![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন কোন ব্যক্তি কোন ঘটনার মধ্যে, কোন অন্যায়কে দেখতে পায়,
তখন সেই ঘটনা তার হৃদয়কে তছনছ করে দেয়।
সমস্ত জগতকে সে নিজের শত্রুরূপে মনে করতে থাকে।
অন্যায় বলে মনে হওয়া সেই ঘটনা যত বড় হয়,
মানুষের হৃদয় ও কিন্তু ততই বিরোধিতা করতে থাকে।
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে ন্যায় দাবী করে।
আর এটা তো যোগ্য কথা-
বাস্তবিক সংসারে যেকোন রকমের অন্যায়,
ব্যক্তির আস্থা আর বিশ্বাষের বিনাশ করে।
কিন্তু এই ন্যায় কাকে বলে? ন্যায়ের অর্থ কি?
অন্যায় যে করেছে সে যদি অনুতপ্ত হয়,
আর যার উপড় অন্যায় হয়েছে তার মনে যদি আবার বিশ্বাষ জাগে সমাজের প্রতি,
তাকেই তো ন্যায় বলে।
কিন্তু যার হৃদয়ে ধৈর্যের স্থান নেই
সে ন্যায়ের পথ ছেড়ে দন্ড আর প্রতিশোধের পথ বেছে নেয়।
হিংসার বদলে প্রতিহিংসা নিয়ে সে এগিয়ে যায় ।
স্বয়ং যে পীড়া ভোগ করেছে তার চেয়ে অধিক পীড়া অপরকে দেয়ার প্রয়াস করে।
আর এই পথে চলতে গিয়ে যার উপড় অন্যায় হয়েছে
সে নিজে অন্যায় করে ফেলে, শিঘ্রই সে অপরাধী হয়ে যায়।
অর্থাৎ ন্যায় আর প্রতিশোধের মধ্যে ক্ষুদ্র পার্থক্য থাকে।
আর সে পার্থক্য এর নামই হল ধর্ম।
(মহাভারত থেকে সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.