নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের পক্ষে আপোষহীন

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান

সত্যের সংগ্রামে ফোটা ফুল

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের আলোকে কতটুকু সম্পদের মালিক হতে পারেন আপনি?

১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২০

ইসলামের আলোকে কতটুকু সম্পদের মালিক হতে পারেন আপনি?

প্রশ্ন- ৩ঃ ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে অঢেল অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করা কি ইসলাম সম্মত? ইসলামের আলোকে আমি কী পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে পারি? বেশী সম্পদের মালিক হওয়া কি বৈধ?
উত্তর প্রদানকারীঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

উত্তরঃ প্রিয় প্রশ্নকর্তা আপনাকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের দিক-নির্দেশনা পালনের বিষয়ে আপনার হালাল-হারামের বিষয়ে সচেতনতা প্রমাণ করে যে আপনি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ তা'আলার বিধান পরিপালনে আগ্রহী। আল্লাহ তা'আলা সবাইকে সঠিক পথের দিশা দান করুন।

আপনার প্রশ্নের বিষয়ে প্রথমত: এ কথা বলা প্রয়োজন যে, ইসলাম ফিতরাত বা স্বভাবের দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা), তাতে এমন কোন মূলনীতি নেই যা মানুষের স্বভাব বিরুদ্ধ বা ফিতরাতকে ধ্বংস করে, বরং ইসলামে তাই বিদ্যমান রয়েছে যা ফিতরাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসলাম ফিতরাতকে ধ্বংস করে না; একে লালন করে।

আল্লাহ তা‘আলা যেই ফিতরাতের উপর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে রয়েছে মালিকানার বাসনা যা এমনকি অবুঝ শিশুদের মধ্যেও আমরা ল্ক্ষ্য করি। মূলতঃ আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এই প্রবৃত্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যাতে তা মানুষের কর্মচঞ্চলতা, উৎকর্ষতা ও দক্ষতার শক্তিশালী চালিকাশক্তি হতে পারে। কেউ যখন জানতে পারে যে, শেষ পর্যন্ত সে তাঁর অর্জন ও পরিশ্রমের ফল পাবে তখন সে কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে নিয়োজিত করে, প্রাণপনে চেষ্টা করে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এতে জীবন উন্নত হয়, সভ্যতা বিকশিত হয়।

মালিকানা হলো মানবতার বৈশিষ্ট্য। কেননা পশু-পাখি মালিকানা লাভ করতে পারে না, মানুষই শুধুমাত্র মালিকানা লাভ করতে পারে। তাই তো ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কেননা এটি এমন দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) যা এসেছে ফিতরাত, স্বাধীনতা ও মানবতাকে সম্মান জানানোর জন্য।

এটা সুবিচারপ্রসূত নয় যে, মানুষ তাঁর কর্ম প্রচেষ্টা ও উপার্জনের ফল থেকে বঞ্চিত হবে এবং তা অকর্মণ্য ও অলসদেরকে এমনি এমনি দিয়ে দেবে। বরং সুবিচার ও ইহসানের কথা হলো সবাইকেই উপার্জন করার ও মালিক হওয়ার সুযোগ প্রদান করা। এতে যদি কেউ নিজ মেধা, প্রচেষ্টা, দক্ষতা ও সাধনা দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব ও উৎকর্ষ অর্জন করে তাহলে তাঁর কর্ম অনুযায়ী সে তা প্রাপ্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ “উত্তম কাজের প্রতিদান উত্তম প্রতিদান ব্যতীত কি হতে পারে?” (সূরা আর রাহমানঃ ৬০) “প্রত্যেকের জন্যে তাদের কৃতকর্ম অনুযায়ী বিভিন্ন স্তর রয়েছে।” (সূরা আহক্বাফঃ ১৯)

এখান থেকেই ইসলাম মালিকানা লাভ করাকে বৈধ করেছে, যদিও কারো নিকট অঢেল ধন-সম্পদের সম্মিলন ঘটে আর সে যদি হালালভাবে তা উপার্জন করে এবং যথাযথভাবে তা ব্যয় করে, হারাম সম্পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে, বৈধ সম্পদ খরচের ক্ষেত্রেও অপব্যয় না করে, অধিকার আদায়ে কৃপণতা না করে, কারো প্রতি জুলম (অন্যায়) না করে, অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষন না করে , তাহলে তো কোন সমস্যা নেই। এটাই ইসলামের দাবি।

সম্ভবতঃ এই সংক্রান্ত বিষয়ে সবচাইতে উজ্জ্বল উদাহরণ, আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা)। তিনি ছিলেন প্রথম পর্যায়ের অগ্রবর্তী সাহাবীদের একজন এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ জনের অন্যতম। তিনি তাঁর অন্যান্য মুহাজির ভাইদের মত রিক্ত হস্তে মক্কা থেকে বের হলেন, ঘর নেই, বাড়ী নেই, সহায়-সম্পদ নেই। রাসূল (সা) তাঁকে সাদ বিন রাবী (রা)-এর সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন। সাদ বিন রাবী তাঁকে নিজের সম্পদের অর্ধাংশ দিয়ে দিলেন এবং নিজের দু’জন স্ত্রীর একজনকে তালাক দিলেন যাতে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) তাকে বিয়ে করতে পারেন। এতে খুশী হয়ে তিনি সাদ বিন রাবীর জন্য দোয়া করলেনঃ "আল্লাহ তা‘আলা, তোমার পরিবার পরিজন ও সম্পদে বরকত দান করুন।” অতঃপর বললেন, আমাকে একটি বাজারের সন্ধান দাও (যেখানে আমি ব্যবসা করতে পারি।)”

আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) ব্যবসা শুরু করলেন এবং বাজারে বাজারে ঘুরে আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ তালাশ করতে লাগলেন। তখন বাজারে মদীনার ইহুদীদের আধিপত্য ছিল। তিনি প্রত্যুষে উঠে কাজে লেগে যেতেন, পরিশ্রম করতেন, ছুটাছুটি করতেন। তাঁর বিরাট অর্থনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ছিল। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মুসলিমদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন। মৃত্যুর সময় তিনি এমন বিশাল সম্পদ রেখে গেলেন যে, সেখানে যে স্বর্ণ ছিল তা করাত দিয়ে কাটতে হয়েছিল।

ইবনে সাদ তাঁর ‘ত্বাবাকাত’-এ বর্ণনা করেছেনঃ তাঁর চার স্ত্রীর একেক জন তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে যে অংশ পেয়েছিলেন (মীরাসী আইন অনুসারে তা হলো আট ভাগের একভাগের এক চতুর্থাংশ)-এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল আশি হাজার দিনার।”

ইসলাম এই ধন-সম্পদকে নিষিদ্ধ করেনি এবং এর বৃদ্ধির পথও রুদ্ধ করেনি। কেননা তা কারো ক্ষতি করা বা নিজে ক্ষতির শিকার হওয়া ব্যতীত হালাল উপায়ে অর্জিত হয়েছে এবং কৃপণতা ও অপব্যয় ব্যতীত সঠিক খাতে খরচ হয়েছে।

আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) একবার চল্লিশ হাজার দিনারের বিনিময়ে এক খণ্ড জমি ক্রয় করেন, অতপর তা তাঁর বনী যাহরা গোত্রীয় আত্মীয়-স্বজন, দরিদ্র মুসলিমগণ ও উম্মাহাতুল মুমিনীনদের মাঝে বণ্টন করে দেন।”

