটু ভুল হয়ে গেছে। বাংলাদেশে ধর্ষনের ঘটনা প্রতি লাখে ০.৮, প্রতি মিলিয়নে ৮, এটা সম্প্রতি বেড়ে প্রতি মিলিয়নে ৯ এর মত হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখিত। অন্য দেশের গুলো লাখেই হবে, ওগুলোর সংখ্যা ঠিক আছে।

২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি আগে নুরুভাইয়ের কমেন্টেই স্পষ্ট ভাবে বলেছি সত্য মিথ্যা সবদেশেই আছে।
উন্নত দেশে মিথ্যা বলে কম। কারন মিথ্যা বললে প্রযুক্তির কারনে ধরা পড়ে যায়। এখানে মিথ্যাকে ভীষণ ঘৃনা করা হয়। ধরা পড়লে চড়া মুল্য দিতে হয়।

এখানে কালা ধলা ইমিগ্রান্ট এশীয়ান হিসপানিক ইত্যাদি অপরাধপ্রবন মিশ্র সমাজেও সততা যে কোন মুসলিম দেশের চেয়ে বেশী। একবার এব বড় সপিং সেন্টারে মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলাম, মানিব্যাগে শ খানেক ডলার ছিল সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাঙ্ককার্ড হারিয়ে হতবুদ্ধি হয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছিলাম, এক বাংগালী ভাই বলল এটা ব্যাপার না পেয়ে যাবেন। সপিং সেন্টারে্র ভেতরে লষ্ট-ফাউন্ড সেন্টারে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন। পেয়ে গেছিলাম। অতচ এই মলে প্রতিদিনই চুরি হয়, পুলিশ প্রতিদিন হাতবাধা চোর নিয়ে যাচ্ছে। চোর অল্প, ভাল মানুষ বেশী, নইলে আমরা মানিব্যাগ ফেরত পেতাম না।
ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৮

মা.হাসান বলেছেন: আপনার সাথে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো এক মত হতে পারবো না, তবে নূরু ভাইয়ের পোস্টে আপনি যা বলেছেন এবং এখানে যা বলেছেন এর সাথে অনেকাংশে এক মত। মন্তব্যে লাইক।

নূরু ভাইয়ের পোস্টে কেউ কেউ বলেছেন ইউরোপ-আমেরিকায় মানুষ মিথ্যা বলে না। ওখানকার মানুষ সভ্য। পক্ষান্তরে বলতে চেয়েছেন আমাদের দেশের মানুষ অসভ্য, এজন্য মিথ্যা বলেন। আমার কাছে বিষয়টা ঠিক মনে হয় নি।

মানুষ জাত-ধর্ম-চামড়ার রঙ নির্বিশেষে ইনডিফারেন্ট। সমাজে বাস করার সময় কিছু নর্ম মেনে চলেন। এক জায়গার নর্মের সাথে আরেক জায়গার নর্ম মিলতে নাও পারে।

বাংলাদেশের লোক সাধারণ ভাবে মদ্যপানকে খারাপ চোখে দেখে। যে মদের ব্যবসা করে তাকে ভালো চোখে দেখে না। একই কথা প্রযোজ্য জুয়ার বেলায়। এগুলো আমাদের চোখে অনৈতিক। ইউরোপ বা আমেরিকায় ক্যাসিনোর মালিক বা বারের মালিক হওয়া দোষের কিছু না। বরং অনেকের কাছেই বিষয়টা সম্মানের। কাজেই নীতিবোধ স্থান-কাল ভেদে আলাদা হয়।

গত বছর কোলকাতা বিমান বন্দরে ওয়ালেট ভুলে ফেলে এসেছিলাম। দুশো ডলার এবং কিছু খুচরো টাকা ছিলো। ভিতরে ফোন নাম্বার ছিলো (নতুন সিম নিয়েছিলাম, সিমের কাগজটা ভিতরে ছিলো)। ফোন করে নিয়ে যেতে বললো। কিছু হারায় নি। ঢাকা এয়ারপোর্টের নীচতলায় নামাজের জায়গার পাশে লস্ট-অ্যান্ড ফাউন্ডের মালামাল স্তুপ করে রাখা আছে। কাজেই ঢাকতেও হারিয়ে যাওয়া মাল পাওয়া যায়।

ঢাকা এয়ারপোর্টে লাগেজ হ্যান্ডলারদের বিরুদ্ধে পুরাতন অভিযোগ লাগেজ কেটে মাল বের করে নেয়ার। ইউএসএতেও অনেক আগে এরকম হয়েছে। এখন হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এয়ারপোর্টের মতো জায়গায় ব্যাকগ্রাউন্ড চেক না করে কাউকে চাকরি দেয়া হয় না। আর অসংখ্য ক্যামেরা। চুরি করলে ধরা। মানুষ সৎ এজন্য চুরি করা বন্ধ করেছে এমন না। মানুষের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে ওখানে সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করা হয়।

ঢাকা এয়ারপোর্টে লাগেজ হ্যান্ডলিং থার্ড পার্টির কাছে দেবার কথা অনেকদিন ধরেই আলোচনায় আছে। সমস্যা হলো উপরের দিকে যারা থাকে এরা (সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী, চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন) ভাবে কয়দিনই বা থাকবো, কিছু কামায়ে নেই। এজন্য সমস্যা। বিমানের টিকেট চুরি নিয়ে অনেক কথা ছিলো। এখন অনলাইনে আসার পর আমার জানা মতে বন্ধ হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যব হার করে সিস্টেম উন্নত করা যায়। কেনো এটা হচ্ছে না এটা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, এ পোস্টের আলোচনার মধ্যে পড়ে না।

আপনি অন্যত্র বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেছেন। শতকরা ৯৪-৯৭ জন অপরাধ কবুল করে।
কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই আচে অপরাধ না করেও অপরাধ কবুল করতে বাধ্য হয়। এটা নিঃসন্দেহে বেস্ট সিস্টেম না। কিছুদিন আগে পড়া খবরের লিঙ্ক শেয়ার করলাম। অনলাইনে বেশি দেখার সুযোগ হয় না, আপনার ছাপার অক্ষরে নিঃসন্দেহে এর চেয়ে বেশি পড়েন--https://www.washingtonpost.com/opinions/our-plea-bargain-system-can-make-the-innocent-admit-guilt-enter-michael-flynn/2020/05/19/27eb0fc6-99e1-11ea-ac72-3841fcc9b35f_story.html

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: এত তথ্য উপাত্ত দিয়ে অনেক পরিশ্রম করে লিখেছেন, যেটা পড়ে বুঝলাম ইউএসএ এবং ইউকের অধিকাংশ লোকই মিথ্যা বলে মা সেদেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে জানা গেছে। যা বুঝিনি তা হলো, এই তথ্য উপাত্ত কি বলছে যে বাংলাদেশের মানুষেরা যেমন মিথ্যা বলে এসব দেশের মানুষেরাও একই সমান বা তার চেয়ে ভয়াবহ মিথ্যা বলছেন?

চেনা পরিচিত যারা এই দেশগুলোতে থাকে তাদের কাছে শুনেছি, অধিকাংশ বাংলাদেশীর জন্ম ৩৬৫ দিনের মধ্যে কেবল ১লা জানুয়ারি কেন হয় এটা সেদেশের সবার কমন প্রশ্ন। এর উত্তর দুভাবে দেন তারা, হয় সোজা মিথ্যা বলেন এই বিশেষ তারিখে জন্মাতে বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করেন অথবা সত্যি কথাটা বলেন যে এটা মিথ্যা জন্মদিন, বেশিদিন চাকরি করার উদ্দেশ্যে এই মিথ্যাকথন। উভয়ক্ষেত্রেই মিথ্যা বলা হচ্ছে। এই মিথ্যা জন্মতারিখ শেখানোর মাধ্যমে শিশুকে মা-বাবা প্রথম মিথ্যা কথনে তালিম দেন, এই মিথ্যা সে সারাজীবন বয়ে চলে, ফলে অন্য মিথ্যা কথন তার জন্য সহজ হয়ে যায়। এমনিতে ১৫০ টাকার তালাকে ৫৫০০ টাকায় কেনা এটাকে আমার তেমন ক্ষতিকর মিথ্যা মনে হয়না, কিন্তু করোনা টেস্টের জন্য দেয়া মিথ্যা টেস্ট রিপোর্টে যে মিথ্যা বলা হয় তা খুবই ক্ষতিকর, এতে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। এমন মিথ্যা আমরা অবলীলায় বলি, ইউএসএ ইউকেতে মানুষ এমন ক্ষতিকর মিথ্যা বলে এমন তথ্য আছে?

 আরো অনেক ভাবে মিথ্যা বলি আমরা, অভাবে স্বভাব নষ্ট করার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য কিনা জানিনা, আমি ইদানিং বাজারে যাইনা বলে গতকাল দু'জনকে দিয়ে একটা ঝাড়ু আর আনারস আনিয়েছিলাম, আনারস যাকে বলেছিলাম তাকেও আনারস খাবার টাকা দিয়েছিলাম তার পরও দুজনই আমাকে জিনিসের যে দাম বলল শুনে বুঝলাম মিথ্যা বলছে, উদ্দেশ্য কিছু টাকা চুরি। অথচ এদেরকে আমি নিয়মিত অর্থ সাহায্য করি, এরা মিথ্যা বলে অভ্যাসের বশে।

ওবামার একটা বইয়ে পড়েছিলাম, উনি প্রথম যখন সিনেটর হবার জন্য ভোট চাইতে গেছিলেন, তখন এক লোক তাকে বলেছিল, "তোমাকে দেখে তো ভালো লোক বলে মনে হয়, তুমি রাজনীতিতে নামবে কেন!!" রাজনীতিতে জড়িতরা হরদম মিথ্যা বলেন, সবদেশে ও সবকালে...

ভুয়া মফিজের মন্তব্যে সহমত; সেসব দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে হরদম মিথ্যা বলে, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মিথ্যাচার কম করে কারণ ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হয়। যেমন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ কর দেবার সময় প্রকৃত আয় নিয়ে মিথ্যা বলেন, কারণএই মিথ্যা ধরা পড়লেও ক্ষতি হয় না। তা বলতে চাচ্ছি, মিথ্যা কথনে আমাদের দেশের মানুষ এগিয়ে আছে, বিদেশের মতো এদেশে গবেষণা হলেই জানা যেত।

বরাবর যা করি, "সহমত ভাই, খুব ভালো বলেছেন" লিখলে মিথ্যা বলা হত, আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আশাকরি আমার সত্য কথনে বেশি দুঃখিত হবেন না। তবে পোস্টে বরাবরের মতো এবারও প্লাস, কারণ আপনি না বললে কখনো হয়ত জানা হতো না মিথ্যা বলা নিয়ে এমন গবেষণা হয়েছে!!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: সময় বের করতে পারি না, এত বিলম্বে মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

যা বুঝিনি তা হলো, এই তথ্য উপাত্ত কি বলছে যে বাংলাদেশের মানুষেরা যেমন মিথ্যা বলে এসব দেশের মানুষেরাও একই সমান বা তার চেয়ে ভয়াবহ মিথ্যা বলছে?

আমার পোস্টের দ্বিতীয় প্যারায় বলতে চেয়েছি, যেমন অনেক গুনি লোকেরা দাবি করছেন, যে ইউরোপ-আম্রিকার লোকেরা মিথ্যা বলে না- তাদের দাবি কত টুকু সত্য তা যাচাইয়ের জন্য এই পোস্ট। একাধিক দেশের পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায় কমন প্যাটার্ন- শতকরা ২০% এর মতো লোক ক্ষতিকর মিথ্যা বলে। বাংলাদেশে একম রিসার্চ খুঁজে পাই নি (কেন নেই তার বিষয়ে কিছু কথা এই উত্তরের নিচের দিকে বলার চেষ্ট করেছি)। তবে একাধিক গবেষনা থেকে দেখা যায়, ধনি লোকেরা মিথ্যা বেশি বলে, যারা মানসিক ভাবে হতাশ তারা কম মিথ্যা বলে। কোন দেশ গুলোতে ধনি বেশি , কোথায় হতাশ লোক বেশি এই বিষয়ে কোনো উপাত্ত আমি আর যোগ করলাম না।

জন্ম তারিখের বিষয়ে মিথ্যা বলাঃ এই বিষয়ে আমরা পরিস্থিতির শিকার। বিষয়টির ব্যাখ্যা অনেক বড় হয়ে যেতে পারে, এজন্য আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আমাদের দেশে অনেক বাবা-মা বাচ্চার জন্ম তারিখ বলতে পারতেন না। এক্ষেত্রে স্কুলে গেলেই স্কুলের টিচার অনুমান করে একটা বসিয়ে দিতেন। এখন ঢাকার বেশিরভাগ স্কুলে বার্থ রেজিস্ট্রেশন/ সার্টিফিকেট দেখতে চায় ( গ্রামের স্কুল গুলোর কথা বলতে পারবোনা)।

অতীতে ইউরোপে চার্চ গুলোতে সীমিত আকারে জন্ম-মৃত্যুর রেকর্ড সংরক্ষণ করা হতো। উনিশ শতকে বিভিন্ন দেশে আইন করে জন্ম-মৃত্যুর রেকর্ড রাখা শুরু করা হয়, এর আগে ইউরোপে এরকম কিছু বাধ্যতামূলক ছিলো না।

ভারতবর্ষে স্মরণাতীত কাল থেকে মানুষকে শনাক্ত করার জন্ম নিজের নাম, এবং পিতা/ মাতার নাম ব্যবহার করা হতো। জন্মতারিখের কোন প্রয়োজন দেখা দেয় নি। জ্যোতিষিদের দ্বারা কুষ্ঠি তৈরির জন্য বিখ্যাত লোকদের জন্ম মুহূর্ত লিখে রাখা হতো। যারা সাধারন লোক এদের অধিকাংশের জন্ম তারিখ নিয়ে সংশয় রয়েছে। একই ভাবে জমিজমার কোনো লিখিত রেকর্ড ও আমাদের ছিলনা ।

ইংরেজরা আসার আগে ভারতবর্ষে জন্ম মৃত্যু এসব রেকর্ড নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছিল বলে শুনিনি। এমনকি ইংরেজরা আসার পরেও লাল ফিতার দৌরাত্ম্য শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত জন্ম-মৃত্যু জমিজমা অন্যান্য মামলা জন্য কাগজপত্র লিখিত দলিল ছিলো না। বিচার ব্যবস্থা কেমন সরল ছিলো তার উদাহরণ হিসাবে জিম করবেটের মাই ইন্ডিয়া বইয়ের বিফোর রেড টেপ ডেইজ চ্যাপ্টার দেখতে তে পারেন।

ব্রিটিশরা ভারতীয় কলোনিতে ১৮৫৩ সালে সিভিল সার্ভিস চালু করে, কিন্তু পরীক্ষার পদ্ধতি এরকম ছিল যে কোনো ভারতীয়র পক্ষে এই পরীক্ষাতে নেয়া অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেখা যায় সিভিল সার্ভিসে ব্রিটিশরা আসতে খুব কম আগ্রহী। ধীরে ধীরে ভারতের জন্য এই পরীক্ষা আরো বেশি উন্মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে সিভিল সার্ভিসে ভারতীয়রা অধিক সংখ্যায় আসতে থাকে। নিম্ন পদে দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া বরাবর ভারতীয়দেরই নিয়োগ দেওয়া হতো।

সমস্যা হয়ে গেল সার্ভিস রুল। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের নিম্নতম বয়স একটা ছিল। অবসরের বয়স ছিল। পেনশনের বিষয় ছিলো। অধিকাংশ ভারতীয়রা তাদের জন্ম তারিখ সম্পর্কে সচেতন ছিল না। কেউ জন্ম তারিখ না জানলে কি হবে? ব্রিটিশরা এই ক্ষেত্রে রুল তৈরি করে চাকরির রুলস এ সংযুক্ত করে দিল । চাকরির মূল বিধানের নাম ফান্ডামেন্টাল রুলস এবং সাপ্লিমেন্টারি রুলস ( FR and SR - বাংলাদেশ, ভারত, এবং পাকিস্তানে কিছু মডিফিকেশন সহ এই বিধান এখনো চালু আছে)।

প্রথম নিয়োগের সময় একজন কর্মচারী নিজের বয়স বলতে না পারলে নিয়োগকারী কতৃপক্ষ অনুমান করে তার বয়স লিখে নেবেন। যদি ঐ কর্মচারী সাল বলতে পারে কিন্তু মাস বা তারিখ বলতে না পারে, তবে ওই বছরের পয়লা জুলাই তার জন্ম তারিখ ধরতে হবে। যদি ঐ কর্মচারী সাল ও মাস বলতে পারে, কিন্তু তারিখ বলতে না পারে তবে ঐ মাসের ১৫ তারিখ জন্ম তারিখ ধরতে হবে। সব কিন্তু বৃটিশদের শেখানো।
(সেনাবাহিনীতেও এর কাছাকাছি বিধান ছিলো।)

পাসপোর্ট একটি পশ্চিমা আবিষ্কার। নিঃসন্দেহে এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু পাসপোর্ট এর ফরমেট যখন তৈরি করা হল তখন এর মধ্যে ডেট অফ বার্থ একটা আবশ্যিক ফিল্ড হিসেবে দেয়া হলো। যারা ডেট অফ বার্থ জানেনা তারা কি করবে? এই অংশটুকু খালি রেখে তো পাসপোর্ট তৈরি করা যায় না। কাজেই যেই কালচারে জন্মের রেকর্ড রাখা হয় না, তারা অনুমানের উপর লেখা তারিখ দিতে বাধ্য। কল্পনা করুন যদি ভারতীয়রা পাসপোর্ট এর ফরমেট তৈরি করতো, এবং প্রয়োজনীয় ফিল্ড এর মধ্যে যদি কাস্ট বা জাত লিখে রাখতো, তবে শতকরা ৯৯ জনের বেশি পশ্চিমাকে কিন্তু মিথ্যা কথা বলতে হতো (এসব দেশে আনুমানিক ১% এর মত সনাতন ধর্মাবলম্বি আছে ধরে নিচ্ছি)।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্টের জন্য আঙুলের ছাপ দিতে হয়। যার আঙুল নেই তার জন্য বিশেষ বিধান আছে, কিন্তু ডেট অফ বার্থ জানা না থাকলে অনুমানের উপর বসানো ছাড়া উপায় কি?

পশ্চিমা দেশ গুলোতেও রাস্তার ধারে অ্যাবান্ডন্ড বাচ্চা পাবার ঘটনা বিরল না। এরকম ক্ষেত্রেও কিন্তু তাদের সরকারি আইন বলে যেখানে পাওয়া গেছে জন্ম স্থান সেই জায়গা লিখতে হবে, জন্ম তারিখ জানা না গেলে অনুমানের উপর লিখতে হবে। একটা উদাহরণ দিলাম- (ইলিনয় স্টেটের বিধান)




লিংকঃ https://www.ilga.gov/legislation/ilcs/ilcs3.asp?ActID=1573 আমার জানা মতে অন্যান্য স্টেট-দেশের আইন এর কাছাকাছি।

চাইল্ড অ্যাডাপ্টেশনের ক্ষেত্রে কি হয়? নতুন বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করা হয় যাতে বাবা-মায়ের নাম হিসেব বায়োলজিকাল বাবা-মায়ের কথা থাকে না, থাকে অ্যাডাপ্টেশনকারি বাবা-মায়ের কথা। অনেক দেশেই ঐ বাচ্চা এমনকি ১৮ বছর পার হবার পরেও তার অরিজিনাল বার্থ সার্টিফিকেট দেখতে পারে না। পার্মানেন্টলি এই রেকর্ড সিল করে দেয়া হয়। বাবা-মায়ের নাম বদলে দেয়া কে কি আপনার মিথ্যে কথা বলা বলে মনে হয়?

করোনার রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যা তথ্য অবশ্যই ভয়ঙ্কর। তবে উইপন্স অফ মাস ডেস্ট্রাকশন নিয়ে দেওয়া মিথ্যাকে কি আপনি কম ক্ষতিকর মনে করেন?


