![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
17ই আগষ্ট 2006, আমাদের ক্যাম্প এ বিদু্যৎ বির্ভ্রাট হয়েছে, কাজ শেষে ক্যাম্প এ ফিরে বাংলাদেশী সকলেই অস্থিরতায় পরেছি। ক্যাম্প এর পাশেই হলো ভূমধ্য-সাগর, সাগরের নোনা হাওয়ায় আরো ভাড়ি হয়ে উঠেছে শরীর। কিন্তু কিছুই করার নেই অপেক্ষা করা ছাড়া। নানা অঞ্চলের মানুষ এখানে আছে, গরমে অতীষ্ট হয়ে মুখের ভাষার মাত্রা সুন্দর থেকে আরো কয়েক ডিগরী উপরে উঠিয়ে কোরিয়ানদের শ্রাদ্ধ করছে।
মাঝ রাতের কিছু আগে আমাদের গ্রুপের সবাই এক হলাম প্রথমে চারজন ছিলাম, ক্যাম্প ক্লিনিক থেকে চেয়ার বের করে একটা ফাকা এবং নিরিবিলি জায়গায় শুরু হলো আমাদের আড্ডা। এখানে আসার আগে এক দল উৎসাহী লোকদেরকে হারমোনিয়াম ও তোবলা বাজিয়ে গান করার ব্যবস্থা করে দিয়ে আসলাম। আমাদের আড্ডা কিছুটা শুকনা ভাবেই শুরু হলো কারণ বিদু্যৎ না থাকার কারণে দোকান বন্ধ । শুধু সিগারেট থাকলো সাথে, কথার ঝনঝনানী যখন চরম পর্যায়ে তখন এলো নতুন একজন । আমার সাথে তার কেন যেন বনীবনা হয় না। কিছু কিছু মানুষ থাকে সার্থান্মেষী, যা আমার পছন্দ না।
আমাদের আড্ডায় বিভিন্ন কথার মাঝে বেশি দির্ঘ্য হলো ভৌওতিক বিষয়টা, কে কবার, এবং সরাসরী দেখেছে জি্বন, পড়ি আথবা পেতনি, পেত-ভুত তারই একটা প্রতিযোগীতা যেন শুরু হলো। এখানে পাঁচ জনের মাঝে একজন আছে যে আমাদের চেয়ে একটু বেশি কথা বলে, প্রায়ই সময় মনে হয় চাপাবাজি করছে। কথার সত্যতা থাকলেও বিশ্বাস করতে একটু সময় নেই আমরা। আমরা যেখানে বসেছি সেখান থেকে সাগর দুইশত গজ আথবা আর একটু বেশি হবে দুরে। যার কথা বললাম তার নাম হলো 'আশিক ইবনে মাহমুদ'। হঠাৎ করেই সে আমাদের বললো সবাই সরে আসুন এদিকে, জানতে চাইলে সে বললো- সাগরের দিকে তাকান দেখেন বিচ্ এ কিছু পান কি ? তিনটা সাদা ঘোড়া বিচ্ এর পথ ধরে চলে গেল। আমরা কিছুই দেখিনি এবং খুব হাসাহাসী করলাম ওর উপর বললাম নগদ চাপাবাজি, আমরা সবাই হাসিতে ফেটে পরলাম। সে কঠিন হয়ে বললো আমি দেখেছি এবং প্রায়ই এমন হয় আমি কিছু জিনিস দেখতে পাই, চলার পথে বা এমন গল্পের আড়ালে, আমার সাথের কেহই তা দেখে না বুঝতেও পারে না। তাকে বললাম 'তাই নাকি' আবার সবাই এক গাল হাসলো। সে তখন বললো দেখেন আমার কথাতো মনে হয় বিশ্বাস করছেন না, তবে বলছি মনে হয় কিছু একটা ঘোটনা ঘোটবে আজকে রাতে।
