নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমড়া কাঠের ঢেকিঘর

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

মিলটন

আনুমানিক ৩৫ বছর ধরে বহন করে চলছি এই রক্ত মাংসের ক্ষয়িষ্ণু দেহটাকে। পিছনে তাকিয়ে দেখি কোন পাথেয় সংগ্রহ হয়নি। তাই ভয় হয়। খুব ভালোবাসি মা আর সন্তানকে আর তার সমান্তরালেই আছে আমার দেশ, বাংলাদেশ। সালাম মা তোমাকে, সালাম বাংলাদেশ তোমাকে। ধন্য করেছ তোমরা আমাকে জন্ম দিয়ে। ঘৃণা করি তাদের, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আর সর্বদা অন্যের কুৎসা রটনা করে।

মিলটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসা কথন

১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪২

গত ১১ই জুলাই আমার শ্বাশুড়ীকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করি। ভেবেছিলাম ভালো চিকিৎসা হবে। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। হাসপাতালের ব্র্যান্ড কোয়ালিটি হিসেবে সেই রকম আহামরি কোন চিকিৎসা নেই। বরং অবহেলা এবং কর্তব্যপালনে অনীহা দেখেছি ডাক্তার ও ষ্টাফদের মাঝে।



আমার পরিবারে ডাক্তারের আধিক্য। তাই আমরা বরাবরই চিকিৎসার ব্যাপারটায় বেশ সচেতন থাকার চেষ্টা করি। চিকিৎসার ব্যাপারে কোনরূপ কার্পন্য করি না। একজন হার্টের ডাক্তারের পরামর্শে আমার শ্বাশুড়ীকে সাথেসাথে ওখানে ভর্তি করি। শুরুতেই ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখে বলল, "এখন এখানে কোন বেড খালি নেই। কোন ভাবেই সম্ভব না" চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে এবং কিছু রেফারেন্স দিতেই, রোগীর জন্য বেডের ব্যাবস্থা হয়ে গেলো। যাক, ভেবেছিলাম ভালো চিকিৎসা হবে।



কয়েকদিন যায়, কিন্তু সেইরকম রোগীর চাহিদা মাফিক উন্নতী দেখি না। ডাক্তার ওয়ার্ডে আসে কিন্তু সব রোগীকে দেখেনা। এবং ডাক্তার যখন ওয়ার্ডে আসে তখন রোগীর কোন এটেনডেন্টকে রাখা হয় না। যার ফলে যা খুশি তাই করতে পারে ডাক্তার। কাউকে দেখে কাউকে দেখেনা। আর নার্সদের খারাপ ব্যাবহার তো আছেই।



রোগীর ফাইল কখনই বেডের কাছে দেয়া হয় না। আমি একবার সুযোগ বুঝে ফাইলটি হাতে পাই। কাগজ পত্র উল্টে পাল্টে দেখি অন্য একটি রোগীর রিপোর্ট সেই ফাইলের মধ্যে। মারাত্বক অপরাধের মধ্যে এটা একটা। সাথে সাথে কমপ্লেন করি তাও তাদের মুখ থেকে "সরি" শব্দটা পাইনা। রেগে বলল, "ভুল তো হতেই পারে।" এ যেন একটা ছেলে খেলা। এরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করে।



জানতে পারি নার্সরা কখনও ঔষধ খাওয়ায় আবার কখনও খাওয়ায় না। কার ইঞ্জেকশন কাকে দিচ্ছে আল্লাহ মালুম। কার অক্সিজেন কাকে দিচ্ছে তাও নিয়ে সন্দেহ আছে। যখন রির্পোটের কাগজ এক জনেরটা আরেকজনের ফাইলে যায় তখন এসব অনিয়ম তো হতেই পারে। তার পরের দিন আবারও আমি গিয়ে ফাইলের মধ্যে আবারো অন্য একটা রোগীর রিপোর্ট পাই। কমপ্লেন করার পরও তারা নির্বিকার। রিপোর্ট উল্টাপাল্টার জন্য ডাক্তাররা তো ভুল প্রেসক্রাইব করবেই।



কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সিকিউরিটির ব্যাপারে বেশ সন্তোষজনক। সেখানে কোন কথা নেই। কিন্তু আসল যে ব্যাপারটা "চিকিৎসা" সেটার বেলায় আছে অনেক অভিযোগ। এই হলো একটা নামকরা হাসপাতালের চিত্র। এরচেয়ে আরো খারাপ চিত্র দেখা যায় সরকারী হাসপাতাল গুলোতে। সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই এসব অনিয়মের ব্যাপারে। যার জন্য একশ্রেণীর ডাক্তার, নার্স এবং হাসপাতাল ষ্টাফরা "সেবা" বিষয়টাকে পুরো ব্যাবসায় পরিণত করেছে।



এ পরিস্থিতির উন্নতি কি কখনই হবে না?

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৮

গুরু তুমি মহান, তোমারে করি প্রনাম বলেছেন: দামী ঔষধ বা ইন্জেকসন চুরি করে বাহিরে বিক্রি করে দেয়। আর বলে ইন্জেকসন দেয়া হয়েছে।

এদেশের ডাক্তারা হলো বসচে বড় চোর। রোগীর গলা কাটাতে তারা সব সময় ব্যস্থ থাকে।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০২

মিলটন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, রোগীকে ঔষধ দেবার সময় এটেনডেন্টকে থাকতে দেয় না। আর কি কি ঔষধ দেয়া হচ্ছে সেটাও বলে না।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৪৮

বডটজসৃ বলেছেন: না .।হবেনা। এরা বেসিকেলি ডাক্তারী পড়ে ব্যবসার জন্য.।তাতে যদি মানুষ মারাও যা্য.।এরা আগে দেখে পকেটের অবস্থা।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১১

মিলটন বলেছেন: আমার পরিবারে এখন যারা ডাক্তার হয়ে বের হওয়ার জন্য ওয়েট করছে তাদের আমি শুধু একটি কথাই বলি, “ডাক্তার হও সেবা করার জন্য, পকেট ভরার জন্য ডাক্তার হয়ো না”

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

কালপুরুষ বলেছেন: ইউনাইটেডের সার্ভিসতো আরো খারাপ। শুধু গলা কাটার ধান্দা।

জেনে রাখলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

মিলটন বলেছেন: ইউনাইটেড গত ১৫ দিন আগে আমার চাচার ওপেন হার্ট সার্জারী হয়েছে। অনেক নাকি খরচ হয়েছে শুনলাম। আসলে ভাই চিকিৎসা কোথাও নেই। সেবা এখন পণ্য।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:০৭

সাইফুর বলেছেন: বাহ..জীবনের মুল্য এতই কম ওদের কাছে

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

মিলটন বলেছেন: জীবনের কোন মূল্য নেই ওদের কাছে। এদের হৃদয় কি দিয়ে তৈরী সেটা আল্লাহই জানেন।

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১১

অর্ফিয়াস বলেছেন: আমি যতদুর জানি এরা কোটি কোটি টাকা নিয়েছে লটারীর নামে জরগনের কাছ থেকে। আমি নিজেও ইচ্ছায় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ কটি কিনেছি। কিন্তু সেবার যা মুল্য নেয়া হয় তা অন্য কোন প্রাইভেট হাসপাতালের চে কম নয়। তো এই টাকাটা কেনো নেয়া হলো?

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭

মিলটন বলেছেন: তাহলে সরকার দেশে থেকে লাভ টা কি?

