নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সুন্দরবন ধ্বংশ হবে না

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯


একটি আমেরিকান কয়লা বিদ্যুত প্ল্যান্ট

বাংলাদেশ এখনো বিদ্যুত ঘাটতির দেশ। দেশটির ৪০ ভাগ লোক এখনো বিদ্যুতহিন। গত ৫ বছরে ৩ হাজার মেঃওয়াট থেকে ৮ হাজার মেঃওয়াট বৃদ্ধির পরও ঘাটতি ২ হাজার, দিন দিন চাহিদা বাড়ছে ঘাটতিও বাড়ছে। কারন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ও নতুন সংযোগের সাথে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়িয়েও ঘাটতি কমানো যাচ্ছে না। ৬৩টি নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরও বিদ্যুত ঘাটতি মেটানো যাচ্ছেনা। ২১ শতকের মধ্যে আমদের দরকার ৩০ হাজার মেঃওয়াট বিদ্যুত। এই জন্য ১হাজার মেঃওয়াটের দুটি পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার সাথে। ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে রামপালে। ভারতের সাথে ৫০:৫০ যৌথ ভাবে।
আমরা একাই করতে পারতাম, কিন্তু কয়লা তুলতে গেলে আমাদের মত ঘনবসতির দেশে বিশাল পরিবেশ বিপর্যয় হয়, তাই ভবিষ্বত প্রজন্মের জন্য আমাদের মাটির নীচের কয়লা মাটির নীচেই থাকবে বলে আপাত সিদ্ধান্ত। তাই অপেক্ষাকৃত কম জনবসতি এলাকায় আমদানি করা কয়লাদিয়ে মেইন লোকালয়ের বাইরে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু এখানেও বাধা!



পরিবেশবাদি ও বামদলগুলো শুরু থেকেই এসবের প্রবল বিরোধিতা করে আসছে। প্রধান বিরোধিদল বলেছে তারা ক্ষমতায় আসলে প্রস্তাবিত পারমানবিক ও কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পগুলো বাতিল করবে। এদের কথা বলে লাভ নেই এরা ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ৭ বছরে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুতও জাতীয় গ্রিডে যোগ করতে পারে নাই। ৫ বছর মেয়াদে টঙ্গিতে একটি ছোট ৩০০ মেগা তৈরি করেছিল ৩দিনেই বিকল হয়ে উৎপাদনে যেতে পারেনাই।

বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি দেশ, দেশটিতে জমির দাম পৃথিবীর যেকোন দেশের চেয়েই বেশী। এদেশে যেকোন স্থাপনা তৈরি হলেই এর মাধমে দুষনের ইম্পাক্ট যে কোন দেশের চেয়ে বেশী হয়। জলবিদ্যুত ১০০% ধোঁয়া বিহীন, কিন্তু পরিবেশ বিপর্যয় করে সবচেয়ে বেশী। গ্রামের পর গ্রাম, বিশাল বনভুমি তলিয়ে যায় পানির নীচে।
জেমস ওয়াট স্টিমইঞ্জিন আবিষ্কার করার পর বিশ্বের সব বিদ্যুতই কয়লা পুড়িয়ে তৈরি হত। ঢাকা নগর কেন্দ্রেই একটি কয়লা বিদ্যুত চালিত বিশাল পাওয়ার হাউস ছিল হাতিরপুলে ১৯৭৩ পর্যন্ত চালুছিল, স্টিম লোকোমোটিভ টাইপ রেসিপ্রকেটিং steem ইঞ্জিন, উচু দুইটি চিমনি ছিল, এই কেন্দ্র দিয়ে সারা ঢাকার বিদ্যুত চলতো। তখনো ন্যাসানাল গ্রিড হয়নি। পরে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টারবাইন ইঞ্জিন আসলে সকল রেসিপ্রকেটিং কয়লা ইঞ্জিন ডিকমশন করা হয়েছিল। হাতির পুল এখন সুধু কন্ট্রলরুম হিসেবে আছে।


রামপাল প্রস্তাবিত বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দক্ষিন দিকে দুরত্ত ২১.২৫ কিমি, যা নিরাপদ দুরত্ত্ব 25 km এর খুব কাছাকাছি। যা কিনা প্রকৃতি বা সুন্দরবনের উপর তেমন কোন বড় প্রভাব পরবারই কথা নয়।
যারা এইটা নিয়ে সমালোচনা করেন তারা বলেন সুন্দরবন নাকি মাত্র ১০ কিমির মধ্যে। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রথম আলো তে লিখেছেন সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। ভারতের ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৭২’ অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয় না। তিনি ও দুজন ভিআইপি ব্লগার দাবি করছেন আলোচিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুরত্ব ১০-১৫ কিমি। অতচ একুরেট দুরত্ব 21.25 km. গুগল ম্যাপের নিখুত স্যাটেলাইট ম্যাপের মাপ।
মানচিত্রটি দেখুন। গুগল ম্যাপ এটা স্যাটেলাইট ভিউ।

যারা বিরোধিতা করছে

বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পর্যায়ে কৃষি ও পরিবেশের উপর প্রভাব:
ক্ষতিকর সালফার ও নাইট্রোজেন গ্যাস: কার্বন ডাই অক্সাইড এর প্রভাব: পশুর নদী থেকে পানি প্রত্যাহার: পানি দূষণ, বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি: বিষাক্ত ছাই শব্দ দূষণ: পশুর নদি দিয়ে কয়লা পরিবহনের দুষন। কয়লাবাহি জাহাজের সার্চ লাইটের আলো ইত্যাদি।



মংলা পোর্ট থেকে রামপাল আরও ১৪.৬৯ কিমির মতো উত্তরে। বিশাল ৩ কিলোমিটার চওড়া পশুর নদি যেখান দিয়ে বন্দরের সকল জাহাজ আসা যাওয়া করে সেই ব্রীটিষ আমল থেকেই। আলচিত বিদ্যুতকেন্দ্রটির জালানি কয়লাও এই নদী দিয়েই পরিবহন করা হবে মংলা পোর্টের শতশত জাহাজ পশুর নদী দিয়ে মুলত সুন্দরবনের বিশাল চওড়া পশুর নদি দিয়ে যাওয়া আসা করছে, হরিন, বাঘ, কুমির ডলফিন ভয় পায় না কারন অনেক চওড়া নদী। যাতায়াত করে অন্যান্ন ছোটবড় নৌজান। এতে গত ৬০ বছরে নৌ চলাচলে পানি দুষিত হয় নি। পরিবেশ যদি ক্ষতিই হয় জাহাজ চলাচলের জন্য নয়। বনে বসতি হওয়ার জন্য, বনখেকো পাবলিক সার্ভেন্টদের জন্য, দুর্নিতিবাজ রাজনিতিক ও কাঠচোরদের জন্য।

ন্যাসানাল হাইওয়ে N7 এসে মিলিত হয়েছে মংলা পোর্ট এ। এর পাশে বিশাল ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এরিয়া মংলা ইপিজেড চালুহয়ে গেছে কয়েক বছর আগেই, অনেক ফ্যাক্ট্রি বিদ্যুত-গ্যাসের অভাবে চালু হতে পারছেনা। N7 হাইওয়ের পাসে গড়ে উঠছে ছোট বড় ম্যানুফাকচারিং ইন্ডাষ্ট্রি, ৮-৯ টি সিমেন্ট ফ্যাক্ট্রি, একটি বিশাল LPG গ্যাস প্ল্যান্ট। এলাকাটি মোটামোটি ইন্ডাষ্ট্রিয়াল জোন হয়ে গেছে। এসবের কারনে কাছের সুন্দর বন বা কারখানার ধোঁয়ার কারনে আসেপাশের কোন গাছ-গাছালির কোন ক্ষতি হয়নি। সুন্দরবনের তো দুরের কথা। আলোচিত বিদ্যুত কেন্দ্রটি চালু হলেও ক্ষতি হবে না। কোন বিদ্যুত প্লান্টের ঘাস গাছগাছালি মরেগেছে এমন কথা কেউ শুনেনি।
আমাদের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির সংলগ্ন বিদ্যুত প্লান্টের কারনে দুষন হয়েছে সত্য। তার কারন কয়লাখনির দুষন, বিদ্যুত প্লান্টের না। তবে দুষন এমন না যে পার্শবর্তি বসতি এলাকার হাস-মুরগি গাছগাছালি মরে গেছে। ক্ষতি কিছু হবে অবস্যই সেটা কার্বন এমিশন, গ্লোবাল ক্ষতি।

বিদ্যুতকেন্দ্র কুলিং এর জন্য পানি ব্যাবহার করলে বিশাল পশুর নদীর পানি কমে যাবে এটা ভাবাই হাস্যকর। বায়ুর তাপমাত্রা বৃধি আরেকটি হাস্যকর! তাহলে এত পরিবেশ সচেতন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অর্ধেক বিদ্যুত কয়লা পুড়িয়ে করত না।
সুন্দরবন অঞ্চলে ৯ মাস বাতাস উত্তর মুখি প্রবাহ থাকে, শীতের মাত্র ৩ মাস দক্ষিনা প্রবাহ থাকে, এই মাত্র ৩ মাস 21 km দূরের সুন্দরবনের কি এমন ক্ষতি হয়ে যাবে বুঝি না। এটা তো নিরাপদ দুরত্ব ১৫ কিলোমিটার থেকে অনেক দূরে!

কয়লা একটি প্রাচিন জালানি হলেও এজাবৎ সবচেয়ে কার্যকর সাশ্রয়ি জালানি হিসেবে প্রমানিত। কয়লায় উৎপাদিত বিদ্যুত মুল্য হবে মাত্র ৩ টাকা ইউনিট। দেশের অতি মুল্যবান গ্যাস না পুড়িয়ে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত অনেক দিনের দাবি। কয়লা সবদেশেই একটি নিরাপদ জালানি। ভারতে ব্যায়বহুল নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ করে কয়লা বিদ্যুতে ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল। জাপানও ভুমিকম্প-সুনামি বিপর্যয়ের পর তার কয়েকটি বিপদজনক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে নিরাপদ কয়লা ভিত্তিকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দেশেও গ্যাসের উপর চাপ কমাতে বার বার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল কয়লা তুলে বড় বড় বিদ্যুত কেন্দ্র বানাতে। কিন্তু কয়লা উঠাতে দিলে বাধা। পরিবেশের ভয়াবহ ক্ষতি। তাই কয়লা আমদানি করাই ভাল। আমাদের ডলারের অভাব নেই, পরিবেশের তেমন ক্ষতি নেই।



ভারতের 60% বিদ্যুত কয়লা চালিত,
চীনের 70% ভাগ,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 44.9% ,
বাংলাদেশ মাত্র .02 % যা বড়পুকুরিয়ায়, রামপাল চালু হলে 3% হবে মাত্র।

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ হবে যারা ১০০% আমদানি করা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের দেশ। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুত তৈরি করার চেয়ে কয়লা খনি অনেক বেশী দুষন ও বিপর্যয় শৃষ্টি করে, আমরা মাগনা পেয়েও কয়লা না উঠিয়ে বিশাল বিপর্যয় এড়াতে পেরেছি।
পরিবেশবাদিরা ক্ষয়ক্ষতির যে কথা বলে সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে কি কি উন্নতি হবে তার কথা একবারও বলে না।

কয়লা বিদ্যুতের একটি বড় সমস্যা ছাই বর্জ, বড়পুকুরিয়ার বর্জ্য বিপুল ছাই দেশের সিমেন্ট কারখানাগুলো কিনে নেয়। এই বিদ্যুতকেন্দ্রটির ছাই বর্জ্য উৎপন্ন হবে বড়পুকুরিয়ার প্রায় চারগুন। এখানে চীন ভারত ব্রীটেন যে ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে সেভাবেই করা হবে। এই উচ্চমানের ছাই ব্যাবহারপযোগী করে সাবানের বিকল্প হতে পারে।
তাই এই বিদ্যুত প্ল্যান্টটি সুন্দরবন বা এলাকার পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভিত্তিহিন বলেই আমার ধারনা।

* সংযোজন - ২০১৬

বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য নিরাপদ দুরত্বে একটা বিকল্প স্থান খুঁজে পাওয়া আমার কাছে একটু কঠিন বলেই মনে হয়।
এই কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হতে হবে পশ্চিম জোনে। কারন দেশের বেশিরভাগ বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুর্ব জোনে অবস্থিত। ন্যাসানাল গ্রিড পুর্ব থেকে দির্ঘ পথ ট্রান্সমিশনে সিস্টেম লস হচ্ছে দির্ঘদিন। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে কোন বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়েই হবে।
বড় কয়লাবাহি জাহাজ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছাতে দরকার চর বিহীন চালু বড় নদী, যার পাড়ে হতে হবে এই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সাথে ভারি ট্রাক চলার জন্য ন্যাসানাল হাইওয়ে কানেক্ট থাকাও জরুরি।
কাওরাকান্দিতে করা যাবেনা কারন চর পরা নদী, চাঁদপুরের পশ্চিমে শরিয়তপুরে করা যায়, কিন্তু চওড়া হাইওয়ে নেই, গোয়ালন্দ একই অবস্থা নদীতে চর। পিরোজপুর বা বরগুনার কাছেও করা যাতে পারে, আবার এতে কটকা (পুর্ব সুন্দরবন) আক্রান্ত হবে বলে আন্দলন শুরু হয়ে যেতে পারে।
মংলা বন্দরের কাছে হলেই সবচেয়ে কমখরচে অষ্ট্রেলিয়া বা দ:আফ্রিকা থেকে কয়লা এনে বিদ্যুত মুল্য কম রাখা সম্ভব বলেই হয়ত রামপালকে সিলেক্ট করা হয়েছিল ।

