![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
বহুকাল আগে থেকেই শিল্প ও শিল্পীর জন্য উর্বর ভূমি এই বঙ্গ। বহু কবি, ভাস্কর, চিত্রকর, সংগীতশিল্পীর জন্ম এই ভূমিতে। বহিরাগত মুসলমান বিহার ও মন্দিরগুলো আগুনে পুড়িয়ে না দিলে চর্যাপদের মতো আরও অসংখ্য পদ কিংবা আরও গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যেতেও পারত। নেপালে না থাকলে চর্যাপদও হয়ত হারিয়ে যেত। শিল্পীরা কেবল এই অঞ্চলেই নয়, বাইরেও যেতেন শিল্প সৃষ্টির জন্য। ইন্দোনেশিয়ার বালি ও জাভার মন্দির আর ভাস্কর্যের প্রসার ঘটেছিল বাঙালি শিল্পীদের হাত ধরে। যা নিয়ে আমি একটি উপন্যাস লিখতে শুরু করেছি, শেষ করতে হয়ত আরও চার-পাঁচ বছর লাগবে। ইসলামী আগ্রাসনের ফলে ইন্দোনেশিয়ার বালি ব্যতিত বিপুলসংখ্যক মানুষ ধর্মান্তরিত হয়, বালি এখনও হিন্দু অধ্যুসিত। ধর্মান্তরিত হলেও ইন্দোনেশিয়ার অধিকাংশ মুসলমান তাদের সংস্কৃতি ত্যাগ করেনি। তাদের জাতীয় গ্রন্থ রামায়ণ, জাতীয় পাখি রামায়ণের গড়ূর। অনেক পৌরাণিক চরিত্রের ভাস্কর্য তাদের রাস্তাঘাট, বিদেশের দূতাবাসে শোভাবর্ধন করছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের টাকায় ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে, ইসলামী উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
বালি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে অনেক ভাস্কর আছেন, যারা মুসলমান। গড়ছেন সরস্বতী, রাম, হনুমান এবং অন্যান্য পৌরাণিক চরিত্রের ভাস্কর্য। মানুষ ভাস্কর্য কিনে ঘরের শোভাবর্ধন করছে। এজন্য সেইসব ভাস্করকে পাশের বাড়ির কারো কটু কথা শুনতে হয় না, কেউ তাদেরকে পরকাল উচ্ছন্নে যাবার কথা বলে না।
কিন্তু আমাদের দেশের প্রতিমাশিল্পী ইসমাইলকে কটু কথা শুনতে হয়, মুসলমান হয়ে কেন তিনি হিন্দুদের পূজার প্রতিমা তৈরি করছেন! দশ বছর ধরে মূর্তি গড়ছেন ইসমাইল, এটাই তার পেশা, রুটি-রুজির অবলম্বন।
দুই বছর আগে নেত্রকোনা বাজারে এক চাচাকে দেখেছিলাম লক্ষ্মীর সরা বিক্রি করতে, তার কাছ থেকে একটা সরা কিনেছিলাম। গতকাল আবিষ্কার করলাম প্রতিমাশিল্পী ইসমাইলকে। অসাধারণ তার হাতের কাজ, পাল সম্প্রদায়ের আর পাঁচজন মৃৎশিল্পীর মতোই।
আজ কথায় কথায় আমাদের শুনতে হয়- ভাস্কর্য আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়, নাচ-গান আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়, ট্রেনে বাউলের গান গাওয়া আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। হামলা চালিয়ে বাউল আখড়া ভাঙচুর করে, বাউলদের মারধর করে, ভাস্কর্য ভাঙে, ট্রেনে গান গাইলে গলা চেপে ধরে কোনো হায়েনা স্বভাবের মোল্লা। হতেও তো পারে যে এই মোল্লারই কোনো পূর্ব-পুরুষ বাউল ছিলেন, দোতারা বাজিয়ে অসাধারণ গান গাইতেন! গান-বাজনার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়া মামুনুলের কোনো পূর্ব-পুরুষ হয়ত সেন রাজাদের রঙমহলে সেতার বাজাতেন, আজহারীর মায়ের দিকের পূর্বজ কোনো নারী হয়ত ভরা উঠোনে পালায় গাইতেন-
‘উঠ উঠ নদ্যাঠাকুর কত নিদ্রা যাও
অভাগী মহুয়া ডাকে আঁখি মেইল্যা চাও।।’
এই দেশে শিল্পীদের বিচরণক্ষেত্র ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে, শিল্পীরা এখন বিপন্ন, বিপন্ন হতে হতে একদিন হয়ত শিল্প ও শিল্পীরা হারিয়ে যাবে এই জনপদ থেকে, যেমন হারিয়ে গিয়েছে মক্কা-মদিনা থেকে। হারিয়ে গিয়েছে আরবের শিল্পী-কবিদের প্রাণের ‘ওকাজের মেলা’।