মিথ্যা বলতে শুধু বুকের পাটা লাগে না, আরো অনেক কিছুই লাগে। একটি রিসার্চএ এ দেখা যায় কম বয়সের বাচ্চারা মিথ্যা ভালো বলতে পারে না। চল্লিশোর্ধ মানুষের মিথ্যা বলার ক্ষমতা কমতে থাকে। ১৮ থেকে ২৮- এই বয়সের লোকেরা বেশি ভালো মিথ্যা বলতে পারে। (যাদের বড় মিথ্যাবাদি মনে করেন, আপনি যাদের মিথ্যা সহজেই ধরে ফেলেন, ভালো করে দেখলে দেখবেন এদের বয়স ৪০এর অনেক বেশি হবার কথা)। যাদের বাহিরের জগতে এক্সপোজার বেশি, তারা ভালো মিথ্যা বলতে পারেন। বাংলাদেশের রিকশাওয়ালার মিথ্যা আপনি শুনেই ধরে বুঝতে পারবেন। কিছু মিথ্যাবাদি আছে যাদের মিথ্যা ধরতে পারা অসম্ভব (পরে আসছি)।

যেখানে ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হয় না সেখানে আমেরিকানরাও মিথ্যা বলে, আমাদের দেশের লোকেরা মিথ্যা বলে। যেখানে ধরা পড়লে শাস্তি পেতে হয় সেখানে আমাদের দেশের লোকেরাও মিথ্যা এড়িয়ে চলে।

আজকে থেকে দশ বছর আগে আপনার ড্রাইভার আপনাকে বলতে পারতো জ্যামে আটকে আছে। কিন্তু এখন আপনি গুগল ম্যাপে দেখতে পারেন রাস্তায় কোন জায়গায় জ্যাম আছে কোন জায়গায় জ্যাম নেই। একবার ধরা পড়লে ড্রাইভার এই মিথ্যা কথা আর বলতে পারবে না। আগের অফিসের বসকে মিথ্যা বলা যেত ৯ টার আগেই অফিসে এসেছি, সেকশন ভিজিট করছিলাম। এখন অনেক অফিসে আঙুলের ছাপ দিয়ে ঢুকতে হয়, এই মিথ্যা বলা সম্ভব নয়।

...কখনো হয়ত জানা হতো না মিথ্যা বলা নিয়ে এমন গবেষণা হয়েছে!!!

ইউএসএ তে পুঁজিবাদের উত্তম বিকাশ ঘটেছে। এখানে লেখাপড়া, রিসার্চ এগুলো পুঁজিবাদী দৃষ্টিতে দেখা হয়। অধিকাংশ রিসার্চের ইমিডিয়েট না হলেও ভবিষ্যত অ্যাপ্লিকেশন দেখতে পাবেন। রিসার্চের জন্য ফান্ড লাগে। ফ্যাকাল্টিরা ফান্ডের জন্য এপ্লাই করে। ফান্ড লিমিটেড। হয়তো দশজনের অ্যাপ্লিকেশন থেকে একটা সিলেক্ট হয় (সিলেকশন প্রসিডিওর সম্পর্কে কিছু সমালোচনা থাকতে পারে, সেটা এখানে উল্লেখ করলাম না)। প্রজেক্ট সিলেকশনের সময় অনেক কিছুই লক্ষ্য করা হয়। তার মধ্যে এই প্রজেক্ট থেকে কি লাভ পাওয়া যাবে সেগুলো লক্ষ করা হয়।

মানুষ কিভাবে মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যা কথা বলার সময় তার শারীরিক ভঙ্গি কি রকম হয়, মিথ্যা কথা কিভাবে ধরা যায়, কিভাবে মিথ্যা বললে বিশ্বাসযোগ্য হয়- এরকম অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। এই কারণে মিথ্যার উপরে প্রচুর রিসার্চ হয়েছে। উল্লেখ্য এই সমস্ত রিসার্চ এবং fMRI এর উপরে ভিত্তি করে যে সমস্ত যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে তা দিয়ে শতকরা ৯৫ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে মিথ্যা ডিটেক্ট করা সম্ভব। ( মিথ্যার ব্যাপারে যে রিসার্চগুলো হয়েছে, এখানটাতে প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাবজেক্ট যে কথা বলেছে তা সত্য হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। ৭৫%এর মতো সাবজেক্ট সাদা মিথ্যা বলার কথা স্বীকার করেছে। ২০% এর মতো সাবজেক্ট স্বীকার করেছে তারা ক্ষতিকর মিথ্যা বলে। ৫% সাবজেক্ট দাবি করে তারা কখনো মিথ্যা কথা বলেনা। আপনি যদি বলেন ওই যন্ত্রের ৯৫% লোকের মিথ্যা ডিটেক্ট করার ক্ষমতা এবং এইখানে ৫% লোকের মিথ্যা না বলার দাবির মধ্যে কোন যোগসুত্র দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে বলব আপনি একা না।
এছাড়া একাধিক সমীক্ষায়, সমীক্ষার পর ঐ সমীক্ষায় অংশগ্রহনকারী লোকদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে- সমীক্ষায় কোনো মিথ্যা বলেছেন কি? প্রায় সব ক্ষেত্রেই ৩-৪% লোক বলেছে যে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে ) ।

বাংলাদেশের রিসার্চের জন্য সরকার প্রচুর বরাদ্দ দিচ্ছে। তবে নেতা-নেত্রীদের জীবনী নিয়ে রিসার্চ করতে চাইলে খুব সহজেই ফান্ড পাওয়া যায় । এসব রিসার্চ সহজ। মান সম্পন্ন গবেষনা না করেও প্রোমোশন পাওয়া যায়। আপনি বলবেন তাহলে ইউএসএতে শুধু ট্রাম্পের জীবনী নিয়ে গবেষণা হয় না কেন? ঐ যে, পুঁজিবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকে থাকতে হয় ছাত্রদের মধ্যে ভালো ইমেজ ধরে রাখতে হয়। র‌্যাঙ্কিঙে এগিয়ে থাকতে হয়। ছাত্ররা যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো মনে না করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে আগ্রহী হবে না। ছাত্র ভর্তি না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টাকা পাবে না।

বাংলাদেশের ছাত্রদের উপায় নেই বলে র‌্যাঙ্কিঙ বিহীন ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে বাধ্য হয়। পরিবর্তন আসছে।সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যদি নিজেদের আপডেট করতে না পারে তবে আর কুড়ি বছর পর এদের জন্য ছাত্র পাওয়া মুশকিল হবে।

রাজনীতিবিদদের মিথ্যা বলাঃ ভুটান এবং নেপালের রাজনীতিবিদদের সত্যবাদিতার সুনাম শুনেছি, নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে গুটি কতক অনুপ্রবেশকারি আছে। এরা ছাড়া বাকিরা কখনো মিথ্যা বলে না বলেই তো শুনি।

একাডেমিক ক্ষেত্রে মিথ্যার কিছু উদাহরণ পদাতিক ভাইয়ের পোস্টটিতে দেব।

আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আশাকরি আমার সত্য কথনে বেশি দুঃখিত হবেন না।

এখন পর্যন্ত আমার ভাবনা এরকম সকলের সব সময় একমত হওয়া জরুরি না। সবাই সব ক্ষেত্রে একমত হয়ে গেলে পৃথিবীর সভ্যতার ক্রমবিকাশ এত সহজ হতো বলে মনে হয় না।
এখন পর্যন্ত শব্দটা ব্যবহার করলাম এই কারণে যে ভবিষ্যতে যদি পৃথিবীর সব বই পড়ে ফেলি এবং শমশের হয়ে যাই , তখন অন্য কেউ সহমত না হলে তুই-তোকারি করতে পারি বা ডোডো বলে সম্মোধন করতে পারি। ভালো গুরু না পেলে এরকম হতে একটু সময় লাগতে পারে। ততদিন পর্যন্ত নির্দ্বিধায় ভিন্ন মত পোষন করতে পারেন।

ভিন্নমতের পোস্টে লাইক দেয়ায় এবং এরকম সুন্দর মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: পোস্ট আর কমেন্টগুলো বেশ জমে উঠেছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: সাজিদ ভাই, পোস্ট কমেন্ট উপভোগ করেছেন যেনে ভালো লাগলো। কি বলবো, ব্যস্ততার কারণে সময় মতো মন্তব্যের উত্তর দিতে পারি না, ফলে বলা যায় সব ফ্রিজে বরফের মতো জমে আছে :(

অনেক শুভ কামনা।

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না বড় কমেন্ট করে আপনার কষ্ট দেব না। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গবেষণাধর্মী মন্তব্য জমা পড়েছে। আপনিও অনেক পড়ালেখা করে এসেছেন। কিন্তু সেসব পড়াশোনা কেবলই বহির্বিশ্বের। কেন এশিয়াতে কি কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই?এখিনে কি সত্য/মিথ্যের পড়ালেখা ড়য় না? যেখান থেকেই পাওয়া যেত না আমরা কত শতাংশ মিথ্যে কথা বলি বা আমাদের মধ্যে নূন্যতম কত শতাংশ সত্য কথা বলার চল আছে?
তবে আপনি এশিয়ার উপর পড়াশোনা করলেও আমি হলফ করে বলতে পারি 56 ইঞ্চি বুকের পাটার অধিকারী মোদীজিকে এ বিষয়ে হারানো চাট্টিখানি কথা না।টেরাম সাহেব সত্যের মধ্যে মিথ্যা বলেন আর মোদিজি মিথ্যার মধ্যে সত্য বলেন।এখন‌ এই দুই রাষ্ট্রনায়কের যদি প্রবাবিলিটি করা যায় তাহলে এশিয়াবাসী হিসেবে আমরাই কিন্তু শিরোপার্জনের গব্ব করতেই পারি।



০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৯

মা.হাসান বলেছেন: এটা সত্য, ট্রাম্প পৃথিবী জুড়ে মিডিয়ার যতটা নজর কাড়ে, মোদিজি তা পারেন না। তবে আমাদের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্ক। শশুর বাড়ির দুর্নাম করা ঠিক না।

আমার বিশ্বাস মিথ্যা কথন নিয়ে রিসার্চ এশিয়ান দেশ গুলোতেও হয়েছে। মূল পোস্টে যে রেফারেন্স গুলো দেয়া হয়েছে তার একটার কো-অথর কোরিয়ান একজন প্রফেসর। ভারতেও এরকম রিসার্চ হওয়ার কথা, না হলে খুব অবাক হবো। আমার পড়াশোনার জোর কম, খুঁজে রেফারেন্স দিতে পারি নি।

মোদিজীর বুকের পাটা আগে হয়তো ৫৬'' ছিলো, এখন সাম্প্রতিক দুটি বিজয়ের পর ওটা বেড়ে কম করে ৬৫'' হবার কথা।

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সত্যবাদিতার প্রশংসা না করা অন্যায় হবে। এ বিষয়ে করুনাধারা আপার কমেন্টের উত্তরে দু-এক লাইন বলেছি। ভারতীয় হিসেবে আপনাদের অর্জন আপনাদেরই থাক, আমরা ভাগ বসাবো না, নিশ্চিন্তে থাকুন।

২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জীবনের দ্বিতীয় এম এ করেছিলাম কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। যার নাম ছাত্রপতি শাহুজি মহারাজ বিশ্ববিদ্যালয়। দু'বছর ধরে পার্ট ওয়ান, পার্ট 2 কমপ্লিট করি। রীতিমতো বেঙ্গলি কলোনিতে থেকে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দেই। পড়তাম ডিএভি ডিগ্রী কলেজে। দুবারই সেন্টার পড়েছিল। সরস্বতী মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। বাপরে বাপ সে অভিজ্ঞতা ভোলার নয়। আগে থেকেই ইনফর্ম ছিলাম ঘেরা জুতো পড়লে গেটের বাইরে জুতো খুলে খালি পায়ে কলেজে ঢুকতে হবে। কাজেই বেল্ট না পরে ও চটি পরে পরীক্ষায় যেতাম। মূল ফটকে হাওড়া স্টেশনের মত পাঁচটা /ছয়টা এন্ট্রি করা থাকত যেগুলো সাময়িকভাবে বাঁশ দিয়ে নির্মিত। এডমিট কার্ড নিয়ে হাত উঁচু কলেজে ঢুকতে হত। সঙ্গে কোন পেপারস এলাও ছিলনা। নিরাপত্তারক্ষীরা রীতিমতো গায়ে হাত দিয়ে চেক করে তবেই ছাড়তো। হলের ভিতরে অত্যন্ত কড়া ইনভিজিলেশনে পরীক্ষা দিতাম। পাশের জনের সঙ্গে কথা বলার কোনো সুযোগই ছিল না। যদিও আমার মাধ্যম ইংরেজি হলেও আমি হিন্দিতে এক্কেবারেই অপারগ।আশপাশের দু'একজন হিন্দিতে কিছু জিজ্ঞাসা করতেই বাজখাঁই গলায় ইনভিজিলেশনের দুএকজন সঙ্গে সঙ্গে পাশে এসে হিন্দিতে কি যে বললেন মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছিল। যদিও রেজাল্ট হয়েছিল আশানুরূপ।
কিন্তু গল্পটা অন্যত্র। ভাইভা ভসির পরের দিন আমার কলকাতায় ফিরে আসার ট্রেনের টিকিট ছিল। ওখানে বাঙালি ছেলে মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যকলাপের জন্য কিছু দাদা আছে। আমারও তেমনই এক দাদা ছিল। সে আমাকে জানালো‌ আমি পেপার কাটিং করব কিনা। পেপার কাটিং টার্মটি সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল আমার কাছে। বিষয়টিকে খুলে বলতে বলি। তার যা মানে দাঁড়ায়, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে সেই রোল নম্বরগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় অন্দরমহল থেকে ফাস্টক্লাস পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমি অবাক হলাম। দু'বছর ধরে নিয়ম শৃঙ্খলার নামে অত্যাচার দেখে। অথচ ফাইনালে কিনা পেপার কাটিং????
এবার আমার প্রশ্ন, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির যদি সত্য মিথ্যার উপর কোন রিভিউ করে তাহলে তার ফলাফল কি হবে??

এবার আসি অন্য একটি প্রসঙ্গে। ফিপ্ট সেপ্টেম্বর ভারতে ঘটা করে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ঐদিন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরাও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দিনটিকে উদযাপন করি। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের বদান্যতায় এবার কিছু পোষ্ট পাই যেখানে দাবি করা হয় রাধাকৃষ্ণান সাহেবের ডক্টরেট বিষয়টি ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের কোনো একটি পোষ্ট থেকে হুবহু কপি করা। ঐতিহাসিক সরকার সেই সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের নাকি মামলাও দায়ের করেছিলেন। নিজ প্রভাব খাটিয়ে ডঃ রাধাকৃষ্ণন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পেরেছিলেন।
যদিও আমরা এমন কথায় বিশ্বাস করি না। কু বলিবো না,কু শুনিবো না,কু কথায় কান দিবো না।

ভালো থাকুন সবসময়।


০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

মা.হাসান বলেছেন:
আমেরিকা সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়া এবং ওখানে থাকা অনেকে আমেরিকা সম্পর্কে আমাদের সামনে এমন একটা ছবি তুলে ধরে যে আমাদের কাছে মনে হয় আমেরিকায় সব কিছু পারফেক্ট, এটা স্বপ্নের একটা দেশ। একটু যাচাই করলে দেখবেন বাস্তবতা এমন না। আমেরিকার সব বিশ্ববিদ্যালয়কে হার্ভার্ড ভাবলে আপনি ভুল করবেন। আমেরিকাতে বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরমতো বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। এমনকি এর চেয়ে খারাপও আছে। আমার কথা বিশ্বাস করার দরকার নেই নিজে যাচাই করে নিন।

গুগুলে ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিতে সার্চ করে দেখেন। এখান থেকে পড়াশোনা করলে কথাবার্তায় ট্রাম্প-মোদিকে ছুতে না পারলেও একই লাইনে থাকতে পরবেন। এটাই আমেরিকার একমাত্র ''স্বচ্ছ'' বিশ্ববিদ্যালয় না। গুগুলে ''for profit universities usa'' লিখে সার্চ করুন, দেখতে পাবেন। এর চেয়ে খারাপ মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও আছে। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা আপনাকে সামান্য কিছু ডলারের বিনিময়ে অনলাইনে পিএইচডি ডিগ্রি দেবে। এরা আপনাকে থিসিসের টপিক নির্ধারন করে দেবে, লিখতে সাহায্য করবে, এমনকি যদি ইংরেজি না জানেন তাহলেও কোন সমস্যা নেই। ভারতবর্ষে জমিদার সাহেব আর তার গাধার পিএইচডির গল্প শুনেছেন, আমেরিকাতে এ ঘটনা বাস্তব।

নকল করা বা চিটিং এর ঘটনা ভারতবর্ষের সীমাবদ্ধ না।

বিভিন্ন স্টাডিতে দেখা যায় ইউএসএতে শতকরা কমপক্ষে ৬০ জন ছাত্র বিভিন্ন পর্যায়ে চিটিং এ সঙ্গে জড়িত। এখানে লিংক দিলাম সহজে দেখে নিতে পারবেন।

https://oedb.org/ilibrarian/8-astonishing-stats-on-academic-cheating/
(কোন কোন স্টাডিতে ৭০%ও এসেছে)।

জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চিটিঙের উপর করা আর একটা স্টাডিতে দেখা যায় ৭৫ শতাংশ ছাত্র চিটিংয়ের কথা স্বীকার করেছে । রেফারেন্সঃ
Investigating the effect of academic procrastination on the frequency and variety of academic misconduct: a panel study--Justine Patrzek et al. -Studies in Higher Education Volume 40, Issue 6 (2015)

শতকরা ৮৫ থেকে ৯৫ জন ছাত্র মনে করে যে চিটিং করা কোন দোষের বিষয় না। এগুলো যে শুধু ছোটখাটো কলেজে হয় এমন না, হার্ভার্ডের মত বিশ্ববিদ্যালয়েও চিটিং এর ঘটনা ঘটে । এই লিঙ্ক দেখতে পারেনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/2012_Harvard_cheating_scandal

আগে ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি নিয়ে অনেক অরাজকতা হয়েছে। JEE এবং NEET হবার পর এটা অনেক কমে গেছে। আপনি ভাববেন না যে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমেরিকাতে কোন দুর্নিতি হয়না । এই লিংকটা দেখেনঃ https://en.wikipedia.org/wiki/2019_college_admissions_bribery_scandal

পয়সার বিনিময়ে গ্রেড চেঞ্জ করা বা সম্পূর্ণ ডিগ্রী নিয়ে নেওয়ার ঘটনা আমেরিকাতে হয় না এমন কথা ভাববেন না। এই লিংক দেখেনঃhttps://www.theguardian.com/education/2004/may/04/highereducation.internationaleducationnews

এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা যদি ভাবেন, যদি আরো উদাহরন চান তবে বলবেন, আশা করি দিতে পারবো।

ডক্টরাল থিসিসে চুরি করাঃ আগে কি হয়েছে বলা মুশকিল। প্রযুক্তির কারনে এখন আর চুরি করা সম্ভব হয় না। এমন কি চুরি করার কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না, অন্য যায়গা থেকে তথ্য নেয়ার পর ভুলে কোট করা হয় নি এমন ক্ষেত্রেও ছাত্রদের এখন কঠোর শাস্তির সম্মুখিন হতে হয়। সব ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০% থিসিস সফটওয়্যার দিয়ে যাচাই করে দেখা হয় । অন্যের লেখা যথাযথ কোট না করা হলে বিপদ । তবে খারাপ মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নীচু মানের কাজ করে বা অপরের কাজ সামান্য অদল বদল করে ডক্টরাল ডিগ্রি পাওয়া এখনো সম্ভব। পরিসংখ্যান বলে শতকরা ৪ জন গ্রাজুয়েট ছাত্র স্বীকার করে তারা তাদের রিসার্চ পেপারের রেফারেন্সে বানোয়াট এন্ট্রি দিয়ে থাকে। এটা এমন একটা জিনিস যা সফটওয়্যারে ধরা পড়ে না, ম্যানুয়ালি চেক করতে হয়। দায়িত্বশীল ইন্টারনাল-এক্সটারনাল একজামিনার হলে প্রতিটি লাইন চেক করেন। সকলে রেফারেন্স চেক করেন না।

