নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোধূলিবাড়ি (উপন্যাস: পর্ব- একুশ)

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪

আঠারো

পরান বাউল চাঁদ আর জ্যোৎস্নার নেশায় মগ্ন এক মানুষ। পূর্ণিমার রাতে সে ঘরে ফিরতে চাইত না, ঘুমাতে চাইত না, পুকুরপাড়ের বেঞ্চে বসে থাকত, থেকে থেকে দোতারা বাজিয়ে গান গাইত, আর কী সব ভাবত তা কে জানে! জ্যোৎস্না আমারও খুব প্রিয়। কিন্তু জীবনে জ্যোৎস্না উপভোগ করার মতো সময় পেলেও যোগ্য সঙ্গী পেলাম কোথায়! বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় একবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পূর্ণিমা রাতে তপতীকে বলেছিলাম, ‘কী সুন্দর পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাত! চলো পুকুরঘাটে গিয়ে জ্যোৎস্নায় বসে কিছুক্ষণ গল্প করি।’

তপতী বলেছিল, ‘ঢং! যাও তুমি পুকুরঘাটে সাপখোপের মাঝে, আমার ঘুম পেয়েছে।’

সেই প্রথম, সেই শেষ আমার আর তপতীর পূর্ণিমা ও জ্যোৎস্না বিষয়ক কথপোকথন, সারাজীবনে কখনোই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে জ্যোৎস্নায় বসে দুটো ভালোবাসার কথা বলাও হয়নি, শোনাও হয়নি আমার!

একদিন পরান বাউলকে বললাম, ‘বাউল, পূর্ণিমার রাতে তুমি পুকুরপাড়ে একা একা বসে থাকো, গান গাও, আমি তোমার সঙ্গ দিতে চাই।’
বাউল বলল, ‘খুব ভালো হয়, দুজনে গল্প করতে পারব।’

‘জ্যোৎস্নারাতে তুমি মধ্যরাতের অনেক পরে ঘুমাতে আসো, জ্যোৎস্না তোমার খুব ভালো লাগে, না বাউল?’
‘খু-উ-ব ভালো লাগে। কী এক আশ্চর্য সুন্দর জিনিস এই পূর্ণিমার চাঁদ আর জ্যোৎস্না! প্রায় রাতভর জ্যোৎস্না দেখি, ঘরে ফিরতে মন চায় না, মনে হয় পরের পূর্ণিমায় যদি আমি বেঁচে না থাকি! তাই দু-চোখ ভরে চাঁদ আর জ্যোৎস্না দেখি।’

পরের পূর্ণিমায় আমি আর বাউল পুকুরপাড়ে বেঞ্চে বসে জ্যোৎস্না উপভোগ করলাম। বাউল গান গাইল, অনেক তত্ত্বকথা শোনালো আমাকে, আর আমি বাউলকে কবিতা শোনালাম। বাউলতত্ত্বের আমি আর কী বুঝি, এ বিষয়ে মূর্খই বলা যায়। তবু ভালো লাগে শুনতে, বিস্ময় জাগে! কী নিরীহ, কী অহিংস, কী শান্ত, আর কী সুন্দর চিন্তার মানুষ এই বাউলেরা; তবু এদেরকে বিড়ম্বনা-লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়! প্রায়ই পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভির খবরে বাউলদের লাঞ্ছিত হবার খবর দেখি। মৌলবাদী মুসলমানরা গান গাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বাউলদের নিপীড়ন করে, চুল-দাড়ি কেটে দেয়, বাদ্যযন্ত্র ভেঙে ফেলে! পরান বাউলও বিভিন্ন জায়গায় গান করতে গিয়ে অনেকবার অপমান-লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। সুন্নি মুসলমান ব্যতিত বাকি সব মতাদর্শের মানুষের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠেছে এই দেশটা। হিন্দু-বৌদ্ধরা তো বটেই, আহমদিয়া এবং শিয়াপন্থী মুসলমানরাও মৌলবাদী সুন্নী মুসলমানদের হাতে হামলার শিকার হয়। অবশ্য ভবিষ্যতে সুন্নি মুসলমানরাও নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এর পরের পূর্ণিমার আগে মিস্ত্রি ডেকে এনে কাঠের খুঁটি আর বেশকিছু তক্তা দিয়ে পুকুরের দক্ষিণপাড়ে বেশ বড় একটা চৌকি মতোন বানিয়ে নিলাম। যাতে একটু আয়েশ করে বসা যায়, একটু গড়াগড়িও দেওয়া যায়। তারপর পূর্ণিমার রাতে আমি আর বাউল যখন চৌকিতে বসে গান-গল্প করছি, তখন আলপনা আর রাবেয়া বেগমকে নিয়ে বেণুদি উপস্থিত হলেন। বেনুদি বললেন, ‘আমাদের বঞ্চিত করে শুধু আপনারাই জ্যোৎস্না উৎসব করবেন তা হবে না। হাসানকে বলেছি হারমনিয়াম দিয়ে যেতে।’

