নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের ভাবতে হবে ভোট এবং রাজনীতি নিয়ে

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৮





কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার হিন্দুদেরকে মদমুক্ত পূজা করতে বলেছেন। মদমুক্ত পূজা করলে নাকি এত পূজামণ্ডপ হবে না। তার কথার অর্থ এই দাঁড়ায় যে হিন্দুরা মদ খাওয়ার জন্য পূজা করে। মদ কি দূর্গাপূজার উপকরণ! পূজার নৈবদ্য!

২০২২-২৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ মদ উৎপাদন ও বিক্রি করেছে বাংলাদেশের কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। এ সময় ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি করে কোম্পানিটি আয় করেছে প্রায় ৪৩৯ কোটি টাকা। অন্যান্য পণ্যের আয়-ব্যয় মিলিয়ে ও রাজস্ব দেওয়ার পর গত অর্থবছরে কেরুর নিট মুনাফা দাঁড়ায় প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এর বাইরে প্রতিবছর বিপুল পরিমান মদ আমদানী করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মদ আমদানি হয় ২৮ লাখ লিটার। এর মাত্র ৪ শতাংশ বা ১ লাখ লিটার শুল্ক দিয়ে আমদানি করা হয়। বাকি ২৭ লাখ লিটার আমদানি হয় শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যারহাউজের মাধ্যমে। ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ১৮ লাখ লিটার বিদেশি মদ আমদানি হয়। এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লিটার বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা হয়। বাকি মদ আমদানি করে ছয়টি ডিপ্লোম্যাটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউজ। এই হিসাবের বাইরেও দেশীয় পদ্ধতিতে দেশে প্রচুর মদ উৎপাদিত হয়।

এই বিপুল পরিমান মদ কারা পান করে? হিন্দুরা? ছিঃ ছিঃ হিন্দুরা কত খারাপ, মদ খাওয়ার জন্য পূজা করে! এই যে ঢাকার অভিজাত এবং মধ্যম মানের যত বার, এখানে কারা মদ পান করে? ধুতি পরে, তিলক কেটে সব হিন্দুরা দলে দলে এইসব বারে যায় পান করতে, তাই না! আর বিপুল পরিমান ইয়াবা, আইস, সীষা ইত্যাদি মাদকের যেসব চালান আসে দেশে, সেসবও কেবল হিন্দুরা খায়! কত খারাপ হিন্দুরা!

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, ‘পূজায় সকল মেয়েরা ঘর থেকে বের হয়, তারা যদি ফ্রি মুভ না করতে পারে, তাহলে পূজা করে লাভটা কী।’

কেন মেয়েরা ফ্রি মুভ করতে পারে না? এই প্রসঙ্গে আমি আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের অভিজ্ঞতা বলি। এখনকার কথা বলছি না, কেননা এখন পূজা-পার্বণে গ্রামে যাওয়া হয় না। আমাদের বাজারে কাত্যায়নী পূজা হতো, রাত হয়ে গেলে ছেলেরা মেয়েদের চারপাশে কর্ডন দিয়ে বাড়ি ফিরতো। তারপরও অসতর্কতায় মাঝে মাঝে দু-একটি অঘটন ঘটত। এই অঘটনগুলো কোনো হিন্দু ছেলে ঘটাতো না। সন্ধ্যার পর আমাদের গ্রামের মন্দিরের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। বাইরে থেকে কিছু যুবক আসতো, উশৃঙ্খল আচরণ করত। তাদেরকে বারবার অনুরোধ করা হতো শান্ত থাকার জন্য। তাদের পাশে গ্রামের ছেলেদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো, যাতে তারা মেয়েদের দিকে ঘেঁষতে না পারে। বাজারের পাশের যে মাঠে আমি ক্রিকেট খেলতে যেতাম, সেখানে আট-নয়টি গ্রামের ছেলেরা থাকতো, অই যুবকদের কেউ কেউ ছিল আমারই ক্রিকেট খেলার সঙ্গী। লজ্জায় আমার মাথা কাটা যেত মন্দিরের সামনে ওদের আচরণ দেখে! আমাদেরই গ্রামের পূজায় একবার একটা বারো-তেরো বছরের মেয়ের গায়ে বিছুটি দেওয়া হয়েছিল। কোনো হিন্দু ছেলের সাহস ছিল না কোনো মেয়ের গায়ে বিছুটি দেওয়ার, সে যদি পাঁড় মাতালও হলেও না।

অবশ্যই পূজার সময় কিছু ছেলে মদ পান করে, অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু মদ খাওয়ার জন্য পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে, এই উক্তি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক! ২০২১ সালে কুমিল্লায় দূর্গাপূজার সময় মন্দিরে কোরান রেখে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের মন্দির এবং বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরে সেই নাশকতা ছড়িয়ে পড়ে আরও পনেরটি জেলায়। হিন্দুদের অসংখ্য ঘরবাড়ি, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো মুসলমান মৌলবাদীরা। হামলায় প্রায় ১৫ জন নিহত হয়। কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতারা এই হামলার দায় এড়াতে পারেন না এবং তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সাম্প্রতিক মন্তব্যে মৌলবাদী শক্তি হিন্দুদের ওপর হামলা চালাতে আরও উৎসাহ পাবে।

হিন্দু ছেলেরা মদ পান করলেও এদেরকেই আবার মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে হয়। কেন, কাদের ভয়ে? কারা পূজামন্দিরের ভিড়ের মধ্যে যুবতীর স্তনে হাত দেবার সুযোগ খোঁজে এবং হাত ছোঁয়াতে পারলে কুৎসিত আনন্দ পায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর সামনে আসা জরুরি এবং এই সঙ্কট সমাধানের দায়িত্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মতো রাজনীতিকদের এবং প্রশাসনের।

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ভাষ্য অনুযায়ী হিন্দুরা যদি এত মাদকসেবী, এত মনুষ্যত্বহীন-ই হবে, তাহলে একটু তথ্য নিজেরাই যাচাই করে দেখুন যে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ষক এবং খুনির সংখ্যা আনুপাতিক হারে কত। অভিযোগ করা হয় যে আদিবাসীরা সারাদিন মদের নেশায় থাকে। আমি একজন কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সাংবাদিক হয়ে, নিউজের মধ্যে থেকে, দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি যে বাংলাদেশে আদিবাসীদের মধ্যে অপরাধীদের সংখ্যা সবচেয় কম। আজ পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি যে কোনো আদিবাসী ধর্ষণ করেছে। হয়ত থাকতে পারে কিছু নিউজ, হয়ত আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু থাকলেও সেটা খুবই নগন্য সংখ্যক। অথচ যারা মদকে হারাম বলে, দ্বীনের ছবক দেয়, সেই হুজুর কর্তৃক বালক এবং বালিকদের ধর্ষণের শিকার হবার খবরে ছয়লাব থাকে নিউজ পোর্টালগুলো!
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে অকথ্য ভাষায় ভর্ৎসনা ও সাম্প্রদায়িক আক্রমণ করেছেন। ভাবা যায়, একজন মেয়ে একজন এমপিকে মালাউন বলছেন! একজন এমপি’র যখন এই অবস্থা, তাহলে সাধারণ হিন্দুদের কথা চিন্তা করে দেখুন যে তারা কতটা অসহায়, কতটা নিরাপত্তাহীনতায় বেঁচে থাকে এই দেশে!

