নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেহাত হয়ে গেছে আমাদের সাধের বাংলাদেশ!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:২১

যুদ্ধ মানেই হত্যা, রক্ত, বীভৎসতা। যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়। কিন্তু যখন নিজের অস্তিত্ব, মানবাধিকার, ভাষা, সংস্কৃতি, জাতি হুমকির মুখে পড়ে; তখন যুদ্ধ আবশ্যক হয়ে ওঠে। আর একবার যদি আপনি যুদ্ধে নেমেই পড়েন, তখন আর মায়া-মমতা দেখানোর সুযোগ নেই। হয় আপনি বাঁচবেন, শত্রু মরবে। অথবা আপনি মরবেন, শত্রু বাঁচবে। শ্রীকৃষ্ণ চাননি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হোক। তিনি পাণ্ডবদের হয়ে ছয় মাস দূতিয়ালি করেছেন কৌরবদের সঙ্গে, যাতে যুদ্ধটা রোধ করা যায়। কৌরবদেরকে বারবার বুঝিয়েছেন পাণ্ডবদেরকে রাজ্যভাগ দিতে, কিন্তু কৌরবরা পাণ্ডবদের রাজ্যের ভাগ দিতে রাজি হয়নি। বরং কৌরবরা বারবারই কৃষ্ণকে অপমান করেছে, তাকে নিয়ে উপহাস করেছে। অপমান সহ্য করেও কৃষ্ণ চেষ্টা করেছেন যাতে যুদ্ধ এড়িয়ে কোনোভাবে সমঝোতা হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি পাণ্ডবদের পাঁচ ভাইয়ের জন্য পাঁচটি জন্মন বা গ্রাম চেয়েছিলেন, যাতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকতে পারেন। কিন্তু পাণ্ডবদের পাঁচ ভাইকে পাঁচটি গ্রাম দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন দূর্যোধন। ফলে যুদ্ধটা আবশ্যক হয়ে ওঠে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ। যে কৃষ্ণ যুদ্ধ রোধ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, সেই কৃষ্ণ-ই যুদ্ধ শুরুর পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি, কোনো মায়া-মমতা দেখাননি। কুরুক্ষেত্র ময়দানে বিপক্ষে স্বজন, গুরুদেব, গুরুভাইদের দেখে অর্জনের হৃদয় আর্দ্র হয়ে উঠেছিল, স্বজনের বুকে অস্ত্রনিক্ষেপ করতে হবে বলে তিনি অস্ত্র ত্যাগ করে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে চেয়েছিলেন। তখন কুরুক্ষেত্র ময়দানে অর্জুনের রথের সারথী কৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিয়ে তিরষ্কার করে তাতিয়ে দেন যাতে অর্জন যুদ্ধ থেকে বিরত না হন। অর্জুনকে দেওয়া কৃষ্ণের সেই বিশদ উপদেশ গীতায় লিপিবদ্ধ আছে। অত্যাচারীকে বিনাশ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যই কৃষ্ণ অর্জনকে বলেছিলেন- ‘ক্ষত্রিয়রূপে তোমার স্বধর্ম বিবেচনা করে তোমার জানা উচিত যে, ধর্ম রক্ষার্থে যুদ্ধ করার থেকে ক্ষত্রিয়ের পক্ষে মঙ্গলকর আর কিছুই নেই। তাই, তোমার দ্বিধাগ্রস্থ হওয়া উচিত নয়।’

কৃষ্ণের উপদেশে সন্তুষ্ট হয়ে অর্জুন পুনরায় হাতে তুলে নেন গাণ্ডীব। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ, স্বজনঘাতী যুদ্ধ। কৃষ্ণের কাছে যুদ্ধে মানে ছিল- জয় অথবা মৃত্যু। ফলে যুদ্ধের ময়দানে কোনো আবেগ তাকে স্পর্শ করেনি। যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য যতরকম কৌশল অবলম্বন করা দরকার তিনি করেছেন। এমনকি ছলনার আশ্রয় নিয়ে পাণ্ডব-কৌরবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্য এবং কুন্তীর জ্যেষ্ঠপুত্র কর্ণকে হত্যা করিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে জয়-ই মূলকথা, ছলনাও সেখানে যুদ্ধকৌশল। কৃষ্ণের দক্ষ যুদ্ধনীতির কাছে একের পর এক ধরাশায়ী হয়েছে কৌরবরা। ভারতবর্ষের অধিকাংশ বীর এবং রাজারা কৌরবদের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও কৃষ্ণের যুদ্ধনীতির কাছে হেরে গেছে কৌরবরা। যে কৃষ্ণ যুদ্ধ রোধ করতে ছয়মাস দূতিয়ালি করেছেন অপমান সয়েও, সেই কৃষ্ণই যুদ্ধের ময়দানে কৃষ্ণ এক ইঞ্চি মাটিও ছাড় দেননি কৌরবদের।

