নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোকোর ঘুষের টাকা যেভাবে ধরল FBI

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৬

মুদ্রা পাচার মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৫ সালে তারেক কোকো গং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘুষ নেন সিমেন্স কম্পানী থেকে। সিমেন্স জার্মান কম্পানী হলেও যুক্ত্রাষ্টের ওয়াল স্ট্রিট এ নিবন্ধনকৃত।

FBI এর তদন্তে দেখা যায় সিমেন্সের বড় একটি এমাউন্ট সিঙ্গাপুরের একটি যৌথ একাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে যার কোন ইনভয়েস নেই। একাউন্ট হোল্ডার জাজ ডিষ্টিলারিজের আরাফাত রহমান ও সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক লিম ইউ চ্যাং নামে একজন (যৌথ একাউন্ট)

FBI এর অনুরোধে সিঙ্গাপুর পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবং একাউন্টের সমুদয় টাকা বাজেয়াপ্ত করে। সিংগাপুর আদালতের রায় অনুযায়ী এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশকে দিতে বলা হয়। কারন উভয় দেশই জাতিসঙ্ঘের "অন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশন" এর স্বাক্ষরকারি দেশ।

এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের ক্ষেত্রে অর্থ (ঘুষ) গ্রহণ করেন। পুরো অর্থই সিঙ্গাপুরে ঐ একাউন্টে জমা হয়। গত তত্তাবধায়ক আমলে এ ঘটনায় দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ বাদী হয়ে আরাফাত রহমান ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। এরপর ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোর ছয় বছরের কারাদন্ডসহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানার রায় দেন এবং একই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।



দেখুন, খালেদাজিয়ার গুনধর পুত্রদের ঘুষের টাকা কিভাবে সিঙ্গাপুরে কোকোর জয়েন্ট একাউন্টে! এখানে FBI ও বাংলাদেশী আইনি সংস্থা সমন্নিত ভাবে কাজ করেছে। এটা ২০০৯ এর মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বুলেটিন -

FBI অফিসিয়াল সাইটে ..

Click This Link



এই লেখাটিও পড়ুন -

Click This Link



গত ২৩ জুন ২০১২ প্রথম কিস্তির টাকা আনার পর আমার একটি লেখা, যা প্রথম পাতায় প্রকাশীত হয়নি ব্লগ নিক বিকল থাকার কারনে। পড়ুন -

Click This Link

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: বেশী কথা কইয়েন না তাহলে কতক্ষণ পর শূনতে হবে FBI হচ্ছে B.A.L এর পেটোয়া বাহিনী । :P :P

২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হা। সেটাই।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৪

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
কোকোর মা ম্যাডাম খালেদা, তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর তাদের কালো টাকা সাদা করেছিল ঘোষনা দিয়ে। তত্বাবধায়ক আমলে ...

ক্ষমতায় এসে তারেক কোকো ও এভাবেই সামান্য জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করবে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ক্ষমতায় এসে তারেক কোকো জরিমানা ছাড়াই কালো টাকা সাদা করবে।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

রবিউল ৮১ বলেছেন: কোকোর একটু লোভ না হয় হইছিলো কিন্তু টাকাটা তো পুরো খাইতে পারে নাই।এই ভাবে দূর্বল মানুষ টার মুখের গ্রাস কাইরা নিতে সরকারের একটুও লজ্জা করলো না?

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০০

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
The forfeiture complaint relates primarily to "alleged" bribes paid to Arafat "Koko" Rahman,...........................According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes "allegedly" received in connection with the China Harbor project.....................

================================
ফেরত আনা টাকা "কোকোর নয়",দুদক চেয়ারম্যান বলার "৪ দিন পর ব্যাংকে জমা হয়েছে টাকা"

কোকোর পাচারের টাকা ফেরত আনা নিয়ে "ধুম্রজাল"
---------------------------------------------------

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী ও কালাম আজাদ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনার বিষয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। এই টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে এখনও কিছুই জানে না বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। সোনালী ব্যাংকের সংশিস্নষ্ট শাখা বলছে, টাকা জমা হয়েছে ২৬ নভেম্বর। আর দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন টাকা এনেছেন ২১ নভেম্বর। সোনালী ব্যাংকের বক্তব্য অনুযায়ী টাকা জমা হওয়ার আগেই দুদক কর্তৃপক্ষ বলছে টাকা জমা হয়েছে। আর বিএনপি দাবি করছে, ওই টাকা কোকোর নয়, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এদিকে ওয়ান ইলেভেনেরপরবর্তী সরকারের যারা বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে কাজ করছিলেন ওই রকম একটি সূত্র বলেছে, ওই সময়ে তারা কোকোর বিদেশে থাকা টাকার সন্ধান পাননি। এই কারণে তারা টাকা ফেরতও আনতে পারেননি। তবে এতদিন পর দুদক কী পেয়েছে তা বলতে পারছেন না।

কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে এই কথা দুদক চেয়ারম্যান জানানোর পর অনেকেই এটা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার আগেই কেমন করে দুদক এই টাকা ফেরত আনার ঘোষণা দিলেন। এই ব্যাপারে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে সত্যতা জানার চেষ্টা করা হয়। তিনি বলেন, ভীষণ ব্যস্ত্ম আছি। একদিন পরে কথা বলব। এদিকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- বিদেশ থেকে টাকা জমার আগেই দুদক চেয়ারম্যান টাকা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন এর কারণ ওই সময়ে টাকাটি জমা হওয়ার কথা থাকলেও তা জমা হয়নি। কোকোর টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে টাকা এলে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের জানার কথা। কিন্তু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর কোন টাকা ফেরত এসেছে। আর ফেরত এসে থাকলে তা কবে, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে, কোন ব্যাংকে, কোন শাখায় এসেছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান গতকাল দুপুরে আমাদের অর্থর্নীতিকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কোকোর টাকা কবে এসেছে। কত টাকা এসেছে। কেমন করে এসেছে। আমাদেরকে কোনো ব্যাংক জানায়নি। তিনি দাবি করেন, বিদেশ থেকে টাকা এলে সেটা যে দেশ থেকে আসবে এটা ঠিক হলে তারা নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেই আসতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমাদের জানার কথা। তিনি বলেন, দেশে অনেক ব্যাংক, কোন ব্যাংকে কত টাকার লেন-দেন হয় এটা তাদের জানা থাকে না।