আপনার স্বপ্ন ভেঙেদিয়ে থাকলে দুঃখিত।
অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৫

মা.হাসান বলেছেন: মন্তব্যের উত্তরের শেষ লাইনের আগের লাইনটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, আরেকটু পরিস্কার করছি। স্বপ্ন বলতে মোদির তথা ভারতের চ্যাম্পিয়ন হবার স্বপ্নের কথা বলেছি।

২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৩

সেনসেই বলেছেন: হাচা কথা কইলে পেঠ বেদনা করে । তই ভালো পোস্ট। নাইচ।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৭

মা.হাসান বলেছেন: কারো কারো পেট তেলাপোকার মতো, লোহাও হজম করে ফেলে। এনাদের পেট এত সহজে ব্যথা করে না।
পোস্ট ভালো লাগায় আমিও খুশি। অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৪

আনমোনা বলেছেন: সামাজিক ক্ষেত্রে মিথ্যা সব দেশেই আছে, কারন এতে ধরা পরলে শাস্তি নেই। প্রশাষনিক ক্ষেত্রে মিথ্যে দিয়ে ধরা পরলে তার ফলাফল টা খুবই বাজে। সত্যি বলতে কি এসব দেশে মিথ্যে বলে পোষায়না।
এছাড়াও এখানে মানুষের পরে বিশ্বাস রাখা হয়। এরা বিশ্বাসের দামও দেয়। বাচ্চাদের স্কুলে দেখেছি হোমওয়ার্কগুলোতে প্রচুর ফাকি দেওয়ার সুযোগ। তবুও বাচ্চারা যা পারে নিজেরাই করে। অন্যকে দিয়ে হোমওয়ার্ক করানোর কথা চিন্তাও করেনা। এ সময় থেকেই তো মানুষ শেখে। আর আমরা বইয়ে মুখস্থ করি সদা সত্য বলিবে, অথচ আমাদের জন্ম তারিখটাই মিথ্যা!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: সত্যি বলতে কি এসব দেশে মিথ্যে বলে পোষায়না।

Fortune 500 কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৬২টা (২০১৮র হিসাব, এর পরের তথ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে না) কোম্পানির সাবসিডিয়ারিগুলো বাহামা, বার্মুডা, কেইম্যান আইল্যান্ড, এরকম ট্যাক্স হেভেনে নিবন্ধিত। উদ্দেশ্য- ট্যাক্স ফাকি।

অ্যাপেলের অফশোর অ্যাকাউন্টে থাকা ১১০ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৩৫ বিলিয়ন ডলার ট্যাক্স দেয়ার কথা। অ্যাপেল ব্যবসা করে ইউএসএ থেকে, কিন্তু নিবন্ধিত আয়ারল্যান্ডে- কিন্তু দুই দেশের কোনোটাতেই ট্যাক্স রেসিডেন্ট না- ফলে এই অফশোর অ্যাকাউন্টের বিপরীতে কোনো ট্যাক্স দেয় না।

যারা ট্যাক্স ফাকি দেয়ার জন্য লুফোল খোঁজে , আপনি হয়তো তাদের পক্ষ নিয়ে বলবেন- এরা তো কোনো আইন ভাঙছে না। ঠিক। ব্যবসার নৈতিকতায় লাভ আগে। দেখা যাক বাকিরা আইন কতো মানে-

শুধু ২০১৮ সালে IRS প্রাক্বলিত ইনকাম ট্যাক্স ফ্রডের পরিমান ৪৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রিকভার হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার- ১১% এর মতো। ৮৯% চুরি ধরা পড়ে নি।

স্বাস্থ্য বহির্ভুত অন্য খাতে ইনসুরেন্স ফ্রডের পরিমান বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়। স্বাস্থ্য খাতে ইন্সুরেন্স ফ্রডের পরিমান বছরে ৫০-১০০ বিলিয়ন ডলার ।


শিক্ষা খাতের বিষয়ে উপরে পদাতিক ভাইয়ের ২৪ নম্বর কমেন্টের জবাবে কিছু তথ্য দিয়েছি।

জন্ম তারিখের বিষয়ে করুণাধারা আপার ২১ নম্বর কমেন্টের উত্তরে বলেছি।

আমেরিকায় মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় না এর সঙ্গে একমত হতে পারলাম না, দুঃখিত।

২৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইউরোপ-আমেরিকার দেশ গুলোতে গনতন্ত্র আগে এসেছে। জবাব দিহিতার অবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। লোককে থানায় ডায়েরি করতে গেলে হয়রানি হতে হয় না। অভিযোগ করার জায়গা আছে। অভিযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাকশন নেয়া হয়। কিন্তু ওখানকার লোকদের নৈতিক চেতনা আমাদের দেশের লোকদের চেয়ে অনেক বেশি, এ কারনে ওনারা সত্য বলেন এ কথা মানা মুশকিল।

আচ্ছা বলেনতো, ইউরোপ-আমেরিকার দেশ গুলোতে গনতন্ত্র কেন আগে আসলো? জবাব দিহিতার অবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো, সেটা কেন? অভিযোগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাকশন নেয়া হয়, তো কেন নেয়া হয়? কিভাবে, কিসের ভিত্তিতে নেয়? আপনি ইউরোপ-আমেরিকার যে গুণগুলোর কথা বলতেছেন, বাস্তবে নীতি ও নৈতিকতা কে একদম বাদ দিয়ে সেগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা এবং যুগের পর যুগ, প্রজন্মের পর প্রজন্ম সাফল্যের সাথে তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?
কর্তব্যনিষ্ঠা, আইন মেনে চলা, মানুষ কে কথা দিয়ে কথা রাখা এই রকমের বিষয়গুলো কে কি আপনি "নৈতিক চেতনা" র ভেতরে ফেলেন, নাকি ঐ চেতনা শুধুমাত্র মিথ্যা কথা বলে কিনা সেটার উপরেই সীমাবদ্ধ?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৮

মা.হাসান বলেছেন: ইউরোপ-আমেরিকার দেশ গুলোতে গনতন্ত্র কেন আগে আসলো? গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহিতা একদিনে আসে না। কয়েকশত বছর ধরে এগুলো গড়ে উঠেছে। স্বশাসন, লিডারশিপ, সময় - সব গুলোই লাগে।

কর্তব্যনিষ্ঠা, আইন মেনে চলা, মানুষ কে কথা দিয়ে কথা রাখা এই রকমের বিষয়গুলো রেসের উপর, ধর্মের উপর, চামড়ার রঙের উপর নির্ভর করে না।

ইউরোপে ইউক্রেইন, মলডোভা, বুলগেরিয়া- এসব দেশ ৯০এর দশকে স্বাধীন হলেও দাড়াতে পারে নি। সময়ে হয়তো দাড়াবে। আবার ভালো লিডারশিপের কারনে পোল্যান্ড একই সময়ে স্বাধীন হবার পরেও ভালো করছে।
সিঙ্গাপুর জিরো থেকে দাড়িয়েছে, ভালো লিডারশিপ ছিলো। মালয়েশিয়ায় গনতন্ত্র অতি শক্তিশালি না, কিন্তু ভালো লিডারশিপের কারনে অর্থনৈতিক ভাবে দাড়িয়ে গেছে।

ট্রাম্পকে হোয়াইট সুপ্রিমেসির সমর্থক বলে অযথা দোষ দিয়ে লাভ কি, অশেতাঙ্গ অনেকেই তো হোয়াইট সুপ্রিমেসিতে বিশ্বাস করে।

২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: মানুষই মিথ্যা বলে। পৃথিবীর যেখানেই মানুষ আছে সেখানেই মিথ্যা আছে, কম/বেশী।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৫

মা.হাসান বলেছেন: আরব্য রজনীর বর্ননায় দেখা যায় দৈত্য তার গার্লফ্রেন্ডকে বাক্সবন্দি করে রাখার পরেও সেই গার্লফ্রেন্ড ১০১টা লোকের সাথে সম্পর্ক করতে প্রতিজ্ঞ এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষায় সফল। মানুষ অপকর্ম করতে চাইলে তাকে কোনো সিস্টেম দিয়েই থামানো সম্ভব না। এত কড়াকড়ির পরেও মানুষ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটির মতো দুর্ভেদ্য যায়গা বিনা বোর্ডিঙ পাসে পার হবার মতো ঘটনা আছে।

কম/বেশি। এটাই। ভালো সিস্টেম তৈরি করে মিথ্যা বলার স্কোপ কমানো হয়তো সম্ভব, দূর করা যায় না। আর যারা সুযোগের অভাবে সৎ, সুযোগ পেলে অনেকেই অসৎ হবে।

২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক রসিক মানুষ নিঃসন্দেহে। আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশে সেটা বোঝা যাচ্ছে।

আর হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদির ব্যাপারে আমাদের এই অঞ্চলের মিডিয়ার সংবাদ প্রকাশের যে ধারা তাতে দেখা যায় জাতীয় পত্রিকাতে বা টিভিতে প্রতিদিন হত্যা, ধর্ষণের খবর আসে। পশ্চিমের দেশগুলিতে এই ধরনের খবর আসে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। ফলে সারা দেশবাসী সেগুলি নিয়ে হইচই করে না। শুধু চাঞ্চল্যকর খবর জাতীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যমে আসে মাঝে মাঝে। আমেরিকার প্রথম সারীর কোন দৈনিকে আপনি প্রতিদিন হত্যা, ধর্ষণের খবর পাবেন না। কিন্তু ওখানে প্রতিদিন হত্যা, ধর্ষণ হয় এবং আমাদের চেয়ে কম না বরং বেশী হয়। পরিসংখ্যান বলে যে আমেরিকাতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী খুন ও ধর্ষণ হয়। নারী নির্যাতন, ঘরের মধ্যে নির্যাতন ওখানেও প্রচুর হচ্ছে কিন্তু এগুলি প্রতিদিন প্রকাশের মত কোনও খবর না তাদের জাতীয় পর্যায়ের সংবাদ মাধ্যমগুলির জন্য। ভারতে আমাদের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ সহিংস অপরাধ হয়। সব খবর নিয়ে ভারতবাসী মাতামাতি করার সুযোগ পায় না। তবে আমাদের দেশে জাতীয়ভাবে এই ধরনের খবর প্রকাশের কারণে অপরাধীকে শাস্তি দেয় সহজ হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। তবে সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধ হোল সবচেয়ে মারাত্মক জিনিস। এটার সাথে রাজনীতিও অনেক সময় জড়িত থাকে। এগুলি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: আপনার জন্য আরো টিপসঃ

যদি উঁনি মন খারাপ করে বলেন ওজন বেড়ে যাচ্ছে, তাহলে বলবেন - মোটেও না। আসলে ওজন মাপার যন্ত্রটা ঠিক মতো রিডিঙ দিচ্ছে না। আরো বলেন যে আপনি নিজেও ওজন নিতে যেয়ে দেখেছেন সকাল-বিকাল ভিন্ন রিডিঙ দিচ্ছে।

এসব হলে বহু জেনারেশন ধরে পুঞ্জিভুত অভিজ্ঞতা।

পশ্চিমা দেশ গুলোতে আপনার উল্লিখিত অপরাধ নিয়ে মিডিয়া বেশি হৈচৈ না করার কারন সম্ভবত এই যে ভুক্তভোগি থানায় গেলে থানা অভিযোগ আমলে নেয়, অপরাধি ধরার চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিচার পেলে কিছুটা হলেও সান্তনা পায়। উপরের চাপে অপরাধ ধামাচাপা দেয়ার ঘটনা রেয়ার।

৩০| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৭

স্থিতধী বলেছেন: গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জবাবদিহিতা একদিনে আসে না। কয়েকশত বছর ধরে এগুলো গড়ে উঠেছে। স্বশাসন, লিডারশিপ, সময় - সব গুলোই লাগে।

অবশ্যই এগুলো একদিনে আসেনা। কিন্তু ইউরোপে যে এশিয়ার (বাংলাদেশের তো বটেই) আগে আসলো সেটা কেন আসলো প্রশ্নটা সেখানে ছিলো। স্বশাসন, লিডারশিপ এই গুণগুলোর শক্তি বর্ধনে কি নীতি নৈতিকতার প্রয়োজন পরেনা?
লিডারশিপ দুর্নীতি গ্রস্ত দেশ গুলোতেও থাকে তবে সেটা হল দুর্নীতিবাজের লীডারশীপ যা রাষ্ট্রের নৈতিক চরিত্র কে শক্তি দেয়ার বদলে আরো খোড়া করে দেয় ফলে স্বশাসন টাও দুর্বল হয়। ইউরোপ গণতন্ত্র আর জবাবদিহিতার মত উন্নত ধারণা গুলোর জন্ম ও সফল চর্চা চালিয়ে যাবার সক্ষমতাটি অর্জন করেছে তাঁর উন্নত চরিত্র শক্তির চর্চা করার মাধ্যমেই। সেই চরিত্র শক্তি পরে স্বশাসন ও লিডারশিপের মত গুণ গুলোকে আরো শক্তিশালী করে তোলে যা তাঁদের সুষ্ঠ সমাজ ব্যাবস্থা কে মজবুত করেছে।

কর্তব্যনিষ্ঠা, আইন মেনে চলা, মানুষ কে কথা দিয়ে কথা রাখা এই রকমের বিষয়গুলো রেসের উপর, ধর্মের উপর, চামড়ার রঙের উপর নির্ভর করে না।

এখানে এই কথা কেঊ বলেনি যে রেস ও ধর্মের ঊপড় ঐ নৈতিক গুণ গুলো নির্ভর করে। বলার চেষ্টা এটা করা হয়েছে যে ইউরোপিয়ানরা তাঁদের কর্তব্যনিষ্ঠা, নিজ দেশের আইন মেনে চলা এবং ব্যাবসায়িক / প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তি ও নীতিমালা গুলোকে ঠিকভাবে বজায় রাখা; এই জাতীয় নৈতিক গুণগুলো এশিয়ানদের চাইতে অনেক বেশী পরিমাণে প্রদর্শন করে এসেছে বলেই তাঁদের দেশগুলো এশিয়ান দেশগুলোর চাইতে সাধারণত অনেক উন্নত ও বসবাসযোগ্য হয়। ফলে বৈশ্বিক মানব অভিবাসনেও, এশিয়া থেকে ইউরোপের দিকে মানব অভিবাসন বেশী হতে দেখা যায়। ইউরোপের ঐ জাতীয় চারিত্রিক শক্তিগুলো এশিয়ানদের জন্য অনুকরণীয় হয় যাতে এশিয়াও ইউরোপের মতো একটি উন্নত জীবনযাত্রার মান প্রস্তুত করতে পারে।

সত্য কথা বলার একটি জরিপ করে যদি দেখা যায় যে, একটি দেশের বেশীরভাগ মানুষ স্বীকার করেছে যে তাঁরা সরকারী কাজ দ্রুত করিয়ে নিতে মোটা অংকের ঘুষ দেয় এবং সে দেশের বেশীরভাগ চাকরিজীবি স্বীকার করেছে তাঁরা চাকরিতে ঘুষ খায়। এক্ষেত্রে সেই জরিপের ফলাফল এটাই বলবে যে সেই দেশটির বেশীরভাগ জনগণ সত্য কথা বলেছে। কিন্তু জরিপে বলা তাঁদের সেই সত্য কথা কি এটা প্রমাণ করেছে যে সেই দেশটির মানুষ গুলো উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী? নিশ্চয়ই নয়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মা.হাসান বলেছেন: এখানে এই কথা কেঊ বলেনি যে রেস ও ধর্মের ঊপড় ঐ নৈতিক গুণ গুলো নির্ভর করে।

এই পোস্টের প্রথম প্যারা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। যদি এরকম কেউ না বলতো তবে এই পোস্ট লেখার দরকার ছিলো না।

সভ্যতাকে কেউ কেউ গাড়ির চাকার সাথে তুলনা করেছেন। চাকা যেরকম ওঠে-নামে, সভ্যতার হুইল সেই রকম। আজ যারা নিচে আছে তারা একদিন উপরে উঠবে, যারা উপরে তারা নিচে নামবে।

ইউরোপ এক সময়ে অশিক্ষিত ছিলো। আরবরা ইউরোপকে শিক্ষিত করেছে। আবার আরবরাও এক সময়ে অসভ্য বর্বর ছিলো (এখনও বর্বর বলেই বেশির ভাগ লোকই সম্ভবত এক মত হবে, তবে মাঝে এক সময়ে এরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে ছিলো)। শিল্পকলা-বিজ্ঞান সব দিক থেকেই ভারত ইউরোপের চেয়ে সমৃদ্ধ ছিলো।

অভিবাসন এখন এশিয়া থেকে ইউরোপ-উত্তর আমেরিকা মুখী। একটা সময় ছিলো যখন ইউরোপিয়রা এশিয়ার দিকে এবং দক্ষিন আমেরিকার দিকে গিয়েছে। এশিয়া বা দক্ষিন আমেরিকার লোক জন যদি অসৎ হয় তবে ঐ সময়ে উন্নত সভ্যতা কি ভাবে তৈরি করেছিলো? ভারতেও মানুষ একটা সময়ে কোনো লিখিত চুক্তি ছাড়াই ব্যবসা করে এসেছে। লেনদেনে কোনো সমস্যা হয় নি। ইউরোপীয়-আমেরিকানরা চুক্তি করার আগে উকিল দিয়ে চুক্তিনামা তৈরি করে যাদে ল্যাং মারা না খায়। নৈতিকতা বোধ থাকলে তো এটা করতে হতো না।

একটা জাতি কখন উন্নতি করবে আর কখন করবে না এটা বলা মুশকিল। বেশির ভাগ সমাজ বিজ্ঞানী আর রাষ্ট্র বিজ্ঞানী লিডারশিপকেই সবচেয়ে বড় নিয়ামক বলেন। কমিউনিস্ট দেশ গুলোর মধ্যে পোল্যান্ড কমিউনিজমের মধ্যেও খারাপ করে নি, আবার গ্রীস, ইতালী অর্থনৈতিক ভাবে বেশ সমস্যা সংকুল অবস্থায় ছিলো, পরের দেশটার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অনেক কেচ্ছা আছে।

যা হোক- কেন ইউরোপে আগে গনতন্ত্র আসলো?
রাজতন্ত্র দীর্ঘ সময় ধরেই টিকে ছিলো। রাজাদের অসীম খাই আর সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারনে ইউরোপে অসন্তোষ অনেক বেশি ছিলো। ভারত অনেক বেশি সমৃদ্ধ ছিলো। বিভিন্ন বৈদেশিক আক্রমনে বার বার সম্পদ ভান্ডার লুট হলেও ভাত-কাপড়ের অভাব হতো না বলে প্রজা বিদ্রোহের কথা শোনা যায় না। কিন্তু ইউরোপে সম্পদের সীমাবদ্ধতা বেশি। রাজারা কলম্বাস-ম্যাগিলান-ড্রেক-ভাস্কো-দা-গামা এদের লুটতরাজ করার পারমিশনও দিয়ে দিয়েছিলেন। প্রজা অসন্তোষ থেকেই ম্যাগনাকার্টা হয়ে বিলেতের গনতন্ত্রের সুত্রপাত। ফরাসী বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্রান্সে। রাশাতেও বিপ্লব হয়েছিলো। তবে ওখানে অন্য পদ্ধতির সরকার গড়ে ওঠে।

ভারতে রাজতন্ত্র নিয়ে বড় সমস্যা ছিলো না। তবে ইংরেজরা আসার পর সীমাহীন লুটপাট চালালে বারে বারে বিদ্রোহ হয়। অবশেষে এরা চলে যেতে বাধ্য হয়।