আবার ফিরি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের প্রসঙ্গে। একেবারে নুরানী চেহারা। তার কন্যা তাহসিন বাহারও ঈমানী ছবক দিয়ে থাকেন। গত কয়েকদিন ধরে পিতার পক্ষে নানা ছবক দিচ্ছেন। একটা স্ক্রীণ শর্ট দিলাম, যেখানে তিনি- ধর্ম যার যার উৎসব সবার হয় না বিষয়ক ছবক দিয়েছেন! তাহসিনের স্বামী সাইফুল আলম রনির একটা পোস্টের স্ক্রীণ শর্ট দিলাম, যেটা তিনি দিয়েছিলেন কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর। আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় সন্দেহজনক! পুরো পরিবার মৌলবাদী ভাবাদর্শের, কখনোই আ্ওয়ামী লীগের আদর্শের নয়। যদিও আওয়ামী লীগের চরিত্রের স্খলন ঘটেছে! মৌলবাদের পুরু মেদ জমেছে আওয়ামী লীগের শরীরে!

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার মদমুক্ত পূজার ছবক দেন, তাহসিন বাহারও ঈমানী ছকব দেন। একটা ভিডিওতে দেখলাম তাহসিন বাহার নাইটক্লাবের লাল-নীল আলোর মধ্যে গানের তালে তালে অমন স্থুল শরীরে নর্তন-কুর্দন করছেন! তিনি কি নাইটক্লবে রুহ আফজা খেয়ে অমন নর্তন-কুর্দন করেছেন! তাহসিন নাইটক্লাবে কিভাবে নাচবেন, কি খেয়ে নাচবেন, কি পরে নাচবেন, এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এই বিষয়টি আমি সামনে উল্লেখই করতাম না যদি না তিনি তার পিতার পক্ষে ঈমানী ছবক দিতেন। যাইহোক, নৃত্য অত্যন্ত উচ্চাঙ্গের একটি শিল্প মাধ্যম, আমার খুবই পছন্দের। কিন্তু অমন থলথলে শরীরের নর্তন-কুর্দন দেখলে আমার চোখের ও চিত্তের পীড়া হয়! তবু দেখতেই হলো, রুহ আফজা খেয়ে ঈমানী ছবকওয়ালীর নর্তন-কুর্দন যে!

ভারতে বেশিরভাগ রাজ্যে মুসলমানদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে। যারা তাদের অধিকার নিয়ে সরব। আছে সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীও। কিন্তু বাংলাদেশের দেড়কোটি হিন্দুদের মধ্যে সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী দূরের কথা, একটা রাজনৈতিক দলও নেই। ফলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো দাবার ঘুঁটির মতো তাদের ব্যবহার করে! সুযোগ বুঝে নির্যাতন-ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে। ১৯৪৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই ভূ-খণ্ডে হিন্দুরা যে পরিমান নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যে পরিমান ভূমি তারা হারিয়েছে, এইরকম নির্যাতনের শিকার যদি মুসলমানরা কোনো দেশে হতো আর তাদের জনসংখ্যা যদি দেড় কোটি হতো, তাহলে তারা কমপক্ষে পাঁচটা রাজনৈতিক দল এবং একশোটা সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করত।

হিন্দুদের ভাবতে হবে ভোট এবং রাজনীতি নিয়ে। তারা কাকে ভোট দিচ্ছে, কাদের ভোট দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, কী পাচ্ছে, কী পাচ্ছে না; এই হিসাব করে একতাবদ্ধ হতে হবে। এই দেশের বাস্তবতায় হিন্দুদের ন্যায্য পাওনা কোনো রাজনৈতিক দলই দেবে না, হিন্দুদের আদায় করে নিতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দল গঠন করা। কিন্তু রাজনীতি অসচেতন, আত্মকেন্দ্রিক, ঈর্ষাপরায়ণ, নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত হিন্দুরা কি পারবে একতাবদ্ধ হয়ে নিজেদের মুষ্টিবদ্ধ হাত মাথার উপরে তুলতে?


ঢাকা।
অক্টোবর, ২০২৩

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২২

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ভারতীয় মুসলমানদের বিপরীতে এদেশের হিন্দুরা কি কি ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে?


মুক্তিযুদ্ধের সময় যে স্লোগান ছিল সে স্লোগান থেকে দুরে সরে গিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ করা হলো। রাতারাতি একটা বড় ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীকে সমীকরন থেকে নাই করে দিয়ে হিন্দু নেতারা নেমেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য ন্যায্য অধিকার আদায়ে। বলি, মসুলিমদের বাদ দেয়ার পর সমীকরনের ঐ শূন্যস্হানে কে লুকিয়ে আছে? দেশের বাইরের কোন শক্তি নয়তো? মাইনাস করা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মানুষজন এ সন্দেহ তো করতেই পারে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

মিশু মিলন বলেছেন: ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতে মুসলমান জনগোষ্ঠী ছিল ৯ শতাংশ, বর্তমানে প্রায় ১৫ শতাংশ। ১৯৪৭ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল ৩০ শতাংশ, বর্তমানে সেটা ৮ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে দেশ ছেড়েছে ৬৩২ জন হিন্দু। ভারতের মুসলমান আর বাংলাদেশের হিন্দুদের বঞ্চনার চিত্রটা এখানেই স্পষ্ট। পাকিস্তানেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপক হারে কমেছে। পৃথিবীর প্রতিটা মুসলমান রাষ্ট্রে ভিন্ন ধর্মের মানুষকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। বঞ্চনা নিয়ে কথা বলার আগে এই ইতিহাসের দিকে তাকানো জরুরি। আর হিন্দু-বৌদ্ধ-ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়েছে মুসলমানদের অত্যাচারের বিপরীতে একটা প্রতিবাদী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য। যখন রাষ্ট্র তার নিজের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে, যখন রাষ্ট্রের বিশাল জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘু উচ্ছেদ ও নিধনে নামে, তখন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের বাঁচার স্বার্থে প্রতিবাদী প্ল্যাটফর্ম তৈরি জরুরি হয়ে পড়ে।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই হিন্দুদের রাজনীতি নিয়ে ভাবতে হবে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হিন্দুদের অবস্থান প্রশংসনীয়। রাজনীতিতে তাদের সক্রিয় উপস্থিতি দেশকে এগিয়ে নিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। বিশেষত দুর্নীতি দূরিকরণে মুসলিম ও হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান আজ খুবই জরুরী।

