নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উঠন্ত মুলো পত্তনে চেনা যায়।

ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।

রাকিব জাভেদ মিন্টু

জ্ঞান অর্জন করাই আমার জীবনের মূল লক্ষ্য।

রাকিব জাভেদ মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রঙে ভরা বঙ্গের অঙ্গরাগের গল্প

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০





সম্মানিত পাঠক প্রথমেই জানতে চাইতে পারেন- আচ্ছা অঙ্গরাগ কী? শব্দটির অনেক অর্থ আছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজবোধ্য উত্তর হলো শৌচাগার বা পায়খানা। গ্রামবাংলার বেশিরভাগ এলাকায় এটিকে বলা হতো টাট্টি। ইদানীংকালে টাট্টি শব্দটি খুব কম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সত্তরের দশক পর্যন্ত আবহমান বাংলার সর্বত্র যেমন টাট্টি শব্দটির ব্যাপক প্রচলন ছিল, তেমনি গ্রামে-গ্রামে, ঘরে-ঘরে টাট্টি নামক স্থানটির আকার, আয়তন এবং চেহারা-চরিত্র প্রায়ই একই রকম ছিল।



গেরস্ত বাড়ির রান্নাঘরের কাছাকাছি থাকত মহিলাদের টাট্টি আর পুরুষদেরটা থাকত ঝোপজঙ্গলে কিংবা গোয়াল ঘরের পেছনে। মাটিতে ২-৩ ফুট গভীর এবং ৩-৪ ফুট প্রশস্ত একটি গর্ত করা হতো। সেই গর্তের ওপর একটি মজবুত বাঁশ আড়াআড়ি পাতা হতো অনেকটা সাঁকোর মতো করে। এরপর বাঁশের ওপর নীরবে আরাম করে কিছুটা সময় বসে থাকার জন্য একটু উঁচুতে অন্য একটি চিকন বাঁশের হাতল বসানো হতো। এরপর গর্তটির চারপাশে চটের বস্তা বা কলাপাতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হতো। ব্যস তৈরি হয়ে গেল টাট্টি।



সত্তরের দশকে শুধু গ্রাম নয়- খোদ রাজধানীতেও টাট্টি বা কাঁচা পায়খানা ওরফে শৌচাগারের দাপটে গোবরে পোকা ও নেড়ি কুকুরের প্রজনন ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছিল। আর বাঙালির সহজাত রুচিবোধ কী পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। নারী-পুরুষের লজ্জা-শরম প্রায় চলে গিয়েছিল। পুরুষরা মালকাছা দিয়ে কাজকর্ম করত। এতে করে তাদের পশ্চাৎদেশের পুরোটাই দেখা যেত। কোনো কামলা যদি কাজ করতে এসে মালকাছা দিয়ে লুঙ্গি বা ধুতি না পরত তবে গেরস্ত ভারি রাগ করত। বলত এই ব্যাটা হারামজাদা! গুয়ার মাতি বাইর কইরা কাছা দে! অন্যদিকে গ্রাম্য মহিলাদের প্রায় সবাই পেটিকোট ছাড়াই শাড়ি পরত এবং বিশেষ কোনো উপলক্ষ না থাকলে ব্লাউজও পরত না। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী কিংবা অপুর সংসারে নারী-পুরুষের পোশাক-আশাকের চমৎকার একটি চিত্রপট ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।



টাট্টি ছাড়াও মানুষ জায়গা-বেজায়গায় প্রাকৃতিক কর্মাদি সারত। বিশেষ করে ব্যাটা ছেলেরা ঝোপঝাড়, পাটক্ষেত, আখক্ষেত প্রভৃতি স্থানে বসে যেত। অনেকে কর্মটি করার পর পানিও ব্যবহার করত না। ঘাস বা গাছপালার সঙ্গে হ্যাচর দিয়ে পরিচ্ছন্ন হতো। ফলে রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে মানুষ পড়ত দ্বিমুখী সমস্যায়। যদি মাটির দিকে চেয়ে পথ চলত তবে একটু পরপরই রঙবেরঙের দুর্গন্ধযুক্ত মনুষ্য বিষ্ঠা দেখতে পেত। অন্যদিকে যদি বেখেয়ালে পা ফেলত তবে নিশ্চিতভাবে নোংরা বিষ্ঠায় পদযুগল অলংকৃত হতো। উভয় ক্ষেত্রেই মানুষটি এক নোংরা স্মৃতি ধারণ করে আপন আলয়ে ফিরত। তার সামনে যত ভালো খাবারই পরিবেশন করা হতো তখন তার স্মৃতিতে সেই নোংরা দৃশ্য বারবার ভেসে উঠে খাবার-দাবারের আনন্দটাই নষ্ট করে দিত।



