নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তিযুদ্ধাদের চেতনায় গড়া বাংলাদেশ দেখতে চাই ।

হাফিজুর রহমান মিতু

ইতালী-রোম

হাফিজুর রহমান মিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘোড়ার খোলসে খচ্চরের নৃত্য এবং রাষ্ট্রে দায়...

০৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৯

ঘোড়ার খোলসে খচ্চরের নৃত্য এবং রাষ্ট্রে দায়...

=============================

মোটা দাগের কিছু খবরঃ



২০১০এর ৪ মে ইহুদীবাদী ইসরাইলের একজন কারারক্ষী পবিত্র কোরানের পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলার পর ফিলিস্তিনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল এবং যেই ঝড়ের তান্ডব এই হেফাজতি জামাতিরাও দেখিয়েছিল ঢাকার রাজপথে।

...

২১-২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১২, কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে আফগানিস্তানে সহিংস প্রতিবাদ হয়েছিল। সারা মুসলিম বিশ্বে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। কোরান অবমাননার দায় স্বীকার করে মার্কিন এক কমান্ডার ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল।



ডিসেম্বর ২২, ২০১২ তারিখে ‘দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকার এক প্রতিবেদন মোতাবেক, উগ্র মুসলিম জনতা এক পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে কোরান পুড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে তাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।



২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর সৌদি আরবে পবিত্র কোরান অবমাননার দায়ে এক সৌদি নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শয়তানের নির্দেশে নাকি সে এমন জঘন্য কাজ করেছিল।



এছাড়াও তসলিমা নাসরিন, সালমান রুশদী, ইরানের পারভিন আরদালান, প্রথম আলোর কার্টুনিষ্ট আরিফ সহ সারা বিশ্বে এই অবমাননাকারীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই সব অবমাননাকারীদের বিচারে দায়ভার বরাবরই বিশ্বের মোল্লা সম্প্রদায় স্বপ্রণোদিত হয়ে কাধে তুলে নিয়েছে এবং সারা বিশ্বে তান্ডব চালিয়েছিল।দেশের এই মোল্লা সম্প্রদায়ই নির্বিচারে একের পর এক কোরান পুড়িয়ে উন্মত্ততায় বানর নৃত্য করেছে ঢাকার রাজপথে, তখন এবং অদ্যাবধি রাস্তায় একটাও মোল্লা দেখা যায়নি এর প্রতিবাদ করতে। টাউট মাওলানা আল্লামা শফি এরই মধ্যে বিনাবাক্যে নির্বিঘ্নে ঢাকা ত্যাগ করেছে। কোরান পড়ুয়া অনশনকারী বদরুদ্দোজা চৌধুরীর কোন আওয়াজই নাই। দিগন্তবাজ গামছা বাঘা কাদের, বিড়ালের মত মিউ মিউ শব্দও করছে না। ফাউল মহিলা গোলাপী খালেদার কথা তো বাদই দিলাম।



কোরান পোড়ানো এই সব মোল্লাদের দাবিতেই যখন সরকার ৪ জন ব্লগারকে জেলে ঢোকালো, অথচ সেই সরকারও এখন পর্যন্ত কোরান অবমাননাকীদের ব্যাপারে একেবারেই চুপ। তাহলে কি কোরান পোড়ানো ধর্মের অবমাননা নয়? যদি তাই হয়, তাহলে নিরপরাধী ব্লগারদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে না কেন? প্রধানমন্ত্রী কি ১৬ কোটি মানুষের ধর্মানুভূতিতে যে পশুগুলো আঘাত করেছে, তাদের বিচারের সম্মুখীন করবেন?



দরকার নেই করার। কারন বাংলার সংগরিষ্ঠ মুসলমানেরা ধর্মবিশ্বাসী, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। বিভিন্ন ধর্মের সহাবস্থানেই এদের তৃপ্তি। এতদিন আমরা ধর্মের নামে যেটা দেখে এসেছি, তা মূলতঃ একটা গোষ্ঠীর ব্যবসায়ীক প্রচারনা এবং প্ররচনা। পরিস্কার আকাশে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, বাংলার মাটিতে ঐ ধর্মান্ধরা সংখ্যায় এতটাই নগন্য যে ধর্ত্যব্যে নেয়াই ঠিক হবে না। তবে দেশে পূর্নশান্তি স্থাপনে এদের উৎখাত করার কোন বিকল্প নেই। অতএব, বিএনপি-জামাতের হিংস্র ধর্মান্ধ রাজনীতি বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করা হোক।

লেখক-সাব্বির খান



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.