যুদ্ধ ঠাট্টা মশকরার বিষয় নয়, হালকাভাবে নেবার বিষয়ও নয়। আপনার যদি দূরদর্শিতা না থাকে, তাহলে আপনি যুদ্ধে জেতার পরও আপনার বিজয় ভূলুণ্ঠিত হতে পারে।

১১৯১ সালে মোহাম্মদ ঘোরী দিল্লী দখলের জন্য অগ্রসর হন। দিল্লীর শাসক তখন পৃথ্বীরাজ চৌহান। পৃথ্বীরাজ ঘোরীর বাহিনীকে প্রতিরোধ করেন বর্তমানের হরিয়ানার তরাইন নামক স্থানে। দুই পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পরাজিত হয় ঘোরীবাহিনী এবং মোহাম্মদ ঘোরী বন্দী হন পৃথ্বীরাজের বাহিনীর হাতে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি ও প্রাণহানি সত্ত্বেও পৃথ্বীরাজ সসম্মানে মুক্তি দেন ঘোরীকে। ক্ষমা-ঔদার্য ভারতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতি-ই ভারতবর্ষকে বারবার বিপদে ফেলেছে। কেননা মধ্যপ্রাচ্যের লুণ্ঠনকারী ডাকাতেরা ক্ষমা-ঔদার্যের মর্ম বোঝে না। মোহাম্মদ ঘোরী তার বাহিনীকে সংগঠিত করে পরের বছর আবার দিল্লী আক্রমণ করেন। এবার পরাজিত হন পৃথ্বীরাজ। ঘোরী পৃথ্বীরাজের চোখ উপড়ে ফেলে তাকে হত্যা করেন। একবছর আগের ক্ষমার বিপরীতে হত্যা! ভুল করেছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান, যুদ্ধের অভিধানে ক্ষমা নামক শব্দের স্থান দিতে নেই। তার ভুলের মাশুল তিনি দিয়েছিলেন নিজের জীবন দিয়ে।

উল্লেখ্য যে মুহাম্মদ ঘোরীর বাহিনীর সাথে ভারতে এসেছিলেন সুফিসাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি। এই জিহাদী সুফিসাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি অস্ত্রহাতে ঘোরীর পক্ষে জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি আজমীরের আনাসাগর সরোবরের কাছে আস্তানা গড়ে তোলেন এবং আশপাশের প্রচুর হিন্দুকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেন এবং মন্দির ধ্বংস করতে যোদ্ধাদের প্ররোচিত করেন।

যাইহোক, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানী বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আল শামস। যুদ্ধে জেতার পর আমরা ভাবলাম কাজ শেষ। স্বাধীন দেশে এবার খাউ-দাউ আর বগল বাজিয়ে স্ফুর্তি করো! অথচ আরও কাজ তখন বাকি ছিল। ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিপরীতে কমপক্ষে দুই লক্ষ রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং পাকিস্তানপন্থী সেনা ও পুলিশ সদস্যকে হত্যা করার দরকার ছিল। আমি স্বজ্ঞানে আবারও বলছি- কমপক্ষে দুই লক্ষ দেশদ্রোহী হত্যা করার দরকার ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেটা করেননি। আর করেননি বলেই স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরেই নিজের জীবন দিয়ে তাকে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্য করতে হয়েছে। তার ভুলের মাশু দিতে হয়েছে জাতীয় চার নেতাকেও। তার ভুলের মাশুল এখন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মানুষকে। কোনো কোনো রাজাকারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর ভালো সম্পর্ক ছিল, দেশ স্বাধীনের পরও সেই রাজাকারদের কারো কারো প্রতি তার কেমন দরদ ছিল তা অনেকেই জানেন, কিন্তু কেউ মুখ খোলেন না। কেবল ব্যক্তিগত আড্ডায় এসব আলোচনা হয়। নিশ্চয় সেই ইতিহাস কোনো একদিন সামনে আসবে।

আজকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাবিরোধী অমানুষে ছয়লাব সারা বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক পরিবার, যারা দেশের বিরোধিতা করেনি, তাদের আজকের প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী হয়ে উঠেছে। এটা কেমন করে সম্ভব হলো? সম্ভব হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পর রাজাকার-আল-বদর নামক বিষবৃক্ষ বাঁচিয়ে রাখার কারণে। ঢাল হিসেবে ইসলাম ধর্মকে সামনে রেখে অবিরাম দেশবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছে রাজাকার আর তাদের ছানাপোনারা। আজকে দেশের সব সেক্টরে স্বাধীনতাবিরোধীদের রমরমা। তাহলে ক্রিকেট-ফুটবল আর বাদ যাবে কেন? ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তেভেজা বাংলাদেশে আমাদের দেখতে হয় রাজাকার, খুনী, ধর্ষক দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল! আমাদের দেখতে হয় আমাদের কোনো কোনো ক্রিকেটরা আমাদের গৌরবের প্রতীক বিসিবির লোগোর বাঘের মুখ ঢেকে রাখে! আমাদের দেখতে হয় আমাদের একজন ক্রিকেটার বিজয় দিবস-স্বাধীনতা দিবসকে কটাক্ষ করে পোস্ট দেয়, আর খেলতে নেমে জাতীয় সংগীত গাওয়া থেকে বিরত থাকে!

যুদ্ধপোরাধীদের বিচার হোক, শাহবাগের গণজাগরণ হোক, ব্লগার হত্যা হোক কিংবা হোক নারী স্বাধীনতার কথা। কতজন মানুষ এসবের পক্ষে থাকেন? কতজন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসবের পক্ষে কথা বলেন? তার চেয়ে হাজার হাজার গুণ বেশি লোক এসবের বিপক্ষে কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের শাহাবাগী, চেতনাবাদী ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করে! অশালীন ভাষায় গালাগালি করে। আজ গালি দিচ্ছে, আগামীতে গলা কাটবে! গলা তো ইতোমধ্যে কেটেছেই কতজনের।

বিফলে গেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণ, দুই লক্ষ নারীর সম্ভ্রম! বেহাত হয়ে গেছে আমাদের সাধের বাংলাদেশ! মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের চূড়ান্ত মৃত্যু এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!




ঢাকা
সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: সামনে হয়তো আরেকটা যুদ্ধ অপেক্ষা করছে।চুড়ান্ত মিমাংসা যুদ্ধের মাধ্যমেই হয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭

মিশু মিলন বলেছেন: হুম, ধন্যবাদ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৪

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকার মত ওপেন সোসাইটিতে বাস করে, এমন ওপেন তালেবানী মানসিকতা দেখলাম আমেরিকা প্রবাসী ব্লগার এর...ধিক...আশা করি উনার মেয়েদের কে তালেবানী স্টাইলে পড়ালেখা করানো থেকে দুরে থাকবেন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

মিশু মিলন বলেছেন: প্রবাসে বহু তালেবানী মানসিকতার মানুষ আছে, যারা সেখানে তালেবানী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দ্যাখে।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি সম্ভবত জাতীয়তাবাদ আর ধর্মানুভূতিকে মিশিয়ে ফেলছেন। আমার বোঝার ভুল হতে পারে তবে আপনার লিখা পড়ে মনে হচ্ছে কেবল রাজাকার আর দেশদ্রোহীরাই মুসলিম ছিলো, মুক্তিযোদ্ধারা নয়। আমাদের মনে রাখা উচিত, ভারতবর্ষ ভাগ হয়েছিলো ধর্মের কারনে। জাতি বা জাতীয়তাবাদ বা বাঙালী পরিচয়ে নয়। পাকিস্তানকে ঘৃণা করি, ঘৃণা করি সেইসব বাঙালীদের যারা নামে মুসলিম হয়েও এ দেশের দুশমনদের সাথে আঁতাত করে আমার ভাইয়ের রক্ত ঝরিয়েছে। তার মানে এই নয় যে ইসলামকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে ভাবা যায় যেখানে ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। আপনি প্রগতিশীলতা আর নারী স্বাধীনতার কথা বলে এটা এড়িয়ে যেতে পারবেন না যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র। দেশে সংবিধান রয়েছে, আইন-আদালত আছে, জনগণের তথা নর-নারীর অধিকারের কথাও বলা আছে। কারো ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে আপনার অভিযোগ থাকতেই পারে, আপনি প্রয়োজন মনে করলে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। কিন্তু কোন কিছুকে আপনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে টুপি পরা দেখলেই "মৌলবাদী", "রাজাকার" বলে গাল দেবেন, তাদের ক্ষতি করার কথা বলবেন সেটাও কাম্য নয়। এ ধরনের আচরণ কেবল নব্য দেশীয় রাজাকার তথা "আল্ট্রা-ন্যানশানলিজম" ধারনার সমার্থক। বিষয়গুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