এত বড় একটি এমাউন্ট একই দিনে একটি একাউন্টে জমা হলো- এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরেই নেই। বিষয়টি কেমন হলো না। অথচ নিয়ম রয়েছে বড় অংকের টাকা কোনো হিসাবে জমা হলে, লেনদেন হলে তা তাদেরকে জানানোর কথা। তারাও স্বেচ্ছায় খতিয়ে দেখতে পারে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, সব ব্যাংক সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানায় না। এই কারণে জানতে পারি না। টাকার অংকটি বড়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তারা প্রতিদিনই আমাদের সব জানাবে এমন বাধ্যবাধকতাও নেই। তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি আরাফাত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। সেটি সোনালী ব্যাংকে জমা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই জানি না। সোনালী ব্যাংক এখনও কোনো কিছুই জানায়নি।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের এমডি যদিও দাবি করেছেন তিনি জানেন না ব্যাংকের কোন শাখায় কত টাকা জমা হয়েছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এত বড় ব্যাংক। এটা অনেক সময় ট্রেজারি ব্যাংকের ভূমিকা পালন করে। এই কারণে কোন শাখায় কত টাকা জমা হচ্ছে এটা এমডি না-ও জানতে পারেন। তিনি বলেন, এমডি চাইলেই সেনালী ব্যাংকের সংশিস্নষ্ট শাখা থেকে খবর নিতে পারেন।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে জানানো হয়, তিনি অফিসে নেই। মন্ত্রণালয়ে গেছেন। এরপর তার সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে ও মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সূত্র জানায়, কোকোর পাচার করা টাকা জমা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায়। এরপর রমনা করপোরেট শাখায় গেলে সেখানকার উপ-মহাব্যবস্থাপক সুখেন্দু বিশ্বাস সাহা সেই শাখায় বিদেশ থেকে অর্থ আসার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একটি শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ২৬ নভেম্বর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ওই টাকাটি যে হিসাবে জমা হয়েছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্যাংক হিসাব। দুদকের হিসাবে টাকাটা জমা হলেও সেখানে বলা হয়নি এটা কোকোর টাকা। সেখানে টাকাটা রেমিটেন্স হিসেবেই দেখানো হয়েছে। আর রেমিটেন্স হওয়ার কারণে তারা ওই টাকা আলাদা করে কোনো হিসাবও রাখেননি। রেমিটেন্সের খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু টাকাটা আলাদা কোনো ঘোষণা দিয়ে আসেনি, কার জন্য, কী মারফতে এসেছে, এই কারণে বিশেষভাবে বলারও প্রয়োজন হয়নি। রেমিটেন্স অন্যান্য হিসাবে যেমন আসে এখানে তেমনটিই এসেছে। টাকাটা দুদকের হিসাবেই জমা রয়েছে।

এদিকে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ২২ নভেম্বর সাংবাদিকদের জানান, সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার গত ২১ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় দুদকের একটি বিশেষ হিসাবে জমা হয়েছে। এই ব্যাপারে ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২৬ নভেম্বরের আগে কোনো টাকা পাইনি। এই কারণে দুদক চেয়ারম্যান কেমন করে ওই তারিখে টাকা জমা হওয়ার বিষয়ে বলেছেন সেটি আমরা বলতে পারব না। আমাদের এখানে ২৬ নভেম্বরের আগে টাকা জমা হওয়ার কোনো নথি নেই। দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের আরও চারদিন পর সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় অর্থ জমা হয়েছে। এদিকে দুদকের হিসাবে রেমিট্যান্স হিসেবে জমা হওয়া সোনালী ব্যাংকের রমনা কপোরেট শাখায় টাকা আসার পরও তারা এখনও পর্যন্ত্ম বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেননি। এই বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সংশিস্নষ্ট উপ মহাব্যবস্থাপক এস এইচ এস আবু জাফর বলেন, এখনও বিষয়টি জানানো হয়নি। কেন হয়নি তা বলতে পারছি না। নিয়ম অনুযায়ী দিনের হিসাবেই তা উলেস্নখ থাকার কথা। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক সুখেন্দু বিশ্বাস সাহা বলেন, অর্থ জমা হওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে প্রতিবদেন জমা দেয়া হয়নি। তবে দুএকদিনের মধ্যেই লিখিতভাবে জানানো হবে।

এদিকে দুদকের চেয়ারম্যান টাকা ফেরত আসার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এ-ও ঘোষণা দেন- ফেরত আনা টাকা দুদকের মামলার কাজে ব্যয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশ থেকে ফেরত আনা টাকা জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। এই টাকা কোন খাতে কেমন করে ব্যয় করা হবে এটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে ওয়ান ইলেভেনের পরবর্তী সরকারের সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর ও তারেক রহমানের দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছিলেন এমন একটি সূত্র বলেছে, ওই সময়ে তাদের নামে বিদেশে টাকা পাচারের প্রমাণ না পাওয়া তখন তারা টাকা ফেরত আনতে পারেননি। এমনকি ওই সময়ে যাদের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছিল ও বিদেশে টাকা লেনদেন হয়েছিল বিদেশের বিভিন্ন হিসাবে টাকা জমা রয়েছে ওই সব টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে এমইউ স্বাক্ষর করা হয়েছিল। ওই সূত্র দাবি করে, কোকোর নামে ওই সময়ে টাকা পাওয়া যায়নি। তবে ২০০৭ সালের নভেম্বরে টাকা জমা হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ওই সময়ে কোকো কারাগারে থাকা অবস্থায় তার হিসাবে কে টাকা জমা করল। তিনি দুএকজনের কথা উলেস্নখ করে বলেন, তারা এই কাজটি করে থাকতে পারেন। তিনি দাবি করেন, কোকো ২০০৭-এর নভেম্বরের আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এদিকে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর আয়কর ফাইল, সকল প্রকার আয় ও অর্থ মামলার বিষয়গুলো দেখেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন, আরাফত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে বলে দুদক যে দাবি করছে এটা আমরা মানছি না। কারণ আমরা খবর নিয়ে দেখেছি বাংলাদেশে যে টাকা ফেরত এসেছে ওই টাকাটা কোকোর নয়। কারণ ওই টাকাটা বিদেশে আমেরিকার ব্যাংকে জমা হয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। আর টাকাটা আমেরিকা থেকে একটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে আসে। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে টাকাটা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। তিনি বলেন, টাকাটা কোকোর হয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি কারাগারে থাকার আগে ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু তা জমা হয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বরে। ফলে তিনি ওই টাকা কারাগারে থেকে তো আর জমা দিতে পারেন না। প্রশ্ন হচ্ছে- কে টাকা জমা দিলেন। তাকে আগে বের করা দরকার।

তিনি দাবি করেন, সিঙ্গাপুরে জাজ কনসালটেন্ট ফার্ম নামে একটি ফার্মের সঙ্গে কোকোর সংশিস্নষ্টতা ছিল। ওই সংশিস্নষ্টতার বিষয়টিকে পুঁজি করেই এখানে তাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরো দাবি করে বলেন, বাংলাদেশের কারো টাকা বাইরে ছিল। অর্থমন্ত্রী একবার এই ধরনের কথা বলে কেবল কোকোর নাম বলেছিলেন। তবে কার কার টাকা আছে তিনি অন্য কারো নাম বলতে পারেননি। আমাদের আশঙ্কা অন্যদের টাকা ফেরত এনে কোকোর নামে তা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। ওই ফার্মের সঙ্গে সরকারেরও লোক আছে। তাদের মাধ্যমেও টাকা ফেরত আনা হতে পারে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে টাকা জমা করানো ও টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়টি পুরোটাই রহস্যজনক। আরো রহস্যজনক হচ্ছে টাকা বিদেশ থেকে ব্যাংক হিসাবে আসার আগেই দুদক চেয়ারম্যানের ঘোষণা দেয় এবং এখনও পর্যন্ত্ম বাংলাদেশ ব্যাংক এই সম্পর্কে কোনো কিছুই না জানা।

বিএনপির দাবি অনুযায়ী তারা এই ব্যাপারে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত্ম এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত্ম নেননি ম্যাডাম। সিদ্ধান্ত্ম নিলেই বলা সম্ভব হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে এ বিষয়ে একটি টিম কাজ করবে।

এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে এখনো লিখিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশিস্নষ্ট নির্বাহী পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান। শুধুমাত্র তারা মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, টাকা ফেরত আনা হয়েছে। দুদকের হিসাবে জমা হয়েছে আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু আমরা দুদককে অবিশ্বাস করতে পারছি না বলেই, এ নিয়ে কোনো ঘাঁটাঘাঁটি করছি না। তারা দাবি করেছে টাকা এনেছে, মানেই আমরা ধরে নিচ্ছি তারা যেটি বলেছেন এটাই সত্য। দুদক টাকা ফেরত আনার পর টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করে দেখবো কি না এমন কোনো সিদ্ধান্ত্ম নিইনি। তিনি বলেন, দুদকের টাকা দুদক কোন খাতে খরচ করবে এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছুই বলার নেই।

উলেস্নখ্য, অভিযোগ ছিল, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের একটি প্রকল্পের কাজ পেতে জার্মান বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স এজির স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিমেন্স-বাংলাদেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেন। এর মধ্যে আরাফাত রহমান কোকোও ছিলেন। ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ লেনদেন হয়েছিল। ওই অর্থই ফেরত আনা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান ২২ নভেম্বর অর্থ ফেরত আনার তথ্য জানিয়ে বলেছিলেন, ফেরত আনা অর্থ দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় যৌথভাবে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। ওই মামলায় কোকোর শাস্ত্মিও দিয়েছে আদালত। তিনি আদালতের চোখে পলাতক রয়েছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একগাদা মিডিয়ার সামনে বিভিন্ন সরকারি মুখপত্র, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মুখের কথা অনেক সময় বিভ্রান্তি শৃষ্টি করতে পারে।
আসলে 'পেপার উইল টক'। ডকুমেন্ট যা বলবে সেটাই আসল।

সে সময় সিংগাপুর স্ট্রেইট টাইমস পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অভিযুক্ত কোকোর সহযোগী লিম ইউ মূলত কোকোর আদেশ অনুযায়ী পাচার করা মুদ্রা ব্যাংকে নিজ নামের যৌথ হিসাবে রেখেছিলেন। একই সঙ্গে অপরাধমূলকভাবে পাচার হওয়া ওই টাকার বিষয়টি তিনি গোপন করেন এবং তা পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ বা করাপ্ট প্র্যাকটিস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে জানাননি। এ অপরাধে সিঙ্গাপুর আদালত লিম এর একাউন্টের সমুদয় অর্থ বাজেয়াপ্ত করে তাঁকে নয় হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা করেন।

কাজ পেতে কোকোকে ঘুষ দেওয়ার এই ঘটনায় মার্কিন আদালতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সিমেন্স। রায়ে পাঁচ লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে রেহাই পায় সিমেন্স।

সিমেন্সের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে গত ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম আলোতে প্রথম অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

সিংগাপুর আদালতের রায় অনুযায়ী এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশকে দিতে বলা হয়। কারন উভয় দেশই জাতিসঙ্ঘের অন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের স্বাক্ষরকারি দেশ। উভয় দেশের এটর্নি জেনারেল টু এটর্নি জেনারেল টাকা হস্তান্তর হয়, কয়েক দফায়।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০১

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:

Click This Link

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

Birds Lover বলেছেন: নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: বেশী কথা কইয়েন না তাহলে কতক্ষণ পর শূনতে হবে FBI হচ্ছে B.A.L এর পেটোয়া বাহিনী ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শেষ দিকের কমেন্টগুলো পড়ুন। দেখুন এক উলংগ দলবাজ কি বলছে!

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: আসেন ছাগু হাসিনা আর ছাগী খালেদা মুক্ত দেশ গড়ি। নইলে আমাগোর মত রাম ভুদাই- ছাগু- গাধু- বেক্কল জাতী আর দুনিয়াতে থাকবো না। এই দুই খাট্টাস মহিলা দেশটারে তেনা তেনা কইরা দিছে। দুই টাই সমান সমান দূর্নিতিবাজ। এখন আমরা আর আচুদা রাম ভোদাই থাকবো না। বহুত বাকোয়াজ হইছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"দুই টাই সমান সমান দূর্নিতিবাজ"
এভাবে কথা বলে একটা বিশাল দুর্নীতিকে আড়াল করা হয়।

দুই টাই সমান সমান দূর্নীতিবাজ না।

'হলমার্ক ও ডেষ্টিনির টাকা আত্নসাত' অন্য সরকার থাকলে ধরাই পড়ত না। কেউ জানত না।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল অনলাইন সিস্টেম করাতে যে কোন ব্যাঙ্কের লেনদেন অটো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক 'বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে' চলে যায়। এভাবেই হলমার্কের টাকা ধরা হয়েছিল।

হলমার্ক ও ডেষ্টিনির মালিক গুলোকে শিকের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে। সকল জমি জমা, সয়সম্পদ, ব্যাঙ্ক একাউন্ট বাযেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এগুলো বিক্রীকরে সঙ্কুলান না হলে দেহের রক্ত বিক্রীকরে হলেও বকেয়া শোধ দিতে হবে।

পদ্মা সেতুতে কোন দুর্নীতি হয় নাই। দুর্নীতির চেষ্টাও হয় নি। সেতুর কন্সাল্টিং ঠিকাদার যার ফাইনাল সিলেক্সানও হয় নি। ওয়ার্ক অর্ডার তো দুরের কথা! সেই ঠিকাদার কম্পানির এক ব্যক্তির ডাইরিতে "হোসেন - ২%" কথাটি লেখা ছিল। ঠিকাদাররা হিসাব করার সময় এই ধরনের ফান্ড ধরে রাখে। লাগলে লাগল, না লাগলে নাই, এটা তাদের নিজস্য ব্যাপার।

এই সামান্য অস্পষ্ট লেখা দেখে কারো বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না।
অথচ বিশ্বব্যাঙ্ক এটাই করতে বলেছিল বাংলাদেশ কে। সবই ইউনুসের প্ররচনায় অবস্যই।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পদ্মা সেতু গুবলেট করেছে ইউনুস, এতে কোন সন্দেহ নেই।

নইলে তিনি একজন ভদ্র মানুষ। কিন্তু তিনি কেন মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটি কুখ্যাত লবিং ফার্ম ভাড়া করবেন?
Click This Link

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০১

পরিযায়ী বলেছেন: পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: আসেন ছাগু হাসিনা আর ছাগী খালেদা মুক্ত দেশ গড়ি। নইলে আমাগোর মত রাম ভুদাই- ছাগু- গাধু- বেক্কল জাতী আর দুনিয়াতে থাকবো না। এই দুই খাট্টাস মহিলা দেশটারে তেনা তেনা কইরা দিছে। দুই টাই সমান সমান দূর্নিতিবাজ। এখন আমরা আর আচুদা রাম ভোদাই থাকবো না। বহুত বাকোয়াজ হইছে

সাথে গোলাম আযম (গোআ) কেও অ্যাড করলাম।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:



হুররে…………….ম্যান অব দ্য ম্যাচ........... হাসিনা!!

তার সাথে কো-প্লেয়ার ব্যরিষ্টার শফিক, মাহবুবে আলম, বদিউজ্জামান আর চোরা চুপ্পু।
বিষয়টা কি? তারা প্লেয়ার, তারাই আম্পায়ার, তারাই চেক নিচ্ছে এবং দিচ্ছে। মাঝখানে গল্প প্রচার- কোকের টাকা আনছি!