বাংলাদেশ একটি কাটাতারেঘেরা জলবায়ু বিপর্যস্ত অপর্যাপ্ত অবকাঠমো নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ।
এই দেশটিকে বাচাতে হলে আগামি দশ বছরের ভেতর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ গুন বাড়িয়ে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে আনতে হবে, শিল্পউৎপাদন বাড়িয়ে দারিদ্র দুরকরে শক্তহয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে, এতে কোথাও বা কোথাও 'কিছু ক্ষতি' মেনে নিতে হবেই। ৫০ বছর পর সমদ্রউচ্চতা বেড়ে সুন্দরবন এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, আয়তন কমে ঘণবসতি প্রকট হবে, তার আগেই দেশটিকে মাথা তুলে দাড়াতে হবে।
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি দরকার ছিল ২০০০ একর। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণবসতির দেশ
বাংলাদেশের ৯০% খালি জমিই তিন ফসলি জমি। সমতল ভূমি এবং উর্বরতা বিবেচনায় ২০০০ একর জমি দেশের অন্য কোথাও একযোগে অধিগ্রহন করার তেমন সুযোগ ছিল না। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ভুমি থেকে উচ্ছেদ সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল, এর উদাহরন আড়িয়াল বিল। আমাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত, ঘনবসতিপূর্ণ দেশের ৩ ফসলি আবাদি ভুমি অধিগ্রহন করা আত্মঘাতী । দিনে ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করার ব্যায়, যোগাযোগ , পরিবেশ দুষণ, এসব বিষয় মাথায় রেখেই তখনই খাসজমিবহুল রামপালকে সঠিক জায়গা বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল।

জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে পৃথিবীর অনেক নীচু অঞ্চলের মত বাংলাদেশের প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ এলাকা সমুদ্র তলে ডুবে যাবে। রামপাল না হলেও ডুবে যাবে। সুন্দরবনও বিলুপ্ত হবে। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফলাফল হতে এই লক্ষণ এখনই দেখতে পাচ্ছেন । তাই আমাদেরকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে এই ভয়াবহ দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য । দুই ভাবে তা করা যায়, ১) পৃথিবীরসব দেশ মিলে এক সাথে গ্রিন হউস গ্যাস কমানর মাধ্যমে, বা ২) বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত হওয়ার মাধ্য দিয়ে অর্থনীতিক সামর্থ্য দিয়ে ।
প্রথম উপায়ে (কার্বন এমিশন কমানো) উদ্যোগ, যা ১৯৯০ সনে নেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে । ১৯৯০ সালের উদ্যোগের মত ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনের মাধ্যমে নেওয়া উদ্যোগ আংসিক সফল। তাহলে আমাদের কাছে একটিই পথই খোলা আছে অর্থাৎ দ্রুত উন্নত হওয়া যাতে আমাদের হাতে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সম্পদ থাকে । এই ক্ষেত্রে আমাদের উন্নত বিশ্বের উন্নয়নের ইতিহাস অর্থাৎ শুধুমাত্র অর্থনীতিক লাভকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে ।
আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যা ও দক্ষীনাঞ্চল ডুবেযাওয়া বিবেচনায় রাখলে এ যুক্তি আরও দৃঢ় হয় যে, শুধুমাত্র উন্নয়ন ও অর্থনীতিক সামর্থ্য অর্জন আমাদের একমাত্র প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।
অর্থনৈতিক ভাবেও এই 'রামপাল' বাংলাদেশের পক্ষে লাভজনক।
বাংলাদেশের নগদ বিনিয়োগ শুন্য হলেও মালিকানা ৫০:৫০। এ সকল বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের জন্য লাভ জনক চুক্তি বলা যায়। এই প্রকল্প থেকে ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হলে এর ইমপ্যাক্ট হবে হিউজ। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন - মাথাপিছু আয় আরো ৫০০ ডলার বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর মতই এটির ফলে ১% বাড়তি জিডিপি যোগ হবে।

মন্তব্য ১৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

শামস৭১ বলেছেন: একমাত্র আওয়ামীলীগ দালালের চোখেই এই জিনিসটা ধরা পড়বে যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যারা বিরোধিতা করছে তাদের চোখের সামনে সব তথ্য হাজির করলেও তারা প্রকৃত লাভক্ষতি কিছুই দেখবে না।
মতবলবি বামপন্থিরাও দেখবে না, সব কিছু চোখে দেখলে তো তাদের রাজনীতি থাকে না।

প্রথম আলোতে দেখলাম ছাগি পুস্পিতাও বিরোধিতা করছে!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ, দেশটিকে ঘিরে আছে ভারত ও চীনের মত ইন্ড্রাসট্রিয়াল জায়েন্ট, এই দুটি দেশ সমানে ফসিল ফুয়েল পোড়াচ্ছে। সিমান্ত সংলগ্ন শত শত কয়লা বিদ্যুত প্ল্যান্ট। দুষনের ইম্প্যাট সমান হারেই বাংলাদেশে পড়ছে। আমরা কিছু না করেই ধোঁয়া গিলছি।

আমরা নিজেরা মোটেও পরিবেশ সচেতন না। টুষ্ট্রোক ইঞ্জিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বাদে সব যাগায়ই চলছে। আমদের গাড়ীর একজষ্ট পাইপে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার লাগাই না। অতচ অন্যান্ন দেশে এটি ব্যাধ্যতামুলক।

আমরা গাড়ীতে লাগাই মোটা লোহার সিং, যা সামনে পিছে মিলিয়ে ১ ফুট রাস্তা অবৈধ দখল করে। প্রতিদিন রাস্তার দুই লাখ গাড়ীর সিং ৬১ কিলোমিটার রাস্তার অংশ অবৈধ ভাবে দখল করে থাকে। এই শিং বিশ্বে কোথাও দেখা পাবেন না।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

ভিটামিন সি বলেছেন: শামস৭১ বলেছেন: একমাত্র আওয়ামীলীগ দালালের চোখেই এই জিনিসটা ধরা পড়বে যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মজার গল্প লেখার 'ভিটামিন' ছাগু মন্তব্য কপি-পেষ্ট করে?

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

নিকষ বলেছেন: হায়রে চামচা, হায়রে দালাল। দালালির জন্য নিজের মায়েরেও বাজারে নামানো যায়।

ভারতের ট্যাক্সবিহীন মুনাফা নিয়ে যাওয়া, ১৫% ইনভেস্ট করে ৫০% মালিকানা নেওয়া। ২০১ কোটি ডলা্র লো্নের পুরাটা চুকানোর বোঝা বাংলাদেশের উপর চাপাইয়া দেয়া - এগুলি নিয়েও লেখেন। মোটামুটি আগামী ২৫/৩০ বছরে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ভারত পাচার করার বৈধ উপায় তৈরী করে যাচ্ছ আওয়ামীলীগ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৫% ইনভেস্ট করে ৫০% মালিকানা নেওয়া, এসব ফেবুতে অনেক দেখেছি। সত্যতার কোন সুত্র পাইনি। এসব সত্য হলে আমিও এর বিরোধী।

কোন নির্ভরযোগ্য সুত্র থাকলে দিতে পারেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অপশক্তিরা জেনেশুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই ৭০ শতাংশ এক্সিম ব্যাঙ্ক ঋণ কিস্তি ও এর সুদ একাই বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে,
একথা আদৌ সত্য নয়। ইনফ্যাক্ট এসব ফালতু কথা বলে ইচ্ছাকৃতভাবে এই প্রকল্প সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে একটি মহল।
এটি সম্পূর্ণ সুষম আন্তজার্তিক একটি চুক্তি।
এই প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ এবং ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি।
এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে যে ৭০ শতাংশ ঋণ হিসাবে নেওয়া হবে সেট বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিশোধ করার প্রশ্নই আসে না।
পরিশোধ করবে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিঃ’ যা একটি লাভজনক কম্পানি (যার মালিকানা ৫০:৫০)। বাকি অংশ ইক্যুইটি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ (পিডিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫ শতাংশ ভারত প্রদান করবে।
এই ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি.’ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
কোন কারনে এই কম্পানী কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ হলে বা দেউলিয়া হলে একটি ইনশুরেন্স কম্পানী দায় বহন করবে, যা লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানির কাছে রিএশুরেন্স করা আছে। এরা নিয়মমাফিক দায় বহন করবে।

ইনশুরেন্স কম্পানী সহ সবাই দেউলিয়া হয়ে গেলে ফাইনাল লায়বেলেটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের, এটাই নিয়ম, যেহেতু কারখানা ও সকল যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের মাটিতে।
এই চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ সত্যি কথা বলার জন্য । আপনার এই কথা আমি ফেসবুক এ বলেছি । কিন্তু যারা এই পরিবেশে কখনই যাননি তাদের এটা বোধগম্ম করানো যাবেনা ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাইয়া
আলোচিত বিদ্যুত প্ল্যান্ট এর পক্ষে সামুতে কোন পোষ্ট চোখে পরেনি।
তাই লেখাটা দিলাম, আমি পক্ষে বিপক্ষে কোন পক্ষেই ছিলাম না।
কিন্তু যেভাবে ভুল তথ্যে সোসাল মিডিয়াগুলো ভেসে যাচ্ছিল, একদিন ভাবলাম কিছু মিথ্যাচারের জবাব দেয়া উচিত।

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: তুই আসলেই একটা বলদ........... X(

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অদ্ভুত মানূষের স্বার্থপরতার ভাবনা!!!


আপনার সক ধ্রৃব বলে মানলাম-

আচ্ছা বলুনতো ১৫% : ১৫%
৭০% ঋন পুরাটা বাংলাদেশ শোধ করবে!!

আর মালিকানা ৫০:৫০!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আবার কয়লার নিজস্ব উৎপাদন না করে আমদানী কেন?

আমদানী দর নিম্ন দর না ধরে শুরুতেই সর্বোচচটা ধরা কেন?

বলুন আপনার জবাবটা শুনি। !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


"কয়লা সবচেয়ে কার্যকর সাশ্রয়ি জালানি প্রমানিত। বিদ্যুত মুল্য হবে মাত্র ৩ টাকা ইউনিট। "!!!!?????
বিদ্যুতের মূল্য নিয়ে আপনি মিথ্যাচার করলেন কেন?



২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আচ্ছা বলুনতো ১৫% : ১৫%
৭০% ঋন পুরাটা বাংলাদেশ শোধ করবে?

ভাই আর্থিক ব্যাপারগুলো ভারসাম্য না থাকলে বা দেশের বিপক্ষে গেলে আমি এর বিরোধিতা করব।

আমি আপাতত টেকনিক্যাল ও পরিবেশগত দিক নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদ্যুতের উৎপাদন মুল্য হবে মাত্র ৩ টাকারও কম, প্রতি ইউনিট।
এটা পত্রিকায় লেখা।

"বিদ্যুত উৎপাদনে কয়লা সবচেয়ে কার্যকর সাশ্রয়ি জালানি প্রমানিত"
এজাবৎ পর্যন্ত এটাই সত্য।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আবার কয়লার নিজস্ব উৎপাদন না করে আমদানী কেন?

কয়লা তুলতে গেলে আমাদের মত ঘনবসতির দেশে বিশাল পরিবেশ বিপর্যয় হয়, তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের মাটির নীচের কয়লা মাটির নীচেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুত তৈরি করার চেয়ে কয়লা খনি অনেক বেশী দুষন ও বিপর্যয় শৃষ্টি করে, আমরা মাগনা পেয়েও কয়লা না উঠিয়ে বিশাল বিপর্যয় এড়াতে পেরেছি।

তাই অপেক্ষাকৃত কম জনবসতি এলাকায় আমদানি করা কয়লাদিয়ে মেইন লোকালয়ের বাইরে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা হয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৫% ইনভেষ্ট করে ৫০% মালিক হবে ভারত?
সম্পুর্ন বাশেরকেল্লার গুজব।
প্রথমআলোও লিখেছিল ১৫% ইনভেষ্ট করে ৫০% মালিক হবে ভারত, ঋনের ১০০% দায় বাংলাদেশের! আশ্চর্য!

অপশক্তিরা জেনেশুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এটি সম্পূর্ণ সুষম আন্তজার্তিক একটি চুক্তি।
জি টু জি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিক। দুর্নীতির সুযোগ খুবই কম। চীন বা ফ্রান্সের কম্পানির সাথে হলে সাগর পরিমান দুর্নীতি হত।
এই প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ এবং ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি।
এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে যে ৭০ শতাংশ ঋণ (১৬০ কোটি ডলার) হিসাবে নেওয়া হবে সেট বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিশোধ করার প্রশ্নই আসে না। কারন ঋণটা সরকার নিচ্ছে না, সরকারি সংস্থা PDB ও নিচ্ছে না।
ঋণটা নিচ্ছে নবগঠিত স্বাধীন একটি লিমিটেড কম্পানী,‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. । যা একটি লাভজনক মাল্টি ন্যাশানাল কম্পানি। যার প্রকৃত মালিকানা যৌথ ভাবে 50:50 বাংলাদেশ-ভারত।
ঋন নেয়া ও পরিশোধ করার দায়িত্ব এই লিমিটেড কম্পানির। নট বাংলাদেশ সরকার।

৭০ শতাংশ ঋণ (১৬০ কোটি ডলার) বাকি অংশ ইক্যুইটি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ (পিডিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫ শতাংশ ভারতীয় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) প্রদান করবে।
এই ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ও বিক্রি করবে।

কোন কারনে এই কম্পানী ঋনের কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ হলে বিকল্প ব্যাবস্থা নিবে, বা ঋন রিশিডিউল করবে।
কোন কারনে এই কম্পানী ঋন পরিশোধে অক্ষম হয়ে দেউলিয়া হয়ে গেলে, অন্য আরেকটি কম্পানী এটি কিনে নিবে, বিশ্বে এরুপ শত শত উদাহরন আছে।
আনফরচুনেটলি কেউ না কিনলে একটি ইনশুরেন্স কম্পানী এই দায় বহন করবে,
এই ইনশুরেন্স কম্পানী এতবড় এমাউন্ট সঙ্কুলান না হলে লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানির কাছে রিএশুরেন্স করা আছে। এরা নিয়মমাফিক সম্পুর্ন দায় বহন করবে। করতে বাধ্য।
লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানী সহ পৃথিবীর সবাই সবাই দেউলিয়া হয়ে গেলে ফাইনাল লায়বেলেটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
এটাই নিয়ম, যেহেতু কারখানা ও সকল যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের মাটিতে।
এই চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।

হলুদআলো ও সংগবদ্ধ অপপ্রচারকারি গুজব -
"১৫% ইনভেষ্ট করে ৫০% মালিক হবে ভারত, ঋনের ১০০% দায় বাংলাদেশের।" সবই ডাঁহা মিথ্যা।

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

ইমাম উশ শহীদ বলেছেন: ভালই তো....
তবে জনাব...যেখানে ভারত সেখানেই গু...

