নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার সেই অসহায় দিনগুলো - পর্ব ২

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

পূর্বে প্রকাশের পর

........................



আম্মার অপারেশনের পর হাসপাতালে পোষ্ট অপারেটিভ রুমে একা ফেলে আসতে আমার যে কত খারাপ লেগেছিল তা বলতে পারবো না। সে সরারাত সেখানে তেমনি ছিল। সারারাত "পানি পানি" বলে চিৎকার করেছে তবুও পানি দেয়া হয়নি। যদিও এটাই নিয়ম। এরই মধ্যে আমার খালাকে নিয়ে আসা হলো ঢাকায় আর বোনও অলরেডী চলে এসেছে। তখন অবশ্য লোকজনের অভাব ছিল না।



এরপর আম্মা সুস্থ হয়ে বাসায় আসলো। তারপর একে একে যে যার জায়গায় চলে গেলো। আবার সেই আমি আর আম্মা। জীবনধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনলাম। মানে বাসার কাজে, খাদ্যাভ্যাসে ইত্যাদি। আম্মার গুরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে যাওয়ার আগে অবশ্য আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখেছিলেন। আমিও দেখেছিলাম এবং কথাবার্তা সেখানেই ঠিক হয়েছিল। উনি সুস্থ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বউ করে ঘরে নিয়ে আসবে।



কিন্তু আম্মা ডায়বেটিক পেসেন্ট হওয়ায় তার অপারেশনের কাটা জায়গার ঘা শুকাচ্ছিল না। সেখান এক সাইড থেকে আবারো ইনফেকশনের মত হয়। এবং অনবরত পুঁজের মত পড়তে থাকে। দুই বিপরীত মেরুর দুই অসুখ। তার কিছুদিন আগে অবশ্য আমার নানী মারা গিয়েছিলেন। মানে এই ব্যাপারগুলো এততাড়াতাড়ি হয়েছে যে আমরা একটা ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকটাতে পড়তে হয়েছে। কথা ছিল আমার নানীর চল্লিশা অনুষ্ঠান শেষ হলেই কোনরকম একটা অনুষ্ঠান করে আমার বউকে ঘরে তুলে আনা হবে। সবাই, মানে আমার সব আত্মীয়-স্বজন, তারাও মেনে নিলেন। যেহেতু আম্মার সেবা সুশ্রুসা করার জন্য লোক দরকার। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা করার কথাই ছিল।



এরই মধ্যে আমার বড় মামার মেয়ের হঠাৎ বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। তাদের কথা হলো, আমার আগে আমার সেই মামাত বোনের বিয়ে হবে এবং সেটা নানী চল্লিশার আগেই। এই ইস্যু নিয়ে আমাদের ফ্যামিলির লোকজন দুইভাগ হয়ে গেলো। বিশেষ করে আমার দুই মামা। মামারা আমার বিয়ের বিরোধিতা করলেন কোন কারণ ছাড়াই। আম্মা অসুস্থ তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমার বউকে ঘরে আনার কথাটা তারা ভুলেই গেলো। আম্মার সাথে তাদের মনোমালিন্য হলো মৌন। আম্মা খুব কষ্ট পেলো।



আমার মামারা আমার বিয়েকে মেনে নিতে পারলেন না। কি যেন কি এক অদ্ভুদ কারণে। তারা আমাদের বয়কট করলো। এখন যেহেতু তারা মুরুব্বী তাই আমি উপযাযক হয়ে কোন কিছুতে কথাও বলতে পারছি না। আমার খালু আমাদের ফ্লোর দিলেন, তার বাসা থেকে আমার বিয়ের ব্যাবস্থা করলেন। এপ্রিল ২০০৫ এ বিয়ে করলাম। আমি তাদের কাছে কৃত্জ্ঞ। আমি অফিস থেকে মাত্র সাড়ে ৩ দিনের ছুটি পেলাম। আমার বিয়েতে আমার মামারা কেউ আসলো না। আমার গায়ে হলুদ অনষ্ঠানে আম্মাকে কাঁদতে দেখলাম। (ঐ সময়টা কেন মায়েরা কাঁদে তা তারাই বলতে পারবে। মেয়ের বিয়েতে মা না কাঁদলেও ছেলের বিয়েতে মা কাঁদে। যদিও ছেলেকে তার বাড়ী ছেড়ে চলে যেতে হয় না।) তিনদিনের মাথায় বিয়ে করে বউ নিয়ে ঢাকায় এসে অফিসে জয়েন করলাম।