আ ক ম বাহাউদ্দিনের মত অপরাজনীতিবীদেরা আজ দেশটা গিলে খাচ্ছে। যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য বড়ই বিপদজনক। পুজাগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার বিপরীতে অযৌক্তিক কথাবার্তা অপরাজনীতিতেই চলে। এসব প্রতিহত করা প্রয়োজন।

পুজানুষ্ঠানে ধর্ষনের ঘটনা আমরা সংবাদপত্রে খুব একটা দেখি না। উনার কথার বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় আপনি যদি মুসলিম ছেলেদের উপর প্রশ্ন তুলতে চান তবে একই প্রশ্ন হিন্দু ভাইদের ক্ষেত্রেও খেটে যাবে। যেহেতু আমরা মদ্দপানের কারণে পুজামন্ডমে কোন অরাজকতা বা নারী হয়রানী দেখছি না সেহেতু পুজানুষ্ঠানে অরাজকতা তৈরির মূল কারণ খুবই গভীরভাবে চিন্তার মাধ্যমে তুলে আনতে হবে। কে কী বললো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি প্রশাসন থেকে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা না পাওয়া যায় তাহলে হিন্দু ভাইদের নিজেদেরকেই এর ব্যবস্থা নিতে হবে।



এই ছবিটি লোক দেখানোর জন্য কিনা জানা নেই। কিন্তু তবু প্রয়োজনে মুসলিম ভাইদেরকে নিরাপত্তার কাজে সাহায্যের জন্য আহবান করা যেতে পারে। বাঙালি মুসলিমরা এতোই সাম্প্রদায়িক নয় বলেই আমাদের বিশ্বাস।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২১

মিশু মিলন বলেছেন: আ ক ম বাহাউদ্দিনের মত রাজনীতিবিদদের সংখ্যা এখন অনেক। প্রশাসনেও সুপ্ত জামায়াত-হেফাজত মতাদর্শের লোক অনেক। ফলে সুবিচার পাওয়া যায় না। কুমিল্লার ঘটনায় ইকবাল বাদে বাকি সবাই জামিনে বেরিয়ে এসে বুক ফুলিয়ে চলছে। রামু, নাসিরনগর, শাল্লা, রংপুর এবং অন্যান্য জায়গার আসামীদেরও একই অবস্থা। হিন্দুরা বিচার চাইবে কার কাছে!

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশে মদ খায় না কিন্তু মদ তৈরী করে বিক্রি করে, ভারত গরু খায় না কিন্তু গরু বাংলাদেশে বিক্রি করে কোরবাণীর জন্য। এই হচ্ছে অবস্থা দুনিয়ার।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

মিশু মিলন বলেছেন: ধার্মিক চরিত্র দ্বিচারিতায় পূর্ণ । নিজের সুবিধা অনুযায়ী ধর্ম পালন ও ব্যবহার করে।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩১

অধীতি বলেছেন: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আমাদের রন্ধ্রে ঢুকে গেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

মিশু মিলন বলেছেন: হুম, সত্য।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪২

নিমো বলেছেন: ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে, কিন্তু বাংলাদেশর তা নয়। সেই বাংলাদেশে কেন ২০২৩ এসেও আমরা হিন্দু-মুসলিম থেকে বের হতে পারছি না ? ভারত থেকে পাকিস্তান, পরবর্তীতে বাংলাদেশইতো প্রমান ধর্মের ভিত্তিতে দেশ হলেও আদতে তা টিকবে না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

মিশু মিলন বলেছেন: বাংলাদেশ আর সহসাই ধর্মীয় রাজনীতি থেকে বের হতে পারবে না। বরং আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে দিনকে দিন।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সাপের চেয়ে বেশী বিষাক্ত ধর্ম।
ধর্ম শুধু মানুষের ক্ষতিই করে গেলো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

মিশু মিলন বলেছেন: ধর্ম বিলুপ্ত হলে পৃথিবীর হানাহানি অর্ধেকের বেশি কমে যাবে। পৃথিবী আরও শান্তিপূর্ণ হবে।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: হিন্দু হামাস চাই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

মিশু মিলন বলেছেন: এটারও প্রয়োজন দেখি না। তাতে নতুন সংকটের সৃষ্টি হবে। জনপদে শান্তি আসবে না।

৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬

মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: খুব লাগলো বুঝি?
ভারতের সংখ্যালঘুর চেয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা খুবই ভালো আছে। দুই দিন পরে পরে দাংগা নাই। খাওয়া নিয়ে কাউকে হত্যা করা হয়নি।ভারতে তো কয়েকদিন পরে পরেই শুনা যায় গরু খাওয়ার অপবাদ দিয়ে মুস*লিম হত্যা করছে। জোর করে শুকরের মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। এইসব নিয়ে তো কথা বলেন না উল্টো বাহবা দেন। সোসাল মিডিয়ায় এইসব দেখে খুব মজা নেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

মিশু মিলন বলেছেন: সমাজে ভাইরাসের মতো বেড়েছে আপনার মানসিকতার মানুষ, তাই পৃথিবী আজ এত অসুখী। হ্যাঁ, ভারতে দাঙ্গা হয়, কারণ মুসলমানরা বুক চিতিয়ে লড়াই করে। কিন্তু বাংলাদেশে দাঙ্গা হয় না, বাংলাদেশে একতরফাভাবে হিন্দুরা মার খায়, ভূমি থেকে উচ্ছেদ হয়। হিন্দুরা আক্রমণ করে না।

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশে এই হিন্দু/বৌধ্য/খৃস্টিয়ান কার্ড খেলাটা বন্ধ করা উচিত।

একটু সমাজে ঘুরে দেখে আসুন। সাধারন মানুষ হিন্দু/মুসলিম ভেদ করেনা।

স্কুলে ছেলে/মেয়েরা হিন্দু/মুসলিম দেখে বন্ধুত্ব করেনা যে সমাজেও সেই হিন্দুদের অনেক মুসলমান বন্ধু আছে।

কিছু নেতারা নেতাগিরি করতেই এই সংখ্যালুঘু কার্ড খেলার চেস্টা করে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

মিশু মিলন বলেছেন: আপনি এক কাল্পনিক পৃথিবীতে বাস করেন, যেখানে মানুষ হিন্দু মুসলিম ভেদ করে না। বাস্তবতা ভিন্ন। রামু, নাসিরনগর, রংপুর, কুমিল্লায়, পাবনায়, যশোর, নড়াইল, নোয়াখালি, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় হামলাগুলো কারা করলো? প্রতিবছর মন্দির ভাযে কারা? এটা ভেদাভেদের চিত্র নয়? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নিউজের কমেন্টবক্সে, বিভিন্ন পেইজে, লক্ষ লক্ষ লোকের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য আপনার চোখে পড়েনি!

