নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান সঠিক ছিল

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান ও দাবিসমুহ সঠিক প্রমানিত হয়েছে।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে প্রখ্যাত আইনজীবী রফিক-উল হক ও এম আমীর-উল ইসলাম, রোকনউদ্দিন মাহামুদ সহ কয়েকজনের আদালতে দাখিল করা লিখিত বক্তব্যে এ মত উঠে এসেছে।

গনজাগরন মঞ্চের মুল দাবি ছিল কাদের মোল্লার সর্বচ্চ শাস্তি (ফাসি)

এর জন্য যা যা দরকার তা করতে হবে।

অর্থাৎ প্রয়োজনিয় আইন প্রনয়ন, সংশোধন করে সরকারের আপিল ক্ষমতা অর্জন ও এই আইন কাদের মোল্লার উপর প্রয়োগ করে সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

সরকার দ্রুততার সাথে একমাসের মধ্যে আইনগুলো প্রনয়ন ও সংশোধন করে।

কিন্তু উচ্চ আদালত এই আইন কাদের মোল্লার উপর এই আইন প্রয়োগ করতে দ্বিধাগ্রস্থ হয়।

এব্যাপারে পরামর্শ চাইতে আদালত ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। যাদের দুজন বাদে প্রায় সবাই আওয়ামী বিরোধী, কিছু বিএনপি-জামাত সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এরা রফিকুল হক, টি এইচ খান, হাসান আরিফ .. ইত্যাদি।

৭ জন অ্যামিকাস কিউরিদের কাছে দুটি প্রশ্ন করা হয় -

১। দণ্ড ঘোষণার পর আইনে আনা সংশোধনী কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না?

২। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর অধীনে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না?



কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক এই আইনটির প্রশংসা করেন এবং কাদের মোল্লার উপর এই নতুন আইন প্রয়োগ করতে কোন বাধা নেই বলে মত দেন।

রফিক-উল হকের বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ২১ ধারায় যে সংশোধনী আনা হয়েছে। তা বৈধ ও সংবিধানসম্মত। এই সংশোধনী ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে তা কার্যকর বলে গণ্য হবে। সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদে আইনটিকে সুরক্ষা দেওয়া আছে। নতুন ধারা অনুসারে, কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে অধিকার হিসেবে সরকার আপিল করতে পারে।

রফিক-উল হক এর মত প্রখ্যাত আইনজীবীর মত প্রকাশের পর অন্য অ্যামিকাস কিউরিদের ভিন্ন মত দিবেনা বলেই মনে হয়েছিল।

অ্যামিকাস ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম ও মাহামুদুল ইসলাম আদালতে একই মত দিলেন। বললেন,

পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত ট্রাইব্যুনাল আইন হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইন তৈরি হয়েছে অপরাধ সংঘটনের পরে।

গতকাল ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহামুদও অন্যদের মত একই মত প্রকাশ করলেন।



কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার অ্যামিকাস ব্যারিষ্টার টি এইচ খান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করলেন, দলবাজির উর্ধে উঠতে পারলেন না ব্যারিষ্টার সাহেব!



তিনি বললেন - "কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করে ৫ই ফেব্রুয়ারি। তার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে শাহবাগে আন্দোলন শুরু হয়। প্রবল আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ১৮ই ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাস আইন সংশোধন আনা হয়। এ সংশোধনে যে কোন দণ্ডের বিরুদ্ধে সরকারকে আপিল দায়েরের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এর আগেই কাদের মোল্লার মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ সংশোধনী প্রয়োগের সুযোগ নেই"।

এটা প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে বিভেদ দেখা দিলে দেশীয় আইনই প্রাধান্য পাবে। সাধারণত দেশীয় আদালত দেশীয় আইন অনুসরণ করে। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আইন পূর্ণাঙ্গ নয়, যেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আইনে অস্পষ্টতা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আদালত আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মীমাংসিত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে পারে।

গত বিএনপি-জামাত সরকারের সাবেক এটর্নি জেনারেল এডভোকেট হাসান আরিফও টি এইচ খানের সাথে সুর মিলিয়ে এর বিরোধিতা করলেন!



সমস্যা নেই, যেহেতু বেশীরভাগ (৫ জন) অ্যামিকাস পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছে তাই সংশোধনিটি বহাল হয়ে আইনে পরিনত হবে নিশ্চিত।



কিছু ইনফো এড না করলে পোষ্ট অসম্পুর্ন থেকে যায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না?



