নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm
উটকো ঝামেলা মনে করে পিছু হটলো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্যাসিস্ট মৌলবাদী গোষ্ঠীদের প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হল না। এরা এখন বিপুল শক্তি নিয়ে আরো বড় দাবি নিয়ে আসবে। এরা একপর্যায়ে তিউনিশিয়ার যেহাদি মহিলাদের মত জংগিদের মনরঞ্জনে (..) যেহাদে যোগ দিতে চাইলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
বোর্খা-নেকাব না পরেও শালীন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়।
বোর্খা-নেকাব মোটেই ইসলামি ড্রেস না, আরব অঞ্চলের প্রচলিত ড্রেস।
আল্লাহ পবিত্র কোরানে পোষাকের ধরন নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করা হয় নি। কড়াকরি কোন বিধান খুজে পাইনি। আল্লাহ আল কোরানে দুতিন যায়গায় পরিধেও বস্ত্র সম্মদ্ধে বলেছেন -
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
মুখ ঢাকা নেকাব নিষিদ্ধই করা উচিত। মুখঢাকা পোষাক নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা, কোন দুর্ঘটনা ঘটলে cctv তে দুর্বৃত্ত্ব সনাক্ত করার কোন উপায়ই থাকেনা।
হজ্ব যাত্রীরা তাদের পাসপোর্টের ছবিতে মুখঢাকা নেকাব ব্যাবহার করতে পারেনা। হজ চলাকালিন সময় নারী-পুরুষ উভয়েরই মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে বোর্খা ছাড়াই হজ করতে হয়। সুতরাং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রেই নেকাববিহীন ড্রেসকোড ব্যবহার করতে হয় মুসলিমদের।
ইসলামের আগমনের অনেক পুর্ব থেকেই আরব মহিলাদের মরুভুমিতে চলার সময় মুখঢাকার প্রচলন ছিল, তবে সেটা ধর্মিয় বিধানের অংশ হিসেবে ছিল না, ছিল বালুঝড়, লু হাওয়া বা তীব্র রোদ থেকে বাচার জন্যই।
আরবের তীব্র রোদ থেকে বাচতে সুধু মেয়েরা না, ছেলেরাও মাথার তালু আপাদমস্তক কাপড় দিয়ে ঢাকতো। এধরনের পুরুষদের পোষাক এখনো আরবে প্রচলিত।
এখন মোল্লারা আরব কালচার নিজেরা পালন না করে সুধু দুর্বল মেয়েদের উপর চাপিয়ে দিল!
ভন্ড মৌলবাদি গোষ্টি পালাক্রমে বোর্খা-নেকাব কে ইসলামি লেবাস বানিয়ে ফেলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। এখন পান থেকে চুন খসলেই "ইসলাম গেল .. ইসলাম গেল" বলে চিৎকার ......!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কি বললেন বুঝলাম না।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
সকাল>সন্ধা বলেছেন: এরা একপর্যায়ে তিউনিশিয়ার যেহাদি মহিলাদের মত জংগিদের মনরঞ্জনে (..) যেহাদে যোগ দিতে চাইলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না
তিউনিশিয়া, মিশর, সিরিয়া এই সব দেশে আরব বশন্ত বলে যারা আন্দোলন করেছিল তারা কেউই প্রকিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুশারী নয় তাই তারা আপনার উপরি উল্লেখিত মন গড়া ফতোয়া দিয়েছে(তারা সালাফি)।
আর আপনি যে ফতোয়া দিয়েছেন তাও ঠিক নয়। কারন আপনি ওহাবী, লা মাযাবী, আহলে হাদিসের ফতোয়া পরে তা থেকে আউড়িয়েছেন।
আর উপরি উল্লিখিত ফিরকা গুলো সকলেই চরম পন্থি, অন্ধ, বিচ্যুত দল।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওহাবী, সুন্নি, সালাফি, কাদিয়ানি, হাক্কানি .....এ সব কোন ব্যাপার না। এরা একে অপরকে 'ধর্ম বিচ্যুত দল' বলে।
যার যার ধর্মিয় মতবাদ তার তার ব্যাপার। ধর্ম মহান কিন্তু ধর্মান্ধতা নিন্দনিয়।
যেমন তিউনিশিয়ার কিছু মহিলা যেহাদি চেতনায় অন্ধ হয়ে যৌন যেহাদে যোগ দিতে গেছে, যা আল্লার বাণী কোরানে সমর্থন করে না।
ব্রাকের হাবসাও ধর্মিয় চেতনায় অন্ধ হয়ে বাড়াবাড়ি করেছে, শিক্ষকদের অবজ্ঞা করেছে। কোরান যা বলেনি সেটাই করেছে।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
সাদেক বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে আপনার ধারনা দেখে আমি একটি কথাই বলব ঃ
আবু বকরের বংশধরেরা যেমন এখনও পৃথিবীতে আছে
তেমনি ইয়াজিদের বংশধরেরাও এখনও পৃথিবীতে আছে ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: Click This Link
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই হাসান আপনি ব্রাকের ঘটনাকে টেনে এনে ইসলামের উপর ফেলার চেষ্টা করছেন। দেখুন, ইসলাম মহিলা পুরুষ উভয়কেই বলে আব্রু করতে। আপনি যেটা বললেন যে
উটকো ঝামেলা মনে করে পিছু হটলো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্যাসিস্ট মৌলবাদী গোষ্ঠীদের প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হল না। এরা এখন বিপুল শক্তি নিয়ে আরো বড় দাবি নিয়ে আসবে। এরা একপর্যায়ে তিউনিশিয়ার যেহাদি মহিলাদের মত জংগিদের মনরঞ্জনে (..) যেহাদে যোগ দিতে চাইলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
আপনি যে মনরন্জনের খবর প্রচার করছেন কিছু নারীর নামে সেটা একটা প্রপাগন্ডা। আর প্রপাগন্ডায় কানদিয়ে নারী জাতীর অপমান সুলভ লেখা লিখে নারীর উন্নয়ন করার চেষ্টা একটা ভন্ডামী।
বোর্খা-নেকাব না পরেও সালিন ভাবে প্রচলিত পোষাক পরে ধর্ম করা যায়। বোর্খা-নেকাব মোটেই ইসলামি ড্রেস না, আরব অঞ্চলের প্রচলিত ড্রেস।
এইকথা টায় আমি আপনার সাথে মোটা মুটি স হ ম ত, কারন সালিনতাটা বড় কথা।
তবে আপনাকে একটা কথা বুঝতে হবে, ইবাদাতের সর্ব উচ্চ পর্যায়ের কোন সিমা নেই, যেমন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ, এখন কেউ যদি নফল, তাহাজ্জুত পড়ে আপনি কিন্তু তাকে বাধা দিতে পারবেন না। এখন কোন নারী যদি খাস পর্দা করতে চায় আপনি বাধা দেবার কে? একজন নারী যদি চায় সে তার শরিরের একটু অংশও আপনাকে দেখাবেনা সেটা তার অধিকার। ঠিক তেমনি আপনিও যদি চান আপনি খাস পর্দায় যাবেন সেটাও আপনার অধিকার।
নারীর অধিকার দেবার নামে তার অধিকার হরন করাটা আর যাই হোক ভদ্রতা হতে পারনা। আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্রাকের বোনটি কিন্তু তার অধিকার পাবার জন্য সোচ্চার হয়ে ছিলো।
ভালো থাকুন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তিউনিশিয়ার যেহাদি মহিলাদের খবরটি গুজব নয় মোটেই।
তিউনেশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লতিফ বেন জেদ্দুউস পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন -
"শতাধিক তিউনেশিয়ার নারী সেক্স জিহাদের নামে এভাবে সময় কাটিয়ে গর্ভবতী হয়ে দেশে ফিরছেন"।
Click This Link
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন নারী যদি খাস পর্দা করতে চায় আপনি বাধা দেবার কে?
