![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. বস্তুবাদঃ বস্তু সকল শক্তি ও ক্ষমতার মূল। বস্তুর উন্নতি সাধনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র। সমাজ তথা বিশ্বের সামগ্রীক উন্নতি সাধন সম্ভব। এই মতবাদ অনুযায়ী ৫টি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন হচ্ছে চরম বোকামী। এগুলো হলোঃ
ক. সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস, খ. ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস, গ. তীর্থ স্থান ভ্রমন, ঘ. কৃচ্ছতা সাধন বা উপবাস যাপন ও, ঙ. পরকাল বা পূণর্জন্মবাদে বিশ্বাস। নাস্তিক্যবাদের মূল ভিত্তি হলো এই বস্তুবদ।
পৃথিবীতে যত ভ্রান্ত মতবাদ রয়েছে তার অধিকাংশের মূলে রয়েছে বস্তুবাদ। সমাজতন্ত্র,ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ এবং পাশ্চাত্যের গনতন্ত্রের মূল ভিত্তিও বস্তুবাদ। বস্তুবাদ মানুষকে নীতিহীন বর্বর জানোয়ারে পরিনত করতে পারে। জাতিয়তাবাদের ভয়াবহতার বিস্তার বস্তুবাদের উপর বিশ্বাসের কারনেই ঘটে থাকে।
[sb]২.গনতন্ত্রঃ এমন এক রাজনৈতিক ব্যাবস্থা যেখানে দেশের সর্বময় কতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধির কাছে থাকে এবং এই প্রতিনিধিরা জনগন কতৃক নর্বাচিত হয়ে থাকে।
গনতন্ত্রকে প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা হয় যেমনঃ ক. প্রত্যক্ষ গনতন্ত্র ও খ. পরোক্ষ গনতন্ত্র
দুর্বলতাঃ
১. জনগন সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক নয়। যদিও গনতন্ত্রে তাই দাবী করা হয়।
২. জনগন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনা।
৩. নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাবের বিকাশ ঘটে।
৪. কেবলমাত্র রাজনৈতিক মতবাদ। কোন পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা নয়।
৫. গনতন্ত্রের বহুমুখী চরিত্রের কারনে এর প্রাতিষ্ঠানিকরুপ স্থায়ীত্ব পায়না।
৩. জাতীয়তাবাদঃ জাতীয়তাবাদ এমন একটি মতবাদ যা একটি জনপদের মানুষের ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল, সংস্কৃতি প্রভৃতি সেন্টিমেন্টের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। যেমন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, কৃষ্ণাঙ্গ বা স্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ, নাৎসীবাদ, ফ্যাসিবাদ, হিন্দু বা মুসলিম জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি।
দুর্বলতাঃ
১. নিজের জাতির প্রতি অন্ধ ভালবাসার কারনে অপর জাতির লোকেরা নিগৃহিত হয়।
২. নিজের জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য অপরের সকল অধিকার হরনে কুন্ঠিত হয় না।
৩. জাতির উপর জাতির কৃতত্ব, দখলদারিত্ব, যুদ্ধ,আগ্রাসন সকল কিছুর মূলে কাজ করে এই জাতীয়তাবাদ।
৪. মানবতাবাদের চরম দুশমন এ মতবাদটি কোন একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে এই উন্নতি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি।
জাতীয়তাবাদ ও ইসলামঃ
১. ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ পরষ্পর বিরুধী ২টি আর্দশ।
২. ইসলামের উদ্দেশ্য হলো একটা বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জাতীয়তাবাদ মানুষের মধ্যে র্পাথক্য সূচিত করে।
৪. মানুষ ও মানুষের মধ্যে ইসলাম কোন বৈষয়কি,বস্তু ভিত্তিক,ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য র্পাথক্য করে না। ইসলামরে দৃষ্টিতে সকল মানুষ একই মুল হতে উদ্ভুত।
৫. মানুষরে কলেমা এক ও অভিন্ন,কালিমা লা ইলাহা এর ভিত্তিতিই বন্ধুত্ব ও শত্রুতা হবে।
৬. এই কালেমা যাকে বিচ্ছিন্ন করে তাকে রক্ত, মাটি,ভাষা, র্বণ, অন্ন, শাসনব্যবস্থা ও আত্বীয়তা প্রভৃতি কোনটায় সংযুক্ত করতে পারে না।
