![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"ধর্মীয় কুসংস্কারে যারা আবদ্ধ, তারা সব সময়েই দরিদ্র থাকে।" ---ডাব্লিউ এস ল্যান্ডস।
প্রযুক্তি ও রঙ্গ
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন
কম্পিউটার=হার্ডওয়্যার+সফটওয়্যার। কি অবাক হচ্ছেন? না, অবাক হওয়ার কিছু নাই। আমি যা লিখেছি ঠিকই লিখেছি। বিশ্বাস হচ্ছে না? ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটু পড়ুন বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন। অনুধাবন করুন আর নাই করুন। আগে একটু হেসে নিন। ‘হাসতে নাকি জানে না কেউ কে বলেছে ভাই, এই শোনো না কত হাসির খবর বলে যাই...।’ হ্যাঁ, কম্পিউটার নিয়ে দুইটি হাসির কৌতুক হয়ে যাক-
মা জরুরী কাজে বাসার বাইরে আছেন। তিনি ছেলের সাথে চ্যাটের (ম্যাসেজ আদান-প্রদান) মাধ্যমে কথোপকথন করতে চেষ্টা করছেন।
মাঃ হোমওয়ার্ক শেষ করেছ?
মাঃ ভাত খেয়ে থালা-বাসন ধুয়ে রাখবে কিন্তু।
মাঃ দরজা-জানালাগুলো বন্ধ করেছ?
মাঃ জামা-কাপড়গুলো ইস্ত্রি করে রাখো। কাল খুব সকালে স্কুলে যেতে হবে।
ছেলের পক্ষ হতে অপর প্রান্ত হতে কোন সাড়া না পেয়ে, তার উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মা ফন্দি আটলেন।
মাঃ শোন, তোমার বাবা আর আমি ঠিক করেছি, তোমাকে একটা লেটেস্ট মডেলের কম্পিউটার কিনে দেব।
ছেলেঃ সত্যি?
মাঃ না। শুধু নিশ্চিত হলাম, তুমি ওপাশে (অপর প্রান্তে) আছ কি না।
আর একটি কৌতুক-
স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে আদালতে। তাদের শিশু বালককে প্রশ্ন করা হলো,
বিচারকঃ তুমি কার সঙ্গে থাকতে চাও? বাবার সঙ্গে, নাকি মায়ের?
বালকঃ তার সঙ্গে, যার ভাগে কম্পিউটার পড়বে।
কৌতুকটির মাধ্যমে কম্পিউটারের প্রতি শিশু বালককের আগ্রহ সম্পর্কে কিনচিৎ ধারনা পাওয়া যায়। শুধুমাত্র বালক, বালিকা কিংবা বুড়োর কাছে নয়, সকলের কাছে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসটাই হলো কম্পিউটার। কম্পিউটার আসলে কি? ইংরেজিতে, “Computer: it is an electronic device for storage and processing of data, making calculations or also for controlling machinery” বাংলায়, “কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ, গণনাকরণ ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিচালনা/নিয়ন্ত্রণ করা যায়”। কর্মচারির সাথে বসের কথোপকথনঃ
কর্মচারিঃ স্যার, কম্পিউটারে ২০ বছর আগের প্রচুর ডাটা আছে, ওগুলো ডিলিট (মুছে) করে দিই?