কেউ বাড়াবাড়ি রকমের পর্দা করলেও আমার কোন আপত্তি নেই, এটা তার অধিকার।
আমার আপত্তি মুখ ঢাকা নিয়ে। যা সিকুরিটি হ্যাজার্ড ও আল কোরানকেও অবজ্ঞা।
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: খোলামেলা পোশাক পড়া যেমন নারীর অধিকার ঠিক তেমনি বোরখা পড়াও নারীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
নারীরা কোন ধরনের পোশাক পরিধান করবেন সেটা তারা নিজেরাই নির্বাচন করুক, এ ব্যাপারে জোর করা অথবা বিশেষ ধরনের পোশাক পড়তে বাধ্য করানো অনুচিৎ। তবে সমালোচনা করা যেতে পারে।
আর পোশাকের সাথে মৌলবাদের মিল খুঁজে পাওয়া হাস্যকর।
(দুংখিত আবারও আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করতে হচ্ছে বলে)
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নারীরা বোর্খা পরে পর্দা করলেও আমার কোন আপত্তি নেই, এটা তার অধিকার।
আমার আপত্তি মুখ ঢাকা নিয়ে। যা সিকুরিটি হ্যাজার্ড ও আল কোরানকেও অবজ্ঞা।
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
পোশাকের সাথে মৌলবাদের মিল খুঁজে পাওয়া হাস্যকর নয়।
তার প্রমান তিউনিশিয়া। আর ব্রাকের ভয়ে পিছু হটা।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আপনি দেখি পুরা মুফতি হইয়া গেছেন! ওলামা লীগের সদস্য নাকি?
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: H mm ...
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: মুখ ঢাকা কি অধিকারের মধ্যে পড়ে না ?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না। এখানে মোটেই অধিকারের মধ্যে পরে না।
হাবসা ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময় সকল নিয়মকানুন ও ড্রেস কোড সহ সকল শর্তাবলী মেনে চলবে বলে ফর্মে শাক্ষর করেছিল।
তাই এখানে 'মুখ ঢাকা নেকাব' অধিকারের মধ্যে পরে না।
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৩
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আর আল কোরাআনের অবজ্ঞার কথা যদি আমলে নিতে হয়, তাহলে অর্ধনগ্ন পোশাক পড়া নিষিদ্ধ করতে, কি বলেন ?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশে মেয়েরা পাবলিক প্লেসে অর্ধনগ্ন পোশাক পড়ে না, কেউই পড়েনা। এমনকি কক্সবাজার সি বিচেও কোন বাঙ্গালি মেয়েকে দেখিনি হাফপ্যান্ট পড়ে পানিতে নামতে।
কিছু বিদেশী হোটেল, প্রাইভেট/বিদেশী ক্লাবে দেখা যায় ওয়েষ্টার্ন অর্ধনগ্ন ড্রেস। সেখানে ক্লাব মেম্বার ছাড়া অন্যকারো প্রবেশ নিষেধ। বাংলা সিনেমায় দেখা যায়।
কিন্তু সিনেমা তো বাস্তব না।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আলোচিত ব্রাক ইউনিভারসিটির ড্রেসকোডে অর্ধনগ্ন পোশাক পড়া নিষিদ্ধ।
মিনি স্কার্ট
মিডি স্কার্ট
হাফ প্যান্ট
থ্রি কোয়াটার প্যান্ট
...
ইত্যাদি নিষিদ্ধই আছে।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩
মেংগো পিপোল বলেছেন: ভাই হাসান, আপনি বার বার সুরা আহযাবের কথা টেনে আনছেন, কিন্তু বলছেন না কেন কি লেখা আছে সুরা আহযাবে, আমি সুরা আহযাবের কয়েকটা আয়াত উল্লেখ করি, দেখি কোনটা আপনার মন পুত হয়,
নবী-পত্নীগণের জন্যে তাঁদের পিতা পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নি পুত্র, সহধর্মিনী নারী এবং অধিকার ভুক্ত দাসদাসীগণের সামনে যাওয়ার ব্যাপারে গোনাহ নেই। নবী-পত্নীগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ব বিষয় প্রত্যক্ষ করেন। ( ৫৫)সুরা আহযাব
ভাই উপরের আয়াতে বলা হয়েছে কাদের কাদের সামনে যাওয়াতে কোন গোনাহ নেই, এবার আপনি বলুন যাদের সামনে যাওয়ায় গোনাহ হবে তাদের সামনে নারী রা কিভাবে যাবে?!!