৭. ইসলামরে দৃষ্টিতে কোন ভাষা, র্বণ, গোত্র, ধন সম্পত্তি কোনটায় বষৈম্য সৃষ্টি করতে পারে না।
৮. ইসলাম মানুষকে একই মাবুদরে উপাসনা করতে আহবান জানায়।
৯. ইসলাম একটি র্সাবজনীন আর্ন্তজাতিক র্ধম ও আর্দশ হওয়ার কারণে জাতীয়তাবাদরে সংর্কীণতাকে সর্মথন করে না।
১০. ইসলাম মানুষকে একই আকীদা, নৈতিকতা, ন্যায়-নীতী খোদাভীতির ভিত্তিতে গড়ে তুলে।
১১. ইসলাম রাজনীতী, র্অথনীতী, সংস্কৃতি ,ইবাদাত বন্দগেীর ক্ষেত্রে কোন বষৈম্য সৃষ্টি করে না।
১২. ইসলামী আর্দশরে অনুসারীদরে জাতী গোষ্ঠী,সম্প্রদয়রে মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করার সুযোগ নইে
১৩. ইসলাম মাটি, মানুষ, বংশ, জাতিগত ভেদাভেদ ও বৈষম্যের দোয়ার ভেঙ্গে সকল মানূষকে একই আর্দশরে পতাকা তলে সমবেত করে ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে একটি র্সাবজনীন কল্যাণ রাষ্ট্র কায়মে করতে চাই।
জাতীয়তাবাদ সর্ম্পকে মাওলানা মওদুদী বলনে,
- জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম নিজ নিজ লক্ষ-উদ্দশ্যে, ভাবধারার দিক দিয়ে পরষ্পর বিরোধী।
- যেখানে জাতীয়তাবাদ আছে সেখানে ইসলামের স্থান নেই।
- মুসলমানদের হৃদয়ের এক প্রান্ত দিয়ে যখন জাতীয়তাবাদের চেতনা অনুপ্রবেশ করে তখন অন্য প্রান্ত দিয়ে ইসলাম নিষ্ক্রিয় হয়।
- জাতীয়তাবাদের বিকাশ র্অথ হলো ইসলামের প্রসার ও প্রচারের পথ রুদ্ধ করা।
- ইসলামের চুড়ান্ত ল্যক্ষ হচ্ছে দেশ, জাতী ও র্বণ ভিত্তিক র্পাথক্য দূরীভূত করে একটি আর্দশ ভিত্তিক বিশ্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা।
৪. ধর্মনিরপেক্ষতাবাদঃ এটা এমন এক রাষ্ট্রচিন্তা যার কোথাও ধর্মীয় বিশ্বাসের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না। রাষ্ট্র সীমিত মাত্রায় ব্যক্তি পর্যায়ে ধর্ম পালনের স্বীকৃতি দিলেও এটি একটি বস্তুবাদী রাজনৈতিক দর্শন যা ধর্মকে নির্মূল করার সকল পদক্ষেপই গ্রহন করে থাকে।
দুর্বলতাঃ
১. রাষ্ট্রযন্ত্র ধর্মকে নিরুতসাহিত ও নিষিদ্ধ করে।
২. রাষ্ট্রের উপর ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কতৃত্ব কঠোরভাবে দমন করে।
৩. এ মতবাদটি রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের বিষয়ে আলোচনা করে।
৪. এটি একটি অসম্পূর্ণ মতবাদ যা মানব জীবনের অন্য কোন সমস্যা সম্পর্কে কোন সমাধানই দিতে পারেনা।
৫. সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজিমঃ যে ধরনের রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সকল সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক রাষ্ট্র, ব্যক্তিমালিকানা ও সম্পদ অর্জন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, সবাই রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে, রাষ্ট্র জনগনের নূন্যতম চাহিদাপূরন করে সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সমাজতন্ত্র বলা যায়। এটি একটি বস্তুবাদ নির্ভর নাস্তিক্যবাদী মতবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করা হয়।
২. ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
৩. দল বা শাসকশ্রেনী চরম স্বৈরাচারী হয়ে থাকে। ভোগ-বিলাসের ক্ষেত্রে তারা নিরংকুষ কতৃত্ব ভোগ করে থাকে।
৪. মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ আদায় করা হলেও মজুরী ও সন্মান সবার সমান।
৫. কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দর্শন। মানব জীবনের সামগ্রীক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ।
৬. পুঁজিবাদঃ ব্যক্তিমালিকানা এই মতবাদের মূলভিত্তি। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিই সম্পদের মালিক। এতে অন্যের কারো কোন রকম অধিকার নেই। ব্যক্তি স্বার্থপরতার নিকৃষ্টতম উদাহরন পুজিবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টিকরে।