শুধুমাত্র ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মত দেন প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই।

অন্যান্ন ৬ অ্যামিকাস পক্ষে মতামত দেন।



ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের পক্ষে মত দেন।



ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনালস আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন রয়েছে।



মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ প্রশ্নে হাঁ না উত্তর দেয়া কঠিন। সাধারণভাবে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে দেশীয় আইনে কোন ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে, শূন্যতা থাকলে অথবা ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।



আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন, সাংঘর্ষিক না হলে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।



টিএইচ খানের মত প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে। তবে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন সাংঘর্ষিক হলে সেক্ষেত্রে দেশীয় আইনই প্রাধান্য পাবে।



এএফ হাসান আরিফের মতে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।



এই সংশোধনি আইনটি নিয়ে উচ্চ আদালত একটু দ্বিধাগ্রস্থ ছিল, পরে যাতে কোন বিতর্ক না উঠে এবং আরো স্বচ্ছতার জন্য এক্সপার্ট অভিমত চেয়েছিল।

তাই অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে গত ২০ জুন ৭ জন সিনিওর আইনজিবী নিয়োগ দেয় আপিল বিভাগ। এরা হচ্ছেন

ব্যারিস্টার টিএইচ খান,

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক,

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম,

এডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম,

ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ,

ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন. কিউসি,

এডভোকেট এএফ হাসান আরিফ।



গনজাগরন মঞ্চের দাবির আগে কোনো অভিযোগে আসামির অপর্যাপ্ত সাজা হলে তার বিরুদ্ধে আপিলের কোন সুযোগ ছিল না সরকারপক্ষের।



ধন্যবাদ গনজাগরন মঞ্চ।



সাপোর্টিং লিঙ্ক

http://www.prothom-alo.com/detail/news/366485

http://www.mzamin.com/details.php?

http://www.prothom-alo.com/detail/news/366631

http://www.mzamin.com/details.php?nid=NjM2MzQ=&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫০

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: আচ্ছা ঠিকাছে

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: স্পষ্ট করে বলুন -
শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান সঠিক ছিল।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কিছু ইনফো এড না করলে পোষ্ট অসম্পুর্ন থেকে যায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না?

শুধুমাত্র ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মত দেন প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই।

অন্যান্ন ৬ অ্যামিকাস পক্ষে মতামত দেন।

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের পক্ষে মত দেন।

ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ট্রাইব্যুনালস আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিফলন রয়েছে।

মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ প্রশ্নে হাঁ না উত্তর দেয়া কঠিন। সাধারণভাবে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে দেশীয় আইনে কোন ধরনের অস্পষ্টতা থাকলে, শূন্যতা থাকলে অথবা ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে।

আজমালুল হোসেন কিউসি মত দেন, সাংঘর্ষিক না হলে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।

টিএইচ খানের মত প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে। তবে দেশীয় আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন সাংঘর্ষিক হলে সেক্ষেত্রে দেশীয় আইনই প্রাধান্য পাবে।

এএফ হাসান আরিফের মতে আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন প্রযোজ্য হবে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

ল্যাটিচুড বলেছেন: শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান সঠিক ছিল, আছে, থাকবে .................

এখন বাংলার প্রতিটি গ্রামে, মোড়ে মোড়ে, ঘরে, ঘরে গনজাগরন মঞ্চ বানানো উচিৎ, কারণ এই জাগরন মঞ্চের কারণে এদেশের জনগন আওয়ামীলিগের আসল চেহারা চিনতে পেরেছে

তাই বলতেই হয়, শাহবাগ গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান যেমন সঠিক ছিল।
পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জনগনের অবস্থানও তেমনি সঠিক ছিল, আছে, থাকবে

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বাংলার প্রতিটি স্থানে, মোড়ে মোড়ে গনজাগরন মঞ্চ ছিল।

হুজুগে বাঙ্গালি! দুদিনেই ভুলে গেছেন?