বাউল বলল, ‘জয় গুরু, জয় গুরু; সব আলেক সাঁইয়ের ইচ্ছা দিদি। সাঁই আমার তাই চায়, মানুষে মানুষে সঙ্গ হোক, সাধুসঙ্গ হোক।’
আমি প্রায় আধশোয়া হয়ে ছিলাম, উঠে বসে বললাম, ‘বসুন দিদি আপনারা।’
হারমনিয়াম দিয়ে গেল হাসান, গান হলো, তত্ত্বকথা হলো, কবিতা হলো। যেন সত্যিকারের সাধুসঙ্গ হলো।
বেণুদি আমাদের জ্যোৎস্না উপভোগের নাম দিলেন- জ্যোৎস্না উৎসব।

এরই মধ্যে গোধূলিবাড়িতে একজন নতুন সদস্য উঠলেন, ভদ্রলোকের নাম আকতার হোসেন। তিনি আমাদের সাপ্তাহিক গান-কবিতার জলসা দেখে মুগ্ধ হলেন, জ্যোৎস্না উৎসবের কথা শুনে বললেন, ‘আমি তো দারুণ একটি জায়গায় এসে পড়েছি! দারুণ সব আয়োজন!’

ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার আলাপ বেশ জমে ওঠল। খুব আমুদে মানুষ তিনি। হাঁটতে পারেন না, হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন। বিপত্নীক। হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ছিলেন। ছেলে-বৌমা দুজন দুই জায়গায় চাকরি করেন বলে তিনি স্বেচ্ছায় বৃদ্ধাশ্রমে এসেছেন। ছেলে-বৌমা দুজন এসে তাকে রেখে গেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নানারকমের খাবার নিয়ে এসে ছেলে তাকে দেখেও গেছে। আকতার হোসেন একদিন বললেন, ‘ছেলে-বৌমা দুজন দু-জায়গায় চাকরি করে, এখনকার যা দিন পড়েছে দুজন রোজগার না করলে সংসার চালানো যায় না। আমাদের সময়ে একজন রোজগার করে চারজনের পেট চালানো যেত, কিন্তু এখন সাধারণ একটি চাকরি করে চারজনের সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ছেলে চায়নি আমি বৃদ্ধাশ্রমে আসি, আমিই স্বেচ্ছায় এসেছি। আমার ঠিকমতো দেখাশোনা করতে হলে ওদের একজনের চাকরি ছাড়তে হবে। বাবা হয়ে আমি ওদের এই ক্ষতিটা কেন করব! আমার জীবন আর কদিন, ওদের তো গোটা জীবন পড়ে আছে। এখন ওদের ভালো থাকাই আমার ভালো থাকা।’

