![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্লিজ, নছিহত ভাববেন না, নিছক মতামত
আমাদের দেশের গণমাধ্যম ও আবহাওয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞদের আচরণে বিষ্ময় লাগে। গত তিন-চার দিন ধরে আবহাওয়ার বুলেটিনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা এই তিনটি বন্দরের অবস্থান থেকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের দূরত্ব ঘোষণা করা হচ্ছিল। শুরু থেকেই দেখা গেছে, এই তিনটি বন্দরের মধ্যে মংলা থেকে মহাসেন কাছাকাছি অবস্থান করছিলো। তার মানে এটি দক্ষিণ উপকূলের জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশালের ওপর আঘাত হানবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বার বার বলে আসছিলেন এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আঘাত করবে। আর অমনি আমাদের গণমাধ্যমের কর্মীরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন । দেশের গোটা প্রশাসনিক দৃষ্টি এখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। আর এ কারণে বরগুনাসহ অন্য জেলাগুলো ঝুঁকিগ্রস্ত বাসিন্দারা বিভ্রান্ত হয়েছেন এবং তারা মনে করছেন এটা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজাওে আঘাত হানবে। এই এলাকায় কিছুই হবে না। তাই অনেকেই তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। অথচ আজ বুধবার দুপুরের দিকে বলা হলো, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন প্রথমে আঘাত করবে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া। আর খেপুপাড়া আঘাত করলে এর সীমান্তবর্তী জেলা বরগুনায় তার প্রভাব পড়বে শতভাগ। বরগুনা, পটুয়াখালী , ভোলা এই তিন জেলা হবে এই ঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞের কেন্দ্রবিন্দু। কারণ, ঝড়টি প্রথমে যাবে খেপুপাড়া, বরগুনা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে। তখন তার যে শক্তি থাকবে তা এখান থেকে ২০০-৩০০ কিলোমিটার দূরত্বেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে গিয়ে থাকবে না। অথচ এখনো দেশের গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে মহাসেন আঘাত করবে এমন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এই তথ্যের পেছনে না আছে যুক্তি না আছে বাস্তবতা। এটাকে কি বলা যায়, আমাদের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা , অজ্ঞতা নাকি অন্যকিছু ? আমরা দেখেছি ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময়েও একইভাবে কিছু গণমাধ্যম সাউথখালীকে বেশী গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু সিডওে সবচেয়ে বেশী ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে উপক’লীয় জেলা বরগুনায়। সিডওে সারাদেশে যেখানে তিন হাজার ৩৫০ প্রাণ হারায় তারমধ্যে বরগুনায় প্রাণ হারায় এক হাজার ৬০০ লোক। অথচ সাউথখালীকে গণমাধ্যম হাইলাইট করায় বরগুনায় লাখ লাখ অনাহারি মানুষের মাঝে ত্রাণ পৌঁছাতে এক সপ্তাহের বেশী সময় লেগেছিলো। আমাদেও গণমাধ্যম আজকের প্রেক্ষাপটে অনেক এগিয়েছে। মানুষ, প্রশাসন এদের কথা বিশ্বাস করে। এজন্য গণমাধ্যমের আরো বেশী দায়িত্বশীল, যুক্তিযুক্ত, সত্যনিষ্ঠ হওয়া বাঞ্ছনীয়। না হয় গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের উচ্চাশা হতাশায় পরিণত হবে।
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০১