২. পুজিপতিরাই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
৩. বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত শ্রেনীর মাঝে দ্ধন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
৪. সুদ এই অর্থনীতির মূল হাতিয়ার।
৫. আয় বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ বা নৈতিকতার কোন বাধাই পূঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রাখেনা।
৬. এটি কোন জীবন দর্শন নয় বরং সম্পূর্ণভাবে এটি অর্থনৈতিক মতবাদ।
ইসলামঃ
১. অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সকল যুগেই ইসলাম শ্রেষ্টতম ও একমাত্র নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা।
২. ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন।
৩. যুগে যুগে নবী রাসূলগন মানবজাতীর কাছে এই দ্বীনকে তুলে ধরেছেন। আমাদের নবী হযরর মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমনের মাধ্যমে নবী রাসূল প্রেরণের সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
৪. ইসলাম পরপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। যার অনুসরন মানুষের ইহকালে শান্তিনিরাপত্তা ও সন্মান নিশ্চিত করে।একইভাবে পরকালীন নাযাতের পথ প্রদর্শন করে।
৫. ইসলাম মানবজাতীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাসহ সকল সমস্যার নিশ্চিত ও শ্রেষ্টতম সমাধান দিতে সক্ষম।
অতএব ইসলামই মানব জাতীর মুক্তির একমাত্র পথ।
সমাজতন্ত্রের মূল তত্ত্ব হল একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ ও অর্থের মালিকানা সামাজিক নিয়ন্ত্রণাধীন। সমাজতন্ত্রী ব্যবস্থায় জনসাধারণের প্রয়োজন অনুসারে পণ্য উৎপাদন হয়। সমাজতন্ত্র কমিউনিস্ট সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উৎখাত ঘটায় ব্যক্তিগত মালিকানার এবং মানুষে মানুষে শোষণের, বিলোপ ঘটায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের ও বেকারির, উন্মুক্ত করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য_ জনগণের স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন অনু্যায়ী। সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। সোভিয়েত ইউনিয়ন-এ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে।
গণতন্ত্র (শব্দার্থে "জনগণের শাসন", গ্রিক ভাষার "δήμος", "জনগণ", "Κράτος", "শাসন", থেকে) হল কোন জাতিরাষ্ট্রের (অথবা কোন সংগঠনের) এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। যদিও শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
স্বৈরতন্ত্রছ স্বৈরতন্ত্র হচ্ছে একজনের শাসন।যখন কোনো শাসক একাই স্বেচ্ছাচারীভাবে কোনো রাষ্ট্র শাসন ও পরিচালনা করে তখন তাকে স্বৈরতন্ত্র বলা হয়। যখন রাষ্ট্রে এক ব্যক্তির ক্ষমতার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন হয় তাই স্বৈরশাসন।
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ: ইংরেজী সেকিউলারিজম শব্দ থেকেই এর অনুবাদ। ধর্মীয় প্রবণতাকে মানুষের ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ রেখে সমাজ জীবনের সকল দিক ও বিভাগকে আল্লাহ ও রাসূলের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। সামাজিক, রাজনৈতিক, অথনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মকে পরিত্যাগ করাই এর উদ্দেশ্য।
মুসলিম প্রধান দেশে সর্বপ্রথম মোস্তফা কামাল পাশাই তুরস্কে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
আমার প্রতিকৃতি বলেছেন: হুম বুঝলাম... তাল গাছটা আপনার।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: মাওলানা মওদুদী কিডা?
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো।