নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জীবন যুদ্ধে পরাজিত একজন ব্যর্থ সৈনিক
আজ জন্মদিন তোমার। শুধু তোমারি নয় আমার জন্যও বিশেষ একটি দিন। তোমায় কি উপহার দিবো না দিবো ভেবে কূল-কিনারা করতে পারছিলাম না। কিভাবে করব, আমি তো নিরেট অপদার্থ একটা। জাগতিক বিষয় সর্ম্পকে জ্ঞানবোধ নেই বললেই চলে আমার। কাকে, কিভাবে, কি উপহার দিলে সে খুশি হবে সে সাধারণ জ্ঞান টাই যে আমার নেই। শুধু থাকি তো নিজেকে নিয়ে আর তোমার স্বপ্ন দেখে নিজের দিন কাঁটাই আপন মনে।
অনেক ভেবে চিন্তে স্থির করলাম কিছুই দিবো না। হ্যাঁ, বলতে পারো এজন্য চিন্তা ভাবনার কি আছে। সোজা কথা দিবো না বললেই পারতাম তাই না। তবে তেমনটি কিছুই না। আসলে কি দিবো সেটা নিয়েই তো সন্দিহান এজন্য। জানি আমার দেয়া যে কোন কিছুই তুমি সাদরে গ্রহণ করবে। কিন্তু সমস্যা টা আমি দিবো টাই কি ঐটাই নির্বাচন করতে পারি নাই। সে যাই হোক, উপহার না হয় না দিলাম কিন্তু ভালবাসার কমতি তো হবে না কোনদিন।
এজন্য একটা উপায় বের করেছি। এখন বিরক্তির সুরে বলতে পারো যে কি এমন উপায় যা তোমার মনকে জয় করবে। আসলে তেমন বিশেষ কিছুই না। এই উদ্ভট নিউরনের কোন এক অজানা প্রান্ত থেকে উপায়টা এসেছে আর কি।
আমার কাছে তোমার আগমনী ছিলো দেবীর মত। আমার মনে দেবী রূপে অধিষ্ঠিত করেছিলাম তোমায়। মনের রূপমঞ্জুরী রূপে তুমি বসবাস করতে আমার মনের চারিপাশ জুড়ে। আমি ছিলাম তোমার পূজারী, যে তোমার ভালবাসার পূজায় মগ্ন থাকতাম সারাদিন। আমি ছিলাম তোমার বাধ্যগত। তোমার মুখের হাসি দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতাম আমি। কখন তোমার সেই গগণ ভুলানো হাসি দেখে পাগল হব আমি। তোমার সৌর্ন্দয্যের মন্ত্রমুগ্ধতায় আমি তো ছিলাম এমনিতেই বিমুগ্ধ।
তার উপরে, তোমার প্রেমময় অপলক দৃষ্টি যা আমার হৃদয়কে হরণ করেছে। তোমার অপার সৌর্ন্দয্যের কাছে আমি ছিলাম একবারে নগণ্য এক মানব। আমার ভালবাসাই ছিলো, তোমার প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন। তোমার প্রতি আমার সর্মপণ ছিলো আমার অপার ভক্তি। আর তোমার থেকে প্রাপ্ত ভালবাসা ছিলো আমার কাছে প্রসাদস্বরূপ। তাই তোমার জন্মদিনে বিশেষ কিছু দেয়ার ছিলো না। যা ছিলো, আমার অর্ঘ্য, আমার সর্মপণ, আমার বিশ্বাস আর অসীম ভালবাসা।
তুমি যখন আসবে তখন তোমাকে একটা অনুরোধ করবো। জানি তো প্রথমেই তো ভিমড়ি খেয়ে উঠবে আমার অনুরোধ শুনে। বেশি না, তোমাকে বলব যে পা থেকে তোমার জুতা গুলো খুলে তোমার পদযুগল উপরে উঠিয়ে বস। তুমি বসার পর তোমার চরণে দুটি সাদা গোলাপ রেখে আমি আমার অর্ঘ্য নিবেদন করবো। হয়ত বা খানিক বিস্মিত হতে পারো। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু যে আমার দেয়ার নেই।
নিবেদিত ফুল গুলো ফুল নয়, আমার হৃদয়ের খন্ডিত টুকরো বলতে পারো। যা তোমাকে অর্পণ করলাম আমি। গ্রহণ করা বা না করাটা একান্তই তোমার ব্যাপার। আমি শুধু এতটুকু বিশ্বাস করি, আমি আমার সমস্ত বিশ্বাস, ভালবাসাকে একত্রিত করে তোমাকে এই অর্ঘ্য নিবেদন করেছি। গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করো হে দেবী। অনুরোধ রইলো তোমার প্রতি।
তুমি বলবে এই সব আদিক্ষেতা দেখানোর কি দরকার ছিলো। আসলে জানো তো আমি একটু উদ্ভট প্রকারের মানব। আমার কাছে কোন উপায় ছিলো না যা দিয়ে দেবী তুষ্ট করবো তোমায়। আদিক্ষেতা কিনা জানি না, তবে এ দিয়েই আমি করবো তোমার প্রতি আমার পূজা সমাপন।
আমার মনের আরাধ্য দেবী তুমি,
তোমাকে নিয়ে মগ্ন থাকি আমি,
তোমার প্রতি রইল আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী, তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।
ভক্তি নিয়ে তোমার করেছি অর্ঘ্য নিবেদন,
সারাটি জীবন রবে আমাদের এই অটুঁট বন্ধন।
তোমার প্রতি রইলো আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।
মনে বাজছে আজ প্রশান্তির শঙ্খ ঘন্টা,
তোমাকে আমি অর্পন করেছি আমার এই মনটা।
তোমার প্রতি রইলো আমার ভালবাসার নিবেদন,
হে দেবী, তুমি সাদরে করিও গ্রহণ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: দাদা মনের আবেগ শুধুমাত্র। যেদিন পাবো সেদিন না হয় জানাবো ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২
কালীদাস বলেছেন: আখেনাটেনের সাথে সহমত; লেখাটা বেশ ফ্লুয়েন্ট। একটানে পড়ে ফেলেছি
চমৎকার।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৩
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা আপনার মন্তব্যের জন্য
৩| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০০
কাইকর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।ভাল লাগলো
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৪| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:২১
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: টাচি।
২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৫
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: সুন্দর। নতুন ব্লগার হিসেবে আমার ব্লগে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইল।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৬
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই ভাই
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: বাহ! তারপর বলুন আপনার কি খবর?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ আছি দৌঁড়ের উপ্রে
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৯
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: দৌড়ের উপর থাকাতো খুব ভালো, বিশেষ করে স্বাস্থ্যের জন্য।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: যখন আর কোন কিছুই হারানোর থাকে না তখন নিজের একাকীত্বই বড় সঙ্গী হয়ে থাকে। আর তাকে নিয়ে পথ চলতে হয় অনেক সময় দৌঁড়াতে হয়।
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি স্যার ঠিক বলেছেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬
আবু মুহাম্মদ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।ভাল লাগলো
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৭
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০২
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ ঝরঝরে লেখা।
এখন আপনার ভালোবাসার নিবেদন দেবী গ্রহণ করলেই হয়।