এর চাইতে ভালও ইসরাইলের সাথে চুক্তি করা...

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার সাথে একমত।

ভারত আমাদের জন্য একটা হারামি দেশ। ইসরাইলের চেয়েও হারামি।
কিছু ব্যাতিক্রম বাদে ভারতের নাগরিকরাও হারামির বাচ্চা।
ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু হতে পারবে না।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

ধানের চাষী বলেছেন: আমেরিকার বিদ্যুত কেন্দ্রের ছবিটা কি সুন্দর কইরা দিলেন ! রামপাল তো আমেরিকায় না তাই না !

ভাল কথা, বিমানবন্দর বানানোর জন্য প্রাকৃতিক জলাশয় আড়িয়াল বিল বাছাই করা হয়, বিদ্যুত কেন্দ্র বানানোর জন্য সুন্দরবন বাছাই করা হয় কেন একটু বলবেন ?

গত ২৫ তারিখ সকালে বিবিসির সংবাদে পিডিবির মহাপরিচালকের সাক্ষাতকারে মহাপরিচালক দাবি করেছেন বিদ্যুত কেন্দ্রটি থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব ১৪ কি.মি. এবং এটা নাকি যথেষ্ট নিরাপদ !

আর আপনি বলছেন দূরত্ব ২১.২৫ কি.মি. । যারা বিদ্যুতকেন্দ্রের পরিকল্পনার সাথে যুক্ত তাদের কে দূরত্ব মাপতে একটু সাহায্য করেন। তারা তো সংবাদ মাধ্যমে ভুল দূরত্বের কথা বলছেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঘুশখোর আমলাগুলো আসলেই মাথামোটা।

আমি গুগল ম্যাপ থেকে মেপে দেখেছি, 22.25 km.
আপনি এখুনি নিজেই দেখে চেক করতে পারেন।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

তোমোদাচি বলেছেন: শামস৭১ বলেছেন: একমাত্র আওয়ামীলীগ দালালের চোখেই এই জিনিসটা ধরা পড়বে যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কপি-পেষ্ট কমেন্ট?

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

রিতুন ক্লিস বলেছেন: এ নিশ্চয়ই BAL এর কেউ....

১১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: একমাত্র আওয়ামীলীগ দালালের চোখেই এই জিনিসটা ধরা পড়বে যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না ।

১২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সবই বুঝলাম , ধরে নিন মেনেও নিলাম কিন্তু আপনি অস্বীকার করেন দেখি সুন্দরবনের বাতাসে এর প্রভাব পড়বেনা ( অতি কার্বণ-ডাই -অক্সাইড নামক একটা জিনিস আছে ) আর এর কারণে সুন্দরবনের ইকো-সিস্টেমে প্রভাব পড়বেনা ?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অতি কার্বণ-ডাই -অক্সাইড নামক একটা জিনিস আছে, ঠিকই।
কিন্তু সুন্দরবন অঞ্চলে ৯ মাস বাতাস উত্তর মুখি প্রবাহ থাকে, শীতের মাত্র ৩ মাস দক্ষিনা প্রবাহ থাকে,

এই মাত্র ৩ মাস 22 km দূরের ছয়শত কিলমিটার লম্বা সুন্দরবনের তেমন কোন ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না।

আমি কয়েকটি কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্টের ছবি দেখেছি যার আশেপাশের গাছপালা তাজাই ছিল। কয়লা বিদ্যুতে গাছপালা মারা গেলে আমেরিকা ক্যানাডার মত পরিবেশ সচেতন দেশগুলো তাদের ৫০% ভাগ বিদ্যুত কয়লা ভিত্তিক করত না।
বাংলাদেশ তো মাত্র শুরু করলো ৩% দিয়ে। বাংলাদেশের প্রতিবেশীরা তো দেদারসে কয়লা উঠাচ্ছে আর পোড়াচ্ছে।
চীন তার ৭০% ভাগ বিদ্যুত আসে কয়লা পুড়িয়ে।

আমরা তো অন্তত মাটি গর্থকরে কয়লা উঠিয়ে পরিবেশ দুষিত ও জনগন উচ্ছেদ করছি না।

১৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনি কি জানেন কি হতে যাচ্ছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে??
আসুন জেনে নেই

১) ১৪৫ ডলার হারে কয়লা আমদানি করলে পিডিবিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ আমদানি করতে হবে প্রায় ৯ টাকার কাছাকাছি।
২) ১৮৩০ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে।
৩) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয় যা আর সম্ভব হবে না।
৪) পশুর নদির পানি ব্যাপক পরিমানে দুষিত হবে। কারন পানি গ্রহন করে তা আবার ফেরত দেয়ার সময় পচুর দুষিত পদার্থ তাতে থেকে যায়।
৫) ২৭৫ মিটার উচু চিমনী থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্যের তাপমাত্রা হবে ১২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এতে কি আপনার মনে হয় যে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হবে না??
৬) কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরে ৪ ৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে।
কি মনে হয় আপনার এইগুলো(আর্সেনিক, পারদ, সীসা, নিকেল, ভ্যানাডিয়াম, বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, রেডিয়াম সহ আরো প্রচুর বিষাক্ত পদার্থ সমৃদ্ধ) কোথায় যাবে??
৭) সুন্দর বনের ভিতর দিয়ে ব্যাপক মাত্রায় জাহাজের মাধ্যমে কয়লা পরিবহনের ফলে এর নদি গুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। নদিগুলো দুষিত হয়ে পরবে এবং এর উপর নির্ভর করা প্রানিকুলের জীবনে মারাত্মক প্রভাব পরবে।

প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%।বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশী। উচ্ছেদ হচ্ছে ৭৫০০ পরিবার। কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে দেশ। পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে বাংলাদশে কিন্তু ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির? ভারত মধ্যপ্রদেশে যে প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সেই এনটিপিসিকেই সুন্দরবনের উপর ১৩২০মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সুযোগ করে দিচ্ছে পরিবেশের উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব তোয়াক্কা না করেই। তার উপর ভারতীয় কোম্পানিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র লাভের করও দিতে হবে না। এটা কীভাবে জাতীয় স্বার্থের অনুকুলে হয়? আর এটাই কী আমাদের গিলতে হবে?

তাই সোচ্চার হোন। রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কে না বলুক। আমাদের এই সুন্দর দেশ কে কিছু কুলাঙ্গার দালালের হাত থেকে বাচান।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফেবু থেকে কপি-পেষ্ট, সব ভুয়া তথ্য!

১৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

ধানের চাষী বলেছেন: বাংলাদেশে ৯ মাস দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহিত হয়- একই যুক্তি সেই "ঘুষখোর মাথা-মোটা" আমলাও দিয়েছিলেন।

আপনি স্যাটেলাইটের দূরত্বের হিসাব দিলেন, আর যাদের বিরুদ্ধে কথা হচ্ছে তারা নিজেরা স্বীকার করছে ১৪ কিমি দূরত্ব।

সম্ভবত ২১.৫ কিমি দূরে স্যাটেলাইটে দেখা আপনার জায়গায় বিদ্যুতকেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে না। =p~

এত বড় একটা প্রকল্প তৈরি হচ্ছে, আর দূরত্ব নির্ণয়ে তারা আপনার চেয়ে কম কাজ করেছে, এ কথা নিশ্চয়ই আপনি নিজেও বলবেন না। :D

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার জানা মতে বিদ্যুতকেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে রামপাল উপজেলার পশুর নদীর তীরে, নদীটির অপর পাড়ে প্রাক্তন চালনা বন্দর ও সুতারখালি নদীমুখ।

সুতারখালি নদীমুখ থেকে মাপদিয়ে দেখুন প্রায় ২২ কিমি।
মংলা পোর্ট থেকে রামপাল আরও ১৪.৬৯ কিমির মতো উত্তরে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
22.60276, 89.539576
এই GPS পজিশনে সম্ভবত বিদ্যুতকেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে।

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

শামস৭১ বলেছেন: আপনি মেপে দেখেছেন ? কি দিয়ে মাপলেন ? স্কেল দিয়ে ?

মানুষ যে কত বড় গাধা হতে পারে তা আপনার ১০ নাম্বার মন্তব্যের জবাব থেকেই জানা হয়ে গেছে ।

আর কি বললেন যে ১৫% দিয়ে ভারত ৫০% মালিক হবে এই নিয়ে কোন তথ্য নেই ? হেহেহেহেহে ।
আপনি এক কাজ করেন এই চিন্তা আপনাদের নেতাদের পাও চাটেন গিয়ে । তাতেই বরং আপনার লাভ ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৫% ইনভেষ্ট করে ৫০% মালিক হবে ভারত?
সম্পুর্ন বাশেরকেল্লার গুজব।

অপশক্তিরা জেনেশুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এটি সম্পূর্ণ সুষম আন্তজার্তিক একটি চুক্তি।
জি টু জি (সরকার টু সরকার) ভিত্তিক। দুর্নীতির সুযোগ খুবই কম। চীন বা ফ্রান্সের কম্পানির সাথে হলে সাগর পরিমান দুর্নীতি হত।
এই প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ ঋণ এবং ৩০ শতাংশ ইক্যুইটি।
এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে যে ৭০ শতাংশ ঋণ (১৬০ কোটি ডলার) হিসাবে নেওয়া হবে সেট বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিশোধ করার প্রশ্নই আসে না। ঋণটা সরকার নিচ্ছে না, সরকারি সংস্থা PDB ও নিচ্ছে না।
ঋণটা নিচ্ছে নবগঠিত স্বাধীন একটি লিমিটেড কম্পানী,‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. । যা একটি লাভজনক মাল্টি ন্যাশানাল কম্পানি। যার প্রকৃত মালিকানা যৌথ ভাবে 50:50 বাংলাদেশ-ভারত।
ঋন নেয়া ও পরিশোধ করার দায়িত্ব এই কম্পানির

৭০ শতাংশ ঋণ (১৬০ কোটি ডলার) বাকি অংশ ইক্যুইটি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ (পিডিবি) বাংলাদেশ এবং ১৫ শতাংশ ভারতীয় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) প্রদান করবে।
এই ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে ও বিক্রি করবে।
কোন কারনে এই কম্পানী কিস্তি পরিশোধে ব্যার্থ হলে বিকল্প ব্যাবস্থা নিবে, বা ঋন রিশিডিউল করবে।
কোন কারনে এই কম্পানী দেউলিয়া হয়ে গেলে, অন্য আরেকটি কম্পানী এটি কিনে নিবে, বিশ্বে এরুপ শত শত উদাহরন আছে।
কেউ না কিনলে একটি ইনশুরেন্স কম্পানী এই দায় বহন করবে, যা লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানির কাছে রিএশুরেন্স করা আছে। এরা নিয়মমাফিক দায় বহন করবে।
লয়েড ইনশুরেন্স কম্পানী সহ পৃথিবীর সবাই সবাই দেউলিয়া হয়ে গেলে ফাইনাল লায়বেলেটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
এটাই নিয়ম, যেহেতু কারখানা ও সকল যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের মাটিতে।
এই চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

অনিক বলেছেন: আপনার কথাই যদি ধরি ৯ মাস যে উত্তরমুখী বায়ু প্রবাহ হবে তাতেও দেশের উত্তরাঞ্চল ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আর এইসব থার্মাল প্লান্টের বায়ু দুষণের পরিধি কয়েকশ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ডালাস সেটা টের পাচ্ছে, তাজমহলও আজ বায়ু দূষণের কবলে- শিল্পাঞ্চল থেকে শত শত মাইল দূরে হওয়া সত্ত্বেও।

বায়ু দূষণঃ সাধারণত বায়ু দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ধাবিত হয়। রামপাল প্রকল্প দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে নির্মাণ হচ্ছে বিধায় বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে বাতাস দেশের উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হবে। এই প্রকল্প থেকে নির্গত ধোঁয়া, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বণ-ডাই-অক্সাইড, তাপ তরঙ্গ এবং সূক্ষ্ম ছাই ও ধূলিকণা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে যাবে। ফলে শুধু সুন্দরবন নয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল সবুজ বেষ্টনী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এছাড়া সুন্দরবনের গাছপালা, জীবজন্তু, পশুপাখী, মানুষ, গবাদি পশু বায়ু দূষণে আক্রান্ত হবে এবং জীবকূলের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এতে জীববৈচিত্র ধ্বংশ হবে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, পুরো ইকো-সিস্টেমের উপর প্রভাব পড়বে। আমরা এই দেশে চেরনোবিল বা ভূপালের মত দূষণ আক্রান্ত হতে চাইনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কয়লা বিদ্যুতে গাছপালা হাঁস-মুরগি মারা গেলে আমেরিকা ক্যানাডার মত পরিবেশ সচেতন দেশগুলো তাদের ৫০% ভাগ বিদ্যুত কয়লা ভিত্তিক করত না।

বাংলাদেশ তো শুরু করলো মাত্র ০.০২% দিয়ে রামপাল হলে ৩% হবে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশীরা তো দেদারসে কয়লা উঠাচ্ছে আর পোড়াচ্ছে। শতশত কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্ট!
ভারত ও চীন তার ৭০% ভাগ বিদ্যুত আসে কয়লা পুড়িয়ে।

আমাদের চাপাইনবাবগঞ্জের সিমান্তের খুব কাছেই ভারতীয় বিশাল কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্টের থেকে নির্গত ধোঁয়া, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বণ-ডাই-অক্সাইড, তাপ তরঙ্গ এবং সূক্ষ্ম ছাই ও ধূলিকণা বাংলাদেশের কোন গাছ মরেছে?
চাপাইয়ে কোন গাছে লিচু আম কম ধরেছে?