শাম থেকে মদীনায় একটি উটের কাফেলা আসলো। এতে ছিলো সাতশত উষ্ট্রবাহন। এগুলির মালিক ছিলেন হযরত আব্দুর রহমান বিন আওফ (রাঃ)। এগুলিতে অনেক ধন-সম্পদ ছিল। আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) এই সকল বাহন ও এগুলিতে বহনকৃত সকল সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিলেন, এবং মৃত্যুর পূর্বে তিনি পঞ্চাশ হাজার দিনার আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার জন্য এবং বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জীবিত প্রত্যেক সাহাবীর জন্য চারশ দিনার করে দেয়ার জন্য ওয়াসিয়্যাত করে যান। এর পূর্বেও তিনি অনেক দান-সাদাকাহ করেছেন, আর ফরয যাকাত ও করণীয় খরচ তো করেছেনই। সুতরাং এ ধরনের সম্পদই হলো উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে উপযুক্ত সম্পদ। কতইনা উত্তম সম্পদ! কতই না উত্তম মালিক!

ইসলাম প্রত্যেকের জন্য মালিকানা লাভ করার অনুমতি দেয়, বরং তাকে মালিকানা লাভ করতে আহ্বান জানায়, তার মালিকানা স্বত্বকে রক্ষা করে এবং পরবর্তীতে তাঁর বংশধরদেরকে এর উত্তরাধিকারী করে এবং এর মাধ্যমে অনবরত প্রচেষ্টা চালানোর ও কঠোর পরিশ্রমের জোরালো উদ্দীপনা জোগায়, যাতে ব্যক্তি যখনই মালিকানার স্বাদ গ্রহণ করে তখনই তার মাঝে কর্তৃত্ববোধ ও সম্মানবোধ সৃষ্টি হয়।

ইসলাম মানুষকে রাষ্ট্রের গোলামে পরিণত করেনি যে রাষ্ট্রের উপর মুষ্টিমেয় কিছু লোক ছড়ি ঘুরায়, মানুষকে দাসত্বের মাধ্যমে অবজ্ঞা করে, ধর্ম ও চরিত্রকে ধ্বংস করে। যেখানে এর প্রতিবাদ করারও কোন সুযোগ নেই। কারণ সেখানে রাষ্ট্রই সবকিছুর মালিক, সাধারণ মানুষ কোন কিছুরই মালিক নয়।

ব্যক্তিমালিকানা ও এর রক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামের যে নির্দেশান রয়েছে তার মধ্যে মুসলিম উম্মাহর সার্বিক অর্থনীতির কল্যাণ নিহিত রয়েছে। কারণ একথা প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্যক্তিগত উদ্দীপনাই অধিক পরিমাণ উৎপাদন নিশ্চিত করে, সামষ্টিক সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠানে যা হয় না। ব্যক্তিমালিকানার প্রেরণা থেকে উৎসারিত উদ্দীপনা ও নজরদারী না থাকার কারণে এতে উৎপাদন কমে যায়।

তাছাড়াও ইসলাম ব্যক্তিমালিকানা সংরণের জন্য দু’টি শর্ত প্রদান করেঃ
১. এই মালিকানা শারী‘আহ্সম্মত পন্থায় বৈধ উপায়ে অর্জিত হতে হবে নতুবা ইসলাম তাঁর স্বীকৃতি প্রদান করে না, যদিও অন্যায়ভাবে অর্জনকারীর নিকট এই মালিকানা বহুকাল পর্যন্ত থাকে। এখানে ইসলামের শারী‘আহ্ মানবরচিত বিধানের চেয়ে ভিন্ন ধরনের। কারণ মানব রচিত বিধান একটি নিষিদ্ধ সময় পার হওয়ার পরে নিষিদ্ধ মালিকানাকে স্বীকৃতি দেয় যেমন পনের বছর বা এ ধরনের কোন সময়। ইসলামের দর্শন হলো, কালের বিবর্তন অকাট্য ও স্বীকৃত হারামকে হালালে পরিণত করে না।

