নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশান্তর-ই বাংলাদেশের অমুসলিমদের ভবিতব্য

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২১



হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজনের পোস্ট ভেসে এলো ফেইসবুকে, যারা ৪৩ তম বিসিএস এ সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, জঙ্গিবাদী অবৈধ ইউনুস সরকার তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জঙ্গি সরকার ক্ষমতা দখলের পর দুই দফায় ২৬৭ জনকে বাদ দিয়েছে। বাদ পড়াদের মধ্যে কতজন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা আদিবাসী, তা হয়ত জানা যাবে শীঘ্রই। এর আগে পুলিশের এসআই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৯৩ জন হিন্দু, ২ জন বৌদ্ধ ও ১ জন খ্রিষ্টানকে। এই বাদ পড়াদের একটি অংশ অমুসলিম। আরেকটি অংশ মুসলিম, যাদের বেশিরভাগই হয়ত নিজে অথবা পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল অথবা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল।

জঙ্গি সরকারের টার্গেট অমুসলিম সম্প্রদায়, বিশেষত হিন্দুরা। হিন্দুরা বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের চেয়ে সংখ্যায় বেশি, তাদের নিয়োগের সংখ্যাও বেশি, ফলে যে-কোনো উপায়ে হিন্দুদেরকে সরকারি চাকরি থেকে দূরে রাখা জঙ্গি সরকারের উদ্দেশ্য। শুধু সরকারি নয়, মৌলবাদী অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও হিন্দুদের নিয়োগ দেয় না। ৫ আগস্টের পর জঙ্গি ছাত্রদের চাপে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অমুসলিম কর্মীদের ছাঁটাই করেছে।
শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, এবার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতেও বড় ধরনের জালিয়াতি হবে। অমুসমিদের বাদ দেওয়া হবে, তাদের জায়গায় সুযোগ দেওয়া হবে মাদ্রাসার জঙ্গি ছাত্রদের।

এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ফলে বেশিরভাগ অমুসলিমরা ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবে না, তাদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়বে। তরুণদের মধ্যে হতাশা বাড়বে, পরিবারের গলগ্রহ হবে, আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়বে। অমুসলিম সম্প্রদায়ের বহু পরিবার দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে, পারিবারিক কলহ বাড়বে। ঠান্ডা মাথায় কৌশলে অর্থনৈতিকভাবে অমুসলিমদের পঙ্গু করে দেওয়া হবে, যাতে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। এই কৌশলের ব্যাপক প্রভাব পড়বে আরও পাঁচ-দশ বছর পর থেকে। এই ধরনের কৌশল কিছুটা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল সামরিক শাসনামলে এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। এরপর আরও ব্যাপকভাবে এই কৌশল বাস্তবায়ন করা হয় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত। এই কৌশল অবলম্বনের উদ্দেশ্য একটাই- যাতে অমুসলিমরা বাংলাদেশ ত্যাগ করে। এই কৌশলের সুফল পেয়েছিল শাসকগোষ্ঠী, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ সময়ে বিপুল সংখ্যক হিন্দু দেশত্যাগ করে। অবশ্য এই কৌশলের সঙ্গে এই সময়টাতে ভয়ানকভাবে হিন্দু নির্যাতনও হয়েছিল।

বর্তমান অবৈধ ইউনুস সরকার ক্ষমতা দখলের প্রথম একশো দিনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৮৬ হাজার ২৭৭ জনকে নিয়োগ দিয়েছে, আপনার সমাজে, আপনার আশপাশে কতজন অমুসলিম নিয়োগ পেয়েছে, সেই সংখ্যাটার দিকে তাকালেই বৈষম্যের চিত্রটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে। সঙ্গত কারণেই, এই দেশে ভবিষ্যৎ নেই বুঝে অমুসলিমরা দলে দলে ভারতে চলে যাবে।