ক্যাম্প এর খেলার মাঠে তখন গানের আসরে তুমুল উত্তেযোনা নিয়ে লোকজন হৈ হৈ করছে । হঠাৎ করেই আমরা শুনতে পাই সিকিউরিটি বাঁশি ফু দিচ্ছে ঘন ঘন, একে একে অনেক বাঁশির শব্দ, আমরা একে অন্যের দিকে তাকালাম, এবং সকলে উঠে সে দিকে গেলাম, তারের বেড়া প্রায় 10 থেকে 12 ফিট উচু হবে। আতংক নিয়ে সবাই সবার দিকে তাকিয়ে আছে, তখন গান বাজনাও থেমে গেছে। এখন শুধু লোকজনের কথা এবং গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এক মিশোরী লোকের কাছে জানা গেল চোর এসেছিল চুরি করতে, এক কোরিয়ান যে জেনারেটোর ঠিক করার কাজে নিয়োজিত ছিল, সে এ কথা শুনে আবার চলে গেল কাজে। আর তখনি দেখতে পেলাম এক লিবিয়ান সিকিউরিটি সহ এক মিশোরী তারের বেড়া টপকিয়ে মরুবালুর উপর দিয়ে আন্ধকারে হাড়িয়ে গেল। লোক মুখে এখন জানতে পারলাম পাঁচ বাংলাদেশী পালিয়েছে এবং তাদের সাথে ছিল এমন আরো তিন জন ভয় অথর্াৎ ধরা পরার ভয়ে ক্যাম্পে ফিরে এসেছে এবং এ ঘোটনাটা সত্যি তারা সকলেই ইতালির পথে এখন পাঁচ জীবনবাজি পথযাত্রী।
আমরা আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসলাম এবং আশিক এর দিকে তাকিয়ে আছি সবাই। আমি বললাম কি হলো এটা ? সে বললো এমনই হবার কথা ।
এখন কথার বিষয়ও বদলে গেল ভৌওতিক থেকে আধ্যাতিক হলো... একেক জন এর ব্যাখ্যা একেক ভাবে দিতে থাকলো। সব শেষে সে তার ঘোটনাটা আমাদের বললো..
সে এবং তার কিছু বন্ধু টি, এস, সি, মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিল এমন সময় এক পাগল এসে তার কাছে বলে 'দে'। পাগলের ইশারা ছিল নাকি তার সিগারেটের দিকে। সিগারেট প্রায় শেষ ভেবে সে তার স্বভাব অনুযায়ী পকেট থেকে পেটেক বার করে আস্ত একটা সিগারেট সাধলো, পাগল তা নিলো না এবং তার আর্কষন ঐ ফিলটার এর কাছে আসা আগুনওয়ালা বিড়িটা। সে পরে পাগলের হাতে দিল এবং দেখলো আগুনসহ সিগারেটটা চিবুতে চিবুতে পাগলটি চলে গেলো। এর মাঝে তার সাথে একটি কথাও নাকি বলে নাই পাগলটা, আমাদের বললো তখন থেকে এর পর তার জ্বালা, কষ্ট কমে গেছে।
আমরা তখন সবাই বললাম 'তাই'... .... ...?
আগামীকাল শুক্রবার হলেও ডিউটি আছে এখন বাজে রাত 1:45 মিনিট, রুমের দিকে ফিরা যাক।
মিয়াবেপারী
২| ২১ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৪:৪৩
সাইফ ভুইয়া বলেছেন: ঐ বেটারে বাংলাদেশে আইসা দরগা দিয়া বইতে কও।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৫:২৫
অতিথি বলেছেন: তুমি হুজুর কম কিসে .........
হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৫:৪০
ইমরান হাসান বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং ঘটনা বললো (আগুনের কথাটা)....বাস্তবিকতা কতটুকু কে জানে, কিন্তু শুনে একটু সিনেমাটিক মনে হল