আকতার হোসেন খুব যৌক্তিক কথা বলেন, বলা যায় আমার দৃষ্টিভঙ্গিও খানিকটা বদলে দিয়েছেন তিনি। সত্যিই জীবন এখন আগের চেয়ে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। একটা শ্রেণির হাতে টাকা কুক্ষিগত হচ্ছে, আর আরেকটা শ্রেণি তিনবেলা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য তীব্র সংগ্রাম করছে। মানুষ পরিবারকে সময় দিতে পারছে না, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ বাড়ছে। ডিভোর্স বাড়ছে ভয়ানক হারে। মানুষ বৃদ্ধ বাবা-মাকে সময় দিতে পারছে না, তার ওপর কারো বাবা-মা যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ বা অক্ষম হয়, তাহলে সংকট আরো বেড়ে যায়। কষ্টেসৃষ্টে ডাক্তার-ওষুধের খরচ যদিওবা জোগার করতে পারে, অফিস সামলে বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই জন্যই প্রয়োজন মানসম্পন্ন বৃদ্ধাশ্রম তৈরির। আমাদের দেশে মানসম্পন্ন বৃদ্ধাশ্রম খুব কম। যেগুলো আছে বেশিরভাগের খরচ খুব বেশি। মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত বা নিন্মবিত্তের পক্ষে সেই খরচ বহন করা অসম্ভব। এই জায়গায় রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা বাংলাদেশে ক্রমশ বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বর্তমানে দেশে বয়স্ক অর্থাৎ ষাট বা তার অধিক বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হবে ১২ শতাংশ, আর ২০৫০ সালে দাঁড়াবে ২২ শতাংশে। অর্থাৎ দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমবে আর বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়বে। সুতরাং এই বয়স্ক মানুষদের নিয়ে বাংলাদেশকে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের মতো মানুষেরাই পরিশ্রম করে বাংলাদেশকে নিন্ম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে দিয়েছে, আজকের তরুণেরা যারা শ্রম দিয়ে দেশটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, তারা একদিন দেশটাকে উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছে দিয়ে অবসরে যাবে। যারা শরীরের জল নিংড়ে দেশকে উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছে দেবে রাষ্ট্রের কি কোনো দায়িত্ব নেই তাদের প্রতি? অবশ্যই আছে, রাষ্ট্রের উচিত এখন থেকেই পরিকল্পনা করে যথেষ্ট সংখ্যক বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করা। শুধু বেসরকারী এনজিও বা ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত বৃদ্ধাশ্রমের ওপর নির্ভর করলে হবে না। এত সংখ্যক বয়স্ক মানুষের দায়িত্ব শুধুমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিতে পারবে না। এজন্য রাষ্ট্রকে এগিয়ে এসে মানসম্পন্ন বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে হবে।

পরবর্তী পূর্ণিমা ঘনিয়ে আসছিল। জ্যোৎস্না উৎসবের আগে আমি সবাইকে বললাম, ‘জ্যোৎস্না উৎসবে গান-বাজনার পর একটু খাবারের ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?’
বেণুদি বললেন, ‘তা মন্দ হয় না।’

আমি আবার বললাম, ‘অন্য কিছু নয়, শুধু পায়েস। রুপালি জ্যোৎস্নায় শুভ্র পায়েস রান্না হবে মাটির পাত্রে। সব ব্যবস্থা আমি করব। শুধু কেউ একজন পায়েস রান্নার দায়িত্বটা নিলেই হয়।’
আলপনা বললেন, ‘পায়েস রান্নার দায়িত্ব আমি নিলাম।’
‘বেশ তাহলে তো হয়েই গেল।’

শ্রাবণ পূর্ণিমার জ্যোৎস্না উৎসবে বেশ একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলো গোধূলিবাড়িতে। জ্যোৎস্না উৎসবের চৌকি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের পশ্চিমপাড়ে পায়েস রান্নার ব্যবস্থা হলো মাটির চুলায়, মাটির পাত্রে। আমি ফোনে বাঁধনকে জ্যোৎস্না উৎসবের আয়োজনের কথা জানিয়ে ওকে আসতে বললাম। বাঁধন শুনে খুব খুশি হলো, কিন্তু পরের দিন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকায় আসতে পারলো না। আমাকে জানালো যে পরবর্তী জ্যোৎস্না উৎসবে নিশ্চয় আসবে আর ইউটিউবের জন্য ভিডিও করবে।