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(৫৯)সুরা আহযাব
ভাই এখানে চাদরের কিয়দংশ নিজের উপর টেনে নেওয়ার ব্যাপারে কি বোঝানো হয়েছে?!! আর সম্ভবত আপনি ৫৫ নং আয়াত বাদ দিয়ে ৫৯ নং আয়াত টিতে জোড় দিচ্ছেন বেশি।
ভাই আর একটা কথা, বার বার সিকিউরিটির সমস্যার কথা বলছেন, আচ্ছা বলুন তো আজ পর্জন্ত কয়টা খুন, কয়টা ডাকাতি বা কয়টা ছিনতাই বোরকা বা হিজাব পরে করা হয়েছে। যদি তর্কের খাতিরে আপনার কথা মেনেও নেই যে হিজাবে সিকিউরিটির বিশাল সমস্যা তৈরী করছে আপনার জন্য, তাহলে তো ভাই ঘরে চাকু রাখা যাবে না ( এর দারা খুন হবার সম্ভাবনা শত ভাগ), কম্পিউটার রাখা যাবেনা সাথে মোবাইলও ( এতে লোকজন খারাপ সাইট দেখবে, উচ্ছন্নে যাবে)
সিলিংফ্যানের নিচে সোবেন না,( যে কোন সময় ছিড়ে পরতে পারে ঘাড়ের উপর)
ভাই এইসব সিকিউরিটি মিটি ভাই সব ভোগাস, আসল কথা নারীকে কিভাবে খোলা মেলা বানানো যায়। বেলাল্লাপনা রসদের অভাব পরে যাবে যদি সবনারী আব্রু করে থাকে, লাস ভোগাসেরোতো একটা ডিমান্ড আছে।
আর তিউনেশিয়ার ব্যাপারে, ভাই আপনি মানব জমিনের একটা লিংক দিয়েছেন, কিছু দিন আগে রাতের বেলা দুই চাদ দেখা যাবে সেই খবরও প্রচর করেছিলো সত্যি ভেবে সকালের তিন টাকার পত্রিকা।
View this link
ভালো থাকুন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান বা হাদিসে ছেলে বা মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে অনেকটা উদারতাই দেখানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
ইসলামি ড্রেসের কোন সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দেওয়া নাই। ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই। কোথাও কোন বাড়াবাড়ি রকমের তেমন কিছু পাইনি।
পবিত্র কোরানে এই আয়াতেই অনেকটা ক্লিয়ার বোঝা যায়।
সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আাল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
নবুওয়াত যুগের নিকটবর্তী কালের প্রধান মুফাসসিরগণ এর এ অর্থই বর্ণনা করেন।
(আরবী ভাষায় জিলবাব বলা হয় বড় চাদরকে। আর ইদন শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া বা "জড়িয়ে নেয়া")
এখানে তাদের পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে,
এখানে পরিষ্কার ভাবে সব বলা হয়েছে, আলাদা কোন চাদর, হেজাব, বোরখা চাপিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় এমন ভাবে মাথায় কাপড় দিতে সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।
[আন নূর - ৩১] এই অনশটুকু খেয়াল করুনঃ
তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে
এই আয়াতের ব্যখ্যা মুসলিম বিজ্ঞ আলেমগণ বিভিন্ন ভাবে করেছেন। একটি পক্ষ পরিষ্কার ভাবে বলছেন - মেয়েদের হাতের কব্জি ও পুরো মুখমন্ডল হল সাধারণত প্রকাশ পাওয়া অংশ।
পবিত্র কোরানের এই দুটি আয়াতেই মেয়েদের মুখমন্ডল ও হাতের কব্জির নীচের অংশ উম্মুক্ত থাকবে - সমর্থন করে।
১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
পালের গোদা বলেছেন: পোস্টের সাথে শতভাগ সহমত।
"কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আর আল কোরাআনের অবজ্ঞার কথা যদি আমলে নিতে হয়, তাহলে অর্ধনগ্ন পোশাক পড়া নিষিদ্ধ করতে, কি বলেন ?"
কিন্তু যারা অর্ধনগ্ন পোশাক পড়ছে তারা তো আর ইসলামের দোহাই দিচ্ছে না। নেকাবের কথা ইসলামে বলা নাই। কাজেই নেকাব নিষিদ্ধ করাটা ইসলাম বিরোধী এমন বলার কোনো যুক্তি নেই। তারমানেই এই না যে ইসলামকে অনুসরণ করতে গিয়ে নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেটা তো কেউ বলছে না। নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ কর্তিপক্ষ মনে করছে ইটা সিকিউরিটি ইসু।
"কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: খোলামেলা পোশাক পড়া যেমন নারীর অধিকার ঠিক তেমনি বোরখা পড়াও নারীর অধিকারের মধ্যেই পড়ে।
নারীরা কোন ধরনের পোশাক পরিধান করবেন সেটা তারা নিজেরাই নির্বাচন করুক, এ ব্যাপারে জোর করা অথবা বিশেষ ধরনের পোশাক পড়তে বাধ্য করানো অনুচিৎ। তবে সমালোচনা করা যেতে পারে।"
অবশ্যই নেকাব পরা নারীর অধিকার। নিজের বাসায় বা রাস্তা ঘাটে যত খুশি নেকাব পড়ুন, কে মানা করেছে? কিন্তু ব্রাক ইউনিভার্সিটি একটা প্রতিষ্ঠান এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে হলে সেই প্রতিষ্ঠানের আলাদা নিয়মকানুন বা শর্তাবলী থাকতে পারে যা মেনে চলতে হয়। যেমন স্বাধীন দেশে লুঙ্গি পরতা আমার অধিকার। কিন্তু তাই বলে আমি লুঙ্গি পরে অফিস করতে চলে আসলে তা নিশ্চই গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ অফিস এর আলাদা ডেকোরাম আছে যা অফিস এর সবাইকে মেনে চলতে হয়। আর অফিস এর নিয়মকানুন কি হবে তা ঠিক করার অধিকার অফিস এর মালিকের রয়েছে। সেটা আমার পছন্দ না হলে আমারও অধিকার রয়েছে চাকরি ছেড়ে দেবার। কিন্তু অমুক করা আমার অধিকার এইসব হাস্যকর যুক্তি দিয়ে সেখানকার আইন পরিবর্তন করার চেষ্টা করা তো আর আমার অধিকার হতে পারে না।
