![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে আজ জাহেলী যুগের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে । আমাদের মহানবী (সাঃ)এর আগমনের পূর্বে আরব দেশে যে অবিচার, দুর্নীতি, সুদ, ধোকাবাজি, খুনখারাপি ছিল তা আজ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে কিনা বাংলাদেশে বিদ্বামান ।রাস্তার পাশে বসে ফল বিক্রেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী পযন্ত । সাধারন নাগরিক থেকে বিশিষ্ট নাগরিক, অশ্লীল সমাজ থেকে সুশীল সমাজ, সরকারী থেকে বেসরকারী কর্মচারী সবাই আজ দূনীতিগ্রস্ত ।অথচ দেশে বিরাট একটা অংশ আল্লামা, মুফতী, আর পীর-আউলিয়া বলে নিজেদের এই উপমহাদেশ বিশিষ্টজন বলে দাবী করে বড় বড় মাদ্রাসা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা বিদেশ থেকে এনে নিজেরা আয়েশী জীবনযাপন করছে । আর কথায় কথায় ধর্ম গেল বলে রাষ্ট পরিচালনাকারীদের সামনে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য হুমকি-ধমকি দিয়েই যাচ্ছেন । সমাবেশ মহাসমাবেশের নামে তারা নিজ নিজ মাদ্রাসার ছাত্র আর মুরীদদের জড়ো করে সরকারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন ।আর প্রচার করছেন তারাই সবচেয়ে জনপ্রিয় ।যদিও এদের অনেকেই সংসদ নির্বাচনে গুলিতে জামানা বাজাপ্ত হয়েছে/হচ্ছে ।আমি এখানে বর্তমান বাংলাদেশে বিভিন্ন ইসলাম নামধারী রাজনৈতিক দল আর আল্লামা, মুফতী খেতাবধারী মাদ্রাসার মালিকদের কথা বলছি ।যাদের বেশির ভাগেরই উৎখ্নান হয়েছে ৭৫ পথপরিবর্তনের পর থেকে । বাংলাদেশে এই খেতাবধারীদের সংখ্যা যত বাড়ছে চোর বাটপারের সংখ্যা তত বেরে যাচ্ছে । মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ ততই কমে যাচ্ছে । অথচ এদের মূল কাজ হলো মানুষের মাঝে ইসলাম ধর্মে মর্মবানী পৌছে দেওয়া । পবিত্র কুরআন এবং সহী হাদিসের পথ ধরে মানুষকে বুঝিয়ে বতর্মান বাংলাদেশে জাহেলী যুগের অপকর্ম থেকে ফিরিয়ে আনা ।কিন্তু তারা তা না করে কিভাবে রাষ্ট ক্ষমতা দখল করা যায় তার হিসাব করতে ব্যস্ত ।তথাকথিত এই আলেম সমাজ জামায়াত ইসলামীর প্রতিষ্ঠা মাওলানা আল মওদুদী বলা পথ অনুসরন করছেন যে, লড়াই করে ক্ষমতা দখল করো ।
গত কয়েক মাস হলো হেফাজতে ইসলাম নামক এক নতুন ইসলামী সংগঠনের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে । যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়কে কেন্দ্র করে শাহাবাগে গণজাগরন মঞ্চের আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পর এই ভুইফোর ইসলামী সংগঠনের জন্ম । এদের আবার ১৩ দফার দাবি আছে । যা বাস্তবায়নের জন্য তারা মাদ্রাসায় লেখাপড়া বাদ দিয়ে সমাবেশ-মহাসমাবেশের নামে ধ্বংসাক্ত কাযকলাপ আর বাইতুল মোকারমের পাশে পবিত্র কুরআন পুরানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন । হেফাজতের প্রস্তাবিত ১৩ দফার উল্লেখযোগ্য গুলি হলো, সংবিধান থেকে মুছে ফেলা আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন, আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস, কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা, রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা। এই সব দাবি তারা করেছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে । তারা বলেছেন সংবিধানে এই সব কিছুর বিচারের জন্য আইন পাশ করতে । যদিও এই সব দাবি মধ্যে অনেক মিথ্যা কথা রয়েছে ।তারপরও বলবো নবী (সাঃ)এর উম্মত প্রকৃত ঈমানদার কোন ব্যাক্তি কখনও মানুষের তৈরী সংবিধানে মহান আল্লাহর প্রদত্ত আইন সংযোগ করার দাবী জানাতে পারে না ।
এরপরও যদি ধরে নেই মানুষের তৈরী সংবিধানে হেফাজতের দাবী গুলি সংযোগ করা হয় তাহলে কি বাংলাদেশে ইসলামী পথে চলবে ?