বা ভারতে কোন গাছটা মরেছে?

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

আমাদের ইয়াহু বলেছেন: ভিটামিন সি বলেছেন: শামস৭১ বলেছেন: একমাত্র আওয়ামীলীগ দালালের চোখেই এই জিনিসটা ধরা পড়বে যে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না ।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

আমাদের ইয়াহু বলেছেন: অনিক বলেছেন: একসময় ধোলাইখাল ভরাটের সময় বলা হয়েছিল পুরান ঢাকায় যানজট থাকবে না, জলাবদ্ধতা নিরসন হবে, বুড়িগঙ্গা দূষণের কবল থেকে বাঁচবে--- আজকে ঢাকাবাসীরা এই ধোলাইখাল ভরাটের প্রভাব হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছে। আজ কোথায় সেই পরিকল্পনাবিদ? যেদিন বাঘ-হরিণ মরবে সেদিন আপনাকেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যেমন পাওয়া যাচ্ছেনা হাজারিবাগে ট্যানারী নির্মাণের সুপারিশ যারা করেছিল। বুড়িগঙ্গা আর তুরাগ বাঁচানোর কোন বিকল্প রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধোলাই খাল ভরাট করা নির্বুদ্ধিতার কাজ হয়েছে।

একই রকম নির্বুদ্ধিতার কাজ হয়েছে ২০০২ এ যাত্রাবাড়ির খাল (বর্তমান জনপদ রোড) ভরাট করা। খালটি মাঝখানে রেখে দুপাসে ওয়াকওয়ে করা যেত।

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনারে বলে বুঝানো সম্ভবনা কারণ আপনি বুঝেও না বুঝার ভান করতে থাকবেন। তবে দূষণের পরিমাণ সম্বন্ধে যদি সততার সাথে এখনো না বুঝে থাকেন তাহলে প্লীজ আবার ক্ল্যাশ ওয়ানে ভর্তি হোন। এরকম একটা পোস্ট কেউ যদি সরলতাবশে লিখে থাকে তাহলে তার পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা উচিৎ। আই এম অনেস্টলি স্পিকিং ;) ;) ;) ;)

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দূষণের পরিমাণ সহনশীল। Bd news এর এই লেখাটি দেখতে পারেন -
Click This Link

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

খাটাস বলেছেন: আমি রাম পাল চুক্তির বিপক্ষে।
আমার যুক্তি বোধে মনে হয়েছে রাম পাল সুন্দর বনের জন্য ক্ষতিকর।
লেখক কে বলছি, আপনার অধিকাংশ পোস্ট এ সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি একটা পৃষ্ঠ পোষকতা মুলক যুক্তি থাকে। আমি অবশ্য তাতে দোষের কিছু দেখি না। এটা আপনার নিজস্ব ব্যাপার। আপনি যদি সত্যি ই মন থেকে দেশের জন্য ভাল মনে করে রামপালের পক্ষে যুক্তি দেন, আমি তাতে দোষের কিছু দেখি না। আমাদের অনেকের দেশ প্রেম এমন পর্যায়ে যে কোন একটা কাজ কে একবার দেশ বিরোধী প্রমান করতে পারলে, তাঁর বিপক্ষ যুক্তি শুনলে মস্তক এ অগ্নি লাভা জ্বলে ওঠে।
যাই হোক, আমি রামপাল বন্ধ চাই। পক্ষের যুক্তি দেখেছি, বিপক্ষের যুক্তি দেখলাম, এখন জাস্টিফাই করে আরও তথ্য জেনে কমেন্ট করব।

আশা করি, দল কানা নন আপনি। দলের চেয়ে দেশ বড় কথা টা বললে ও দেশ কে ছোট করা হয়। দেশের সাথে দেশের স্বার্থ ছাড়া দেশের মানুষের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুর তুলনা হতে পারে না।

আপনি রাম পালের পক্ষে আছে, এমন কিছু আর্টিকেলে বা তথ্য সুত্রের লিঙ্ক দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
শুভ কামনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনারা বলছেন রামপাল হলে সুন্দরবন ধ্বংশ হয়ে যাবে, তাহলে বিদ্যুত অন্যকোথাও হলেও জনপদ গাছপালা সব মরে যাবে!

এসব সত্যি হলে তো উন্নত বিশ্ব, চীন ভারতের শত শত বিদ্যুত প্ল্যান্টে সব দেশ সাফা হয়ে যাওয়ার কথা।

কয়লা বিদ্যুত কি নিষিদ্ধ কোন বস্তু?

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

শিপু ভাই বলেছেন:
আমিও যতদূর জেনেছি তাতে মনে হচ্ছে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি হবে না।

View this link

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ শিপু ভাই

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ শিপু ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটির জন্য। এখন তাহলে আমি এই ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

তওসীফ সাদাত বলেছেন: দুঃখিত !! হাসান ভাই * :D

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ, শিপুভাইকে ভুলে ধন্যবাদ দিয়েও ভুল করেন নি। ওনার লিঙ্কের লেখা পড়ে দেখুন।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

আল ইফরান বলেছেন: আপনার মত নির্লজ্জ দালালের পক্ষেই কেবল বলা সম্ভব যে সুন্দরবনের কোল ঘেষে পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না।
ছি ছি ছি X(

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

খাটাস বলেছেন: হাহাহা চীন আর ভারতের নিজের দেশের কয়লা কেন্দ্র আর বাংলাদেশের নিজের দেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র- সাধারণ তুলনা, কিন্তু অসম তুলনা।
যাই হোক, না জেনে কথা বলি না। পড়া শোনা করে কথা বলব।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশেও ভারতের চেয়ে উচ্চমানের কয়লা ছিল, হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন সেখানে কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্ট হবে ফুলবাড়িতে। কিন্তু উঠানো হয়নি পরিবেশবাদি ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে। কারন এতে দেশের ভুগর্ভস্ত পানির স্তর দুষিত হয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হত।
কিন্তু চীন ও ভারত ভুগর্ভস্ত পানির স্তর ধ্বংশ করে দেদারসে কয়লা উঠিয়ে যাচ্ছে যতেচ্ছ ভাবে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে গত বিম্পি-জামাত সরকার দিনাজপুরের সেই কয়লা উত্তলনের চুক্তি করেছেল 97:3 হিসেবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ উত্তলনকৃত কয়লার মাত্র ৩% পেত!

২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

ম্যাভেরিক বলেছেন: "লেখক বলেছেন:
22.60276, 89.539576
এই GPS পজিশনে সম্ভবত বিদ্যুতকেন্দ্রটি তৈরি করা হচ্ছে।"

এই পজিশন থেকে সুন্দর বনের দূরত্ব ১২-১৩ কিলোমিটার।
আর রামপাল উপজেলা সদর থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব ১৬-১৭ কিলোমিটার।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই পজিশন থেকে সুন্দরবনের প্রান্ত কোন পজিশন থেকে নিয়েছেন?

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

অনিক বলেছেন: আপনি একটা অকাট মূর্খ আর বিশেষ গোষ্ঠির ধামাধরা ছাড়া আর কিছুই নন।

আপনার কি ধারণা আছে আমেরিকা ও কানাডার আয়তন সম্পর্কে? আপনার কি ধারণা আছে তাদের জনবসতির ঘনত্ব সম্পর্কে? আপনার কি ধারণা আছে তাদের সম্পদ ও প্রযুক্তিগত ব্যাপকতা ও উৎকর্ষতা সম্পর্কে? আমেরিকা/কানাডার একটি স্টেটের আয়তন বাংলাদেশের কয়েকগুন। ওদের এক এটি স্টেটে যে পরিমাণ ফাঁকা, খোলা জায়গা ও বনাঞ্চল রয়েছে তার আয়তনও বাংলাদেশের আয়তনের চাইতে কম নয়। সেই সকল দেশের যেখানে খুশী সেখানে এই ধরণের প্লান্ট বসালেও তা জনবসতি এলাকা থেকে কয়েকশত মাইল দূরে সহজেই বসাতে পারে। আমাদের দেশে সেই অপশন নেই, তাই কোন আন্তর্জাতিক মানের হেরিটেজ বা বনাঞ্চল নষ্ট করে বিদ্যুৎ প্লান্টের প্রশ্নই আসেনা। তারাও করেনি, ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখেন। আমাদের দেশের অশিক্ষিত সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো খুবই সহজ তাই আপনারা পার পেয়ে যান, উন্নত বিশ্বে এমন প্রকল্পের কথা চিন্তা করলেও আপনাকে উন্মাদ বলে খোঁয়ারে পাঠাতো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার কি ধারণা আছে আমেরিকা ও কানাডার আয়তন সম্পর্কে?

নিজেকে কি বিশাল জ্ঞ্যানি মনে করেন নাকি?
আমেরিকা ও কানাডা মিলে কি পরিমান তেল, কয়লা, গ্যাস পোড়ায় তার কোন ধারনা রাখেন? পার ক্যাপিটা কত এনার্জি ইউজ করে জানেন?

সারা পৃথিবী মিলে যা পোড়ায়, তার অর্ধেকই এই দুটি দেশ মিলে পোড়ায়। co2 গ্যাস এমিশন (দুষন) সমগ্র পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক।

আমাদের দেশের বিপুল জনশক্তি অব্যবহৃত রয়েছে, কম মজুরি থকায় বিশ্বের বড় বড় কম্পানী এদেশে ইনভেষ্ট করতে চাছে, কিন্তু পারছে না বিদ্যুত না থাকার কারনে। চীন বিদ্যুত প্রডাক্সান ৪ গুন বাড়িয়েছে বিদেশী ইনভেষ্টারদের জন্য।

আর আপনি বলছেন - 'ঘনবসতির কারনে আমাদের দেশে সেই অপশন নেই!
যেমনে আছি, ভাল আছি'।

২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

অনিক বলেছেন: আপিনি ভারত আর চীনের কথা বলছেন, ওদের দেশের আয়তন সম্পর্কেও আপনার কোন ধারণা নেই, পুরো বাংলাদেশকে ওরা "থর" বা রাজস্থানের কোন মরুভূমিতে অনায়াসেই বসিয়ে দিতে পারে আর চীনের কথাতো বাদই দিলাম, ওদের একটা গ্রামও বাংলাদেশের চাইতে কোন অংশে কম নয়। ফালতু উদাহরণ না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাথে বা বিহার-উড়িষ্যার সাথে তুলনা করুন যেগুলোর আয়তনও বাংলাদেশের চেয়ে কম নয়। ওদের কোথায় এমন বিদ্যুৎ প্লান্ট আছে সেটা দেখিয়ে দিন। চামচামি আর কত করবেন, চামুচের নিকেল পেটে গেলে হজম করতে পারবেন না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকা কম ঘনবসতি দেশ, কিন্তু ভারত ও চীন প্রায় আমাদের মতই ঘনবসতি দেশ। পপুলেশন যাই হোক দুষন তো একই মাত্রার হওয়ার কথা, নাকি লোকজন কম বলে দুষনের মাত্রা কম? আর আপনি তো বোকার মত প্রদেশ ভিত্তিক উদাহরন টানছেন! ও ... দুষন তাহলে প্রাদেশিক সিমান্ত মেনে চলে!
নাকি রাজ্যের আয়তন বেশী হলে পলিউশন কম হয়?

চীন বা ভারতে শত শত কয়লা বিদ্যুত প্ল্যান্ট, কোন প্ল্যান্ট বন্ধ করার জন্য আন্দলন হয়েছে বলে শুনেছেন? বরং ব্যায়বহুল নিউক্লিয়ার বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ করে কয়লা বিদ্যুতে ফিরে যেতে পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।
জাপানও ভুমিকম্প-সুনামি বিপর্যয়ের পর তার কয়েকটি বিপদজনক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে কয়লা ভিত্তিকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমাদের দেশেও গ্যাসের উপর চাপ কমাতে বার বার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কয়লা তুলে বড় বড় বিদ্যুত কেন্দ্র বানাতে।

২৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

অনিক বলেছেন: "আমাদের চাপাইনবাবগঞ্জের সিমান্তের খুব কাছেই ভারতীয় বিশাল কয়লাবিদ্যুত প্ল্যান্টের থেকে নির্গত ধোঁয়া, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কার্বণ-ডাই-অক্সাইড, তাপ তরঙ্গ এবং সূক্ষ্ম ছাই ও ধূলিকণা বাংলাদেশের কোন গাছ মরেছে?
চাপাইয়ে কোন গাছে লিচু আম কম ধরেছে?"