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:


পিকে হালদার, সুর চৌধুরী, ওসি প্রদিপ, এসকে সিনহা এরা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মেম্বার ছিলো নাকি?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

মিশু মিলন বলেছেন: আপনি গভীর অসুখে ভুগছেন! প্রোফাইল পিক থেকে আপনপার চিন্তা পাঠ করা যায়। দুর্নীতিবাজ পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষের মধ্যে কমবেশি আছে। তারা সকলেই অপরাধী। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার শুধু হিন্দুরা করে? এস আলম গ্রুপ ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, তারা কি হিন্দু?

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

মহানব্যক্তি বলেছেন: মূর্তি ভাঙ্গা ইসলামে সুন্নত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতের লাঠি দিয়ে মূর্তি ভেঙ্গে ছিলেন। এটা নিয়ে দুঃখ করার কিছু নেই।

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
৪৬/ অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৩২. মদের (মৃৎপাত্র) মটকা ভেঙ্গে ফেলা অথবা মশক ছিদ্র করা যায় কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দ্বারা মুর্তি বা ক্রুশ অথবা তবলা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে (তবে তার হুকুম কী)?
২৪৭৮. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (বিজয়ীর বেশে) মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন কা‘বা শরীফের চারপাশে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতের লাঠি দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে থাকেন আর বলতে থাকেনঃ ‘‘সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, (আয়াতের শেষ পর্যন্ত)’’- (বনী ইসরাঈল/ইসরাঃ ৮১)। (৪২৮৭, ৪৭২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ‌ ইব্‌ন মাসউদ (রাঃ)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, মূর্তি ভাঙা আর ভিন্নমত দমনের নাটের গুরু তো তিনিই।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: তাইলে দাদা একটা বেষ্ট সলিউশন দিচ্ছি, ইসলামের ছায়াতলে আসেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

মিশু মিলন বলেছেন: আমি মানসিকভাবে অসুস্থ নই যে সন্ত্রাসবাদী মতবাদের ছায়াতলে আসবো।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: কাকে কি বলবেন? সবাই এখন পন্ডিত!

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

মিশু মিলন বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৪

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ
/১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় ভারতে মুসলমান জনগোষ্ঠী ছিল ৯ শতাংশ, বর্তমানে প্রায় ১৫ শতাংশ। ১৯৪৭ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল ৩০ শতাংশ, বর্তমানে সেটা ৮ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে দেশ ছেড়েছে ৬৩২ জন হিন্দু। ভারতের মুসলমান আর বাংলাদেশের হিন্দুদের বঞ্চনার চিত্রটা এখানেই স্পষ্ট। পাকিস্তানেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপক হারে কমেছে। পৃথিবীর প্রতিটা মুসলমান রাষ্ট্রে ভিন্ন ধর্মের মানুষকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। বঞ্চনা নিয়ে কথা বলার আগে এই ইতিহাসের দিকে তাকানো জরুরি।
/আর হিন্দু-বৌদ্ধ পরিষদ গঠন করা হয়েছে মুসলমানদের অত্যাচারের বিপরীতে একটা প্রতিবাদী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য। যখন রাষ্ট্র তার নিজের দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি ঘোষণা করে, যখন রাষ্ট্রের বিশাল জনগোষ্ঠী সংখ্যালঘু উচ্ছেদ ও নিধনে নামে, তখন সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের বাঁচার স্বার্থে প্রতিবাদী প্ল্যাটফর্ম তৈরি জরুরি হয়ে পড়ে।

//হিন্দু-বৌদ্ধ-্‌খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়েছে ১৯৭৫ সালে এবং এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু সামরিক সরকার এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার পর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৯৭১-৭৫ এই সময়কালে হিন্দুরা এমন কি বঞ্চনা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিল যে কারনে তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-ঐক্য পরিষদের মত একটি সম্প্রদায় ভিত্তিক সাম্প্রদায়িক সংগঠন করতে বাধ্য হয়েছিল?

//১৯৮৮ সালে সামরিক সরকার এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করল এটা কোন গনভোট বা রেফারেন্ডম নিয়ে করা হয়নি। পরের বছর ১৯৮৯ সালে আদালতে এ নিয়ে মামলা হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০১৬ সালে এই মামলা খারিজ হয়ে যায়।

//হিন্দু-বৌদ্ধ-্‌খ্রীষ্টান-মুসলমান ঐক্য পরিষদ নাম যদি হত তাহলে আমরা বুঝতাম এটা একটা ধর্ম নিরপেক্ষ সংগঠন। স্বাধীনতার সময়ের সেই ঐক্যের মন্ত্র, "বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার মুসলমান-আমরা সবাই্ বাঙ্গালী" সেই মন্ত্র ভুলে হিন্দুরা যাদের সাথে প্রতিদিন হঠা বসা করে, সেই মুসলিমদের গননার বাইরে রেখে, এখন তাদের অধিকার আদায় করতে চায়।
-বাংলাদেশের অধিকাংশ হিন্দুদের মনস্তত্ত কি সত্যই এরকম যে তাদের কাছে প্রতিটা মুসলমান হিন্দুদের জন্মগত এবং আজন্ম শত্রু, বিধায় বাংলাদেশের বাকি সব ধর্মের মানুষের সাথে হিন্দুদের ঐক্য হতে পারে কিন্তু মুসলমানদের সাথে নয়? -সাম্প্রদায়িকতার নিরিখে বাংলাদেশের মুসলমান এমনই খারাপের খারাপ যে তুলনা করলে ভারতের কট্টর RSS , VSP ঘরানার হিন্দুরাও ফেইল- হিন্দুদের মনস্তত্ত যদি এমনটাই হয় তবে তারা ভোট কাকে দেবে? কে দিবে তাদের আশা, কে দিবে তাদের ভরসা?

//যখন এদেশে শত্রু সম্পত্তি আইন হয় তখন তো এদেশ অবাঙ্গালীদের শাসনামলে ছিল। আইন তারা করেছে। এদেশের বাঙ্গালী মুসলমানেরা তো করেনি। তাহলে তার দায়ভার বাংলাদেশের বাঙ্গালী মুসলমানদের ওপর দেয়া হচ্ছে কেন? অপরাধ না করেও আমরা বাংলাদেশের বাঙ্গালী মুসলমানরা অপরাধবোধে কেন ভুগবো?