হাফসা কে তো ব্রাক এর কর্তৃপক্ষ জোর করে নেকাবহীন করছে না। তাকে কেবল বলা হয়েছে মুখ ঢেকে রাখা এই ইউনিভার্সিটি এর নীতিমালা এর মধ্যে পড়ে না। কাজেই এটা করতে হলে অন্য কোনো ইউনিভার্সিটিতে যেখানের নীতিমালাতে মুখ ঢাকলে সমস্যা নেই, সেখানে গিয়ে পরুক। এটা বলাটা তাদের অধিকার। অযথা ধর্মের নাম দেশের সবকিছু প্রভাবিত করার তো কোনো মানে দেখি না। যাদের নেকাব পছন্দ তাদের জন্য দেশে ইউনিভার্সিটি এর তো অভাব নাই। সেখানে গেলেই তো হয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ 'পালের গোদা' ভাই। পোস্টের সাথে শতভাগ সহমত প্রকাশের জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন -
হাবসা ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময় সকল নিয়মকানুন ও ড্রেস কোড সহ সকল শর্তাবলী মেনে চলবে বলে ফর্মে শাক্ষর করেছিল। হাবসা আদালতে গেলেও মামলায় হেরে যেত।
১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১২
একিউমেন০৮ বলেছেন: আপনার লেখা পান্না, পরিমলদের আশার আলো দেখাবে। এদের মনোরঞ্জনে সবাই উৎসাহী!!!!
সাবাস বাংলাদেশ। সাবাস ব্র্যাক।
বিকিনি জিন্দাবাদ।
১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
সাউন্ডবক্স বলেছেন: আমি আমি বুঝি না। আপ্নেগো ধর্ম নিয়া সমস্যা থাজলে ঐ শোব ভার্সিটি তে পরার দরকার টা কি?? ইডেনে গেলে কি হয়??
১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
সাউন্ডবক্স বলেছেন: এই মোল্লা রা দেশটারে খাইয়া লাইলো...।।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: hmm
১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: আমার চাচাত বোন অইখানে পড়ে। সে যখন ভর্তি হইছে তখন এলাকার জনৈক মুরুব্বি মন্তব্য করছিল যে অইখানে পড়ার দরকার কি? জাস্ট মুরুব্বি মানুষ, তাই মুখে কিছু বলতে পারি নাই, মনে মনে থু দিয়া চলে গেছি। এইখানে যখন দেখতে পাচ্ছি আরেকজন ও বলতেসে যে হিজাব করতে হইলে ব্র্যাকে পড়ার কি দরকার, তখন ও মনে মনে থু দেয়া ছাড়া তো গতি নাই।
থুঃ
১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: বেসিক্যালি দুইটাই মোল্লা, দুইটার কথা এক, ঐখানে পড়ার দরকার কি? দুই মতবাদ যখন সেইম গন্তব্যে যায়, তাদের মধ্যে পার্থক্য কই থাকে? এদের যে কারো কথা শুনলেই একজন তার শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। তাই দুইটার মুখেই থুথু।
১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
পালের গোদা বলেছেন: "দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: আমার চাচাত বোন অইখানে পড়ে। সে যখন ভর্তি হইছে তখন এলাকার জনৈক মুরুব্বি মন্তব্য করছিল যে অইখানে পড়ার দরকার কি? জাস্ট মুরুব্বি মানুষ, তাই মুখে কিছু বলতে পারি নাই, মনে মনে থু দিয়া চলে গেছি। এইখানে যখন দেখতে পাচ্ছি আরেকজন ও বলতেসে যে হিজাব করতে হইলে ব্র্যাকে পড়ার কি দরকার, তখন ও মনে মনে থু দেয়া ছাড়া তো গতি নাই।"
দেখেন ভাই প্রথম কথা হইলো আমাদের কারো মুখেই থুথুর অভাব নাই। থুথু যে কেউ যে কারো ঠিকে দিতে পারে কোনো ব্যাপার না। যেমন ধরেন আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক হয়ে থাকেন, কোনো রাজাকার হয়ত আপনাকে থুথু দেয় মনে মনে। যেটার অভাব সেটা হইলো যুক্তিবাদী মানসিকতার।
"হিজাব করতে হইলে ব্র্যাকে পড়ার কি দরকার" এই কথা কেউ বলতেসে না। হিজাব আর নেকাব এক জিনিস না। যেটা বলা হচ্ছে তা হলো, যেই প্রতিষ্টানের নীতিমালার সাথে আপনি একমত না, যেই প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা মেনে চলা আপনার পক্ষে সম্ভব না, সেই প্রতিষ্ঠানে জোর করে বসে থেকে উল্টো তাদের উপর জোর করার তো কোনো মানে হয় না। এটা তো আপনার প্রতিষ্ঠান না, তাদের প্রতিষ্ঠান। তারা আপনার চাহিদা অনুযায়ী তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করবে এমনটা কোন অধিকারে আশা করেন? সহজ কথা বোঝেন না কেন? আমার অফিসে যদি কাল থেকে নিয়ম করে যে এখন থেকে সকাল ৭টার মধ্যে অফিসে আসতে হবে সেটা আমার পছন্দ হবে না। তখন আমি যদি বলি এই নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে তাহলে কি সেটা করা হবে? আমার ভালো না লাগলে আমার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। এবং তাদের অফিসের নিয়ম তাদের পছন্দ মত করবার অধিকার তাদের আছে। সেরকম ইউনিভার্সিটি এর নীতিমালা করার অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে। সেখানে পড়তে হলে সেই নীতিমালা মেনে চলতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা করা সম্ভব না হলে সেখানে আপনি পড়তে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবার সময়ই এসব শর্তাবলী আগেই জানিয়ে দেয়া হবার কথা, এবং শর্তাবলী মেনেই ভর্তি হবার কথা। এখন মাঝপথে এসে যদি কেউ বলে আমার পক্ষে শর্ত মানা সম্ভব নয়, তাহলে তো বলতেই হয় শুরুতে শর্ত মেনে এখানে ভর্তি হওয়া ঠিক হয়নি। সব জায়গা সবার জন্য নয়। আমি যদি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে কয়েকদিন পরে বলি আমার হাফপ্যান্ট ভালো লাগে, তাহলে কি আমাকে হাফপ্যান্ট পরে ক্লাস করতে দেয়া হবে? তখন আমি যদি হাফপ্যান্ট পরা আমার অধিকার বলে চেচামেচি শুরু করি, তাহলে কি আপনারা বলবেন না যে হাফপ্যান্ট পরে থাকতে হলে মাদ্রাসা ছেড়ে দিলেই তো হয়?
"দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: বেসিক্যালি দুইটাই মোল্লা, দুইটার কথা এক, ঐখানে পড়ার দরকার কি? দুই মতবাদ যখন সেইম গন্তব্যে যায়, তাদের মধ্যে পার্থক্য কই থাকে? এদের যে কারো কথা শুনলেই একজন তার শিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। তাই দুইটার মুখেই থুথু।"
হাস্যকর তুলনা। সেই মুরুব্বি মানা পরেছিল কারণ সে নারীশিক্ষার বিপক্ষে। আমরা তো মানা করছি না। কেবল বলছি যেখানে যেই নিয়ম তা মেনে সেখানে চলতে হবে। সহজ হিসাব। আমরা তো হাফসা কে স্বাগত জানাই ব্র্যাক এ পড়তে। কিন্তু তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য ইউনিভার্সিটি এর নীতিমালা পরিবর্তন করতে হবে ইটা তো সমর্থন যোগ্য না। এবং পৃথিবীর সব প্রতিষ্ঠানেই এরকম নিয়ম নীতি রয়েছে, যা সেখানে অংশগ্রহনের পূর্বশর্ত। মানতে না পারলে সেখানে যাবেননা সিম্পল এস দ্যাট। আর "গন্তব্য এক হলেই পার্থক্য নাই" এরকম হাস্যকর যুক্তিজ্ঞান নিয়ে চলেন কিভাবে? তাহলে ধরেন ডাক্তারও মানুষের পেট কাটে আবার ছিনতাইকারীও মানুষের পেট কাটে। ২টার একই গন্তব্য। তাহলে আপনার যুক্তি অনুযায়ী ডাক্তার আর ছিনতাইকারীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই তাইত? খুব ভালো।
১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
তারেক বলেছেন: @সাউন্ডবক্স - আপনার কোন আত্নীয় বা পরিবারের কেউ মারা গেলে কোন মোল্লাকে ডাকবেন না। আপনার বিয়ের সময় কোন হুজুর বা কাজী ডাকবেন না (কাজীরও এক ধরনের মোল্লা)।আর আপনার মৃত্যুর পর যেন কোন মোল্লা জানাজা না পড়ায় সে অসিয়ত করে যাবেন।কারন মোল্লারা তো দেশটাকে খাইয়া ফালাইতাছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখানে মোল্লা বা মৌলবি সাহেবদের নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।
বলছে মোল্লাতন্ত্র ও কিছু কায়েমি স্বার্থবাদি মৌল বাদিদের নিয়ে।
১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: পালের গোদা ভাইয়া, আপনার শেষ থেকেই শুরু করি। ডাক্তারের পেট কাটা আর ছিনতাইকারীর পেট কাটার উদ্দেশ্য কি এক? ছিনতাইকারী কাটে টাকা আদায়ের জন্য আর ডাক্তার কাটে চিকিৎসার জন্য। প্রথমটায় আপনার গন্তব্য সোজা গোরস্থান, আর দ্বিতীয়টায় বাসায় ফেরত। এই বুদ্ধি নিয়া বল্গান? খুব ই ভাল।
অবশ্য আমার কেমন জানি সন্দেহ হইতেসে আপনি ও ডাক্তার। তাই রোগীর পেট কাইটা টাকা ই আদায় করেন, প্লিয বলেন যে আমি ভুল সন্দেহ করেছি।
"হিজাব করতে হইলে ব্র্যাকে পড়ার কি দরকার" এই কথা কে বলতেসে তা ১২ নং কমেন্টে দেখে নেন। অবশ্য আপনার বুদ্ধির যে নমুনা দেখাইলেন তাতে বলে বসতে পারেন যে ঐখানে তো ধর্ম নিয়া সমস্যার কথা বলসে, হিযাব নিয়া তো বলে নাই। তাইলে আমার আর কিছু বলার নাই।
সবশেষে, চাকরি আর শিক্ষা যে এক জিনিস না সেইটা ছাগলেও বুঝে। সমাজ বইতে পড়েন নাই, মৌলিক অধিকার গুলো - খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা? একজন তার মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নীতি কি আপনি নিজে করতেন? হাফসা কোন সেমিস্টারে পড়ত? এই নীতি তো সদ্য হল, পরিস্কারভাবেই সে ভর্তি হবার সময় এটা ছিল না। প্রাইভেট এ মাঝপথে এসে ড্রপ হয়ে গেলে কারো শিক্ষাজীবনে যে আর কিছু থাকে না সেটা না বোঝার মত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি কেউ থাকতে পারে- এ অবিশ্বাস্য।
ঠিক আছে, তাও মানলাম। তারপর ও আপনি যেটা বলেছেন, কোন প্রতিষ্ঠান ই নিজের খেয়াল খুশি মত নীতিমালা পরিবর্তন করতে পারে না। লেবার ল, ট্রেড ইউনিয়ন বলে কিছু ব্যাপার আছে, নিতান্ত মূর্খ ছাড়া সবাই জানে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই নীতি তো সদ্য হল!
কোথায় পেলেন এই আজগুবি বানোয়াট খবর?
