নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

HRW রিপোর্ট গোলাম আজম কে নিয়ে সাফাই!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

জামাতি লবিষ্টরা ভালই কাজ করছে।

ইকোনমিষ্ট পত্রিকা, হিউমেন রাইট ওয়াচ, এশিয়ান হিউমেন রাইট, একের পর এক ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে, প্রায় প্রতি সপ্তাহে একটা বা দুটা। যেন পৃথিবীতে একটা দেশই আছে, যেটা বাংলাদেশ। ট্রাইবুনাল নিয়ে বিরামহিন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

ইরান,ইরাক, লেবানন, গাজা স্ট্রিপ্ট, মিশর, নির্বিচার হত্যা, বার্মাতে রহিংগা বাড়ীঘর জালিয়ে দেশছাড়া করা, পাকিস্তানে ড্রন হামলা, মসজিদে মসজিদে বোমা, চীনে গণফাসি, সৌদিতে গণজবাই এদের মনে কোন ভাব শৃষ্টি করেনা। এদের কাছে গোলাম আজমই মহান, তার মানবধিকার লঘন হচ্ছে।

দেশে বসে আছে 'অধিকার', সে দেশে থেকে সে দেশের সরকারকে বা গনমাধ্যমকে সঠিক তথ্য না দিয়ে কথিত ৬১ জনের তালিকা পাঠিয়েছে বিদেশে!

এর আগে এরা ৩০০০ নিহত বলে বাশেঁরকেল্লার ছবিদিয়ে বিশাল রিপোর্ট করেছিল, এখন চুপসে গিয়ে ৬১ বা ১০ এ এসে ঠেকেছে!



আমাদের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কে?

এটিও কি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়? আন্তর্জাতিক আইনের সব ধারা লঙ্ঘণ করে যখন আইখম্যান বা সাদ্দাম হোসেনের বিচার হয়েছিল, তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কী করেছে? তখন কি তারা তাদের কথিত আন্তর্জাতিক আইনের সুরক্ষায় কোনো কথা বলেছে?



নিজেদের মানবাধিকার সংগঠন বলে দাবি করলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কি কখনো একাত্তরের বর্বরতার শিকার মানুষের অধিকার রক্ষায় দাঁড়িয়েছে?

যেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, গোলাম আযমের মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন, তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোন অধিকার বলে আদালত অবমাননাকর কথা বলে?



হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে গোলাম আযমের রায়ের ক্ষেত্রে বিচারকরা প্রসিকিউশনের পক্ষে তদন্ত করেছে!

অদ্ভুত কথাবার্তা! একটা অস্পষ্ট বিভ্রান্তিকর অভিযোগ!

কথিত সেই তদন্তের কোন অংশটি ওইভাবে করা হয়েছে- সেটাও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ব্যাখ্যা দেয়নি। আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে হেয় করার জন্য একটি অস্পষ্ট ফালতু অভিযোগ।

দ্বিতীয় অভিযোগে HRW বিচারকদের সঙ্গে প্রসিকিউটরদের যোগসাজশ ও পক্ষপাতিত্বের কথা বলেছে।

এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তি কী? এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ এইচআরডব্লিউ দেয়নি। মনেহয় সম্ভবত স্কাইপির কথা বলতে চাচ্ছে। তারা কি জানে না কারও ফোনে আড়িপাতা দন্ডনিয় অপরাধ!

এছাড়াও স্কাইপির কথোপকথনে এমন কোন আপত্তিকর কথা নেই যা বিচারকে বিঘ্নিত করতে পারে।

এরপরও ভবিষৎ বিতর্ক এড়ানোর জন্য মাননীয় জজ সাহেব কে তাৎক্ষনিক ভাবে অপসারন করা হয়েছিল।



তৃতীয় অভিযোগে সংস্থাটি বলেছে, আসামিপক্ষের সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে ট্রাইব্যুনাল ব্যর্থ হয়েছে।

আবারো একটি অস্পষ্ট এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষে সাক্ষী ছিলেন মাত্র একজন। এই মামলায় ‘সাক্ষীদের’-এই বহুবচন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কোথায় পেল? গোলাম আযমের পক্ষে একমাত্র সাক্ষ্য দিয়েছেন তার বড় ছেলে, বিচারের পুরো সময়ে যিনি নিয়মিত আদালতে এসেছেন। কোনো হুমকি যদি সত্যিই থাকতো, তাহলে কীভাবে তিনি রায় ঘোষণার দিনসহ সব সেশনে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন? নির্বোধের মতো বিবৃতি দেয়ার আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উচিত হোমওয়ার্ক করা।

HRW এর চতুর্থ অভিযোগ বিচার প্যানেলে পরিবর্তন নিয়ে।

হাস্যকর অভিযোগ!



এ বিষয়টিকে সামনে এনে তারা কি প্রমাণ করতে চাইছে? তারা কি বলতে চায় যে- কোনো মামলার বিচার চলার সময় কোনোভাবেই প্যানেলে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না? দুনিয়ার কোন আদালত আছে যেখানে প্যানেল পরিবর্তন হয় না? হাস্যকর!



