নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের বাড়িতে যে ঘরটায় আমার শৈশব, কৈশর কেটেছে সেখানে দুটো বিশাল জানালা ছিল। দুটি জানালার এক বিশেষ সুবিধা হলো সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত দখিনের জানালা দিয়ে আমার ঘরের প্রতিটি কোণা থেকে চাঁদ দেখা যেত। আর বাকী রাতটুকুজুড়ে চাঁদটা যেন পাহাড়াদারের মত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতো আমার পশ্চিমের জানালায়। এভাবেই হয়ত: চাঁদের সাথে আমার আজীবন সখ্যতার শুরু। স্মাইলির মত ছোট্ট চিকন চাঁদটিকে হাসতে হাসতে একটু থেকে আরেকটু বড় হওয়া, মাঝারি থেকে পূর্ণ চাঁদে রুপান্তরিত হতে দেখতাম। সেই সাথে দেখা হতো আবছা, হালকা থেকে তীব্র আলোর ঝলকানির মত প্রতিটি পরিবর্তিত রূপ।প্রতিটা রূপেই চাঁদ ছিল আমার ভীষণ প্রিয়। প্রতিদিন আলাদাভাবে একটু হলেও আমি খবর নিতাম চাঁদটার। আর অমাবস্যার রাতগুলোতে প্রিয়তমার মত কত যে প্রতিক্ষা করতাম আমার জানালার আকাশে চাঁদের পদচারণার, সে হিসাব মেলানোর সাধ্য কারো নেই।
একা একা ঘুমাতে পারতামনা কখনো। ছোট বোন জুঁথীকে প্রায়ই খুব করে পটাতে হতো আমার সাথে ঘুমানোর জন্য। ভরা পূর্ণিমার রাতগুলোতে আমি ইচ্ছা করেই জানালার পর্দা সরিয়ে রাখতাম। মাঝরাতে চাঁদের তীব্র আলো এসে সরাসরি মুখে পড়ত। ঘুম ভেঙ্গে যেত আমাদের দুই বোনের। কত হাসাহাসি আর আনন্দ নিয়ে কত রাত জেগে কাটিয়েছি। মাঝে মাঝে জুঁথী বিরক্ত হয়ে জানালার পর্দা টেনে আবার ঘুমিয়ে যাবার আগে হুমকি দিত,পর্দা টেনে না দিলে ওর ঘরে গিয়ে ঘুমাবে। 'লক্ষি-সোনা' পর্দা দিয়ে দিচ্ছি এসব কত কিছু বলে ওকে ঘুম পাড়িয়ে আবার পর্দাটা একটু ফাঁকা করে আবার চাঁদকে সাথে নিয়ে ঘুমাতাম।
আরেকটা অদ্ভুত অভ্যাস ছিল। মাঝে মাঝে মাঝরাতে আম্মুকে ঘুম থেকে টেনে তুলে চাঁদ দেখাতাম। জুঁথীর সাথে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হলে যখন আম্মুকে নিয়ে ঘুমাতে হত, আম্মু আগেই বলে রাখত, খবরদার! চাঁদ দেখাতে মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলবা না। তাহলে তোমার সাথে ঘুমাবো না। ব্যতিক্রম ছিল শুধু বাবা। মাঝে মাঝে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে পূর্ণিমার রাতে আব্বু নিজ থেকে আমাদের দুই বোনকে ছাদে নিয়ে যেত। তিনজন মিলে গান গেয়ে, হাঁটাহাটি করে অথবা পাটি বিছিয়ে শুয়ে বসে সময় কাটাতাম।
একবার আব্বু আমাদের সারপ্রাইজ দেবার জন্য হুট করে স্টীমার(রকেট) ট্রিপে বেড়াতে নিয়ে গেল। অদ্ভুত সুন্দর এক জার্নি। ভরা পূর্নিমার এক রাত। কেবিন ছেড়ে সবাই ডেকে বসে জোছনা উপভোগ করল। তবে রাত বাড়ার সাথে সাথে ডেক খালি হয়ে গেল।আমাকে হাজার টানাটানি করেও আমার বোন কেবিনে নিতে পারল না। শেষমেশ আব্বুকে ডেকে রেখে গেল আমার কাছে। বাবা-মেয়ে মিলে গান, গল্প আর আড্ডায় খুব সুন্দর সময় কাটালাম। চারদিকে বিশাল জলরাশি, আকাশে সুন্দর চাঁদ, সুসজ্জিত নির্জন ডেকের ভেতর মধ্যরাতে বাবার পাশে আমি, এমন সব সুন্দর মুহূর্তে আব্বু খেয়াল করল আমার চোখে পানি। কেন কেঁদেছি, কার জন্য কেঁদেছি সেটা আমার নিজের কাছেও রহস্য আর আব্বুও কিছুই জানতে চাইল না শুধু হো হো করে হেসে বলল, আল্লাহ্ রে! কি করব আমি এই মেয়ে নিয়ে!!! এই কান্দুনিবুড়ির জন্য এমন মানুষ কই পাবো যার সাথে চাঁদ দেখে আমার মেয়ে ফ্যাৎ ফ্যাৎ করে কাঁদবে!!