ইসমাইলও এই দেশের সংখ্যালঘু, ইসমাইল বিপন্ন, অথচ ইসমাইল-ই বঙ্গভূমির প্রকৃত সন্তান, জৈবিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ঢাকা
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: সমাজ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে না, পরিবর্তন হবে, নতুন সৃষ্টিও গ্রহণ করতে হবে, তবে তা ইতিবাচক কাজে ব্যবহার হবে।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই কিন্তু মুসলমানকে দানব হিসেবে চিহ্নিত করতে গেলে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবেনা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২
মিশু মিলন বলেছেন: আমি দানব শব্দটির পরিবর্তে হিংস্র শব্দটি ব্যবহার করছি। মুসলমানদেরকে কাউকে হিংস্র হিসেবে চিহ্নিত করতে হয় না, মুসলমানরাই বারবার প্রমাণ করে যে তারা হিংস্র। মুসলমানরা যে সভ্য, এটা প্রমাণ করার দায় তাদেরই। নইলে পৃথিবীতে তাদের বিপদ আরও বাড়বে। আর অসভ্য মুসলমানদের কারণে ইসমাইলের মতো নিরীহ সভ্য মুসলমানরা কলঙ্কের ভাগী হবে।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: সম্প্রীতির মেলবন্ধন দূরে চলে যাচ্ছে। ধর্ম একটা শ্রেণী এসে সব নতুন করে শেখাচ্ছে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আপনার লেখাটি অসম্পূর্ণ, ইসলাম সম্পর্কে আপনার কোনো জানাশোনা জ্ঞান ছাড়া জ্ঞান নেই।এই অজ্ঞানতা নিয়েই ইসলাম সম্পর্কে আপনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা থেকে ইসলাম সম্পূর্ণ মুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন।আপনি ইসলামকে তাই মনে করেন যা আপনি বাহিরে মুসলমানদের মধ্যে দেখেন
মুসলমানরা কারো সংস্কৃতিকে আঘাত করেনা,তারা সুধু অপসংস্কৃতি কে আঘাত করে।আপনি সুধু নিজেদের স্বার্থের কথাই পোস্টে লিখেছেন,মুসলমানদের স্বাধীনতা এবং স্বার্থের কথা কিছু লিখেননি।অথচ মুসলমানরা ভী্ন্্যধর্মীদেরকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।তাদেরকে তাদের ধর্মানুষ্ঠান পালনে কোনোপ্রকার বাধা দেয়না।কুরআনের আইন অনুযায়ী প্রত্যেকেি প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে,কেউ কাউকে বাধা দিবেনা।
এখন যদি কোনো মুসলমান ভিন্নধর্মিদের আচার অনুষ্ঠান পারনে বাধা দেয়,তাহলে অবশ্যই সে কুরআনের আদেশ অমান্য করার কারনে অপরাধী হবে।
এখন, আপনি পোস্টে যেসকল সংস্কৃতির কথা বলেছেন,তা কোনো ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান না,এগুলো আদিকাল থেকে মানুষের মধ্যে, সমাজের মধ্যে প্রচলিত হওয়া উতসব অথবা রুসম।
কোনো আলেম অথবা মুসলমান এগুলো পালনে কাউকে বাঁধা দেয়না।
কিন্তু এই রুসম ততক্ষন নিরাপদ,যতক্ষন এগুলো অশ্লীলতা এবং বেহায়াপনার দিকে না যায়।এবং মুসলমানদের মৌলিক কোনো ভিত্তিতে আঘাত না হানে।
যেহেতু এই সমাজ কারো একার না,আমি আপনার স্বার্থ দেখবো,আপনি আমার স্বার্থ দেখবেন,মূলত সামাজিকতা এটাই।
উদাহরন দিলে হয়ত বুঝবেন,
ধরুন আপনি একজন সনাতন ধর্মী,আর আমি একজন মুসলিম।আপনার আমার বাড়ি পাশাপাশি।আমি আপনাকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেই আপনিও আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন।
এখানে তাহলে পারস্পারিক স্বার্থ কি?যেই স্বার্থ আপনি আমার কাছে পাবেন, এবং আমি আপনার কাছে পাবো??