আগামীতে হিন্দু জনগোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার চাপ নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাকে, এরই মধ্যে অনেকে দেশ ছাড়তে শুরু করেছে। অনেকে অপেক্ষায় আছে। হিন্দুরা এই মুহূর্তে অনেকটা ঢাল হয়ে আছে অন্যান্য অমুসলিম জনগোষ্ঠীর, যেহেতু হিন্দুরা সংখ্যায় বেশি, তাই প্রথম টার্গেট হিন্দুরা, তাদের ওপর নির্যাতনের হার বেশি। হিন্দুরা কমে গেলেই বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের ওপর নির্যাতন আরও ভয়ানক আকার ধারণ করবে। বস্তুত, এই ভূখণ্ডে অমুসলিমরা কখনোই শান্তিতে থাকতে পারবে না। কোনো মুসলিম দেশেই অমুসলিমরা শান্তিতে থাকতে পারে না। ফলে দু-বেলা দুটো ডাল-ভাত খেয়ে হলেও এতটু শান্তিতে থাকার জন্য তারা দেশান্তর হবে। দেশান্তর-ই বাংলাদেশের অমুসলিমদের ভবিতব্য! ২১০০ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো প্রায় অমুসলিমশূন্য হবে, এক বা দুই শতাংশে গিয়ে ঠেকবে, যদি না ভূ-রাজনীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়। এটাই হবে বাস্তব চিত্র; কাল্পনিক সাম্যবাদী ইতিহাস শুনিয়ে, ভারসাম্যের আবেগী সাহিত্য-সংগীত দিয়ে, বামপন্থী যুক্তির তুলির আঁচড় দিয়েও এই নির্মম চিত্র আড়াল করা যাবে না। পাকিস্তানেও আড়াল করা যায়নি।

কয়েক কোটি জনসংখ্যার চাপ নিতে ভারত প্রস্তুত তো?

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪



* বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে অনুযায়ী দেশে এখন হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকার না হয় জঙ্গী সরকার কিন্তু আগের সরকারের এমপি হতে শুরু করে আমলারা কেন হিন্দুদের জমি খেয়ে দিলেন? গোলাম দস্তগীর গাজী, বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহমুদ শত শত একর হিন্দু জমি দখল করেছে। তখন এমন পরিসংখ্যান কই ছিলো? বিসিএসের বিষয় টি বললাম না কারণ এরা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আবার চাকুরি ফেরত পাবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪০

মিশু মিলন বলেছেন: অবশ্যই আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে, বৌদ্ধ-আদিবাসী নির্যাতন হয়েছে, জমি দখল হয়েছে। সে-সব নিয়ে লিখেছিও। আমার উল্লেখিত সময়ে রাষ্ট্রীয় মদতে হিন্দুদের ওপর হামলা হতো, ফলে রাষ্ট্রের ওপর আস্থাহীনতার কারণেই হিন্দুরা দেশত্যাগ করত। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে হিন্দু নির্যাতন রাষ্ট্রীয় মদতে হয়নি, ফলে হিন্দুদের দেশান্তরের সংখ্যাটা খুব কম। যদিও দায় আওয়ামী লীগ সরকারের-ই, কারণ তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই লেখায় দেশত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: হিন্দুদের দেশত্যাগ শুরু হয় ৪৭ থেকে।কখনো কম কখনোবেশি।আওয়ামী লীগ হিন্দুদের জমি খেয়েছে অন্যরা জমি সহ হিন্দুদের খেয়েছে, যেটা আওয়ামীরা করে নাই।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২৯

মিশু মিলন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন কামাল ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪১

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: কেন খামাখা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়াচ্ছেন? এই দেশে থাক্তে ইচ্ছা না করলে থাইকেন না। কিন্তু হিন্দু নির্যাতনের কার্ড খেলে ফ্যাসিস্টদের ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দে্‌ইখেন না। বাংলাদেশে আমরা হিন্দু-মুসলমান মিলেমিশে ছিলাম এবং থাক্তে চাই। কিন্তু আপনার মতো কিছু সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী মানসিকতার মানুষের জন্য দেশে সাম্পদায়িক সহনশীলতা এবং সংহতি বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজিপি যারা জয় শ্রীরাম বলে মুসলিম হত্যা করে আপনার দৃষ্টিতে তারা জঙ্গি না, জঙ্গী হৈইলো ড. ইউনুস। ড. ইউনুসের সরকার যদি অবৈধ সরকার হয়, তবে দেশের মানুষের ভোটাধিকার হনন করে তিন তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে বছরের বছর রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে থাকা ফ্যাসিস্ট হাসিনা কি ছিল !