সেদিন আব্বু আর আমি সারারাত কাটিয়ে একদম ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত ডেকে বসেছিলাম এবং সত্যিকার অর্থেই সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতি।
মানুষের বিভিন্ন অদ্ভুত শখ থাকে। আমারও তেমন একটি শখ ছিল যে আমি যখন বড় হব আর আমার যখন অনেক টাকা হবে, আমি আমার নিজের জন্য একটা ছইওয়ালা নৌকা কিনবো। ভাবনাটা এমন ছিল যে, নৌকাটা কোন এক মাঝিকে এমনি এমনি দিয়ে দেব। আমাকে কোন ভাড়া বা কিছু দিতে হবে না। শুধুমাত্র পূর্ণিমার কোন কোন রাতে আমি আমার প্রিয়জনকে নিয়ে সারারাত ঐ নৌকাটি দিয়ে নদীতে ঘুরবো।
স্বপ্ন, স্মৃতি সবকিছুকে পাশকাটিয়ে সবাইকে বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়। নৌকা কেনার এই শখটি কখনোই পূরণ করা হয়নি আমার। আমার বিয়ের কিছুদিন পরের একটা ঘটনার কথা বলি। একদিন একটু রাত করেই আমি আর আমার বর বাসায় ফিরছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম আকাশে বিশাল বড়, অদ্ভুত সুন্দর এক চাঁদ। আলতো করে বরের হাত ঝাঁকি দিয়ে আমি বললাম, এই দ্যাখো! আকাশে কত্ত বড় চাঁদ!
হা হা করে হেসে (খানিকটা টিজ করে) আমার বর বলল, পূর্ণিমার রাতে চাঁদ একটু বড় দেখা যায়,এটা তো স্বাভাবিক। এটা নিয়ে লাফালাফির কি আছে?
কাহিনী এখানেই শেষ হতে পারতো।
তারপরও হিন্দি মুভির জনপ্রিয় ডায়লগ 'পিকচার আভি ভি বাকী হ্যায় মেরে দোস্ত' -এর মত কিছু কিছু টুইস্ট জীবনে থেকেই যায়।
কয়েক বছর পরের ঘটনা।
একদিন মাঝরাতে আমার তিন বছরের মেয়ের ডাকাডাকিতে আমি আর ওর বাবা দুজনেরই ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি মেয়ে মশারীর ভেতর থেকে জানালার বাইরে তাকিয়ে চিৎকার করছে আর আমাদের বলছে, 'মাম্মিন- বাবা, দ্যাখো আকাশে কত্ত বড় চাঁদা মামা'!!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০
মিথী_মারজান বলেছেন: গঠণমুলক সমালোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ জনাব চাঁদগাজী সাহেব।
তারচেয়েও বেশি খুশি হলাম আপনার চন্দ্রপ্রীতির কথা জেনে।
অপ্রয়োজনে হিন্দি ভাষার ব্যবহার আমি নিজেও পছন্দ করি না।
তারপরেও কেন যেন নিজেই অপছন্দের কাজটা করে ফেললাম।
আপনি বলার পর আমার নিজের কাছেও লাইনটি অপ্রাসঙ্গিক লাগছে।
একটু এডিট করে দেখি ভুলটা কিছুটা শোধরানো যায় কি না।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: বাহ মেয়েও আম্মুর মতো হয়েছে ।
ছোট বেলায় আপুও আপনার মতোই আমাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে যেতো ।
চাঁদ দেখা বলতে আমি আর আপু বারান্দায় মাঝ রাতে হাতে চা নিয়ে বসা । আর অতীতের সব গল্পের আসর বানিয়ে ফেলা । একটা বড় আপু থাকা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার ।
আপনার লেখা পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে আপু ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২১
মিথী_মারজান বলেছেন: হুম, আপু।
মেয়ের আচরণ অনেকটাই আমার মত।
এটা একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে তেমন শংকার।
আর আপন দুই বোনের মত মায়া-ভালবাসা সত্যিই আর কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যায়না।
বড় আপু থাকা যেমন সৌভাগ্যের, ছোট বোন থাকাটাও তেমন আনন্দের।
ছোটবোনটাকে হারিয়ে আমি এটা হাড়ে হাড়ে অনুভব করি আপু।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা আপু।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: মেয়ের সেই কথার পরে তার বাবা কী জবাব দিয়েছিল?
নিশ্চই মেয়ের মাকে দেওয়া সেই উত্তর দেয়নি?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮
মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা!
