নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলেও আরো বড় অচলাবস্থা হতো

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সামনের নির্বাচন কিভাবে হবে তা নিয়ে টানাপোড়ন চলছে, আনেক দিন ধরেই।

বিরোধীদের মুল দাবি তত্তাবধায়ক সরকার, কিন্তু তত্তাবধায়ক সরকার হলেই সব অচলবস্থার অবসান আর পরিস্থিতি নরমাল হয়ে যাবে একথা ভাবার কোন কারন নেই।

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলেও নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো।

কারন ২০০৬ এর আওয়ামী আন্দলোন নকল করে বিম্পি-জামাত ২০১০ এ ঘোষনা দিয়ে রাখে যে পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক এর অধিনে কোন নির্বাচনে যাবেনা। এটা তাদের ফাইনাল ডিসিশন। তার মানে একটা বড় অচলবস্থা!

বিচারপতি খাইরুল হকও ঘোষনা দিয়ে রাখলেন এইরুপ অনাস্থা অপমানের ভেতর পদাধিকার বলে প্রাপ্ত তত্তাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে তিনি থাকবেন না। দ্বিতীয় বিচারপতিও বললেন বিচারপতিদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেয়ার জন্য।

তার মানে সেই আবার একজন নিরপপেক্ষ লোক খুজে বের করার কাহিনী। একজন মানবে তো আরেকজন মানবেনা। সরকার বিহীন অবস্থায় থাকার মত।

তার মানে তত্তাবধ্যক থাকলেও বিম্পি-জামাতের ঘারামির কারনে তত্তাবধায়ক

সরকার ব্যাবস্থা একটি গুরুতর অচলবস্থার ভেতরেই দির্ঘদিন থাকার সম্ভাবনা ছিল। এই অস্থির অনিশ্চিত অবস্থা তত্তাবধায়ক সরকার থাকা না থাকা সমান।



হাসিনা জেনে শুনে এত বড় গর্থে পরতে চায়নি। দেখলো এই ডেডলক থেকে বের হওয়ার একটাই উপায়, তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা আগাম বাতিল করা। এতে হাতে থাকবে নিগোসিয়েশন পাওয়ারের অতিরিক্ত একটি মুদ্রা।

মামলা অনেক আগেই ছিল, তা চালু করা হয়। রায়ও হয়ে যায়।



তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা নিয়ে এসব টানাপোড়নের সব ব্যাপার বিম্পি-আম্লিগের ভাল ভাবেই জানা আছে, কিন্তু মুখ ফুটে কেউই বলেনা।



২০০৬ এ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা ছিল। কিন্তু ছিল সাজানো উপদেষ্টা প্যানেল, এরপরও ছিল আজিজের মত বেয়াদব প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দেড়কোটি ভুয়া ভোটার, ইইউ এর বিনামুল্যে দেয়া ট্রান্সপ্যারেন্ট ব্যালট বক্স প্রত্যাক্ষান করা হয়েছিল। ছবিসহ ভোটার তালিকা করা সময়ের অভাবে বাতিল করেছিল আজিজ!

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা সম্পুর্ন একটি অকার্যকর অসুস্থ করে ফেলেছিল তৎকালিন বিএনপি-জামাত সরকার।



এখন দরকার উভয় দলের চারজনের একটি নির্বাচিত একটি প্যানেল গঠন করে ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালি করে একটি ভাল নির্বাচন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

tumpa roy বলেছেন: বিশ্লেষন ভালই ...

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি কাটখোট্টা রাজনৈতিক লেখা কষ্টকরে পড়েছেন সেইজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

BNP - জামাত হবু তত্তাবধায়ক প্রধান চিফজাষ্টিস খাইরুল হককে অনাস্থা জানানোর পর জনাব হক তত্তাবধায়ক প্রধান থাকতে অস্বীকৃতি জানান। অন্য অবঃ বিচারপতিরাও বলে দেন তারাও এপদে যাবেন না।
এতে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভার্চুয়ালি ডেড হয়ে গেছিল বলা যায়।
তার মানে সেই আবার একজন নিরপপেক্ষ লোক খুজে বের করার কাহিনী। একজন মানবে তো আরেকজন মানবেনা। সরকার বিহীন অবস্থায় থাকার মত।
তার মানে তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা থাকলেও বিম্পি-জামাতের ঘারামির কারনে এই তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা একটি গুরুতর অচলবস্থার ভেতরেই দির্ঘদিন থাকার সম্ভাবনা ছিল। এই অস্থির অনিশ্চিত অবস্থা তত্তাবধায়ক সরকার থাকা না থাকা সমান।
অচলবস্থা দির্ঘদিন থাকলে শুশিলদের দির্ঘদিনের 'মায়নাস ওয়ান' প্ল্যান সাক্সেস হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা।