গোধূলিবাড়ি’র বারোজন সদস্য যোগ দিলেন আমাদের জ্যোৎস্না উৎসবে, বাকিদের কারো শরীর খারাপ, কেউ রাত জাগতে পারবেন না বলে ঘুমিয়ে পড়লেন। তবে পায়েসের আয়োজন সকলের জন্যই। যারা ঘুমিয়ে পড়বেন, তাদের জন্য রেখে দেওয়া হবে।

চৌকিতে চলতে লাগলো অথীতের স্মৃতিচারণ, তত্ত্বকথা, গান, কবিতা। রাত সাড়ে এগারোটার পর রাবেয়া বেগমকে সঙ্গে নিয়ে আলপনা গেলেন অল্প দূরে পুকুরের পশ্চিমপাড়ে নতুন বানানো উনুনে পায়েস রান্না করতে। আমাদের ইচ্ছে যে আমরা অন্তত রাত দুটো-আড়াইটে পর্যন্ত জাগবো। একসময় রাবেয়া বেগম ফিরে এসে বসলেন চৌকিতে, জানালেন যে পায়েস হয়ে এসেছে। কিছুক্ষণ পর আমি উঠে গেলাম আলপনার কাছে, একটা টুল টেনে বসলাম। শুধু দুধ, বাতাসা আর চিনি-আঁতপ চালের পায়েস, উনুনে ফুটন্ত পায়েসের গন্ধে মৌ মৌ করছে চারিদিক।

বললাম, ‘দারুণ ঘ্রাণ বেরিয়েছে! হয়ে এলো?’
আলপনা বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রায়।’

একটু থেমে আবার বললেন, ‘সত্যিই, জীবনের না পাওয়া সব আনন্দ যেন ফিরে এসেছে আবার। প্রথম যখন এখানে এলাম, তখন মন খারাপ হতো। কিন্তু এখন মনে হয়, কিশোরীবেলার সেই চড়ুইভাতির আনন্দময় দিনগুলো আবার ফিরে পেয়েছি!’

‘জীবনে যখন যেখানে যে অবস্থায় থাকি না কেন, জীবনটা আনন্দময় করে তোলার চেষ্টা করা উচিত। আমি তো একটা ব্যাঙ হয়েও জন্মাতে পারতাম, তা না হয়ে সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণি মানুষ হয়ে জন্মেছি। জন্মান্তরবাদ সত্য কি না তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না, মিথ্যা হবার সম্ভাবনাই প্রবল। তাই এই জনমে পাওয়া জীবনটা উদযাপন করা উচিত।’

‘ঠিকই বলেছেন।’
‘একটা কথা বলব, যদি অভয় দ্যান?’
‘আমার কাছে কথা বলতে আবার ভয়ের কি আছে, আমাকে বন্ধু ভাবেন না?’
‘বন্ধু ভাবি বলেই তো আপনার পাশে বসলেই বকবক করি, সংসার জীবনে তিন মাসে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যত কথা বলতাম, আপনার সঙ্গে একদিনেই তত কথা বলি!’

আলপনা হাসলেন, ‘আমিও তো আপনার সঙ্গে অনেক কথা বলি।’
বললাম, ‘আলপনা, আমাদের জীবনে কি আবার হলুদ রাঙা বসন্তদিন আসতে পারে না?’

আলপনা হাতা দিয়ে পায়েস নাড়ছিলেন, হাত থামিয়ে অপলক দৃষ্টিতে আমার চোখের দিকে তাকালেন। আমিও চোখ সরাতে পারলাম না। আলপনার চোখে-মুখে কী যে সুন্দর জ্যোৎস্না!




(চলবে.........)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: গোধুলিবাড়ি অতি চমৎকার এক উপন্যাস। যারা পড়বে তাঁরা অনুভব করতে পারবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৪

মিশু মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.