বিঃদ্রঃ আগের ১৪ ও ১৫ নম্বর মন্তব্য মুছে ফেলুন। কপি পেস্ট করতে গিয়ে ভুল হয়েছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪১

মিশু মিলন বলেছেন: ১৯৭৫ সাল নয়, দালিলিক প্রমাণ বলে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ। মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আপনার কথা মতো যদি ১৯৭৫ সালেও গঠিত হয়, তাও এই সংগঠন তৈরির পিছনে কারণ আছে। যে চার নীতির ওপর বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে ধর্ম নিরপেক্ষতা। একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ কিভাবে সাম্প্রদায়িক সংগঠন ওআইসিতে যোগ দেয়? ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ওআইসিতে যোগ দেয়। সংখ্যালঘুদের আশাভঙ্গের শুরু সেই থেকেই।
আমি একবারও দাবি করিনি যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ অসাম্প্রদায়িক একটি সংগঠন। ধর্মের ভিত্তিতেই এর সৃষ্টি। ফলে অসাম্প্রদায়িক হওয়ার সুযোগ নেই। আমি বলেছি এটি সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিবাদী প্ল্যাটফর্ম।
হিন্দুরা মুসলমানদের বন্ধু ভাববে কি করে? ঐক্য হবে কি করে? ঐক্যের জন্য আগে তো মুসলমানদেরই হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখি উল্টো চিত্র। আজও হিন্দুদের ঘরবাড়ি দখল করা হচ্ছে, তাদেরকে ভিটে ছাড়া করা হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিশ্বাসের জায়গাটা ভেঙে গেছে। উপরের মন্তব্য দেখুন, ইসলামে মূর্তি ভাঙা সুন্নত। একটি সম্প্রদায়ের আরাধ্য দেবতাকে ভেঙে ফেলা যখন আরেকটি সম্প্রদায়ের পবিত্র কাজ, তখন বন্ধুত্ব হবে কি করে? ঐক্য হবে কি করে? তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সব মুসলমান মৌলবাদী। ভালো মানুষও আছে, যারা ইসলাম পালন করলেও, নবীর উগ্র ইসলাম গ্রহণ করেনি। তারা আছে বলেই হয়ত হিন্দুরা হাজারো শোষণ-নির্যাতনের মধ্যেও এদেশে টিকে আছে।


//যখন এদেশে শত্রু সম্পত্তি আইন হয় তখন তো এদেশ অবাঙ্গালীদের শাসনামলে ছিল। আইন তারা করেছে। এদেশের বাঙ্গালী মুসলমানেরা তো করেনি। তাহলে তার দায়ভার বাংলাদেশের বাঙ্গালী মুসলমানদের ওপর দেয়া হচ্ছে কেন? অপরাধ না করেও আমরা বাংলাদেশের বাঙ্গালী মুসলমানরা অপরাধবোধে কেন ভুগবো?//

শত্রু সম্পত্তি আইন তৈরির ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কি হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দিয়েছে। গত ৫২ বছর ধরে হিন্দুরা এই কালো আইন বাতিলের দাবী জানিয়ে আসছে, কোনো সরকার বাতিল করেনি। কেন? বরং শত্রু সম্পত্তি আইন শুনতে খারাপ লাগে বলে বাংলাদেশ গালভরা নাম দিয়েছে অর্পিত সম্পত্তি আইন। এই দায় অবশ্যই বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং মুসলমানদের। আজ অব্দি দেখেছেন কোনো মুসলমান দখল করা হিন্দুসম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছে? বরং আজও দখল করে চলেছে। না, না, আপনারা বাংলাদেশের মুসলমানরা অপরাধবোধে ভুগবেন কেন? হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা তো ইসলাম মতে হালাল। আপনারা মরু দর্শন লালন করেন, বীরের কাজ করেছেন, এখনো করছেন, গর্ব করুন, আনন্দ করুন!

১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধর্মীয় মতামত বা মতবাদ দেশ ভেদে গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে শুনবেন এদেশের হিন্দুরা ভালো আছে। আবার ভারতের হিন্দুদের কাছে শুনবেন সেদেশের মুসলমানরা ভালো আছে। ভালোমন্দ বাদ। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানে হিন্দু কমছে অথচ ভারতে মুসলমান বাড়ছে।

কথা সেটাও না, কথা হলো সব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠরা কেন ধর্ম দিয়ে মানুষ বিবেচনা করে? এদেশের হিন্দুদের চেয়ে ভারতের মুসলমানরা এদেশের মুসলমানদের প্রিয় হয়ে গেল? অথবা পাকিস্তানের হিন্দুরা ভারতের হিন্দুদের কাছে নিজের দেশের মুসলমানদের চেয়েও প্রিয় হয়ে গেল?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২১

মিশু মিলন বলেছেন: "কথা সেটাও না, কথা হলো সব দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠরা কেন ধর্ম দিয়ে মানুষ বিবেচনা করে? এদেশের হিন্দুদের চেয়ে ভারতের মুসলমানরা এদেশের মুসলমানদের প্রিয় হয়ে গেল? অথবা পাকিস্তানের হিন্দুরা ভারতের হিন্দুদের কাছে নিজের দেশের মুসলমানদের চেয়েও প্রিয় হয়ে গেল?"

খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একই অঞ্চলের হিন্দু-মুসলমানের জিনেরও মিল পাওয়া যাবে। অনেকের পূর্বপুরুষ হয়ত একই ছিল। অথচ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আজ বিভেদের দেয়াল!

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সন্ত্রাসবাদী মতবাদ বলতে আপনি ইসলামকে বুঝালে আপনার মন মানসিকতা কতটুকু ভাল/ খারাপ তা নিয়ে আবার ভাবতে বসুন।

সবদেশেই সব ধর্মের মানুষেরা ভাল থাকুক।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

