নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীত ও আমার প্রিয় পিঠা

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২

শীত চলে যাবে আর কয়েকদিনই পরে। এখনই মাঝে মাঝে একটু গরম লাগে। তবে শীত একটা মজার ঋতু। অন্ততঃ আমার কাছে তাই মনে হয়। অনেকে আছেন যারা শীত একদমই পছন্দ করেন না। তবে তাদের সংখ্যাটা মনে হয় খুব কম। তবে সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার হলো এই শীতে আমাদের দেশে অনেক মানুষ পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করে।







এইশীতে সবচেয়ে একটা মজার বিষয় হলো শীতের সবজি। হরেক রকম সবজি উঠে বাজারে। যেগুলো সত্যিই আমাদের রসনার বেশ তৃপ্তি মেটায়। কিন্তু এবার সেই আশায় গুড়েবালি। এইসব সবজীর দাম প্রচুর থাকায় বাজারেও কম আমদানী হয়েছে।



এই শীত এলে মনে পড়ে আমার সেই ছোটবেলার কথা। শীতের পিঠা খাওয়া হতো প্রচুর। আমার সবচেয়ে প্রিয় পিঠা হলো ভাপা। আর খেজুরের রস। কম করে হলেও প্রায় ১০/১২ বছর খেজুরের রস খাইনি। আহা কি যে স্বাদ!! সেটা ভোলার নয়। দুর গ্রাম থেকে খেজুরের রস ওয়ালারা কাঁধে রসের কলসি ঝুলিয়ে যেত। এখন প্রতিগ্লাস কত দাম জানিনা? রস ওয়ালাকে পথে থামিয়ে গ্লাসে গ্লাসে রস খাওয়ার দৃশ্য বেশ উপভোগ্য। তবে এই রস খেতে হতো সকাল সকাল। বেলা গড়িয়ে গেলে রসের স্বাদও কার্যকারিতায় পার্থক্য ঘটে।





গাছ থেকে খেজুরের রস পাড়ার এবং সবাই মিলে আগুন পোহানোর দৃশ্য



আজকাল রাজধানীতে রাস্তার ধারে পিঠা ভাজার/বানানোর একটা রেওয়াজ চালু হয়েছে। তবে সেগুলো খুবই কর্মাশিয়ালী তৈরী করা হয়। সেখানে টেষ্টের চেয়ে কোয়ান্টিটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ভাপা পিঠাতে গুড় দেয়া হয় না তেমন এবং সেগুলো একেবারেই পাতলা, সাথে নাকি খাবার সোডাও দেয়া হয়। আর তেলের পিঠা ভাজা হয় খারাপ তেল দিয়ে।





ভাপাপিঠা বানানোর একটি দৃশ্য



পিঠার মধ্যে আরেকটা মজার এবং আমার প্রিয় পিঠা হলো পাটিসাপটা। খুবই মজার একটা জিনিস। পিঠার ভিতরে গুড় মাখা নারকেল দিয়ে তৈরী করা হয়। তবে অনেক জায়গায় দেখেছি এই নারকেলের পরিবর্তে দুধের ঘন ক্ষীরও দেয়া হয়।



কতবছর আমার এই প্রিয় খারাপ গুলো খাইনা!!! হয়ত সেই ছোটবেলার মজার দিনগুলোতে ফিরে যাবার কোন পথ নেই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৫

স্কাউট বলেছেন: খেজুর রশের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আহ ! সে কি স্বাদ ছিল । আজকাল নাকি ঐ রসেও ভেজাল থাকে। গ্রাম ছাড়া অরিজিনাল রস পাওয়া দুস্কর।

ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩

মিলটন বলেছেন: হ্যা রে ভাই খেজুরের রস। সে তো এক মজার জিনিস। আহা কতদিন খাইনা।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬

মাষ্টার_মশাই বলেছেন: ওহে... রস খাবি ?

এখন রস পাবি কোথায় । মাথায় যতটুকু আছে তাহাই এই ব্লগে প্রকাশ করিয়া যা। পুরানো স্মৃতি হইতে রস বাহির কর। বাস্তবে ভাপা পিঠা, কুলি পিঠা, আর অনেক পিঠার কথার ভুলিয়া যা।

ছোট কালে তো পড়াইছিলাম মনে আছে ? বাংলাদেশের কয়েকটি প্রসিদ্ধ পিঠার নাম কর। তুই কিন্তুক ভালোই লিখিয়াছিলি।

জোড়া বেত মারছিলাম এক হারামজাদা কে। ঐ হারামজাদা লিখিয়াছিল- কাঠাল গাছ চাছিয়া গাছি রস বাহির করিয়া সেই রস দিয়া যে পিঠা হয় তাহাকে "ভিজিন্না" পিঠা বলে!!! হে হে হে !!!


২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৩

মিলটন বলেছেন: তুই কোন স্কুলের মাষ্টার রে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.