তো, কোকোর যদি টাকা আনাই হয়, সেইটা অত বড় চেক তৈরী করা হইছে কেনো ক্রিকেট ম্যাচের মতন? তার মানে ওইটা অন্য কিছু? সেইটার নাম – রাজনৈতিক প্রচারণা।

দাবী করা হচ্ছে, মঙ্গলবার হোটেল রূপসী বাংলায় দুদকের আয়োজনে ‘পাচারকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামানের কাছে ওই অর্থের চেক হস্তান্তর করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অর্থাৎ, আমরা আর মামুরা!!! সিঙ্গাপুর ওভারসিজ ব্যাংক থেকে গত ১৩ আগস্ট ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৭ মার্কিন ডলার বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক রমনা করপোরেট শাখায় জমা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮ আগস্ট এ অর্থ দুদকে জমা হয় ‘স্টোলেন রিকভারি অ্যাসেট’ হিসাবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এতে দাবী করা হয়, ২০০৫ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে কোকো রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে নেয়া ঘুষ ও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল এজেন্টদের কাছ থেকে আদায় করা কমিশন মিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেন।

কিন্তু ঘটনা তো ভিন্ন:
খালেদা জিয়াকে হাসিনার ফরমুলার নির্বাচনে আনতেই এই নোংরা প্রচারণা! এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না--সবাই নিশ্চুপ। আমরা একটু খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি। তাতে যা পাওয়া গেলো: আগের দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের দাবি ছিল—ফেরত আনা এই অর্থ দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে। গোলাম রহমানের বক্তব্য যে বানোয়াট, তা অর্থ বিভাগের চিঠি থেকেই বোঝা যাচ্ছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছিল যে, ”অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের 'ট্রেজারি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট' এ জমা হবে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের টাকা। অথচ দুদক বলছে, এই টাকার মালিক দুদক এবং তারাই খরচ করবে টাকা। তার মানে পরিস্কার, এই টাকা আর যাই হোক কোকোর নামে কথিত দুর্নীতির টাকার নয়, অন্য কিছু।

দুদকের দেয়া আগেকার তথ্য অনুসারে সিঙ্গাপুরে টাকা গেছে নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক থেকে, বাংলাদেশ থেকে নয়। তবে হাসিনার সরকার কেনো দাবী করছে, এ্বাই টাকা লাদেশ থেকে পাচার করা?? যদি অন্যায়ভাবে টাকা গিয়ে থাকে সেখানে, তবে সেই টাকা ফেরত যাবে আমেরিকাতে। বাংলাদেশে কেনো আসবে ঐ টাকা? কেমন করে? বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা কি কেউ রেমিটেন্স করে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিলো? অবশ্যই না। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের কোমরে এত জোর আসলো কোত্থেকে যে, আমেরিকার পাওনা টাকা ঢাকায় নিয়ে চলে আসলো? অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ সরকার কোর্টে এবং জনগণকে যে গল্প শুনিয়েছে পুরোটাই লন্ডন, জার্মানী, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, সিমেন্স, সিটি ব্যাংক, ফরাসী ব্যাংক ইত্যাদি। পুরোটাই হাওয়াই গল্প। এতে বাংলাদেশের কোনো কথা বা ঘটনা নাই। কবি এখনেই নিরব!

কি মজার কান্ড! এর আগে খবর রটানো হলো, সিমেন্সের ঘুস কেলেঙ্কারীর মামলা যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে বিচারাধীন। U.S. Assistant Attorney General Matthew Friedrich বলেন "This action shows the lengths to which U.S. law enforcement will go to recover the proceeds of foreign corruption, including acts of bribery and money laundering." সেই মামলার রায় হলে সিঙ্গাপুর থেকে টাকা ফেরত যাবে আমেরিকার সিটি ব্যাংকে বা সিমেন্সের কাছে। বাংলাদেশে আসবে কি পথ ভুল করে? বাংলাদেশ সরকারের এত ক্ষমতা আমেরিকার চাহিত টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসে!!

প্রশ্ন করে দেখুন, বাংলাদেশ সরকার বা দুদক কি টাকা ফেরত চেয়ে কখনো সিঙ্গাপুরের আদালতে মামলা করেছে? নাকি রায় পেয়েছে? তাহলে সিঙ্গাপুর সরকার বাংলাদেশে ২০ কোটি টাকা পাঠাতে যাবে কোন্ দুঃখে? বাংলাদেশের আদালতের রায় মেনে সিঙ্গাপুর সরকার টাকা ফেরত পাঠাবে, এটা কল্পনা করা যায়? কেবল কোনো উন্মাদ লোকের পক্ষেই তা বিশ্বাস করা সম্ভব।

বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশে কি সিঙ্গাপুর চলে? নাকি সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগ সরকারের কোনো জেলা বা করদ রাজ্য, যে শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে ২০ লাখ ৪১ হাজার ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিলো?

লক্ষ করুন, বাংলাদেশ সরকার বা দুদক বা সোনালী ব্যাংক এই কথিত ‘টাকা ফেরত আনার’ কোনো সূত্র বা দলিল প্রকাশ করেনি। যদিও বলা হচ্ছে, সিংগাপুরের কোর্ট অর্ডারের প্রেক্ষিতে এই টাকা বাংলাদেশে এসেছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর আদালতের যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, তাতে দেখা যায় সিঙ্গাপুরের নাগরিক লিম সিউ চ্যাংকে মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১২ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা করার কথা। অথচ এখন বাংলাদেশের দুদক বলছে, সিঙ্গাপুরের রায় অনুসারে টাকা আনা হয়েছে। আর এ গল্পটি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য নিরপেক্ষতার ভাণ ধরাতে দুদককে ব্যবহার করা হয়েছে। আবার হাসিনার একজন বিশেষ সহকারী নাকি ঐ টাকা এনেছেন! তাই তাকে দেয়া হয়েছে ১০%! কি মজার পার্সেন্ট ভাগ যেনো বানরের পিঠা ভাগ! খালেদা জিয়ার ইমেজ নষ্ট করার জন্য এই সামান্য কয়টা টাকা ইনভেষ্ট ‘জাতীয় নাতির’ জন্য কিস্সু না!

পুরোনো কথা একটু স্মরণ করা যাক। কোকোর নামে এই কথিত দুর্নীতির অভিযোগটি দুদক প্রকাশ করে ১৯ ডিসেম্বর ২০০৮, যা ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের ১০দিন আগে প্রেস কন্ফারেন্স করে দুদকের মহাপরিচালক কর্নেল হানিফ ইকবাল। তখন বলা হয়েছিলো, “সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ১২ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই একাউন্টটি জব্দ করা হয়েছে।” আর এখন আওয়ামীলীগ বলছে ২০ কোটি টাকা! তা বেশ, বিশ কোটি টাকা শুনতে খারাপ না। কি বলেন সবাই?

কোকোকে আটক করা হয়েছে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। আর কথিত টাকার সব লেন দেন হয় কোকো জেলে থাকতে, তাও সিঙ্গাপুরি এক নাগরিকের একাউন্টে। কোকো আটকের ১৫ মাস পরে কোকোর নামে এই অভিযোগটি এমনভাবে হাসান মসহুদের দুদক এমনভাবে প্রকাশ করে, যাতে নির্বাচনের ১০ দিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার পরাজয় নিশ্চিত করা যায়। এ কথা অনস্বীকার্য, শেখ হাসিনার সাথে জেনারেল মইন চুক্তিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জিতিয়ে আনার যে কূটকৌশল রচনা করা হয়, তার একটি অন্যতম হাতিয়ার ছিল কোকোর বিরুদ্ধে তথাকথিত ঐ বানোয়াট অভিযোগটি। জেনারেল হাসান মসহুদের দুদক যদি পরিস্কার থাকত, তবে কোকোকে আটকের কয়েকদিনের মধ্যেই মামলাটি দায়ের করতে পারত। কিন্তু তা না করে, প্রায় দেড় বছর পরে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে (যখন কোকো দেশে নাই এবং জবাব দিতে পারছে না) এই অভিযোগ তোলা নির্বাচনী আচরণবিধির লংঘনও বটে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার এই মামলাটির বিচারকার্য কোকোর অনুপস্থিতিতে তাড়াহুড়া এমনভাবে সম্পন্ন করে, যাতে করে অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থন করা বা প্রকৃত ঘটনা প্রকাশের কোনো সুযোগ না থাকে। মোট কথা, খালেদা জিয়ার ইমেজ ধংস করার জন্য আওয়ামীলীগ সরকারের এটা ছিলো একটা মিডিয়া ট্রায়াল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যবস্থাধীনে কিছু টাকার রেমিটেন্স এবারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, যেটা কোকোর টাকা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটাকে বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের ইনভেস্ট হিসাবেই গন্য করা হচ্ছে। কে কোত্থেকে এই টাকা পাঠালো, তার প্রমানপত্র তো আর আপাতত কাউকে দেখাতে হচ্ছে না। এর ইঙ্গিত মেলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত যখন সাংবাদিকদের বলেন, সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় দুদকের করা একটি অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা জমা হয়েছে। এ টাকার উৎস কী এবং কারা এই টাকা পাঠিয়েছে—সেটা তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। সেই টাকা কোকোর নামে পাচার করা অর্থ কিনা—এ বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের ঘুস কেলেঙ্কারী চাপা দেয়ার জন্য, এমনকি বেগম জিয়ার আগামীতে ক্ষমতায় আসার পথ রুদ্ধ করতে এর চেয়ে আর মোক্ষম অস্ত্র আর হয় না!

প্রশ্ন হচ্ছে, এই সামান্য ২০ কোটি টাকা খরচ করেই কি শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ওঠা ৯৬ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির দায় এড়াতে পারবেন?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোকোর ধরা খাওয়া নিয়ে কয়েকটি বিদেশী পত্রীকার লিঙ্ক দিলাম - ৫ বছর আগের খবর -
Click This Link

Click This Link


Click This Link

Click This Link

Click This Link

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৭

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
১ ও ৩ নং লিঙ্কে কোকোর নাম নাই....
৪ নং লিংক দেশী - ডেইলি স্টার - "বিদেশী পত্রীকা" না...
৫ নং এফ বি আই এর লিংক আগে দেয়া - জবাব ও আগে দেয়া....আবার দেই...


The forfeiture complaint relates primarily to ""alleged"" bribes paid to Arafat "Koko" Rahman,...........................According to the forfeiture complaint, the majority of funds in Koko’s account are traceable to bribes ""allegedly"" received in connection with the China Harbor project.....................

================================
ফেরত আনা টাকা "কোকোর নয়",দুদক চেয়ারম্যান বলার "৪ দিন পর ব্যাংকে জমা হয়েছে টাকা"

কোকোর পাচারের টাকা ফেরত আনা নিয়ে "ধুম্রজাল"
---------------------------------------------------

নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী ও কালাম আজাদ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনার বিষয়ে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। এই টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে এখনও কিছুই জানে না বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। সোনালী ব্যাংকের সংশিস্নষ্ট শাখা বলছে, টাকা জমা হয়েছে ২৬ নভেম্বর। আর দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন টাকা এনেছেন ২১ নভেম্বর। সোনালী ব্যাংকের বক্তব্য অনুযায়ী টাকা জমা হওয়ার আগেই দুদক কর্তৃপক্ষ বলছে টাকা জমা হয়েছে। আর বিএনপি দাবি করছে, ওই টাকা কোকোর নয়, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এদিকে ওয়ান ইলেভেনেরপরবর্তী সরকারের যারা বিদেশ থেকে টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে কাজ করছিলেন ওই রকম একটি সূত্র বলেছে, ওই সময়ে তারা কোকোর বিদেশে থাকা টাকার সন্ধান পাননি। এই কারণে তারা টাকা ফেরতও আনতে পারেননি। তবে এতদিন পর দুদক কী পেয়েছে তা বলতে পারছেন না।

কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে এই কথা দুদক চেয়ারম্যান জানানোর পর অনেকেই এটা নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার আগেই কেমন করে দুদক এই টাকা ফেরত আনার ঘোষণা দিলেন। এই ব্যাপারে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে সত্যতা জানার চেষ্টা করা হয়। তিনি বলেন, ভীষণ ব্যস্ত্ম আছি। একদিন পরে কথা বলব। এদিকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- বিদেশ থেকে টাকা জমার আগেই দুদক চেয়ারম্যান টাকা ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন এর কারণ ওই সময়ে টাকাটি জমা হওয়ার কথা থাকলেও তা জমা হয়নি। কোকোর টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে টাকা এলে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের জানার কথা। কিন্তু ৭ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক জানে না সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর কোন টাকা ফেরত এসেছে। আর ফেরত এসে থাকলে তা কবে, কোন ব্যাংকের মাধ্যমে, কোন ব্যাংকে, কোন শাখায় এসেছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান গতকাল দুপুরে আমাদের অর্থর্নীতিকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই কোকোর টাকা কবে এসেছে। কত টাকা এসেছে। কেমন করে এসেছে। আমাদেরকে কোনো ব্যাংক জানায়নি। তিনি দাবি করেন, বিদেশ থেকে টাকা এলে সেটা যে দেশ থেকে আসবে এটা ঠিক হলে তারা নির্দিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমেই আসতে হবে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আমাদের জানার কথা। তিনি বলেন, দেশে অনেক ব্যাংক, কোন ব্যাংকে কত টাকার লেন-দেন হয় এটা তাদের জানা থাকে না।

এত বড় একটি এমাউন্ট একই দিনে একটি একাউন্টে জমা হলো- এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরেই নেই। বিষয়টি কেমন হলো না। অথচ নিয়ম রয়েছে বড় অংকের টাকা কোনো হিসাবে জমা হলে, লেনদেন হলে তা তাদেরকে জানানোর কথা। তারাও স্বেচ্ছায় খতিয়ে দেখতে পারে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, সব ব্যাংক সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানায় না। এই কারণে জানতে পারি না। টাকার অংকটি বড়, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তারা প্রতিদিনই আমাদের সব জানাবে এমন বাধ্যবাধকতাও নেই। তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি আরাফাত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। সেটি সোনালী ব্যাংকে জমা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছুই জানি না। সোনালী ব্যাংক এখনও কোনো কিছুই জানায়নি।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের এমডি যদিও দাবি করেছেন তিনি জানেন না ব্যাংকের কোন শাখায় কত টাকা জমা হয়েছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এত বড় ব্যাংক। এটা অনেক সময় ট্রেজারি ব্যাংকের ভূমিকা পালন করে। এই কারণে কোন শাখায় কত টাকা জমা হচ্ছে এটা এমডি না-ও জানতে পারেন। তিনি বলেন, এমডি চাইলেই সেনালী ব্যাংকের সংশিস্নষ্ট শাখা থেকে খবর নিতে পারেন।

এদিকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রদীপ কুমার দত্তের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে জানানো হয়, তিনি অফিসে নেই। মন্ত্রণালয়ে গেছেন। এরপর তার সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে ও মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সূত্র জানায়, কোকোর পাচার করা টাকা জমা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায়। এরপর রমনা করপোরেট শাখায় গেলে সেখানকার উপ-মহাব্যবস্থাপক সুখেন্দু বিশ্বাস সাহা সেই শাখায় বিদেশ থেকে অর্থ আসার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একটি শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ২৬ নভেম্বর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে। ওই টাকাটি যে হিসাবে জমা হয়েছে তা দুর্নীতি দমন কমিশনের ব্যাংক হিসাব। দুদকের হিসাবে টাকাটা জমা হলেও সেখানে বলা হয়নি এটা কোকোর টাকা। সেখানে টাকাটা রেমিটেন্স হিসেবেই দেখানো হয়েছে। আর রেমিটেন্স হওয়ার কারণে তারা ওই টাকা আলাদা করে কোনো হিসাবও রাখেননি। রেমিটেন্সের খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি বলেন, যেহেতু টাকাটা আলাদা কোনো ঘোষণা দিয়ে আসেনি, কার জন্য, কী মারফতে এসেছে, এই কারণে বিশেষভাবে বলারও প্রয়োজন হয়নি। রেমিটেন্স অন্যান্য হিসাবে যেমন আসে এখানে তেমনটিই এসেছে। টাকাটা দুদকের হিসাবেই জমা রয়েছে।

এদিকে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ২২ নভেম্বর সাংবাদিকদের জানান, সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার গত ২১ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় দুদকের একটি বিশেষ হিসাবে জমা হয়েছে। এই ব্যাপারে ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২৬ নভেম্বরের আগে কোনো টাকা পাইনি। এই কারণে দুদক চেয়ারম্যান কেমন করে ওই তারিখে টাকা জমা হওয়ার বিষয়ে বলেছেন সেটি আমরা বলতে পারব না। আমাদের এখানে ২৬ নভেম্বরের আগে টাকা জমা হওয়ার কোনো নথি নেই। দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যের আরও চারদিন পর সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় অর্থ জমা হয়েছে। এদিকে দুদকের হিসাবে রেমিট্যান্স হিসেবে জমা হওয়া সোনালী ব্যাংকের রমনা কপোরেট শাখায় টাকা আসার পরও তারা এখনও পর্যন্ত্ম বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেননি। এই বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সংশিস্নষ্ট উপ মহাব্যবস্থাপক এস এইচ এস আবু জাফর বলেন, এখনও বিষয়টি জানানো হয়নি। কেন হয়নি তা বলতে পারছি না। নিয়ম অনুযায়ী দিনের হিসাবেই তা উলেস্নখ থাকার কথা। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক সুখেন্দু বিশ্বাস সাহা বলেন, অর্থ জমা হওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে প্রতিবদেন জমা দেয়া হয়নি। তবে দুএকদিনের মধ্যেই লিখিতভাবে জানানো হবে।

এদিকে দুদকের চেয়ারম্যান টাকা ফেরত আসার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এ-ও ঘোষণা দেন- ফেরত আনা টাকা দুদকের মামলার কাজে ব্যয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশ থেকে ফেরত আনা টাকা জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। এই টাকা কোন খাতে কেমন করে ব্যয় করা হবে এটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে ওয়ান ইলেভেনের পরবর্তী সরকারের সময়ে আরাফাত রহমান কোকোর ও তারেক রহমানের দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছিলেন এমন একটি সূত্র বলেছে, ওই সময়ে তাদের নামে বিদেশে টাকা পাচারের প্রমাণ না পাওয়া তখন তারা টাকা ফেরত আনতে পারেননি। এমনকি ওই সময়ে যাদের টাকা বিদেশে পাচার হয়েছিল ও বিদেশে টাকা লেনদেন হয়েছিল বিদেশের বিভিন্ন হিসাবে টাকা জমা রয়েছে ওই সব টাকা ফেরত আনার ব্যাপারে এমইউ স্বাক্ষর করা হয়েছিল। ওই সূত্র দাবি করে, কোকোর নামে ওই সময়ে টাকা পাওয়া যায়নি। তবে ২০০৭ সালের নভেম্বরে টাকা জমা হয়েছিল বলে শুনেছিলাম। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ওই সময়ে কোকো কারাগারে থাকা অবস্থায় তার হিসাবে কে টাকা জমা করল। তিনি দুএকজনের কথা উলেস্নখ করে বলেন, তারা এই কাজটি করে থাকতে পারেন। তিনি দাবি করেন, কোকো ২০০৭-এর নভেম্বরের আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এদিকে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর আয়কর ফাইল, সকল প্রকার আয় ও অর্থ মামলার বিষয়গুলো দেখেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন, আরাফত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে বলে দুদক যে দাবি করছে এটা আমরা মানছি না। কারণ আমরা খবর নিয়ে দেখেছি বাংলাদেশে যে টাকা ফেরত এসেছে ওই টাকাটা কোকোর নয়। কারণ ওই টাকাটা বিদেশে আমেরিকার ব্যাংকে জমা হয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। আর টাকাটা আমেরিকা থেকে একটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে আসে। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে টাকাটা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। তিনি বলেন, টাকাটা কোকোর হয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি কারাগারে থাকার আগে ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু তা জমা হয়েছে ২০০৭ সালের নভেম্বরে। ফলে তিনি ওই টাকা কারাগারে থেকে তো আর জমা দিতে পারেন না। প্রশ্ন হচ্ছে- কে টাকা জমা দিলেন। তাকে আগে বের করা দরকার।

তিনি দাবি করেন, সিঙ্গাপুরে জাজ কনসালটেন্ট ফার্ম নামে একটি ফার্মের সঙ্গে কোকোর সংশিস্নষ্টতা ছিল। ওই সংশিস্নষ্টতার বিষয়টিকে পুঁজি করেই এখানে তাকে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরো দাবি করে বলেন, বাংলাদেশের কারো টাকা বাইরে ছিল। অর্থমন্ত্রী একবার এই ধরনের কথা বলে কেবল কোকোর নাম বলেছিলেন। তবে কার কার টাকা আছে তিনি অন্য কারো নাম বলতে পারেননি। আমাদের আশঙ্কা অন্যদের টাকা ফেরত এনে কোকোর নামে তা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। ওই ফার্মের সঙ্গে সরকারেরও লোক আছে। তাদের মাধ্যমেও টাকা ফেরত আনা হতে পারে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে টাকা জমা করানো ও টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়টি পুরোটাই রহস্যজনক। আরো রহস্যজনক হচ্ছে টাকা বিদেশ থেকে ব্যাংক হিসাবে আসার আগেই দুদক চেয়ারম্যানের ঘোষণা দেয় এবং এখনও পর্যন্ত্ম বাংলাদেশ ব্যাংক এই সম্পর্কে কোনো কিছুই না জানা।