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৭

মিশু মিলন বলেছেন: এই দেশে থাক্তে ইচ্ছা না করলে থাইকেন না।

আপনার মতো এই বাক্যটি যারা মগজে ধারণ করে, তারাই নির্যাতন করে হিন্দুদের দেশছাড়া করে। আমার লেখার সত্যতা আপনার এই বাক্যের মধ্যেই নিহিত। উপরোক্ত বাক্যটি বলার পর আপনার সঙ্গে আর কথা বলার রুচি নাই।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কামাল১৮@ হিন্দুদের জমি খাওয়া আর হিন্দু সহ জমি খাওয়ার মধ্যে কি পার্থক্য? কেন যে শুধু শুধু আওয়ামী লীগ কে বেটার প্রমাণের চেষ্টা করেন কে জানে। এই আওয়ামী লীগ ১৯৭১, ১৯৯৬ সালের আম্লিক নয়। ইহা এখন ভন্ডদের দল।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮

মেঘনা বলেছেন: আওয়ামী লীগ আমলেও হিন্দুরা নির্যাতিত বিতাড়িত হয়েছে, বিএনপি জামাত আমলেও হিন্দুরা বিতারিত হয়েছে, হিন্দুরা নির্যাতিত বিতাড়িত হয়েছে এরশাদের আমলে এবং বর্তমান ইউনুস সরকারের আমলেও হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

কারণ কী ? তার মানে এটা কোন রাজনৈতিক সমস্যা না, সমস্যা ধর্মীয়। বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলমান সমাজের সমস্যা। বাংলাদেশের মুসলমানরা প্রচন্ডরকম সাম্প্রদায়ীক এবং ভিন্ন ধর্মবিদ্বেষী। বাংলাদেশের মুসলমানরা ইসরাইলের ইহুদি কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনদের মতোই। বাংলাদেশ যদি সামরিকভাবে শক্তিশালী হতো কিংবা ভারতের মতো একটা হিন্দু প্রধান শক্তিশালী দেশ বাংলাদেশকে ঘিরে না রাখতে তাহলে এতদিনে বাংলাদেশে কোন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান অবশিষ্ট থাকত না

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৪০

মিশু মিলন বলেছেন: রাখাইনে তো তবু অনেক গুলো সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, যারা নাশকতা করে। গাজায়ও হামাসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী আছে। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের মধ্যে কোনো সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী নেই। নাশকতাও করে না। তবু এদের নিপীড়নের শিকার হতে হয়।

ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ১৯৭৪ সালের আদমশুমারি অনুসারে দেশের হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ (সংখ্যায় ১ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার)। সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এটি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশে (সংখ্যায় ১ কোটি ২৭ লাখের কিছু বেশি)। অর্থাৎ হিন্দু জনসংখ্যা সংখ্যায় কমেনি, তবে শতাংশের হার কমেছে (সূত্র:সূত্র: প্রথম আলো)। আপনার প্রথম টেবিলটি যেই রিপোর্ট থেকে নিয়েছেন, আমিও সেই রিপোর্ট থেকেই তথ্য দিয়েছি।

দ্যা হিন্দু জানিয়েছে, ভারতে ১৯৫০ সালে হিন্দু জনসংখ্যার হার ছিল ৮৪.৬৮%, যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৬%, অর্থাৎ কমেছে ৬.৬২% (Click This Link target='_blank' >সূত্র)।

বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা না হয় কমেছে কিন্তু ভারতে কেন হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে?

বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা সংখ্যায় কমেনি, বরং বেড়েছে। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যাও সংখ্যায় কমেনি, বরং বেড়েছে। কিন্তু শতাংশে কমেছে। শতাংশে কমার কারণ হলো মুসলিমদের মাঝে উচ্চ বাচ্চা উৎপাদন প্রবণতা ওভারঅল শতাংশে প্রভাব ফেলেছে ভারত এবং বাংলাদেশ দু-দেশেই!

