নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন খুব আনন্দে থাকবেন তখন কোন কথা দিবেন না আর যখন খুব রাগান্বিত থাকবেন তখন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না, এতে পরবর্তীতে পঁচতাতে হয়,ধৈর্য ধরুন আর ক্ষমা করতে শিখুন।

এম এল হাসান

যাযাবর

এম এল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

#একটি_শিক্ষনীয়_ঘটনা

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

কোনো এক সময়, কোনো এক গ্রামে, অনেক গুলি বাঁদর ছিল।
গ্রামের লোকেরা বাঁদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
এক দিন সেই গ্রামে এক অচেনা ব্যাক্তি এলো।
সেই লোকটি ঘোষণা করলো যে,
বাঁদর প্রতি 100 টাকা দামে গ্রামের সমস্ত বাঁদর
সে কিনে নিতে চায়।
গ্রামের লোকেরা ভাবলো লোকটি নিশ্চই পাগল, তা না হলে কেও কোনোদিন 100 টাকা দিয়ে বাঁদর কেনে..?
গ্রামের কিছু ছেলে ছোকরারা ভাবলো দেখাই
যাক না ব্যাপার খানা কি। তারা কিছু ভবঘুরে বাঁদর
ধরে লোকটির কাছে নিয়ে যাওয়াতে লোকটি 100 টাকা করে দাম দিয়ে সব বাঁদর কিনে নিলো।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগলো না। গ্রামের
লোকেরা দলে দলে বাঁদর ধরে আনতে লাগলো, আর 100 টাকা করে বিক্রি করে খুশি মনে বাড়ি ফিরে
গেল।
অল্প দিনের মধ্যে গ্রাম প্রায় বাঁদর শূন্য হয়ে গেল।
কিছুদিন পরে লোকটি ঘোষণা করলো বাঁদর পিছু
200 টাকা দাম দেওয়া হবে। অলস গ্রামবাসীরা
ছোটাছুটি করে বাকি বাঁদর গুলি ধরে লোকটির কাছে 200 টাকা দরে বিক্রি করলো।
এবার লোকটি ঘোষণা করলো এর পর বাঁদর ধরে
আনতে পারলে 500 টাকা করে দাম দেওয়া হবে।
এ কথা শোনা মাত্রই গ্রামের লোকেরা পাগলের
মতো নাওয়া খাওয়া ভুলে এ গ্রাম সে গ্রাম ছোটাছুটি
করে কোনো রকমে 5-7 টি বাঁদর ধরে লোকটির
কাছে বিক্রি করলো এবং মনের আনন্দে বাড়ি
ফিরে গেল, এবং অধির আগ্রহে পরবর্তী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলো।
কদিন পরে লোকটি ঘোষণা করলো সে এক
সপ্তাহের জন্য দেশে ফিরে যাচ্ছে এবং ফিরে এসে
আরো বাঁদর কিনবে এবং এবার 1000 টাকা দামে।
সে তার এক কর্মচারীর ওপর খাঁচা ভর্তি বাঁদর গুলির দেখাশোনার
দ্বায়িত্ব দিয়ে দেশে ফিরে গেল।
গ্রামের লোকেরা মনের আনন্দে হন্যে হয়ে বাঁদর
খুঁজতে লাগলো। কিন্তু আসে পাশের গ্রামে আর
একটিও বাঁদর ছিলনা, তখন তারা বিক্রি করা
বাঁদরের খাঁচার চার
পাশে ঘোরা ঘুরি করতে লাগলো এবং মনে মনে
নানা রকম ফন্দি আঁটতে লাগলো।
সেই মুহুর্তে ব্যাবসায়ির কর্মচারীটি তাদের এক
প্রস্তাব দিল যে তাকে বাঁদর পিছু 700 টাকা করে
দিলে সে কিছু বাঁদর গোপনে ছেড়ে দেবে।
এই খবর গ্রামে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লো।
গ্রামবাসীরা তৎক্ষণাৎ মনে মনে হিসাব করে ফেললো এতে তারা বাঁদর পিছু 300 টাকা করে লাভ করতে পরবে।
পরের দিন সকালে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য।
বাঁদরের খাঁচার সামনে এক লম্বা লাইন। গ্রামের
ধনি ব্যাক্তিরা লরি ভাড়া করে বাঁদর কিনে
নিয়ে গেল, আর গরিব লোকেরা মহাজনদের কাছে ধার নিয়ে বাঁদর কিনে নিয়ে গেল, এবং অধির আগ্রহে সেই ব্যাবসায়ীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।
সপ্তাহের পর সপ্তাহ পেরিয়ে গেল, সেই ব্যাবসায়ীর
পদচিহ্ন দেখা গেল না। তারা ছুটে গেল সেই বাঁদর
শূন্য খাঁচার কাছে।
হায় হায় !! কোথায় কি?
সেই খাঁচাও নেই আর কর্মচারীও নেই। তাদের
হাতে রয়ে গেল 700 টাকা দাম দিয়ে কেনা মহামূল্যবান বাঁদর গুলি।
বন্ধুরা, এই হল আমাদের চার পাশে ছড়িয়ে থাকা চিট ফান্ডের ব্যাবসা। চোখ কান খোলা রাখুন এবং
লোভ পরিহার করে যুক্তি দিয়ে যেকোনো জিনিস কে
বোঝার চেষ্টা করুন।
তবেই ইনশাআল্লাহ, ধোকা হতে বাচবেন পারবেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিখার কিছু নেই, ছোটখাট জোক।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭

আমি সোহান !! বলেছেন: ফেইসবুক থেকে কপি মারা

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

সরষে ফুল বলেছেন: শিক্ষনীয় বটে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.