![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির র্দীঘ আন্দোলনের ফসল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত বিশেষ ট্রাইবুনাল । ট্রাইবুনাল গঠনলগ্নেই বিতর্ক শুরু নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহারিয়া কবির আর ঐ সময়কার আইন মন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহাম্মেদ এর সাথে । বির্তকের বিষয় কোন বিল্ডিংয়ে বসবে বিষেশ ট্রাইবুনাল ।বির্তকে শাহারিয়া কবিরের বিজয়ের মাধ্যমে তারই দেখানো বিল্ডিংয়ে শুধু হয় ট্রাইবুনালের পথ চলা ।এবার ট্রাবুনালের বিচারপতি আর প্রসিকিউটর নিয়োগে চলে ঐ সময়কার আইন প্রতিমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলামে টাকার খেলা । শুধু টাকা খেয়ে আদর্শ আর চেতনাকে ভুলে কামরুল ইসলাম ট্রাইবুনালে নিয়োগ দেন অদক্ষ বির্তকিত বিচারপতি আর আইনজীবীদের । আশ্চর্যের বিষয় হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান এক সময়কার ছাত্রসংঘের (বর্তমান ছাত্র শিবির) নেতা । অনেক বির্তকের পর তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় ।এরপর যাকে এপদে নিয়োগ দেওয়া হয় তিনি যে অযোগ্য ছিল তার প্রমান বহুল আলোচিত স্কাইপি কেলেঙ্কারি ।আহাম্মেদ জিয়াউদ্দিন যিনি বেলজিয়ামে থাকেন ।তার সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কথোপকথনে বিচার প্রক্রিয়া ও ট্রাইব্যুনাল প্রশ্নবিদ্ধ করে । অনৈতিকভাবে ওই কথোপকথনে ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয় । আহাম্মেদ জিয়া উদ্দিন সাহেবকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি । তার সাথে একাধিক বার কথা বলে আমার মনে হয়নি বাংলাদেশে একটি বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারপতিকে পরামর্শ দেওয়ার মত আইনি জ্ঞান তার রয়েছে ।শুধু টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া কোন অদক্ষ বিচারপতিই আহাম্মেদ জিয়া উদ্দিনের মত একজন আইনজীবীর কাছে পরামর্শ চাইতে পারেন ।আবার এও হতে পারে জিয়াউদ্দিনের মাধ্যমে বিচারপতি নিজামূল হক ট্রাইবুনালকে বির্তকিত করতে জামায়াতের টাকা খেয়ে স্কাইপি কেলেংকারী ইচ্ছাকৃত ভাবেই ঘটিযেছেন । এর কিছু নমুনা আমি দেখে ছিলাম আহাম্মেদ জিয়াউদ্দিনের ব্যাক্তিগত কম্পিউটারে ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৩ সালে ।একটি বিশেষ কারনে তিনিই আমাকে তা দেখিয়ে ছিলেন । ঐ সময় তিনি খুবই ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন ।
সাকা চৌধরীর বিচারের রায় আগেই প্রকাশ পেয়ে গেল, কিন্তু কি ভাবে ? নিশ্চয়ই ট্রাইবুণালের কেউ জড়িত ছিল এই কাজে । যদিও সরকার একটা কিছু বের করেছে বির্তককে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ।
পাঠক, মীর কাশেম আলীর বিচারে এত লম্বা সময় লাগছে কেন ? মীর কাশেমের আইনজীবীরা বার বার সময় নিচ্ছে । অথচ প্রসিকিউটররা এর বিরুদ্ধে কোন বাধা সৃষ্টি করছেন না । কারন টাকার লেনদেন হচ্ছে ।
টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এই সব অদক্ষ প্রসিকিউটর আর বিচারপতিরা ৩০ লক্ষ শহীদ পরিবারের সাথে তামাশা করছে । র্দীঘ ৮ বছর নির্মূল কমিটির আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার পরও সাবেক আইন মন্ত্রী যাকে মানুষ বিজ্ঞ আইনজ্ঞ বলে জানে,সেই ব্যারিষ্টার সফিক আহাম্মেদ সাহেব কি করে ভুলে যান সরকারের আপিলের সুযোগ থাকতে হয় ।সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার করার বিধান তিনি রেখেছেন কিন্তু কি সাজা হবে এটা স্পষ্ট করে কিছুই বলা নাই ।এটা কি ইচ্ছাকৃত ভুল ।নাকি তার অদক্ষতা ।
এড. কামরুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে অদক্ষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়ার কারনেই আজ তাদের মধ্যে এত দন্দ্ব । দীর্ঘ আন্দোলনে পাওয়া ট্রাইবুনালের কর্মকান্ডে আজ লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ।
৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহারিয়া কবির বারবারই বলছেন আজকের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আন্তরিকতার অভাব না থাকলেও তার চার পাশের অনেকেই এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ততপর রয়েছেন ।
তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকতে হবে । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ৯:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।