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

রাজীব বলেছেন: এজন্যই ভারতে যাবার সময় দেখি যারা বর্ডার পার হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যায়।

আমি সবসময় দেশকে ভালোবাসি তারপরও কেউ অসুস্থ হলে বলি পারলে ভারতে চলে যেতে। কারন এখানে রোগ নির্নয় করতে যে টাকা খরচ হয় ভারতে সেটি দিয়ে থাকা-খাওয়া সহ চিকিৎসার খরচ হয়ে যায়। আর দেশে অনেক অনেক টাকা খরচ করার পরও ভুল চিকিৎসার সাথে ফ্রি হিসেবে যা পাওয়া যায় সেটি হচ্ছে হয়রানী।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

মিলটন বলেছেন: হ্যা শুনেছি ভারতে ভালো চিকিৎসা হয়। অথচ আমি আমার কেন যেন মনে হয় আমাদের এখানকার ডাক্তার ইচ্ছা করলে ওখানকার চাইতে ভালো সেবা দিতে পারে, মূল সমস্যাটা হলো আন্তরিকতার অভাব আর পয়সার ধান্ধা।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় মিল্টন, এক কথা বলতেগেলে-ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনেরই "হার্ট" নস্ট হয়ে গিয়েছে! তবে এই চিত্র মোটেই বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। বাংলাদেশের সকল নামী-দামী/অভিজাত হাসপাতের চিত্র মোটামুটি একই রকম। ওরা বাইরে সত্যি অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিন্তু ভিতরের অবস্থা ভয়াবহ বললে অতুক্তি হবেনা।

আমার ক্যান্সার চিকিতসার জন্য পেগ্লিটক্সিল-বি নামক একটা ইঞ্জেকশন নিতে হয়। সুইডেনের তৈরী ঐ ইঞ্জেকশন এর দাম ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। বেশীর ভাগ সময়ই আমি কেমো থেরাপী সিংগাপুরে নেই। বিভিন্ন কারনে দুই বার আমি দেশের নামকরা একটি হাসপাতালে কেমো নিতে বাধ্য হই। আমাকে কেমোথেরাপীর সময় সর্বমোট ৩৮ টা ইঞ্জেকশন মিক্স করে কেমো দেয়া হয়। ঐ ৩৮টা ইঞ্জেকশনের ভিতর পেগ্লিটক্সিল-বি ইঞ্জেকশনটাও থাকে। সেই বিখ্যাত হাসপাতাল থেকেই আমাকে সকল ইঞ্জেকশন সরবরাহ করা হয়েছিল। কেমো পুশ করার ২ ঘন্টার মধ্যেই আমার শারিরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়। সাথে সাথে কেমো বন্ধ করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়-পেগ্লিটক্সিল-বি ইঞ্জেশনটা মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল। কিন্তু হাসপাতালের কতিপয় অসাধু ব্যাক্তি কারসাজি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইঞ্জেকশনের লেবেল তুলে ফেলে এখানে প্রিন্ট করা লেবেল ইঞ্জেশনের এল্পুলের উপড় লাগিয়ে দিয়েছিল। আমার চ্যালেঞ্জ করার সুযোগছিল-তাই আমি ক্ষতিপুরন সহ যাবতীয় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। কিন্তু যাদের চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নাই-তাদের অবস্থার কথা বলাই বাহুল্য! এই হলো আমাদের তথাকথিত বিখ্যাত হাসপাতালের ভিতরের চিত্র!

তোমার এই পোস্ট সাধারন রোগী এবং সচেতন নাগরিকদের আরো বেশী সচেতন হতে সহায়ক হবে।

ধন্যবাদ।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫১

মিলটন বলেছেন: আপনার বর্ণনায় খুবই মর্মাহত হলাম। এটা কেমন কথা? মেয়াদউত্তীর্ণ অসুধের প্রয়োগ।

চিন্তা করেন, আমি যদি ফাইলটা না দেখতাম তাহলে তো আরো ভুল চিকিৎসা হতো।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

মদন বলেছেন: চিকিৎসার নামে নির্যাতন।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৫৭

মিলটন বলেছেন: কিন্তু এ জীবন নিয়ে খেলা উচিত নয়।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