সেটা কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে সেটা আগে খোঁজ নিন, আর সেটা কোন বনাঞ্চলের পাশে সেটাও খোঁজ নিন। যদি মুর্শীদাবাদ হয় তবে জেনে রাখুন তা সুন্দরবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কোন অঞ্চল নয়, আর ঐ এলাকায় তেমন কোন বনাঞ্চল নেই , সেটা বরেন্দ্রভূমি, খরা এলাকা আর আয়তনেও সুন্দরবনের চাইতে কোন অংশে কম নয়, বড়ই হবে। আর যেটুকু ক্ষতি হবার হয়েই গ্যাছে, ফারাক্কা বাঁধ পদ্মাকে গ্রাস করেছে, আমার ফলনও দিন দিন কমে আসছে আর সেই কারণেই আম লিচুতে কেমিকেল দিচ্ছে ঘাটতি পূরণে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুগলে একটা ম্যাপ দেখেছিলাম, কালো ফোটা দিয়ে ভারতের মানচিত্রে তাদের বিদ্যুত কেন্দ্রের অবস্থান। বাংলাদেশের সিমান্তের কাছে অজস্র কাল ফোটা। ম্যাপটা খুজে পাচ্ছি না ..

৩০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তার সবই আপনি বলে দিয়েছিলেন ।

আসলে বাঙালী হচ্ছে হুজুগে পাবলিক । এখন হুজুগ উঠেছে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হইলে পরিবেশ দূষিত হইবে , আপনি যতই যুক্তি দিয়ে বুঝান না কেন তারা কেউই আপনার কথা বুঝবে না , আপনাকে গালমন্দ করবে ।

কিছু কিছু কমেন্টের আপনি রিপ্লাই দিচ্ছেন না দেখে ভালো লাগলো । :D

আমার পোস্টটি সময় থাকলে পড়ে আসবেন ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্ত্রী মহোদয়
আপনার পোষ্টটি পড়েছি,

খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে মুখোশ খুলে দিয়েছেন!

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫

খাটাস বলেছেন: হাসান ভাই ব্লগার অনিক হয়ত অপমান মুলক শব্দ ব্যাবহার করে আপনাকে মন্তব্য করেছে, কিন্তু তাঁর প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনি দেন নি।

আমেরিকার কানাডা দুই দেশের আয়তন ই প্রায় এক কোটি বর্গ কি মি।
আর জনসংখ্যা যথাক্রমে প্রায় ৩১ কোটি ও সাড়ে তিন কোটি।
এটা জানতে আমাকে জ্ঞানী হতে হয় নি। শুধু উইকি সার্চ দিতে হয়েছে।


আপনাকে শুধু একটা কথা বলে আমরা বেশির ভাগ মানুষ ই ঘাড় ত্যাড়া, কেউ রামপালের পক্ষে যুক্তি জড় করছেন, কেউ বিপক্ষে। সবাই সবার টা নিয়ে খুশি। আর আপনার বেশির ভাগ পোস্ট ই তো সরকার বন্দনা মুলক।
তবু ও আপনার যুক্তি গুলো গ্রহন যোগ্য বলে ভাল লাগে।
আরও ঠাণ্ডা মাথায় তথ্য মুলক বিশ্লেষণ দরকার।
ভাল থাকুন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তবু ও আপনার যুক্তি গুলো গ্রহনযোগ্য বলে ভাল লাগে।

আপনার এই কথাটি খুব ভাল লাগল।

৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

রেজা রাজকুমার বলেছেন: টেক্সাসের হাইওয়ে ২১ এর ৩০ মাইল বা ৪৮ কিমি দৈর্ঘ জুড়ে আশপাশের অসংখ্য গাছপালা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সালফার দূষণে মরে গেছে। ফায়েত্তি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (Fayette Power Project) থেকে নি:সৃত বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস বিশেষত সালফার ডাই অক্সাইডের বিষ ক্রিয়ায় পেকান, এলম, ওক সহ বিভিন্ন জাতের গাছগুলো আক্রান্ত। বায়ের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত এলম(elm) গাছের বাকল খসে আসছে, ডান পাশে মৃত পেকান (Pecan) বৃক্ষের ছবি।

সুন্দরবনের পাশে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে যেমন ১৪ কিমি দূরত্বের কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা চলছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফায়েত্তি কাউন্টিতে ১৯৭৯-৮০ সালে ১২৩০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সময়ও স্থানীয় মানুষকে এভাবে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো। এমনকি কিছু দিন পরে এর ক্ষমতা বাড়িয়ে ১৬৯০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করা হয়। ফলাফল সাথে সাথে বোঝা না গেলেও ৬৬ থেকে ১৩০ ফুট উচু বিশালাকৃতি পেকান বৃক্ষগুলো(একধরণের শক্ত বাদাম, কাজু বাদামের মতো) যখন একে একে মরতে শুরু করলো ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে। ১৯৮০ থেকে ২০১০ সালের হিসেবে বহু পেকান বাগান ধ্বংস হয়েছে, অন্তত: ১৫ হাজার বিশালাকৃতির পেকান বৃক্ষ মরে গেছে।

ফায়েত্তি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে গড়ে ৩০ হাজার টন সালফারডাই অক্সাইড নি:সরণের ফলে সালফার ও এসিড দূষণে হাইওয়ে ২১ এর ৪৮ কিমি জুড়ে গাছপালার এই অবস্থা যদি হতে পারে তাহলে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরকারি হিসেবেই দৈনিক ১৪২ টন হারে বছরে প্রায় ৫২ হাজার টন (ফ্লু গ্যাস ডিসালফারাইজার বা এফজিডি ব্যাবহার না করার কারণে দূষণ অপেক্ষাকৃত বেশি ) সালফার ডাইঅক্সাইড নি:সৃত হলে মাত্র ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত সুন্দরবনের কি অবস্থা হবে তা ভাবতেও ভীষণ আতংকিত বোধ করার কথা ।
লিঙ্ক এখানে

আরো দেখ্তে হলে এখানে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তাহলে আপনার তথ্য মত কয়লা তাহলে একটি দুষিত জালানি!
তাহলে আমেরিকান EPA কি কয়লাকে নিষিদ্ধ করেছে?

আমাদের দেশে গ্রামের বাজারে কয়লা পুড়িয়ে কামারেরা দা কুড়াল তৈরি করে, ফার্নেসের খুব কাছে বসেই সব কাজ করে, নিশ্বাস নেয়, এতে কি কোন কামার মারা গেছে?

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বছরে কমপক্ষে ৫২ হাজার টন সালফার ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করবে।


বিষয়টি চিন্তার অবকাশ রাখে।
সরকার ইন্ডিয়ানদের কথায় কান না দিয়ে আরো ১৫ কি মি দূরে বিদ্যুত কেন্দ্রটি করলে সবদিক দিয়েই ভাল হত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রিয়াদ ভাই, যে কোন বার্নিং ফুয়েলই দুষিত গ্যাস ইমিশন হবে, সেটা বাসার কুপি বাতি, চুলা, গাড়ীর ধোয়া, কলকারখানার ফার্নেস, ইটখোলার চুল্লি যেটাই পোড়াবেন দুষন হবেই, সেটা কোন দেশের বা প্রদেশের বর্ডার মেনে চলে না, দুষন গ্লোবালি হয়।
আমাদের প্রতিবেশী দুটি দেশ ভারত ও চীন যে হারে কয়লা পোড়াচ্ছে সেই দুষন আমাদের দেশেও সমান হারে পড়ছে। বিকল্প জালানি আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত এসব থাকবেই। আমেরিকান পরিবেশ সংস্থা EPA এখনো কয়লাকে বিষাক্ত বলেনি।

১৫ কিলো দূরে হলেও বাধা আসতো, বলত জনপদের ক্ষতি, মাছের ক্ষতি। যেমটা বাধা এসেছিল ফুলবারির কয়লা উঠাতে।

আমি এই বিদ্যুতকেন্দ্রের পক্ষে বিপক্ষে কোন পক্ষেই ছিলাম না। আমি খুশি হতাম যদি ভারত বাদে ১০০% নিজেরাই করত।
কিন্তু যেভাবে ভুল ও মিথ্যা তথ্যে সোসাল মিডিয়াগুলো ভেসে যাচ্ছিল, একদিন ভাবলাম কিছু মিথ্যাচারের জবাব দেয়া উচিত। এজন্যই এই পোষ্ট লেখা।

ভাল থাকবেন রিয়াদ ভাই।

৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৮

নেইল পলিস বলেছেন:

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপকূল বর্তী এলাকায় যে পরিমান গাছ কেটে ফেলতে হবে তার ফলে ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ইত্যাদি থেকে তখন আমরা কি করে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোকে নিরাপদ রাখব ? মাই কিউরিয়াস মাইন্ড অয়ান্ট টু নো ?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র মোটেই উপকুলে হচ্ছে না,
হচ্ছে উপকুল থেকে শত কিলোমিটার উজানে, উপকুলের একটি গাছেও হাত দেয়া হচ্ছে না, কাটা তো দুরের কথা।
ঘূর্ণিঝড়, সুনামি আগের মতই বুক দিয়ে ঠ্যাকাবে সুন্দরবন।

৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

আমি অপদার্থ বলেছেন:
উপরে নেইল পলিসের কমেন্ট এর রিপ্লাই দেখে মনে হল আপনি সুন্দরবনের প্রয়জনিতাটা আপনি বুঝেন।

আগে একটু মজা করে নেই..... ;) আপনার নিক নেম দেখে আমার মনে হয়েছে এই পোষ্ট এই নিক থেকে আসাটার পেছনে যৌক্তিকতা আছে। কারণ আমারা একজন ঝড় প্রিয় ব্যক্তির কাছে সুন্দরবনের পক্ষের পোষ্ট কিভাবে আশাকরতে পারি। আপনার নামেই লিখা আছে হাসান কালবৈশাখী :D ;) পক্ষের পোষ্ট আশাকরাটাই অযৌক্তিক। :) :-B



আপনি নিশ্চয়ই জানেন খোদ সরকারের বন অধিদপ্তরের "রামপাল" নিয়ে আপত্তি করেছে। না জনলে এখন জানলেন। আমি পরিবেশ কিভাবে ক্ষতি হয় সেই ব্যাপারে ধরে নিলাম কোন ধারণা নেই। বন অধিদপ্তরের আছে নিশ্চয়???? তার মানে দাড়াই ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে কিন্তু নিশ্চিত নই। আপনি জানেন যে সুন্দরবনের জন্য আমরা উপকূলীয় অঞ্চল হয়েও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কি ভাবে বেঁচে যাচ্ছি। এখন আপনিই বলুন এ ক্ষেত্রে আপনি কি পদক্ষেপ নিবেন??? কোন কাজটা বেশি দরকারি? বিদ্যুৎ নাকি সুন্দরবন।


এখন আসুন আপনার মা হটাত অসুস্থ হয়ে গেলে আপনে কি করবেন?? আমার মতে, নিশ্চয় আপনি ভাল কোন ডাক্তারের কাছে নিবেন বা ভাল কোন হাসপাতালে। যে খানে সুস্থ হওয়ার সম্ভবনা বেশি। আপনার মত ভিন্নও হতে পারে :) । এখন আপনি বলুন এই ভাল হাসপাতালে নিতে আপনি কি আপনার মায়ের হাত পা যোর করে ভেঙ্গে দিবেন (উনি অসুস্থ না থাকলে) ??? এখন যদি আপনি বলেন আমি ভাঙবো !!! তাহলে ভ্রাতা আপনার সিদ্ধান্তই উত্তম।

আমি হলে আমার মা অসুস্থতায় পড়বে এধরণের কোন কিছুই ঘরের ভিতর করতে দিতাম না। হোক যতই জরুরী কাজ। আপনার মতামত ভিন্ন হতেই পারে।

শুভ কামনা রইল।


২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রধান বন সংরক্ষক পরিবেশ ও বনমন্ত্রালয় সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে তার উদ্বেগের কথা জানায়: এসব রুটিন ওয়ার্ক, নইলে বনরক্ষকের কাজটা কি?

বিদ্যুতকেন্দ্রটি ফাইনাল হলে পরিবেশ ছাড়পত্র, বনবিভাগের ছাড়পত্র নিতেই হবে।

৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

মদন বলেছেন:
- ফারাক্কা বাধ হলে দেশের ক্ষতি হবে না।
- ভারতের সাথে ট্রানজিট হলে দেশ সিংগাপুর হয়ে যাবে।
- রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র হলে সুন্দর বনের ক্ষতি হবে না।

এগুলি কারা বলেছে?
১. ইন্ডিয়া
২. ইন্ডিয়ার দালাল

৩৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

ম্যাভেরিক বলেছেন: "লেখক বলেছেন:
এই পজিশন থেকে সুন্দরবনের প্রান্ত কোন পজিশন থেকে নিয়েছেন?"