ভুটানে কিছুদিন আগেও পুরোপুরি রাজতন্ত্র ছিলো। এরা নিজেদের মতো ভালোই ছিলো। রাজার অত্যাচারের কোনো কথা শোনা যায় নি। এমনকি জনগন রাজতন্ত্র থেকে গনতন্ত্রে আসতে পছন্দও করছিলো না। নেপালে দীর্ঘদিন রাজতন্ত্র ছিলো। রাজাদের ব্যর্থতার কারনে চলে গেছে। সত্যবাদিতা বা গনতন্ত্রের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না।

৩১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৭

স্থিতধী বলেছেন: এই পোস্টের প্রথম প্যারা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। যদি এরকম কেউ না বলতো তবে এই পোস্ট লেখার দরকার ছিলো না।

প্রথম প্যারাতে যে সারমর্ম লিখেছেন সেখানেও এটা প্রকাশ পায়না যে "রেস ও ধর্মের ঊপড় নৈতিক গুণ গুলো নির্ভর করে" এমন কিছু কেউ বলেছে। "ইউরোপ - আমেরিকার মানুষ আমাদের থেকে বেশী সত্যবাদী" এমনটা যদি কেউ বলে থাকে তবে সেটা মোটেও বোঝায়না যে রেসের উপর নৈতিকতা নির্ভর করে। সেটা এটাই বোঝায় যে ইউরোপিয়ান আমেরিকানরা আমাদের থেকে সত্যবাদিতা বা নৈতিকতার চর্চা তুলনামূলক বেশী করে থাকে। বিষয়টা ভুলভাবে বুঝে আপনি সেই ভুল নিয়েই এই পোস্টের অবতারণা করেছেন , যার ফলে আপনার শেয়ার করা গবেষণা গুলোতেও কোন তুলনামূলক চিত্র নেই ইউরোপ - আমেরিকা আর এশিয়ার মাঝে পার্থক্য বোঝার জন্য। আর শুধু সত্যবাদিতাই যে নৈতিকতা নয় একথা আগেও বলেছি।

ইউরোপ এক সময়ে অশিক্ষিত ছিলো। আরবরা ইউরোপকে শিক্ষিত করেছে

আবারো খন্ডিত চিন্তা ভাবনা। আরব থেকে শিক্ষকরা গিয়ে গিয়ে কি ইউরোপিয়ানদের পড়াশোনা করাতো? নাকি ইউরোপিয়ানদের নিজস্ব জ্ঞান পিপাসা এবং বিশ্লেষণী ক্ষমতা; তৎকালীন ইরানী মুসলিম পণ্ডিতদের ( আরব নয়, সৌদি আরব তো নয় বটেই) পড়াশোনা ও গবেষণার ভান্ডার গুলোকে আবিষ্কার, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব জ্ঞানকোষের মধ্যে ওর সংযোজন ঘটিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছিলো? এই যে অপর জাতির সংরক্ষিত জ্ঞানভান্ডার কে জেনে নিয়ে তা নিজেদের কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা, এটাও কিন্তু এক প্রকারের বুদ্ধিমত্তা ও নীতিবোধের পরিচয় দেয়। কেননা এমন বহু জল্লাদ জাতি ইতিহাসে রয়েছে যারা কেবল প্রতিপক্ষের জ্ঞান ভান্ডার আর লাইব্রেরীগুলোকে ধ্বংস করেই উল্লাস করেছে , তাঁদের থেকে কিছুই শিখতে চায়নি।

এশিয়া বা দক্ষিন আমেরিকার লোক জন যদি অসৎ হয় তবে ঐ সময়ে উন্নত সভ্যতা কি ভাবে তৈরি করেছিলো?

সততা ও নৈতিকতার ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়টি আগেও একবার উল্লেখ করেছি। নৈতিকতার চর্চাটি নষ্ট হয়ে গেলে পৃথিবীর যেকোন সাম্রাজ্য বা সভ্যতার পতন ঘটাই স্বাভাবিক। এশিয়া ইউরোপের তুলনায় সৃষ্টির আদিযুগ থেকে নীতি নৈতিকতা ও যোগ্যতাহীন ছিলো এমন দাবী তো কেঊ করেনি! সকলেই নিকট অতীত ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে কথা বলছি।

বেশির ভাগ সমাজ বিজ্ঞানী আর রাষ্ট্র বিজ্ঞানী লিডারশিপকেই সবচেয়ে বড় নিয়ামক বলেন

এবং সেইসব সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী কি সেই লিডারশিপের নীতি নৈতিকতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গুলোকে জাতির উন্নতির সমীকরণটি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন? অবশ্যই দেননি। কারণ লিডারশিপ মানেই হচ্ছে পলিসি তৈরি করার গুণ থাকা। আর পলিসি মানেই নীতি এবং নীতি বোধ। ঐ যে ইউরোপ - আমেরিকানরা তাদের ব্যাবসার কাজে দলিল ব্যবহার করতো বললেন এটা তাঁদের ব্যাবসায়িক পলিসির ই অংশ ছিলো এবং তা দূরদর্শী বুদ্ধি মত্তা ও নেতৃত্বগুনের পরিচয়বাহক । কেননা সম্রাটের ছেলে সম্রাটের মতোই ন্যায়নিষ্ঠ হবে তাঁর কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই সর্বদা মুখের কথা তে ব্যবসা করারো কোন যৌক্তিকতা নেই। আর এটা এমনকি শুধু ইউরোপিয়ান রাই কেনো, ইসলামের আবিরভাবের পর আরব বণিকরাও তাঁদের ব্যাবসাতে দলিলের ব্যাবহার করে অভ্যস্ত ছিলো, আর এমন অনেক ব্যাবসায়িক নীতিমালাই আরব বণিকদের ভারতের বাজারে ব্যাবসায়িক দখল ও সুসম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলো ইউরোপিয়ান দের আগমনের আগ পর্যন্ত । আর ভারতবর্ষ তাদের শ্রেনী বিভাজনের বঞ্চনাময় কাঠামো তৈরি করে নীতিগত ও সামাজিকভাবে ভাবে দুর্বল হবার কারনে প্রথমে আরব/ উজবেক/ তুর্কি দের কাছে পরাজিত এবং পরে ইংরেজদের কলোনিতে রুপান্তরিত হলো।

সত্যবাদিতা বা গনতন্ত্রের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না

ইউরোপ গণতন্ত্রের ধারণাটিতে ধাপে ধাপে উন্নীত হয়েছে। প্রতিটি ধাপেই নতুন চিন্তা ও নীতিবোধ ছিলো।এরিস্ট্রোকেটিক রাজতন্ত্র থেকে সামন্তবাদী ব্যবস্থা এবং সেটাকে পুনঃরায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে মারকেন্টালিজম বা ইস্ট ইন্ডিয়ার মতো কোম্পানী গুলোর জন্ম হওয়া, তা থেকে নতুন সম্পদের স্রোত তৈরি করা, ঐতিহাসিক রাজতন্ত্রের পাশে উচ্চ কক্ষ- নিম্ন কক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা তৈরি করে গণতন্ত্রের যে ধারণাটি তাঁরা তৈরি করেছে তাঁর মূল উপদান হল জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি ও তাঁর ধারাবাহিকতা রক্ষার একটি টেকসই নিয়ম তৈরি করা। সুশাসন টেকসই করা খুব কঠিন কাজ যখন নেতা জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল না হয়, তাঁদের অভাব অভিযোগ না বুঝতে পারে। আর ইতিমধ্যে বলেই ফেলেছি কিভাবে যেকোন নেতার পলিসি তথা নীতিসমৃদ্ধ কর্মধারা তৈরির গুণটি ই তাঁকে ভালো নেতা বানায়। যে পলিসি তার জনগণের উন্নত জীবন মানের নিশ্চয়তা দেয়।

রাজতন্ত্র বা নির্বাচনবীহীন কমিউনিজম তাই ধারাবাহিকভাবে জনপ্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব তৈরির নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। যার কারনে নিকট অতীত সহ আজকের বিশ্বেও পশ্চিমের ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখা রাষ্ট্রগুলোই এখনো তাঁদের জনগণের জীবনযাত্রার মান বাকি দেশগুলোর থেকে বেশী রাখতে পারছে। পাশের দেশ ভারত বহু বছর গণতান্ত্রিক হয়েও পিছিয়ে আছে তাঁদের নীতিহীন বৈষম্যপূর্ণ সমাজ ব্যাবস্থা ও সাম্প্রদায়ীকতা কে এখনো জিইয়ে রাখার কারনে। ফলে ধর্ম ও জাতপাতের ব্যবধান তাঁদের গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে যেমনটা হয়ছিলো হাজার বছর আগের রাজতন্ত্র ও পুরোহিত তন্ত্রে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯

মা.হাসান বলেছেন: ইউরোপের বেশীরভাগ মানুষ, জাপান, আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা গড়ে সত্য বলেন।

ইউরোপের মানুষেরা মিথ্যা বলে না সহজে। মিথ্যা সেখানে বিরল


মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে


এই গুলি হলো নূরু ভাইয়ের ঐ পোস্টের কমেন্ট থেকে সরাসরি কোট। রেসের/ধর্মের উপর সত্যবাদি নির্ভর করে, নির্দিষ্ট রেসের ও ধর্মের লোকেরা বেশি মিথ্যা বলে এমন দাবি অন্যরা করেছে এটা মানতে সমস্যা কোথায়?





আবারো খন্ডিত চিন্তা ভাবনা। আরব থেকে শিক্ষকরা গিয়ে গিয়ে কি ইউরোপিয়ানদের পড়াশোনা করাতো? ...

কারো কারো এটা মানতে চুলকানি লাগলেও এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য মুসলমানরা স্পেন দখল করার পর হাতে কলমেই ইউরোপকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।


নৈতিকতার চর্চাটি নষ্ট হয়ে গেলে পৃথিবীর যেকোন সাম্রাজ্য বা সভ্যতার পতন ঘটাই স্বাভাবিক।

বড় অদ্ভুত যুক্তি। বৃটিশদের নৈতিকতা নষ্ট হবার কারনেই তারা আমেরিকানদের কাছে হেরেছে? আফ্রিকানদের নৈতিকতা বৃটিশদের চেয়ে বেশি বলে বৃটিশরা আফ্রিকার কলোনি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে?


এবং সেইসব সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী কি সেই লিডারশিপের নীতি নৈতিকতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গুলোকে জাতির উন্নতির সমীকরণটি থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছেন?

এই কথা কোথায় বলা হয়েছে? লিডারশিপ আগে ? না 'লিডারশিপের নীতি নৈতিকতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ' আগে?



আপনার শেয়ার করা গবেষণা গুলোতেও কোন তুলনামূলক চিত্র নেই ইউরোপ - আমেরিকা আর এশিয়ার মাঝে পার্থক্য বোঝার জন্য।
যারা দাবি করেন ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা মিথ্যা বলে না তাদের দাবি মিথ্যা এটা প্রমানের জন্য আমার এই লেখা। আমার লেখায় কোথাও বলি নি বাংলাদেশের লোকেরা কম মিথ্যা বলে বা ওদের চেয়ে ভালো। তুলনামূলক চিত্র দেয়ার প্রয়োজন কোথায়? আপনি যদি মনে করেন বাংলাদেশের মানুষ জাতি হিসেবে বেশি মিথ্যা বলে তথ্য সুত্র -প্রমান আপনিই উত্থাপন করুন, যাচাই করে ঠিক পেলে মানতে আমার অসুবিধা নেই।

৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্ট ও কমেন্টগুলি পাঠের সময় শরীরে প্রচন্ড ব্যথা
অনুভবের কারনে আর বেশীদুর এগুতে পারিনি।
সুস্থতা ফিল করলে পরে ফিরে আসব।

আমার জন্য দোয়া চেয়ে গেলাম ।

শুভ কামনা রইল

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৫

মা.হাসান বলেছেন: ডঃ আলী- আপনারা কয়েকজন সিনিয়র ব্লগার ব্লগের অভিভাবকের ন্যায় বলে মনে করি। আপনার অসুস্থতার খবরে খুব খারাপ লাগলো। পরুম করুনাময়ের নিকট প্রার্থনা আপনি যেন আশু সুস্থ হয়ে ওঠেন। অসুস্থ অবস্থায় দোয়া কবুলের কথা বলা আছে। আপনার দোয়ায়ও আমাদের স্মরন করার অনুরোধ রইলো। আল্লাহ সকলকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুন।

৩৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৪৩

স্থিতধী বলেছেন: এই গুলি হলো নূরু ভাইয়ের ঐ পোস্টের কমেন্ট থেকে সরাসরি কোট।

আমি গিয়ে সেই পোস্টের কমেন্টগুলো একবার পড়ে আসলাম। এখানে আপনি যে কোট গুলো দিয়েছেন তা মাত্র দুইজন ব্লগারের বলা। এবং তাও আবার এই কমেন্ট গুলোর মধ্যেও তুলনা বাচক শব্দের ব্যবহার রয়েছে । যেমন "গড়ে" সত্য কথা বলে। যদি কেঊ গড়ে শব্দটা ব্যবহার করে তাহলে তাকে গবেষণা তথ্য দিয়ে মিথ্যা/ ভুল প্রমাণ করার জন্য আমাকে ওই সমস্ত দেশের বলা গড় মিথ্যা আর বাকি দেশগুলোর গড় মিথ্যা কে সামনা সামনি তুলে ধরেই দেখাতে হবে যে কিভাবে তাঁর বক্তব্যটি সংখ্যা দিয়েই ভুল প্রমাণ হয়। আপনার এই পোস্ট প্রাসঙ্গিক হয় শুধুমাত্র সেই বক্তব্যটির জন্য যেটি বলছে "ইউরোপে মিথ্যা বিরল" । সেখানে বাকি অন্য অনেক ব্লগারের বক্তব্যে কিন্তু এটা পরিষ্কার যে মিথ্যা বলা সব দেশেই আছে, কিন্তু ইউরোপ- আমেরিকাতে মিথ্যা বলে পাড় পাওয়া কঠিন কারন তাদের মিথ্যা / ভুল তথ্য ধরার টেকনোলজিকাল এপ্লিকেশন অনেক বেশী, একবার কারো উপর 'মিথ্যাবাদী/প্রতারক" এর তকমা লেগে গেলে সেটার জন্য তাকে নানারকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্ছিত করা হয় ইত্যদি।

আমার বিশ্বাস আপনি এই তুলনার বিষয়টি খুব ভালো ভাবেই বুঝেছিলেন কিন্তু চেয়েও তুলনাগুলো করতে পারেননি কারন আপনি আমাদের দেশ বা প্রাচ্য দেশ গুলোতে এই জাতীয় গবেষণা খুঁজেই পান নি যে তুলনা টা করবেন! And that speaks volume। সত্য জানতে চায় যেসব জাতি তাঁরা নিয়মিত নানা সামাজিক বিষয় নিয়েও গবেষনা করে এবং তাঁর ফলাফল পাবলিক ডোমেইনে খুঁজেও পাওয়া যায়। অন্য দিকে নীতিগত ভাবেই যেসব জাতির জ্ঞান চর্চা কম ও সামাজিক অবক্ষয় বেশী জবাবদিহিতা বিহীন সংস্কৃতির কারনে , তাঁরা প্রথমত সামাজিক বাস্তবতার সঠিক চিত্র দুনিয়াকে জানতেই দিতে চায়না, ফলে সঠিক গবেষণা কে তাঁরা ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকারক মনে করে এবং গবেষণাকে বাহুল্য খরচ হিসেবে গণ্য করে। ফলে আপনাকেও তথ্যের অভাবে শুধু ইউরোপ- আমেরিকার ডাটাগুলো নিয়েই এ পোস্টের অবতারণা করতে হয়েছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: এখানে আপনি যে কোট গুলো দিয়েছেন তা মাত্র দুইজন ব্লগারের বলা।

আমার পোস্টের শুরুতে বলা আছে -''ঐ পোস্টের কমেন্টে কতিপয় দেশি-বিদেশি জ্ঞানীগুণী ব্লগার ...''
আমি কোথায় বলেছি যে সকলে বলেছে?

ঐ পোস্টের কমেন্টে এই কথাও আছে- মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে
এটির সমর্থনে ডাটা কোথায়? যা খুশি বানিয়ে বলা চায়ের টঙে বলা যায়।

আমার বিশ্বাস আপনি এই তুলনার বিষয়টি খুব ভালো ভাবেই বুঝেছিলেন...
মানুষে অনেক রকম জিনিসই বিশ্বাস করে। কেহ কেহ সাইদির চান্দে ভ্রমন বিশ্বাস করে। আপনি কি বিশ্বাস করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আমার পোস্টে শুরুতেই বলা আছে- আসলেই কি ইউরোপ-আম্রিকার লোকেরা সকলে সত্যবাদি যুধিষ্ঠির? দেখা যাক।


ইউরোপে মিথ্যা বিরল

গবেষনার তথ্য প্রমান করে শতকরা ৯৫ জন লোক মিথ্যা বলে। ২০% ক্ষতিকর এবং ৭৫% সাদা মিথ্যা কথা। এটা যদি বিরল মনে করেন তবে কথা বলার কিছু থাকে না।

বাংলাদেশে এই ধরণের রিসার্চ কেনো হয় না তার কিছু ব্যাখ্যা ২১ নম্বর কমেন্টের জবাবে বলা আছে।এখনো বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞানীরা ল্যানসেট - নেচার রিভিউএর মতো পত্রিকায় গবেষনা প্রকাশ করছেন। দেশের বাইরে থাকা হাজার বিজ্ঞানিরাও করছেন। ভালো লিডারশিপ থাকলে আমাদের দেশে আরো ভালো করা সম্ভব।

৩৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:২৩

স্থিতধী বলেছেন: কারো কারো এটা মানতে চুলকানি লাগলেও এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য মুসলমানরা স্পেন দখল করার পর হাতে কলমেই ইউরোপকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

চলেন তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম, আন্দালুসিয়ায় মুসলিম বিজয় না হলে পরে ইউরোপের ইতিহাসের একাধিক সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক বিপ্লবগুলো শুরুই হতোনা। ইউরোপ আজীবন অন্ধকার কুয়াতে অশ্রুপাত করতো। কিন্তু কথা হলো উম্মাইয়া খিলাফতের দ্বারা ঘটা সেই সাংস্কৃতিক আলোকায়নের পরেও মুসলিমরা তাঁর অবস্থান হারালো কেনো? সর্প ওঝার বিদ্যাতেই ওঝাকে দংশন করে বসলো? তাহলে সে কেমন ওঝা? কয়শো বছর মুসলিমরা শাসন করলো ইউরোপের একাংশ আর তাঁর পরবর্তীতে আজ কয়শো বছর ইউরোপ দুনিয়াকে শাসন করে আজকের গ্লোবালাইজেশনের যুগ সৃষ্টি করলো ? এতে মুসলিমদের নৈতিক পতনের কোন অবদান দেখেন নাকি সব ই ঐ দুষ্ট ইহুসী-নাসারার ষড়যন্ত্র?

বড় অদ্ভুত যুক্তি। বৃটিশদের নৈতিকতা নষ্ট হবার কারনেই তারা আমেরিকানদের কাছে হেরেছে? আফ্রিকানদের নৈতিকতা বৃটিশদের চেয়ে বেশি বলে বৃটিশরা আফ্রিকার কলোনি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে?

