নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোগ্রহণ

মিসবাহ মনজুর

কাব্য প্রেমিক

মিসবাহ মনজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজরাদের বাড়াবাড়ি; যাত্রীদের আহাজারী

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

দেশের অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটেও হিজড়া সম্প্রদায়ের বসবাস ও বিস্তার রয়েছে। সমাজের এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলি নানাভাবে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। বর্তমানে সরকারও চেষ্টা করছে এই সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার। সরকারের কৃপা দৃষ্টিকে পুঁজি করে এ সম্প্রদায় জনমানুষকে অভিনব কায়দায় কিংবা দৃষ্টিকটু অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। আর তাদের তৈরিকৃত অস্বস্তিকর পরিবেশে যে কেউ হয়ে পড়ে অসহায়। সড়ক, মহাসড়ক কিংবা হাট-বাজার থেকে বাসা বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এই সম্প্রদায়ের দৌরাত্ম। তাদের নবআবিষ্কৃত কায়দা হচ্ছে বিয়ে বাড়ি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান। যেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানেই হাজির হচ্ছে এই সম্প্রদায়।
ইদানিং সিলেটে হিজরাদের ততপরতা বেড়েই চলেছে। তাদের ধৃষ্ঠতম ঔধ্যত্যের কাছে হার মানছে সাধারণ মানুষ।
দিনে দুপুরে জনসম্মুখে শুরু হয় তাদের চাঁদাবাজী। মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে সিএনজি, প্রাইভেট কারসহ প্রায় সব রকমের প্রাইভেট গাড়ি থামিয়ে তারা চাঁদাবাজী করে। তাদের চাঁদাবাজীর মূল টার্কেট বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরা যাত্রী বরের গাড়ী।
সরজমিনে দেখাযায় প্রতি শুকবার দুপুরে বিয়ের গাড়ীতে হিজরাদের চাঁদাবাজী শুরু হয়। মাঝ রাস্তার উপর বরের গাড়ি থামিয়ে প্রতিনিয়ত সর্বনিম্ন হাজার টাকা আদায় করে এক দল হিজরা। শুক্রবার সকাল থেকেই চন্ডির পুল, পাঠানটুলা সহ কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ এলাকায় রাস্তার পাশে অবস্থান নেয় তারা। বিয়ের গাড়ি দেখা মাত্রই রাস্তার উপর অবস্থান নেয় এই হিজরাদল, বরের গাড়ি থামিয়ে দাবী করে মোটা অংকের চাঁদা। কোন বর পক্ষ যদি চাঁদা দিতে অস্বিকার বা বাধা প্রদান করেন তখনই হিজরারা অশ্লিল আচরণ করে এবং নিজে নিজে উলঙ্গ হয়ে যায়।
গাড়ির ওপর তারা আছড়ে পড়ে। ড্রেইন থেকে আবর্জনা এনে গাড়ির উপর নিক্ষেপ করে তারা।
বরের সাথে গাড়িতে থাকা ছোট-বড় ভাই, বোন বা অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের সামনে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। লজ্জ্বা-সরমে দিতে হয় তাদের চাহিদা মতো চাঁদা। আর যতক্ষণ পর্যন্ত চাঁদা না দেওয়া হয় ততক্ষন পর্যন্ত বরের গাড়ির সামনে থেকে হিজরারা সরে না। পুরো গাড়ি তারা ঘিরে রাখে। তাদের চাহিদানুযায়ী চাঁদা দিতে হয় বর পক্ষকে|
এতে কেউ প্রতিবাদ করায় সাহস পায় না। এটা এক প্রকার নির্যাতন বটে বলে মনে করেন এলাকাবাসী ও সচেতনমহল। সাভাবিকভাবেই হিজরাদের সাহায্য করে থাকে সাধারণ মানুষ, তাই বলে রাস্তার উপর বরের গাড়ি দ্বার করিয়ে চাঁদা আদায় করাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার। এই ব্যপারে যথাযত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: ওদেরকে দোষ না দিয়ে শিক্ষিত করা দরকার।
যুগ যুগ ধরে তারা অবহেলিত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

মিসবাহ মনজুর বলেছেন: সমাজের এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলি নানাভাবে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। বর্তমানে সরকারও চেষ্টা করছে এই সম্প্রদায়কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার।
তবে শিক্ষিত করার চিন্তা নেই...

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

পথে-ঘাটে বলেছেন: আমিও একদিন এদের পাল্লায় পড়েছিলাম। সত্যিই অস্বস্তিকর।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

মিসবাহ মনজুর বলেছেন: হো! সমাধান চলমান সময়ের দাবি.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.