দেশের প্রতিটি বড় শহরে, জেলায়-উপজেলায় গনজাগরন মঞ্চ হয়েছিল।
আমি চট্টগ্রাম থেকে বাসে ঢাকা আসতে রাস্তার ধারে অসংখ্য ফাসির মঞ্চ দেখেছিলাম। জটলার ভেতর গাড়ী বার বার স্লো হয়ে থেমে থেমে যাচ্ছিল, স্লোগান শুনেছি ...
এসব সরকারের সাজানো নাটক বলা যাবেনা কোনমতেই। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একযোগে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত হয়েছে.. চোখের পানি বের হয়েছিল!
দেশের বাইরে বিদেশেও তাই, বিশ্বে প্রায় প্রতিটি বড় শহরে যেখানে বাঙ্গালি ছিল সেখানেই গনজাগরন মঞ্চ হয়েছে, এমন কি ছোট ডাউন্টাউনেও যেখানে ১০-১২ জন বাঙ্গালি ছিল সেখানেও গনজাগরন হয়েছে!
বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙ্গালি পোলাপানের সাথে বিদেশী স্টুডেন্টরাও রাস্তায় নেমেছিল, ফেসবুকে দিয়েছিল।

এগুলো সরকারি মদদেও হয়নি ভারতীয় মদদেও হয়নি।
মন থেকে দেশপ্রেমের তাগিদেই হয়েছে।

ল্যাটিচুড জাতীয় নেতিবাচক পোলাপান শাহাবাগে যাওয়ার দরকার ছিলনা, যায়ওনি।
Click This Link

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪১

হায়রে দুনিয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্পষ্ট করে বলুন -



হুম। আমি বোয়ান এর পেজে লিখলামঃ
'ভাই আপনারা গাজীপুর যান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ভোট চান।'


কিন্তু উনারা গেলেন না আর আমার কথার জবাব দিলেন না।
উনারা গেলে নিশ্চিত লিগ ৩ লাখ ভোটে জিতত।
কারণ ৪ লাখ ভোটার ভোট দেননি। ;) ;) ;)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: গাজীপুর একটি স্থানীয় নির্বাচন।
একটি পৌরসভার কাজ কি?
নাগরিকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দেয়া, রাস্তার বাতির ব্যাবস্থা,
আর নর্দমা পরিষ্কার করা. এর ভেতর রাজনীতি নেই।

সাধারনত মানুষ মনস্তাত্তিক ভাবে চাইবে তাদের নগর পিতা হউক ক্ষমতাসিন সরকারের বলয়ের বাইরের কোন লোক।
সে চোর হলেও সমস্যা নেই, চুরি বা দুইনম্বরি করলে সরকারই তারে চেপে ধরবে।

পৌর নির্বাচনগুলোতে বিরোধীরা জেতার এটাই মুল কারন।
Click This Link

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

রেজা এম বলেছেন: যান , এহন আলু ভর্তা খান B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-)

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আলুভর্তা কাঁঠাল পাতা চিবানোর চেয়ে ভাল! ... ভাল না?

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান প্রথমে ঠিক ছিল কিন্তু পরে এটা সরকার দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা হয়ে গেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: না। গনজাগরন মঞ্চের অবস্থান অলটাইম সঠিক ছিল

শাহাবাগ ফুরিয়ে যায় নি, যেতে পারে না। মেজর কয়েকটি দাবি আদায় হওয়ার পর ও বিভিন্ন কারনে সাভাবিক ভাবেই সমাবেশ ছোট হচ্ছে।
এর মানে এইনা যে আমরা ভুলে যাব ফাঁসির দাবির কথা। আবার উল্টা পাল্টা রায় আসলে আরেকটা শাহবাগ তৈরী হতে ১ ঘন্টার বেশি লাগবে না।

লিসানি ভাইয়ের লেখাটিও পড়ুন
Click This Link

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৬

ইকবাল পারভেজ বলেছেন:
-

ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম,
এডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম,
ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ,
ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন. কিউসি,


ওপড়ের সব গুলাই আওয়ামী ক্যাডার| আমীর-উল আবাল গাজী পুরে গিয়া ভোট চাইছিল, জুতা পেটা খাইয়া আইছে|

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ৭ জন অ্যামিকাস কিউরিদের মধ্যে একমাত্র আমিরুল কে আওয়ামী বলা যায়।
ব্যারিষ্টার রোকন ২০০৭ এ ফকরুদ্দিনের সাথে হাত মিলাইয়া ধরা খাইয়া আওয়ামীলীগ ছেড়ে দিয়েছিল বা বহিষ্কৃত হয়েছিল।

৩ জন কট্টর বিম্পি পন্থি। বাকি দুইজন নিরোপেক্ষ! বা বিম্পি পন্থি!