মেয়েরা (সন্তান) অনেক কিছু পারে যা বউ দ্বারা সম্ভব না।
আমার মেয়ে বাবাকে ডেকে চাঁদ দেখা শিখিয়েছে।
বৃষ্টির দিনে জানালার বাইরে হাত বের করে বৃষ্টির স্পর্শ নিতে বাধ্য করে।
আর তার বাবাও বাধ্য ছেলের মত মেয়ের সব আব্দার হাসিমুখে পূরণ করে।
শুভ কামনা আপু।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চন্দ্র বিলাস /অভিলাষ মারাত্মক সুখের অসুখের নাম মিথীমনি ।
চন্দ্রাহত বালিকার চন্দ্রবিলাস এর গল্প জানলাম ,মায়াবতী সে ; জন্মজন্মান্তরের সুখ লেগে আছে তোমার আর তোমার প্রঞ্জন্মের গল্পে। ভালোবাসা বালিকা !!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
মিথী_মারজান বলেছেন: সুখের অসুখ!
চমৎকার বলেছেন আপু।
তবে এটার অনেক বিড়ম্বনাও আছে আপু।
এত সুন্দর করে কিভাবে কথা বলেন আপু?
আর তাই যেন হয়।
মেয়ের জন্য একটা সুখের পৃথিবী আমার আজীবনের আকাঙ্খা।
অনেক অনেক ভালবাসা আপু উইথ অ্যা বিগ হাগ।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বোঝা গেল আপনার ভেতর একটা নিষ্পাপ আর স্বাপ্নিক মন আছে। চাঁদের দিকে তাকিয়ে সময় কাটানো সবার চরিত্রের সাথে যায় না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
মিথী_মারজান বলেছেন: মনটা নষ্ট করে ফেলেছি ভাইয়া।
এখনতো মাঝে মাঝে চাঁদ দেখেও ইচ্ছা করেই মুখ ফিরিয়ে রাখি।
সময় মানুষকে অনেক বদলে দেয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপ্নময় সুন্দর জীবন হোক আপনার।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চাঁদ দেখতে আমারও ভাল লাগে। চাঁদনী রাতে লোকাল ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম এক নৈশতে। চাঁদের আলোতে গ্রাম বাংলার ছোট্ট ছোট্র গ্রামগুলো দেখতে কতো যে ভাল লেগেছিল সেই দিন।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
মিথী_মারজান বলেছেন: অসাধারণ এইসব অনুভূতি।
আমার কিন্তু লং জার্ণি সব রাতেই বেশি ভাললাগে।
প্রতিদিনকার সবকিছুই যেন রাতের অন্ধকারে অন্যরকম রূপ ধারণ করে।
আর পূর্ণিমার রাত হলেতো সোনায় সোহাগা!
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আজ পুর্নিমা, আমি অনেকক্ষণ চাঁদ দেখে এসেই আপনার এই পোস্ট পেলাম।
আমিও আপনার মত চন্দ্রগ্রস্থ, প্রায়ই পোলা মাইয়া নিয়া ছাদে চাঁদ দেখি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১
মিথী_মারজান বলেছেন: পরিবার পরিজন নিয়ে চাঁদ আর বৃষ্টি উপভোগ করাটা আমি খুব এ্যাপ্রিশিয়েট করি ভাইয়া।
আজকে আমার মনটা একটু খারাপ।
তাই আজ চাঁদ না দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তবে মন কিছুটা ভাল হয়ে গেল আপনার ছেলে মেয়ে নিয়ে চাঁদ দেখার চিত্র মনে করে।
আপনজনদের সাথে খুব সুন্দর কাটুক আপনার প্রতিটি সময়।
চাঁদ মোবারক ভাইয়া।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
মৌমুমু বলেছেন: চাঁদ আমার অনেক বেশি প্রিয়। সারারাত চাঁদের দিকে তাকিয়েই কেটেছে প্রায় রাত। আমার বেডের পাশেই জানালা আর রাতে ঠিক মাথার উপরেই চাঁদটা থাকে সারারাত। অদ্ভুত সুন্দর লাগে চাঁদটা। আপনার লিখার ছবিটার আর আমার একটা পোষ্টের ছবির এক। তাই হঠাৎ দেখে চমকে উঠেছিলাম।
আপনার কিউট মেয়ে আর পুরো পরিবারের জন্যই রইল শুভকামনা আপু।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮
মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার আর আমার চাঁদপ্রীতির দেখি অনেক মিলে গেল আপু।
সেইসাথে নাকি পোস্টের ছবিও!
আপনার পোস্টে এই ছবি আছে জানতাম না আপু বা কখনো সেভাবে খেয়াল করিনি।
অনাকাঙ্খিত কারণটির জন্য দু:খিত।
শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও আজকের সুন্দর চাঁদের শুভেচ্ছা
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০
সকাল রয় বলেছেন: চন্দ্রগ্রস্থ!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০
মিথী_মারজান বলেছেন: একরকম সেটাই বলতে পারেন।
আপত্তি নেই।
আর আপনি?
শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল হয়েছে আপু
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২২
মিথী_মারজান বলেছেন: জেনে ভাললাগল ভাইয়া।
ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার বন্ধু নীলদর্পণ কঠিন প্রশ্ন করেছে নদীতো আত্মীয় মিথি, আপনাকে | আঁধার তাড়ানো চাঁদের আলোও সৌন্দর্য, কোনো উদাসী সুর, ভালোলাগা, ভালোবাসা সব একসাথে এসে ভিড় করেছে আপনার লেখায় | মন উদাস হলো কিন্তু ভালো লাগার আলোর ছড়াছড়িতে মনের ভেতরে প্রত্যেকতা অলিগলি ভরে গেলো লেখাটা পড়ে | চাঁদ দেখে ভালো লাগা মামনিকে একটা বিগ হাগ্ দিতে হবে আমার পক্ষ থেকে এই সন্ধ্যায়ই | দেরি করা যাবে না | ব্রিলিয়ান্ট, মিথি !!
আমাদের এখানে আজ সুপার মুন | ফজরের নামাজ পড়ার পর সারা পৃথিবী তখনও গভীর অন্ধকারে ডুবে | রাতে হালকা স্নো পড়েছে |তারা মধ্যে নিচে নেমে বাসা থেকে একটু দূরে যেয়ে সেই সুপার মুনের ফটো তুললেন আমার ঘরের সিইও | কত ঢঙে, কত যে স্টাইলে তারা বর্ণনা দেই সাধ্য কি আমার ! | আমি বডিগার্ড হিসেবে পেছনে পেছনে | এখনো জমে আছি সেই ঠান্ডায় | আরো লিখতে ইচ্ছে করছিলো আপনার লেখা পড়ে |কিন্তু জমে যাচ্ছি তাই বিদায় |উফ কি ফ্রিজিং কোল্ড !!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
মিথী_মারজান বলেছেন: হুম, আপুর প্রশ্নটা কঠিণ হলেও কমন ছিল।
হা হা।
মেয়েটা আমার পাশেই আছে।
আপনার আদর পৌঁছে গিয়েছে তার কাছে।
মেয়েটার হাবভাবে আমার এখনি দু:শ্চিন্তা হয় জানেন!
এই বয়সেই বৃষ্টি দেখলে ভেজার জন্য অস্হির হয়ে ওঠে।
ঘরের জানালায় চাঁদ দেখলো তো একছুটে বারান্দায় দৌঁড়ায়।
যেন অল্প পরিসরে চাঁদের আলো তার কিছুতেই পোষায় না।
আমার মা তো এসব কর্মকান্ড দেখে ওর নাম দিয়েছে হুমায়ূন আহমেদ।
হা হা।
সত্যি বলতে আমিও খুব এনজয় করি।
আমাদের এখানেও নাকি আজ সুপার মুন।
মন, মেজাজ কিছুটা খারাপ আছে আজ।
তাই সব মানুষকে বাদ দিয়ে প্রিয় চাঁদটার সাথেই অভিমান দেখাচ্ছি।
চাঁদ দেখতে মন লাগে জনাব।(সম্রাট ইজ বেস্ট ভাইয়ার মতে)
আমাদের ভাবী কত্ত কিউট! মাশাল্লাহ্।
সৌন্দর্য ধরে রাখার প্রচেষ্টাও সুন্দর মানসিকতার পরিচয়।
এমন সুন্দর মনের মানুষের বডিগার্ড হওয়াটাও সুন্দর।
সুপার মুনের স্নিগ্ধ আলো আর স্নো ফলের ঝিরিঝিরি ঠান্ডার (ইস্! একদম ফেয়ারী টেলের মত পরিবেশ) স্বপ্নময় শুভেচ্ছা আপনার পরিবারের সবার জন্য।
(আপনার ওখানকার কথা ভেবে আমার এখনি কফি খেতে ইচ্ছা করছে)
চাঁদ মোবারক প্রিয় নদীতো আত্মীয়।
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
হা হা ! চমৎকার। পূর্ণিমা মেশানো স্মৃতি !
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাঁদের আলোর মত স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা জানবেন।
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
শায়মা বলেছেন: ইয়া খোদা!!!!!!!
তোমার আবার মেয়েও আছে নাকি!!!!!!
আমি তো তোমাকেই পিচ্চু ভেবেছিলাম!!!!!!!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩
মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা হা।
এখনো তো মেয়ের বিয়েই দিলাম না।
কতই আর বয়স হবে!
পিচ্চুই তো!!!!
ভালবাসা আপু।
সেইসাথে সুপার মুনের শুভেচ্ছা।
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ কামনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭
মিথী_মারজান বলেছেন: আপনাকে আর সুরভী ভাবীকেও সুপার মুনের শুভেচ্ছা ভাইয়া।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো লেখা। মা মেয়ের একই স্বভাব। ভালো...
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
মিথী_মারজান বলেছেন: হুম, আমরা আমরাই তো।
হা হা।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন।
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ !
একই চাঁদ দেখে ফেলেলেন দুই প্রজন্ম !
অথচ চাঁদ কিছুই জানলো না !
চমৎকার !
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
মিথী_মারজান বলেছেন: চাঁদ না জানলেও চাঁদের বুড়িটা এতদিনে আমায় ঠিক চিনে নিয়েছে।
আজকে চাঁদ দেখিনি।
চাঁদের বুড়ি ঠিক চশমা নেড়ে নেড়ে সব চেনা অচেনা মুখের ভীড়ে আলাদা করে আমায় খুঁজবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুপার মুনের শুভেচ্ছা।
১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আজ সুপার মুন বুঝি !