সাম্বাদিক বলেছেন: আমার বোন ন্যশনাল হার্ট ফাউন্ডশনে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু যে অব্যবস্থাপনা দেখেছি আর রোগীর প্রতি যে অবহেলা দেখেছি তাতে যে উদ্দেশ্য নিয়ে হাসপাতালটি ৈতরী হয়েছে তার বিন্দু মাত্র নেই। আমি সাংবাদিক হওয়ার পরও এ নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। এর প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মলেক। তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলাম। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে পারলামনা। এর মাঝে যে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে তা করলে প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গেও দেখা করতে পারতাম। শালারা মানুষের টাকা দিয়ে ট্রাস্ট ৈতরী করে হাসপাতাল একখান বানিয়ে যা ইচ্ছা তাই করছে। দেশে নার্সদের ব্যহার সবচেয়ে খারাপ। এরা নাকি সেবিকা!!!!!!!!!!!

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৮

মিলটন বলেছেন: আপনারা মিডিয়াতে আছেন আপনারা এই অনিয়ম নিয়ে লেখা লেখি করেন প্লিজ।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: ডাক্তার নাম শুনলেই খারাপ লাগে। এরা সব জানোয়ার।
আমিও বেশ কয়েকবার সমস্যায় পরেছি এদের কাছে গিয়ে

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২২

মিলটন বলেছেন: এর অর্থ দেখা যাচ্ছে সবাই ভুক্তভূগী। কিন্তু এগুলোর প্রতিকার হচ্ছে না কেন? আর কতদিন?

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

মন মণষা বলেছেন: আমার বাবা হার্টের রুগী। মোটামোটি হার্ট ইন্সটিটিউট ও হার্ট ফাউন্ডেসন এ বেশ কয়েকবার দৌড়-ঝাপ করতে হয়েছে। একবার বাবা সেন্সলেস হয়ে গেলে হার্ট ফাউন্ডেসন ইমার্জেন্সি তে নিলে বলে সিট নাই এ্যাডমিট করা যাবে না। এমন কি ইমার্জেন্সি চিকিৎসাটাও তারা দিতে চায় নি...অগ্যতা হার্ট ইন্সটিটিউট নিয়ে যাই...এটিকে লাইফ সেভার হাস্পাতাল বলা যায়...সরকারি বলে সে রুগি ভর্তী করতে বাধ্য। বাবাকে যখন সি.সি.ইউ তে নিয়ে যাই তখন কোন সিট ছিল না...মেঝে তে রাখা হয়...ডিউটি ডাক্তাররা এমার্জেন্সি চিকিৎসা দেন...যদিও ইমার্জেন্সি মেডিসিন আমাদেরকেই সাপ্লাই করতে হয়। ডিউটি ডাক্তাররা তাদের সর্বচ্চো চেষ্টা করেন। দিনে একবার ডিউটি প্রফেসর দেখে যান।

হার্ট ইন্সস্টিটিউট ইমার্জেন্সির জন্য ভালো বলব এই কারনে সে কর্তব্যরত ডাক্তার রা নুন্যত্তম তাদের ইমার্জেন্সি কর্তব্য পালন করেন। সরকারী হাস্পাতালে সিট-মেডিসিন থাকবেনা জানা কথা...যদিও টাকায় সব মেলে।

সিসিইউ তে আমার বাবা ছিলেন ৫ দিন। সরকারী হিসাবে বিল এসেছিল খুব সম্ভবত ২৫০টাকার মধ্যে। তাও তিন বেলা খাওয়া সহ। মান যাই হোক।

আমার মতে আমাদের সরকারি হাস্পাতাল গুলোর বিষয়ে সচ্চার হওয়া উচিত...কারন সরকারী হাস্পাতালে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার ৫০ ভাগও যদি আপনি নিশ্চত করতে পারেন তাহলে আপনি নিজেই অবাক হবেন যে সরকারী নিয়োম নিতীতে রুগীর কতখানি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে আর বাস্তবে কি পরিমান পুকুর চুরি হচ্ছে।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৩২

মিলটন বলেছেন: সরকারী হাসপাতাল সেতো ভাই আরেক নরক। কোথায় যাবো ভাই?