এই ফালতু পাল্টা প্রশ্নটি না করে আপনার অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ থেকে ১৩ কি.মি. ব্যাসার্ধের একটি বৃত্ত এঁকে দেখতে পারতেন সে বৃত্তের ভেতরে সুন্দরবন পড়ে কিনা।

দ্রষ্টব্য: এই বিদ্যুতকেন্দ্রের (যার ক্ষেত্রফল ১৮৩৪ একরেরও বেশি) স্থাপনাসমূহ বিভিন্ন দিকে ২-৪ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত থাকতে পারে। আমার হিসেবে এগুলো বরং বাদ দিয়ে বিদ্যুতকেন্দ্রটিকে একটি বিন্দু বিবেচনা করেছি, তাতেও যদি গাণিতিকভাবে আপনার মুখ কিছুটা রক্ষা হত।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দরবন থেকে বিদ্যুতকেন্দ্রটির দুরত্ব নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন।

কল্লোল বলছেন ১৩ কিলোমিটার
পিনাকি - - ১৪
সরকারি এক আমলা বলছে - ১৫
ড. আঞ্জুমান ইসলাম Bdnews24 এ বলছেন ১৮
আমি বলছি ১৯

ভিত্তিপ্রস্তর না বসা পর্যন্ত বিভিন্ন বিভ্রান্তি থাকবেই

৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

অনিক বলেছেন: এবার আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য উপস্থাপন করছিঃ

গতকাল রাতে (২৮/০৯/১৩) আরটিভির এক টকশোতে দুজন বিশিষ্ট সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তাদের তথ্য অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বাতিল প্রকল্পের পুনঃস্থাপন। মূল এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অংশের কাছাকাছি হবার কথা ছিল এবং তাতে বাংলাদেশের যৌথভাবে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব ছিল এবং উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে এমনটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই প্রকল্পের কারণে পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি হবে বলে পরিবেশবাদি, স্থানীয় ও সাধারণ জনগণ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অব্যাহত চাপের মুখে ও আন্দোলনের ফলে প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়, পরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় সেই বাতিল প্রকল্প স্থান পরিবর্তন করে রামপালে স্থানান্তর করা হয়। তাহলে বুঝুন যে প্রকল্প বাস্তবায়নে পশ্চিমবঙ্গ বিরোধিতা করেছে সেটা কি করে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় হতে পারে? ওরা যে ক্ষতির আশংকা করে প্রকল্প বাতিল করলো সেই ক্ষতির বোঝা আমরা কেন মেনে নেবো? বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে তবে রামপাল ছেড়ে অন্য কোথাও হোক। আমাদের তাতে আপত্তি নেই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি আগেই বলেছি প্রকল্পের চুক্তিতে ঘাপলা বা অসম আর্থিক চুক্তি থাকলে আমি এই প্রস্তাবিত বিদ্যুত প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করব।

আমি এই পোষ্টে মুলত টেকনিকেল ব্যাপার গুলো সামনে এনেছি।

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

অনিক বলেছেন: আপনার পোস্ট করা বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ছবিটা একটু ভালভাবে খেয়াল করুন, সেই প্রকল্পের আশেপাশের বিস্তৃত এলাকাটাও ভালভাবে দেখুন। ওখানে কি কোন বনাঞ্চল বা বসতি দেখা যায়? আর রামপাল এলাকার এমন একটা ছবি (বার্ডস আই ভিউ) দেখুনতো, দেখবেন চারিদিকে সবুজের বেষ্টনী, প্রাকৃতিক জলাভূমি, শষ্য ক্ষেত-- ওদের প্রকল্প এলাকার সাথে আমাদের এখানেই পার্থক্য। এবার নিজেই বিবেচনা করুন- ওরা কি জেনেশুনে প্রকৃতির সাথে দুশমনি করছে নাকি আমরা করছি?

৪০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

তিক্তভাষী বলেছেন: এতো কচকচানির বদলে সুন্দরবন থেকে নিরাপদ দুরত্বে একটা বিকল্প স্থান খুঁজে নিতে অসুবিধা কী?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিরাপদ দুরত্বে একটা বিকল্প স্থান খুঁজে পাওয়া আমার কাছে একটু কঠিন বলেই মনে হয়।
এই কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হতে হবে পশ্চিম জোনে। কারন দেশের বেশিরভাগ বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুর্ব জোনে অবস্থিত। ন্যাসানাল গ্রিড পুর্ব থেকে দির্ঘ পথ ট্রান্সমিশনে সিস্টেম লস হচ্ছে দির্ঘদিন। যে কোন বড় বিদ্যু কেন্দ্র যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে হবে বলে কথা ছিল।
বড় কয়লাবাহি জাহাজ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছাতে দরকার চর বিহীন চালু বড় নদী, যার পাড়ে হতে হবে এই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সাথে ভারি ট্রাক চলার জন্য ন্যাসানাল হাইওয়ে কানেক্ট থাকাও জরুরি।
কাওরা কান্দিতে করা যাবেনা কারন চর পরা নদী, চাঁদপুরের পশ্চিমে শরিয়তপুরে করা যায়, কিন্তু চওড়া হাইওয়ে নেই, গোয়ালন্দ একই অবস্থা নদীতে চর। পিরোজপুর বা বরগুনার কাছেও করা যাতে পারে, আবার এতে কটকা আক্রান্ত হবে বলে আন্দলন শুরু হয়ে যেতে পারে।

মংলা বন্দরের কাছে হলেই সবচেয়ে কমখরচে কলকাতা বন্দর থেকে কয়লা এনে বিদ্যুত মুল্য কম রাখা সম্ভব বলেই হয়ত রামপালকে সিলেক্ট করা হয়েছিল। সরকার হয়ত চাপে পড়ে এটিকে আরো উত্তরে রুপসা নদীর কাছে নিয়ে যাবে হয়ত।

৪১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৬

তথই বলেছেন: পেইড দালাল ...... কত দিল এই দালালীর জন্য

৪২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৬

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তবু ও আপনার যুক্তি গুলো গ্রহনযোগ্য বলে ভাল লাগে।


খাটাস উনারে এইবার দিলেন হাওয়ায় ভাসায়া। দেখেন ভাসতে ভাসতে কই যায়।

হাসান ভাই মাইন্ড কইরেননা। অনিক যেই লিংক দিল আমিও আপনারে সেরকম লিংক দিতে চাইছিলাম। কিন্তু কেন যেন মনে হয় আপনি আপনার ধারণা বদলাবেননা কখনোই যার কারণে আর দেইনি। শুনেন হান্ড্রেড পার্সেন্ট দূষণমূক্ত কেন ফিফটি পার্সেন্ট দূষণ মূক্ত করার টেকনোলজিও এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তার চেয়েও বড় কথা যখন কোন কোম্পানি বলে যে তারা এয়ার পলিউশন কমাবে তাহলে ধরে নেন যে তারা আসলে ওয়াটার পলিউশন বাড়াবে কারণে ওয়াটার স্প্রে করেই বাতাসে ভেসে থাকা ওয়েস্ট তারা মাটিতে ডাম্প করবে যা একসময় বৃষ্টির পানিতে নদী-নালা-খাল হয়ে সাগরে যাবে। আমাদের এখানে কানাডা, আমেরিকা, চীনের মত শুষ্ক অঞ্চল নেই তার উপর রামপাল সারা বিশ্বের মধ্যেই সবচেয়ে বেশী বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলে অবস্থিত যা মৌসুমি বায়ু দ্বারা প্রভাবিত এবং উচ্চমাত্রার হারিকেন আর জলোচ্ছাসের ঝুকির আওতায়ভূক্ত। এখন আপনিই বলুন ডাম্পিং এর জায়গাকে আপনি কিভাবে সেইভ করার আশা করেন? আপনি কানাডা, আমেরিকা আর চায়নার কয়লা খনি আর বিদ্যুতপ্লান্ট গুলোর ম্যাপ দেখুন দেখবেন সেগুলোর ডাম্পিং এরিয়া প্রাকৃতিকভাবেই সুরক্ষিত বাংলাদেশের মত বৃহত্তম বদ্বীপ অঞ্চলে আপনি সেই সুরক্ষা কীভাবে আশা করেন যেখানে ঢাকা, রাজশাহীর, চিটাগাঙের মত শহরগুলোর সুরক্ষা দেয়াই সরকারের জন্য কস্টকর হয়ে দাঁড়ায়?

কানাডা, আমেরিকা, ইউরো্‌ অস্ট্রেলিয়া কিন্তু নিজেরা কয়লা উৎপাদন করা স্বত্বেও এখন বিকল্প জ্বালানির জন্য তাদের সম্পদ বিনিয়োগ করছে এবং ধীরে ধীরে কয়লা আর পারমাণবিক প্লান্ট থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চীন শুধু বায়ু থেকেই ২০২০ সালের মধ্যে ৩০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমাদের যদিও এখনি সৌর, বায়ু, জিও থার্মাল আর সমুদ্র স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেয়ার উপায় নেই কিন্তু ২০২০ সাল নাগাদ এগুলো কয়লা বা গ্যাস পাওয়ার প্লান্টের মত সাশ্রয়ী হয়ে আসবে। ভৌগোলিক কারণেই কয়লা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার মত পর্যায়ে আমরা নেই কারণ কয়লায় প্রচুর পানির প্রয়োজন হয় আর ডাম্পিং এর ঝামেলা থাকে। তারচেয়ে আপদকালীন জ্বালানী হিসেবে গ্যাসকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। মিয়ানমার বা মধ্যপ্রাচ্যে থেকে গ্যাস এনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারে সরকার এবং আমাদের এখন সেই সামর্থ্য আছে। এখন সরকার কেন যে কার্যকর পন্থা অনুসরণ না করে নিজের জন্য ক্ষতিকর প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সেটা আমার বুঝে আসছেনা।

আপনার জন্য দুটো ডকুমেন্টারি সাজেস্ট করছি। প্লীজ এ দুটো ভালোভাবে দেখুন। অনেক কিছুই ক্লিয়ার হবে।





সবার শেষে একটা কথাই বলব পশ্চীম কী করেছে সেই হিসাব করে প্রকৃতি নিয়ে খেলা করার অবস্থায় চীন, ভারতের মত অবস্থায় আমরা নাই। আমাদেরকে হিসাব করে পা ফেলতে হবে এবং গ্লোবাল অয়ার্মিং এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। একটু হিসাব করে চললে সরকার জাতিসংঘকে ব্যাবহার করেই বাংলাদেশের জন্য সস্তায় জ্বালানি সরবরাহের ব্যাবস্থা করতে পারে। পশ্চীমে শুধু গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইস্যুতেই বাংলাদেশের জন্য সহমর্মীর অভাব নেই। বাংলাদেশ যদি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কিছুটা ছাড়ে ১০ হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত এলএনজি চাইত ২০২০ বা ২০২৫ সাল পর্যন্ত তাহলে তার সমর্থনে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এখন থেকেই ইউরোপের শহরগুলোতে বিক্ষোভ শুরু করে দিত হয়ত। তার বদলে জলবায়ু তহবিল আর কার্বন ব্যাবসা করার মনোবৃত্তি দেখানোয় বাংলাদেশের ভাগ্যে কিছুই জুটছেনা। সততার সাথে চাওয়ার মত চাইলে বিশ্ব বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দিতে পারেনা কারণ বাংলাদেশ নিয়ে তাদের একটা অপরাধ বোধ আছে। উপরের ডকুমেন্টারি সহ যে কোন রিসার্চেই বাংলাদেশের নাম উঠে আসাটা সেটারই ইংগিত দেয় তবে তার আগে বাংলাদেশকে পরিবেশকে ভালোবাসাটা আয়ত্ব করতে হবে, নদী-নালা খাল-বিল ভরাট করা বন্ধ করতে হবে আর দূর্নীতিকে ঘৃণা করতে শুরু করতে হবে। আফসোসের বিষয় দূর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিলে এলএনজি দিয়েই হয়ত আমরা বিদ্যুৎ উতপাদন করতে পারতাম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার মন্তব্য খুব মনযোগ সহকারে পড়লাম। সুন্দর লিখেছেন।
বিকেলে এসে জবাব দেয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সোলার, উইন্ড পাওয়ার, জিও থার্মাল এ সবই অত্যন্ত ব্যায়বহুল পদ্ধতি।
এর কোনটিই ৫০ মেগাওয়াটের চেয়ে বড় করা সম্ভব না। আমাদের দরকার হাজার হাজার মেগাওয়াট।
তবে ব্যায়বহুল হলেও জিও থার্মাল পদ্ধতি আমাদের দেশে উপযোগি মনে হয়। তেল গ্যাস কয়লা কিছুই লাগে না, ধোয়া নেই আগুন নেই। ভুগর্ভস্থ তাপে টারবাইন চালনা করে এটি বিদ্যুত উৎপন্ন করে।

ফিলিপিনস বিভিন্ন স্থানে ৭৭ টি জিওথার্মাল প্ল্যান্ট বসিয়ে মোট দুইহাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ করেছে। ইন্দোনেশীয়া ও থাইল্যান্ড সুরু করেছে, আমরাও শুরু করতে পারি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশটি অন্যান্ন দেশের চেয়ে অনেক কম ধোঁয়া উদগিরন (কার্বন-ডাইঅক্সাইড ইমিশন) করেও এয়ার পলিউশান প্রতিরোধ করতে পারছে না। কারন দুটি বড় প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন যে হারে কয়লা উঠাচ্ছে আর পোড়াচ্ছে সেই বায়ু দুষন ও পানি দুষন আমাদের ছোট দেশেও সমান হারে পড়ছে। চীন যতেচ্ছ বাজে ভাবে কয়লা উঠায়, প্রতি বছর শত শত শ্রমিক খনিতে আটকে মারা যায়। খনি খনন করার সময় ভুগর্ভস্ত পানির স্তর যাচ্ছেতাই ভাবে নষ্ট ও দুষিত করে ফেলছে!
আমাদের পরিবেশবাদিদের সুধু রামপাল নিয়ে মেতে থাকলেই হবেনা, বরং বৃহৎ প্রতিবেশী দেশগুলোকে বাধ্য করাতে হবে co2 এমিশন কমিয়ে আনতে। আর সীমান্তের কাছাকাছি দূষন কেন্দ্র গুলো সরিয়ে নিতে বাধ্য করার।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পশ্চীমে শুধু গ্লোবাল ওয়ার্মিং ইস্যুতেই বাংলাদেশের জন্য সহমর্মীর অভাব নেই!