হাবসাকে ২ বার লিখিত ভাবে নোটিফাই করে সতর্ক করা হয়েছিল নীতিমালা ভংগের কারনে। সে নোটিস অবজ্ঞা করেছে, নোটিসের জবাব না দিয়ে সে আইন ভংগ করেই চলেছে। প্রাইভেট এ মাঝপথে এসে ড্রপ হয়ে গেলে কারো শিক্ষাজীবনে যে আর কিছু থাকে না সেটা জেনেই দুবার নোটিস অগ্রাহ্য করেছিল।
এই নীতি তো সদ্য হলে সে অবস্যই নোটিসের জবাব দিত।
১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: হাসান সাহেব তো ব্লগে অনেকদিন ই লেখেন। সব সময় কি এভাবে আরেকজনের কমেন্ট না পড়েই, একটা বাক্যের অর্ধেক কথা নিয়ে ফাল পারেন? (দুঃখিত, যেভাবে কোন রেফারেন্স ছাড়াই আমার বক্তব্য কে বানোয়াট বললেন, সেটাকে 'ফাল পাড়া' ছাড়া আর কিছু মনে হলনা।
আমি লিখেছি "এই নীতি তো সদ্য হল, পরিস্কারভাবেই সে ভর্তি হবার সময় এটা ছিল না।" বাক্যের শেষ কোথায় হয় সেটা আশা করি জানেন অন্তত।
আমি "সদ্য" কথাটি দিয়ে "জাস্ট একটু আগে বা কয়েক দিন আগে" এমন বুঝাইনি। হতে পারে আপনি ভুল বুঝেছেন, সদ্য কথাটি দিয়ে অনেক কিছুই বুঝায়। কিন্তু আমি বাক্যের দ্বিতীয়াংশে বলেছি যে পরিস্কারভাবেই সে ভর্তি হবার সময় এটা ছিল না। এটা কি ইচ্ছা করে এড়িয়ে গিয়েছেন নাকি আপনি আসলেই জানেন না বাক্যের সমাপ্তি চিন্হ কোনটা।
আর এই আজগুবি বানোয়াট খবর কোথায় পেলাম?
দেখে নিন এখান থেকেই।
গত ২২ জানুয়ারী দেয়া নোটিশে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা, নেকাব ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়। হাফসা ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী। আপনার কি মনে হয় ২৩ জানুয়ারী ভর্তি হয়ে সে ৭ম সেমিস্টারে উঠে গিয়েছে এই সেপ্টেম্বরে?
এই লিঙ্কেই প্রমান করে আজগুবি বানোয়াট কথা এখানে আপনি ই বলেছেন। হাফসাকে দেয়া নোটিশের উত্তর সে দিয়েছিল। কিন্তু আপনি অম্লান বদনে মিথ্যা বলে দিলেন যে সে কোন জবাব দেয়নি। নিজে বানোয়াট কথা বলেন দেখেই হয়ত কোন সুনির্দিষ্ট লিঙ্ক ছাড়াই আমার বক্তব্য বানোয়াট বলতে আপনার বাধে নি। যে যেমন সে তো সবাইকে সেইভাবেই চিন্তা করে, তাই না।
আপনার ব্লগ পড়তে বেশ ভাল লাগত আগে, কিন্তু আপনি যে এমন নিম্নস্তরের মিথ্যুক এটা আগে টের পাইনি। ডাইরেক্ট ছাগুর লেভেলে নেমে গিয়েছেন দেখা যাচ্ছে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কি লিঙ্ক দিলেন - কিছুই নেই!
মেংগো পিপোল এই পোষ্টেই আপনার মানবজমিনকে দুইটাকার ফালতু পত্রিকা বলেছে।
এই পত্রিকা কদিন আগে "আজ রাতে দুই চাদ দেখা যাবে" সেই খবরও প্রচর করেছিলো সত্যি ভেবে!
২০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯
দ্য রেড ব্যারন বলেছেন: Click This Link
লিঙ্ক টা কেন কাজ করছে না জানি না। এবারে শুধু লিঙ্ক পেস্ট করলাম। গত ২২ সেপ্টেম্বর "ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় অনড়" নামে পাবলিশ হয়।
অবশ্য আপনাকে এটা বলে কি ই লাভ বুঝতে পারছি না। আপনি নিজে এই পোস্টেই মানবজমিন এর লিঙ্ক ব্যাবহার করলেন। এখন আমি করাতে সেটা দুই-টাকার পত্রিকা হয়ে গেল? ভাই, এত বেহায়া মানুষ কেমনে হয়?
তবে ভাই, আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত যে আপনাকে ডাইরেক্ট ছাগুর লেভেলে নেমে গিয়েছেন বলেছি।
সত্যি ভাই, আমি ভিষন ভাবে লজ্জিত।
এটা খুবি খারাপ একটা উপমা হয়েছে।
আপনি ডাইরেক্ট ছাগুর লেভেলে নেমে গিয়েছেন- এই কথা বলে ছাগুদের আসলে আমি অপমান ই করেছি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২ টাকার মানবজমিন ছাড়া কোন পত্রিকাই এই খবরটিতে আগ্রহি না
এখানে পত্রিকাটি চতুরতার সাথে লেখাটিতে অস্পষ্টতা রেখেছে।
লেখাটিতে কোথাও বলেনি ড্রেস কোড হঠাৎ নাজেল হয়েছে। বরং এখানে বোঝা যাচ্ছে ড্রেসকোড আগেই ছিল। দেখুন -
২২শে জানুয়ারি কতৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করে। এতে ড্রেসকোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা, নেকাব পরা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়।
অর্থাৎ ড্রেসকোডের কথা স্মরণ করিয়ে নেকাব ছাড়তে নোটিস টাঙ্গানো হয়, এতে দশ-বারো জন বোর্খাধারিনী নেকাব ছাড়লেও হাবসা নোটিস অগ্রাহ্য করে।
বোঝাই যাচ্ছে হাবসার পেছনে মৌলবাদিদের ব্যাকিং আছে। নইলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ নিয়ম সিথিল করে হাবসাকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও সে তা মানছে না!
কিছু একটা পাকিয়ে তুলতে আদালতে যেতে চাইছে!