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পরে বিশাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পূর্বের মত পরিচালনা করা তাঁদের পক্ষে আর সম্ভব ছিলোনা। নীতিগত ভাবেই ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো যে তাঁরা এক এক করে তাঁদের কলোনি গুলোকে হয় ফেডারেশন, নয় স্বশাসন অথবা অন্য প্রক্রিয়ায় ছেড়ে দিতে থাকবে। ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরেই আফ্রিকা, ভারতবর্ষ, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ান দেশগুলো সহ দুনিয়ার এক ঝাক দেশ স্বাধীনতা লাভ করতে থাকে। এটা ব্রিটিশ নেতাদের যুদ্ধোত্তর আর্থিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত। ইতিহাস ভালোভাবে পড়ে আসা সকলেরই এ তথ্য জানা আছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বহু আগে আমেরিকা ব্রিটিশ বিতারনে জয়লাভ করে ব্রিটিশদের থেকে উন্নত নীতিবোধ ও চিন্তা ধারার জন্ম দেবার কারনেই। ফ্রান্স এর সাংস্কৃতিক আলোকায়ন থেকে প্রেরণা নিয়ে তাঁদের সংবিধানে প্রবেশ করে সাম্য মর্যাদার নতুন ভাবনাটি। তাঁদের জনগণ অনুপ্রেরণা পায় দুনিয়ার বুকে এক নতুন দুনিয়া গড়ে তোলবার। ব্রিটিশরা নৈতিকভাবে পরাজিত হয় সেই নতুন চিন্তা ও জাগরণের সামনে। ফরাসীদের সহায়তায় তাঁদের জনগণ ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশদের উপর সামরিক জয়টিও ছিনিয়ে নেয়।

লিডারশিপ আগে ? না 'লিডারশিপের নীতি নৈতিকতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ' আগে

ডিম আগে না মুরগী আগে জাতীয় বিতর্ক সম্বভত আপানার প্রিয় ধারার বিতর্ক । রাজনৈতিক লিডারশীপ ব্যাপারটির সাথে পলিসি তৈরি করা যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আমার লেখা সেই লাইনগুলো কি পড়েছেন? পলিসি তৈরি তে নীতিবোধ, ন্যায়বোধ এগুলো থাকেনা বলতে চাচ্ছেন? রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা পলিসি মেকিং কে লিডারশীপের বাইরের আলোচনায় রাখেন আজকাল? মহানবী(সঃ) এর মদীনার সনদ তৈরি করতে পারার গুনটি কি তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিষয়ক আলোচনায় থাকেনা তাহলে?

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১১

মা.হাসান বলেছেন: উম্মাইয়া খিলাফতের দ্বারা ঘটা সেই সাংস্কৃতিক আলোকায়নের পরেও মুসলিমরা তাঁর অবস্থান হারালো কেনো...
নাকি সব ই ঐ দুষ্ট ইহুসী-নাসারার ষড়যন্ত্র?

আমার পোস্টের কোথাও ধর্মীয় ষড়যন্ত্র বা সাম্রাজ্যবাদি ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয় নি। ৩০ মন্বর মন্তব্যের জবাবে লিডারশিপ ফ্যাক্টরের কথা বলার চেষ্টা করছি। আরো অনেক ফ্যাক্টর থাকতে পারে। প্রাকৃতিক ফ্যাক্টর হতে পারে- খরা, বন্যা, ভুমিকম্প এসব কারনে উন্নত সভ্যতা বিলীন হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লিডারশিপ বড় ফ্যাক্টর, নৈতিকতা না। সাহাবী আলীর চেয়ে মুয়াবিয়া বা হাসান-হোসেনের চেয়ে এজিদ নৈতিক ভাবে শক্তিশালী ছিলেন এটা ধর্মীয় স্কলার বা ইতিহাসবিদরা দাবি করেন না, বরং উল্টোটাই সত্য বলে মনে করা হয়। লিডার হিসেবে মুয়াবিয়া বেটার ছিলেন।

ডিম আগে না মুরগী আগে জাতীয় বিতর্ক সম্বভত আপানার প্রিয় ধারার বিতর্ক
অপযুক্তি। মুরগী -ডিমের সাথে এই বিষয়টি প্যারালাল না।
নবী মোহাম্মদ আরবে উন্নত সভ্যতার সূচনা করেন। এই খানে ''লিডারশিপের নীতি নৈতিকতা ও ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া'' কোথা থেকে আসলো? আলেকজান্ডারের ক্ষেত্রে কি ছিলো? বাবরের ক্ষেত্রে? মাও সে তুং বা লেলিনের ক্ষেত্রে?

সভ্যতার সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক ক্ষীণ। ইতিহাস বলে পরাক্রমশালী রোমানরা বন্দি নারি-শিশুদের হিংস্র পশুদের দিয়ে খাওয়াতো। বলশালি পুরুষদের এরিনায় ঢুকিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে বলা হতো- যতক্ষন না একজন মারা যাচ্ছে। এই রোমান সভ্যতা অনেক অনেক বছর টিকে ছিলো। আমেরিকায় কত কালো দাস অত্যাচারে বলা গেছে তা শুনলে এদের সভ্য বলে মনে করা মুশকিল। এখনো আমেরিকার পপুলেশনের মধ্যে ১২% এর মতো কালো, জেলে বন্দিদের মধ্যে ৪০% এর মতো কালো। আমেরিকান সভ্যতাকে উন্নত সভ্যতাই বলা চলে, কতখানি নৈতিক তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।

৩৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

স্থিতধী বলেছেন: ইউরোপে মিথ্যা বিরল
গবেষনার তথ্য প্রমান করে শতকরা ৯৫ জন লোক মিথ্যা বলে। ২০% ক্ষতিকর এবং ৭৫% সাদা মিথ্যা কথা। এটা যদি বিরল মনে করেন তবে কথা বলার কিছু থাকে না।


যা বুঝতেছি যেকোন পোস্টের কমেন্ট পড়ার সময় আপনি অতিরিক্ত উত্তেজনার মধ্যে থাকেন। ফলে কমেন্টে আসলে কি বলা হচ্ছে সেটা বুঝতে পারেন না। দ্রুত এমন একটা জবাব দেন যেটার সাথে কমেণ্টের কোন সংঘর্ষ হয়তো ছিলো ও না। ৩৩ নং কমেন্ট টি আবার গিয়ে পড়ে আসেন আমি আসলে কি লিখেছিলাম! আমি লিখেছিলাম;

"আপনার এই পোস্ট প্রাসঙ্গিক হয় শুধুমাত্র সেই বক্তব্যটির জন্য যেটি বলছে "ইউরোপে মিথ্যা বিরল" "

তার মানে আমি বুঝিয়েছি আপনার এই পোস্ট শুধুমাত্র ঐ একটি কমেন্টের জন্য প্রাসঙ্গিক হয়েছে। আপনি মন্তব্যকারী কে দেখাতে পেরেছেন যে ইউরোপে মিথ্যা বিরল নয়। এই যে আপনাকে এমন সোজা সাপ্টা কমেন্টেরও তাফসীর করে দেওয়া লাগতেছে এটাও আমার একটা অভিজ্ঞতা বটে!

মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে

দুজন যথেষ্ট বয়স্ক ব্লগার তাঁদের পুরানো কালের ধ্যান ধারণা নিয়ে বসে থেকে দুটা কমেন্ট কি করেছে আর আপনি তাঁদের ঐ ভ্রান্ত ধারনা গুলো ভাঙ্গাবার জন্য গুগল মামার সামনে বসে গেছেন এইসব ঘাটাঘাটি করে ঐ দুই পুরানা যুগের মানুষদের মুখের উপর ছুড়ে মারতে! কি আর বলবো! করোনা কালে আপনার অবসর হত এখন একটু বেশী। যাই হোক, তাঁরপরও জিজ্ঞেস করতে মন চায়, আরব দেশ আর আফ্রিকার সত্য- মিথ্যা বলা নিয়ে ডাটা গুলো খুজেপাইলেন না গুগল মামাতে? আচ্ছা, আপনার যুক্তিতে আফ্রিকা গরিব মহাদেশ বলে পারেনাই মনে হয়, কিন্তু সৌদি আরব তো পেট্রো ডলারের দেশ, বাকি আরব দেশগুলাও গরীব না, সৌদির ইউনিভারসিটি গুলা বিজ্ঞান নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে, তো নবী- রাসুলের দেশে সত্য - মিথ্যা বিষয়ে তাঁদের দেশে কোন গবেষণা চালায়নি এখনো?, নাকি হইছে কিন্তু সারা দুনিয়াকে বলতে চায়না বইলা ওইসব তথ্য গুগল মামা / পীয়ার রিভিঊ জার্নাল গুলাতে জমা দেয়নাই এখনো?
সেই ডাটা যদি পাইতেন তাইলে তো সেটার সাথে আমেরিকা- ইউরোপের ফাইন্ডিংস টার তুলনা করে ঐ ব্লগার কে দেখায়ে দিতে পারতেন তাঁর ধারণা ঠিক না ভুল!

ইউএসএ তে পুঁজিবাদের উত্তম বিকাশ ঘটেছে। এখানে লেখাপড়া, রিসার্চ এগুলো পুঁজিবাদী দৃষ্টিতে দেখা হয়। অধিকাংশ রিসার্চের ইমিডিয়েট না হলেও ভবিষ্যত অ্যাপ্লিকেশন দেখতে পাবেন। রিসার্চের জন্য ফান্ড লাগে। ফ্যাকাল্টিরা ফান্ডের জন্য এপ্লাই করে। ফান্ড লিমিটেড।

২১ নং কমেন্টে ঘুরে এসে দেখতে পাইলাম, আপনি এই উপরের ধান ভাঙ্গতে শিবের গীত গেয়ে এসেছেন। এটা ভালো, যেকোন বিষয়ে কূটতর্কে নামতে হলে ধান ভাঙ্গতে শিবের গীত গাওয়া খুব জরূরী বটে। কয়েকটা জিনিষ বোঝা যায় এনিয়ে আপনার কমেন্ট গুলো পড়ে;
১) আপনি পীয়ার রিভিঊ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বা যেকোন সলিড গবেষণা কেবলমাত্র ইউনিভার্সিটি গূলো থেকেই করা যায় বা হয় বলে মনে করেন বা বোঝাতে চাচ্ছেন। ফলে ইউনিভার্সিটির ফান্ডিং, প্রসিডিঊর ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞান ঝেড়েছেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটির বাইরেও যে ব্যাক্তিগতভাবে কোন গবেষক বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একদল গবেষক তাঁদের গবেষণা কর্ম পীয়ার রিভিঊ জার্নালগুলোতে জমা দিতে পারেন এবং তা মানে উন্নত হলে সেসব জার্নালে প্রকাশিত ও হয় সে তথ্যটা আর দেননি।

২) ভালো গবেষক বা গবেষণা করতে হলে বিদেশে / সফল পুঁজিবাদী দেশে থাকতে হয়। বাংলাদেশী যারা ওসব দেশে আছে তারাই যেন শুধু ভালো গবেষক! কিন্তু সত্যটা হল আপনি ভালো গবেষক হলে অথবা আপনার ভালো গবেষণা দল থাকলে আপনি দেশে বসেও উন্নত গবেষণা করে যেতে পারবেন। গবেষণার মূল ঊপাদান মেধা, অর্থ নয়। বাংলাদেশ থেকে স্যটেলাইট তৈরি করে তা নাসাতে পাঠানোর সাথে যে দলটি কাজ করেছে তাঁরা বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা মিলেই করেছে। এর খরচ বাংলাদেশ বহন করার যোগ্যতা রেখেছে । বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্রবসু যখন গাছের প্রাণ থাকার মতো একটি মৌলিক আবিষ্কার করলেন সেটি তিনি তাঁর নিজের দেশে নিজের ল্যাবে প রীক্ষা - নিরীক্ষা করেই বের করেছেন। ভাল মানের মৌলিক গবেষণার জন্য প্রধানত ভালো মেধার প্রয়োজন, আর প্রয়োজন সদিচ্ছার, অর্থ এর পরের বিষয়। সেই সদিচ্ছা গবেষকের বলুন আর গবেষক যে দেশ বা প্রতিষ্ঠানে থাকেন সেটার লীডারদের বলুন; উভয় ক্ষেত্রেই বিষয়টি একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। নীতি তৈরি ছাড়া লীডারশীপ অপূর্ণ। একথা বারবার বলতে হচ্ছে।

২১ নং কমেন্টে আচমকা এফ এম আর আই সহ এমন মিথ্যাধরার টেকনলজি নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন, যে তখন মনে হওয়া শুরু করবে যেন মিথা নিয়ে এসকল গবেষণা প্রছন্ড রকমের খরচের ব্যাপার! তাই বাংলাদেশের মতো দেশে এসব গবেষণা পাওয়া যাচ্ছেনা বা সহসাই পাওয়া যাবেনা! তাই কি? আপনি যেই ছয়টি গবেষণা পেপার আপনার এই পোস্টে দাখিল করেছেন সেগুলো কি ওমন সব খরুচে টেকনলজি ব্যাবহার করে করা হয়েছে। চলেন দেখে আসি ঐ গবেষণা গুলোর মেথডলজি;

১ম পেপারঃ After the conversation, self-presenters were asked to review a video recording of the interaction and identify the instances in which they had deceived the other person.

মূলত প্রেসেন্টার কখন কখন প্রতারণা করেছেন অডিয়েন্সের সাথে তা তিনি নিজেই ভিডিও টি দেখে বলেছেন, অর্থাৎ এটি মূলত সেলফ- রিপোড়টিং স্টাডি যেখানে যেই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে তা হলো কেবল মামুলি এক ভীডীও রেকর্ডিং! এই জাতীয় গবেষণা বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্দ্যালয় বা সামাজিক গবেষণা সংস্থার পক্ষে করা অসম্ভব? এর জন্য প্রছন্ড অর্থ ব্যয় প্রয়োজন নাকি প্রয়োজন আসলে সদিচ্ছার??

৩য় পেপারঃ This study addresses the frequency and the distribution of reported lying in the adult population. A national survey asked 1,000 U.S. adults to report the number of lies told in a 24‐hour period.

অর্থাৎ , ইহাও একটি সেলফ- রিপোড়টিং স্টাডি এবং ইহাতেও কোণ মহান ব্যয়বহুল প্রযুক্তি ব্যাবহৃত হয়নাই। আপনি জানেন বাংলাদেশের বাজার গবেষণা সংস্থাগুলো এমন একটি সার্ভে কত টাকা বাজেটের মধ্যে নামিয়ে দিতে পারবে? কোন সরকারের বা বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রয়োজন নাই এমন সার্ভে মাঠে নামাতে।

৪ নং পেপারঃ resumelab এর এই সার্ভে তেও কোন মহান ব্যয়বহুল টেকনোলজীর ব্যবহার নাই। এই ধরনের সার্ভে চাইলে এর থেকে ভালো মানের করে বংলাদেশের বিডি জবস করে দেখাতে পারবে। বিষয় হচ্ছে, সেলফ- রিপোড়টিং এই সার্ভে তে সিভিতে সঠিক তথ্য দেয়া নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ সব সত্য বলবেতো? বিডি জবসেরও বা কি ইচ্ছা আসে বিষয় টি নিয়ে কোন ইফোরট দেয়ার?

৫ নং পেপারঃ Participants (N = 2,980) were surveyed and asked to report on how often they told both little white lies and big important lies.

তাঁর মানে আবারো একটি সেলফ- রিপোড়টিং স্টাডি , মোটেও অসম্ভব উচ্চ খরচের স্টাডি নয় যা কিনা বংলাদেশের পক্ষে করা স্মভব নয়।

একমাত্র ২য় পেপারটি সেলফ- রিপোড়টিং এর ভিত্তিতে না করে experimental and naturalistic মেথডে করা হয়েছে। এখন দেখি আপনি এটার ফাইন্ডীংস নিয়ে কি মন্তব্য করেছেন? আপনি বলেছেন;
" শিক্ষিত ও ধনী লোকের সংখ্যা কোথায় বেশী, আমেরিকা না বাংলাদেশে?"

ভাইসাহেব, আপনি কি সামাজিক বিজ্ঞান আর প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পার্থক্য বোঝেন? আপনি জানেন তো এ দুটি ধারার বিজ্ঞানের গবেষণা ও তাঁর ফলাফল বিশ্লেষণ সম্পূর্ণ আলাদাভাবে হয়? যদি বুঝতেন, তাহলে উপরের অমন মন্তব্য টি করার কথা নয়! গাছের প্রাণ আছে , এই কথাটা যেমন বাংলাদেশে সত্য তেমন ইঊরোপ আমেরিকাতেও সত্য, কারন ইহা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান । কিন্তু মেয়েরা যৌন বিষয়ে বেশী লাজুক এটা বাংলাদেশে যেমন সত্য তা ইঊরোপ আমেরিকার মেয়ের জন্য একই মাত্রায় সত্য না। কারন, দুই অঞ্চলের সমাজ এক রকম নয় , ফলে ইহা সামাজিক বিজ্ঞানের গবেষণার আওতাধীন হয়ে যায়।

We conducted seven studies using university, community, and nationwide samples to test this general prediction. তো এটা কোন নেশনের কথা বলিতেছে? আমেরিকা। বাংলাদেশ নয়।

এবার আসি তাঁরা কিভাবে শ্রেনীবিভাগ করেছে? Social class, or socioeconomic status (SES), refers to an individual's rank vis-à-vis others in society in terms of wealth, occupational prestige, and education । এই জিনিষটাকে আমাদের দেশের বাজার গবেষকরা বলেন socioeconomic classification (SEC) । এই সামজিক শ্রেনীবিভাগের প্রক্রিয়াটি দুটি ভিন্ন সংস্কৃতি ও অর্থনীতির দেশে একই স্কেলে মাপা হয়না। সোজা ভাষাতে যদি বলি, আমেরিকান মিডল ক্লাস আর বাংলাদেশী মিডল ক্লাস একই সামাজিক বাস্তবতায় বসবাস না করায় এই দুই গ্রুপের আচার আচরণ তাঁদের নিজ নিজ দেশে পুরোপুরি একরকম হবেনা। সেজন্যই বাংলাদেশের শিক্ষিত বা ধনী- গরীবের সাথে আপনি আমেরিকান শিক্ষিত, বা ধনী- গরীবের অমন সোজা- সাপ্টা তুলনা দিতে পারবেননা। আপনাকে অমন তুলনায় যেতে হলে প্রথমে দুই দেশের সামজিক স্তর বিন্যাসের বিষয়টিকে স্টান্ডারডাইজড বা একি স্কেলে মাপার উপযোগী করে নিতে হবে। তারপর হুবুহু একি গবেষণা দুটো দেশে চালাতে হবে বিভিন্ন সময়ে অনেকবার করে। তারপরে আপনি সেই ডাটা নিয়ে তুলনা করে তারপর দুই দেশের সামাজিক বাস্তবতা ও মানুষের আচরণ নিয়ে অমন একটা জেনারেল কমেন্ট করতে পারবেন।

অল্প কথায়, আমেরিকার ঐ স্টাডি কোন জেনেরিক গ্লোবাল স্টাডি ছিলোনা। ফলে আপনি ওটার ফাইন্ডিংসটাকে সারা দুনিয়ার জন্য একটা জেনারাল ফ্যাক্ট ধরে নিয়ে ঐ টাইপের জেনারাইলেজেশন করার মতো মন্তব্য করলে তা ডাহা ভুল মন্তব্য হয়।

এর চেয়ে বেশী কিছু আর বলার নাই। এতটুকু পরিষ্কার আপনার শেয়ার করা ৬ টির মাঝে ৫ টি গবেষণাই বাংলাদেশে খুব সহজেই করা সম্ভব ছিলো যেহেতু এর কোনটাই কোন মহান বাজেট/ ফান্ডিং বা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাবস্থার অপেক্ষা রাখেনা। তারপরো, এ জাতীয় গবেষণা যে আপনি নিজের দেশে খুজে পাচ্ছেন না তাঁর কারন এদেশের সব প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব। সত্য বিষয়ে সত্যটি জানতে এরা কেউ ই আন্তরিক নয়।



২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০১

মা.হাসান বলেছেন: দুজন যথেষ্ট বয়স্ক ব্লগার তাঁদের পুরানো কালের ধ্যান ধারণা নিয়ে বসে থেকে দুটা কমেন্ট কি করেছে আর আপনি তাঁদের ঐ ভ্রান্ত ধারনা গুলো ভাঙ্গাবার জন্য গুগল মামার সামনে বসে গেছেন এইসব ঘাটাঘাটি করে ঐ দুই পুরানা যুগের মানুষদের মুখের উপর ছুড়ে মারতে

কাহারা কাহারা বয়স্ক এবং পুরাতন ধারনার উপর বসিয়া আছেন এবং কাহারা আধুনিক মনষ্ক এই বিচারের ভার আপনি নিজ স্কন্ধে তুলিয়া লইয়াছেন জানিয়া প্রীত হইলাম। অভিবাদন নিন।


[sb...আপনি জানেন বাংলাদেশের বাজার গবেষণা সংস্থাগুলো এমন একটি সার্ভে কত টাকা বাজেটের মধ্যে নামিয়ে দিতে পারবে?

