![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকাসিটি সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে আজ ছাত্রদলের হরতাল ছিলো। হরতাল সফল হয়েছে নাকি ব্যর্থ সে বিতর্কে আমি যাব না।
তবে ছাত্রদল বর্তমানে বিএনপি’র তথা ২০ দলের কর্মসূচিতে যে একেবারেই ফ্লপ সেটা বির্তকের বিষয় না বরং প্রমানীত।
এখন প্রশ্ন আসে, কেন?
উত্তর হতে পারে অনেক রকমের।
কেউ বলবে ছাত্রদলে নেতা-কর্মীরা সংখ্যায় কমে গেছে।
কেউ বলবে তারা সরকারের দমন-পীড়নে পেরে উঠতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
কেউ বলবে ছাত্রদলে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি তাই চেইন অব কমান্ড কেউ মানছে না।
তবে কেউ এই কথা বলবে না যে, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এখন পড়ালেখা ও জ্ঞানচর্চায় খুব ব্যস্ত তাই রাজনীতীতে খুব একটা সক্রিয় না।
কারণ ছাত্রদল আর যাই হোক না কেন তাদের জ্ঞানের লেভেল যে হাটু পর্যন্ত সেটা জানা কথা।
তবে তোষামদ কিংবা তেলবাজীতে এখনও আগের মতই সক্রিয়।
কিছু ক্ষেত্রে তো আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে চুরচুর করেছে। কারণ আগে তেলবাজী করলে তার মাঝে সামঞ্জস্য থাকতো। কিন্তু এখন তো তেলবাজীর ধরন অনেকটা “কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি” টাইপের।
তেলবাজী করতে করতে কিছু ক্ষেত্রে চোরের উপমা দিয়ে সাধুর পুজা করছে আবার সাধুর উপমা লাগিয়ে দিচ্ছে চোরকে। অথচ বোঝার জ্ঞানটুকুও নাই।
থাকবে কি করে লেভেল যে হাটু পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে যারা ছাত্রদল করে তারা তেলবাজীতে উপমার ব্যবহারে সাবধানী হলেও গ্রাম-গঞ্জে কিংবা মফস্বল এলাকায়তো একেবারে দৈন্য দশা।
এবার আসি মূল কথায়...............
কয়েকদিন আগে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ গিয়েছিলাম। ধামরাই যখন ক্রস করি, হঠাং একটা নীল রঙের টিনের বেড়ায় একটি লেখা আমার নজরে পড়লো।
স্থানীয় ছাত্রদলের কর্মীরা সেটি দখল করে তারেক রহমানকে নিয়ে তৈলাক্ত উপমার ছন্দে কয়েকটি পঙ্কতি লিখেছে।
আমি হুবহু উল্লেখ করছি...........
“ঝড়ের দিনে আঁধার রাতে, তারেক আসবে ফিরে, বীরের বেশে বাংলাদেশে”
চমৎকার তৈলাক্ত ছন্দ তাই না। একটু ভাল করে খেয়াল করুন তো। ছন্দগুলো কি বাক্যের গাঠনিক যোগ্যতা হারায়নি?
বাক্যটা অনেকটা “গরু আকাশে উড়ে” টাইপের নয় কি?
কারণ কোন বীর কখনও ঝড়ের দিনে আঁধার রাতে ফিরে আসে না। বীর ফিরে আরে প্রকাশ্য দিবালোকে। আর আঁধার রাতে আসে চোর।
বুঝাতে পেরেছি কি লেভেল হাটুর নিচে????
©somewhere in net ltd.