ঠিক আছে, কিন্তু সুধু মুখের সহমর্মীতা। বাস্তবে তারা নিজেরাই কুকড়ে আছে দির্ঘমেয়াদী বিশ্ব মন্দার চাপে। এ অবস্থায় এলএনজি দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
কারন তারা নিজেরাই গ্যাস আনে বহুদুর থেকে পাইপলাইনে, সুদুর রাশীয়া, বাহারাইন, কাতার থেকে। এলএনজির দাম পাইপলাইনের গ্যাসের চেয়ে ৪ গুন বেশী।

ভারত ইরান থেকে গ্যাস আনে বিশাল পাইপলাইনে, শত্রু দেশ পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে।
২০০২ এ বার্মার সামরিক জান্তা বাংলাদেশের উপর দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারতে গ্যাস বেচতে চেয়েছিল, কিন্তু তৎকালিন বিম্পি-জামাত সরকার কোন মতেই দেশের উপর দিয়ে ভারতের উপকার হয় এমন কোন পাইপলাইন দিতে চায়নি।

আমার মতে সেটা ছিল একটা ভুল সিদ্ধান্ত। তখন বার্মিজ গ্যাস ভারতকে দিতে দিলে সম্পর্ক ভাল হত। বাংলাদেশ ও গ্যাস পেত পানির দামে।

৪৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের রাজনিতিকরা দেশের কথা চিন্তা করে?????

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজনিতিকদের বিকল্প আছে নাকি ?

৪৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

নতুন বলেছেন: সহমত @ ওবাইদুল আকবর ভাই...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওবাইদুল আকবর ভাইকে সহমত?
তাকে যে জবাব টা দিয়েছি সেটাতেও সহমত প্রকাশ করুন ..

৪৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
সুন্দরবন সুন্দর চাই।
আবার প্রয়জনীয় বিদ্যুতও চাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দরবন সুন্দর থাকবে অবস্যই।
২১ সতকের মধ্যে প্রয়জনীয় ৩০ হাজার মে:ওয়াট বিদ্যুতও হবে।

৪৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: একমাত্র মৃত মস্তিষ্ক আর জ্ঞান পাপী ভারতীয় দালাল ছাড়া আপনার সাথে কেউ ঐক্যমত্য প্রকাশ করবে না।

আমাকে বলেন যদি পরিবেশের দুষন মারাত্বক নাই হবে তাহলে ভারতের কোনোখানে এই প্রকল্পটি অনুমোদন পেলো না কেন?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

রামপাল বাদে বাকি অন্যান্ন সকল সেক্টরে আমরা কি পরিবেশ সচেতন?

রামপাল ছাড়া অন্য একটি দুষনের বিরুদ্ধে আমরা কখনো এইরকম কোন রিএকশান দেখিয়েছি?

ঢাকার শহরটির চারিদিকে হাজার হাজার ইটখোলা
গাড়ীর কালধোঁয়া, (অন্যান্ন দেশে গাড়ীর পাইপে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার লাগাতে হয়)
কানফাটানো হাইড্রলিক হর্ন,
ফ্রিজ এসি ব্যাবহার করি, কিন্তু রেফ্রিজারেন্ট CFC নিষিদ্ধ করা উচিত, ভাবি না। (অন্যান্ন দেশে cfc নিষিদ্ধ)
নদী দুষিত হয়ে সুয়ারেজ ট্যাঙ্কে পরিনত হওয়া
নগর কেন্দ্রে হাজারিবাগ ট্যানারি
পলিথিন ব্যাগে সারাদেশ সয়লাব হয়েযাওয়া ... ইত্যাদি .. ইত্যাদি ...

এসববের জন্য একটা মিছিল বা বিক্ষোব হয়েছে?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতের পরিবেশ মন্ত্রনালয় ঐ নির্দিষ্ট জায়গায় পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে দেয় নি । অন্যতম কারণ ছিলো পাওয়ার প্ল্যান্টের কুলিং এর জন্য যে হিউজ পরিমান পানি প্রয়োজন সেটা নরমদার মত সরু একমুখী নদীর পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না, শীতের সময়ে নদীটি তার স্বাভাবিক প্রবাহ ও নাব্যতা হ্রাস পায়।

ভারতীয় দৈনিক দ্যা হিন্দুর এই প্রতিবেদনটি পড়ে দেখুন
Click This Link

৪৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

হৃদ যমুনার জল বলেছেন: কাঁদা মাটিতে হাঁটার জন্য জুতো দরকার তাই বলে মায়ের নোলক বিক্রি করে?চুক্তি গুলো প্রকাশ না করে,সমীক্ষা রিপোট বিশ্লেষন না করে,এত বড় জাতীয় ইস্যুতে ওপেন ডিবেট ডিসকাসন ছাড়া মায়ের মতো সুন্দরবনের এতো কাছে কেন?দেশের বিরান পড়ে থাকা চর অঞ্চল গুলো কাজে না লাগিয়ে সুন্দরবনকেই কেন বেছে নিতে হবে? বিশদ বিবরনে না যেয়ে আপাত জরুরি কথা গুলো ভাবা উচিত।রাজনৈতিক সদিচ্ছা নয় বিচক্ষনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর নয়।

৪৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

বিডি আইডল বলেছেন: ছাগল

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাগল লাগবে? নাকি ছাগু? সামনের সপ্তাহে কোরবানী!

আমার কাছে একটা আছে, ব্ল্যাক বেঙ্গল না, রামছাগলও না অরিজিনাল দেশী!

৪৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই

যতদূর মনে হলো আপনি একজন ইন্জ্ঞিনিয়ার। সেই হিসেবে আমি কিছু প্রশ্ন করি।

১) সুন্দরবনে যদি আপনি ঘুরতে যান তাহলে আপনাকে সরকারের কাছ থেকে পারমিশন নিতে হবে। কারন সুন্দরবনে অযথা চিল্লাফাল্লার কারনে পশুপাখিদের প্রজননে সমস্যা হয়। সে হিসেবে বন মন্ত্রনালয় পর্যটকদের পার্মিশন দেয় মাত্র ১ কি ২ মাস। এই ভাদ্র আশ্বিন মাসটাই বোধহয় পর্যটকদের পারমিশন থাকে।

কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলো এক ধরনের তাপবিদ্যূৎকেন্দ্র যেখানে খুব শক্তিশালী স্টিম টারবাইনের ভেতর প্রবেশ করিয়ে শক্তি সন্ঞ্চয় করিয়ে জেনারেটেরের প্রপেলার ঘোরানো হয়। আপনি রাউজানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘুরে আসতে পারেন। পাশে চুয়েট। ওটা কোরিয়ানরা বানিয়েছে। প্রযুক্তি খুবই ভালো। আপনি তার শব্দদূষন শুনে আসতে পারেন। যদিও বছরের ৮ মাস এখন বন্ধ থাকে। কিন্তু যখন চলে তখন শব্দ দূষন কি ভয়াব হ সেটা শুনে আসতে পারেন। এবং যখন ওটা চলে আপনি শিওর থাকেন কোনো পশু পাখি ঐ এলাকায় থাকে না।

২) আপনি বলছেন তাপ বিদ্যূৎ কেন্দ্রে কোনো বন্যার সৃষ্টি হবে না পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো। এটা ভুল কনসেপ্ট। কারন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পাওয়ার স্টেশন যাও বলেন না কেন আপনাকে একটা রিজার্ভয়ার থাকতেই হবে। পারমনাবিক হলে আপনাকে কুলারের জন্য আরেকটা রিজার্ভয়ার থাকা দরকার কিন্তু সেটা অন্য ইস্যু।

কথা হলো এই রিজার্ভয়ারটা কোথায় হবে? রিজার্ভয়ার অবশ্যই কোনো নদীতে হতে দেয়া হয় না। এটা করা হয় একটা লেকে। কারন পঅ্যার স্টেশনে ব্যাব হ্রত প্রপেলার থেকে শুরু করে সবকিছু লোহা লক্করের তৈরী বলে পানিকে ডিসটিলড করা হয় যার জন্য প্রচুর ক্যামিক্যাল ব্যাব হার করা হয়। এই ক্যামিক্যালগুলোর উপজাত এতই খারাপ (আমি যতদূর জানি ক্লোরিনের পরিমান বেশী, এছাড়া দ্রবীভূত এমোনিয়া, সালফার ডাই অক্সাইড যা পানিতে দীর্ঘদিন দ্রবীভুত থাকলে সালফিউরিক এসিডের উদ্ভব ঘটায় ইত্যাদি) সে পানি ব্যাব হার যোগ্য না। আপনি রাউজানের ওখানে যেকোনো ইন্জ্ঞিনিয়ারের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি যেই সিস্টেমের মাধ্যমে সালফার ডাইক অক্সাইড স হ অন্যান্য উপজাত সাপ্রেস করবেন সেগুলো ডাম্পিং কোথায় করবেন? আপনাকে তো আল্টিমেটলি একটা রিজার্ভয়ার বানাতেই হবে, নাকি?

৩) আর কয়লা আমদানীর কথা বলছেন। আমি এই কথাটা ঠিক বুঝলাম না। বড় পুকুরিয়া বা দিনাজপুরের ওখানে ঘুরে আসেন। ওখানে তো এমনিতেই ফসল ঠিক মতো হয় না। মাটি ডেবে গেছে। ওখানে বসালে তো আপনার পরিব হন খরচ লাগতো না, নিজেদের কয়লা দিয়েই হয়ে যেতো। ওখানে রিজার্ভয়ার বানানো খুব সমস্যার কিছু হতো না। তিস্তার ভরা মৌসুমে পানি একটা জায়গায় নিয়ে সেই পানি বছর ভর ব্যাব হার করা যেতো নিশ্চয়ই। এছাড়া আরো অনেক প্রসেস ছিলো । হঠাৎ ইন্ডিয়ার নকল এবং অকার্যকর টেকনোলজীর পেছনে আমরা ছুটলাম কেন এবং তাদেরকে এতটা বিশ্বাসই করছি কেন?


একটা নতুন ঔষুধ একটা কোম্পানী বের করেছে। আপনার মা এর চিকিৎসা দরকার। তাই বলে নতুন ঔষুধটার জন্য গিনিপিগকি আপনার মাকেই বানাবেন?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ, খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন
হ্যা শব্দদুষন হবে আপনার সাথে একমত। তবে শব্দ বেশিদুর যাবে না, ৮ ইঞ্চি মর্টার শেল (কামান) এর শব্দ ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত শোনা যায়, এই টারবাইনের শব্দ ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যাবে না, সুন্দরবন প্রায় ১৫-২০ কিমি, নিরাপদ দুরত্বে। প্রকৃত সুন্দরবন (ওয়ার্ড হ্যারিটেজ জোন) প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার দূরে।

হ্যা। পাওয়ার স্টেশনের জন্য একটা পানির রিজার্ভয়ার লাগে। সেটা বিদ্যুত কেন্দ্রের সিমানার ভেতরেই থাকবে। তবে সেটা এত বিশাল করা লাগে না, পারমনাবিক হলে কুলারের জন্য বিশাল রিজার্ভয়ার থাকা লাগে।
তবে এই কুলারের পানি ডিষ্টিল ওয়াটার লাগে না। সাধারন নদীর পানি। ডিষ্টিল ওয়াটার লাগে বয়লার ও স্টিম টারবাইনের জন্য। বিশাল বয়লারে পানি জাল দিয়ে বাষ্পে পরিনত করা হয়, বাষ্পের ধাক্কায় টারবাইনের চাকা ঘোরে। বর্তমান উন্নত টেকনলজিতে একজষ্ট বাষ্পকে আরো কাজে লাগিয়ে পানি হিসেবে আবার ফিরিয়ে আনা হয় বয়লারে। তাপের সর্বচ্চ ব্যাবহার করা হয়।

পানি জাল দেয়ার জন্য কয়লা পোড়াতেও বর্তমানে উচ্চ টেকনলজি ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সুপার ক্রিটিকাল টেকনোলজি বা ক্লিন কোল টেকনোলজি। এখানে কয়লাকে শুখিয়ে গুড়ো করা হয়, এরপর এই পাউডার একটি নির্দিষ্ট চাপে চেম্বারে প্রবেশ করানো হয়, সেখানে থাকে উচ্চ চাপে কম্প্রেসড এয়ার, তাপমাত্রা উঠে 1100F। এতে থার্মাল এফিসিয়েন্সি থাকে সর্বচ্চ। মুল্যবান তাপের সর্বচ্চ ব্যাবহার করা হয়। তাই কুলিং এ এত বেশী পানি লাগে না।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমদানি না করে নিজস্য কয়লা দিয়েই করার পক্ষপাতি, বিদ্যুতকেন্দ্রটি ফুলবাড়ীতেই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ফুলবারির কয়লা তুলতে দিচ্ছে না পরিবেশবাদিরা ও স্থানীয় জনগন, সংগতকারনেই। ওপেন পিট পদ্ধতিতে কয়লা তোলা হলে ভুগর্ভস্ত পানির লেয়ার সম্পুর্ন দুষিত ও নষ্ট হয়ে যাবে। ঐ এলাকায় বিকল্প কোন সুপেয় পানির ব্যাবস্থা নেই।
পানির অভাবে শত বর্গ কিলোমিটারের বসতি সরিয়ে কোন খাস জমিতে নেয়া সত্যই একটা কঠিন ব্যাপার।
বড়পুকুরিয়া টানেল পদ্ধতি, এতে পানির লেয়ার নষ্ট হয়না, কিন্তু বেশী কয়লা তোলা যায় না। আমাদের মত ঘনবসতি দেশে মাটির নীচের কয়লা তুলে ব্যাবহার করা সত্যই কঠিন কাজ।

৫০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দারুন প্রতি মন্তব্য আপনার। আসলে আপনার সাথে আমি আশাহত হয়েই মন্তব্য করছি কারন আমাদের বঙ্গবন্ধুর শয়তান কন্যা শেখ হায়েনা অলরেডি ডিসিশন নিয়েই ফেলেছেন। এই ডাইনীটা যখন কোনো অকাজ করে তখন সে কারো কথাই শোনে না। দেশে রসাতলে যাক তাতে তার সমস্যা নাই। পুরো দেশটাকে বেচে খাওয়া এই হায়েনার বংশগত স্বভাব আর আফসোস যে এই হায়েনা এইবার নিয়ে আমাদের দু'বারের প্রধানমন্ত্রী।