সার্ভে এবং পিয়ার রিভিউ হওয়া গবেষনা পত্রের মধ্যেকার পার্থক্য আপনার জানা আছে বলেই মনে হয়েছিলো।

গুগল মামার সামনে বসে গেছেন এইসব ঘাটাঘাটি করে...
যাহারা ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায় তাহারা গুগুল দিয়া রিসার্চ পেপার খুঁজিবে ইহাতে আশ্চর্যের কিছু নাই। তবে অন্যরাও আপনার মতো গুগুল দিয়া রিসার্চ পেপার খোঁজে এমন না ভাবাই ভালো।

৪ নং পেপারঃ resumelab এর এই সার্ভে তেও... ঐটা কোনো পেপার না, ওদের নিজেদের করা সার্ভে, ওটা যে পেপার না এটাও ঐ প্যারাতেই বলা আছে।

বাংলাদেশ থেকে স্যটেলাইট তৈরি করে তা নাসাতে পাঠানোর সাথে যে দলটি কাজ করেছে তাঁরা বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরা মিলেই করেছে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কিছু ছাত্র শিক্ষক একটা ন্যানো স্যাট তৈরী করেছে বলে দাবি করা হয়। এটার সাথে জাপানি একটা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত আছে। বাংলাদেশ থেকে স্যাটেলাইট তৈরি করে নাসায় পাঠানোর ঘটনা আমার জানা নেই। তথ্য সূত্র দেয়ার অনুরোধ করছি।

আপনি পীয়ার রিভিঊ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বা যেকোন সলিড গবেষণা কেবলমাত্র ইউনিভার্সিটি গূলো থেকেই করা যায় বা হয় বলে মনে করেন বা বোঝাতে চাচ্ছেন। ফলে ইউনিভার্সিটির ফান্ডিং, প্রসিডিঊর ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞান ঝেড়েছেন।

আমার লেখায় কোথাও তো দেখলাম না এমন দাবি করেছি! তবে আপনার মতো এত ভালো দৃষ্টি শক্তি অবশ্য আমার নেই।

কিন্তু ইউনিভার্সিটির বাইরেও যে ব্যাক্তিগতভাবে কোন গবেষক বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একদল গবেষক তাঁদের গবেষণা কর্ম পীয়ার রিভিঊ জার্নালগুলোতে জমা দিতে পারেন এবং তা মানে উন্নত হলে সেসব জার্নালে প্রকাশিত ও হয় সে তথ্যটা আর দেননি

মিথ্যা কথন। তবে ঐ লেখায় যা বলিনি তা হলো অনেক ব্লগার ব্লগের মধ্যে থেকেই বিরাট গবেষনা পত্র বের করেন।
আমার কমেন্টের কোথাও বলা হয় নি রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে লিমিটেড। বলা হয়েছে রিসার্চের জন্য ফান্ড লাগে। বিশাল লাগে না কম লাগে এটা কোথাও বলি নি। যে কোন গবেষনা প্রতিষ্ঠানেই ফান্ড এলোকেট করা হয় রিসার্চের মেরিটের ওপর। ফান্ড এলোকেটররা যার প্রজেক্ট পছন্দ করবে তার প্রজেক্টে ফান্ডিং করবে।


ভাল মানের মৌলিক গবেষণার জন্য প্রধানত ভালো মেধার প্রয়োজন, আর প্রয়োজন সদিচ্ছার, অর্থ এর পরের বিষয়।
ভালো গবেষনার বেশির অংশ ইউরোপ-নর্থ আমেরিকা থেকে হয়, এর বাইরে জাপান, চীন, কোরিয়া, ইজরায়েলের বাইরে গবেষনা তুলনামূলক কম। আপনার ধারণা এই সব দেশের বাইরে মেধাবি লোক নেই? নাকি সদিচ্ছা নেই?


কিন্তু সৌদি আরব তো পেট্রো ডলারের দেশ, বাকি আরব দেশগুলাও গরীব না, সৌদির ইউনিভারসিটি গুলা বিজ্ঞান নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে, তো নবী- রাসুলের দেশে সত্য - মিথ্যা বিষয়ে তাঁদের দেশে কোন গবেষণা চালায়নি এখনো?

ইহুদি-নাসারার ষড়যন্ত্র এবং সৌদির রিসার্চ একটিভিটি খোঁজার মধ্যে যোগসুত্র থাকতেও পারে, তবে আমার লেখার বিষয় ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা মিথ্যা বলে না এই দাবি মিথ্যা প্রমান করা, এর সাথে সৌদির রিসার্চের সম্পর্ক দেখি না। আর অন্যত্র বলেছি, পুঁজিবাদের বিকাশ না হলে রিসার্চের ফান্ড আসবে না।

২১ নং কমেন্টে আচমকা এফ এম আর আই সহ এমন মিথ্যাধরার টেকনলজি নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন, যে তখন মনে হওয়া শুরু করবে যেন মিথা নিয়ে এসকল গবেষণা প্রছন্ড রকমের খরচের ব্যাপার! তাই বাংলাদেশের মতো দেশে এসব গবেষণা পাওয়া যাচ্ছেনা বা সহসাই পাওয়া যাবেনা!

এফএমআরআই প্রচন্ড রকমের খরুচে টেকনোলোজি এই বিষয়টি কোথায় পেলেন?

আপনার শেয়ার করা ৬ টির মাঝে ৫ টি গবেষণাই বাংলাদেশে খুব সহজেই করা সম্ভব ছিলো যেহেতু এর কোনটাই কোন মহান বাজেট/ ফান্ডিং বা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাবস্থার অপেক্ষা রাখেনা। তারপরো, এ জাতীয় গবেষণা যে আপনি নিজের দেশে খুজে পাচ্ছেন না তাঁর কারন এদেশের সব প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব।

অনেক খানিই একমত। আমার লেখাতেই বলেছি সরকার গবেষনায় যথেষ্ট বরাদ্দ দেয়। বলেছি--- মান সম্পন্ন গবেষনা না করেও প্রোমোশন পাওয়া যায়। আপনি বলবেন তাহলে ইউএসএতে শুধু ট্রাম্পের জীবনী নিয়ে গবেষণা হয় না কেন? ঐ যে, পুঁজিবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকে থাকতে হয় ছাত্রদের মধ্যে ভালো ইমেজ ধরে রাখতে হয়। র‌্যাঙ্কিঙে এগিয়ে থাকতে হয়। ছাত্ররা যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো মনে না করে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে আগ্রহী হবে না। ছাত্র ভর্তি না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টাকা পাবে না।

৩৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: সভ্যতার সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক ক্ষীণ। ইতিহাস বলে পরাক্রমশালী রোমানরা বন্দি নারি-শিশুদের হিংস্র পশুদের দিয়ে খাওয়াতো। বলশালি পুরুষদের এরিনায় ঢুকিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে বলা হতো- যতক্ষন না একজন মারা যাচ্ছে।

আসলেই এক অর্থহীন বিতর্ক। কারন একি কথা বারবার বলা লাগলে সেটা তখন দেয়ালের সাথে কথা বলার মতো ঠেকে।

[si "]সততা ও নৈতিকতার ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়টি আগেও একবার উল্লেখ করেছি। নৈতিকতার চর্চাটি নষ্ট হয়ে গেলে পৃথিবীর যেকোন সাম্রাজ্য বা সভ্যতার পতন ঘটাই স্বাভাবিক।"

৩১ নং মন্তব্যে এটা বলেছিলাম। নৈতিকতার ধারাবাহিকতা রক্ষার ব্যর্থতায় রোমান, পারস্য, ইংরেজ বা আমেরিকা সকলেরই পতন ঘটেছে বা ঘটবে এটাতে অবাক হচ্ছিনা মোটেই। একমাত্র শ্রেষ্ঠ বা মহান বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। সময়ের সাথে নৈতিকতা কেও আপডেট করতে হয়। যে দাস প্রথা এক সময় ছিলো স্বাভাবিক সামাজিক আচার, কালের পরিকর্মায় আজ তা অমানবিক। যেসব নেতা কালের ঐ সকল নৈতিক আবর্তন কে বুঝতে পারে ও ধারণ করতে পারে, তারাই নিজ জাতিকে এক নতুন দিশায় পথ দেখিয়ে সভ্যতার উন্নত আরেক সংস্করণ তৈরি করার স্মভাবনা বয়ে আনে। ফলে আমেরিকাতে আজো পেছনে হেটে চলা কালোদের নীপিড়কেরা যদি থাকে তো তাঁর বিপরীতে আবার অজস্র সাদা-কালো মিলিয়েই আমেরিকান তরুণ- তরুণী রয়েছে যারা নিজ দেশ ও বিশ্ব ব্যাপী " ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার" মুভমেন্ট কে জাগিয়ে তুলেছে । ন্যায় আর অন্যায়ের এই নতুন লড়াইয়ে যদি অন্যায় জয় লাভ করে তবে আমেরিকায় এক সময় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ট্রাম্পের আমলে তা হচ্ছেও ঠিক যেমন মোদীর আমলে ভারতের ভরাডুবি আসন্ন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মা.হাসান বলেছেন: সময়ের সাথে নৈতিকতা কেও আপডেট করতে হয়।

এটি অনেক পুরাতন বিতর্কের বিষয়। এর সমাধান নেই। আগে মানুষ দাস প্রথা দেখে অভ্যস্থ ছিলো। এখন রিকশা চালকের রিকশা চালানো অধিকাংশ লোক অন্যায় মনে করে না। অপরাধিকে ফাসি দেয়া অনেকের কাছে অন্যায় মনে হয় না। হয়তো ভবিষ্যতে এটা অন্য ভাবে দেখা হবে। অধিকাংশের ভিউ এর উপর নির্ভর করে নৈতিক আর অনৈতিক ঠিক করা যায় কি না এই বিতর্ক অব্যহত থাকবে।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:০৯

সোহানী বলেছেন: লিখা পড়ে মনে মনে যে কমেন্ট সাজিয়েছিলাম সবার কমেন্ট পড়তে পড়তে তা বেমালুম ভুলে গেছি :D । যাই আবার প্রথম থেকে পড়া শুরু করি...............

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪২

মা.হাসান বলেছেন: আপনার চিন্তার বিভ্রাট ঘটাতে পেরে যার পর নাই আনন্দিত B-)) । আপাতত কিছু কবিতা পড়ে চিত্ত চাঞ্চল্য দূর করতে আজ্ঞা হোক। :P

৩৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: সারা পৃথিবী থেকেই এখন সততা উঠে গেছে।
পাশ্চাত্য দেশগুলিতে সু্যোগের অভাবে মিথ্যাকথা কিংবা বাটপারী করার সুযোগ পায় না।
পেলে কি হতো সেটা এদের সারা বিশ্ব জুড়ে আগ্রাসনের নামে মিথ্যাচারের নমুনা দেখলেই বুঝা যায়।
তবে আমাদের দেশ খুব উদার যে যার মতো যা ইচ্ছে বলতে পারে। সবচেয়ে উচু পর্যায়ের লোক সব চেয়ে বেশি মিথ্যা কথা বলে।
লেখা এবং মন্তব্যগুলি বেশ ভাল হয়েছে। একাডেমিক স্ট্যাডি টাইপের লেখা মনে হলো।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১১

মা.হাসান বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, দুঃখিত, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ব্লগে প্রায় আসাই হচ্ছে না। দু-একবার ঢু মারলেও মন্তব্যের প্রত্যুত্তর সিরিয়ালি দিতে পারি নি।
পাশ্চাত্য দেশগুলিতে সু্যোগের অভাবে মিথ্যাকথা কিংবা বাটপারী করার সুযোগ পায় না।
এটাই মূল কথা। যারা মিথ্যে বলার, যেখানে সুযোগ আছে সেখানে মিথ্যা কথা বলে। যে খানে সুযোগ নেই সেখানে বলে না। বাটপারি কিন্তু থেমে নাই। আমাদের দেশ থেকে চুরি করে ঐ সব দেশে আবাস গাড়ে। ডলার নিয়ে গেলে কোনো প্রশ্ন নাই কোথা থেকে আনলো। মার্কোস এদের ইতিহাস লুটপাট-বাটপারি-তঞ্চকতায় ভরা। মার্কোস-পিনোশে-জেনারেল ফ্রাঙ্কো-পারভেজ মোশাররফ - এরা সব হইলো পশ্চিমের বড় বড় দোস্ত।

অশেষ শুভ কামনা।

৩৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

স্থিতধী বলেছেন: কাহারা কাহারা বয়স্ক এবং পুরাতন ধারনার উপর বসিয়া আছেন এবং কাহারা আধুনিক মনষ্ক এই বিচারের ভার আপনি নিজ স্কন্ধে তুলিয়া লইয়াছেন জানিয়া প্রীত হইলাম। অভিবাদন নিন।

দায়িত্ববোধ নিয়ে কথা ও কাজ না করলে মানুষ ও জগত সামনে এগোয়না। পুরাতন ক্যাচাল নিয়ে কচলা কচলি করে সুখ নেয় কেবল কেউ কেউ। আমি অতি বয়স্ক বা পুরাতন জগতের মানুষদের সাথে তর্কে নেমে সময় নষ্টে অনাগ্রহী, যেহেতু বেশী বয়সে খুব কম মানুষ জগত নিয়ে তাঁদের পুরাতন ধারণা বদলে থাকেন এভিডেন্স থাকার পরেও। এমনকি যদি বদলেও থাকেন, তবুও প্রাকৃতিক নিয়মের কারনেই তাঁরা তাঁদের বদলে যাওয়া ধ্যান ধারণা দিয়ে নিজের বা দুনিয়ার উপকার করার সময় সুযোগ খুব কম পাবেন, এটা রূড় বাস্তব। তবে আমার বিচার বোধ সর্বদা ভালো তা নয় । যেমন “ সত্যবাদিতা দেশে দেশে “ নামক এক টি লেখার শিরোনাম দেখলে এবং তাঁতে গবেষণার কথা উল্লেখ করলে, আমার মনে হ্য় যে আমি বোধ হয় সেখানে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন দেশে সত্যবাদিতার চর্চা বিষয়ে একটি তুলনা মূলক আলোচনা /চিত্র অথবা স্কলারলি লিটারেচার রিভিঊ পাবো । কিন্তু লেখাটি পড়া শুরুর একটু পরেই বোঝা যায় যে ইহা শুধু “সত্যবাদিতা যুক্তরাজ্যে -যুক্তরাষ্ট্রে” বিষয়ক লেখা; “ দেশে দেশে” শব্দদ্বয় সেখানে জাস্ট কথার কথা । স্কলারলি লিটারেচারে ৮০ ভাগ শুধু আমেরিকার তথ্য । যেন যেকোন গড় পাঠক এর কমন সেন্স এটা জানতোই না যে মিথ্যাবাদী মানুষ সারা দুনিয়ার সব জায়গার মতো আমেরিকাতেও পাওয়া সম্ভব, তাই তো শুধু আমেরিকার তথ্য দিয়ে ই লেখা সয়লাব ! বাংলাদেশী সাধারণ পাঠকরা নিশ্চয়ই আজকাল নিজ দেশের থেকে আমেরিকার সত্যবাদিতা নিয়ে জানতেই বেশী আগ্রহী। আমিও ভুলে যাই যে আমরা এখন ইন্টারনেট ক্লিক বেইটের যুগে বাস বাস করছি। লেখার শিরোনাম বা লেখক দেখেই লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সঠিক অগ্রিম বিচার যে আমি করতে পারিনি , সেই ব্যর্থতাটি অবশ্য আমার ই।

...আপনি জানেন বাংলাদেশের বাজার গবেষণা সংস্থাগুলো এমন একটি সার্ভে কত টাকা বাজেটের মধ্যে নামিয়ে দিতে পারবে?

- সার্ভে এবং পিয়ার রিভিউ হওয়া গবেষনা পত্রের মধ্যেকার পার্থক্য আপনার জানা আছে বলেই মনে হয়েছিলো।


জী, আর আমারো এটা মনে হয়েছিলো আপনাকে বুঝি সব কথার ই তর্জমা ও তাফসীর সহকারে ব্যাখ্যা না দিলেও চলে। তবে আমি আবারো ভুল বুঝেছি । আপনি ফান্ড নিয়ে বারবার জোড় দেয়াতে আমি ঐ মন্তব্য করেছিলাম । বাজার বা সামাজিক গবেষণার প্রয়োজনে একটি বড় আকারের সার্ভে করার দায়িত্ব কোন বাজার / সামাজিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কে দেয়াই যায় এবং পরবর্তীতে সেই সার্ভের ফলাফল অন্য গবেষকরা ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ করে এবং তা নিয়ে প্রবন্ধ লিখে সেটাকে কোন জার্নালে সাবমিট ও করতে পারেন যদি ডাটা নিয়ে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট না থাকে। লেখা এবং গবেষণা মানের দিক দিয়ে উৎরে গেলে, সেগুলো অনেক পীয়ার রিভিঊড জার্নালে প্রকাশিতও হয়। উদাহারণ লাগবে? আপনার ই শেয়ার করা প্রলিফিক লায়ারস নিয়ে যুক্তরাজ্যের ২৯৮০ জন ব্যাক্তির উপর চালানো জরীপটি করা হয়েছে অমন ই একটি কমার্শিয়াল বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়। নিজ তত্তাবধানে গবেষকরা ঐ সার্ভে চালান নি। পেপারের মেথডলজি সেকশনে গবেষকরা জানাচ্ছেন;

“To examine the extent and nature of lying in the United Kingdom, The Science Museum of London commissioned an Internet survey using the OnePoll omnibus panel of adults distributed across four major subdivisions of the United Kingdom. The omnibus Internet panel is a commercial survey research tool used for multiclient studies. OnePoll is a member of ESOMAR (European Society for Opinion and Market Research), and the organization subscribes to both the MRS (Market Research
Society) code of conduct and ESOMAR standards to assure confidentiality, ethical practices, and sound research procedures”


এই পেপার টি একটি উদাহারণ এই সত্যের যে, যখন গবেষকদের তাঁদের নিজ নিজ ফিল্ডে সত্যিই আগ্রহ থাকে তখন তাঁরা সর্বদাই কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রতিষ্ঠানের ফান্ডিং এর আশায় বসে না থেকে নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে গবেষণা ঠিক ই চালিয়ে যান। কারন অনেকেই শুধু চাকরি সূত্রেই গবেষক হন না, তাঁরা সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার সাথেই গবেষক হন । আলোচ্য গবেষকরা লন্ডন মিঊজিয়াম অফ সাইন্সের কাছে ডাটা আবেদন করেছেন এবং ডাটা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং এই গবেষণা কাজ, লেখালেখি ও প্রকাশনা তে কোনরূপ ফান্ডিং যে পাননি সেটা জানাচ্ছেন ;

“The authors wish to thank Katie Maggs, Curator of Medicine; and Andrew Marcus, former Press Officer at The Science Museum of London, for generously sharing the data from their study. . . .
The author(s) received no financial support for the research, authorship, and/or publication of this article.”