আমার বিয়েতে আলোসজ্জা হয়েছিল কিনা আমি জানিনা। না হওয়ারই কথা। আমার বিয়েতে ঘর সাজানো হয়েছিল কিনা আমি জানিনা। আমার মনে আছে আমি বর সেজে গাড়ীতে ওঠার আগেও আম্মার ব্যান্ডেজ চেইঞ্জ করে ইনসুলিন ইনজেকশন পুশ করে নাস্তা করিয়ে নিয়ে গিয়েছি আমার সাথে। তবে আমার বাসর খাট সাজিয়েছিল আমার খালাতো ভাই বোনেরা। আমার খালা-খালু-কাজিনরা আমার জন্য যা করেছে তা আমি কোনদিনই ভুলবো না। তারা অনেক রিস্ক নিয়েছে আমার জন্য। অনেক কষ্ট করেছে। অনেক খরচ করেছে। কোনদিক দিয়ে আমার বিয়ের অনুষ্ঠানটা শেষ হয়ে গেলো তা আমি বুঝতেই পারিনি। কারণ সব কিছু এত ক্ষণস্থায়ী আর ঝড়ের বেগে হয়েছে যে সৃত্মির মাইলফলক হওয়ার সময় পায়নি। আমাদের পক্ষ থেকে আমার বিয়ের কোন বৌ-ভাত হয়নি। আমি আমার কোন বন্ধু-বান্ধবকেও জানাতে পারিনি।



"ফিরুনী" (বউ যখন জামাই এর সাথে করে তার বাবার বাড়ী যায়, যেটা সাধারনত বিয়ের পরের দিন হয়) গেলাম বিয়ের ২২ দিন পরে। বিয়ের পর অফিসে জয়েন করেই আমার সাথে বসের একটা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হলো। আমি আমার নীতির কাছে অটল থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম চাকুরী ছেড়ে দেবার। তাই দেড় মাসের মাথায় চাকুরী ছেড়ে দিলাম। আসলেই কোন কোন বিষয়ে আপোষ করতে হয়। কিন্তু আপোষহীন ভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত হলাম। যে আমি বেনসন খেতাম সেই আমি অনেক কমদামী সিগারেট ধরলাম (নামটা বললাম না)। সারাক্ষণ বাসাতেই থাকতাম। বাহিরে বের হতাম না। কারো সাথে কথা বলতাম না। কতটা মানসিক যন্ত্রনা। ঘরে নতুন বউ আর আমি চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। শ্বশুড়বাড়ীতে কাউকে বলতে পারে না আমার স্ত্রী।



চলবে...........



১ম পর্ব

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৭/-৩

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪২

কন্টক বলেছেন:
এটা ফ্যামিলি কেসের মদ্যে পড়ছে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

মিলটন বলেছেন: গত পর্বে আপনি একটা প্রশ্ন করেছিলেন ওটার উত্তর সেখানে দিয়েছি।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৫

জেরী বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল:(

আসলেই তো ছেলের বিয়ের সময় মা'রা কেন কান্না করে???

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

মিলটন বলেছেন: জেরী, অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে আসল কারণ হলো, ছেলের উপর মায়ের যে অধিকার থাকে তা আরেকজন ভাগ বসায়। এখানে ব্যাপারটা অন্যরকম করে ভাবলে চলবে না। এটা মন থেকে চলে আসে। যদিও কখনই মা আর বউ এর অধিকার সমপর্যায়ে পরে না। তারপরেও এটা চলে আসে মন থেকে।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৭

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: খারাপ সময় যখন আসে তখন সবকিছুই বিট্রে করে। তারপরও কিছু মানুষ পাশে থাকে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৫

মিলটন বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯

শিবলী বলেছেন: কস্ট... কস্ট...

এরপরই জীবনে যেন আসে অনেক অ-নে-ক সুখ

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫

মিলটন বলেছেন: আপনার দোয়া যেন কবুল হয়।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫০

বলাক০৪ বলেছেন: কষ্টের দিন গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। কিছু ছেলের মায়েদের কাছে শুনেছি তারা নাকি খুব ইনসিকিওর ফীল করেন ছেলের বিয়ের সময়। বাকিটার অপেক্ষায় থাকলাম।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:৫৬

ঘাসফুল বলেছেন:
মিল্টন ভাই,

হাড়ে হাড়ে টের পাইতাছি আপনার ঐ সময়টা। আশা করছি বর্তমান খুব সুখের কাটছে।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

কন্টক বলেছেন:
অই উত্তরটা এক্টু খোলাসা করি বলেন মিলট্ন বাই ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:১২

মিলটন বলেছেন: আপনি আছেন কোথায়?

