নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্পকলার প্রকল্প এবং শঙ্কার ডঙ্কা......

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:০৭

'শিল্পকলা একাডেমির দুটো প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয় একনেক বৈঠকে। অনুমোদিত প্রকল্প দুটো হলো – ছয়টি জেলা পাবলিক লাইব্রেরি উন্নয়ন এবং ১৫ জেলা শিল্পকলা একাডেমির নবায়ন, সংস্কার ও মেরামত।'

খুবই ভাল কথা, বড়ই আশার কথা। দেশের সরকার সংস্কৃতি চর্চায় মন দিচ্ছে।এই সংবাদে সংস্কৃতিপ্রেমীরা খুব খুশি হবেন। হবারই কথা। কিন্তু আমার ভেতরে বাজছে শঙ্কার ডঙ্কা! প্রকল্পের টাকা যথাযথভাবে ব্যয় হবে তো? কেন এই শঙ্কা? একটা ঘটনা বলছি-একবার এক বড় ভাই একটা সংগঠনের অর্থ বিভাগের সাময়িক দায়িত্ব পেলেন। তো একটা অনুষ্ঠান বাবদ খরচ হলো পঁচিশ হাজার টাকা। ঐ সংগঠনের চেয়্যারম্যান বড়ভাইকে খরচের হিসাব বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করতে বললেন। বড় ভাই পড়লেন ফাঁপরে! পঁচিশ হাজার টাকা বাড়িয়ে পঞ্চাশ করা যায়, না হয় আরেকটু ছুড়ি চালিয়ে পঁচাত্তর করা যায়, হলোই বা এক লাখ! তাই বলে তিন লাখ!

বড় ভাই চেয়্যারম্যানের পিছনে ঘোরেন, 'ভাই কেমনে কী করবো?' উত্তর পান, 'আরে করে দাও!' তবু বড়ভাই চেয়্যারম্যানের পিছনে ঘোরেন, তিনি জাত থিয়েটার শিল্পী। জীবনে এতোবড় জোচ্চুরি তাকে করতে হয়নি। তাই হিসাব মেলাতে হিমশিম খান। দ্বারস্থ হন চেয়্যারম্যানের। চেয়্যারম্যান এ ব্যাপারে এতোটাই পটু, সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দু'মিনিটের মধ্যে তিন লাখ টাকার হিসাব মিলিয়ে দ্যান! এই চেয়্যারম্যান আবার শিল্পকলা একাডেমি'র মহাপরিচালক। একই সঙ্গে দুটো পদ। শিল্পীরা এতো পদপ্রিয় হয়! ঘটনা কোন আমলের তা নাইবা বললাম। তবে এটুকু বলি, এনার বিরুদ্ধে সারাদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে কোটিটাকা ধোঁয়ায় উড়িয়ে দেবার অভিযোগও আছে। আছে নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ।

এইসব দূর্নীতির কথা নিজ নিজ শিল্পমাধ্যমের অনেকেই জানে। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। কেননা শিল্পকলার মহাপরিচালকের কাছে, ঐ সংগঠনের চেয়্যারম্যানের কাছে সবারই ছোটখাটো সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার হিসাব থাকে। অতএব সবাই চুপ।

এই ঘটনার পর রাজনীতিবিদদের প্রতি আমার ক্ষোভ কিছুটা কমে গেছে। আরে বাপু চৌষট্টিটা শিল্পকলা চালাতে শিল্পী মানুষ যদি এতো দূর্নীতি করে, সারাদেশের ষোল কোটি মানুষ চালিয়ে ওরা একটু হাতছাফাই করবে না!
সবাই ভাবে শিল্পীরা ভাল মানুষ, শিল্পীরা উদার, সৃষ্টিতে ডুবে থাকে। কথা সত্য, তবে খুব কম সংখ্যক শিল্পীর ক্ষেত্রে। শিল্পীদের দূর্নীতির কথা প্রকাশ্যে এলে সাধারণ মানুষ এদের মুখে হাগু করবে!

তাই প্রকল্পের টাকা সঠিকভাবে ব্যয় না হবার শঙ্কার ডঙ্কা তো বাজবেই.......

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৬

ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ভালো…

০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




ভাইজান আপনে শিল্পী হয়ে এতো বড়ো একটা শিল্পকে চিনতে কেমনে ভুল করলেন B:-) উনি তো একটা মাল :P যে কিনা ২৫ হাজার টাকা অনুষ্ঠানে ৩ লাখ টাকা খরচের হিসাব মিনিটেই করে দেন। উনি নিজেই একটা শিল্প বলেই তাকে শিল্প একাডেমীর মহাপরিচালক করা হয়েছে ।

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৯

মিশু মিলন বলেছেন: 'উনি তো একটা মাল'

হা হা হা..। ঠিকই বলেছেন, মাল!
এই মাল'রা শিল্প সংস্কৃতির অগ্রযাত্রা ক্রমাগত ব্যহত করছে।

ভাল থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.