ফান্ডিং আগে নাকি নিজ কর্মক্ষেত্রে সততা ও সদিচ্ছা আগে সেটা নিয়ে ভাবার মতো একটা উপাদান আপনারই শেয়ার করা একটি গবেষণা প্রবন্ধ থেকে দিয়ে দিলাম । বাকি বাংলাদেশের একাডেমিয়াতে এমন অনেক গবেষকরাই আছেন যারা দেশের অনেক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের মতোই গবেষণা কাজে বরাদ্দ ফান্ডের টাকা নিজের ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করার মাধ্যমে ফান্ডের টাকা মেরে খেতে অভ্যস্থ । ভুয়া পি এইচ ডি আর অন্যের লেখা নিজে নামে চালানোর মতো ঘটনা তো আছেই । সদিচ্ছা, সততা , নৈতিকতার চর্চা ইত্যাদি শুধু নেতা বা প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য হয়না, তা গবেষকদের নিজেদের জন্যও প্রযোজ্য।


--যাহারা ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায় তাহারা গুগুল দিয়া রিসার্চ পেপার খুঁজিবে ইহাতে আশ্চর্যের কিছু নাই। তবে অন্যরাও আপনার মতো গুগুল দিয়া রিসার্চ পেপার খোঁজে এমন না ভাবাই ভালো।

জী, প্রায় ৪০ কোটি স্কলারলি লিটারেচারের ডাটা ধারণ করা দুনিয়ার সর্ববৃহৎ স্কলারলি আরটিকলের ডাটাবেইজ সমৃদ্ধ এই “গুগল স্কলার” সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে যে বিশ্বের হাজারো একাডেমিক ও অন্যান্য গবেষকরা নিতান্ত ছাগুদের ন্যায় আচরণ করিতেছে এই মহান সত্যটি আমি আপনার ন্যায় বুজুর্গ কামেল ইনসান ব্যাতীত আর কার কাছেই বা জানিতে পারিতাম! সামু ধন্য আপনার পদ চারণায় । এখন মনে হচ্ছে প্রতিটি স্কোপাস ইন্ডেক্সড জার্নালের পাবলিশাররা তাঁদের সব নতুন প্রকাশিত স্কলারলি পেপারের এক কপি প্রিন্টেড ভার্সন আপনার ঠিকানায় নিয়ম করে পাঠিয়ে দেয়, আর আপনার পড়ার ঘড়ের বুক সেলফে সেগুলো নিশ্চয়ই শোভা বর্ধন করে। কলি ও ডিজিটাল যুগের নাদান মূর্খ এই আমি ঘটনাক্রমে কোনদিন দেখা হলে আপনার পদ ধূলি নেবো নিশ্চয়ই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ব্লগে আসা খুব অনিয়মিত হয়ে গেছে বলে আপনার মন্তব্যগুলোর প্রত্যুত্তর করা হচ্ছে না বলে দুঃখিত। নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি, আশা করছি শীঘ্রই ফিরে আসবো। ধৈর্য ধরে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৪০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২

স্থিতধী বলেছেন: ইহুদি-নাসারার ষড়যন্ত্র এবং সৌদির রিসার্চ একটিভিটি খোঁজার মধ্যে যোগসুত্র থাকতেও পারে, তবে আমার লেখার বিষয় ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা মিথ্যা বলে না এই দাবি মিথ্যা প্রমান করা, এর সাথে সৌদির রিসার্চের সম্পর্ক দেখি না।

“ইউরোপের বেশীরভাগ মানুষ, জাপান, আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা গড়ে সত্য বলেন। মিথতা কথা বেশী বলেন এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতে । “

উপরের এই মন্তব্য আলোচ্য দুই ব্লগারের মাঝে একজনের। ইনি “ইঊরোপে মিথ্যা বিরল” বলেন নাই। আরো মজার ব্যাপার দুজনের কেউ ই আপনার ভাষায় “ ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা মিথ্যা বলে না” এই মন্তব্য করেনাই কিন্তু । অথচ আপনার লেখার বিষয়ই নাকি হয়ে গেলো সেটা ! একজন ইঊরোপে মিথ্যা বিরল দাবি করেছেন, নাই বলেননি । আরেকজন বলতে চাইছেন যে ইউরোপ, জাপান, কানাডা, আমিরিকা অষ্ট্রেলিয়ার মানুষেরা গড়ে বেশী সত্য বলে এশিয়ান ও আফ্রিকান মুসলিম দেশগুলোর থেকে। বিষয়টা এখন আপনাকে আপনারই শেয়ার করা একটা পেপার থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলি তাহলে;
প্রলিফিক লায়ার নিয়ে পেপার টি মূলত একটি ক্রস কান্ট্রি ইভালুয়েশন স্টাডি, এই স্টাডির ২৯৮০ স্যামপ্লের পুরোটাই ইউ কে এর মানুষের উপর, আর এটার ফাইন্ডিংস গুলোকে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে আরো অনেক আগে আমেরিকাতে হওয়া একটা কিছুটা এক রকমের ( তবে এক নয়) একটা স্টাডির ফাইন্ডিংসগুলোর সাথে । তবে এ মেলানোর চেষ্টা করতে গিয়ে তাঁদের স্টাডীর সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে , যেমন তাঁরা বলছেন ; “First, cross-national comparisons have to be qualified; the U.K. data were not measured in a way that is entirely consistent with data collected in the United States. …Finally, the recurring criticism that self-reporting raises also may be directed to this study.


৩৫ নং কমেন্টে আমিও এসব বিষয়ে সেলফ রীপড়টিং যে সর্বদা ভরসা যোগ্য নয় এবং দুটো ভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির মাঝের সামাজিক বিষয়ের তুলনা করতে গেলে যে হুবুহু একই স্কেল ব্যবহার জরুরী সে বিষয় গুলো উল্লেখ করেছি। যাই হোক, এই সীমাবদ্ধতাগুলোকে মাথায় রেখেই এই গবেষণা পত্রটি ইঙ্গিত দিতে পারছে যে আমেরিকার তুলনায় ইউ কে এর মানুষদের মিথ্যা বলার প্রবণতা বেশী। তাঁরা বলছেন; Given that the U.K. scale will tend to understate the number of lies by prolific liars, the cross-national comparison of lower frequency lying provides some evidence that, normatively, lying is more prevalent in the United Kingdom than in the United States

ইউ কে যেহেতু ইউরোপের একটি দেশ সেই উছিলা দিয়ে আপনি আপাতত সেই ব্লগার কে ( যিনি বলেছেন ইঊরোপে মিথ্যা বিরল) এটা দেখাতে পারলেন যে ইউরোপের এক দেশ ইউ কে এর মানুষ মিথ্যা তো বলেই ( সেটা সাদা মিথ্যা আর ডাহা মিথ্যা মিলিয়ে যেটাই হোক), তাঁরা এমনকি আমেরিকার মানুষদের থেকেও বেশী মিথ্যা বলে । এখন ঐ দ্বিতীয় ব্লগারের কথা গুলোকে ভুল প্রমাণ করার জন্য আপনাকে এমনই কোন ধরণের তুলনামূলক গবেষণা দেখানোর আয়োজন করতে হবে যা কিছু হলেও এভিডেন্স দিতে পারবে যে, ইউরোপ, জাপান, কানাডা, আমিরিকা অষ্ট্রেলিয়ার ইত্যাদি যেকোন একটি দেশের মানুষেরা, এশিয়ান বা আফ্রিকান মুসলিম দেশগুলোর মানুষের থেকে বেশী মিথ্যা বলে । কারন সেই ব্লগার তাঁর মন্তব্য গুলোই করেছেন তুলনা বাচক শব্দ দিয়ে ( ‘গড়’ ও ‘বেশী’)। সৌদি আরব যেহেতু এশিয়ান মুসলিম দেশগুলোর মাঝে একটি প্রধান ক্ষমতাশালী, ধনী গণতন্ত্র বিহীন ধর্মীয় পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ; যার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সহ নানা ডিসিপ্লিনে গবেষণা হয়, তাই এক্ষেত্রে সৌদি আরব হতে পারতো এক ভালো উদাহারণ। তাঁদের দেশেও যদি এমন কোন গবেষণা বের করা যেতো যা ঐ দেশগূলোর সাথে তুলনা করে দেখিয়ে দিতে পারতো যে সৌদি আরবের মানুষ তাঁদের থেকে বেশী সত্য বলে থাকে , তবেই তখন ঐ ব্লগার কে সেই সব স্কলারলি ফাইন্ডিংস দেখিয়ে ভুল প্রমাণ করে দেয়া যেতো; যেটা কিনা আপনার বর্তমান পোস্টে হয়নি। এই অভাবটি সেকারনেই আমি ছাড়াও অন্য অনেক ব্লগার আপনার এই পোস্টের মন্তব্যে উল্লেখ করে গেছেন ।

আর অন্যত্র বলেছি, পুঁজিবাদের বিকাশ না হলে রিসার্চের ফান্ড আসবে না।

পুঁজিবাদের সাথে রিসার্চ ফান্ডিং এর বিষয়টা খানিকটা গুরুত্বপূর্ণ হয় প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের গবেষণা গূলোর প্রসঙ্গে, যেহেতু সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ল্যাব ও অন্যান্য আনুষঙ্গিঙ্ক টেকনোলজীতে বিনিয়োগের বিষয় গুলো প্রাধান্য পায়। মূলত মিলিটারি এডভান্টেজ নেয়ার বিষয় টিকে মাথায় রেখেই এসব গবেষণায় গুরুত্ব ও বরাদ্দ বেশী রাখার প্রবণতা দেখা যায় আমেরিকার মতো যুদ্ধবাজ পুঁজিবাদী দেশ গুলোতে । কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাতে ফান্ডিং , দেশ পুঁজিবাদী যদি নাও হয় তাহলেও আটকে থাকার কথা নয়্, কারন সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা প্রছন্ড ব্যায় সাপেক্ষ বা প্রযুক্তি মুখাপেক্ষী নয়। তাই এ জাতীয় সামাজিক গবেষণার সাথে পুঁজিবাদ অবান্তর বিষয়। আর আপনি যদি পুঁজিবাদ কে এখানে ‘প্রতিযোগিতার’ সাথে যুক্ত শব্দ হিসেবে ব্যাবহার করে থাকেন তবে আপনি বুঝে না বুঝে প্রতিযোগিতা ভিত্তিক পুঁজিবাদের একটি অন্যতম মৌলিক নৈতিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক এক উপাদান কে উল্লেখ করেন নি, এ নিয়ে পরে বলছি।

আমাদের দেশে ফান্ডিং না আসার পেছনে আপনি যেসব অন্য কারন দিচ্ছেন ( যেমন নেতাদের জীবনী গবেষণা) ইত্যাদি কোন সমস্যা ছিলোনা যদিনা নিদেনপক্ষে সেইসব গবেষণাও সৎ ও মান সম্পন্ন হতো, তোষামোদি ও তেলবাজীর নিমিত্তে না করা হতো। কিন্তু যেহেতু আপনি নিজেই বলছেন “মান সম্পন্ন গবেষনা না করেও প্রোমোশন পাওয়া যায়“ সেটা ইঙ্গিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছে করে ভুল মাপকাঠিতে যোগ্যতা নির্ণয় করে। দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি বা রাজনৈতিক তোষামোদি জাতীয় গবেষণার ভিত্তিতে নিয়োগ বা পদোন্নতি নির্ধারণ হয় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে। অন্যদিকে কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ “গবেষকরা” এমনকি সহজ থেকে সহজ গবেষণার জন্যও বড় বড় ফান্ডের আশায় বসে থাকবেন ( ঠিক যেমনটা অনেক কাজের কাজ না করা এন জি ও গুলো করে) , অথবা কেবলমাত্র প্রমোশনের লোভে টুক টাক এটা সেটা গবেষণা কাজ করবেন। নিজের গরজে, বিষয়ের প্রতি সৎ আগ্রহ থেকে গবেষণা করার কোন সদিচ্ছা তাঁদের নেই। সামগ্রিক ভাবে এ জাতীয় সমস্ত বিষয় গুলোকে আপনি একাডেমিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক দুর্নীতি / নীতিহীনতা হিসেবে উল্লেখ না করে আলপটকা কেবল পুঁজিবাদের নাম নিয়ে কথা বলে গেলে সেটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকা হয় আরকি।

৪১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫১

স্থিতধী বলেছেন: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কিছু ছাত্র শিক্ষক একটা ন্যানো স্যাট তৈরী করেছে বলে দাবি করা হয়। এটার সাথে জাপানি একটা বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত আছে। বাংলাদেশ থেকে স্যাটেলাইট তৈরি করে নাসায় পাঠানোর ঘটনা আমার জানা নেই। তথ্য সূত্র দেয়ার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ থেকে বলতে যে বাংলাদেশের মাটি থেকেই বুঝিয়েছি তা নয়। তবে জাপানের সাথে কোলাবরেশনের সেই উদ্যোগটি যে বাংলাদেশের সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকরা নিয়েছেন এবং বাংলাদেশের ই টীমের ডিজাইন ও এসেম্বলিং এ তৈরি করা ন্যানো স্যাটেলাইটটি যে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠিয়ে তা লঞ্চ করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ হয়েই, বাংলাদেশের ই কাজের জন্যে; সেই তথ্যটি জানিয়েছি। অবশ্য ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্র , ট্রেনিং ও শেষে সৈন্য দিয়ে সহায়তা করেছে বলে অনেকে -ই আবার বাংলাদেশের নিজ মাটির মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান পাবার দাবী টিকেও খর্ব করতে চায় এবং একে কেবল ই পাক- ভারত যুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চায় বাংলাদেশের “মুক্তিযুদ্ধ” ও “মুক্তিযোদ্ধা” শব্দ গুলোকে এড়িয়ে গিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের দাবীটির স্বীকৃতি যেমনটা দিতে চায়নি সৌদি আরব এ দেশের প্রধানতম স্থপতির সপরিবারে হত্যাকান্ডের আগ পর্যন্ত। এরা নিশ্চয়ই আমেরিকার রেভোলুশনের সময়ে ব্রিটিশদের বিরোদ্ধে আমেরিকা কে করা ফ্রান্সের যাবতীয় কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা গুলোর জন্যও সব ক্রেডিট কেবল ফ্রান্স কেই দিতে চায়, বিপ্লবী আমেরিকানদের নয়।

" The low-cost small satellite, categorized as nanosat, has been designed, developed and assembled by Brac University students-Abdulla Hil Kafi, Maisun Ibn Monowar and Raihana Shams Islam Antara.. Kyutech-one of the best technology universities of Japan collaborated with Brac University in developing the first nanosat. As part of its academic endeavours, Brac University took this initiative of starting space and remote sensing research in collaboration with Kyutech and SPARRSO almost three years ago..
Brac University considers this to be a milestone for "Space Technology Transfer" since it is the first time a Bangladeshi university is working in the field of satellite engineering and technology"

https://www.brac.net/brac-in-the-media/item/1021-brac-students-make-nano-satellite

"SpaceX launched the satellite on its CRS-11 mission to the International Space Station (ISS) on 3 June 2017. The satellite was carried in a Dragon spacecraft on a Falcon 9 rocket, launched from NASA's Kennedy Space Center, LC-39A"

https://en.wikipedia.org/wiki/BRAC_Onnesha

কিন্তু ইউনিভার্সিটির বাইরেও যে ব্যাক্তিগতভাবে কোন গবেষক বা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একদল গবেষক তাঁদের গবেষণা কর্ম পীয়ার রিভিঊ জার্নালগুলোতে জমা দিতে পারেন এবং তা মানে উন্নত হলে সেসব জার্নালে প্রকাশিত ও হয় সে তথ্যটা আর দেননি
-- মিথ্যা কথন। … আমার কমেন্টের কোথাও বলা হয় নি রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে লিমিটেড। বলা হয়েছে রিসার্চের জন্য ফান্ড লাগে।… যে কোন গবেষনা প্রতিষ্ঠানেই ফান্ড এলোকেট করা হয় রিসার্চের মেরিটের ওপর। ফান্ড এলোকেটররা যার প্রজেক্ট পছন্দ করবে তার প্রজেক্টে ফান্ডিং করবে


“রিসার্চের জন্য ফান্ড লাগে। ফ্যাকাল্টিরা ফান্ডের জন্য এপ্লাই করে। ফান্ড লিমিটেড।“

২১ নং কমেন্টের এই মন্তব্য তাহলে আপনার নয়? রিসার্চ ও তাঁর ফান্ডিং নিয়ে মন্তব্যটি করার সময় আপনি “ফ্যাকাল্টিরা” ফান্ডের জন্য এপ্লাই করে এই তথ্যটি দেন নি? শেষের দিকে আবারো কেনো আমেরিকায় নেতা নেত্রীর জীবনী গবেষণার মতো কাজে ফান্ড আসেনা বলতে গিয়ে পুঁজিবাদী পন্থায় বিশ্ব বিদ্যালয় চালানোর সুবিধার কথা উল্লেখ করেন নি? নন ইউনিভারসিটি রিসার্চগুলো যে ফান্ড পেয়ে / না পেয়ে পীয়ার রিভিঊড জার্নালে প্রকাশিত হতে পারে সেটার উল্লেখ কি ছিলো ওখানে? এখন বলছেন ;

“ফান্ড এলোকেটররা যার প্রজেক্ট পছন্দ করবে তার প্রজেক্টে ফান্ডিং করবে।“

এই ফান্ড এলোকেশন ও তাঁর জন্য এপ্লিকেশন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও হতে পারে সেটার স্পষ্ট উল্লেখ ছিলো ঐ ২১ নং মন্তব্যে? আপনি যে সেই তথ্যটা ঐ মন্তব্যে দেন নি সেই কথা বলে আমি মিথ্যা কথা বলে ফেলেছি! হুমম … আপনার বিবেচনাবোধ ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা দেখে বারবার মুগ্ধ হতে হচ্ছে।

৪২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

স্থিতধী বলেছেন: ভালো গবেষনার বেশির অংশ ইউরোপ-নর্থ আমেরিকা থেকে হয়, এর বাইরে জাপান, চীন, কোরিয়া, ইজরায়েলের বাইরে গবেষনা তুলনামূলক কম।

উপরের একটা কমেন্টে বলেছিলাম যে প্রতিযোগিতা ভিত্তিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থার একটি অন্যতম উপদানের কথা উল্লেখ করবো যা আপনি হয় এড়িয়ে গেছেন অথবা ভুলে গেছেন । সে উপাদান টির নাম হল গণতন্ত্র । যে দেশ গুলোর নাম আপনি উল্লেখ করেছেন তাঁর মাঝে চীন বাদে বাকি প্রত্যেকটি দেশে পূর্ণ কার্যকরী কিংবা আংশিক কার্যকরী গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান ইকনমিস্টের ২০১৯ বিশ্ব গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী। অর্থাৎ আপনার কথা অনুযায়ী দেশগুলো যদি গবেষণাতে ভালো হয় তবে আপনার দেয়া দেশের তালিকাতেই এক অথরিটারিয়ান চীন বাদে বাকি সকল দেশ বিভিন্ন রকমের পুঁজিবাদের সাথে সাথে গণতন্ত্র কেও ভালো ভাবেই ধারণ করে যেহেতু এদেরকে হাইব্রিড রেজিম ধরা হয়নি ঐ সূচকে । চীন আপনার দেয়া তালিকাতে একটি আউটলায়ার বা ব্যাতিক্রম বিবেচিত হবে এক্ষেত্রে কারন চীন প্রকৃত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভিত্তিক পুঁজিবাদ বা গণতন্ত্র এই দুরকমের বৈশ্বিক সূচকেই বাকি দেশগুলোর থেকে বেশ পেছনে রয়েছে । অন্যদিকে অরগানিক সুস্থ প্রতিযোগীতা কে হত্যা করে ( গণতন্ত্র ও এ প্রক্রিয়ায় খুন হয় সাধারণত ) রাষ্ট্রে যে পুঁজিবাদের সৃষ্টি করা হয় পণ্ডিতেরা তাঁর নাম দেন ক্রোনি ক্যাপিটালিজম। আপনার আশপাশে ভালো করে তাকালে বোধ করি তাঁর অনেক নমুনা দেখতে পারবেন।

"গনতন্ত্রের সাথে সুশাসনের সম্পর্ক খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না "

এই কথা আপনি আমার ৩০ নং কমেণ্টের প্রতি উত্তরে বলেছিলেন । এবার কৌতুহলের বশে একবার বোঝার চেষ্টা করি যে দেশ গুলোতে মূলত ভালো রিসার্চ হয় বলে আপনি উল্লেখ করেছেন সেগুলোতে গণতান্ত্রিক পুজিবাদের পাশাপাশি , রাষ্ট্রে সুশাসন বিদ্যমান কিনা? এর জন্য আমরা ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের Worldwide Governance Indicators নামক সূচকে গেলো বছরে এই দেশগুলোর সুশাসনের তুলনামূলক চিত্র এই লিঙ্কে পেয়ে যাবো। ইজরাইলের তুলনায় বেশী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকা বা কম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উপস্থিতির ইন্ডিকেটর টিকে বাদ দিয়ে বাকি প্রতিটি সুশাসনের ইন্ডিকেটরে বহু পিছিয়ে আছে অগণতান্ত্রিক অথরিটারিয়ান চীন। আজকের দুনিয়ায় চীন একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তি? অবশ্যই। কিন্তু ঐ বাকি গণতান্ত্রিক দেশগুলোর তুলনায়; চীনের অভ্যন্তরে, সুশাসন ভালো ; এভিডেন্স তা বলছেনা।




৪৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

স্থিতধী বলেছেন: আপনার ধারণা এই সব দেশের বাইরে মেধাবি লোক নেই? নাকি সদিচ্ছা নেই?