১৯৭৪ সালের সাথে বর্তমান বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনা করলে দেখা যায়, মুসলিম জনসংখ্যা ২০০%-এর বেশি বেড়েছে, যা সামগ্রিক জনসংখ্যায় প্রভাব ফেলেছে। ভারতেও একই চিত্র দেখা গেছে। ১৯৫০ সালের তুলনায় সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৯.৮৪% থেকে ১৪.০৯%-এ পৌঁছেছে। খ্রিস্টান জনসংখ্যাও ৫.৩৪% বেড়েছে, যা ভারতের সামগ্রিক হিন্দু জনসংখ্যার হারে প্রভাব ফেলেছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, যদি একজন হিন্দুও দেশত্যাগ না করে, তারপরও পরবর্তী আদমশুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমবে। কারণ হিন্দুদের গড় প্রজনন হার মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের তুলনায় অনেক কম। একই বিষয় ভারতেও প্রযোজ্য।

যাই হোক, বাংলাদেশ কখনোই হিন্দুশূন্য হবে না। তবে কিছুদিন আগেও অনেক হিন্দু স্বীকার করেছে যে লীগ সরকারের আমলে হিন্দুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই!

যাইহোক এই লেখা বাঁ স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে যদি আপনি লীগকে প্রমোট করার জন্য করেন তবে মনে রাখবেন এই দল-টি স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতায় গিয়ে সব সময়েই গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, তাদের এই সমস্ত লেখা-ফেখা দিয়ে প্রমোট করলে হবে না, তাদের প্রাশ্চিত্র করেই ফিরতে হবে! সত্যিই খালি মুখে চিড়া ভিজে না! বর্তমানে দেশে যা হচ্ছে, তা তাদের কর্মফল। তারা দেশকে বিপদের মুখে ফেলে রেখে গেছে! তারা তাদের শাষনামলে যা করেছে, এর পরের নির্বাচনে লীগ অংশ গ্রহন করলেও অনেকে প্রার্থী ভয়েও জনগনের কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবে নাহ! তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ১/২ নির্বাচনের পর!

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:১২

মিশু মিলন বলেছেন: @কাছের-মানুষ
‘হিন্দুদের জন্মহার কম’ একথা যতটা সত্য, ততটাই সত্য এদেশে আনুপাতিক বা শতাংশের হারে হিন্দুরা কমেছে মুসলমান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক হিন্দু নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ত্যাগ করায়। মুসলিমদের জমির সিএস, আরএস ও এসএ পরচা দেখলেই এই সত্য বেরিয়ে আসবে। মুসলিম লোকটি যে হিন্দু লোকটির কাছ থেকে জমিটা কিনেছে বা জুলুম করে দখল করেছে, সেই হিন্দুদের বেশিরভাগের বংশধর এদেশে খুঁজে পাবেন না। পাকিস্তান আমলে শত্রুসম্পত্তি আইন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দুদের দেশছাড়া করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশও সেই কালো আইন বাতিল করেনি। হিন্দুদের দেশত্যাগের কথাটি যারা অস্বীকার করে, তারা মৌলবাদী, রাষ্ট্র ও মুসলিমদের কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচাতেই তারা অস্বীকার করে। অধ্যাপক আবুল বারাকাতের গবেষণা মতে, ‘১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫ দশকে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬১২ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বি মানুষ নিরুদ্দিষ্ট বা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আর প্রতিদিন দেশ ছেড়েছেন গড়ে ৬৩২ জন হিন্দু।’
গবেষণায় ড. বারকাত আরও বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময়কালে প্রতিদিন গড়ে নিরুদ্দেশ হওয়া হিন্দুদের সংখ্যা সমান নয়, যেমন-১৯৬৪ থেকে ১৯৭১ পাকিস্তানের শেষ ৭ বছর প্রতিদিন নিরুদ্দেশ হয়েছেন ৭০৫ জন হিন্দু। ১৯৭১ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন নিরুদ্দেশ হয়েছেন ৫২১ জন। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন নিরুদ্দেশ হয়েছেন ৪৩৮ জন। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত প্রতিদিন ৭৬৭ জন হিন্দু দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬৭৪ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ দেশ থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।’
আসছে নির্বাচন, বাড়ছে সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক

শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এই সত্য সর্বদাই স্বীকার করে। আমি পশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় অনেকবার গেছি, দেখেছি সেখানে কী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীরা বসবাস করে। কোনো কোনো অঞ্চলে মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ-ই বাংলাদেশী। যেমন ত্রিপুরার মেলাঘরের দিকে কিছু এলাকা, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, দক্ষিণ ও উত্তর চব্বিশ পরগণার কিছু অঞ্চল। জন্মহারের ধুয়ো দিয়ে মুসলমান কর্তৃক হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন, হিন্দু নারী ধর্ষণ ও অপহরণ, হিন্দুদের জমি দখল ও তাদের দেশছড়া করার ইতিহাস আড়াল করা যাবে না। এই ইতিহাস দিনের আলোর মতোই সত্য।
হিন্দু নিপীড়ন সম্পর্কিত এই সংবাদটি পড়ুন:
বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনা হাজারের বেশি: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ


আমার আওয়ামী লীগকে প্রোসোট করার কিছু নেই। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে মাথা বিক্রি করিনি, তাই আওয়ামী লীগ শাসনামলের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় গেছে, তারাই কমবেশি গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। অবশ্যই আওয়ামী লীগের আমলে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে, বৌদ্ধ-আদিবাসী নির্যাতন হয়েছে, জমি দখল হয়েছে। কিন্তু আমার উল্লেখিত সময়ে রাষ্ট্রীয় মদতে হিন্দুদের ওপর হামলা হতো, ফলে রাষ্ট্রের ওপর আস্থাহীনতার কারণেই হিন্দুরা দেশত্যাগ করত। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে হিন্দু নির্যাতন রাষ্ট্রীয় মদতে হয়নি, ফলে হিন্দুদের দেশান্তরের সংখ্যাটা অনেকটা কম।


ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: ভাই সংখ্যালুঘু কার্ড খেলা বাদ দেন।

দেশের মানুষ হিন্দুদের টারগেট করেনা।

প্রতিটা শহরেই বড়বড় পাইক্যারি ব্যবসায়ী হিন্দু, দেশের শিক্ষা বোর্ডের প্রধান প্রফেসর তপন কুমার সরকার। দেশে আপনি যেটা বলছেন সেটা হলে তাকে ঐখানে বসার সুযোগ দিতো না । তিনি তার যোগ্যতার বলেই দেশে আছেন।

একটা চ্যালেন্জ করি বাংলাদেশের সরকারী উচু পদে যে সংখ্যার হিন্দুর সাথে ভারতের সরকারী পদে মুসলমানের তুলনা করে তারপরে বলুন যে বাংলাদেশে হিন্দুরা সুযোগ কম পাচ্ছে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:৫৩

মিশু মিলন বলেছেন: ভাই সংখ্যালুঘু কার্ড খেলা বাদ দেন। দেশের মানুষ হিন্দুদের টারগেট করেনা।

এমনি এমনি-ই বাংলাদেশের অমুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা হয়, আগুন লাগে, তাদের জমি দখল হয়! বোধের দরজা যাদের বন্ধ, তাদের সাথে কথা বলতে আমার রুচি হয় না।

ভারতে লক্ষ লক্ষ মুসলিম মাদ্রাসায় পড়ে। বাংলা মিডিয়ামে পড়া বাঙালীরাই ভারতে কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে, আর মাদ্রাসার মতো একটা প্রতিষ্ঠানে কুশিক্ষা শিখে, অযোগ্য হয়ে কিভাবে তারা সর্বভারতীয় স্তরে টিকে থাকবে! মুসলিমদের মধ্যে যারা যোগ্য, তারা তারা ভালো জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু যোগ্য লোকের অভাব আছে। আর সবকিছুতে ভারতের সাথে তুলনা করাটাই মৌলবাদের লক্ষণ। বাংলাদেশের ভূমিপুত্র হিন্দুরা, তাই বাংলা সংস্কৃতির ধারক-বাহক। একজন উদ্বাস্তু সংস্কৃতির মানুষ ভূমিপুত্রদের নিয়ে এমন ভাষায় কথা বলছেন যে হিন্দুরা রোহিঙ্গাদের মতো! চেতনা ও সংস্কৃতির দিক থেকে আপনি-ই রোহিঙ্গা।

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০১

কাঁউটাল বলেছেন: শুধু হিন্দু কমে কেন, অন্য ধর্মের লোক তো কমে না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:১১