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:১৫

মোঃ তৈমুর রেজা বলেছেন: আমার বাবাকে ভর্তি করানোর সময় ৪-৫ ঘন্টা বসে থাকতে হয়েছিল.. অনেক হয়রানি হতে হয়...যেমন সেবা আশা করা হয় তেমন সেবা পাওয়া যায় না তা হার্ট ফাউন্ডেশন বলেন বা ল্যাব এইড ই বলেন....সব জায়গাতেই বিশাল অভিজ্ঞা হয়েছে...আর ডাক্তার,নার্সরা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল গুলোতে যায় নাকি তারাত যায় টাকা কামাতে আর চাকরি করতে..হাসপাতাল গুলোরও মেইন টার্গেট থাকে কিভাবে মানুষের গলা কাটবে....জাতি হিসেবে কি আমরা অভাগা হয়েই থাকব আজীবন....

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪০

মিলটন বলেছেন: হ্যা তাই তো মনে হচ্ছে যে জাতি হিসাবে আমরা অভাগাই থাকবো আজীবন, আমাদের কোন নাগরিক অধিকার নেই।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:২৩

ভাবসাধক বলেছেন: "সেবা" বিষয়টাকে পুরো ব্যাবসায় পরিণত করেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪১

মিলটন বলেছেন: হুম সেটাই।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪১

এসএনিট বলেছেন: কালপুরুষ দা ইউনাইটেডের সার্ভিস সম্বন্ধে আসলে কয়েক পাতা লেখা যাবে। আপনার ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা আছে কিনা জানি না আমাদের বাস্তব অভিঙ্গতা বড়ই অসহনীয় এবং দেশের জন্য লজ্জাজনক।

গলা কাটার ধান্দাবাজির একটা ছোট্ট নমুনা দিচ্ছি- এক একজন ডাক্তার যতবার রোগীর কেবিনে রোগী কে দেখতে যাবেন -আপাত: দৃষ্টিতে সেই ডাক্তার কে আপনার মহান মনে হতেই পারে কিন্তু তাকে মহান মনে করার কোনই কারন নাই, আসলে সে তার প্রতিবারের ভিজিট পাকাপোক্ত করনে ঘন ঘন রোগীর প্রতি মমতায় উদ্বেলিত হয়ে ওঠেন।

খাবারের মান এতই খারাপ যে তা না থাকলে বোঝা কঠিন। একই ফ্লাস্কে একবেলায় দুধ আর অন্য বেলায় চায়ের পানি সরবরাহ করে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কি নমুনা! দুধপঁচা গন্ধে রোগীর বমি করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

চেহারায় তিনতারা হোটেল বানিয়ে রাখা কিন্তু এই হাসপাতালের কেবিনে বসে আমি আর আমার বোন সোফা আর কম্বলের মধ্য থেকে ৩০ টা ছারপোকা মেরেছি সারারাত বসে..আর ও শুনতে চান...ডাক্তারদের কোয়ালিটি সম্বন্ধে? আরেকদিন লিখবো...

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪৮

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: না, ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশনে আমার বেশ ক'জন রোগী চিকিৎসা করিয়েছিলাম, কিন্তু এক্সপেরিয়েন্স খারাপ না।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:১৯

মিলটন বলেছেন: হতে পারে, তবে আমি ভালো সার্ভিস পাই নি।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: কারো কাছে কখনও এদেশের হাসপাতাল বা ক্লিনিকের সেবা নিয়ে কোন ভাল কথা শুনলাম না! এদের কি অনুশোচনা হবে না কোনদিন!