এক টা জিনিষ আগের আলোচনাগূলো থেকে পরিষ্কার।তুলনামূলক ভাবে ওসব দেশের প্রায় সবগুলোতে; গণতন্ত্র , পুঁজিবাদ ও সুশাসন বেশী বিদ্যমান ।

মেধাবী লোক ওসব দেশের বাইরে অতি অবশ্যই আছে। কিন্তু পুঁজিবাদের ভালোটা দেখতে দেখতে পুঁজিবাদের অন্য ইমপ্যাক্ট বা বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা ভুলে যাচ্ছেন ; যেমন বেইন ড্রেইন। পুঁজিবাদী আমেরিকা, কানাডা, ইউ কে এর মত দেশগুলোতে প্রতি বছর অর্থ পাচারের সাথে সাথে মেধা পাচার ও হচ্ছে সারা বিশ্ব থেকে। সারা বিশ্বের সেরা মেধারা এসব দেশে গিয়ে গবেষণা কর্মে যোগ দিচ্ছে । পাচার কৃত অর্থ আর মেধায় লাভবান হচ্ছে ঐ সব পুঁজিবাদী দেশ। কিন্তু কেন যাচ্ছে মেধাবীরা ওসব দেশে? কারন নিজ নিজ দেশের তুলনায় ওসব দেশে গণতান্ত্রিক / অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সুশাসন অনেক বেশী বিদ্যমান । এর কারন তাঁদের নিজ দেশের নীতি নির্ধারকেরা প্রায়শই নীতিহীন ও গণ ঊন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সদিচ্ছা বিহীন।

কিন্তু পুঁজিবাদী দেশে অনিয়ন্ত্রিত ও আত্মকেন্দ্রিক পুঁজিবাদী চর্চা কি সমাজের প্রভাবশালী অংশে নীতি হীনতা বাড়িয়ে দিয়ে সামাজিক বৈষম্য তৈরি করার মাধ্যমে সমাজে অরাজকতা তৈরি করতে সক্ষম ? অন্যদিকে না গিয়ে আমি বরং আপনার শেয়ার করা দ্বিতীয় পেপারটির কয়েকটি অবজারভেশন নীচে উল্লেখ করি, যা আমেরিকান সোসাইটি কে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে । তবে তাঁর আগে বলা ভালো এই দারুন গবেষণাটি কেবল আমেরিকার সত্যবাদিতা নিয়ে ছিলোনা, ছিলো নৈতিক আচরণ কেন্দ্রিক; যেমন আমেরিকার রাস্তায় কারা ট্রাফিক আইন বেশী ভঙ্গ করার চেষ্টা করে সেটিও গবেষণার অন্তর্ভুক্ত বিষয় ছিলো ;

“Furthermore, economics education, with its focus on self-interest maximization, may lead people to view greed as positive and beneficial (26, 27). Upper-class individuals, who may be more likely to serve as leaders in their organizations (2), may also be more likely to have received economics-oriented training and to work in settings that hone self-interest. These factors may promote values among the upper class that justify and even moralize positive beliefs about greed.”

“As our findings suggest, the pursuit of self-interest is a more fundamental motive among society’s elite, and the increased want associated with greater wealth and status can promote wrongdoing. Unethical behavior in the service of self-interest that enhances the individual’s wealth and rank may be a self-perpetuating dynamic that further exacerbates economic disparities in society, a fruitful topic for the future study of social class.”

তাহলে দেখতে পাচ্ছি নীতি হীনতা, ভুল মূল্যবোধ, আত্ম কেন্দ্রিক পুঁজিবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা ও কেবল সম্পদ লাভের মাধ্যমে সমাজের উঁচু তলায় উত্তরণের চেষ্টা গুলোকে এই গবেষকেরা সমাজের জন্য নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন এবং এগুলোকে আমেরিকার এলীট শ্রেনীর বৈশিষ্ট্য রূপে পেয়েছেন। অর্থাৎ সমাজের এলিট ও নেতৃত্বদানকারী অংশটির নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিষয়টি এই স্কলারেরা অবজ্ঞা করেননি মোটেও। তাঁদের এই বিশ্লেষণ ও বিবেচনা বোধটি অবশেষে ভবিষ্যতে সত্যি প্রমাণ হয়েছে, কারন ২০১৬ তে আমেরিকান ধনী এলীটদের সুযোগ্য প্রতিনিধি জনাব ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেছেন এবং এরপর আমেরিকাতে যা যা ঘটে চলেছে তা আমেরিকান ইতিহাস কে পেছনের দিকে টানছে । গণ তন্ত্র আমেরিকাকে এখন রক্ষা করতে পারবে কিনা, তা সময় বলবে।

“সত্যবাদিতা দেশে দেশে" শিরোনামের একটি লেখায় কেমন ধরণের গবেষণা থাকতে পারতো?

Hugh-Jones, D. (2016). Honesty, beliefs about honesty, and economic growth in 15 countries. Journal of Economic Behavior & Organization, 127, 99-114.

https://www.scmp.com/lifestyle/article/1879850/chinese-most-dishonest-japanese-and-british-least-study-finds

উপরের এই গবেষণাটি একই মেথডে করা সততা বিষয়ক ১৫ টি দেশের উপর একটি ক্রস কালচারাল গবেষণা। ১৫ টি দেশের ভেতর ইঊরোপ, উত্তর আমেরিকা , লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া মহাদেশের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত ছিলো। অর্থনৈতিক ভাবে বিভিন্ন স্তরে থাকা দেশ গবেষণার জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিলো। দুটি ভিন্ন পরীক্ষাতে সব গুলো দেশের মাঝে সব মিলিয়ে চীন কে সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি করতে দেখা যায় আর গ্রেট ব্রিটেন কে দেখা যায় সবচেয়ে কম । মুসলিম প্রধান দেশ হিসেব একমাত্র তুরস্ক ছিলো যেটি দুটি পরীক্ষার মাঝে একটিতে সব চেয়ে বেশী দুর্নীতি করলেও অপরটিতে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। মানে এশিয়ান বা ইউরোপিয়ান মুসলিম অধ্যুষিত দেশ বিষয়ে উক্ত ব্লগার বেশ খানিকটা ভুল ভাবছেন এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী।গবেষণায় এশিয়ান দেশগুলোর মাঝে জাপান সবচাইতে সৎ হিসেবে আবির্ভূত হয়। গবেষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সততার যেরকম সম্পর্ক খুজে পান সেটার ব্যাখ্যা করেছেন নিম্নোক্ত ভাবে ;

“One explanation is that when institutions and technology are underdeveloped, honesty is important as a substitute for formal contract enforcement. Countries that develop cultures putting a high value on honesty are able to reap economic gains. Later, this economic growth itself improves institutions and technology, making contracts easier to monitor and enforce, so that a culture of honesty is no longer necessary for further growth.”

অন্যদিকে গবেষণা টি একটি ইন্টারেস্টিং মনস্তাত্তিক বৈশিষ্ট্য দেখতে পায় বিভিন্ন দেশের মানুষের মাঝে নিজের দেশ নিয়ে ;
“Surprisingly, people were more pessimistic about the honesty of people in their own country than of people in other countries”

গবেষক একে মনস্তাত্তিক কগ্নিটিভ বায়াস রূপে আখ্যায়িত করেছেন । নিজ দেশের মানুষের সততা নিয়ে সবচাইতে বেশী নিরাশাবাদী ছিলো চীন ও গ্রীস। চীন সত্যি-ই গবেষনায় সবচেয়ে বেশী দুর্নীতি পরায়ণ রূপে আবির্ভূত হলেও গ্রীস তেমন দুর্নীতি পরায়ণ রূপে আবির্ভূত হয়নি, যদিও অন্যান্য দেশের অনেকেই গ্রীস কে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে আখ্যা দিয়ে রেখেছিলো।

মজা হচ্ছে যে, এখন যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে তাঁরা এই গবেষণা কে প্রত্যাখ্যান করতেই পারে এই ভেবে যে যেহেতু একটি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই গবেষণার ফান্ডিং করেছে সেহেতু এর ফলাফলে গ্রেট ব্রিটেনের লোকদের এশিয়ান আর আমেরিকানদের থেকে বেশী সৎ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবার অন্যদিকে যারা পীয়ার রিভিঊড গবেষণা কে গুরু বচন রূপে মেনে নেয়, তাঁরা হয়তো বিনা বাক্য ব্যায়ে এই গবেষণা প্রাপ্ত নতুন তথ্যগুলো দিয়ে নিজেকে আরো আপডেট করে নিতে চাইবে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সততার চর্চা ও দর্শন নিয়ে আরেকটি পুরনো নৃতাত্ত্বিক ধারার পীয়ার রিভিঊড গবেষণা রয়েছে তবে সেটা আর এখন বলে আমার লম্বা মন্তব্য কে আরো লম্বা করতে গেলাম না আর।

৪৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের ছবিটাই তো অনেক কিছু বলে দেয়!
সূত্রোল্লেখপূর্বক আলোচনা করেছেন, তাই আলোচনাটি বিশ্বাসযোগ্য এবং আগ্রহোদ্দীপক হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: মিথ্যা হলো সব অপরাধের জননী। তাই মিথ্যা এড়িয়ে চলবো এটাই সবার কর্তব্য - আমিও এ কথার সাথে একমত। আমাদের হোয়াইট লাই বলার অভ্যেসটাও পরিহার করতে হবে, কারণ হোয়াইট লাই বলতে বলতেই মানুষ এক সময় 'প্রলিফিক লায়ার' হয়ে যায়, তখন আর জিহ্বা ছোট বড় মিথ্যের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না।
৮ নং প্রতিমন্তব্যটির শেষাংশ বেশ ভাল লেগেছে।
পোস্টে ভাল লাগা + +

২৯ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মা.হাসান বলেছেন: মিথ্যা হলো সব অপরাধের জননী।
আমার স্কুলে একজন শিক্ষক ছিলেন, উনি বলতেন- ঠাট্টা তামাশ করেও মিথ্যা বলবে না। এটাও পাপ। আরেক শিক্ষক বলেছিলেন- জীবন বাঁচানো ফরজ না, ঈমান বাঁচানো ফরজ।
দুজনের কারো শিক্ষাই নিজ জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি নি।
হোয়াইট লাই বলতে বলতেই মানুষ এক সময় 'প্রলিফিক লায়ার' হয়ে যায়, তখন আর জিহ্বা ছোট বড় মিথ্যের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না।
খুব সুন্দর বলেছেন। এত সহজ করে বলা সকলের জন্য সম্ভব না।

আর ৮ নম্বর মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যের কথা কি বলবো- জগৎ পুরুষ চালায় নাকি মহিলারা চালায় -এটা অনুধাবন করা অবিবাহিত পুরুষের পক্ষে সম্ভব না।

৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "খুব বেশি গবেষণা না করেই বলা যায়, যারা চার বিয়ে করেছেন এদের তুলনায় আপনি চারগুন বেশি সত্যবাদি" - চমৎকার বলেছেন! :) আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এখন কেমন আছেন, বলতে পারেন?
বিদেশের শপিং মলে হাসান কালবৈশাখী এর এবং কোলকাতা বিমান বন্দরে আপনার ওয়ালেট হারিয়েও ফিরে পাবার স্বস্তিকর অভিজ্ঞতার কথা পড়ে ভাল লাগলো।
করুণাধারা এর মন্তব্যের একটি অংশ সম্পর্কে আমার বক্তব্যঃ আমিও এ ভ্রান্তির শিকার। আমার প্রকৃত জন্মতারিখ সনদের তারিখ থেকে ভিন্ন। ফলে, ছাত্র জীবনের শেষের দিকে এবং কর্ম জীবনের পুরোটাতে নানা প্রকারের ফর্ম পূরণের সময় জন্মতারিখ লেখার সময় খুবই অস্বস্তি বোধ করতাম। করুণাধারার ভাষায়, এই মিথ্যা সারাজীবন বয়ে চলেছি। সন্তানের পিতা হবার আগেই আমি পণ করে ফেলেছিলাম, আমার সন্তানদের জন্মতারিখের ব্যাপারে এমন ভুল কখনোই করবো না। করিও নাই। আমার সন্তানদেরকেও এ ভুল করতে দেইনি। ভাইবোনদেরকেও তাদের সন্তানদের ব্যাপারে এ সুপরামর্শটি দিয়েছিলাম। কারো কারো বেলায় ওরা সেটি পালন করেছে, কারো বেলায় করেনি। কিন্তু আমার স্বস্তি, আমি বলেছি।

২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৫

মা.হাসান বলেছেন: আশরাফুলই ইসলাম ভাইয়ে অসুস্থতা বেশ বৃদ্ধির কথা প্রামানিক ভাইয়ের পোস্ট থেকে জেনেছিলাম । আমি নিজে বিভিন্ন ব্যস্ততায় ব্লগে গত তিন-চার মাস খুব কম আসতে পারছি, যখন এসেছি প্রামানিক ভাইকেও কম দেখেছি। আশরাফ ভাই সামু পাগলার আড্ডা ঘরের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। গত কাল বিদ্রোহি ভৃগু ভাইয়ের এক পোস্ট থেকে জানলাম সামু পাগলাও অনেক দিন যাবত অনুপস্থিত। ডঃ আলী ভাইও খুব একটা সুস্থ না বলে শুনেছি। সকলের সুস্থতা কামনা করি । সকলেই ফিরে এসে ব্লগ মাতিয়ে রাখুন, এই কামনা করি।

জন্মতারিখের সমস্যা একটা সিস্টেমের সমস্যা। আমারা অনেকেই এর শিকার। আরেকটি উদাহরণ দেই। ভারতের ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য (এবং যতদূর মনে পড়ে ইউকের জন্যেও) বাবা-মা এর জন্ম স্থান (প্লেস অফ বার্থ) লিখতে হয়। এই ফর্ম অনলাইনে পুরণ করতে হয়। এই অংশ পুরণ না করলে পরের অংশে যাওয়া যায় না। যে তার বাবা-মায়ের প্লেস অফ বার্থ জানেনা সে কি করবে? যারা এই সিস্টেম ডেভেলাপ করেছে তারা কিন্তু এখানে 'অজানা' এরকম অপশন রাখেন নি। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমার মায়ের জন্য ভারতীয় ভিসার আবেদন করার ইচ্ছা আছে। আমার নানা বাচ্চা থাকা অবস্থায় ওনার বাবা-মা মারা গিয়েছিলেন। নানার বাবার বাড়ি সম্পর্কে মায়ের ধারণা এতটা বেশি নেই। কাজেই ঐ ফর্মে মিথ্যা তথ্য দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
সৌদি আরবে ইমিগ্রেশনে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো- তোমার সেকেন্ড নেম বলো। বললাম। এর পর জিজ্ঞাসা করলো - থার্ড নেম বলো। বললাম থার্ড নেম নাই। রেগে গিয়ে বললো- দাদা ছিলো না? দাদার নাম বলো। যে দাদার নাম জানে না তার কি হবে?

ইচ্ছাকৃত ভাবে, জেনেশুনে, চাকরির বয়স বাড়ানোর জন্য বা অন্য কোনো বেনিফিটের জন্য যদি কেউ ভুল জন্ম তারিখ দেয় তবে তা খারাপ কাজ বলে মনে করি। কিন্তু না জানার কারণে যখন ভুল তারিখ লিখতে বাধ্য হই তখন এটাকে পরিস্থিতির শিকার বলে মানা ছাড়া উপায় কি।
সরকার বয়স্ক ভাতা চালু করেছে। এর আওতা আর পরিমান দুই ই ভবিষ্যতে বাড়বে বলে মনে করি। আমার মনে হয় ভবিষ্যতে বয়স কমিয়ে বলার প্রবনতা কমে যাবে।

সন্তানের পিতা হবার আগেই আমি পণ করে ফেলেছিলাম, আমার সন্তানদের জন্মতারিখের ব্যাপারে এমন ভুল কখনোই করবো না। করিও নাই।... কিন্তু আমার স্বস্তি, আমি বলেছি।
এটি অনেক বড় স্বস্তি বলে আমি মনে করি। আপনাকে স্যালুট।

৪৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনে হচ্ছে, এ পোস্ট লেখার সময় যতটা না, লেখার পরে মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় আপনি বেশ ভাল, অর্থাৎ 'রাইটিং মুড' এ ছিলেন। কারণ দেখতে পাচ্ছি, অনেক প্রতিমন্তব্যের দৈর্ঘ্য মন্তব্যের চেয়ে প্রায় দেড়/দুইগুণ বেশি, এবং প্রতিমন্তব্যগুলো বেশ রসাত্মকও বটে! :)
স্থিতধী এবং লেখকের মধ্যে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যের মাধ্যমে চালিয়ে যাওয়া আলোচনা শুধু এ পোস্টকেই নয়, ব্লগকেও সমৃদ্ধ করেছে। তার মধ্যে স্থিতধী'র একটি গুরুতপুর্ণ কথা আমার কাছে আমাদের দেশের জন্যেও খুবই প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছেঃ
"সুশাসন টেকসই করা খুব কঠিন কাজ যখন নেতা জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল না হয়, তাঁদের অভাব অভিযোগ না বুঝতে পারে। -
ডঃ এম এ আলী এর শারীরিক ব্যথা বেদনা ও রোগ যন্ত্রণার কথা পড়ে ব্যথিত বোধ করছি। তার জন্য ব্যথা উপশমের প্রার্থনা এবং শুভকামনা।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ অসাধারণ। মুড সব দিন সমান থাকে না। ছয় মাস লক ডাউন অতটা খারাপ লাগে নি। কিন্তু এখন অনেক হাপিয়ে গেছি।

ব্লগার স্থিতধী সেরা কিছু মন্তব্য করেছেন। ওনার মন্তব্যের প্রত্যুত্তর করতে মানসিক স্থীরতা দরকার তা পাচ্ছি না বলে প্রত্যুত্তর করাও হয়ে উঠছে না।

ব্লগার সাইফুল ইসলাম (ব্লগ নিক শান্তির দেবদূত) গত বইমেলায় ও-টু নামের একটি সাইন্স ফিকশন লিখেছেন। বইটিতে বেশ কিছু দার্শনিক আলোচনাও রয়েছে। টেকসই সুশাসন সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় উনি তুলে ধরেছেন। সুশাসনের জন্য আমরা যেই সিস্টেমই ডেভলপ করি না কেন, আজ থেকে দুই তিন প্রজন্ম পরে যারা আসবে, তারা যে এটাকে করাপ্ট করবে না এমন ভাবার কোন কারণ নেই।

ইতিহাস বলে আসলে যুগে যুগে এমনটাই হয়েছে। নিজের দেশের কথা বলা সম্ভব না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের কথা চিন্তা করলেই অনেক চিন্তাধারা এবং সংজ্ঞা পাল্টাতে হয়।
ডঃ এম এ আলী এবং আবু হেনা ভাইয়ের কথা ভাবলেই ব্যথিত হই। ওনাদের দুজনের কথাই প্রার্থনার মাঝে স্মরণ করি।

খুঁজে খুঁজে পুরানো এই পোস্টে এসে এত সুন্দর কয়টি মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.