সাড়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে এ মামলার আপিল শুনানি হয়। আর শেষ হল।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ বিচারকের বেঞ্চএ মামলাটি সুনানি চলছিল। আজ শেষ দিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে কাদের মোল্লার কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আপিল গ্রহণ করা যায় কি না, তা নিয়ে ৭ অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শোনা সোমবার শেষ হয়।

রায় যে কোন দিন।
এখানে সেখানে আবলামি না কইরা আল্লাকে ডাক! কামে দিব।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: পোষ্টে সাথে সহমত না.....

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার লেখার সাথে সবার একমত হতেই হবে, এমন তো বলি নি .... :(

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মাইন রানা বলেছেন: পোস্টে স্পষ্ট দলবাজি লক্ষ করা গেছে

যেমন লেখক বলেছেন অ্যামিকাস ব্যারিষ্টার টি এইচ খান সবাইকে অবাক করে দিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করলেন, দলবাজির উর্ধে উঠতে পারলেন না ব্যারিষ্টার সাহেব!

এখন বলুন এই পোষ্টদাতা দলবাজ কিনা =p~ =p~ =p~ =p~

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পোষ্টদাতা দলবাজ!..?

জি .. মীঃ রানা, পোষ্টদাতার স্পষ্ট পক্ষপাত থাকবেই।

৭১ এ একদল ঘাতক শত্রুপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে গনহত্যা চালায়।
তাদের পরাজয় নিশ্চিত জানার পর, দেশের সব মাথাগুলোকে নিশ্চিন্ন করে দিতে হবে! মোটিভ? যাতে সদ্য স্বাধীন দেশটি আর মাথা তুলে দাড়াতে না পারে।

যে ৩০০ নিরিহ বুদ্ধিজীবিকে সেদিন ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছিল।
তারা তো কোন দল করত না, তবু তাদের কে মারলো!

আমি জেনে শুনে এইসব নরপশুদের পক্ষে থাকতে পারলাম না।

এমন কি নিরপেক্ষও থাকাও সম্ভব না!

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
আমিও নিরপেক্ষ থাকতে পারলাম না!

বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি পাষন্ড নরপিচাশদের ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখতে চাই!

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি পাষন্ড নরপিচাশদের ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখতে চাই!

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
আমিও নিরপেক্ষ থাকতে পারলাম না!

বুদ্ধিজীবি হত্যাকারি পাষন্ড নরপিচাশদের ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখতে চাই!

২৮ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ, ক্যাপ্টেন।

১১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: শাহবাগ থেকে আসলেই কারও লাভলোকসান নেওয়ার কিছু নেই।এটা পুরোপুরিই সেই তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন যারা আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনছে এভরসায় যে অন্য কোন দল যুদ্ধাপরাধের বিচার করবেনা।তাই এখানে নতুন ভোটব্যাংক হওয়ারও কিছু নেই আর জামায়াতভিন্ন অন্য কোন দলেরও তা নিজের গায়ে মাখার কিছু ছিলনা।কিন্তু আমারদেশ পত্রিকা আন্দোলন শুরু হওয়ার একসপ্তাহ পর "ফ্যাসিবাদের" ট্যাগ দিয়ে প্রথম ঝগড়াটা নিজেরাই শুরু করল আর তরুণ প্রজন্মের আশা ভরসার হূদয়ে কুড়াল মারল।এরপরে অনভিজ্ঞ তরুণপ্রজন্মকে কত রাজনীতির বলি হতে হল তা তো দেখা গেলই।বিএনপির মুখপত্র আমারদেশ জামায়াতবিরোধী শাহবাগ আন্দোলনকারীদের একেবারে বিনা উস্কানীতেই শরীরের সাথে ধাক্কা লাগিয়ে ঝগড়াটা বাঁধাল।তাদের আশাঙ্কা ছিল জামায়াতের প্রতি সাধারণ মানুষের ঘৃণা লাগামহীন হয়ে যায় তবে জাতীয় নির্বাচনে ভোটব্যাংকে সমস্যা হবে।বিএনপি পুরোপুরিই নির্বাচনী চিন্তাধারা থেকে বিচার করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষার শাহবাগ আন্দোলনে সর্বনাশ ঘটালো।অথচ আমারদেশ পত্রিকা "শাহবাগে ফ্যাসিবাদের...." শিরোনামে সংবাদ না ছাপাতো তবে ধীরে পুরো বাংলাদেশেই এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ত,এপ্রজন্মের যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ পেত।ভোটের জোট জামায়াতের কথা চিন্তা করে এভাবে প্রথমবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বাদ পেতে যাওয়া মানুষদের সাথে রাজনীতি করে ঠিক করেনি বিএনপি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: শাহবাগ আন্দোলনের সর্বনাশ ঘটেছে বা ভেস্তে গেছে বলে মনে করি না।

জামাত-শিবির ও আমারদেশ চক্র অনেক আগে থেকেই শক্ত ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। আন্দলোন বানচাল করতে। গনজাগরন মঞ্চের কাছে আধাপোড়া কোরান দিয়ে সাজানো ঘটনা দেখানোর জন্য তাদের সবকিছুই রেডি ছিল। রেডি ছিল থাবা বাবার বানোয়াট ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ। হাতে আরো উপাত্ত নিয়ে রেডি ছিল, একটা ব্যার্থ হলে আরেকটা লাগাবে! হেফাজত ২০০৮ থেকেই তাদের হাতের অস্ত্র হিসেবে ছিল।

সম্ভবত ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটি বানাতে সাহায্য করেছিল জামাতের লন্ডন শাখা, পাকিস্তানের ISI ও জরিত থাকার নিশ্চিত আলামত পাওয়া যায়। কারন পাকিস্তানি ডিফেন্স ফোরাম সাইটের মাধমে প্রথম থাবা বাবার বানোয়াট ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটির সংবাদ প্রথম জানা যায়। থাবাকে টার্গেট করা হয়েছিল কারন থাবা ফেসবুকে প্রায়ই হালকা কটুক্তি করতো, তবে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগটি সে লিখেনি।

বিএনপির চরিত্র নিয়ে ভেবে লাভ নেই।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

আকাশ চুরি বলেছেন: নবি রাসুলকে নিয়ে যারা মশকরা করে, অবমাননা করে সেই গনজাগরন মন্চ সারা দেশে হওয়া উচিৎ। আওয়ামিলীগর চরিত্র প্রকাশ পেত। গনজাগনর মন্চে শুরুতে নির্দলীয়/সব দলের লোক থাকলেও খুব দ্রুতই এটি বাম/নাস্তিক আর আওয়ামিলীগ মন্চে পরিণত হয়। এটাই সত্যি। সত্যিকে ঢেকে রাখা যায় না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহাবাগে নবি রাসুলকে নিয়ে কোন অবমাননামুলক কোন শব্দ উচ্চারন করা হয় নি।
সেখানে ২৪ ঘন্টাই শত শত ক্যামেরার ক্লোজ ফোকাসে ছিল।
সেরকম কিছু হলে কেউ না কেউ দেখতো।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

আকাশ চুরি বলেছেন: পোস্টদাতার পক্ষে গেলে দলবাজ না আর বিপক্ষে গেলে দলবাজ। হায়রে হাম্বা

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: এখনো পক্ষে-বিপক্ষে নিয়ে কটাক্ষ!

জেনে শুনে এইসব ঘাতক নরপশুদের পক্ষে থাকতে লজ্জা করে না?
৭১এ তুই থাকলে নিজের বউকেও তুলে দিতি খানসেনাদের মনরঞ্জনের জন্য ......
শালা ছাগলের বাচ্চা!

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অপ্রয়োজনীয় ফ্লাডিং করা কিছু কমেন্ট মুছে ফেলা হল।

২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শাহাবাগে সবাই আপিল, বিচারের মাধ্যমেই ফাসি চেয়েছিল। কেউ সরাসরি ক্রসফায়ার চায়নি।
পৃথিবীর বহু দেশে জাবৎজীবন কারাদন্ড একটি সর্বচ্চ শাস্তি।
সেই সর্বচ্চ শাস্তি পেয়েও কাদেরমোল্লা ভি চিহ্ন দেখিয়েছিল, মানে বুঝিয়েছিল অপরাধের তুলনায় তার শাস্তি সামান্যই হল, তাই সে খুসি ও হাস্যজ্বল মুখে ভি চিহ্ন দেখিয়েছিল!
সে যে প্রকৃতই মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধী, তখনই প্রমানীত হয়ে গেছিল।
বাকিটা আপিল বিভাগ আদালতই ফয়সালা সম্পন্ন করে ফাশি দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.