নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন খুব আনন্দে থাকবেন তখন কোন কথা দিবেন না আর যখন খুব রাগান্বিত থাকবেন তখন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না, এতে পরবর্তীতে পঁচতাতে হয়,ধৈর্য ধরুন আর ক্ষমা করতে শিখুন।

এম এল হাসান

যাযাবর

এম এল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের গুরত্ব……

০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

রমজানের গুরুত্ব ও লাভঃ
হজরত সালমান (রাযি) বলেন,নবী কারীম (সা) সাবান মাসের শেষ তারিখে আমাদেরকে নসিহত করেছেন যে,
"তোমাদের উপর এমন এক রাত আসিতেছে, যাহা অত্যন্ত মর্যাদাশীল ও বরকতময়।
এই মাসে এমন একটি রাত (শবে কদর) রয়েছে,যা হাজার মাস হতে উত্তম।
আল্লাহ তায়ালা এই মাসে রোজা রাখাকে ফরজ করেছেন এবং এই মাসের রাত্রগুলিতে নামাজ (অর্থাৎ তারাবীহ) পড়াকে সওয়াবের কাজ করেছেন।
যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এই মাসে নফল এবাদত করে,সে যেন রমজানের বাহিরে একটি ফরজ আদায় করল।
আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোন ফরজ আদায় করল, সে যেন রমজানের বাহিরে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।
ইহা সবরের মাস আর সবরের বিনিময়ে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা জান্নাত রেখেছেন।
ইহা মানুষের সাথে সহানুভূতির মাস।
এই মাসে মুমিনের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, এই আমল তার জন্য গোনাহমাফী ও জাহান্নাম হতে মুক্তির কারণ হবে এবং সে রোজাদারের সমান সওয়াব পাবে।
কিন্তু রোজাদার ব্যক্তির সওয়াবের মধ্যে কোন কম করা হবে না।
সুবহানাল্লাহ্।
সাহাবায়ে কেরাম আরজ করিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্!
আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই তো এমন সামর্থ রাখে না যে, রোজাদারকে ইফতার করাতে পারে।
রাসূলুল্লাহ (সা) ফরমাইলেন, (পেট ভর্তি করে খাওয়াতে হবে না) এই সওয়াব তো আল্লাহ তায়ালা একটি খেজুর খাওয়ালে অথবা এক ঢোক পানি পান করালে অথবা এক চুমুক দুধ পান করালে দান করিবেন।
এটা এমন একটা মাস যে, যার প্রথম অংশে "আল্লাহর রহমত নাজিল হয়"
মধ্যের অংশে "গোনাহ মাফ করা হয়"
এবং শেষ অংশে জাহান্নাম হতে মুক্তি দেওয়া হয়।
যে ব্যক্তি এই মাসে শ্রমিক ও কর্মচারীদের কাজের বোঝা হালকা করে দেয়, আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেন এবং জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি দান করেন।
এই মাসে চারটি কাজ বেশী বেশী করতে থাক।
তন্মেদ্ধে দুটি কাজ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য আর দুটি কাজ এরুপ যা না করিয়া তোমাদের উপায় নাই।
প্রথম দুটি কাজ, যা দ্বারা আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করবে,তা হল,
অধিক পরিমানে কালিমায়ে তাইয়্যেবা (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্....) পড়িবে, এবং এস্তেগফার পড়িবে।
আর দুটি কাজ হল,
আল্লাহ তায়ালার নিকট জান্নাত পাওয়ার জন্য দুআ করবে এবং জাহান্নাম হতে মুক্তির জন্য দুআ করবে।
→যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তায়ালা (কেয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসার হতে এইরুপ পানি পান করাবেন এরপর জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত আর পিপাসা লাগবে না।
সুবহানাল্লাহ্
[৮৮৫,৯, তারগীবঃইবনে খুযাইমাহ,বাইহাকী,ইবনে হিব্বান]
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

রাঘব বোয়াল বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.