পঞ্চম অভিযোগে গোলাম আযমের অপরাধ সন্দেহাতীতাবে প্রমাণের জন্য প্রমাণের অভাবের (lack of evidence) কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।



এটা কি বলল HRW! গোলাম আজম মিথ্যা হলে তো সমগ্র ৭১ও মিথ্যা হয়ে যায়। সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ভেতর গোলামআজমের বিচারেই সবচেয়ে বেশী উপাত্ত ও প্রমান ছিল। এ বিবৃতিটি কেবল পক্ষপাতদুষ্টই নয়, আদালত অবমাননার সামিল! দেশের সবাই জানে এই মামলায় সর্বচ তথ্য-প্রমানই ছিল।



এই বিচারটি যখন উচ্চতর আদালতে আপিল বিবেচনাধীন, তখন কেউ কি কোনো বিচারের উদঘাটিত বিষয়ের মেরিট (দালিলিক প্রমাণের অভাব) নিয়ে কথা বলতে পারে? আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কীভাবে নিজেদের স্বাধীন ‘বিচার পর্যবেক্ষক’ হিসাবে দাবি করে? তাদের এই বিবৃতি পড়লে স্পষ্ট হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মামলার একটি পক্ষ নিয়ে কথা বলছে। বিচার প্রক্রিয়ার দলিলিক মান নিয়ে কথা বলার মতো দক্ষতা বা কর্তৃত্ব কি তাদের আছে?



হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা। তাদের নির্দিষ্ট একটি পক্ষ বেছে নেয়ার অধিকার নেই। এরপরও যদি তারা সেটা করে, তাহলে নিজেদের আর ‘স্বাধীন বিচার পর্যবেক্ষক’ বা ‘আন্তর্জাতিক সংগঠন’ বলে দাবি করার অধিকার থাকেনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভাইজান, মূল ঘটনাটা ছিল এইরামঃ

১৯৭১ সালে যুদ্ধ বৈলা কিছুই ছিল না। ভারতীয় বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের ভিত্রে ঢুইক্কা অপারেশন চালাইতো। ২৬ মার্চ সেই অপারেশন দমাইতে পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকায় একটু মহড়া দেয়। আম্লিগ ভুট্টোর সাথে মিলিয়া খেলাটা জমায়।

গুয়া হুজুর তখনো নাদান বালিকা। বুঝতেই পারে নাই যে কি হৈতেছে। সে জন্য উনি পূর্ব পাকিস্তান রক্ষায় শান্তি কমিটি করেন। ঐ কমিটিতে আম্লিগের কাউরে রাখা হয় নাই।

খিয়াল কৈরা দেহেন, পবিত্র পাকিস্তান রক্ষায় যারা নিয়োজইত ছিল, তারাই আজকে অপরাধী। আর যারা পাকিস্তান ভাংছে, সেই সব গুলাই অপঘাতে মর্সেঃ সৈয়দ নজরুল, কাম্রুযযামান [আস্তাগফিরুল্লাহ, বৃহত্তর জামাতের নেতা না এই বদমাইশ], মনসুর আলি, তাজউদ্দিন [ফখরুদ্দিন বা মইন উদ্দিন বা ইয়েস উদ্দিনের কেউ না এই লোক], জিয়া, খালেদ, মনজুর, তাহের প্রমুখ।

বলে না আল্লাহর বিচার আছে। যারা পবিত্র পাকিস্তান ভাংছিল, আল্লাহ তাদের উঠায়া নিছে অপঘাতে মৃত্যু দিয়া। দেহেন না হো মো এরশাদ ১৯৭১ সালে বাঙালী সৈনিকদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল। উনি আজও জীবিত।

তাই উলটা পালটা কতা না কৈয়া আসেন আমরা সত্যকে জানি। বুঝি সত্যকে। গুয়া হুজুরকে ৯০ বছরের আরামদন্ড দেওয়া হৈছে, এইডার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা লাগবে। উনি ইস্লামিক চিন্তাবিদ। উনাকে এমন অপমান করলে আল্লাহর আরশ কাঁপতে থাকবে। আসেন, এইসব চুতিয়া মানী লোকেদের মান রাখি, আর স্বাধীনতার কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা ভুলিবার চেষ্টা করি। =p~ !:#P :-0 B:-/ :-B :#) B-)) :>

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

সাদা পাখি বলেছেন: লবিস্টরা আঙ্গুল চুষছে না বুঝা যায় ...

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: লবিস্টরা মোটেও আঙ্গুল চুষছে না।

কিছু লবিং নায়কদের দেখুন -
Click This Link

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বোঝাই যায় এটা একটা ফরমাইসি রিপোর্ট!

জামাতের লবিষ্টরা নগদ ডলারের বিনিময়ে এই রিপোর্টটি লেখানো হইছে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: চোখ বন্ধ করেই বলা যায় এটা ফরমায়েসি রিপোর্ট।

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
গোলাময় আজমের সবগুলো সাস্তিই মৃত্যুদন্ডযোগ্য ছিল, বলেছিল আদালতের রায়ে।
তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়াই উচিত ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.