নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আম-ছালা দুই হারাইবেন, বিজনে বসিয়া চুষিবেন আমড়া!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৮

আমি তখন একটি জেলা শহরের কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ফাস্ট ইয়ারে পড়ি। হলে থাকি। আমার পাশের রুমে সুরঞ্জন নামে এক বড় ভাই থাকতো। ও রোজ গোসল করে এসে লোকনাথ, সরস্বতীদেবীর ছবির সামনে ধ্যান করতো। তখন আমি গিয়ে হাজির হতাম তার সামনে। তার মাথার উপরে হাত রেখে বলতাম, ‘বৎস! আমি তোর ডাকে সন্তুষ্ট হয়েছি। বল তুই আমার কাছে কি বর চাস?’ সুরঞ্জনদা হেসে ফেলতো। বলতো, ‘মিলন, আমি যদি স্বর্গে যাতি না পারি। এর দায় কিন্তু তোমারেই নিতি হবি।’ সুরঞ্জনদার অনুভূতিতে আঘাত লাগবে কি লাগবে না সেই চিন্তাই তখন আমার মাথায় আসেনি। কিন্তু সুরঞ্জনদা চাইলেই গুলি করে আমার মগজ রাস্তায় ফেলে দিতে পারতো। সেই যন্ত্র তার কাছে ছিল। তা না করে বরং সে হেসে বলতো, ‘তুমি একটা পাগল। তোমার যে কি গতি হবি! স্বর্গে তো যাতি তো পারবাই না।’ কয়েকদিন পরেই দেখি সুরঞ্জনদা আর আমার কথায় হাসে না। একমনে ধ্যান করে। আমি যতই চিত্রনাট্য বদলাই কিন্তু সে আর হাসে না। শেষে আমাকেই ক্ষান্ত দিতে হলো। এটা হয়তো সেই বয়সের পাগলামি। পূঁজা বা নামাজের সময় কেউ এমন করুক চাইনা। কিন্তু সুরঞ্জনদার কাছ থেকে এইটুকু শিখেছি, আমার ধর্মীয় বিশ্বাস যদি অটুট থাকে, আর আমি যদি না চাই কেউ শুধুমাত্র কথা বলে বা লিখে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে না। যদি না সে আমার উপর শারীরিক ভাবে আঘাত হানে বা ধ্বংসযজ্ঞ না চালায়। এখন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েও কি কেউ শাস্তি পাচ্ছে? ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চাইতেও কি বড় অপরাধ করে ফেলেছে ব্লগাররা! খুনের চাইতেও? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদল গর্দভ মন্ত্রী নিয়ে এখন আপনি ভোটের রাজনীতি করছেন। ব্লগারদের গ্রেফতার করে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছেন। এই ব্যালেন্স করা রাজনীতি থেকে সরে আসুন। নইলে বাংলাস্থান হোয়ার পর, আম-ছালা দুই হারাইবেন, বিজনে বসিয়া চুষিবেন আমড়া!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

আরাফাত মুন্না* বলেছেন: যার ধর্ম নাই তার ধর্মের প্রতি অনুভূতিও নাই।

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

আকাশ চুরি বলেছেন: আম কোনটা আর ছালা কোনটা? :D

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

মুঘল সম্রাট বলেছেন: আপনি এখন কোন লেভেলে পড়েন যানি না। আপনার পড়াশুনা আপনার পুস্তকেই আবদ্ধ আছে তাই এ ধরনের কথা বলছেন। শরিরে আঘাত হানলেই অনুভুতিতে লাগবে অন্যথায় মাতা ঘামানের দরকার নাই এমন ধারনা ঠিক না। আপনার আরও অনেক পড়াশুনা করা দরকার।

আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান !

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: অতীব গিয়ানী পুস্ট, ইহা মানবতার জন্য পাথেয় স্বরূপ, বুদ্ধিমানের জন্য এক বিশাল দিক নির্দেশনা।
আপোনার এহেন পরোশ্রমের পোস্ট পড়িয়া যার পর নাই, মুগ্ধ হয়ে গেলুম।
চোখের জল শত চেস্টাতে ওআটকাইয়া রাখতে পারলাম না।

:(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(

আপনার এই রকম হৃদয় বিদারক ঘহটনার জন্য বাজারের সব থেকে ভাল মলম (চুলকানীর জন্য) স্কয়ারের টা ইউঝ করতে পারেন।
(শুনেছি ওটাতে নাকি মেনথল দেওয়া থাকে),

আর সামুকে তেব্র আবেদন, যাতে এইরকম একটা পোস্টের অবদানের জন্য পোস্ট দাতাকে নুবেল প্রদান পুর্বক নাইলেনর কট সুতা দিয়ে শক্ত করে বাধিত করেন।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: আকাশ চুরি বলেছেন: আম কোনটা আর ছালা কোনটা? :

ছালা হইলো হনুরা :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.