বিশেষ করে ঘন ডালজাতীয় খাবার হলে তো কথাই ছিল না- ক্ষেত্রবিশেষে বমন বমন ভাব চলে আসত। আমাদের বাড়ির পাশে ফটিক নামে এক বালক ছিল। তার দাদি তাকে ডাকত ফইটক্যা বলে। আর ফইটক্যা তার দাদিকে ডাকত বু বলে। ফইটক্যা রোজ স্কুল থেকে ফেরার পর দাদির কাছে আসত আর বলত, ও বু আমি গু পাড়াইছি! বৃদ্ধ দাদি ফইটক্যাকে পুকুরে নিয়ে যেতেন এবং পুকুরের পানিতে নাতির পায়ে লেগে থাকা বিষ্ঠা বিসর্জন দিতে দিতে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মলত্যাগকারীদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতেন। ফটিক আজ মস্তবড় সরকারি কর্মকর্তা। আমি যদি তার নাম বলে দিই তবে অনেকেই চিনতে পারবেন তাকে।



সত্তরের দশকের সেই অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে প্রায় সব মানুষের দেহ ছিল খোসপাঁচড়ায় ভর্তি। সারা বছরই জ্বর, সর্দি লেগে থাকত। আমাশয়, পাতলা পায়খানা, বদহজম এবং নানারকম কৃমির আক্রমণে সব বয়সের নারী-পুরুষ ছিল রক্তহীন ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী। বিশেষ করে গুঁড়া কৃমির আক্রমণে ছোট শিশুরা সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। ওই সময়ের বালক-বালিকাদের মধ্যে একজনকেও পাওয়া যাবে না যারা গুঁড়া কৃমির যন্ত্রণায় রাতের বেলায় গড়াগড়ি করে চিৎকার করেনি এবং তাদের বাবা-মা কিংবা দাদা-দাদি এসে শিশু কিংবা বালক-বালিকাদের পশ্চাৎদেশ ফাঁক করে সেই কৃমি বের করেনি! এই অবস্থার মধ্যে বেড়ে ওঠা জাতির এক বিরাট অংশ যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের বেশি তারা কোনো অবস্থাতেই অতীতের সেসব স্মৃতি না পারবে ভুলতে কিংবা না পারবে নিজেদের সাম্প্রতিককালের উঁচু পদ-পদবি বা মর্যাদার সম্মানার্থে সত্যিকার আভিজাত্য প্রদর্শন করতে।



সম্মানিত পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণে বিরক্তির চরম সীমায় পৌঁছে গিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন- আরে ভাই শুরু করলেন কী! অঙ্গরাগের মানে বলতে গিয়ে আপনি তো অনেকের বস্ত্র ধরে টানাটানি শুরু করলেন! তাছাড়া আজ এত বছর পর আপনার এসব মনেই বা পড়ল কেন? আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- আমার এসব মনে পড়ল বঙ্গবন্ধু এবং ড. কুদরত উল্লাহ শিহাব নামের এক আইসিএস অফিসারের কারণে। বঙ্গবন্ধুর কথা একটু পরে বলছি। আগে বলে নেই কুদরত উল্লাহ শিহাবের কথা। ভারত বিভাগের আগে সর্বশেষ যে আইসিএস অর্থাৎ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষায় পাকিস্তানি যুবক কুদরত উল্লাহ শিহাবও উত্তীর্ণ হন। পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে একীভূত হন। ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে তিনি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তখন লিয়াকত আলী খান। সেই কেবিনেটের শিক্ষা, বাণিজ্য এবং উদ্বাস্তুবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন আমাদের ঢাকা জেলার সাইনপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ফজলুর রহমান।