২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন: Click This Link
২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: হাবসা ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সময় সকল নিয়মকানুন ও ড্রেস কোড সহ সকল শর্তাবলী মেনে চলবে বলে ফর্মে শাক্ষর করেছিল।
তাই এখানে 'মুখ ঢাকা নেকাব' অধিকারের মধ্যে পরে না।
হা হা হা, তাহলে ব্রাক আবার হাফসা কে ডাকছে কেন ?
আমাদের দেশে মেয়েরা পাবলিক প্লেসে অর্ধনগ্ন পোশাক পড়ে না, কেউই পড়েনা। এমনকি কক্সবাজার সি বিচেও কোন বাঙ্গালি মেয়েকে দেখিনি হাফপ্যান্ট পড়ে পানিতে নামতে।
কিছু বিদেশী হোটেল, প্রাইভেট/বিদেশী ক্লাবে দেখা যায় ওয়েষ্টার্ন অর্ধনগ্ন ড্রেস। সেখানে ক্লাব মেম্বার ছাড়া অন্যকারো প্রবেশ নিষেধ। বাংলা সিনেমায় দেখা যায়।
কিন্তু সিনেমা তো বাস্তব না।
বর্তমানের মেয়েরা যেসব ড্রেস পড়েন সেগুলা কি কোরআন সম্মত ?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাহলে ব্রাক আবার হাফসা কে ডাকছে কেন ?
কারন ব্র্যাক বুঝতে পেরেছে হাবসা যেনতেন কোন মেয়ে না। মৌলবাদিদের সর্বচ্চ পর্যায় থেকে তার ব্যাকিং আছে। এরা তাদের পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই হাবসা ব্যাবহৃত হচ্ছে। আল্লামা শফি পর্যন্ত তার পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে।
ব্র্যাক বুঝতে পেরেছে এই মৌলবাদি চক্র এই ইশু নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক অফিস আক্রমন করে নিউজ তৈরি করবে। তাই ব্র্যাক সুধু হাবসার ক্ষেত্রে আইন শিথিল করে হাবসাকে ফিরিয়ে নিচ্ছে।
কিন্তু ধুর্ত মৌলবাদি চক্র এতে সন্তুষ্ট না হয়ে আরো বড় কিছু পাকিয়ে তুলতে চাইছে। হাবসাকে ফিরিয়ে নেয়ার পরও চিঠি ফিরিয়ে দিয়ে আদালতে যেয়ে চাইছে। আলোড়ন শৃষ্টি করে নিউজ তৈরি করতে চাইছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্তমানের মেয়েরা যেসব ড্রেস পড়েন সেগুলা কি কোরআন সম্মত?
কোরান বা হাদিসে ছেলে বা মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে অনেকটা উদারতাই দেখানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
ইসলামে মেয়েদের পরিধেও বস্ত্র কি রকম হবে তার কোন সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দেওয়া নাই। মাথা ঢাকতে হবে কি না তাও স্পষ্ট ভাবে বলে হয়নি, এর কারন একটি হতে পারে তৎকালিন আরব অঞ্চলটিতে মুসলিম ও বিধর্মি সহ সবাই মাথা ঢেকে রাখার প্রচলন ছিল, সেটা আবহাওয়া জনিত কারনেই।
ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই। কোথাও পোষাকের স্টাইল নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়নি।
হজরত মোহাম্মদ (স) এর এক কন্যার একটি জামার ছবি দেখেছিলাম যা আমাদের দেশের প্রচলিত ফতুয়ার মতই এবং সেটা ফুলহাতা নয় হাফহাতা! ছবিটি খুজে পেলে পোষ্টে এড করে দিব।
আমাদের দেশে মেয়েরা ওড়না পড়ে। কিন্তু অনেক মুসলিম দেশের মেয়েরা ওড়নাও পড়ে না, পড়ে প্যান্ট-শার্ট। যেমন ইন্দনেশিয়া, মিশর, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, গাজা বাদে বাকি ফিলিস্তিন।
২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৫
সাউন্ডবক্স বলেছেন: ্তারেক বলেছেন:
আজাইরা ল্যাদায়েন না, যত প্রব্লেম খালি আপ্নেগো মোল্লাদেরই। গেছিল কেন ওই ভারসিটিতে পরতে। ইডেনে গেলেই তো হইৎ। সব যায়গার ই একটা কালচার আছে। ইউ সুড রেস্পেক্ট ইট। আপনি কি চুরি করতে নাকি ডাকাতি করতে ঢুকতেছেন যে আপনাকে মুখ ও ঢাইকা ঢুকতে হবে?? ঐ নাকি ৯০% মুস্লিমের দেশের ৯০ % মুসিল্ম রা তাকে বোরখা পরলে আল্লার নামে রেপ করবে??