এম জসীম বলেছেন: ভাই, , আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষদের ঘুমোবার মতো অবস্থান গতরাতে ছিলোনা। জানি না আপনি দেশের কোন প্রান্তে আছেন। কীভাবে , আছেন। নিশ্চয়ই আপনি নিরাপদে আছেন । নিরাপদে থাকেন সে কামনাই করি । ভাই , আমি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই। বস্তুত, একজন সাধারণ মানুষের জ্ঞান নিশ্চয়ই একজন বিশেষজ্ঞের জ্ঞানের ধারে কাছেও থাকে না। আমার বিশ্বাস আপনি আবহাওয়া, ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু এসব বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন্। কিন্তু আমি আমার খুব অল্পবিদ্যা থেকে বিষয়টি অনুধাবন করে এই বিষয়ে আমার মতামত দিয়েছি। আসলে আপনাদের মতো জ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা যদি আমাদের মতো মাঠে খেটে খাওয়া মানুষদের মতামতগুলোকে নিদেন পক্ষে একটু ভাবতেন অথবা ভাবার চেষ্টা করতেন তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা কমে যেত। দেখুন কাল আমি আবাঙাল মানুষ যে আশঙ্কাটি করেছিলাম আজ মহাসেনের পরিণতি কিন্তু তাই হলো। ভূগোল বিষয়ে নিশ্চয়ই আপনি পারঙ্গম। দেখবেন, বাংলাদেশের দক্ষিণপ্রান্তে আছে পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়া । আশাকরি বাংলাদেশের মানচিত্রে এই জায়গাটির অস্বিস্ত ছোট করে হলেও আছে। খেপুপাড়ার বর্তমান নাম কলাপাড়া। এই কলাপাড়া উপজেলাটির অবস্থান পাশেই বরগুনা জেলার পেটের মধ্যে। যখন স্পষ্ট হলো মহাসেন কলাপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে সেখান থেকে আঘাত করবে তখন যুক্তিযুক্তভাবেই বোঝা উচিৎ উৎপত্তিস্থলে শক্তির মাত্রাটা কেমন হবে। তারপরে সেটি যাবে ২০০-২৫০ মাইল দূরত্বে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার। তাহলে নিশ্চয়ই মহাসেনের গতি খেপুপাড়ার গতিতে থাকবে না ! আসলে তাই হলো আজ। বরগুনায় ঘন্টায় ১০০ কিমি গতিতে হামলে পড়লো মহাসেন। প্রাণ গেল সাত জনের। দুই হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত হলো, লাখ খাখ গাছ উপড়ে পড়লো। বরগুনা এখন ধ্বংস¯ত’পের ওপর দাঁড়িয়ে। আর শেষ পর্যন্ত যেতে যেতে মহাসেন শক্তি হারালো মেঘনামুখে। আপনার অবগতির জন্য বলি, গতকাল পর্যন্ত দেশের স¤প্রচার ও গণমাধ্যমগুলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে মহাসেনের লক্ষবস্তু হিসেবে প্রচার করায় বরগুনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দরিদ্র মানুষেরা বার বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও কিন্তু আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। স¤প্রচার মাধ্যমের খবর ও লাইভ দেখে এ অঞ্চলের মানুষ ভেবেছিলো মহাসেন এই অঞ্চলে আঘাত হানবে না। ফলে আজ সকালে প্রচন্ড ঝোড়ো বাতাস আর তুমুল বর্ষনের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছিলো তখন হুড়োহুড়িতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গাছচাপা পড়্।ে আমরা এই অনাকাঙখিত মৃত্যুগুলো কিন্তু একটু দায়িত্বশীল হলে এড়াতে পারতাম, ভাই। আসলে সব সিষ্টেম তৈরি হয় বেশীরবাগ মানুষের সুরক্ষায় ও বোধগম্যতার মধ্যদিয়্। দেশের সংকেত ব্যবস্থা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ও ভূক্তভোগী মানুষের বোধগম্য না হয় তবে এই সংকেত ব্যবস্থার প্রয়োজন কি ? আশাকরি একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আপনি বিষয়টি ভাববেন । এতো কিছু লিখলাম।এটাকে অবশ্যই অন্যভাবেনিবেন না। কারণ আপনার কথার জবাব দেওয়ার জ্ঞান, ধৃষ্টতা কোনোটাই আমার নেই। ভাল থাকবেন। নিরন্তও শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬
জিয়া চৌধুরী বলেছেন: আপনি গোটা ব্যাপারটাই বুঝতে পারেননি। বাংলাদেশের ম্যাপ নিয়ে ঘূর্নিঝড়ের বর্তমান অবস্থান চিহ্নিত করুন। তারপর একটা রেখা টানুন বতর্মান অবস্থান থেকে চট্টগ্রামের উপর দিয়ে খাগড়াছড়ি পার হয়ে আসামের দিকে। তারপর একটা পেন্সিল কম্পাস নিয়ে ঐ রেখার যেকোন স্থান থেকে মাঝারি মানের বৃত্ত আকতে থাকুন। তারপরো যদি কিছু বুঝতে না পারেন দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ুন।