মোটেই না, কারন আইন করে ইসলামের জন্ম হয় নাই । নবীজি মানুষদের বুঝিয়ে সহজ ও সরল পথে এনেছেন । মানুষ যখন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে ইসলামের রীতিনীতি মেনে চলা শুরু করেন তখনই ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা পায় । আমাদের মহা নবী মক্কা থেকে হিজরত করে যখন মদিনায় আসেন তখন কি তিনি লড়াই মাধ্যমে মদিনা দখল করে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নাকি মদিনায় তিনি শান্তির ধর্ম ইসলামের রীতি নীতি প্রচার করে মানুষকে শান্তির পথে এনে ইসলামী রাষ্ট ও আইন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । আজ যদি বাংলাদেশে মহিলাদের হিজার পড়া আইন বাধ্যতামূলক করা হয় তাহলে মহিলারা যখন বাইরে বের হবে তখন হয়তো তারা আইন অমান্য করার ভয়ে হিজাব পড়বে । এতে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে । এখন তো বাংলাদেশে হিজাব পড়ার আইন নাই, তারপরও অনেকেই হিজাব পড়ে রাস্তায় বের হন এবং পর্দায় থাকার চেষ্টা করেন।কারন তারা ইসলাম ধর্মের মর্মকথা বুঝে পরিপূর্ণ ঈমান এনে নিজ অন্তরে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেছেন।নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আগে মানুষের অন্তরে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা করেছেনে, এর মাধ্যমেই রাষ্টেও ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে । কিন্ত আমাদের দেশের তথাকথিত ইসলামী দল গুলি বাংলাদেশে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার নামে সমাবেশ-মহাসমাবেশ করে দেশের ভিতরে অরজগতার সৃষ্টির মাধ্যমে তারা ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাইছে । হেফাজতের ১৩ দফার বেশির ভাগ দাবীই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ধর্মে নামে ঘায়েল করার একটি চক্রান্ত মাত্র । তাদের দাবী গুলির মধ্যে লোক দেখানো ইসলাম দেখা গেলেও সত্যিকারের ইসলামী রীতি নীতির লেচমাত্র নেই । যদি তাই থাকতো তাহলে তারা ড. ইউনুছের কল্যানে সুদের ব্যবসা মরনব্যাধীর রোগের মত ছড়িয়ে পড়ছে আজ সমস্ত দেশে এর প্রতিবাদ করতেন কারন সুদ ইসলামে হারাম করা হয়েছে । ব্লগে নবীজিকে নিয়ে কিছু লিখলেই নবীজি আর ইসলামের অপমাননা হয়ে যায় । কিন্তু পবিত্র কুরআনে যেই জিনিসকে হারাম বলেছে তা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লেও নবীজি বা ইসলামের কোন অপমান হয় না । কারন ড. ইউনুছ আর ইসলামী দল গুলির ধান্ধা তো একই, তারা একে অপরের সম্পুরক । দুইটা গ্রুপই চলে ইহুদী-নাসাদের টাকায় ।এই জন্যই ড. ইউনুছ ইসলামে হারাম সুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও সমকামীদের অধিকারের কথা বললেও সমস্যা হয় না হেফাজতে ইসলামী সহ সকল ইসলামী দলের, কিন্তু টেলিভিশনের নাটক বা সিনেমায় ৭১এর রাজাকারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট তুলে ধরলেই ইসলামের অপমাননা হয় ।
আজ সময় হয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে কিনা আমাদের সোনার বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) মাধ্যমে আসা প্রকৃত ইসলাম ধর্ম রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐ ধর্ম ব্যবসায়ী, স্বাধীনতা বিরোধী, মওদুদীবাদীদের প্রতিহিত করে, সত্যিকারের পূর্ণ গণতন্ত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করার। আমাদের মনে রাখতে হবে ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার । ধন্যবাদ । জয় বাংলা ।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: মিতু ভাই কি খবর? ব্লগে দেখছি না যে,ব্যবসায় ব্যস্ত নাকি?
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: আপনার সাথে পুরাপুরি একমত।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
ইউরো-বাংলা বলেছেন: গাজাখুড়ি পোষ্ট, জামাত এবং হেফাজত একসাথে গুলিয়ে ফেলেছেন ! আপনার জ্ঞাতার্থে বলতে চাই - জামাত এবং হেফাজত সাপে -নেউলে সম্পর্ক। তারা কেউ কারো এজেন্ডা কখনো বাস্তবায়ন করবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ১ দফাটা কি?
আজকাল খালেদা বেগম শুধু ১ দফাই দিচ্ছে!