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০
মিথী_মারজান বলেছেন: জ্বি ভাইয়া।
মন ভরে উপভোগ করুন চাঁদের সৌন্দর্য।
১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বাহ ! জানতামই না !
আপনি জানালেন !
ধন্যবাদ !
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯
মিথী_মারজান বলেছেন: মোস্ট ওয়েলকাম ভাইয়া।
অন্তত: একজনকে জানাতে পারলাম এটা ভেবেই ভাললাগছে।
দেখা হলে চাঁদটাকে আমার আর আমার মেয়ের পক্ষ থেকে ভালবাসা পৌঁছে দিয়েন।
১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
এই শীত রাতে আর চাঁদ খুঁজতে যেয়ে লাভ নেই।
মোলায়েম চাঁদের অনেক প্রার্থী আছে;
তবে ফের যদি চাঁদের সাথে চলতি পথে দেখা টেখা হয়ে যায় নিশ্চয়ই আপনার ও আপনার মেয়ের পক্ষ থেকে ভালোবাসা পৌঁছে দিব।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
মিথী_মারজান বলেছেন: মিস্ করলেন কিন্ত!
কুয়াশায় ঘেরা সুপার মুন!!! হুমমম!!!
হা হা।
২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৫
ওমেরা বলেছেন: চাঁদ মামা, মায়েরও মামা, মেয়েও মামা সবার মামা। খুব সুন্দর হয়েছে লিখা আপু ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
মিথী_মারজান বলেছেন: ইউনিভার্সাল মামা।
তবে আমার তো পরাণ বন্ধু।
আর সে হিসাবে আমার মেয়ের মামা।
হা হা।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভেচ্ছা...
২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মা মেয়ের চন্দ্রাসক্তি ভাল লাগলো ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভ কামনা...।
২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাহ! মেয়েও মায়ের মত হয়েছে দেখছি।
স্মৃতি কথন ভাল লাগলো।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
মিথী_মারজান বলেছেন: করুণাময়ের অশেষ দয়া।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাল থাকবেন।
২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার চন্দ্রবিলাসের কথা পড়ে ভাল লাগল।
চাঁদ দেখতে আমারও খুব ভাল লাগে।
আগে পূর্ণিমা রাতে বন্ধুদের সাথে গ্রামের রাস্তায় হেটে চাঁদনি রাত উপভোগ করতাম।
ভাল থাকুন আপু।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬
মিথী_মারজান বলেছেন: খুব ভাললাগলো ভাইয়া আপনার চাঁদপ্রীতি জেনে।
একা একা চাঁদ দেখা সময়টাকে বিষন্ন করে দেয়।
কিন্তু বন্ধু বা প্রিয়জন সাথে থাকলে মনটা অন্যরকম আলোকিত হয়ে ওঠে।
২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন:
আপু এই ছবিটা গতমাসে আমাদের গ্রাম থেকে তোলা।
ছবিটি আপনার জন্য।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১
মিথী_মারজান বলেছেন: ভাইয়া,
আমি কতটা আবেগপ্রবণ মনেহয় কিছুটা আমার লেখাতে অলরেডি বুঝেছেন।
বললে বিশ্বাস করবেন না হয়ত: আমি জীবনে যত গিফ্ট পেয়েছি আপনার এই ছবিটা তাদের মধ্যে অবশ্যই অনেক স্পেশাল।
আমি চাঁদ ভালবাসি, আর এটা ভেবে একটা চাঁদের ছবি আপনি আমাকে দিলেন।
আমি জাস্ট স্পিচলেস।
এটা কখনোই একটা শুধু ছবি নয়।
এটাকে আমি অবশ্যই মায়া বলব, ভালবাসার উপহার বলব।
আমি ঠিক মুগ্ধ না, আমি আমি বিমোহিত।(আমি ঠিক জানিনা কি বললে আমার অনুভূতি আপনি বুঝবেন!)
দারুণ একটা ছবি।
আচ্ছা, ছবিটা কি কোন পুকুর পাড়ের এপাশ থেকে তোলা?
অনেক অনেক অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
কৃতজ্ঞতা আর অবশ্যই সাথে আপনার বোনটির ভালবাসা দুটোই আপনাকে একদম মন থেকে দিলাম।
খুব খুব ভাল থাকবেন সবসময়।
২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: রাতে সুপার মুন দেখেছেন কি?
গল্প ভালো লিখেছেন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
মিথী_মারজান বলেছেন: জ্বি না ভাইয়া।
গত রাতের সুপার মুন দেখিনি।
এটা ঠিক গল্প হিসাবে লেখা না।
আমার বিভিন্ন সময়ের অনুভূতিগুলো স্মরণ করেছি।
ধন্যবাদ।
২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬
শিখা রহমান বলেছেন: জোছনা রাত খুব প্রিয়। জীবনে কতোবার যে চন্দ্রাহত হয়েছি!!