২. ব্যক্তিমালিকানা সমাজের সাধারণ স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। সাংঘর্ষিক হলে তা মালিকের সন্তুষ্টিতে বা অসন্তুষ্টিতে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিয়ে নেয়া হবে এবং তাকে ন্যায়ানুগ ক্ষতিপুরণ দেয়া হবে। কেননা সমষ্টির স্বার্থ ব্যক্তির স্বার্থের চেয়ে অগ্রগণ্য।

উমার বিন খাত্তাব (রা)-এর যুগে একটি ঘটনা ঘটেছে। যখন আল-মাসজিদুল হারামে লোকসংখ্যা বেড়ে গেল এবং স্থান সংকুলান হচ্ছিল না তখন তিনি তাকে সম্প্রসারণের ইচ্ছা করেন এবং মসজিদ সংলগ্ন কিছু বাড়ি কিনে নেন। অন্যান্য বাড়ির মালিকেরা তাদের বাড়ি বিক্রয়ে অসম্মতি জানালো এবং তাতে অটল রইলো। অতঃপর উমার (রা) তা জোর করে দখল করলেন এবং মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করলেন। আর এসব বাড়ির মূল্য কাবা শরীফের ফান্ডে জমা রাখলেন যাতে মালিকগণ তা নিয়ে নিতে পারে। উসমান (রা)-এর সময়েও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

এমনিভাবে হাসপাতাল, শিক্ষালয়, এতিমখানা, আশ্রয় কেন্দ্র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের কোন নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট মালিক তা বিক্রি করতে অসম্মতি জানাতে পারবে না। যদি অসম্মত হয় তাহলে কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সরকার তাকে তা বিক্রি করতে বাধ্য করতে পারবে।

সূতরাং সৎপথে অঢেল সম্পদ আহরনের চেষ্টায় কোন অন্যায় নেই। আপনি যে কোন পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে পারেন। তাবে সম্পদ অর্জনের উপায় হতে হবে হালাল ও অনুমোদিত। হারাম উপায়ে সম্পদ আহরণ করা যাবে না। আবার সম্পদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম মেনে চলতে হবে এবং সম্পদের যাকাত আদায় করতে হবে এবং সম্পদে অভাবী, ভিক্ষাপ্রার্থী ও বঞ্চিত মানুষের হক থাকতে হবে। অধিক সম্পদ আহরনের চেষ্টা যেন আল্লাহর পথ থেকে, দ্বীনি ফরজ, ওয়াজিব থেকে বিরত না করে ফেলে এবং সম্পদের প্রাচুর্য যেন ভোগ-বিলাস ও হারাম পথে নিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়েও সদা সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।


মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৬/-১২

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২৭

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: পোস্ট করার সাথে সাথে মাইনাস দিলেন কে ভাই? আগে পড়ুন তার পর মাইনাস -প্লাস যা মন চায় দিন। কি ইসলামের নাম শুনলে গাঁয় জ্বালা ধরে?

২| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩১

তন্ময় হাসান বলেছেন: ২য়। পড়ে, বুঝে।

৩| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: যে সময়ের মধ্যে মাইনাসটি দেয়া হয়েছে সে এক দুই মিনিটে লেখাটি বুঝে পড়া অসম্ভব। তবে আপনার স্বাধীনতা আছে । পারলে আরও মাইনাস দেন। আপনার বন্ধুদেরকে ডেকে সিনডিকেট করেন।

৪| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৬

আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট বলেছেন: ম্লেচ্ছর ঘরে জন্মানো মোনাফেক গুলোর তো গাত্রদাহ হইবেই।

১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: কুরআনের শিক্ষা হলো কাউকে গালি দেয়া যাবে না। কুরআন বলছে: ''ইদফা' বিল্লাতি হিয়া আহসান'' অথ্যাৎ ''প্রতিউত্তর দাও সুন্দরভাবে বা সুন্দর ভাষায়''। এমনকি মূর্তিকেও গালি দেয়া যাবে না। সুতরাং এ ধরনের ভাষা ব্যবহার না করাই ভাল।