মিশু মিলন বলেছেন: ‘অতএব যখন তোমরা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে যুদ্ধে মোকাবিলা কর তখন তাদের ঘাড়ে-গর্দানে আঘাত করো। শেষ যখন তোমরা ওদেরকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করবে তখন ওদেরকে শক্ত করে বাঁধবে। তারপর তোমরা ইচ্ছে করলে ওদেরকে মুক্ত করে দিতে পারো বা মুক্তিপণ নিয়েও ছেড়ে দিতে পারো। যতোক্ষণ না ওরা অস্ত্র সংবরণ করে, তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এ-ই বিধান। এজন্য যে আল্লাহ ইচ্ছা করলে ওদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি চান তোমাদের এককে অপরকে দিয়ে পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহ’র পথে নিহত হয় তিনি কখনই তাদের কাজ নষ্ট হতে দেন না।’ (আল কোরান, সুরা মুহাম্মদ, আয়াত-৪)।
‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাদের ওপর প্রত্যাদেশ করেন, “আমি তোমাদের সাথে আছি, সুতরাং বিশ্বাসীদেরকে সাহস দাও।” যারা অবিশ্বাস করে আমি তাদের হৃদয়ে ভয় ঢুকিয়ে দেব। সুতরাং তোমরা তাদের ঘাড়ে ও সারা অঙ্গে আঘাত করো।’ (আল কোরান, সুরা আনফাল, আয়াত-১২)।
‘তোমরা তাদেরকে হত্যা করোনি, আল্লাহ তাদেরকে মেরেছিলেন, আর তুমি যখন (কাঁকর) ছুড়েছিলে তখন তুমি ছোড়োনি, আল্লাহ-ই তা ছুড়েছিলেন; তার তা ছিল অবিশ্বাসীদেরকে ভাল পুরস্কার দেওয়ার জন্য। নিশ্চয় আল্লাহ সব শোনেন, সব দেখেন।’ (আল কোরান, সুরা আনফাল, আয়াত-১৭)।
‘যারা আমার উদ্দেশে জিহাদ করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করবো। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (আল কোরান, সুরা আনকাবুত, আয়াত-৬৯)।
হাদিসে মুহাম্মদের উক্তি- ‘আমি বাদ্য-যন্ত্র ও মুর্তি ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি।’
তার নির্দেশে পৌত্তলিকদের কাবা মন্দিরের ৩৬০ টি মূর্তি ধ্বংস করা হয়। তিনি নিজের এতে অংশ নিয়েছিনেন। একটা কাঠের ঘুঘুপাখি ভেঙেছিলেন। যে মতবাদে এই ধরনের কথা থাকে, পরমত বা পরধর্ম ধ্বংসের কথা থাকে, সেই মতবাদকে সন্ত্রাসবাদী মতবাদ ছাড়া আর কি বলা যায়?

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঠিক আছে আপনি একটা অংশ তুলে ধরেছেন। কিন্তু ইসলাম যুদ্ধ এবং যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে যে মানবিক দিকনির্দেশনা দিয়েছে অন্য কোন ধর্মে কি তা আছে, এমনকি ফসলের ক্ষেত যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।

অন্য ধর্ম পালনে বাধা না দিতে বলা হয়েছে , অমুসলিম পারা পরশীর হক আদায় করতে বলা হয়েছে। কিছু মুসলিম যা করে তা দিয়ে ইসলামকে বিচার করা ঠিক নয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

মিশু মিলন বলেছেন: আহারে কী মানবিক দিক নির্দেশনা! ক্ষমতার লোভে একের পর এক জনপদ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ করে, গণহত্যা চালিয়ে, নারী ও শিশুদের গনিমতের মালি বানিয়ে, ফসলের ক্ষেত নষ্ট না করতে নিষেধ করা হয়েছে! একটা মানুষের নির্দেশে ১০৭ টি যুদ্ধ হয়েছে, যার ৩৭ টিতে নিজে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন! নিরীহ শিল্পী-কবিদের পর্যন্ত জবাই করতে দ্বিধা করেননি। অমুসলিমদের কাছ থেকে অপমানজনকভঅবে জিজিয়া-খরাজ কর আদায় করেছেন! কী মানবিক! অন্ধবিশ্বাস একপাশে সরিয়ে রেখে একটু মানবিক দৃষ্টিতে এইসব ইতিহাস পড়ুন।

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @মিশু মিলনঃ

"যে মতবাদে এই ধরনের কথা থাকে, পরমত বা পরধর্ম ধ্বংসের কথা থাকে, সেই মতবাদকে সন্ত্রাসবাদী মতবাদ ছাড়া আর কি বলা যায়?"

আপনি অন্য ধর্মাবলম্বীর ধর্মকে অসম্মান করে আশা করছেন শান্তিতে সহবস্হান করবেন?

এই ইসলাম বিদ্বেষী মানসিকতা লালন করে আপনি তো আপনার মুসলমান প্রতিবেশীদের বা আপনার ছেলেবেলার মুসলমান বন্ধদেরও শত্রু বানিয়ে ছাড়বেন।

ভারতের মুসলমানদের কিছু বৈশিষ্ট হলোঃ
/তারার জীবন দিয়ে দেয় কিন্তু বাপ দাদার জমি ছাড়ে না।
/তাদের নিজ ধর্মের প্রতি যত না প্রেম তার চাইতেও বেশী প্রেম তাদের দেশের প্রতি।
/তারা অহেতুক ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় না কারন তাকে তার বাপ দাদার জমি কামড়ে ধরে আজীবন টিকে থাকতে হবে তার মাতৃ্ভূমিতে।

আগে তো বৈশিষ্ট গুলো অর্জন করুন, ওপারের মুসলমানদের কাছ থেকে কিছু শিখুন। তখন নিজের সাহস, শক্তি ও যোগ্যতায় টিকে থাকতে পারবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

মিশু মিলন বলেছেন: আপনাদের এই এক সমস্যা- কেউ কোরান এবং ইতিহাসের কথা তুলে ধরলেই ইসলাম বিদ্বেষী বলেন, ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করছে বলেন। আরে ভাই মান থাকলে তবেই না সম্মানের প্রশ্ন ওঠে। আমি আয়াতগুলো আবারও দিলাম-
‘অতএব যখন তোমরা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে যুদ্ধে মোকাবিলা কর তখন তাদের ঘাড়ে-গর্দানে আঘাত করো। শেষ যখন তোমরা ওদেরকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করবে তখন ওদেরকে শক্ত করে বাঁধবে। তারপর তোমরা ইচ্ছে করলে ওদেরকে মুক্ত করে দিতে পারো বা মুক্তিপণ নিয়েও ছেড়ে দিতে পারো। যতোক্ষণ না ওরা অস্ত্র সংবরণ করে, তোমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এ-ই বিধান। এজন্য যে আল্লাহ ইচ্ছা করলে ওদেরকে শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি চান তোমাদের এককে অপরকে দিয়ে পরীক্ষা করতে। যারা আল্লাহ’র পথে নিহত হয় তিনি কখনই তাদের কাজ নষ্ট হতে দেন না।’ (আল কোরান, সুরা মুহাম্মদ, আয়াত-৪)।
‘স্মরণ করো, তোমাদের প্রতিপালক ফেরেশতাদের ওপর প্রত্যাদেশ করেন, “আমি তোমাদের সাথে আছি, সুতরাং বিশ্বাসীদেরকে সাহস দাও।” যারা অবিশ্বাস করে আমি তাদের হৃদয়ে ভয় ঢুকিয়ে দেব। সুতরাং তোমরা তাদের ঘাড়ে ও সারা অঙ্গে আঘাত করো।’ (আল কোরান, সুরা আনফাল, আয়াত-১২)।
‘তোমরা তাদেরকে হত্যা করোনি, আল্লাহ তাদেরকে মেরেছিলেন, আর তুমি যখন (কাঁকর) ছুড়েছিলে তখন তুমি ছোড়োনি, আল্লাহ-ই তা ছুড়েছিলেন; তার তা ছিল অবিশ্বাসীদেরকে ভাল পুরস্কার দেওয়ার জন্য। নিশ্চয় আল্লাহ সব শোনেন, সব দেখেন।’ (আল কোরান, সুরা আনফাল, আয়াত-১৭)।
‘যারা আমার উদ্দেশে জিহাদ করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করবো। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন।’ (আল কোরান, সুরা আনকাবুত, আয়াত-৬৯)।
হাদিসে মুহাম্মদের উক্তি- ‘আমি বাদ্য-যন্ত্র ও মুর্তি ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি।’