কুদরত উল্লাহ শিহাব তার বিখ্যাত বই সাহাবনামায় লিখেছেন- আমি তখন মন্ত্রীর রুমে বসেছিলাম এবং পাকিস্তানের আমদানি-রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এমন সময় ফাইল হাতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া সিএসপি ক্যাডারের সবচেয়ে অধস্তন কর্মকর্তা সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক যুবক সেখানে ঢুকলেন। কোনো রকম সৌজন্য ছাড়াই তিনি ফাইলটি স্বাক্ষরের জন্য মন্ত্রীর সামনে রাখলেন এবং অনেকটা কর্তৃত্বের অভিব্যক্তি নিয়ে চেয়ারে বসলেন। মন্ত্রী ফাইলটি দেখলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন এগুলো কী এবং কোথায় ব্যবহৃত হবে। কর্মকর্তাটি উত্তর করলেন- এগুলো হলো স্যানিটারি ল্যাট্রিন বা নিরাপদ পায়খানার প্যান। চীন দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। মোট ১০ হাজার পরিবারের মধ্যে এগুলো বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করলেন- কোন প্রদেশে এগুলো যাবে?



কর্মকর্তা জানালেন- সবই পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ। মন্ত্রী এবার বেশ কাঁচুমাচু করে ওই জুনিয়র কর্মকর্তাকে বললেন- আচ্ছা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কিছু অংশ কি বরাদ্দ করা যায় না? কর্মকর্তাটি বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলে উঠলেন- পূর্ব পাকিস্তানে কোনো সাধারণ মানুষ কি নিরাপদ পায়খানা ব্যবহার করতে জানে? তারা তো ঝোপঝাড়, মাঠঘাট এবং খোলা ময়দানেই কাজ সারে। এ কথা বলেই কর্মকর্তাটি দাঁত বের করে হাসতে থাকল এবং মন্ত্রী একদম চুপসে গেলেন। তিনি আর কথা না বাড়িয়ে ফাইলে স্বাক্ষর করে দিলেন।



আগস্ট মাসের ভয়াবহ সব স্মৃতির মধ্যে আমার হঠাৎ করেই কুদরত উল্লাহ শিহাবের কথা মনে পড়ল। পাকিস্তান আমলে একজন কেবিনেট মন্ত্রীর সামনে সচিবালয়ের সবচেয়ে জুনিয়র কর্মকর্তাটি বেয়াদবিমূলক আচরণ করতে সাহস পেয়েছিল- কারণ ভদ্রলোকের বাড়ি ছিল পূর্ববঙ্গে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিল- ফজলুর রহমান কিন্তু যেনতেন মানুষ ছিলেন না। নামকরা মুসলিম লীগ নেতা ছিলেন। পারিবারিক আভিজাত্য এবং অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ছিল উল্লেখ করার মতো। রাজনীতিতেও ছিলেন যথেষ্ট অভিজ্ঞ এবং শীর্ষস্থানীয়। ১৯৩৭ সালে তিনি ঢাকা মহানগরী থেকে বেঙ্গল লেজেসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৩ সালে তিনি সেই কাউন্সিলের চিফ হুইপ মনোনীত হন। ১৯৪৬ সালে তিনি অবিভক্ত বাংলার রাজস্ব মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৪১ বছর।



ভারত ভাগের পর তিনি ১৯৪৭ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য, শিক্ষা এবং পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৫১-১৯৫৩ সালের কেন্দ্রীয় সরকারে যখন খাজা নাজিম উদ্দিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তখনো তিনি শিক্ষা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনী এলাকা থেকে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন। কাজেই এমন একজন জাঁদরেল লোকের সঙ্গে যদি পাকিস্তানি আমলারা তুচ্ছতাচ্ছিল্য আচরণ করতে পারত তবে সাধারণ বাঙালিদের অবস্থা কেমন ছিল তা সহজেই অনুমেয়।