৫| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯

তন্ময় হাসান বলেছেন: আলেকজান্ডার ড্রেনপাইপ বলেছেন: ম্লেচ্ছর ঘরে জন্মানো মোনাফেক গুলোর তো গাত্রদাহ হইবেই।

১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: কুরআনের শিক্ষা হলো কাউকে গালি দেয়া যাবে না। কুরআন বলছে: ''ইদফা' বিল্লাতি হিয়া আহসান'' অথ্যাৎ ''প্রতিউত্তর দাও সুন্দরভাবে বা সুন্দর ভাষায়''। এমনকি মূর্তিকেও গালি দেয়া যাবে না। সুতরাং এ ধরনের ভাষা ব্যবহার না করাই ভাল।

৬| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪০

বিশ্বাসের ফেরিওওয়ালা বলেছেন: চমৎকার। তথ্যমুলক। অনেক কিছু জানলাম। সম্পদ উপার্জনের বিষয়েও ইসলামে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে তা জানতাম না। আমরা তো জেনেছি গরীব থাকলে বেশী ফজিলত। যদিও ইসলামের দৃষ্টিতে সামর্থ্য থাকা সত্বেও আয়-উপার্জনের জন্য চেষ্টা না করা এক ধরনের পাপ ও নিন্দনীয় ব্যাপার। ধন্যবাদ

৭| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

অলস ছেলে বলেছেন: পোষ্টে +

অনেক শুনেছি তবে ডেনড্রাইট সাহেবকে আগে কভু দেখিনিতো আর............. মন্তব্য দেখে মজা পেলাম।

৮| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

দ্বিধা বলেছেন: "কৃতদাস মালিক হয় না, স্বাধীন ব্যক্তিই মালিক হতে পারে বরং তা মানবতার বৈশিষ্ট্য"

বুঝলামনা, 'কৃতদাস' আসল কোথায় থেকে!!!

১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: কি বুঝলেন? না বুঝে বুঝলেন নাকি বুঝে বুঝলেন। ইসলামই প্রথম কৃতদাসদের অধিকার রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। বলেছে তারা তোমাদেরই মত মানুষ......... ইসলামের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে পরববর্তীতে বিশ্ব থেকে বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব থেকে কৃতদাস প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু আমেরিকানরা কৃতদাসদের প্রতি যে পশুসুলভ আচরন করেছে তা বিশ্বের ইতিহাসে আর কেউ করেনি। আরো জানতে হবে ভাই........

৯| ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫১

তানহা তাবাসসুম বলেছেন: ++ plus ++

১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ব্লগে নিয়মিত দেখা যায়। লিখতে থাকুন সত্য, ন্যায় ও মানবতার জন্য। শুভ কামনা।

১০| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:০২

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: +++++++++++++

১১| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১১

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: কোন্‌ আর সম্পদের কত অংশ যাকাত আদায় বাধ্যতামূলক এবং বাস্তব জীবনে ধনী মুসলিমরা কি কি অজুহাতে এইটা avoid করার সুযোগ পাচ্ছে তার একটা বিশ্লেষন দিবেন?

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: সবাই তো জানে যে বছরে আড়াই পার্সেন্ট হারে যাকাত দেয়া ফরজ। অবশ্য বিস্তারিত বর্ণনা করার সুযোগ এই মূহুর্তে নেই। পরবর্তীতে চেষ্টা যেতে পারে। কোন অজুহাতে যাকাত ফঁকি দেয়ার সুযোগ নেই, যদি কেউ নিজেকে মুসলিম মনে করে। যাকাত কোন দয়া বা করুণা নয় এটি দরিদ্র, অসহায়, .................দের অধিকার যা চাওয়ার আগেই দিতে হবে।

১২| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬

তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: লেখক বলেছেন:"সাদ বিন রাবী তাঁকে নিজের সম্পদের অর্ধাংশ দিয়ে দিলেন এবং নিজের দু’জন স্ত্রীর একজনকে তালাক দিলেন যাতে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) তাকে বিয়ে করতে পারেন"

???????????????????

