![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপরীত লিঙ্গের দেহ দর্শনে দেহ উত্তেজিত হয়।
সেই উত্তেজনা থেকে এক সময় বিপরীত লিঙ্গের দুটি মানুষ মিলিত হয়,
সেখান থেকে তৈরী হয় ভবিষ্যত প্রজন্ম।
সৃষ্টিকর্তা যদি বিরপীত লিঙ্গের দেহের প্রতি এমন আকর্ষণ তৈরী না করতেন,
তবে হয়ত কোন প্রাণী বংশ বৃদ্ধি করতো না। ফলে অনেক প্রাণী হয়ত অস্তিতহীন হয়ে যেতো।
সৃষ্টিকর্তা তাই বংশ বৃদ্ধির নিম্মিত্তেই বিপরীত লিঙ্গের দেহের প্রতি এক অদৃশ্য আকর্ষন থৈরী করে দিয়েছেন।
বিপরীত লিঙ্গের দেহ দর্শণে দেহ উত্তেজিত হয়, এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।
কেউ যদি এটা অস্বীকার করে, তবে তা ডাহা মিথ্যা কথা। বিজ্ঞানকে অস্বীকার করা।
এই দেহ দর্শন করিয়ে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মাঝে DoctLab তৈরী করাকেই সিডিউস বলে।
বাস্তব জীবনের ঘটনা যদি বাদও দেই, তবে দেহ দর্শণে সিডিউজের উপর ভিত্তি করে বহু মুভি আছে। দেশী বিদেশী অভাব নেই।
আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, একটা শ্রেণী বাস্তব জীবনে তো সেই চর্চা করলোই, উপরন্তু সেই সব মুভি দেখলো, সেখানে বাহাবা দিলো, কিন্তু কোন সমস্যা হলো না। কিন্তু হঠাৎ ঢাবিতে এক ছেলে সেই কথাটা শুধু বললো- ছোট পোশাক পরে আমাকে সিডিউস করবেন না। মানে আমার কনসেন্ট না নিয়ে আমাকে সিডিউস করবেন না। এ কথা বলাতেই মাথা খারাপ হয়ে গেলো তাদের। কেন ভাই ? সে কি মিথ্যা কথা বলছে ? সে কি অবৈজ্ঞানিক কথা বলছে ? সে যদি কনসেন্ট না দেয়, তবে কি আপনি জোর করবেন ? থাকে মানসিক ধর্ষণ করবেন ? কাউকে মানসিক ধর্ষণ করার অধিকার কি আপনি রাখেন ?
এবার আসেন আইনের কথায়।
বাংলাদেশের আইনে আছে, যদি কোন পুরুষ কোন নারীকে অশালীন ভাবে দেহ প্রদর্শন করে তবে সেটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার ১ বছরের জেল হবে। (ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬, ধারা-৭৬)
এ ছেলেটি প্ল্যাকার্ডে যা বলেছে, তা কিন্তু এই আইনের কথাই। বেআইনী কোন কথা না।
আপনারা হয়ত দেখেছেন, কিছুদিন আগে কিছু নারী হাইকোর্টের সামনে কিয়ে ফটোশুট করলো। তাদের হাতে লেখা ছিলো- “অশ্লীল লাগে, নজর সরা”। চিন্তা করে দেখুন, এখানে কোন পুরুষ যদি কোন নারীকে তার দেহাংশ উন্মুক্ত করে প্রদর্শন করে তবেই সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অথচ একদল নারী প্রকাশ্যে শরীর উন্মুক্ত করে পুরুষকে হুমকি দিচ্ছে “নজর সরা”। আবার কোন পুরুষ ভিকটিম যখন সেটা সহ্য না করতে পারে সত্য কথাটা বলছে, তখন তারও অপরাধ হয়ে যাচ্ছে! তাকে নিয়ে ফেসবুক-মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে। এ কেমন লিঙ্গবৈষম্য !!
আসলে আমরা এতদিন শুধু মুখে মুখে নীতি নৈতিকতা ও আইনের কথা বলেছি।
কিন্তু আমরা নিজেরাই তা কতটা বিশ্বাস করি, তা সন্দেহজনক।
Source: Prothom Alo
©somewhere in net ltd.