মিশু মিলন বলেছেন: হিন্দুরা এই মুহূর্তে অনেকটা ঢাল হয়ে আছে অন্যান্য অমুসলিম জনগোষ্ঠীর, যেহেতু হিন্দুরা সংখ্যায় বেশি, তাদের জমি বেশি, তাই মৌলবাদী মুসলিমদের প্রথম টার্গেট হিন্দুরা এবং তাদের জমি। তাদের ওপর নির্যাতনের হার বেশি। তাদের দেশত্যাগের সংখ্যাও বেশি। হিন্দুরা কমে গেলেই বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের ওপর নির্যাতন আরও ভয়ানক আকার ধারণ করবে। বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-আদিবাসীরা দেশত্যাগ করলে, সুন্নীদের নিপীড়নের শিকার হবে শিয়া ও আহমদিয়ারা। তারা দেশত্যাগ করলে সুন্নীদের বিভিন্ন দলের মধ্যে মারামারি হবে। যেমন- সাদপন্থী ও জোবায়ের পন্থী, চরমোনাই ও হেফাজতি। চলতেই থাকবে।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মতো আরো অনেক বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী ব্লগারদের লেখায় আমি সাধারনতঃ মন্তব্য করার মতো কষ্ট করি না, কেন করি না........সেটাও একটা চিন্তা করার মতোই বিষয়। তাছাড়া আমার মন্তব্য সবাই নিতে পারে না। শুধুমাত্র ব্লগার কাছের মানুষের চমৎকার বিশ্লেষণটার কারনে আসা। দেখেন, এই মন্তব্যের মর্মার্থ মগজ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে প্রসেস করতে পারেন কিনা। আপনি যে আদৌ বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী না, এটা প্রমাণ করার এটাই মোক্ষম সুযোগ!! এই প্রমাণের জার্নিতে সম্ভব হলে আপনার ওইপাড়ের বন্ধুদেরকেও সাথে নিয়েন!!!! ;)

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:১৫

মিশু মিলন বলেছেন: প্লিজ মন্তব্য করার মতো কষ্টটি করবেন না, তাতে আমার সময় নষ্ট, এই ব্লগে ১৬ বছর ধরে অপদার্থ মৌলবাদীদের একইরকম মন্তব্যের উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। হাজার তথ্য ও যুক্তি দিলে অপদার্থের দল তালগাছের দাবী থেকে সরে না! প্লিজ..

১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫০

ক্লোন রাফা বলেছেন: আমাদের বৈচিত্র্য বৈশিষ্ট্য হুমকির মুখে । হয়তো তালেবানি আদর্শের প্রসারে আমাদের স্বকীয়তা হারাবো। আমি শংকিত বর্তমান নিয়ে ।
ধন্যবাদ ॥

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৩:১৬

মিশু মিলন বলেছেন: আমাদের সবকিছু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬

নতুন বলেছেন: এমনি এমনি-ই বাংলাদেশের অমুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা হয়, আগুন লাগে, তাদের জমি দখল হয়! বোধের দরজা যাদের বন্ধ, তাদের সাথে কথা বলতে আমার রুচি হয় না।

রুচি হবেনা এটাই স্বাভাবিক ;) আয়ামীলীগের নেতাদের বাড়ীতে হামলা হয়েছে, মুসলমান বা হিন্দু দেখে হয় নি। আপনি যারা হিন্দু তাদের উপরে আক্রমন নিয়ে সংখ্যালুঘু কাড খেলবেন আর সবাই মেনে নেবে?


একজন উদ্বাস্তু সংস্কৃতির মানুষ ভূমিপুত্রদের নিয়ে এমন ভাষায় কথা বলছেন যে হিন্দুরা রোহিঙ্গাদের মতো! চেতনা ও সংস্কৃতির দিক থেকে আপনি-ই রোহিঙ্গা।

হিন্দুদের রোহিঙ্গার মতন বলিনি, খোজ নিলেই বুঝতে পারবেন আমাদের দেশের হিন্দুরা খুবই ভালো আছে। তারা মুল সমাজের বড় অংশ সেটাই বোঝাতে চেয়েছি।

আমার কমেন্ট আপনার ভালো লাগবেনা সেটাই সাভাবিক। কারন উচিত কথা মজা লাগে না। ;)

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৫

মিশু মিলন বলেছেন: শত শত অরাজনৈতিক হিন্দু পরিবারের ওপর হামলার ভিডিও থাকার পর যে অস্বীকার করে, রাজনৈতিক রঙ লাগাতে চায়, সেই মৌলবাদী বর্বরের সঙ্গে কথা বলতে আমার গা ঘিন ঘিন করে! দূরে থাকুন।

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: দেশটাকে আফগান বানানোর জন্য উঠেপরে লেগেছে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫১

মিশু মিলন বলেছেন: হুম। এর মধ্যে অনেকটা বানিয়েও ফেলেছে। ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.