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: এটি একটি সত্যি ঘটনা। হিজরতের পর মদীনার আনসার সাহাবীগন নবাগত নি:স্ব মুহাজিরদের জন্য তাদের ঘর-বাড়ী, সম্পদ এমনকি একাধিক স্ত্রী থেকে থাকলে তাও ভাগ করে দিয়েছিলেন। আনসারদের এতবড় মহানুভবতার উদাহরন পৃথিবীর ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

১৩| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬

ফারহানা আহমেদ বলেছেন: "কৃতদাস মালিক হয় না, স্বাধীন ব্যক্তিই মালিক হতে পারে" এই লাইনের সাথে "ইসলাম প্রত্যেকের জন্য মালিকানা লাভ করার অনুমতি দেয়" লাইনটি কন্ট্রাডিক্টরী হয়ে গেলো না?

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২১

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা ইসলামের কৃতদাস পলিসি এমন ভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে কৃতদাস প্রথা অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব। এবং এখন আমরা তাই দেখছি। এখন তো পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষই স্বাধীন। তাই নয় কি?

১৪| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮

ফারহানা আহমেদ বলেছেন: উপরের কমেন্টের সাপ্লিমেন্ট: "কৃতদাস মালিক হয় না, স্বাধীন ব্যক্তিই মালিক হতে পারে বরং তা মানবতার বৈশিষ্ট্য"------ইসলাম কি তাহলে কৃতদাসকে মানুষ মনে করে না?

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: ভেবে দেখলাম যে ভুলটি আমারই হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কৃতদাসও মালিক হতে পারে। লিখাটি মডিফাই করা হলো।

১৫| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: সবাই তো জানে যে বছরে আড়াই পার্সেন্ট হারে যাকাত দেয়া ফরজ।

কোন্‌ ধরনের সম্পদের উপর ২.৫%?

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি যাকাতের বিষয়ে বিস্তারিত এই পরিসরে লিখার অবকাশ নেই। বিস্তারিত জানার জন্য আপনি ''ইসলামঅনলাইন.নেট'' এ যেতে পারেন:

১৬| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু ধন্যবাদ+

১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৮

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১৭| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৮

সুবীর বোস বলেছেন: ভালো লাগল।

"যাকাত" আর "ফেতরা" (বানানটা কি ঠিক লিখলাম? কে জান..) নিয়ে আরো কিছু জানার ইচ্ছে রইল...

ভালো থাকুন...

১০ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৪

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: যাকাত হলো মুসলিমদের সম্পদের উপর আরোপিত এক ধরনের বাধ্যতামূলক দান যা অসহায়-দরিদ্র সহ নয়টি খাতে ব্যয় করতে হয়। বছরের প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে কারো নিকট যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা ৫২ তোলা রৌপ্যের মূল্য পরিমাণ অর্থ-সম্পদ এক বছর কাল সঞ্চিত থাকে তাহলে তাকে আড়াই পার্সেন্ট হারে দান করতে হয়। একেই যাকাত বলে। এ বিষয়টি ভালভাবে বুঝার জন্য ইসলামী ফিকহ এর গ্রন্থ দেখতে পারেন।
আর ফিতরা হলো ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজের পূর্বে গরীব দু:খীদের খাবার দাবার এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ দান করা। এটি মুসলিম পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পক্ষ থেকে পরিবারের প্রধান আদায় করে থাকেন।

১৮| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:২৩

বিবেক হীন বলেছেন: লেখক বলেছেন:"সাদ বিন রাবী তাঁকে নিজের সম্পদের অর্ধাংশ দিয়ে দিলেন এবং নিজের দু’জন স্ত্রীর একজনকে তালাক দিলেন যাতে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা) তাকে বিয়ে করতে পারেন"

???????????????????

