নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০১২’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া অধ্যায়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সম্ভবত হেফাজতের বিশাল আন্দোলন ও বৃহৎ সমাবেস অল্প সময়ে দমন ও নিষ্ক্রিয় করাকে মার্কিনিরা প্রসংসনিয় হিসেবেই দেখেছে।
এর আগে গত বছরও কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির সভাপতি ও কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে প্রশংসা করতে দেখা যায়। কয়েক মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো অন্য এক চিঠিতেও তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে আপনার পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।'
গত বছর ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কংগ্রেসম্যান পিটার টি কিং বলেন, 'সন্ত্রাস দমনে আপনার সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা জেনে আমি আশ্বস্ত হয়েছি। আপনি জানেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সন্ত্রাস দমনের চাবিকাঠি।'
আজ (৩১-৫-১৩) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের নেওয়া দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের মাটিতে যে কোন সন্ত্রাসীদের তত্পরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতা উন্নত ও সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ দমনে এ অঞ্চলের এক প্রভাবশালী অংশীদার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ ও আন্তদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এতে আন্তদেশীয় সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে তত্পরতা চালানো বা এখানে নিরাপদ আস্তানা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে নাগরিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক কর্তৃপক্ষকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ অংশের শুরুতে একটি সারমর্ম দেওয়া হয়েছে। এরপর আইন প্রণয়ন, আইনের প্রয়োগ ও সীমান্তনিরাপত্তা; জঙ্গি অর্থায়ন রোধ; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমন—এ চার অধ্যায়ে ২০১২ সালে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন অধ্যাদেশ ২০০৯’ বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রয়োগের পথে এগোচ্ছে। তবে সাধারণভাবে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধমূলক মামলার ক্ষেত্রে বিচার-প্রক্রিয়ার অগ্রগতি বেশ ধীর। বাংলাদেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য সহযোগীদের নিয়ে বাংলাদেশ ২০১২ সালে ন্যাশনাল একাডেমি ফর সিকিউরিটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠা করে সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রশিক্ষণ চালু করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ‘পারস্পরিক আইনি সহায়তা’ নামে একটি আইন প্রণয়ন করেছে, যা সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াবে। এ ছাড়া, অপরাধের তদন্তের তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
মৌলবাদ ও উগ্র সন্ত্রাসবাদ দমনে শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ ধর্মীয় নেতাদের উগ্র বাণীর বিরুদ্ধে এক আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের কথাও বলা হয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের।
সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে কার্যকর কৌশল হিসেবে এই সংক্রান্ত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট গঠন সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের কাজ গতিশীল করেছে। এতে সন্ত্রাসিদের মানিলন্ডারিংএর মাধ্যমে ফান্ডিং বন্ধ হয়েছে।
অর্থ পাচার ঠেকাতে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথাও এতে উল্লেখ করা হয়।
Click This Link
Click This Link
২| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১:১৮
লোপা এসহক বলেছেন:
শুনে ভাল লাগলো ...
০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখাটি পড়ে দেখার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
গত বছর মার্কিনরা "মানব পাচার কালো তালিকা" থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দিয়েছিল।
১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০০
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
val likhechen
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
সোহাগ সকাল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পিটার টি কিং ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
বিগত ২০০২-০৮ সালে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে পরিচিত হয়েছিল যে নেতিবাচক পরিচয়ে_সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী নির্যাতন, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ হিসেবে_সেই পরিচয় ঘুচিয়ে দিয়ে বর্তমান সরকার আজ বাংলাদেশকে একটি অগ্রসরমান, গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারী দেশ হিসেবে বিশ্ব পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরকালে এ দেশকে উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি 'মডেল দেশ' হিসেবে বারবার উল্লেখ করেছেন।
জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান উলফও গত ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরকালে এ দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি 'স্থিতিশীল শক্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।