এটা একটা বড় প্রশ্ন।
এর উত্তর হল আমার নামাজের সময় কিছক়ষনের জন্য আপনর মাইক বন্ধ রাখতে হবে।আপনি াশাকে ডিস্টার্ভ করবেননা,এটা ামি আপনর কাছে পাই।আর আপনি আমার কাছে যা পান তা হলো,আপনার,পুজো সহ আরো যা কিছু আছে সেখানে আমি কোনো ডিস্টার্ভ করবোনা।
যদি আমরা এমনটা করি তবেই আমাদের সমাজ শান্তিপূর্ন হতে পারে।
আপনি দেখে থাকবেন, নাস্তিকরা মুসলমানদের কার্যাবলি এবং স্পর্শকাতর অনেক বিষয় নিয়ে কটুক্তি করে থাকে।তারা কেন এটা করে,এটা না করলে তাদের কি হয়?মুলত বিশৃঙ্খলা এবং ফাসাদ সৃষ্টির জন্যই তারা এমনটা করে থাকে।ধন্যবাদ
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
মিশু মিলন বলেছেন: পাঁচমাস তিন সপ্তাহ ধরে ব্লগ লিখছেন। আমি যখন থেকে এই ব্লগে ইসলাম নিয়ে লিখছি, হতে পারে তখন আপনার জন্ম হয়নি কিংবা প্যান্ট ভরে হিসু করেন! ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান নিয়ে কথা বলতে হলে আমার গত ১৭ বছরের পোস্টগুলো পড়ে আসুন। যে কৌতুক আপনি রচনা করেছেন, এগুলো আমার ব্লগে লিখবেন না।
মুসলমানরা কারো সংস্কৃতিকে আঘাত করেনা,তারা সুধু অপসংস্কৃতি কে আঘাত করে।আপনি সুধু নিজেদের স্বার্থের কথাই পোস্টে লিখেছেন,মুসলমানদের স্বাধীনতা এবং স্বার্থের কথা কিছু লিখেননি।অথচ মুসলমানরা ভী্ন্্যধর্মীদেরকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।তাদেরকে তাদের ধর্মানুষ্ঠান পালনে কোনোপ্রকার বাধা দেয়না।কুরআনের আইন অনুযায়ী প্রত্যেকেি প্রত্যেকের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে,কেউ কাউকে বাধা দিবেনা।
ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ আর তাকিয়াবাজদের পক্ষেই এমন লেখা সম্বব। কোরান হাদিসেই অসংখ্য প্রমাণ আছে। নাবালক-অশিক্ষিতদের সঙ্গে ইসলামের বর্বর ইতিহাস নিয়ে প্যাঁচাল পাড়তে আমি অনিচ্ছুক, কারণ এসব সময় অপচয়।
এর উত্তর হল আমার নামাজের সময় কিছক়ষনের জন্য আপনর মাইক বন্ধ রাখতে হবে।আপনি াশাকে ডিস্টার্ভ করবেননা,এটা ামি আপনর কাছে পাই।আর আপনি আমার কাছে যা পান তা হলো,আপনার,পুজো সহ আরো যা কিছু আছে সেখানে আমি কোনো ডিস্টার্ভ করবোনা।
এই বাক্যগুলোর মধ্যেই বিষলামের দখলদারিত্বের ইতিহাস ফুঁটে উঠেছে। পূজার সময় আজানের মাইকবন্ধ রাখা না হলে, আজানের সময় পূজার ঢাক বন্ধ রাখা হবে কেন, এই বিবেচনা বোধটুকুও নেই। আল্লাহ কি কানে কম শোনে, যে পূজার ঢাকে আজানের শব্দ ম্লান হবে।
আপনি দেখে থাকবেন, নাস্তিকরা মুসলমানদের কার্যাবলি এবং স্পর্শকাতর অনেক বিষয় নিয়ে কটুক্তি করে থাকে।তারা কেন এটা করে,এটা না করলে তাদের কি হয়?মুলত বিশৃঙ্খলা এবং ফাসাদ সৃষ্টির জন্যই তারা এমনটা করে থাকে।ধন্যবাদ
কোনো ইতিহাসের সত্য বলা কটুক্তি নয়। শিক্ষিত নাস্তিকরা সত্য বলেন, কটুক্তি করেন না।
অপরাধীকে অপরাধী বলতে হবে, খুনিকে খুনি বলতে হবে, ধর্ষককে ধর্ষকক বলতে হবে। তিনি যে-ই হোন।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: এসব বাঙালী সংস্কৃতি ইসলামের সাথে যায়।আমরা বাঙালী না মুসলমান এ এক ঝটিল প্রশ্ন।তার থেকে বড় প্রশ্ন আমরা আসলে মানুষ না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬
মিশু মিলন বলেছেন: এসব বাঙালী সংস্কৃতি ইসলামের সাথে যায়।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। পৃথিবীর কোনো সংস্কৃতি-ই ইসলামের সাথে যায় না। এজন্যই ওরা সংস্কৃতি ধ্বংস করে।
আলেম-ওলামা আর মানুষের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে!
ধন্যবাদ ভাই।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সবকিছুই পরিবর্তনশীল, সংস্কৃতিও এর বাইরে নয়। এই অঞ্চল এক সময় মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এলাকা ছিলো, এখন সেটা নেই আর এটাই বাস্তবতা ও বর্তমান। বিগত কয়েক দশকেই বাংলাদেশীদের অনেক অনেক রীতি-নীতিতেও পরিবর্তন এসেছে আর ধীরে ধীরে আরো ঘটবে। প্রতিটি সমাজ সময়ের সাথে সাথে একটা এভুল্যুশনের মধ্যে দিয়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
মিশু মিলন বলেছেন: স্বাভাবিক পরিবর্তন আর জোরপূর্বক পরিবর্তন এক নয়। এই দেশের জোরবদস্তিমুলক পরিবর্তন করা হচ্ছে।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
আমি নই বলেছেন: @সুলাইমান হোসেন ভাই, আপনি ভুল যায়গায় ভুল কথা বলতেছেন। লেখক একজন চরম মাত্রার উগ্রপন্থী ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু, ওনার লেখায় একমাত্র ইসলাম বিদ্বেষ ছারা কিছুই পাবেন না। উনি বিদ্বেষ প্রকাশের মোড়ক হিসেবে সংস্কৃতিকে বেছে নিয়েছেন। উনি মুসলিমদের বহিরাগত বললেও সনাতনকে কখনই বহিরাগত বলেন না অথচ সনাতন ধর্মও উপমহাদেশে বহিরাগত ধর্ম। এ ব্যাপারে জানতে আর্য/দ্রাবিড়দের ইতিহাস পড়তে পারেন।
ইফতেখার ভূইয়া ভাই যথার্থ বলেছেন, যেমন দ্রাবিড়রা ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম জনগোষ্ঠীর অংশ। ধারণা করা হয়, এরা সিন্ধু সভ্যতার (মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা সভ্যতা) রূপকার ছিল। কিন্তু এখন কি সিন্ধু সভ্যতা আছে? আর্যদের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতিও একসময় থাকবেনা, আবার এখন যে সংস্কৃতি চলছে সময়ের পরিক্রমায় এই সংস্কৃতিও থাকবেনা। এটাই স্বাভাবিক।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০০
মিশু মিলন বলেছেন: আজকের যে সনাতন সংস্কৃতি তা আর্য-অনার্য সংস্কৃতির মিশ্রণ।
আর্যরা নিজেদেরকে এই মাটির সঙ্গে আত্মীকরণ করতে পেরেছে, এই মাটির সন্তান হতে পেরেছে যা মুসলমানরা আজও পারেনি। এমনকি যেসব ভূমিপুত্র ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাদেরকে সংস্কৃতির শিকড়চ্যুত করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। সামান্য কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ ব্যতিত, মুসলমানদের মুল ধারাটি সাংস্কৃতিকভাবে এই ভূমির সন্তান হতে পারেনি, পারবে বলেও মনে হয় না।
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: শিল্পীরা হচ্ছেন সমাজের পাহারাদার।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩
মিশু মিলন বলেছেন: আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষিত শিল্পী ভেতরে ভেতরে একেকটা আলেম! এরা সমাজকে পিছিয়ে দেয়।