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৫

মিলটন বলেছেন: কোন দিনও হবে না।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:১১

মুহিব বলেছেন: আমি অবশ্য ভালই শুনি এই হাসপাতালের নাম।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:২৫

মিলটন বলেছেন: একটি উদাহরণই আপনার ধারনা ভুল প্রমান করতে পারে।

রোগীর ফাইলে অন্য রোগীর রির্পোট থাকে। এটাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? যদি সেটা একবার হতো, তবেও হতো। কিন্তু আমি তাদের ভুলটা ধরিয়ে দেবার পরেও আবারো পরের দিন একই ভুল?

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৩৫

আজনবী বলেছেন: আপনর বর্ননা শুনে মর্মাহত হলাম। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের অবস্থা এখন চালকবিহীন ট্রেনের মত। যে হার্টের ডাক্তারে উপর ভরশা করে এটে শুরু হয়েছিল, সে এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চাকরী করছে। সে থাকা অবস্থায় এটার অবস্থা ভাল ছিল। আমার জানামতে তিনি রোগীদে খুব কেয়ার করতেন, এমনকি তার কথায় অনেক রোগী ডিসকাউন্ট পেত। গত সপ্তায় আমার পরিচিত একজনের বাইপাস হলো ইউনাইটেড হাসপাতালে, সেখানে সেলস সার্ভিস - চরম দুরাবস্থা। সবকিছুই চলে মালিক আর কর্মচারীদের সুবিধামত, ডাক্তার সাহেব এখানে শুধু রোগী দেখে, অপারেশন করে। রোগীদে সহযোগিতা করার ক্ষমতা ওনার এখানে নেই।

বাংলাদেশে এখন অনেক ভাল ভাল হার্টের ডাক্তার আছে, তারপরও ইন্ডিয়ার চিকিৎসা অনেক বেটার এবং সাশ্রয়ী।

ঢাকার এপোলো হাসপাতালের সেলস সার্ভিস এখনো ভাল আছে, তবে তা খুব এক্সপেনসিভ।

নিজের জন্য প্রার্থনা করি মরার আগে যেন কোন হাসপাতালে ভর্তি হতে না হয়।

১৯ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৫৫

মিলটন বলেছেন: আপনার শেষ কথাটি যেন সবার বেলাতেই প্রযোজ্য হয়। ঝুঁকিযুক্ত মৃত্যু চাই না।

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব বলেছেন: "অথচ আমি আমার কেন যেন মনে হয় আমাদের এখানকার ডাক্তার ইচ্ছা করলে ওখানকার চাইতে ভালো সেবা দিতে পারে, মূল সমস্যাটা হলো আন্তরিকতার অভাব আর পয়সার ধান্ধা।"

মিল্টনভাই আমাদের ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসা দিতে পারে কিন্তু ভালো ম্যানেজমেন্টের অভাব আছে আর আছে কমিটমেন্টের অভাব আসলে অভাব নয় কমিটমেন্ট একেবারেই নেই।

অথচ আমাদের ডাক্তাররাই বিদেশে অনেক ভালো সেবা দিচ্ছে। একসময় পুরো মধ্যপ্রাচ্যের চিকিৎসা ভার ছিল বাংলাদেশী ডাক্তারদের উপর। তখন মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৭০% ডাক্তারই ছিল বাংলাদেশী। এখনো আমাদের অনেক ডাক্তার সেখানে ভালো কাজ করছে। কিন্তু আমাদের দেশে এলেই তারা ব্যবসায়ী হয়ে যায়।

২১ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৭

মিলটন বলেছেন: "মিল্টনভাই আমাদের ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসা দিতে পারে কিন্তু ভালো ম্যানেজমেন্টের অভাব আছে আর আছে কমিটমেন্টের অভাব আসলে অভাব নয় কমিটমেন্ট একেবারেই নেই।"