বসঃ অবশ্যই, তবে কপি রেখে ডিলিট করো কিন্তু।
এটা সহযেই অনুমেয় যে, কম্পিউটার একটি বহুবিধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র। কে তৈরি করল এই জাদুর বাক্সটা? এ প্রশ্নের উত্তরে সবার আগে চলে আসে চালর্স ব্যাবেজ এর নাম। মূলত তিনিই আধুনিক কম্পিউটারের জনক। বাচ্চাদের খেলনা, সেলফোন, এক্স-রে মেশিন, ইসিজি, আইসিইউ কিংবা সিসিইউ, বিমান কিংবা রাডার, ট্যাংক কিংবা পামানবিক অস্র। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-আদালত, হাসপাতাল, প্রতিরক্ষা, ব্যাবসা কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় নেই এর ব্যবহার। মোটকথা মহাসাগরের তলদেশ থেকে শুরু করে ভূপৃষ্ঠ এবং মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র পর্যন্ত মানুষের চিন্তার জগৎ যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, সেখানেই দরকার এই ম্যাজিক বক্সটার। সাধারনতঃ আমরা মনে করি, কম্পিউটার মানে ১টা মনিটর, ১টা বক্স/কেসিং (যার সাথে তারের মাধ্যমে মনিটর, মাউস ও কী-বোর্ড সংযুক্ত থাকে), ১টা মাউস এবং ১টা কী-বোর্ড। প্রকৃতপক্ষে কম্পিউটার হলো বক্সের ভিতরে সেট করা পাতলা ছোট একটি ডিভাইস (এর সর্বোচ্চ ওজন আনুমানিক ১০০ গ্রাম বা তার কাছাকাছি হবে হয়তো) যার নাম “প্রসেসর/সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ)” যদিও আমরা মনেরঅজান্তেই স্টিল কিংবা টিনের তৈরী পুরো বক্স/কেসিংটাকেই (যার সাথে তারের মাধ্যমে মনিটর, মাউস ও কী-বোর্ড সংযুক্ত থাকে) সিপিইউ বলে সম্বোধন করে থাকি। তবে জেনেরাখা ভাল যে, প্রয়োজনের নিরিখে স্থান, কাল, পাত্রভেদে প্রসেসর/সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (সিপিইউ) -এর আকার-আকৃতি ও প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ভিন্নতর হয়। যেমনঃ বাচ্চাদের খেলনায় যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চই এক্স-রে মেশিনে ব্যবহার করা হয় না। আবার এক্স-রে মেশিনে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয় তা নিশ্চই বিমান কিংবা রাডারে ব্যবহার করা হয় না।
স্বামী কম্পিউটারে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে বলল, দাওনা গো, একটু গেইম খেলি?
মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে স্বামী উত্তর দিলেন, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?
সেযাইহোক, স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয়ে আমাদের নাক না গলানোই ভাল। মূল কথায় আসি, ব্যবহার উপযোগী একটি কম্পিউটারকে সাধারনত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় যথা হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার। কম্পিউটার থেকে ফলপ্রসু কোন আউটপুট পেতে হলে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয়েরই পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। হার্ডওয়্যার ছাড়া সফটওয়্যার অচল আবার সফটওয়্যার ছাড়াও হার্ডওয়্যার অচল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হার্ডওয়্যার কি? হার্ডওয়্যার হল সেই সব পার্টস বা অংশ যা দৃশ্যত এবং ছোঁয়া যায়, যার কাঠামো আছে।
এক লোক নতুন চাকরিতে যোগ দিয়ে প্রথম দিনই কম্পিউটারে কাজ করতে করতে সন্ধ্যা করে ফেললেন। বস খুশি হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, গতকাল কী-কী কাজ করলে?
