নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে অবশেষে মার্কিন সন্তোষ

১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

আমেরিকান যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাপের বাংলাদেশে বহুল আলোচিত যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়টি এদেশে বেশ আগ্রহউদ্দিপক এবং তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, এই ইস্যুটিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মনোভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানাবিধ কারণে বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা রয়েছে।

পুর্ব নির্ধারিত গত সোমবার চার দিনের সফরে ঢাকায় মার্কিন যুদ্ধাপরাধ-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র্যা প বাংলাদেশ সফরে আসেন।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মদদপুষ্ট জামায়াত-শিবিরের প্রবল বিরোধীতা, নাশকতা ও বিপুল রক্তপাতের পটভূমিতে এবারই তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় উচ্চারণ করল যে-

৪টি রায় সহ বিচার-প্রক্রিয়ার সার্বিক অগ্রগতিতে তারা সন্তুষ্ট।

শত সাংবাদিকের সামনে মার্কিন দূত বলেছেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আমার সন্তুষ্টি আর কোথায় আমার উদ্বেগ, এটা আমার বলা ঠিক হবে না।’ এ থেকে ইঙ্গিত মেলে যে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের স্পর্শকাতরতার বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছেন।

বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারেরা মানবাধিকার বিষয়ে সময় সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমরা ভুলে যাইনি যে এই আন্তর্জাতিক মহল কখনোই একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানে উৎসাহ জোগায়নি। কিন্তু এবার দেখা গেল মার্কিন দুত বলছেন -

"ক্ষমতাসীন সরকার যখন এই বিচার অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়, তখন আমরা তাকে স্বাগত জানিয়েছি এবং আমাদের অবস্থান হচ্ছে, এই বিচার হতে হবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে"। র‌্যাপের সফরকে ‘আইনের শাসন’সংশ্লিষ্ট বলা হলেও আমরা দেখিনি যে তিনি সার্বিকভাবে এদিকে নজর দিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত র‌্যাপ আরও বলেন, "সামগ্রিকভাবে অপরাধের ভয়াবহতার কারণে অধিকাংশ মানুষ দোষী সাব্যস্তদের মৃত্যুদণ্ড চান, মৃত্যুদন্ড আমাদের দেশেও আছে"।

আমরা অবশ্য জানি না, যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো ধরনের জরিপের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে কি না। তবে কয়েকটি ফাঁসির রায় ও শাহাবাগ গনজাগরন তার বক্তব্যে প্রভাব ফেলেছে বোঝা যায়, এছাড়া জামায়াতের বর্বরোচিত নাশকতাও বিবেচিত হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে বিশেষ দূত র‌্যাপের ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন, জামাতি আইনজিবীদের সাথে ঘন্টাব্যাপি বৈঠক এবং এরপর মানবতাবিরোধী বিচারের কাজ সঠিকভাবেই এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে পদ্ধতিগত কিছু ত্রুটি আছে যা সংসোধন করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে স্কাইপ তথ্য চুরি ও বিচারকাজে সরকারি হস্তক্ষেপের গুজবের ব্যাপারে তাকে একপ্রকার নিরব দেখা যায়।

নাশকতা না করে আইন অনুযায়ী আপিলের মাধ্যমে প্রতিকার লাভে সচেষ্ট হতে জামায়াতের প্রতি আহ্বানকে ইতিবাচক বলা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে বিশেষ দূত র‌্যাপের এইসব বক্তব্য মার্কিন বিদেশ নীতির স্থায়ী অবস্থানে পরিণত করা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: জামায়াতের সঙ্গে কি পল্টি দিল যুক্তরাষ্ট্র? তা অবশ্য দেওয়ার কথা নয়। তথাপি যাইহোক না কেন
‌''যুক্তরাষ্ট্র তথা সাহেবরা বলছে চুদির ভাই, আনন্দের আর সীমা নেই'' আমাদের এই ধারণা থেকে বের হতে হবে।

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা পল্টি দেয় নাই।
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন পলিসি বিশ্ব রাজনীতি ও দেশের রাজনীতির গতি বুঝেই চলে।

নীচে জেনারেশন সুপারস্টার আমার কথাটিই বলে ফেলেছেন।

২| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আমার মনে কি হয় জানেন ভাই?আমেরিকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমেরিকা ঠিকই চায় তবে জামায়াত নিষিদ্ধ হোক তারা তা চায়না।যুদ্ধাপরাধী কারা?অধিকাংশই আল-বদর যারা জামায়াতী নেতা এবং কিছু আল-শামস যারা মুসলীমলীগ বিএনপি মানে জামাতের সাথে সরাসরি রিলেশন নাই।বিএনপি ডাস্টবিনে গেল না ভাগাড়ে তা নিয়া আমেরিকার হয়ত কোন স্বার্থ নাই তবে জামায়াতীরা তো পুরানা বন্ধু।অপরাধ করে যৌক্তিক স্বাক্ষ্যপ্রমাণগুলো রেখে দিয়ে ঘুরেবেড়াবে আর তাদের বোঝা আমেরিকা আর জামায়াতীরা বহন করবে এমন বোকামী মনে হয়না তারা করবে।তাই যুদ্ধাপরাধীগুলা স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে বিচার হয়ে ফাঁসি হয়ে গেলেই সেটা একরকম তাদের জন্য মঙ্গল যে কোন কলঙ্ক থাকলোনা চলার পথে।যেহেতু বর্তমান সরকার সাহস করে যুদ্ধাপরাধের বিচারটা করার সুযোগই করে দিসে তাই আওয়ামীলীগের কাঁধে হাত রেখেই এতদিন পরে আমেরিকা মুখ খুলতেসে।আর হ্যাঁ দূতের মন্তব্য অনুযায়ীই আশাকরি অন্তত এঅঞ্চলের বিদেশনীতিতে প্রভাব ফেলবে।

১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ জেনারেশন সুপারস্টার ভাই। সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৫

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
হেফাজতকে দমন প্রায় বিনা রক্তপাতে, পরে রাজনৈতিক টেকনিকে সমঝতা করে নিউট্রাল করে রাখা। ইত্যাদি কারনে আওয়ামীলীগের উপর মার্কিন নেতিবাচক ভাব অনেকটাই কমেছে।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ

০৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: মার্কিনিদের বুঝিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামীলীগই মৌলবাদ দমনে সক্ষম!

৪| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
"কয়েকটি ফাঁসির রায় ও শাহাবাগ গনজাগরন" তার বক্তব্যে প্রভাব ফেলেছে বোঝা যায়, এছাড়া জামায়াতের বর্বরোচিত নাশকতাও বিবেচিত হয়েছে, এটা মোটামুটি কনফার্ম!

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহাবাগ গনজাগরন কিছুটা ফেলেছে বটে ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.