খুব সুন্দর একটা লেখা। পড়ার সময়ে মনে হচ্ছিলো জোছনা রাতে জানালার পাশে বসে চাঁদ দেখছি।
তোমাকে আর তোমার লক্ষী সোনা মেয়েটাকে অনেক অনেক ভালোবাসা। জ্যোৎস্নারাত আর চাঁদ নিয়ে আমারও একটা লেখা আছে একজন রুপালী মানবী।
তুমি করে বললাম। আমার লেখায় 'আপু' বলেছো আর তোমার গুল্লু পুটুশ মেয়েটার বয়স থেকে বুঝতে পারছি যে আমি আসলেই 'আপু'
ভালো থেকো। তোমার রাতগুলো ভালোবাসার জোছনায় আলো হয়ে থাকুক। শুভকামনা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
মিথী_মারজান বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ লজ্জা লাগল।
আপনার লেখাটি পড়লাম।
অসাধারণ সুন্দর লিখেন আপনি।
যেভাবে জোছনার বর্ণনা করেছেন সেটা পড়ার পর আমার লিজের লেখার মানের জন্য লজ্জা লাগছে।
রুদ্র ভাইয়া আপনার পারফেক্ট নাম দিয়েছিলেন।
আপনি আসলেই রুপালী মানবী।
আপনি যখন সেরাতে আপনার মানুষটির কাছে বাসায় ফিরে আসছিলেন, সেসময়টায় আমার নিজের কাছেও আপনাকে সত্যিকারের রুপালি মানবী মনে হয়েছে।
কিছু কিছু মানুষের ভালবাসা খুব সহজে ফিল করা যায়।
ব্লগার মনিরা সুলতানা আপুরটা আমি যেভাবে খুব সহজে ফিল করি, আপনার ভালবাসাও তেমন সরাসরি ফিল করলাম।
আপনার জন্যও ভালবাসা আপু।
তুমি করে বলাতে আপত্তির তো কোন প্রশ্নই নেই বরং আরো বেশি ভাল লাগলো।
অ-নে-ক অ--নেক ভাল থাকবেন আপনজনদের নিয়ে আপুনি, দোয়া রইল।
২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: জোৎস্না রাত কার না ভালো লাগে, আপনাদের মা-মেয়ের চাঁদ দেখাটা একটু ভিন্ন।
ভালো লাগা জানবেন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মিথী_মারজান বলেছেন: হুম, আমরা মা-মেয়ে আশেপাশের মানুষদের টর্চার করে হলেও চাঁদ দেখতে বাধ্য করি।
হা হা।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,
চাঁদের মতোই মিষ্টি একটি লেখা । চাঁদের মতোই বাঁকা একটি টুইষ্ট ...................
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
মিথী_মারজান বলেছেন: সবই বিধাতার লীলাখেলা।
হা হা।
অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
সুন্দর মন্তব্যটি ভাল লাগল।
শুভেচ্ছা।
২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
আমার মেয়েটা কবে যে বলবে..।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮
মিথী_মারজান বলেছেন: বলবে ভাইয়া।
বেশি বেশি করে মেয়েকে নিয়ে চাঁদ দেখবেন, যখন ভালবেসে ফেলবে তখন মেয়েই আপনাকে ডেকে ডেকে চাঁদ দেখাবে।
আপনার মেয়ের জন্য আদর রইল।
পূরণ হোক আপনার মনের আশা।
সুন্দর হোক আপনাদের চন্দ্র বিলাস।
৩০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মিথী আপু,চাঁদের ছবিটা যে একটা পুকুর পাড় থেকে তোলা সেটা বুঝলেন কি ভাবে?
আমি কিন্তু অবাক হয়েছি।
ছবিটা আমার কাছে ছিল।সেদিন চাঁদটাকে দেখে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম।আপনার লেখাটি দেখে মনে হল এই চাঁদের ছবিটা হয়তো আপনার পছন্দ হবে।কিন্তু আপনার ছবিটা যে এত পছন্দ হবে তা আমি কল্পনাও করিনি।
আপনাকে আপনার মনের মত একটা উপহার দিতে পেরে আমিও অনেক খুশি।আমি জানি মাঝে-মাঝে মানুষকে তার পছন্দের একটি অতি ক্ষুদ্র জিনিস উপহার দিয়েও কি অসম্ভব খুশি করা যায়।
অনেক ভাল থাকুন আপু।
মিথী আপু,চাঁদের ছবিটা যে একটা পুকুর পাড় থেকে তোলা সেটা বুঝলেন কি ভাবে?
আমি কিন্তু অবাক হয়েছি।
ছবিটা আমার কাছে ছিল।সেদিন চাঁদটাকে দেখে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম।আপনার লেখাটি দেখে মনে হল এই চাঁদের ছবিটা হয়তো আপনার পছন্দ হবে।কিন্তু আপনার ছবিটা যে এত পছন্দ হবে তা আমি কল্পনাও করিনি।
আপনাকে আপনার মনের মত একটা উপহার দিতে পেরে আমিও অনেক খুশি।আমি জানি মাঝে-মাঝে মানুষকে তার পছন্দের একটি অতি ক্ষুদ্র জিনিস উপহার দিয়েও কি অসম্ভব খুশি করা যায়।
অনেক ভাল থাকুন আপু।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
মিথী_মারজান বলেছেন: ছবিটা যখন আপনি তুলেছিলেন তখন আপনার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি।
হা হা হা।
হায়রে সহজ সরল ভাই আমার!