তিনি বললেন, স্যার, কম্পিউটারের কী-বোর্ডে দেখলাম অক্ষরগুলা উল্টা-পাল্টা বসানো। তাই গতকাল সব অক্ষর খুলে ঠিকঠাক বসায়ে ফেলেছি।
আমরা যে সকল কম্পিউটার (পারসোনাল কম্পিউটার) ব্যবহার করি তার হার্ডওয়্যার হলঃ মনিটর, মাউস, কী-বোর্ড, কেসিং, প্রসেসর, হার্ডডিস্ক, র্যা ম, সিডি/ডিভিডি রম, মাদারবোর্ড (ভিজিএ/এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড এবং নেটওয়ার্কের জন্য ল্যান কার্ড বিল্টইন অবস্থায় এখনকার সকল মাদারবোর্ডে পাওয়া যায়, তাই এই তিনটি ডিভাইস নিয়ে বাড়তি ঝামেলা করতে হয় না) ইত্যাদি। এক কথায় কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস ও আউটপুট ডিভাইসসহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সকল যন্ত্রংশকে একসাথে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলা হয়।
কুকুর ইংরেজি কী? ডগ।
ডগ কীভাবে ডাকে? ঘেউ-ঘেউ।
বিড়াল ইংরেজি কী? ক্যাট।
ক্যাট কীভাবে ডাকে? মিউ-মিউ।
ইঁদুর ইংরেজি কী? মাউস।
মাউস কীভাবে ডাকে? ক্লিক-ক্লিক।
অন্যদিকে, কম্পিউটার-টেবিলের নিচে এক ইঁদুর আরেক ইঁদুরকে বলছে, এই টেবিলটার ওপর একটা কালো ইঁদুর আছে, নীচে নামেই না, কী তার দেমাগ!
আর একটি কৌতুক-
ছেলেঃ বাবা একটা কম্পিউটার কিনেছি।
বাবাঃ এইটা কি?
ছেলেঃ মনিটর।
বাবাঃ ওইটা কি?
ছেলেঃ মাউস।
বাবাঃ আর এইটা?
ছেলেঃ কী-বোর্ড।
বাবাঃ এইটা?
ছেলেঃ কেসিং।
বাবাঃ হারামজাদা কম্পিউটার কই?
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক ব্যবহারকারীর প্রত্যাসিত ফলাফল প্রদানে স্বক্ষম “সেট-অব-ইনস্ট্রাকশন” -কে সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল প্রোগ্রাম হার্ডওয়্যারসমূহকে পরিচালনা করতে সাহায্য করে, তাকেই সফটওয়্যার বলে। অথবা সফটওয়্যার বলতে, একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম (সেট-অব-ইনস্ট্রাকশন), কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়। বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার আছে, কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলিকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমনঃ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ (Windows-XP/Windows-7/Windows-8), লিনাক্স ইত্যাদি। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে। এছাড়া যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটারে টাইপ করি তা হলো, অনেক-অনেক ফিচার সর্মৃদ্ধ এখনো পর্যন্ত অতিজনপ্রিয় মাক্রোসফটের তৈরি একীভূত বাণিজ্যিক প্যাকেইজ প্রোগ্রাম “Microsoft Office” -এর একটি কম্পোনেন্ট “Microsoft Office Word 2003 কিংবা এর আগে-পরের অন্য কোন ভার্ষন”। এছাড়া প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার তৈরি ও ব্যবহার করা হয়। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে এসকল সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম ডেভেলাপ করেন প্রোগ্রামারগণ। লিখাটি শেষ করতে চাচ্ছি একটি কৌতুক দিয়ে-
এক প্রোগ্রামার বলছে আরেক প্রোগ্রামারকে, আমরা সারাক্ষণ শুধু কম্পিউটার নিয়েই কথা বলি! যেন আলাপ করার মতো আর কোনো বিষয় নেই।
১ম জনঃ ঠিক বলেছ। চলো, আমরা মেয়ে নিয়ে আলোচনা করি।
২য় জনঃ হুঁ। জানো, বেশ কিছুদিন আগে এক মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। গতকাল গিয়েছিলাম তার বাসায়। সে ছিল একা। ঘরে মৃদু আলো, টেবিলে ওয়াইনের বোতল, হালকা গান বাজতেছিল কম্পিউটারে…
১ম জনঃ কম্পিউটারটি কোন ব্রান্ডের ছিল?
[লেখকঃ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রোগ্রামার, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, ঢাকা ও কলাম লেখক। ই-মেইলঃ [email protected] ]
তারিখঃ ০৭/০৪/২০১৫ খ্রিঃ।
©somewhere in net ltd.