১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজকের যে সনাতন সংস্কৃতি তা আর্য-অনার্য সংস্কৃতির মিশ্রণ।
কারন আর্যরা দ্রাবিরদের শোষন করতে চেয়েছে, তাই দ্রাবীরদের ধর্মের সাথে মিল রেখে কাছাকাছি নতুন একটি ধর্ম দিয়ে তাদের অচ্ছুত বানিয়ে শোষন/অত্যাচার করতে সুবিধা ছিল।
লেখক বলেছেন: আর্যরা নিজেদেরকে এই মাটির সঙ্গে আত্মীকরণ করতে পেরেছে, এই মাটির সন্তান হতে পেরেছে যা মুসলমানরা আজও পারেনি। এমনকি যেসব ভূমিপুত্র ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাদেরকে সংস্কৃতির শিকড়চ্যুত করা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। সামান্য কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ ব্যতিত, মুসলমানদের মুল ধারাটি সাংস্কৃতিকভাবে এই ভূমির সন্তান হতে পারেনি, পারবে বলেও মনে হয় না।
আর্যরা (আপার কাষ্ট হিন্দুরা) আজও স্থানীয়দের অচ্ছুতই মনে করে, তার পরেও মাটির সঙ্গে আত্মীকরণ করতে পারল!!! কিভাবে??
আমার আরো কিছু প্রশ্ন আছে--
১. সনাতনরা বহিরাগত এটা মানেনতো?
২. সাংস্কৃতিকভাবে এই ভূমির সন্তান হতে হলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে?
৩. মুর্তি পুজা, গান-বাজনা করা এগুলাই যদি সাংস্কৃতিকভাবে এই ভূমির সন্তান হওয়ার মুল হয়ে থাকে তাহলে এগুলো বাদ দেয়ায় আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে? (আমরা না খেয়ে মারা যাব বা এরকম কিছু কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?)
৪. আর্যরা আক্রমনের পুর্বের কত গুলো সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনি জানেন এবং ফলো করেন?
৫. সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল এটা কি বিলিভ করেন?
১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
মাথা পাগলা বলেছেন: প্রথমে ভুল করে পড়েছিলাম, "ইসলামই বঙ্গভূমির প্রকৃত সন্তান।"
আমার মনে করি - নাটক, গান-বাজনা, সাহিত্য, চিত্রকলা বিকাশ ছাড়া কোন দেশের ঠিক ঠাক উন্নতি সম্ভব না।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৬
মিশু মিলন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১
মাথা পাগলা বলেছেন: @আমি নই
আপনার থেকে নতুন নতুন ইতিহাস শুনতে হয়। আপনি সব জায়গায় মিথ্যা ছড়ান।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:১৭
মিশু মিলন বলেছেন: তাদের ইতিহাস তেমনই। অন্যের বাপকে বাপ বলাই তাদের সংস্কৃতি। গুরুত্ব দেবার কিছু নেই।
১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭
আমি নই বলেছেন: মাথা পাগলা বলেছেন: @আমি নই
আপনার থেকে নতুন নতুন ইতিহাস শুনতে হয়। আপনি সব জায়গায় মিথ্যা ছড়ান।
শুধু দাবী করলেইতো হবেনা, সত্য দিয়ে মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমান করতে হবে। মিথ্যা প্রমান করেন, মেনে নিতে কোনো অসুবিধা নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২২
প্রামানিক বলেছেন: আগে যখন রেডিও টেলিভিশন ছিল না তখনকার দেশের সাহিত্য সাংস্কৃতির ভাবধারায় ছিল আলাদা