নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন গুলো সব পুরন করতে নেই এতে বেচে থাকার আশা গুলো মারা যায়।

+ নিজের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলার নাই কারন আমি তেমন স্পেশাল বা বিখ্যাত বা কুখ্যাত নই। তবুও কিছু বলার চেষ্টা করি। বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ এইটাই আমার পরিচয়। স্বপ্ন অনেক দেখি আমি, তবে বাস্তবতা শুণ্য।আর এই শুণ্য থেকেই কিছু করতে চেষ্টা করি। +বর্ষায় যদি

স্বপ্নীল মিহান

+ নিজের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলার নাই কারন আমি তেমন স্পেশাল বা বিখ্যাত বা কুখ্যাত নই। তবুও কিছু বলার চেষ্টা করি। বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ এইটাই আমার পরিচয়। স্বপ্ন অনেক দেখি আমি, তবে বাস্তবতা শুণ্য।আর এই শুণ্য থেকেই কিছু করতে চেষ্টা করি। +বর্ষায় যদি আমার মন খারাপ হয় তাহলে সেগুলো বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে দেই আর গ্রীষ্মে প্রখর তাপে ঘাম করে ঝরিয়ে ফেলি, দুঃখ নামক জিনিসটাকে এই ক্ষুদ্র মানব দেহে বাস করতে দেয়া উচিত না।

স্বপ্নীল মিহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বট ছায়ার না বলা গল্পটি........

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

রাত কয়্টা বাজে জানি না।তবে অনেক রাত। হঠাৎ আমার ১০২ ডিগ্রি জ্বরে পুড়ে যাওয়া গরম শরীরটাতে একটা ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেলাম। কে হাত দিল দেখার জন্যে কষ্ট হ-ওয়া সত্ত্বেও অল্প করে চোখটা খুললাম। কিন্তু লাভ হলনা,কেননা আমি যেই রুমে শুয়ে আছি সেই রুমের লাইট ফ্যান দুইটাই বন্ধ করা। কারন গত দুই দিন যাবৎ আমার জ্বর,আর এই ২ দিন ঠিক এই সময়্টাতে আমার রুমে কেউ একজনের উপস্থিতি টের পাই।না দেখা লোকটির হাত আমার মাথার উপর যাওয়ার কিছুক্ষুন পরেই হঠাৎ গুঙুয়ে গুঙুয়ে কেদে উঠলেন তিনি। আস্তে আস্তে কান্নার আওয়াজ প্রকট হচ্ছে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করাটাও স্পস্ট হচ্ছে। অনেক্ষণ বাদে বুঝলাম যে , না দেখা লোকটা আমার বাবা। চোখের কয়েক ফোটা জল আমার গায়ে পড়ল। আব্বুর কান্না দেখে আমিও কেদেদিলাম। আমার কান্নার আওয়াজ পেয়ে আব্বু তার কান্না থামিয়ে দিলেন আর আমাকে কান্না ভেজা সুরেই বললেন কিরে তুই কাদছিস কেন? আমি কেদে কেদেই বললাম-তুমি কাদছ তাই। কিছুক্ষণ নিরিবতা। আমি বলে উঠলাম- আব্বু আমি কি আর বাচব না?হঠাৎ আব্বু আমাকে জড়িয়ে তার বুকে নিয়ে আবার কাদতে কাদতে বললেন- ধুর বোকা ছেলে এগুলো কি বলিস? তুই বাচবি না কেন? দেখবি কালকেই ঠিক হয়ে যাবি আর আবার স্কুলে যাবি ,আবার ক্রিকেট খেলবি এখন শুধু আল্লাহকে ডাক। হঠাৎ আম্মু এসে লাইট জ্বালালেন আর আমি আব্বুকে দেখতে পেলাম আব্বু ঘামে ভিজে একাকার। কাদতে কাদতে এমন হয়েছে তাকে একটা শিশুর মত লাগছে। আমি জিবনেও কখনো আব্বুকে এমন কাদতে দেখিনি যেভাবে সেদিন দেখেছিলাম। কত অন্যায় করি আর করছি তবুও আব্বু হাসি মুখে সয়ে যাচ্ছেন আর যা লাগছে তা আজো তার এই অবসরের জিবনেও পূরন করে যাচ্ছেন। চাকরী জিবন শেষ হলেও বাবা আমাদের জন্য ভালোবাসার অকৃত্তিম চাকরিটি পালন করে চলছেন। আব্বু তুমি এভাবেই থেকো আমাদের সাথে, হে আল্লাহ তুমি আমার জীবনের সবটুকু হায়াত আমার আব্বুকে দাও।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.