নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার চেয়ে জানার আগ্রহ আমার খুব বেশি।তাই জানার জন্যেই এই ব্লগে সম্পৃক্ত হওয়া।আশা করছি সবার সহযোগীতা পাবো।সবাইকে ধন্যবাদ

শিশিরসিক্ত

শিশিরসিক্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জার্নি আমার জানের দূশমন

০৫ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

সাড়ে তিনটায় বাসা থেকে বের হলাম।সাড়ে পাচঁটা ছয়টার মধ্যে এয়ারপোর্ট এ পৌঁছাতে হবে।আটটা পঞ্চান্ন মিনিটে ফ্লাই।দেশে যাচ্ছি মনে একটা উঞ্চ আনন্দ ও চাপা উত্ত্বেজনা কাজ করছে।চোখে, মুখে, দেহে ঘুমের ক্লান্তি কিন্তু ঘুমাতে পারছিনা।ঐযে দেশে যাওয়ার বায়ু চাপছে তাই।

এক্সিট পেপার মানে ডরমেটরি ক্লিয়ারেন্স পেপার আগের দিন রাতেই নিয়ে নিয়েছিলাম।ক্যাম্পের সিকিউরিটির কাছে সেটি জমা দিতে হয়।তা না হলে ক্যাম্প থেকে কেউ বের হতে পারবেনা।এটি একটি সিস্টেম।ড্রাইভার পেপার চাইলেন,দিলাম।মাইক্রোবাসে চেপে বসলাম।সাথে লাগেজ ব্যাগেজ থাকার কারনে মাইক্রোবাসে চারজনের বেশি উঠতে পারলামনা।মাইক্রো ছাড়লেন ইয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।গাড়ি ছুটছে,রাস্তায় জ্যাম না থাকার কারনে খুব দ্রুত ইয়ারপোর্টএ চলে এল গাড়ি। গাড়িতে থাকাবস্থায় কিছু ভিডিওটেপ করার চেষ্টা করলাম।তিন মিনিটের একটা ভিডিওটেপ রেকর্ড, চিন্তা করলাম কাকে দেয়া যায়?বউকে পাঠালাম।সাথে সাথেই বউ আমারে কল দিয়েছে,কি ভিডিও পাঠাইছো,ওপেন হয়না?কইলাম, সম্ভবত মোবাইলের জোর কম।তাই সাপোর্ট করছেনা।
-------------------------------------------------------------------গাড়ি থেকে নেমে যার যার লাগেজ ট্রলিতে তুললাম।কিন্তু একটি ব্যাগ ফ্লোরে পড়ে আছে কেউ ট্রলিতে তুলছেনা।জিগ্যেস করলাম এটি কার ব্যাগ?আমার সাথের তিনজন বললেন,আমাদের না।তাহলে কার ব্যাগ?দ্বিতীয় গাড়িতে যারা আসছে তাদের মধ্য থেকে একজনের।নাম মাসুদ।ব্যাগটি সেখানে রেখে আসা উচিৎ হবেনা ভেবে আমিই ব্যাগটি আমার ট্রলিতে তুললাম।সাথের জনেরা বললেন,এই ব্যাগের ঝামেলা নিতে যাচ্ছেন কেনো?বললাম তাহলে কি ব্যাগটি রাস্তায় রেখে যাবো?কাউন্টারে আমার লাগেজের সাথে মাসুদ ভাইয়ের ব্যাগটিও বুকিং দিতে পারলামনা শুধু ওভারএক্সেস হওয়ার কারনে।ব্রডিংপাস, মাসুদ ভাইয়ের ব্যাগ সাথে নিয়ে উনারে খুঁজতে লাগলাম।অবশেষে উনাকে উদ্ধার করলাম উনার কলিগস বদিউজ্জামান ভাইয়ের কাছথেকে নাম্বার নিয়ে।গলায় কাঁটা বিঁধলে যা অবস্থা হয় মাসুদ ভাইয়ের ব্যাগ নিয়েও সেরকম একটা অবস্থায় পড়েছিলাম।
-------------------------------------------------------------------ভিতরে ঢুকলাম,একনাম্বার টার্মিনাল এর নয় নম্বর গেইট।কাতার এয়ারলাইন্স। দোহা টু ঢাকা। ইফতারির জন্য সামনের একটা ক্যাফে থেকে বার্গার আর একটা পানির বোতল নিলাম ৩৫ রিয়াল দিয়ে।পাশেই ছোট্ট টেবিলে বসে এক পাকিস্তানি ভাইয়ের সাথে ইফতার খেলাম।ইফতার শেষে নামাজ আদায় করে পেসেঞ্জার লাউঞ্জ গেটের কাউন্টারের সামনে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কাউন্টার খুললো ভিতরে ঢুকলাম, প্লেনে উঠলাম আরোও একঘন্টা পর।নির্দিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট পর প্লেন ছাড়লো। কয়েকঘন্টা পর প্লেনে ডিনার সার্ভ করলো,ডিনারে ভেজিটেরিয়ান রাইস খেলাম।পানি কম পান আর ঘুম কম হওয়ার কারনে মাথাব্যথা করছিল।নাপা এক্সট্রা খেলাম। মাথাব্যথা কিছুটা কমলো। প্লেনে ঘুমাবার চেষ্টা করলাম হলোনা।অবশেষে বিমান শাহজালাল বিমানবন্দরে ল্যান্ড করলো।ইমেগ্রেশান পার হয়ে লাগেজের জন্যে অয়েট করলাম প্রায় দুই ঘন্টা!ইউরিন প্রেসার আর লাগেজের টেনশনে অবস্থা কাহিল। লাগেজ নিয়ে বের হলাম।ট্যাক্সি মালিকের সাথে বাধলো ক্যাঁচাল।আলহামদুলিল্লাহ উদ্বেগ,উৎকণ্ঠা, চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে সতেরো আঠারো ঘন্টা জার্নি করার পর নিরাপদেই বাসায় আসলাম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.