নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলের প্রলাপ

মিলন মো রাকিব

কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই

মিলন মো রাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুইটি ঘটনা একটি মতামত: ভূল বোঝাবুঝি ভেঙে দিতে পারে স্বপ্ন

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩


ঘটনা-১:
আহমেদ মোহাম্মেদ, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ বছর বয়সী এক মুসলিম কিশোর।
নিজের বানানো একটি ডিজিটাল ঘড়ি নিয়ে স্কুলে উপস্থিত হয় আহমেদ। তবে তার শিক্ষকরা ঐ যন্ত্রটিকে একটি বোমা মনে করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশও কোন রকম যাচাই বাছাই না করেই নকল বোমা বানানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করে এই বিজ্ঞানপ্রেমী কিশোরকে।
পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও তার গ্রেপ্তারের কড়া সমালোচনা চলছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‪#‎IstandwithAhmed‬ লিখে আহমেদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইতোমধ্যে এই ঘটনার পর এই কিশোরকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
এছাড়াও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গও তাকে ফেসবুক সদর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
নাসার বিজ্ঞানীসহ আহমেদকে সমর্থন দিয়েছে গুগল এবং এমআইটি।
ভিডিও- https://youtu.be/sZoUbild3n0
ঘটনা-২:
অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, ছিন্নমূল বাচ্চাদের উন্নত জীবনদানের জন্য গঠিত একটি বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংস্থা।
বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় ১০ ছিন্নমূল শিশুকে নিয়ে চলছিল তাদের সেবামুলক কর্মকান্ড “মজার স্কুল”। কিন্তু একটি শিশু ও তার অভিভাবকের ভ্রান্ড অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোন রকম বিচার বিবেচনা না করেই গ্রেপ্তার করে সংস্থাটির চার কর্মকর্তাকে। অবশেষে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের উপর নির্যাতন এবং চাঁদা দাবী করে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত ওই ১০ শিশুর মধ্যে নয়জনের সাথে কথা বললে সবাই একবাক্যে রিমান্ডকৃত কর্মকর্তাদের প্রশংসা করে। ওরা বলে, আমাদের টিভি আছে, আমাদের খেলার জন্য ছোট ছোট বল আছে।
এদের মধ্যে কয়েকজনকে কম্পিউটার কম্পোজ শিখানো হচ্ছে বলেও জানায় ওইসব শিশুরা।
নিঃস্বার্থভাবে সমাজ সেবা করতে গিয়ে আজ রিমান্ডে যেতে হলো অদম্য বংলাদেশ ফাউন্ডেশনের অদম্য চার কর্মীকে।
অথচ অবাক করা বিষয় হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু সদস্য ও গুটিকয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া কেউই এখন তাদের সমর্থন জানিয়ে পাশে এসে দাড়ায়নি।
ভিডিও- https://youtu.be/hlWvJSjmdB4
মতামত:
দুটোই নিছক ভূল বোঝাবুঝির ঘটনা। তবে একটি থেকে আরেকটিতে কত ফারাক।
আমি খুব খুশি হবো,
যদি এই অদম্য কর্মীদের মুক্তি দিয়ে তাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানায় প্রধানমন্ত্রী।
যদি তাদের পাশে দাড়ায় মানবাধীকার সংস্থার মত বৃহৎ সংগঠনগুলো।
যদি ফেসবুকের সদস্যরা হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে প্রতিবাদ করে এই্ অবিচারের।
কেউ কিছু না করলেও আসুন না আমরা কিছু করি-
‪#‎ISTAND_অদম্য_বাংলাদেশ_ফাউন্ডেশন‬

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

কাবিল বলেছেন: আশা করি সত্যটা বেড়িয়ে আসবেই।
মানবাধীকার সংস্থা গুলোর সাহায্য কামনা করি।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

মিলন মো রাকিব বলেছেন: আমিও আশা করি

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

ছাসা ডোনার বলেছেন: আসলেই তো ! আসুন সচেতন গোস্ঠী যদি ভাল কাজে উৎসাহিত না হয় থলে যে আমাদের দেশ রসাতলে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি এদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে গনভবনে অভ্যর্থনা করুন। আমাদের জাতির পিতা বংগবন্ধুর নীতির প্রতি শ্রদ্ধা স্বরুপ সবাইকে তাদের এই কাজের জন্য পুরষ্কৃত করুন।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

হেলাল নোাখালী বলেছেন: আমরা হুজুগে বানগালি.।.।.।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: বাহির
ছেড়ে ভিতরেতে আপনি লহো আসন পেতে প্রভু-তোমার বাঁশি বাজাও আসি আমার প্রাণের অন্তঃপুরে

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

মিলন মো রাকিব বলেছেন: সহজ কইরা কইয়েন ভাউ

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০

মস্টার মাইন্ড বলেছেন: সত্য কখনো মাটি চাপা পরে থাকে না। ফসিল হলেও তা বেরিয়ে আসে একদিন না একদিন।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: কথায় আছে
"উপকারীকে বাঘে খায়"

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

মোহাম্মদ শামছুদ্দীন বলেছেন: ভাই কাকে কি বলছেন । বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি এরা কি মানুষ ! হ্যা, কিছু পুলিশ হ্য়তো ভালো , বাকীরা মানুষ নামের হায়েনা ।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ব্যাডলাক

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

মেহবুবা বলেছেন: কেন এখনো শুভবুদ্ধির উদয় হচ্ছে না কর্তাব্যক্তিদের !

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯

মেহবুবা বলেছেন: আপডেটের জন্য অপেক্ষা করছি।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হালি্ বলেছেন: আমাগো দেশ বইলা কথা :||

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: বাংলাদেশের ঘটনাটি ভুল বুঝাবুঝি নয়, এটা কোনো ষড়যন্ত্র। এমন হতে পারে ওই পথ শিশুদের মাঝের ঐ ছেলেটি কোনো ধনী ফকিরের কবলে ছিল, সে দেখছে এভাবে ফকিরদের মানুষ বানাতে থাকলে তাদের স্বার্থান্বসী ব্যবসা নষ্ট হবে, তাই প্রোগ্রামটি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করছে। কারন বাঙ্গালীরা ভাল কাজ করেওনা, আবার কেও করলেও করতে দেই না

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

হামিদ আহসান বলেছেন: অামন্ত্রণ দূরে থাক বরং গ্রেফতার করাকে জাস্টিফাই করার প্রয়াস থাকবে ..।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

েদােয়ল বলেছেন: আমার পুলিশ শালারা কোন কিছু ইনভেষ্টিগেশন করে না....ওদের যা কাজ তা করে কে.....খালি পাইলেই হইলো...

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

সামনে আগাও বলেছেন: এটাই বাংলাদেশের অবস্হা যারাই সমাজের জন্য কিছু করতে যাবে তারাই খারাপ কিন্তু যদি খুন খারাবী করেন তাহলে কোন সমস্যা নাই।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

শ্রাবণধারা বলেছেন: কিসের সাথে কি পান্তা-ভাতে ঘি ???

আহমেদের ঘটনাটা ছিল কিছু কতিপয় মাথামোটাদের নির্বুদ্ধিতা । মাথামোটারা ভুল স্বীকার করেছে, মিডিয়ায় বিষয়টা না এলেও এটার তদন্তে সত্যটা বের হয়ে আসতো । আর সবচেয়ে বড় কথা হলো মাথামোটাদের উজবুকি কাজের জন্য আহমেদের ঘড়ি বানানো বন্ধ হবে না, বরং সৃষ্টিশীল কাজে তাকে উৎসাহ দেওয়ার লোকের সংখ্যা এখন আরও বাড়বে । দোয়া করি আহমেদের এম, আই, টিতে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হোক , সে আরও বড় কাজ করে, বড় বিজ্ঞানী হয়ে জগৎ বিখ্যাত হোক ।

মজার স্কুলের উদ্দোক্তা ছেলেমেয়ে গুলোকে ধরে নিয়ে যাওয়া কিন্তু পুলিশের নির্বুদ্ধিতা বশত ঘটেনি । বাংলার ফুলিশ ভাল করেই জানে, কে অপরাধী আর কে অপরাধী নয় - এটা তাদের চিরাচরিত শয়তানী এবং দুরভিসন্ধির অংশ । আমার মনে হয় না, এই ছেলে-মেয়ে গুলো থানা-হাজত থেকে ছাড়া পেলে এই ধরনের ভাল কাজে আর অংশ নেবে । বাংলার পঁচা-খছা সমাজের জন্য চাত্রলীগ-চাত্রদল করা ঠিক আছে, একাজ করলে ফুলিশ বাহিনীও আপনাকে মাঝে মাঝে সেলুট দেবে, সমাজের জন্য ভাল কিছু করতে গেলেই আপনি শেষ....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.