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩

ছাই চাপা আগুন বলেছেন: একটি সত্যি বলি, এই ধরণের ঘটনাকে যতোটা আবেগের ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে হয় তা আপনার লেখায় খুজে পাইনি। তাই ঘটনাগুলো কষ্টের হলেও টাচি হয়নি।

লেখার প্লটগুলো হাইস্কুলের কোন ছাত্র রচনা কমন না পরলে যেভাবে বানিয়ে লেখে অনেকটা সেই রকম হইছে।

মাইনাস দিছি। আমি বলে কয়ে দেই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৪

মিলটন বলেছেন: ও আচ্ছা আচ্ছা আপনার লেখার ভাব বুঝতে পারার বুদ্ধিমত্তার পরিধী জেনে খুব পুলকিত হলাম।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৫

শামায়েল বলেছেন: খালাম্মার জন্য খুব খারাপ লাগলো। ওনার জন্য দোয়া।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২

আখসানুল বলেছেন: সাথে আছি। চালায়া যান।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০২

আরিয়ানা বলেছেন: ভাল লাগছে পড়তে, অপেক্ষায় থাকলাম নেক্সট লেখার।

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮

মুহিব বলেছেন: পড়ছি।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৮

ছাই চাপা আগুন বলেছেন: কমেন্টের জবাবটা মুছলেন কেন মিল্টন ভাই? এতো উত্তেজিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। স্রেফ সমালোচনা করেছি। সমালোচনা করার অধিকার অবশ্যই পাঠকের আছে। আমার মনে হয় তা সহ্য করার ক্ষমতাও আপনার আছে। আর মাইনাসতো আমি একা দেইনি। আরো দু'জন দিয়েছেন।

আমার মনে হয় আপনি নিজেকে স্রেফ লেখকই মনে করেন। পাঠক ভাবেন না। তাই নিজে প্লাস পাওয়ার মতো লেখেন বলে মনে করেন। আর অন্যরা মাইনাস পায় বলে টিটকারি মারেন।

হ্যা, আমি আপনার মতো লিখিনা। তাই মাইনাস খাই। আমার এই মাইনাস খাওয়া তিনটা পোস্ট আপনাকে পড়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করলাম। পড়া শেষ হলে আপনার লেখা কয়েকশ পোস্টের সাথে এগুলার কম্পেয়ার করেন।

আপনার জবাব মুছে ফেলেছেন বিধায় এই কমেনটটা হয়তো প্রাসংগিক হবেনা। তারপরেও যেহেতু কমেন্টের আইডিয়াটা মাথায় এসে গেছে তাই না করে থাকতে পারলাম না।

Click This Link

Click This Link

Click This Link

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৬

মিলটন বলেছেন: আপনার ঐ কমেন্টের জবাবে অনেক বড় লেখা দিয়েছিলাম সেটাই কাটছাট করে আবারো ছোট করে এক লাইনে লিখে দিলাম।

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

ছাই চাপা আগুন বলেছেন: ও, তাইলে আমার কমেন্টের সাইজটাও ছোট কইরা ফালাইলাম।

ভালা থাকেন আর খালি প্লাস পান।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০

মিলটন বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে প্লাস মাইনাস পাওয়ার জন্য ৩ বছর ধরে ব্লগে আছি।

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২

ছাই চাপা আগুন বলেছেন: ও, তাইলে কি সৈয়দ শামসুল হক হইতে আইছেন?

হইতে থাকেন। অগ্রিম অভিনন্দন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭

মিলটন বলেছেন: হা হা ব্যাপক মজা পাইতেছি আপনার সাথে কথা বলে।

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

অভীষ বলেছেন: মিলটন ভাই এখন কেমন আছেন?

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৮

০০৭৭৭৭৭ বলেছেন: আমি ভাল লেখক নই। তাই কোন কমেন্ট করব না।কিন্তু এটা বলতে চাই আপনার চেয়ে অনেক দুঃখি আছে।ভেঙ্গে পরলে চলবে না।আষ্থা রাখুন।বিদায়..................।ধারনা করি উওর দেবেন.............।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৪০

মিলটন বলেছেন: আমি নিজেকে অনেক সুখী একজন মানুষ মনে করি। আমি কোথাও বলিনি আমি একজন দুঃখী মানুষ। আল্লাহ অনেক ভালো রেখেছেন।

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: ছাইচাপা আগুনের কথা ভাল লাগল না।
স্মৃতিকথা হিসেবে এটি অনন্য হয়েছে। স্মৃতি কথায় কিভাবে ভাষার কারুকাজ করা যায় আমার মাথায় ঢোকে না। যেভাবে লেখা হয়েছে, সেটাই পারফেক্ট।



এই স্মৃতিকথা পড়ে আবার একবার নিশ্চিত হলাম আপনার সম্পর্কে আমার ধারনা ঠিক ছিল।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩

মিলটন বলেছেন: বাদ দেন ওনার কথা।

ধন্যবাদ রন্টি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.