বিএনপির দাবি অনুযায়ী তারা এই ব্যাপারে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত্ম এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত্ম নেননি ম্যাডাম। সিদ্ধান্ত্ম নিলেই বলা সম্ভব হবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে এ বিষয়ে একটি টিম কাজ করবে।

এদিকে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে এখনো লিখিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির সংশিস্নষ্ট নির্বাহী পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান। শুধুমাত্র তারা মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, টাকা ফেরত আনা হয়েছে। দুদকের হিসাবে জমা হয়েছে আমরা গণমাধ্যমে জেনেছি। কিন্তু আমরা দুদককে অবিশ্বাস করতে পারছি না বলেই, এ নিয়ে কোনো ঘাঁটাঘাঁটি করছি না। তারা দাবি করেছে টাকা এনেছে, মানেই আমরা ধরে নিচ্ছি তারা যেটি বলেছেন এটাই সত্য। দুদক টাকা ফেরত আনার পর টাকা জমা দেয়ার বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করে দেখবো কি না এমন কোনো সিদ্ধান্ত্ম নিইনি। তিনি বলেন, দুদকের টাকা দুদক কোন খাতে খরচ করবে এটা তাদের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছুই বলার নেই।

উলেস্নখ্য, অভিযোগ ছিল, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের একটি প্রকল্পের কাজ পেতে জার্মান বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স এজির স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিমেন্স-বাংলাদেশ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেন। এর মধ্যে আরাফাত রহমান কোকোও ছিলেন। ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ লেনদেন হয়েছিল। ওই অর্থই ফেরত আনা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান ২২ নভেম্বর অর্থ ফেরত আনার তথ্য জানিয়ে বলেছিলেন, ফেরত আনা অর্থ দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় করা হবে। পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় যৌথভাবে কাজ করছে বলেও তিনি জানান। ওই মামলায় কোকোর শাস্ত্মিও দিয়েছে আদালত। তিনি আদালতের চোখে পলাতক রয়েছেন।

Click This Link


কোকোরে "ধরা" খাওয়ানির কাম এত্ত "সুজা" হইবোনা "হাসিনা - জয়ের" লাইগ্যা........

http://www.youtube.com/watch?v=yjOZ_5D6GoE

http://www.youtube.com/watch?v=R0HTayNCG5w

Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
"কোকোর পাচারের টাকা ফেরত আনা নিয়ে "ধুম্রজাল"

এই "বিশাল আবর্জনা" বার বার কপি-পেষ্ট করে ফ্লাডিং করার অর্থ কি?

তোমাদের মত দলবাজিতে অন্ধ লোকজনদের "পেপার কাটিং" পানিতে গুলিয়ে খাইয়ে দিলেও এই খবর বিশ্বাস হবে না।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বেগম খালেদা জিয়ার আয়কর উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান, যিনি তারেক-কোকোর আয়কর ফাইল, সকল প্রকার আয় ও অর্থ মামলার বিষয়গুলোও দেখেন তিনি বলেন -
"আরাফত রহমান কোকোর টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে বলে দুদক যে দাবি করছে এটা আমরা মানছি না। কারণ আমরা খবর নিয়ে দেখেছি বাংলাদেশে যে টাকা ফেরত এসেছে ওই টাকাটা কোকোর নয়। কারণ ওই টাকাটা আমেরিকা থেকে একটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে আসে। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে টাকাটা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। তিনি বলেন, টাকাটা কোকোর হয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি কারাগারে থাকার আগে ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু তা জমা হয়েছে ২০০৭ সালে। ফলে তিনি ওই টাকা কারাগারে থেকে তো আর জমা দিতে পারেন না"।

তার মানে কোকোর আয়কর উপদেষ্টা এডভোকেট আহমেদ আজম খান স্বীকার করে নিলেন শিঙ্গাপুরের একাউন্টটি কোকোর। এইটুকুই যথেষ্ট!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১ নং ও ৩ নং লিঙ্কে কোকোর নাম নেই?
"son of the prime minister at the time"
- এই লেখাটা চোখে পরে নাই?

৩নং লিঙ্কে সবচেয়ে ডিটেইল রিপোর্ট দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের 'বিজনেস পেজ'
এর একটি পৃষ্ঠা সম্পুর্ন ব্যয় করেছিল পত্রিকাটি। ছবি ও ভিডিও সহ। একটি বিদেশী পত্রিকায় সুধু 'কুকু' নামটা দিলে কে চিনবে?

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

রাফা বলেছেন: শিরোনামের " ঘুষের" বানানটা ঠিক করে দিন।
দ্বস্টিকটু লাগছে।

ধন্যবাদ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ রাফা ভাই।
বানানটা ঠিক করে দিয়েছি।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
বলদের মতন বারবার একই লিংক দিলে জবাব ও একই হইবো,বুঝছ রে বলদা.......

চাপা পিটাইয়া খাড়া নগদের উপর ধরা খাইলে অবশ্য ভালা মাইনষেও বলদ হইয়া যায়......আর দলবাজ আম্বা হইলে তো কথাই নাই।।

শিঙ্গাপুরের একাউন্টটি কোকোর। এইটুকুই যথেষ্ট! হা হা হা অত্ত সহজ নারে বলদা....


কাজ পেতে কোকোকে ঘুষ দেওয়ার এই ঘটনায় মার্কিন আদালতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সিমেন্স। রায়ে পাঁচ লাখ ডলার জরিমানা দিয়ে রেহাই পায় সিমেন্স।সিংগাপুর আদালতের রায় অনুযায়ী এই টাকা ক্ষতিগ্রস্থ দেশকে দিতে বলা হয়।

দুদকের দেয়া আগেকার তথ্য অনুসারে সিঙ্গাপুরে টাকা গেছে নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক থেকে, বাংলাদেশ থেকে নয়। তবে হাসিনার সরকার কেনো দাবী করছে, এ্বাই টাকা লাদেশ থেকে পাচার করা?? যদি অন্যায়ভাবে টাকা গিয়ে থাকে সেখানে, তবে সেই টাকা ফেরত যাবে আমেরিকাতে। বাংলাদেশে কেনো আসবে ঐ টাকা? কেমন করে? বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা কি কেউ রেমিটেন্স করে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়েছিলো? অবশ্যই না। তাহলে বাংলাদেশ সরকারের কোমরে এত জোর আসলো কোত্থেকে যে, আমেরিকার পাওনা টাকা ঢাকায় নিয়ে চলে আসলো? অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ সরকার কোর্টে এবং জনগণকে যে গল্প শুনিয়েছে পুরোটাই লন্ডন, জার্মানী, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, সিমেন্স, সিটি ব্যাংক, ফরাসী ব্যাংক ইত্যাদি। পুরোটাই হাওয়াই গল্প। এতে বাংলাদেশের কোনো কথা বা ঘটনা নাই। কবি এখনেই নিরব!