ঘটনাটা কি সত্যি? সত্যই যদি হয় তাহলে এই যেনে কষ্ট পেলাম যে মেয়েটার ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন মূল্য ছিলনা। এসব ব্যাপারে মাঝে মাঝে খুব হতাশায় ভুগি।

১০ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: মেয়েটির ইচ্ছা অনিচ্ছার মূল্য ছিল না এটা আপনি বুঝলেন কিভাবে? মুসলিম পূরুষেরা স্ত্রীদের মতামতের মূল্য দিতে বাধ্য । এটা নবীর শিক্ষা। সে সময়ের পরিস্থিতি এমন ছিল যে পূরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সেক্রিফাইস করতে প্রস্তুত ছিলেন। বেশী না বুঝাই ভাল।

১৯| ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:৩৩

ষ্টুপিড বলেছেন: অসাধারন লেখা। পোষ্টে প্লাস।

এনিওয়ে, সম্পদ ভাগা-ভাগির কথা তো কম্যুনিষ্টরাও বলে। তাইলে ওদেরকে খারাপ বিশেষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেন!!!!!!

২০| ১০ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২

মানুষ বলেছেন: মরে গেলে তো সব গেল। কি লাভ!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: মরে গেলেও আখিরাত তো আছেই।

২১| ১০ ই জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:১৪

বিবেক হীন বলেছেন: "বেশী না বুঝাই ভাল" , ভাল বলসেন। এই না হলে মুসলমান? আমি আপনাকে হার্ট করে কিসু বলিনাই, কিন্তু আপনি আমাকে হার্ট করলেন!


লেখক বলেছেনঃ কুরআনের শিক্ষা হলো কাউকে গালি দেয়া যাবে না। কুরআন বলছে: ''ইদফা' বিল্লাতি হিয়া আহসান'' অথ্যাৎ ''প্রতিউত্তর দাও সুন্দরভাবে বা সুন্দর ভাষায়''। এমনকি মূর্তিকেও গালি দেয়া যাবে না। সুতরাং এ ধরনের ভাষা ব্যবহার না করাই ভাল।


"হিজরতের পর মদীনার আনসার সাহাবীগন নবাগত নি:স্ব মুহাজিরদের জন্য তাদের ঘর-বাড়ী, সম্পদ এমনকি একাধিক স্ত্রী থেকে থাকলে তাও ভাগ করে দিয়েছিলেন।"- এই ব্যাপারটায় মেয়েগুলোকে পন্যের কাতারে নামিয়ে আনা হলোনা???????? আপনার লজিক কি বলে??????




১১ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩১

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: না, পণ্যের কাতারে নামানো হয়নি। আমার লজিক তাই বলে। কারন কোন নারী যদি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে রাজী না হত তাহলে তাকে জোর করে বাধ্য করা হত না। রাসূলের সময় এমন প্রমাণ নেই। যা হয়েছে তা মিউচুয়্যাল এর মাধ্যমেই হয়েছে। রাসূল সা. এর সময়ে নারীর অধিকার এখনকার সময়ের নারীদের অধিকারের চেয়ে খারাপ ছিল না। রাসূল সা. বলেছেন, কোন নারীকে তার অনুমতি ছাড়া তার বাবা-মা বিয়ে দিতে পারবে না। এতে কি বুঝা যায়। আপনি আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে লজিক কাজে লাগাতে পারেন না। ইসলামের নারীর অধিকার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে মন্তব্য করলে ভুলের সম্ভাবনা কম থাকবে। ধন্যবাদ।

২২| ১২ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

শেখ সাহেব বলেছেন: আপনার লেখায় পাঠকের খোরাক আছে। চালিয়ে যান। শুভকামনা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: দোয়া করবেন। ধন্যবাদ

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩১

এস এইচ খান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইদানিং আপনার লেখা খুব কম দেখছি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১

েমাহাম্মদ িমজানুর রহমান বলেছেন: পেশাগত কাজ আর গবেষণা নিয়ে খুবই ব্যস্ত থাকি। সময় কম পাই। তবুও চেষ্টা করব আরও সময় দিতে। ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.