ছবিটায় চাঁদের নীচে একটা বাড়ি/ঘর আছে সম্ভবত যেখানে আলো জ্বলছে আর সেই আলোটা পানিতে প্রতিফলন হয়েছে।
এটা দেখেই সামনে পুকুর আছে তা আন্দাজ করেছি।
এবার ক্লিয়ার!
আর ওয়াাাওওও!!!
এই ছবিটাও অনেক সুন্দর!
সামনে নিশ্চয়ই সেই পুকুরটা!
হা হা হা।
অনেক ভাললাগা আর ভালবাসা জানবেন ভাইয়া।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
মিথী_মারজান বলেছেন:
এটা আমার নিজের গাছের মে ফ্লাওয়ার ভাইয়া।
ছবিটি আপনার জন্য।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, গাছটি বাবার বাসায় আমার বারান্দায় প্রায় আট-দশ অনেক বছর ধরে।
প্রতি বছর একবার আর শুধুমাত্র মে মাসে গাছটিতে ফুল আসে।
মে আমার জন্ম মাস, তাই খুব শখ করে গাছটি কিনেছিলাম।
মে মাসে গাছটিতে ফুল ফুটলে সেটাকে আমার নিজের জন্য জন্মদিনের গিফ্ট মনে হত।
কিন্তু আমার বিয়ের বছরে মে মাসে আমাদের বাসায় আমায় যাওয়া হয়নি, গাছটিতে সে বছর মে মাসে ফুল এলো না।
অগাষ্ট মাসে বাসায় গেলাম, আমাদের অবাক করে দিয়ে সে মাসে গাছে ফুল ফুটল।
পরের বছর একই কাহিনী। আমি জুন মাসে বাসায় গেলাম, গাছটিতে ফুল এল।
এমন করে এর ফুলটি অনিয়মিত হয়ে গেল একসময়।
এ বছর মে মাসে বাসায় গেলাম বেশ কিছুদিনের জন্য, এবার আবার ঠিক মে মাসে ফুল হলো।
ছবিটি সেসময়ই তোলা।
গাছটি আমার ভীষণ প্রিয়।
ছবিটি যদিও সুন্দর না, তবুও আপনাকে দেবার মত এর চেয়ে আপন কোন ছবি এই মুহুর্তে খুঁজে পেলাম না।
৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মন্তব্যটি করার পরে ছবিটি আবার ভাল করে দেখলাম।ভাবলাম মিথী আপু বুঝল কেমন করে পুকুর পাড়ে দাড়িয়ে ছবিটি তুলেছি।পরে দেখি নিচে আলোর প্রতিফলন।তখন বুঝেছি কিন্তু পরে আর আপনাকে বলিনি।
আমি সহজ-সরল কিনা জানি না তবে মনে যেন কোন সময় প্যাচ না লাগে সে চেষ্টায় থাকে।
এই প্রথম এই ব্লগে কারও পক্ষ থেকে একটি গিফট পেলাম!!!
আমার কাছে উপহারটাই আগে,উপহারের কি কোন মূল্য হয় বলুন?
সত্যি ছবিটি খুবই সুন্দর!
এর আগে আমি কোনদিন মে ফুল দেখিনি।জানতামও না এই নামে কোন ফুল আছে।
ফুল গাছটিও মনে হয় নিজ মালিককে খুব চিনে গিয়েছিল।তাই আপনাকে দেখার আনন্দে প্রতিবার গাছটি ফুল দিয়ে আপনাকে আনন্দিত করে গেছে।
অনেক দিন বেঁচে থাকুক আপনার এই প্রিয় ফুল গাছটি।
আবারও সুন্দর একটি উপহারের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভিষন ভাল থাকুন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
মিথী_মারজান বলেছেন: সবসময় এমন করেই প্যাচ মুক্ত সুন্দর থাকুন ভাইয়া, দোয়া করি।
আপনিও ভীষণ ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অসাধারন !!
মুগ্ধতা রেখে গেলাম ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
মিথী_মারজান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
খুব ভাল লাগল।
আপনার জন্য শুভ কামনা...
৩৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: চাঁদের কথা বলে তো আমার ১৫ মাস বয়সী একমাত্র ছেলের কথা বলার সুযোগ করে দিলেন।এখনো কথা বলতে পারে না ,এক দুইটা করে বলা শিখছে মাত্র।সে চাঁদ দেখার জন্য বের হতে চায়।আর চাঁদ দেখলেই "আয় আয় চাঁদ" বলতে থাকে।
স্মৃতি কথা ভাল লাগল।শুভ কামনা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
মিথী_মারজান বলেছেন: তাই বুঝি!!
কত্ত কিউট বাচ্চাপাখি, মাশাল্লাহ্।
লক্ষী,সোনামনি বাবাটাকে আমার আদর দিবেন।
আর অবশ্যই খুব ভালবেসে বাবাটাকে নিয়ে চাঁদ দেখাবেন সবসময়।
শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।
আপনজনদের নিয়ে খুব সুন্দর হোক আপনার দিনগুলো।
৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
হুম !!!!!!
আপনি ভীষণ আবেগী।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২১
মিথী_মারজান বলেছেন: হা হা।
অনেকেই বলে এবং আমারও এমনটাই মনে হয়।
এজন্যই দিব্যি সুখে আছি, আবার এটাই কষ্টের কারণ।
তবে হঠাত আপনার এমনটা মনে হল যে???
ভাল থাকবেন কবি।
৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কেন যে এমন মনে হল তা তো জানি না। !
চাঁদের প্রভাবে হতে পারে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
মিথী_মারজান বলেছেন: চাঁদের প্রভাব কিন্তু ভয়াবহ কবি সাহেব।
আবেগের ছোঁয়াচে রোগের কারণ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুস্থ থাকুন, সুন্দর থাকুন।
৩৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ছোটবেলায় চাঁদরাতে আমরা উঠোনে খেলাধুলা করতাম। কি মজা করতাম তা এখন আরো বেশি করে ফিল করি। আপনার জাহাজের অংশটা পড়ার সময় সন্দ্বীপ থেকে শহরে আসতে রাতের যে সময়টা জাহাজে থাকতে হত, ডেকে বসে আকাশ দেখা, বই পড়া; ওই সময়টার কথা মনে করিয়ে দিল। দারুণ মিষ্টি লেখা...
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
মিথী_মারজান বলেছেন: রাতের বেলা জাহাজের ডেকে বই পড়তেন!
তাও আবার চাঁদের আলোয়!!!
কি দারুণ ব্যাপার!
সন্দ্বীপে বাড়ি আপনার?-০!?
খুব সুন্দর নাকি সে জায়গা!
আমার ফ্রেন্ড আছে ওখানকার।
অনেকবার যেতে বলেছে তবে কখনোই যাওয়া হয়নি সেখানে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর স্মৃতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
আটলান্টিক বলেছেন: অসাধারণ লেখনী। চাঁদের সাথে জন্মের পর থেকে আমাদের সম্পর্ক।আজকাল শহরে পরিবেশে আর চাঁদ দেখা হয়না।আপনার লেখাটি পড়ে চাঁদ দেখার আফসোস অনেক বেড়ে গেল
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্! খুব ভাল লাগল আপনার আফসোসের কথা জেনে।
বেশি বেশি চাঁদ দেখুন আর মন ভরে লিখে ফেলুন আপনার অনুভূতি।
অনেক ধন্যবাদ।
শুভ জামনা।
৩৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটা পড়ে মনে হচ্ছিল, এ লেখাটি আমি আগেও একবার পড়েছি, মন্তব্য করেছি এবং 'লাইক' দিয়েছি। কিন্তু স্ক্রল ডাউন করে দেখলাম আমার কোন মন্তব্য নেই, কিন্তু 'লাইক' আছে। হয়তো 'লাইক' দিয়ে পরে মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
যাহোক, খুব সুন্দর লিখেছেন। সবচেয়ে ভাল লাগলো পিতা-কন্যার এ অপূর্ব বন্ধুসুলভ সম্পর্কের কথা জেনে।
আমিও অনেকদিন আমার নাতনি আনায়ার কথামত জানালার বাইরে হাত বের করে বৃষ্টি ধরে ওকে দিয়েছি। জানালা গলে ঘরে বৃষ্টির পানির ফোঁটা প্রবেশ করলে ও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অর জামা খুলে ঘর মুছে দিয়েছে। আমি বাধা দেইনি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৯
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
দাদা ভাইয়া আর নাতনী মিলে কি অপূর্ব বৃষ্টি খেলা!
আনায়ার জন্য অনেক আদর আর দোয়া রইলো।
আমার মেয়েতো বৃষ্টি দেখলেই পাগল হয়ে যায়!
আর হাত বাড়িয়ে ছোঁয়া তো তার চাই-ই চাই।
আমিও খুব করে চাই, ও বৃষ্টির ঘ্রাণ নিতে শিখুক, চাঁদের আলোয় ভাসতে শিখুক।
বাস্তবতার সম্মুখীন তো একদিন এমনিতেই হবে, তার আগেই মন ভরিয়ে নিক প্রকৃতির নির্মলতায়।
অনেক ধন্যবাদ ফিরে এসে মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুক পরিবার পরিজনদের ভালোবাসায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কিন্তু পিকচার আভি ভী বাকী হ্যায় মেরে দোস্ত" বাক্যটা পুরো লেখাটাকে মেরে ফেলেছে।
পুর্বের ও পশ্চিমের জানালায় চাঁদ আমিও দেখতাম।