![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
+ নিজের ব্যাপারে তেমন কিছুই বলার নাই কারন আমি তেমন স্পেশাল বা বিখ্যাত বা কুখ্যাত নই। তবুও কিছু বলার চেষ্টা করি। বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ এইটাই আমার পরিচয়। স্বপ্ন অনেক দেখি আমি, তবে বাস্তবতা শুণ্য।আর এই শুণ্য থেকেই কিছু করতে চেষ্টা করি। +বর্ষায় যদি আমার মন খারাপ হয় তাহলে সেগুলো বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে দেই আর গ্রীষ্মে প্রখর তাপে ঘাম করে ঝরিয়ে ফেলি, দুঃখ নামক জিনিসটাকে এই ক্ষুদ্র মানব দেহে বাস করতে দেয়া উচিত না।
সকাল থেকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে আছে দীপ | গফুর মিয়া সকালের নাস্তা নিয়ে গিয়ে আবার ফিরত এসেছে, দীপ দরজা খুলে নি| দুপুর হয়ে বিকেল হয় হয়, গফুর ভাবছে আবার যাবে কিনা| তবে দীপের মেজাজটা কেমন এখন সেটা না বুঝে যাওয়ার সাহসে কুলাচ্ছে না| নিজের সাথে লড়াই করে একপা দুপা করে গফুর দীপের রুমের এসে দরজায় ধাক্কা দিতেই দরজাটা খুলে গেল|
-চাচা এখন এলেন? আমার সকালের নাস্তা টা তো দিয়ে গেলেন না
-আসছিলাম বাবা কিন্তু তুমি ঘুমিয়ে ছিলা
-ও আচ্ছা
দীপ বিছানা থেকে উঠে পিসি টা অন করল আরসোজা বাথরুমে গোসলের জন্য চলে গেল, মিনিট দুয়েক পর দীপ চিতকার করে বলতে লাগলো
-চাচা এখানে ঝর্ণার মুখটা ভেঙ্গে আছে আপনি দেখেনন
গফুর মিয়া দ্রুত বাথরুমের দরজা তে দাড়াল
-আহা আপনি আবার আসলেন কেনো?
-তুমি ত ডাকলা বাবা
-ও আচ্ছা, বাবাকে বলে নতুন একটা আনিয়ে নিবেন|
-জী আচ্ছা বলে দুপুরের খাবার টেবিলে দিতে গফুর বের হয়ে এল দীপের রূমথেকে|
নীল রঙ্গের সার্ট আর কালো প্যান্টে দীপকে রাজপুত্র র মতো লাগছে, ২০ বছরের যুবক দীপকে সেই ৬ বছরের দীপের মতোই উচ্ছল আর প্রানবন্ত দেখাচ্ছে | ভাত খাওয়ার ধরনে বিন্দুমাত্র চেঞ্চ নেই! সেই ৬ বছর থেকে দীপকে দেখে শুনে রাখছে গফুর মিয়া|
-চাচা আপনি জানেন যে আমি ডাল ছাড়া ভাত খেতে পারিনা তো আপনি নতুন বুয়াকে সেটা বলেন নাই?
বলেই প্লেটটা ছুড়ে মারল মেঝেতে | মেঝেতে পরে প্লেট টুকরো টুকরো হয়ে গেল, একটা টুকরো এসে লাগলো গফুর মিয়ার পায়ে! রক্ত ঝরছে, কিন্তু বিন্দুমাত্র তাতে ভ্রুক্ষেপ না করে হাতটা জগে থাকা পানি গফুর মিয়া অবাক হলো না, অবাক হলো নতুন কাজের বুয়া| সে পাশের রূমের দরজায় দাড়িয়ে ছিল, গফুর মিয়ার অবস্থা দেখে ছুটে আসল
-চাচা আপনি না দীপ ভাইয়েরে বললেন ডাল আনতাছি তো উনি আবার রাগ করে এমন করলেন কেন?
গফুর উদাস আর ভারাক্রান্ত গলায় বলল
-এতে দীপের দোষ নাই, ওর অনিচ্ছাতেই এসব করে ফেলে ও.
-এইটা আবার. কেমন কথা, সুস্থ সুন্দর মানুষ মাঝে মাঝে এমন পাগলামি কেন করে? গত কাইল রাইতেও নাকি বাথরুমের ঝর্ণা ভাইঙ্গা লাইছে?