এসব প্রসঙ্গ ভাবতে গিয়েই আমার মনে পড়ল বঙ্গবন্ধুর কথা। একটি অবহেলিত, নির্যাতিত, স্বাস্থ্যহীন, দরিদ্র, রোগাক্রান্ত এবং বহুমুখী অশালীন ব্যবহার এবং অসভ্য অভ্যাসে অভ্যস্ত জাতিকে কীভাবে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করলেন এবং কীভাবে তিনি তাদের ঐক্যবদ্ধ করে একটি মরণপণ মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ এবং সাহসী করে তুললেন তা চিন্তা করার মন-মস্তিষ্কের ভারিক্কি কিংবা বিশালত্ব আমি বোধহয় আজও অর্জন করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে মূল্যায়নও বোধহয় আমাদের প্রজন্ম কিংবা আমাদের চেয়ে বয়সিদের পক্ষে সম্ভব নয়। শৈশবের সেই ‘অঙ্গরাগের’ অস্বাস্থ্যকর এবং বিশ্রী পরিবেশের কারণে আমাদের মন কোনোদিন আর কাউকে সম্মান জানানোর জন্য পবিত্র হয়ে উঠবে না। আমাদের রোগাক্রান্ত পেট, খুজলি-পাঁচড়ায় আক্রান্ত সর্বাঙ্গ, উকুনভর্তি মাথা এবং দুর্বল দেহ আমাদের স্থির থাকতে দেয় না। আমরা মুহূর্তের মধ্যে চোখ উল্টিয়ে ফেলি, বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি এবং মর্যাদাবান ও সম্মানিত মানুষকে অসম্মান করে ফেলি।



আমাদের স্বাধীনতা লাভের বয়স মাত্র ৪৩ বছর। এরই মধ্যে আমরা ২ জন রাষ্ট্রপতিকে মেরে ফেলেছি। একজন রাষ্ট্রপতি এবং একজন প্রধানমন্ত্রীকে বিতাড়িত করেছি ক্ষমতা থেকে। সেনাবাহিনীতে একাধিক ক্যু হয়েছে। আনসার বিদ্রোহ, বিডিআর বিদ্রোহ এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের বিদ্রোহ বারবার আমাদের নবীন রাষ্ট্রটির ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের অস্থিরতার জন্য এযাবৎ ১৫ বার সংবিধান সংশোধন করতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক হানাহানিতে যত লোক আহত, নিহত হয়েছে তা কোনো যুদ্ধ বা বিষাক্ত প্রাণীর দংশনে গত হাজার বছরেও হয়নি। যত লোক জেলে গেছে কেবল রাজনৈতিক কারণে তার শতভাগের এক ভাগও যায়নি চুরি-ডাকাতি বা খুনখারাবির কারণে। কেন এসব হচ্ছে? আমার মতে, আমরা এখনো সভ্য হতে পারিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাসাদসম অট্টালিকায় বাস করেও আমরা শৈশবের সেই অঙ্গরাগের স্মৃতি ভুলতে পারিনি। তেমনি অঙ্গরাগের গোবরে পোকার বিশ্রী স্মৃতি আমাদের বারবার বিশ্রী কাজের দিকে টেনে নিয়ে যায় আমাদের শেকড়ের আদি ও অকৃত্রিম মর্যাদা রক্ষার জন্য। আমাদের সময়



লেখক : গোলাম মাওলা রনি, সাংবাদিক, কলামনিস্ট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজনৈতিক অঙ্গরাগের সবচে ভাল উদাহরণ লেখক নিজেই ।

ইয়ে মানে, ফজলুর রহমান সাহেবের পীর ছেলের সাথে লাগতে গিয়েইতো তিনি এমপি পদ হারিয়েছিলেন- মানে, মাখনের ভাগ না পেয়ে সত্যবাদি যুধিষ্ঠির হয়ে উঠেছেন ।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

আসাদ ইসলাম নয়ন বলেছেন: এই ভদ্র লোককে দেখলেই কেনো যেনো মেজাজ খারাপ হয়ে যায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.