![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ, তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে।" ---ডাব্লিউ এস ল্যান্ডস।
হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য যদি ডাক্তার (নূন্যতম এমবিবিএস ডিগ্রী) ছাড়া অন্য কেউ উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত না হয়, তবে সরকারের আইসিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইসিটি বিষয়ে গ্রাজুয়েট ছাড়া অন্যকেউ বিবেচিত হন কি করে? অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলবেন হয়তো, আইসিটি বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ থাকলেইতো এ বিষয়ে কাজ করা সম্ভব। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ দেয়া সমিচীন হবে বলে মনে করছি। কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের হেডিং ছিল “স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের জীবন-মৃত্যু নিয়ে বানিজ্য করছে ভূয়া ডাক্তার” সংবাদটির মূল বিষয় বস্তু ছিল এমনঃ আরাফাত মল্লিক নামের একব্যক্তি স্বাস্থ্য সহকারি হলেও নিজেই নিজেকে ডাক্তার দাবি করেন। ফিস নিয়ে নামের আগে ডাক্তার লেখা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রুগী দেখেন তিনি। সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ শুনে এবং ডাক্তার লেখা ব্যবস্থাপত্র দেখে আরাফাত মল্লিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন বলেন, সেখানে স্বাস্থ্য সহকারির দায়িত্বে থাকা আরাফাত মল্লিকের ব্যবস্থাপত্রে ডাঃ লিখে রুগী দেখার কোন ভাবেই বৈধতা নেই। এখন কথা হচ্ছে, যেহেতু আরাফাত মল্লিক স্বাস্থ্য সহকারির দায়িত্বে আছেন অতএব আমরা ধরে নিতে পারি যে, চিকিৎস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে তার যতসামান্য হলেও প্রশিক্ষণ রয়েছে। কিন্তু মূল সমস্যাটা হচ্ছে তার এমবিবিএস ডিগ্রী নেই। অর্থাৎ প্রশিক্ষণলব্দ কিছু জ্ঞানের মাধ্যমে কোন একটি কাজ পনিপূর্ণভাবে সম্পাদন করা বা সে সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। যদি সম্ভব হতো তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে গ্রাজুয়েসন বা ডিগ্রী কোর্স চালু করার কোন প্রয়োজন ছিলনা এবং মেডিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং/বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠত। তাই নয়কি?
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, ই-মেইলঃ [email protected]
©somewhere in net ltd.