মিশু মিলন বলেছেন: এই পোস্টটিতে আমি সচেতনভাবেই ধর্মীয় বিষয়গুলো আলোচনা করতে চাইনি। মুক্তিযোদ্ধারা মুসলমান নয়, আমার লেখা পড়ে আপনার কেন মনে হলো তা আমারও বোধগোম্য নয়! ভারতবর্ষ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল এটা সত্য, কিন্তু পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে, যেখানে সব ধর্মের সমান অধিকার থাকবে। বাহাত্তরের সংবিধান সেই প্রমাণই দেয়। সংবিধান অমান্য করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই লেখার কোথাও টুপি দাড়ি পরা মানুষকে মৌলবাদী বলা হয়নি। প্রসঙ্গে না থেকে, প্রসঙ্গ না বুঝে, নিজের মনগড়া কথা অবলীলায় বলে গেছেন আপনি। আমার কোনোকিছু ঘাঁটঘাটি করার প্রয়োজন নেই, আমি ঘাঁটাঘাটি করেই লিখেছি। অন্ধবিশ্বাস আর অল্প একটু বিদ্যা যাদের, তারা নিজেকে ফলাও করতে গিয়ে আপনার মতো তালগোল পাকিয়ে ফেলে।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, রাজাকার, আল-বদর-দের ক্ষমা করা ঠিক হয় নাই, আমার মনে হয় স্বাধীন বাংলাদেশেই ওদের বিচারের আওতায় আনা উচিত ছিলো। বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করলেও আমার ধারনা বঙ্গবন্ধু-কে তথা তার পরিবারের প্রতি নির্মমতার পেছনে ওদেরও হাত রয়েছে। ঐ সময়ে আমার জন্ম হয় নি, তাই সত্যি-মিথ্যাও নিশ্চিতভাবে জানি না, এটা কেবলই ধারনা মাত্র। ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫১

মিশু মিলন বলেছেন: জন্ম না হলেও ইচ্ছা থাকলে অতীতের সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে জানা যায়।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯

আমি নই বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের শাহাবাগী, চেতনাবাদী ইত্যাদি বলে কটাক্ষ করে

জী না, যারা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্যে মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেন তেন ভাবে ব্যাবহার করে তাদেরকেই কটাক্ষ করা হয়। যেমনটা করা হয় ধর্ম ব্যবসায়ীদের।

মুক্তিযুদ্ধের মুল কারন ছিল বৈষম্য, আপনারা সেই মুল চেতনা বৈষম্যটাকে বাদ দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্যে একটা অস্ত্রে পরিনত করেছেন। আপনারা ইসলাম ধর্ম রিলেটেড কিছু একটা পাইলেই শিয়ালের মত হুক্কাহুয়া শুরু করেন এবং সিম্প‌্যথি অথবা গুরুত্ব পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধকে টেনে আনেন। আপনাদের সাথে ধর্ম ব্যবসায়ীদের খুব বেশি তফাৎ নেই।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০২

মিশু মিলন বলেছেন: জ্বি আপনার ভেতরেও আমি হেফাজতি চেতনা দেখতে পাচ্ছি! আর কথা বাড়ানো নিষ্প্রয়োজন।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র। দেশের মানুষ গুলো অসহায়।
দেশের সম্পদ এক শ্রেনীর মানুষ লুট করে দেশকে পঙ্গু বানিয়ে দিচ্ছে। এজন্যই দেশটা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০০

মিশু মিলন বলেছেন: আপনার কথা সত্য। কিন্তু ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে, যেখানে অলিতে-গলিতে মসজিদ, মানুষের মুখে সারাক্ষণ বিসমিল্লাহ-নাউজুবিল্লাহ-আলহামদুলিল্লিাহ। যে ধর্মে ঘুম থেকে উঠা থেকে সেক্স করারও সুরা আছে। যে ধর্মের মানুষ ধর্মের জন্য জীবন দেয়। সেই ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের দেশে কেন এত দুর্নীতি, সেই প্রশ্ন আমারও।

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মই দেশটারে খাইল।
ধর্ম না থাকলে পৃথিবী আরো সুন্দর হতো। দাঙ্গা হাঙ্গামা হতো না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

মিশু মিলন বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত। ধর্ম না থাকলে সত্যিই পৃথিবীটা আরও সুন্দর হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.