আপনি ঠিক কথাই বলেছেন।

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: :(

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৪৬

জুন বলেছেন: বাংলাদেশের সকল হাসপাতালের রূপ একই রকম,
কোনো পার্থক্য নেই।যাকে বলে ভয়াবহ।

২১ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৫৮

মিলটন বলেছেন: জ্বি

২২| ২১ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

অপরাজিতা ০০৭ বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তারই কসাই, আর নার্স ও ওয়ার্ডবয়েরা চোর

২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪১

মিলটন বলেছেন: একেবারে ঠিক।

২৩| ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৮

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: আপনার কথা খুবই সঠিক। ওদের এখানে এখন আর চিকিৎসা হয় না, হয় ব্যবসা। প্রতিষ্টা লগ্নে মোটামুটি ভাল থাকলেও এখন তার বেহাল অবস্হা।

বেশ আগে আমার ভগ্নিপতিকে ইমার্জেন্সী ভাবে ভর্তি করিয়েছিলাম ওখানে। কয়েকদিন নর্মাল চিকিৎসা দেওয়ার পর বলল এনজিওগ্রাম করে দেখতে হবে। সেই মোতাবেক আমরাও রাজী হলাম কিন্তু আশ্চর্যের কথা হল, দুলাভাইকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে ডা: জিঙ্গেস করল, আপনার যদি হার্টে ব্লক পাওয়া যায় তবে কি রিং পরাবেন? চিন্তা করেন, এটা কেমন কথা.......... রিং পরানোর সাথে টাকার সম্পর্ক আছে, কতটুকু ব্লক আছে তার জন্যে ডিসিশানের ব্যাপার আছে। এই সব ডিসিশানের আগে আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ করে, প্রিপারেশান নিয়ে তারপর না করতে হয়। এরকম একটা ডিসিশান ইনস্ট্যান্টলি কারো দেওয়া সম্ভব, না উচিত সেটা আমার মাথায় ঢুকেনা। আমার দুলাভাইর দুইটা ব্লক আছে কিন্তু তিনি এখনও মেডিসিন চিকিৎসা চালাচ্ছেন। আমরাও বেশ কয়েকজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শক্রমে আর রিং পরানোর কথা ভাবিনি।
তারপর ওখানের এন্টারটেইমেন্ট এর অবস্হাতো মাশাল্লাহ......... । এসব ভোগান্তির কারনেই আমার আম্মাকে আর ওখানে চিকিৎসা দেইনি এবং দুলাভাইকেও ২য়বার ওখানে আর নিয়ে যাইনি।

২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪০

মিলটন বলেছেন: আসলেই জটিল পরিস্থিতি।

২৪| ২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: হবে , যেদিন এই দেশে টাকার জোরে না মেধার জোরে ডাক্তার হবে:)

২২ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৪১

মিলটন বলেছেন: ঠিক

২৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:৫৪

রাগিব বলেছেন: ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন তো বছর আটেক আগে ভালো ছিলো। আমার বাবার অপারেশন হয়েছিলো ওখানে, ২০০২ সালে। তখন ভালো ভালো সব চিকিৎসকেরা ওখানে ছিলেন। তাঁদের অনেকে পরে অ্যাপোলো ও ইউনাইটেডে চলে গেছেন বলে শুনেছি। হয়তোবা একারণেই এখন অবস্থা খারাপের দিকে গেছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫৫

মিলটন বলেছেন: আমিও ঠিক আপনার মত জানতাম যে ওখানকার অবস্থা ভালো। কিন্তু সেই "ভালোটা" আগে ছিল। এখন আর নেই।

২৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৫:১৫

সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: :-/ :-/ :-/ :-* :-*

২৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শিবলী বলেছেন: আমার খালার অপারেশন ওখানে করেছিলাম।
রাতে পাহাড়া দিতে দিতে ধুয়া খাওয়া শিখেছিলাম ;)

তবে ঐখানে রেফারেন্স ছাড়া ভাল সেবা পাওয়া মুশকিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.