হাসিনা জেনে শুনে এত বড় গর্থে পরতে চায়নি। দেখলো এই ডেডলক থেকে বের হওয়ার একটাই উপায়, তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা আগাম বাতিল করা। এতে হাতে থাকবে নিগোসিয়েশন পাওয়ারের অতিরিক্ত একটি মুদ্রা।
মামলা অনেক আগেই ছিল, তা চালু করা হয়। রায়ও হয়ে যায়।

হাসিনা এরপর অন্তর্বতি সরকারের এক সুন্দর প্রস্তাব দিয়েছিল।
উভয় দলের ৪ জন ৪জন মন্ত্রী। মন্ত্রনালয় বিএনপির পছন্দ মত।
এতে বিএনপির ভাল অবস্থান থাকতো নিশ্চয়। জিতেযেতেও পারতো।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: মানলাম বিম্পি-জামাত হাসান সাহেব কে প্রধান করাতে এই অবস্থা,কারন লীগ এর অভিযোগ ছিল বিচারপতি হাসান কোন কালে বিম্পি করত নাকি।

তাহলে এখন একটি দলের প্রধান নির্ববাচন কালে দেশের প্রধান থাকলে ,সেই নির্বাচন কি ভাবে বিরুধীরা মেনে নিেব...???

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে যে কোন একটা সমাধান হয়ে যাবেই।
নির্বাচন কালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন না। আমি আশাবাদি।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

সরলপাঠ বলেছেন: বিষয়টিকে ৩ ভাবে বিশ্লেষন করা যায়। তার মধ্য থেকে আপনি সুন্দর ভাবে একটি পয়েন্ট তুলে এনেছেন। সংগত কারণে আমি অন্য ২ টি এখানে উল্লেখ করলামনা। তবে এই বাতিলের কারণেই এখন নেগোসিয়েশনে সরকার শক্ত অবস্হায় আছে।

বাংলাদেশ - শক্তের ভক্ত নরমের যম।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা সম্পুর্ন অকার্যকর অসুস্থ করে ফেলেছিল তৎকালিন বিএনপি-জামাত সরকার।
সরকারের এটা বাতিল না করে উপায় ছিল না।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বাংলাদেশ শক্তের ভক্ত নরমের যম , সরল পাঠের একথা যেমন দ্রুব
সত্য , তেমনি মানুষ কে হুযুগে মাত থেকে স্বাভাবিক গনতান্ত্রিক পরিবেশে দেখাও অসম্ভব কিছু নয় । একসময় সব টিক হয়ে যাবে ।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ রানা ভাই

একসময় সবই ঠিক হয়ে যায়। তবে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা সম্পুর্ন একটি অকার্যকর অসুস্থ করে ফেলা হয়েছিল ২০০৬এ।
এখন নির্বাচন সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করতে উভয় দলের চারজনের একটি নির্বাচিত একটি প্যানেল গঠন করে ও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালি করে দরকার একটি ভাল নির্বাচন।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বিশ্লেষন ভালই ...

তবে উভয় দলের চারজনের পেনেল হলে আবার ডেডলক হওয়ার সম্ভাবনা। ৫ জন হতে হবে। সরকার প্রধান হাসিনা হলে কেউই নির্বাচনে আসবেনা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মনে হয় নির্বাচনের আগে যে কোন একটা সমাধান হয়ে যাবেই।
নির্বাচন কালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন না। প্রেসিডেন্ট বা অন্য কেউ থাকবেন। আমি আশাবাদি।
উভয় দলের চারজনের পেনেল হলে টাই হবে না, হলে সরকার প্রধান ফাইনাল সিদ্ধান্ত দিবেন

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

দানবিক রাক্ষস বলেছেন: বুঝলাম, আমার স্বপনের গাড়ি তারপরও রাজপথে জ্বলছে, উপায় কি?
আজ এফ বি তে স্ট্যাটাস দিছি লিঙ্ক https://www.facebook.com/jahan.the.game
পারলে উত্তর দিয়েন?

ভালো থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.