![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসাম্প্রদায়িক মনভাবাপন্ন।
বিভিন্ন পুস্তকে লেখা থাকে কিংবা অনেকের মুখে শোনা যায় যে হাসান ইবনে হাইসাম একজন মুসলিম বিজ্ঞানী, ইবনে সিনা একজন মুসলিম চিকিৎসাবিদ, ওমর খৈয়াম মুসলিম কবি ইত্ত্যাদি। এইসব মনীষীদের নামের আগে মুসলিম শব্দটি যুক্ত করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু কোথাও দেখা যায় না কিংবা কেউ বলে না যে ইহুদি বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনিস্টাইন, খৃস্টান বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন, হিন্দু বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু ইত্ত্যাদি।
অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মে জন্মগ্রহনকারী মনীষীদের নামের আগে তাদের ধর্ম উল্লেখ না করলেও মুসলিমরা এক্ষেত্রে কেন ঢোল পিটায়?
বিজ্ঞানকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসতে কোন একক ধর্ম বা জাতিসত্বার বিজ্ঞানীদের অবদান নেই। সব জাতিসত্বার মানুষেরই অবদান আছে এবং এখানে মুসলিমদের অবদান অতি সামান্য। তাই গলা উঁচু করে তাদের বলতে শোনা যায়, লিখে রাখ একফোঁটা দিলেম শিশির।
ইহুদিদের সংখ্যা পৃথিবীতে অতি নগন্য পরিমানে হলেও জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অবদানই সবচেয়ে বেশি। অথচ তারা বিজ্ঞানীদের নামের আগে কখনো ইহুদি শব্দটি যুক্ত করে না।
আদতে বেশিরভাগ বিজ্ঞানী ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন না। তথাকথিত মুসলিম বিজ্ঞানীদের অধিকাংশ ধর্মত্যাগী ছিলেন। তাদেরকে মুরতাদ আখ্যায়িত করে নির্যাতনও কম করেনি মোল্লারা।
এই কারণে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে অতিসামান্য অবদানের ফলশ্রুতিতে মুসলিমেরা একটা হীনমণ্যতায় ভোগে। এই লজ্জা আড়াল করার জন্য একসময়ের মুরতাদদের মুসলমানী করে মুসলিম বিজ্ঞানী বলে প্রচার করে।
বর্তমান সময়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবস্থান ও তাদের অতীত ইতিহাস টানাটানি দেখলে মনে হয় এদের কোন এক পুর্বপুরুষ ইলিশ মাছ খেয়েছিল, এরা তাই নিজের হাত শুঁকে সেই গন্ধ খোজে।
২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০০
মুদ্দাকির বলেছেন:
এটাও একটা পোষ্ট লিখবার বিষয় ??
ব্যাপারটা হচ্ছে কিছু শিক্ষিত মূর্খ আছেন যারা জানেন না, আধুনিক যুগের আগেও আরো যুগ ছিল, তাই তারা আগের যুগের মানুষদের সকল অবদানের ব্যাপারে অন্ধ!! তারা জানেন না, ইউরোপের লোকজন মধ্যযুগে যখন ধর্মান্ধতা, রাষ্ট্রিয় সন্ত্রাস, আর খেয়েপড়ে বাচার জন্য মাছধরা আর কৃষিকাজে ব্যাস্ত, তখন আধুনিক যুগের ভিত্তি যে বিজ্ঞান, সেই বিজ্ঞানের গুরুত্ব পূর্ণ মৌলিক দিকগুলো জন্ম নিচ্ছিল মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে। তখন অবশ্য অন্য ধর্মের লোকেরাও মুসলিম বিজ্ঞানীদের কাছে সাদরে আমন্ত্রিত ছিল। এই ব্যাপার গুলো ইউরোপিয়ানরা কখনই অস্বীকার করেনা। আপনি ওদের নানান বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রগ্রাম গুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, যেগুলো তৈরি হয় ইহুদীদের টাকায়। যেমন ধরুন ইদানিং কালের "কসমস" নামের প্রগ্রামটি দেখুন। যদি বই পড়তে না ইচ্ছা করে।
আসলে কি মুসলিম বিজ্ঞানীরা সারা পৃথিবীতে তাদের কর্মের জন্য সমাদ্রিত। শুধু সমালচিত হল, এই উপমাহাদেশের কিছু মুর্খের কাছে, যারা জানে না যে তাদের বাপ দাদারা, এই উপমাহাদেশের মুসলিমরা আসবার আগে সেলাই করে কাপড় পড়তেও জানতনা!!!!!!!
এই ধরনের মূর্খদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার জন্যই বোধ হয় মুসলিম বিজ্ঞানী কথাটা ব্যাবহার হয়। আমিও অবশ্য তা পছন্দ করি না। আর বর্তমানে মুসলিমরা অবশ্যই পিছিয়ে আছে, এটা সবাই জানে। এই নিয়ে নতুন কিছু বলারও নাই।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো পোস্ট। রাতের আঁধারে একই ধর্মের ভিন্ন গোত্রের হাতে নিহত হবার আধা ঘণ্টা আগে যে বিজ্ঞানী স্বলিখিত পাণ্ডুলিপি গাধার পিঠে চড়িয়ে দ্রুতগামী অশ্বে ভুমধ্যসাগরে ধাবিত হয়েছিলেন,যার জ্ঞানে ইউরোপীয় রেনেসা সংগঠিত হয়েছিল ।
ধ্বংস হবার আগে আরবদের নিষ্প্রদীপ মহড়া চলছে ।
৪| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
আদম_ বলেছেন: ভালো পোস্ট। জাবর কাটাই এখন আমাদের (মুসলমানদের) একমাত্র কাজ হয়ে দাড়িয়েছে।
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আপনার একটু ইসলাম চুলকানী আছে, তাই নয় কী?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাল বলেছেন...আমরা অতিমাত্রায় ধর্মকাতর!