এবার বলুন, আপনার বিবেক কী বলে, এই আয়াতগুলো কি বিদ্বেষপূর্ণ এবং সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ নয়? এর বিরুদ্ধে সভ্য ও সুস্থ মানুষের কথা বলা উচিত নয়?
নিজের সাহস, শক্তি ও যোগ্যতায় টিকে থাকার কথা বললেন তো? ভাই, একটু পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকান, যেখানেই ইসলাম প্রবেশ করেছে, সেখানেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মানুষ শান্তিতে বাস করতে চায়, আর ইসলাম ধর্মের নামে কোপাকুপি করে, জোবরদস্তিমুলক ধর্মান্তর করে। ইরানে আজও কিছু অগ্নি উপাসাক আছে, যারা গোপনে নিজেদের আদি ধর্ম পালন করলেও, রাষ্ট্রীয় পরিচয়ে ইসলাম লিখতে বাধ্য হয়। অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করে, মহাকাশ-চাঁদ জয় করে। আর মুসলমানরা এই বিশ্বাসে বুঁদ হয়ে থাকে যে নবী সাত আসমান পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা করতে গেছে। চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। কয়েকদিন আগেই বিবর্তন পড়ানোর দায়ে পাকিস্তানে এক শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। আমাদের দেশে বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে মিছিল হয়। সারাবিশ্বে শত শত জঙ্গিগোষ্ঠী। ফলে মানুষ একটু শান্তিতে বাস করার জন্যই ইসলামী রাষ্ট্র ছেড়ে পালায়। শুধু অন্য ধর্মাবলম্বীরা নয়, অনেক শান্তিপ্রিয় মুসলমানও ইসলামী রাষ্ট্র ছেড়ে পালায়, পালাতে চায়।
ওপারের মুসলমানদের থেকে হিন্দুরা শিখতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু শিখতে পারবে না এই জন্য যে, হিন্দুরা বিশ্বাস করে ধর্ম জীবনের ্র্মেএকটা অংশ। ধর্মের জন্য জীবন বিসর্জন দেবার মতো মানসিকতা তাদের নেই। কিন্তু একজন মুসলমান ধর্মের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে। তারা একটা মিশন নিয়ে জীবন যাপন করে। তাদের লক্ষ্য থাকে পৃথিবীটাকে দারুল ইসলাম বানানোর। তাদের কিতাব বলেছে যে ধর্মের জন্য জীবন দিলে বেহেশত নিশ্চিত, ফলে তারা ধর্মযুদ্ধ করে। অন্য ধর্মের মানুষেরা এখন এই পর্যায়ে নেই, তারা অনেক এগিয়ে গেছে।

১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ

ভাই, একটু পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকান, যেখানেই ইসলাম প্রবেশ করেছে, সেখানেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

উদাহরন দেন যে কোন কোন এলাকায় নিশ্চিন্হ হয়েছে। আজাইরা অপবাদ দিয়ে তো পাড় পাবেন না।

/এই যেমন হিন্দুস্তান তাই না। মুসলমান শাসকেরা এমনই সহিংশ ছিল যে এখন হিন্দুস্তানে কোন হিন্দুই খুজে পাওয়া যায় না।

/এই যেমন স্পেন বা সেই সময়কার আন্দালুসিয়া। পুরো স্পেন মুসলিমরা শাসন করে এখন সেখানকার জনমিতি কি?

/৬০ লক্ষ ইহুদি মুসলমান হত্যা করেনি। তাহলে ইহুদিরা কাদের হাতে নিরাপদ ছিল ইউরোপিয়ানদের হাতে নাকি মুসলিম শাসকদের হাতে। এখনও পারস্যের ইহুদিরা দেশ ত্যাগ করে ইসরাইলে যায়নি। মরোক্কোর ইহুদিরাও ইসরাইলে গিয়েছিল বসবাসের জন্য। মোহভঙ্গ হয়ে কিছুদিন পর আবার মরোক্কোয় মুসলিম সংখ্যাগোরিষ্ঠ জনগনের মাঝেই ফেরত।

ইসলাম বিদ্বেষীদের কমন সমস্যা হলো এরা অর্ধসত্য আর অর্ধমিথ্যা বলে। আধা আধা বলে, চিন্তা ভাবনা করেই এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যাতে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন হয়।

আয়াতগুলোর সামনে পিছনে তো আরও অনেক কিছু ছিল। সেসব তো উল্লেখ করলেন না। কি উদ্দেশ্যে (শানে নজুল) আয়াত এসেছে এসবও গুরুত্বপূর্ন বিষয় যা আপনি উল্লেখ করেননি।


এবার বলুন, আপনার বিবেক কী বলে, এই আয়াতগুলো কি বিদ্বেষপূর্ণ এবং সভ্যতার জন্য হুমকি স্বরূপ নয়? এর বিরুদ্ধে সভ্য ও সুস্থ মানুষের কথা বলা উচিত নয়?

১৪০০ বছর আগে এসব আয়াত নাজেল হয়েছিল। সে হিসাবে সভ্যতা টিকে থাকার কথা না কিন্তু এখনও টিকে আছে। এতএব আপনার ধারান একেবারই অমুলক, ভিত্তিহীন।

আসলে আপনি আপনার সুস্হতা নিয়ে বরং চিন্তা করুন। সেটা আপনার জন্য ভাল। নইলে আপনি কিন্তু সাংবাদিক (সাংঘাতিক) একজন মানুষ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯

মিশু মিলন বলেছেন: মদিনা এবং আশপাশের অঞ্চলের বানু কুরাইজা, বানু নাদির, বানু কাইনুকা, বানু আল মুসতালিক গোত্রের ইউদিরা কিভাবে নিশ্চিহ্ন হলো? কে তাদের ওপর গণত্যা চালালো? কুরাইশদের ওপর আক্রমণ করে কাবামন্দির ও মক্কা দখল করেনি? সমগ্র আরব, পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকায় কারা গণহত্যা চালিয়ে ভিন্ন ধর্ম নিশ্চিহ্ন করলো? ভারতবর্ষে সুলতান মাহমুদ ১৭ বার সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করেছে। মুহম্মদ ঘোরী, মুহম্মদ বিন কাশিম, বখতিয়ার খিলজি ভারত আক্রমণ করেনি? আওরঙ্গজেব, সুলতান সিকান্দাররা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করেনি? আমার কথা বিশ্বাস করতে হবে না। তৎকালীন মুসলিম ইতিহাসবিদদের রচনা পড়ুন, জানতে পারবেন কী গর্বের সঙ্গে তারা এইসব ইতিহাস লিখেছেন।
পৃথিবী সব জাতির সঙ্গে ইসলামের দ্বন্দ্ব! হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি, ইয়াজিদি, পার্সি, জরথ্রুষ্ট্র, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী সব জাতি খারাপ; একমাত্র সভ্য হচ্ছে ইসলাম, এই তো বোঝাতে চান আপনারা? আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি খুশি থাকেন। অন্যের পোস্টে ঢুকে অযথা তর্ক করে অণ্যের সময় নষ্ট করবেন না।
কোরান কোনো ঐশ্বরিক বিষয় নয়। ওগুলো কিছু মুহম্মদের নিজের আর কিছু তৎকালীন আরবীয় কবি ও চিন্তুাবিদদের দ্বারা প্রভাবিত চিন্তার ফসল, যা মুহম্মদ আল্লার নামে চালিয়ে দিয়েছে।
কোরান ঐশ্বরিক গ্রন্থ, মুহাম্মদ আল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছে, এই যার ধর্মে বিশ্বাস তার সঙ্গে তর্কে যাওয়া বৃথা! ধার্মিক লোকের সঙ্গে আমি কোনো তর্কে যাই না, কারণ এরা এদের বিশ্বাস থেকে বের হতে পারে না, অযথা কুতর্ক করে। তবু আপনার অনেক কথার উত্তর দিয়েছিল। আর সময় ক্ষেপণ নয়। বিদায়।

২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ

অন্যের পোস্টে ঢুকে অযথা তর্ক করে অণ্যের সময় নষ্ট করবেন না।
কোরান কোনো ঐশ্বরিক বিষয় নয়। ওগুলো কিছু মুহম্মদের নিজের আর কিছু তৎকালীন আরবীয় কবি ও চিন্তুাবিদদের দ্বারা প্রভাবিত চিন্তার ফসল, যা মুহম্মদ আল্লার নামে চালিয়ে দিয়েছে।
কোরান ঐশ্বরিক গ্রন্থ, মুহাম্মদ আল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছে,
এই যার ধর্মে বিশ্বাস তার সঙ্গে তর্কে যাওয়া বৃথা!

আপনার পোষ্ট বলে অন্যের ধর্মের নামে যা খুশি আপনার একান্ত মনগড়া লেখা লিখে যাবেন এটা ব্যাক্তি স্বাধীনতা নয়। এ হলো একশতভাগ স্বেচ্ছাচারিতা। । আপনার এই স্বেচ্ছাচারিতায় খোদ হিন্দু ধর্মের লোকজনই লজ্জা পাবে। অনেক চেষ্টা করেছেন যে আমিও হিন্দু ধর্মকে জড়িয়ে কটু কথা বলি। কিন্তু আমি তো আমাকে আপনার মত ঐ নিচু অবস্হানে নামিয়ে আনতে পারব ;না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩

মিশু মিলন বলেছেন: আমি যা বলেছি কোরান-হাদিস এবং ইতিহাসের কথা। এসব নিয়ে ওয়াজিরা গর্ব করে, ইউটিউবে শত শত ওয়াজ আছে। ইসলামী ইতিহাসবিদরাও গর্ব করেছেন। কিন্তু আজকের দিনে আপনার মতো মডারেট মুসলমানরা এসব মানতে চান না। অনেকে জেনেও স্বীকার করতে চায় না, তাকিয়াবাজি করে। কিন্তু তাকিয়াবাজরা অস্বীকার করলেও কোরান-হাদিস আর ইসলামী লেখকদের লেখা ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। ইবনে ইসহাকের লেখা মুহাম্মদের জীবনীটা পড়লেই অনেক কিছু জানতে পারা যায়।

আপনি এত নিচে অবস্থান করছেন যে ওখান থেকে আর নিচে নামা সম্বব নয়!

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: @লেখকঃ

আপনি এত নিচে অবস্থান করছেন যে ওখান থেকে আর নিচে নামা সম্বব নয়!

অন্য ধর্মকে আক্রমন না করে বা কটু কথা না বলেও আপনার ভাস্যমতে আমি কতই না নিচ। যদি বলতাম তাহলে কি বলতেন? তখন বিষেশনটা কি হতো?

আর ভার৫তের আর এস এস বা বজরং দলের মুখপাত্রের মতো ইসলাম ধর্ম ও তার রসুলকে নিয়ে যাচ্ছেতাই কথা বলেও আপনি কতই না মহান। মানে ওদের মতই ঘৃনা ছড়িয়ে সংকীর্নতায় ঠাসা ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতি চালু করার এজেন্ডা চালুর অপচেষ্টা তো। লাভ নেই দাদা। আমরা এদেশের মুসলমানরা ভার৯তীয় হিন্দুদের মত মানসিকতার না। ঐ মানসিকতা না থাকার কারনে অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও এদেশে ভার৯তের মত সাম্প্রদায়িকতের বিষ এদেশের সমাজে ঠুকতে পারেনি। আপনাদের জন্য বড়ই আফসোসের কথা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

মিশু মিলন বলেছেন: ইতিহাসের সত্য তুলে ধরা আর কটু কথা বলা এক নয়। মরুডাকাতদের ইতিহাস নিয়ে কথা বললেই তাকিয়াবাজ মুসলমানরা বলে আমাদের ধর্মকে আক্রমণ করেছে। অথচ তাদের কিতাবগুলোতেই সব কথা আছে। এটা নতুন কিছু নয়।

হা হা হা । ভালো কৌতুক বলেছেন- ভারতের মতো সাম্প্রদায়িক বিষ এদেশের সমাজে ঢুকতে পারিনি! চিন্তার দিক থেকে অধিকাংশ মুসলমান অসৎ এটা আবারও প্রমাণ করলেন। অবশ্য কোরান যে কোনো মুসলমানের অপরাধ অন্য মুসলমানকে গোপন রাখতে বলেছে! সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লা, রংপুর, নোয়াখালি, পাবনা, লক্ষ্মীপুর, নড়াইল, যশোরসহ আরও অনেক জেলায় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ এবং ১২-১৫ জনকে হত্যা করেছে গায়েবি জ্বিনেরা!

আপনার সাথে কথা বলতে রুচি হচ্ছে না। আর মন্তব্য না করলে খুশি হবো। আর করলেও আমি কোনো উত্তর দেব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.