![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ রাজাকার হয়ে জন্মায়নি । বিবেক- বুদ্ধির পরিপূর্ণতা অর্জনের পর সচেতনভাবেই দেশবিরোধীতার মূলমন্ত্রটি গ্রহণ করেছিলেন নিজামী-কাদের মোল্লা- গোলাম আজমেরা। বুঝে -শুনেই তারা রাজাকার হয়ে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিলেন। শুধু তাই নয় স্বাধীনতা অর্জনের ৪২ বছর পরেও তারা বাঙলাদেশের স্বাধীনতা - সার্বভৌমত্বকে মেনে নেয়নি। উল্টো এদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার বহি:প্রকাশ ঘটাতে ব্যাপক অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলো । এই অপতৎরতা আর দেশপ্রেমহীন বিভ্রান্ত মতবাদকে চিরস্থায়ী করতে শিবির নামক এক দানবচক্রের বীজ বুনে রেখে গেছে। শিবির নামক এই দানবদের পৃষ্টপোষকতার জন্য দেশ- বিদেশের অর্থ লুট করে গড়ে তুলেছেন নানা আয়বর্ধক বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হলো,একটি দেশ, একটি জাতির সঙ্গে এমন সুদীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত বেঈমানি, হত্যা, নৃসংশতা কি ক্ষমাযোগ্য অপরাধ ? জামায়াত যদি ইসলামী দল হয় তবে কেন তারা এই দলটাকে একটা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে ? নবীপাক (সা.) তো ইসলাম প্রতিস্ঠার জন্য ধন-সম্পদের দিকে নজর দেননি। বরং ধনবানদের ইসলাম গ্রহণের পর তাদের ধন-সম্পদ মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারক সূফী- সাধকেরাও তো এমন কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন নি। তাহলে জামায়াত এসব আর্থিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে কার স্বার্থে ? নিশ্চয়ই দেশ, মানুষ, মানবতার স্বার্থে নয়। একথা তো সত্যি যে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার কিছু নেই। এটা শ্বাশত যে এটা নবীপাকের হাতেই প্রতিষ্ঠিত। আর এ জন্য অর্থ - বিত্তের দরকার কোনকালেই ছিলোনা এবং এখনো নেই। কেননা, ধর্ম শুধুমাত্রই মানুষের মৌলিক বিশ্বসের ভিত্তি। সেই ভিত্তি নির্মাণের জন্য নিশ্চয়ই অর্থ আর জোরজবরদস্তির কোন সুযোগ নেই। অর্থের প্রয়োজন আছে অস্ত্র, ক্যাডার আর যুদ্ধ পরিচালনার জন্য। জামায়াত - শিবির ৪২ বছর ধরে এমন একটি যুদ্ধেরই প্রস্তুতি নিচ্ছিল আমাদের উদাসীনতার সুযোগে। কথিত ধর্মযুদ্ধের ধুয়া তুলে প্রগতিশীল চেতনার মর্মমূলকে উৎপাটন করাই হলো এই যুদ্ধের উদ্দেশ্য। কিন্তু্ এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিলো যে ৭১ আর ২০১৩ এক নয়। এই প্রজন্মের তরুনেরা ত্বরিৎ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সেটা অকল্পনীয় ছিলো তাদের।
আজ চাঁদপুরে জাতীয় পতাকা ছিড়ে উল্লাস করলো শিবির নেতারা। সারাদেশে পাঁচটি শহীদ মিনার ভেঙে ফেলেছে জামায়াত -শিবির। বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের নামাজ পড়ার কার্পেটের আগুন দেওয়া মসজিদের টাইলস ভেঙে পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করার মত জঘন্য কাজ করেছে আজ এই ধর্ম ব্যবসায়ী চক্র। সারাদেশে গুলি -বোমাবাজী আর ভয়াবহ তান্ডবে আবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি জামাত -শিবির চক্র চরম ক্রোধ দেখালো। ৭১ এর পরাজয়ে তাদের মনে এই দেশ ও মুক্তিকামী মানুষের প্রতি তাদের কত ক্রোধ তার প্রকাশ পেল আজ। মূলত আজেকর এই তান্ডেবর মধ্যদিয়ে জামাতিদের সেই কুৎসিৎ ধর্ম ব্যবসায়ী চেহারাটা উন্মোচন হয়ে গেছে । তাই আর ক্ষমা নয় এখন ওদের তল্পি গুটানোর সময় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত +++++++++