মিনিমাম একটা কমন সেন্স মাথায় রাখা লাগে কথা বলার আগে।
২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
সাউন্ডবক্স বলেছেন: ারেক কে তার কমিন্ট এর উত্তর টি করা হল উপরের কমিন্ট এ।
২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২১
দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: +++++++ আর কিছুই বলার নাই
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
তারেক বলেছেন: @লেখক তাহলে সাউন্ডবক্স - যে মোল্লাদের নিয়ে কথা বল্ল সে ব্যাপারে তাকে কিছু উপদেশ দেন যেমন আমাকে দিলেন।
পারবেন তো , নাকি আমাকে কিছু করতে হবে।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পাঞ্জাবি, পাজামা, পাগড়ি, হিজাব এবং নিকাব। এসব কোনটিই ইসলামিক ড্রেস নয়।
পাঞ্জাবি, পাজামা ভারতীয় পোষাক। মোটেই ইসলামিক ড্রেস নয়।
এসব হচ্ছে লোকদেখানো লেবাস। ইসলামে লেবাসধারি প্রদর্শনকামিতা, লোক দেখানো এবাদত বন্দেগি কঠোর ভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি একটা প্রতিষ্ঠান এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে হলে সেই প্রতিষ্ঠানের আলাদা নিয়মকানুন বা শর্তাবলী থাকতে পারে যা মেনে চলতে হয়। যেমন স্বাধীন দেশে লুঙ্গি পরাতো আমার অধিকার। কিন্তু তাই বলে আমি লুঙ্গি পরে অফিস করতে চলে আসলে তা নিশ্চই গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এর আলাদা ডেকোরাম আছে যা অফিসের বা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে মেনে চলতে হয়। নিয়মকানুন কি হবে তা ঠিক করার অধিকার প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। তা মেনে চলা হবে এই সর্ত মেনেই ফর্ম পুরন করে "সকল নিয়ম, আইন, মেনে চলব" সম্মতি নিয়েই সবাই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়। সেটা আমার পছন্দ না হলে আমারও অধিকার রয়েছে ছেড়ে যাওয়ার। কিন্তু অমুক করা আমার অধিকার, এবাদত বন্দেগি বাদ দিয়ে লোকদেখানো লেবাসধারন, অধিকার, এইসব হাস্যকর যুক্তি দিয়ে সেখানকার আইন পরিবর্তন করার চেষ্টা করা তো আর আমার অধিকার হতে পারে না।
ইসলামের ইতিহাসে ইসলামি ড্রেসের কোন সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দেওয়া নাই।
তৎকালিন আরব অঞ্চলের লোকজন ঢিলাঢালা বেদুইন ট্রাউজার, জামা, পাগড়ি টুপি এসব আরব অঞ্চলের সবধর্মের বাসিন্দারাি ইসলাম আবির্ভাবের আগে থেকেই পরিধান করতো, সেসবকে ইসলামি ড্রেস বলা যায় না।
ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই। কোথাও কোন বাড়াবাড়ি রকমের তেমন কিছু পাইনি। ঐ আরব অঞ্চলের কাফের ও মুসলিমদের পরিধেয় বস্ত্র মোটামোটি একই ধরনের ছিল।
কোরান ও হাদিসে ছেলে বা মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে অনেকটা উদারতাই দেখানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
পরিত্র কোরানে এমন কোন আয়াত নেই যে মেয়েদের মাথা ও চুল ঢাকতে হবে।
পবিত্র কোরানে এই দুটি আয়াতেই অনেকটা ক্লিয়ার বোঝা যায়।
সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের জিলবাব (চাদরের) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আাল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
(আরবী ভাষায় জিলবাব বলা হয় বড় চাদরকে। আর ইদন শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া বা "জড়িয়ে নেয়া"
এখানে তাদের জিলবাব পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে,
এখানে পরিষ্কার ভাবে সব বলা হয়েছে, আলাদা কোন চাদর, হেজাব, হুড বা বোরখা চাপিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় এমন ভাবে কাপড় জড়াতে সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।
সুরা [আন নূর - ৩১] এই অংশটুকু খেয়াল করুনঃ
"তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে"
অর্থ পরিষ্কার। মেয়েদের পোষাক পরিধানের পরও কিছু অংশ উম্মুক্ত থাকার কথা যা সাধারনত থাকে (হাত ও মুখ)
এই আয়াতের ব্যখ্যা মুসলিম বিজ্ঞ আলেমগণ বিভিন্ন ভাবে করেছেন। একটি পক্ষ পরিষ্কার ভাবে বলছেন - মেয়েদের হাতের নিচের অংশ ও পুরো মুখমন্ডল হল এই সুরার আয়াত অনুযায়ী 'প্রকাশমান' অংশ।
পবিত্র কোরানের এই দুটি আয়াতেই স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে মেয়েদের মুখমন্ডল ও হাতের নীচের অংশ উম্মুক্ত থাকবে।
হাদিসে পরে অন্যভাবে ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকলেও এসবের অর্থ পরস্পর বিরোধী অর্থ বহন করলে হাদিস নয় কোরানই প্রাধান্য পাওয়ার কথা।
হাজার বছরের হজের ইতিহাসে হজ চলাকালিন সময় নারী-পুরুষ উভয়েরই মুখমণ্ডল অনাবৃত রেখে হজ করে আসছে। নারী-পুরুষ পাসাপাসি একই কাতারে নামাজে বসে আসছে। এই উদারতা ইসলামের সুরু থেকেই অব্যাহত আছে।
কিন্তু মক্কার বাইরে আবার জালহাদিসের নামে নারীদের উপর একের পর এক মনগড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে
ইসলামে মেয়েদের পরিধেও বস্ত্র কি রকম হবে তানিয়ে কখনো বাড়াবাড়ি করা হয়নি। ইসলামি পোষাক কি হবে কোরান বা হাদিসে কোন সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দেওয়া নাই। মাথা ঢাকতে হবে কি না তাও স্পষ্ট ভাবে বলে হয়নি, এর কারন একটি হতে পারে তৎকালিন আরব অঞ্চলটিতে মুসলিম ও বিধর্মি সহ সবাই চলাচলের সময় মাথা ঢেকে রাখার প্রচলন ছিল, সেটা আবহাওয়া জনিত কারনেই। ইসলামের আগমনের অনেক পুর্ব থেকেই আরব মহিলাদের মরুভুমিতে চলার সময় ধুলিঝড় থেকে বাচতে মুখঢাকার প্রচলন ছিল, তবে সেটা ধর্মিয় বিধানের অংশ হিসেবে ছিল না, ছিল বালুঝড়, লু হাওয়া বা তীব্র রোদ থেকে বাচার জন্যই। সেটা সুধু দির্ঘ পদযাত্রার সময়ই সুধু।
আরবের তীব্র রোদ থেকে বাচতে সুধু মেয়েরা না, ছেলেরাও মাথার তালু আপাদমস্তক কাপড় দিয়ে ঢাকতো। এধরনের পুরুষদের পোষাক এখনো আরবে প্রচলিত।
এখন মোল্লারা আরব কালচার কে ইসলামি কালচার বানিয়ে নিজেরা পালন না করে সুধু দুর্বল মেয়েদের উপর চাপিয়ে দিল!
এখন এসব নিয়ে অকারনে বিদ্যালয়গুলোকে অশান্ত করার কোন কারন দেখি না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনেরে কইছে.......... হি হি হি।যত সব ।