বুবু - ভাইজানের পারফর্মেন্স দেইখ্যা হতাশ হইয়া অত সহজে হাল ছাড়িও না.....লাইগ্যা থাক নতুন নতুন "বিশাল আবর্জনা" তৈরীত।।।

গুডলাক.......।।।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরো কিছু নিউজ, আবাউট ম্যাডামের গুনধর পুত্র - 'কুকু'

সুইজারল্যান্ডের একটি আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং মনিটরিং প্রতিষ্ঠান - কি বলেছে দেখ -
The International Centre for Asset Recovery (ICAR) at the Basel Institute on Governance in Basel, Switzerland

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যে কনভেনশনের আওতায় টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে -



এই কনভেনশন পড়ে দেখ - কোন আইনের আওতায় সিঙ্গাপুর আদালত টাকা ফেরত দিয়েছে!
পিডিএফ কপি দিলাম - Click This Link

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
সর্বশেষ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা অর্থের মধ্যে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৮৮ সিঙ্গাপুরী ডলার (প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা) সরকার ফিরিয়ে এনেছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান। বস্তুত জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্যাকেজে দুদক চেয়ারম্যান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। কোকোর মামলার ক্ষেত্রে সিআরপিসি ও আপীল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো দেশে ফিরে এলে সিআরপিসির ১৮৮ সেকশন কেন অনুসরণ করা হয়নি তা জানতে চেয়ে রীট আবেদন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুদক যে টাকা উদ্ধারের কথা বলছে সে টাকা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জাজ কোম্পানির এ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। পিআর জাজ ট্রেনিং কোম্পানি গঠন ও কোম্পানির এ্যাকাউন্ট ওপেনের সঙ্গে আরাফাত রহমান কোকোর কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা কখনও ছিল না। ২০০৪ সালে এপ্রিলের ১০ তারিখে জাজ ট্রেনিং কোম্পানি সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত হয়। আমেরিকা এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট থেকে ওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে জাজ ট্রেনিং কোম্পানির ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ২০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তর করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আরও বলেন, এজাহারে বলা হয়েছে, এই ২০ লাখ মার্কিন ডলার ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক সিঙ্গাপুরে ২০০৭ সালের ১৬ নবেম্বর জমা হয়েছে এবং ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরীয়ান জাজ ট্রেনিং কোম্পানির সঙ্গে আরাফাত রহমান কোকোর কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নেই। কোকো এই কোম্পানির কোন পরিচালক, অংশীদার, শেয়ার হোল্ডার বা কোন কর্মকর্তা নন। তার নিজের নামে এই এ্যাকাউন্ট নয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আমেরিকার এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে এই টাকা ট্রান্সফার করা হয়। জেলে থাকা অবস্থায় কোকোর পক্ষে এই টাকা ট্রান্সফার করা বা ফিক্সডিপোজিট করা সম্ভবপর নয়। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে যান। আরাফাত রহমান কোকোর কোন এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, দুদক মিডিয়ার সামনে অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ কোকার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় দায়েরকৃত মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়নি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে। মামলার ভয়ে কোকো বিদেশে আত্মগোপন করে আছেন, তিনি বিচারের সম্মুখীন হবেন না’ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য একেবারেই অসত্য। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই কোকো বিদেশ যান। তিনি বিদেশ থাকাকালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এ মামলা দায়ের করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, এই মামলার রায়ে আরাফাত রহমান কোকোকে ৬ বছর জেলা দেয়া হয়েছে। কোকোর এই মামলা এবং দ- সম্পূর্ণভাবে আইনের পরিপন্থী। সুপ্রীম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারেক রহমানের মানি লন্ডারিং মামলায় যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, পূর্বের ঘটনার বিচার পর্বের আইনে হবে না। তারেক রহমানের মামলার বিচার ২০০২ সালের আইনে হবে। তিনি বলেন, আপীল বিভাগে উল্লেখ আছে মানি লন্ডারিং নতুন আইন ২০০৯ সালে তৈরি হয়। কোকোর মামলার আইন পাশের পূর্বের ঘটনাকে পূর্বের আইনে অর্থাৎ ২০০২ সালে বিচার না করে ২০০৯ সালে বিচার করেছে, যা আপীল বিভাগের রায়ের পরিপন্থী। কোকোর মামলার রায়ে সিআরপিসি অনুসরণ করা হয়নি। সেকশন ১৮৮তে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের কোন নাগরিকের দ্বারা বিদেশে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে, বিদেশের আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত না হলে, উক্ত ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে কোন মামলা হতে পারে না।’ যেমন আমেরিকার যে কোন ব্যাংক থেকে সিঙ্গাপুরের কোন ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার সে দেশের আইনে অপরাধ নয়। কিন্তু আরাফাত রহমান কোকোর মামলা দায়েরের পর থেকে রায় হওয়া পর্যন্ত সিআরপিসি সেকশন ১৮৮ অনুসরণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, যে শর্তে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিলে সে শর্ত মেনে চলার পরও এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মান সম্মানের তোয়াক্কা না করে কোকোর মুক্তির প্যারোল বাতিল করার জন্য নি¤œ আদালতে নিজেই উপস্থিত হয়ে কোকোর জামিন বাতিল করিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল এবং সম্ভবত একমাত্র ঘটনা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোকে তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আটক করা হয়। ২০০৭ সালে ১৬ নবেম্বর সিঙ্গাপুরে ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া হয়। জেলখানা থেকে কোকোর পক্ষে ব্যাংক লেনদেন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় দায়ের হওয়া মামলাগুলো মিথ্যা এই বক্তব্য দেয়ার ৩ দিন পর দুদক চেয়ারম্যান দাবি করেন- সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক থেকে কোকোর ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাচারকৃত টাকা উদ্ধার করে বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খুলে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, সোনালী ব্যাংকের এমডি সাহেব সাংবাদিকদের প্রশ্নর জবাবে বলেছিলেন- এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু জানেন না, কোথা থেকে কত টাকা এসেছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি।

Click This Link

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আবার কপিপেষ্ট আবর্জনা!

২০০৪ সালে সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে কোকো-লিমে এর অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়। মানি লন্ডারিং মনিটরদের চোখ এড়াতে টাকা পাঠানো হয় বিভিন্ন দেশের সিমেন্সের অফিস থেকে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, দুবাই ইত্যাদি।
২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ৬-৭ দফায় বিভিন্ন মাধ্যম ব্যাবহার করে ডলার জমা দেয়া হয়।

ট্যাকা জমা দিতে কোকোর উপস্থিত থাকা লাগবে কেন?
টাকা জমা দিতে একাউন্ট হোল্ডার কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা লাগে নাকি? ;) ;) ;) =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ :P :P :P

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
টাকা জমা দিতে একাউন্ট হোল্ডার কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা লাগে নাকি?

তাতো বটেই.....খালি দুর্নীতি হওনের লাইগ্যা ট্যাকা ছাড় হওন লাগে.......ট্যাকা ছাড় হওন বাদে দুর্নীতি হয় না।।। ;) ;)

যেখানে খরচ করা টাকায় কোনো দুর্নীতি হলো না, সেখানে যে টাকা ছাড়ই হয়নি, সেই টাকায় দুর্নীতি কীভাবে হয়?
পদ্মা সেতু হবেই : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যখন সব যুক্তি ফুরিয়ে যায় তখন 'প্রলাপ' ছাড়া আর কিছু থাকে না!

১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিশ্ব ব্যাংক এখন তাদের শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের জন্য তৈরি হ্যান্ডবুকে কোকোর দুর্নীতি পড়ায়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.