নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তিযুদ্ধাদের চেতনায় গড়া বাংলাদেশ দেখতে চাই ।

হাফিজুর রহমান মিতু

ইতালী-রোম

হাফিজুর রহমান মিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১এর ১৬ই ডিসেম্বরের বুকে ব্যাথা হার্ট এ্যাটাকে পরিণত ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৭

আজ খেকে ৪২ বছর আগে ৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বরে ঢাকার রেসক্রস ময়দানে পাকিস্তানী সৈন্যদের আন্তসমর্থনের পর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বুকের ভিতরে যে ব্যাথা শুরু হয়েছিল, গতকাল কাদের মোল্লার ফাসির রায়ের মধ্যে দিয়ে তা হার্ট এ্যাটাকে পরিণিত হয়েছে ।

১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট রাতের অন্ধকারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে অবৈধ্য ভাবে জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখল করে সংবিধান থেকে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলে স্বাধীনতা বিরোধীদের বুকের ব্যাথা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়ে ছিল । এরপর ধারাবাহিক ভাবে জেনারেল এরশাদ এবং ৯১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে রাজাকার আবদুল রহমান বিশ্বাসকে রাষ্টপতি করে স্বাধীনতা বিরোধীদের বুকের ব্যাথা অনেকটা দুর করে দেন ।কিন্তু বুকের ব্যাথা ৯২ সালেই আবার বেরে যায় যখন শহীদ জননী জাহানারা ঈমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি । ৯২ সালে ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কতৃক জনতার আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচারের দিনে লক্ষ জনতার সাথে ততকালীন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যেদের উপস্থিতি এবং সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার জ্বালাময়ী ভাষন স্বাধীনতা বিরোধীদের বুকের ব্যাথা হার্ট ব্লগের পযায়ে চলে যায়। আর ততক্ষনাত তর্তকালীন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে হার্ট স্পেশালিষ্ট পাকিস্থান ও সৌদী আরবের সাপোর্টে শহীদ জননী জাহানারা ঈমাম সহ ২৪ জন বরেন্য ব্যাক্তির নামে রাষ্টদ্রোহী মামলা দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের হার্টের ব্লগ দুর করেন কিন্তু ব্যাথা থেকেই যায় কিছুটা । ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রধান মন্ত্রী হন শেখ হাসিনা । বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় সংসদে দেওয়া তার জ্বালাময়ী ভাষনের কথা ভুলে গিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বুকের ব্যাথা দেন বাড়িয়ে ।সেই সাথে হয়তো একেবারেই কমে যায় স্বাধীনতা বিরোধীদের বুকের ব্যাথা ।এরই মাঝে বুকের মাঝে চরম ব্যাথা নিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জননী জাহানারা ঈমাম । স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের ব্যাথা দিয়ে এর পরিনতি ভোগ করেন শেখ হাসিনা ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়ে । এর পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা তো সম্পন্ন সুস্থ হয়ে সারা বাংলাদেশে দৌড়াতে লাগলেন । আর শাহারিয়া কবিরের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি খোরাতে খোরাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে চলতে থাকলো । ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ওয়াদা করে ক্ষমতায় আসেন আওয়ামী লীগ । ১৯৯২ সাল থেকে ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির দাবী অনুযায় যুদ্ধাপরাধীদের বিশেষ ট্র্যাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারের ব্যাবস্থা করার উদ্দেগ্য নেন বতর্মান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা । সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকেই চলতে থাকে বিশেষ ট্র্যাইব্যুনাল ঘটন করার প্রক্রিয়া । ট্র্যাইব্যুনাল কোন বিল্ডিং এ হবে তা নিয়ে শুরু হয় আইন মন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক সাহেবের সাথে নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়ার মতভেদ । অবশেষে শাহারিয়া কবির জয়লাভ করেন । শুরু হয় বিচার র্কায ।এরই মাঝে স্বাধীনতা বিরোধীরা শুরু করে ষড়যন্ত্র যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছাড়িয়ে যায় আন্তজাতিক অঙ্গনে । প্রসিকিসনের দূর্বলতা আর আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র প্রথমে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয় আন্তজাতিক ট্র্যাইব্যুনাল ।৭১এ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দাবি জানান প্রসিকিউসনে আরো যোগ্য আইনজীবি নিয়োগ করার । এরই ধারাবাহিকতায় নিয়োগ পান নির্মূল কমিটির আইন বিষযক সম্পাদন ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজ , ট্র্যাইব্যুনাল সচল হয় পুরোপরি । সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে গত ৫ই ফেব্রয়ারী কসাই খ্যাত কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ডে রায় দেয় আন্তজাতিক ট্র্যাইব্যুনাল ।এই রায়ে স্বাধীনতার পক্ষের তরুন প্রজম্নের বুকের ব্যাথা বেরে য়ায় । তারা সেই ব্যাথাকে শক্তিতে পরিণিত করে চলে আসে শাহাবাগে জন্ম হয় গণজাগরন মঞ্চ ছড়িয়ে পরে সারা দেশ থেকে সমস্ত বিশ্বে । এরপর আইন সংসোধন করে আপিল করে সরকার । দীর্ঘ দিন শুনানী শেষে সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে রায় আসে কাদের মোল্লার ফাসি ।এই রায়ের ফলে স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের বুকের ব্যাথা আংশিক ভাল হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের হার্ট এ্যাটাক হয়েছে । আর এই হার্ট এ্যার্টকে মূত্যুতে পরিনত করে ঐ মূত্য দেহকে নীমখারাম নামক কবর স্থান বানিয়ে সেখানে দাফন করলেই স্বাধীনতার পক্ষের সকলের বুকের ব্যাথা দুর হবে । আর যুদ্ধাপরাধীদের এই হার্ট এ্যাটাকের মঞ্চ তৈরীতে শহীদ জননী জাহানারা ঈমাম, বতর্মান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ৭১ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহারিয়া কবির সহ যারা ছিলেন তাদের সকলকে জানায় আন্তরিক ধন্যবাদ । জয় বাংলা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.