-হুম
-আমার মনে হয় উনারে জীনে ধরছে
-কি আবল তাবল বল
গফুর একটুবিরক্ত হলো | নতুন বুয়া এবার গফুর কে বিশ্বাস করানোর জন্য বলল
-চাচা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা তয় কথা সত্য, দুদিন আগে বাগানের শেষে যে জাম গাছটা আছে ঐখানে দীপ ভাই একা একা কথা কয় আর হাসে কথা কয় আরহাসে, কন এটা কি জিনের আছর না?
-না এটা জিনের আছর না, তুমি কাজে যাও
গফুর মিয়া উঠা নিজের রুমে চলে এসে ব্যান্ডেজ করে নিল|
দীপের উপর কারও আছর হয়নি দীপ আসলে একটি রোগে ভুগছে যার নাম স্কিজোফ্রেনিয়া, স্কিজোফ্রেনিয়া একটি গুরুতর
ও জটিল মানসিক রোগ। এসব রোগীর মধ্যে অলীক
প্রত্যক্ষণ (hallucination) দেখা
যায়। তারা নানারকম
গায়েবী আওয়াজ শোনে।
তাছাড়া তারা সন্দেহপ্রবণ হয়।
মনে করে তাদের কেউ ক্ষতি
করবে- বাসায় বাথরুমে
ক্যামেরা ফিট করে রেখেছে
, সবসময় বুঝি নজরে রাখছে।
তাদের মাঝে অস্বাভাবিক
আচরণ, অস্বাভাবিক
কথাবার্তা, অতি চুপচাপ
থাকা, কাজে অনীহা,
ইচ্ছাশক্তির অভাব ইত্যাদি
দেখা যায়।
সন্ধ্যা হয় হয় দীপ বসে ফার্মেটের একটি ফুটওভার ব্রীজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে| কিছুক্ষণ আগে এক লোককে অনেক মেরেছে দীপ, লোকটা দীপের পিছনে পিছনে হাটছিল হঠাৎ দীপের মনে হলো কেউ ওর পিছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ নিচ্ছে | পিছনে ঘুড়ে দেখল এক লোক ওকে দেখে দাড়িয়ে গেছে আর এক হাত পকেটে ঢুলাচ্ছে, দীপ পিছনে হাত দিয়ে দেখল পকেটে মানিব্যাগ নেই সাথে সাথে চিল্লাচিল্লি আর মাইর| ওকে দেখে পথচারী কেউ কেউ এগিয়ে এসে ঐ লোককে গণ ধোলাই দিল|
পরে দীপ জানল মানিব্যাগ টা ও বাসাতেই রেখে এসেছে, এটা জানিয়েছে গফুর মিয়া|
গফুর ফোন দিয়ে জেনে নিয়েছে দীপ ওষুধ খেয়েছে কিনা, মা মরা ছেলে কে নিয়ে দীপের বাবা খুব চিন্তিত | স্কিজোফ্রেনিয়া রোগটা দীপের মায়ের মাঝে ও ছিল| দীপ ৬ বছর থাকতেই ওর মা গলায় ফাসি দিয়ে মারা যায়|
দীপ ওর বাবাকে খুব ঘৃণা করে ওর মতে ওর মাকে ওর বাবা মেরে ফেলে পরে না ফেস ভয়ে লাশটা ফ্যানের পাখায় ঝুলিয়ে দেয়| ইদানিং ওর সন্দেহ হচ্ছে ওর বাবা ওকে মারতে চাচ্ছে | কিন্তু ও তা হতে দিবেনা, দীপ আর বাসায় ফিরবেনা |
লাল সবুজ ট্রাফিক লাইট গুলি দীপকে কিছু বলতে চাচ্ছে, দীপের দৃষ্টি সেখানে স্থির.........
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
স্বপ্নীল মিহান বলেছেন: tthanx vai doa korben...
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫৭
আকরাম বলেছেন: এই রোগ এবং অন্যান্য মানসিকরোগের বিস্তারিত বিবরন সহ পড়ুন এখানে
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
স্বপ্নীল মিহান বলেছেন: হুম
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! ভেরিগুড।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
স্বপ্নীল মিহান বলেছেন: জি থ্যাঙ্কস পড়েছেন বলে
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালোই লাগল!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
স্বপ্নীল মিহান বলেছেন: থ্যাংকস.......
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
জেরিফ বলেছেন: ভালো লাগলো
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
স্বপ্নীল মিহান বলেছেন: থ্যাঙ্কস ^_^
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০০
নাহিদ পারভেজ বলেছেন: ভাল লিখছেন ভাই। বাকীটাও দেখব।