যাইহোক, আপনাকে আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি না। তবে কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি একজন ইন্জ্ঞিনিয়ার আর আপনার এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রজ্ঞা আছে। আমি পাওয়া স্টেশন নিয়ে তেমন কোনো কাজ করিনি। যা পড়া লেখা তা আমার বিএসসি লেভেলে। আর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে সবচেয়ে আগ্রহ থাকার কারনে সবকিছু আমি নিউক্লিয়ার কন্টেন্টের বিক্রিয়া অনুসারে ভাবি।

বই ঘেটে দেখলাম পাওয়া এফিসিয়েন্সি যেটা নিয়ে আপনি খুব বড়াই করছে সেটা আসলে টেকনোলজী কিব্যাব হার করছেন সেটার ওপর তেমন নির্ভর করে না। সবচেয়ে বেশী নির্ভরশীল হলো পাওয়ার সাইকেল। পাওয়ার সাইকেল ঠিক রেখে আপনি পুরোনো টেকনোলজী আপগ্রেড করেও ভালো এফিসিয়েন্সির পাওয়ার পেতে পারেন। এটা অনেকটা পাওয়ার স্টেশনের একটা এলগরিদম যাকে অনুসরন করে পাওয়ার স্টেশনের প্রতিটা কাজ ঘটবে।

কোল পাওয়ার প্লান্টের জন্য সবচেয়ে আধুনিক এবং কার্যকর ভার্সন হলো আইজিসি মানে ইন্টিগ্রেটেড গ্যাসিফিকেশন সাইকেল। আপনি যদি র‌্যান্কিন সাইকেল ফলো না করেন তাহলে আপনি যেই টেকনোলজীই ব্যাব হার করেন না কেন কার্ব ডাই-অক্সাইড এমিশন প্রাকটিক্যালি ৪০ থেকে ৪৫% এর বেশী কমাতে পারবেন না। যদি এটা অনুসরন করেন তাহলে ৪৫ থেকে ৫০%। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ২০৫০ সাল নাগাদ এই মাত্রাটা ৫০ থেকে ৫৫% কমাতে পারবে। তবে এতে খরচের পরিমানটা দেখেন : ১১০০ ইউরো পার কিলোওয়াট। তবে আপনি যদি উন্নত প্রযুক্তি টারবাইন ব্যাব হার করেন তাহলে ৫০% এ উন্নীত করতে পারেন। (এখানে প্রতিটা ইউনিটে কতখানি কার্ব ডাই অক্সাইডের উৎপন্ন হচ্ছে সেটার হিসাব করেছি যদিও ওভারঅল ৮২%)। তারপর আপনি এডিপাইন এসিড, লিকেজ এমাইন লিকুইডের কথাটা বলেননি। এগুলো সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্লান্টের একটা বড় রকমের অন্তরায় এবং জলাশয়ের মাটিতে যদি কোনো দূরবর্তী কোথাও আর্সেনিক থাকে সেগুলোকে ছড়িয়ে দেবার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এমনিতে দক্ষিনান্ঞ্চল আমাদের আর্সেনিক প্রবন এলাকা।

রেফারেন্স:জনৈক পি লাকো

এখন আপনি কি এই পরিসংখ্যানে সন্তুষ্ট? আমি কিন্তু এতে সন্তুষ্ট না।

মন্তব্যে আপনি বলেছেন ফুলবাড়িয়ার কয়লাখনি ব্যাব হারের পক্ষে আমিও। এখানে আমি কিছু কথা বলি। কয়লা ব্যাব হার করে তাপবিদ্যুৎ নির্মানে সবচেয়ে উচ্চকন্ঠ ছিলো সাইফুর রহমান। সে গতবার এটা নিয়ে বেশ কয়েকজায়গায় কথাও বলেছিলেন যদি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাতে আগ্রহ দেখায়নি। সাইফুর রহমানের সময় তত রিজার্ভও ছিলো না কারন উনি হারামী বাটপার লীগারদের মতো বিশ্বাস করতেন না যে রিজার্ভ ভালো থাকলেই অর্থনীতি ভালো হয়। তবে তিনি চেয়েছিলেন ওটা ফুলবাড়িয়াতেই হোক।

ইন্ডিয়ার কয়লা নেয়ার পক্ষপাতী না কারন একটা পরিসংক্যান দেই পালভেরাইজড কয়লার নামে ওরা যা বেচে তা হলো

70 % Domestic:


Indian Washed Coal from Talcher Coal fields of Mahanadi Coal fields Limitedin Orissa state.


Avg. Calorific Value- 3070 Kcal/kg.


Heat Rate -2450Kcal/KWH.2.

30 % Imported:


Imported Coal from Indonesia, South Africa, Australia, China, etc.


Avg. Calorific Value- 5500Kcal/kg.


Heat Rate-2500Kcal/KWH

বাংলাদেশের লিগনাইট বেজড কয়লা এর চেয়েও ভালো। কিন্তু বুঝলাম না ঠিক কতো টাকা ঘুষ খেয়ে হাসিনা ইন্ডিয়ার কয়লা দিয়ে মুখ কালি করতে চেয়েছেন।

আরও ইনফরমেশন দেই, ফুলবাড়িয়ায় কয়লা ওঠানোর জন্য বামেরা তো অবশ্যই ফুলবাড়িয়ার লোকজন প্রচুর আন্দোলন করেছিলো। তখন এটা নিয়ে অনেক গ্যান্জ্ঞামও হয়েছিলো। আর এখন সুন্দরবনে এই তাপবিদ্যুৎ কারখানা উদ্বোধনের জন্য যে হাজারো মানুষ তার প্রতিবাদ করছে এবং এর ভয়ে শেখ হায়েনা ওখানে না কুষ্টিয়া থেকে উদ্বোধন করবেন কাপুরুষের মতো সেটা গায়ে লাগছে না এটাও কি স্ববিরোধিতা নয়? যদিও আমি সবসময় আলোচনায় টেকনিক্যাল দিকটা প্রাধান্য দেই কিন্তু এটা তো একটা শিশুও বুঝতে পারে যে শেখ হায়েনা কি করছে!

এখন আপনি বলেন ইন্ডিয়া কি এমন উন্নত হলো যে তারা এমন ভালো টেকনোলজীর নাম দিয়ে বাতিল জিনিস গছিয়ে দিচ্ছে আর দেশের মাথামোটা আমলা পিডিবির লোকজন (আপনি বলেছেন ওপরে কোনো এক জায়গায়) এর কথায় তা বসাচ্ছেন!


আর আপনার রিজার্ভয়ার বা কুলিং পানির পরিমান সম্বন্ধে খুব বেশী আইডিয়া নেই। আপনাকে বলছি যেহেতু শোর লাইনের কাছাকাছি আপনাকে রিজার্ভয়ার বসাতে হলে যে খাল খনন করতে হবে সেটা আপনি বেশী গভীরে যেতে পারবেন না। কারন আপনি একটু মাটি খুড়লেই পানি উঠে আসে। ফলে আপনাকে প্রয়োজনীয় পরিমান পানির জন্য বিশাল জায়গা জুড়ে রিজার্ভয়ার বানাতো হবে। যেটা আমেরিকা বা চীনের জন্য করতে হয় না। কারন একেতো ওগুলো পাহাড়ী বা মরুভূমি সর্বস্ব এলাকা সেহেতু ওটা অনেক গভীর করতে হয়। যার ফলে আপনাকে বেশী জায়গার অধিগ্রহন করতে হয় না। কিন্তু এদেশে রিজার্ভয়ার মানেই বিশাল এলাকা। এই কনসেপ্ট ঘিরেই কাপ্তাই হ্রদ বানাতে গিয়েছিলো পাকিস্তানীরা, কিন্তু সেখানেও সমস্যা কারন ওটা সাগরের খুব কাছাকাছি আর আমাদের দেশে স্বাদু পানির ডেপথ খুবই সন্নীকটে।

এখন আসি কি পরিমান পানির প্রয়োজন:

245150m3/hr যদি আপনার কোলের মান 3800Kcal/kg হয়। তার মানে বুঝতে পারছেন কত কিলোমিটার জায়গা লাগবে আপনার? একটু হিসাব করেন।

আপনার কি এ বিষয়ে বক্তব্য আছে?

উল্লেখ্য শেখ হায়েনাকে গালাগাল করলাম দেখে আপনি আমাকে এটা বলবেন না যে গোলাপীর সাথে নিজামী গং এর সহবাস আমি সমর্থন করি!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শেখ হায়েনা হাসিনা নিরুপায় হয়েই ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েছেন।
হায়না বদ্ধপরিকর বর্তমান ক্যাপাসিটি ৬ হাজার মেগাওয়াট থেকে ৩০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নিত করতে একুশ শতকের মধ্যে। খালেদার এইসব দরকার নেই, তার কথা - যা আছে এতেই চলবে!

টেকনোলজি কেউ বিনা স্বার্থে ছাড়তে চায় না। এছাড়াও এদেশের অবকাঠামো শক্তিশালি হলে বিদেশী কম্পানীগুলো বাংলাদেশে ছুটে আসবে কম শ্রমমুল্যের কারনে। এই কারনেই রাশিয়া চিন ভারত কেউ চাইবে না বাংলাদেশের আপরাইজিং।

এই কয়লা বিদ্যুতে হাসিনার প্রথম অপশন ছিল রাশিয়া, কিন্তু রাশিয়া শর্ত দিয়ে বসেছে!
"অস্ত্র কিনো, ফাইটার বিমান কিনো .. পয়শা লাগবে না। ৫ বছর পর থেকে ৫-১০ টাকা কইরা দিবা ৫% সুদে"! এমনিতেই হায়না ৩০টা ট্যাঙ্ক সহ বিপুল অস্ত্র কিনে বসে আছে, আরো অস্ত্র?

আর চিনারা দুইনম্বর মাল গছিয়ে দিবে আমলাদের ঘুশ দিয়ে, রাশিয়া সর্বচ্চ পর্যায় ছাড়া ঘুশ দেয়না বলে আমলারা কাজ ডিলে করে ইচ্ছাকৃত ভাবে।

আমার মনে হয় আপাত সামাল দিতে হাসিনা একপ্রকার নিরুপায় হয়েই হারামি ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েছে। ঘুশ বা দুইনম্বরি মাল গছিয়ে দেয়ার উপায় নেই, কারন ভারতের রাষ্ট্রিয় বিদ্যুত কম্পানি, আর টাকা দিবে ও মনিটর করবে ADB. প্রাইভেট কম্পানি হলে দুইনম্বরি আর ঘুশে সয়লাব হয়ে যেত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দিনাজপুরের কয়লা খনির কাছে আরো বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট (৪ হাজার মে:ওয়াট) করার প্ল্যান আছে। খনির কয়লা না উঠিয়েই মার্কিন টেকনোলজি "কোল গ্যাসিফিকেশন পদ্ধতিতে" বিশেষ পদ্ধতিতে পাইপ ঢুকিয়ে ক্যাটালিষ্ট ইঞ্জেকশন করে মাটির নীচে উত্তপ্ত করে কোলগ্যাস বের করে আনা হবে। মাটি কাটা লাগবে না, বসতি উচ্ছেদ করা লাগবে না। বিদ্যুত প্ল্যান্ট এই গ্যাসের মাধ্যমে চলবে।
এর জন্য আমেরিকার পায়ে ধরা লাগতে পারে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আন্ডারগ্রাউন্ড কোল গ্যাসিফিকেশন পদ্ধতির ছবিটি দেখুন। বিস্তারিত জানতে উইকি দেখুন - Click This Link

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কার্ব ডাই-অক্সাইড এমিশন কমানোর চিন্তা করা আমার কাছে বোকামি মনে হয়।

কারন আমাদের দুই বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত ও চীন যে পরিমান কার্ব ডাই-অক্সাইড এমিশন করে তা সারা পৃথিবীর মোট ভলিউময়ের চেয়েও বেশী। আমরা কার্যত তাদের নির্গত গ্যাসে ডুবে আছি।
এই রামপাল বিদ্যুত চালু হলে এই অঞ্চলের আবহাওয়ায় কার্ব ডাই-অক্সাইড সেই তুলনায় ১% ইম্প্যাক্টও হবে না, বিশাল পুকুর থেকে একগ্লাস পানি যেমনি, অনেকটা সেই রকমই।

বিপদজনক সালফারডাই-অক্সাইডের দুষনের মাত্রাও একই রকম হওয়ার কথা। তবে আমাদের উৎপাদিত উপজাত সালফারডাই-অক্সাইড গ্যাস অনেক উঁচু চিমিনি দিয়ে থ্রো করা হবে যা কাছেই বঙ্গপসাগরে উড়ে যাবে।
চীন-ভারতের একজষ্টও উঁচু চিমনি দিয়ে ছাড়ে, কিন্তু তা আমাদের দেশের ভেতরদিয়ে প্রবাহিত হয়ে এর পর বঙ্গপসাগরে যায়।

৫১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

আশিক হাসান বলেছেন: আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বড়পুকুরিয় কয়লা খনিতে ভ্রমনের , সেখানে এক পর্যায়ে ব্রীফিং এর সময়ে সেখানকার পরিচালক বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লার গুনগত মান সম্পর্কে বর্ননার সময়এ এক পর্যায়ে বলে ফেললেন আমাদের এই কয়লার গুনগত মান ভারতের আমদানী করা কয়লার চেয়ে অনেক ভাল বিশেষ করে সালফারের পরিমান আমাদের কয়লায় নাকি অনেক কম। তাহলে কেন আমরা ভারত থেকে কয়লা আমদানী করছি এই প্রশ্নের উত্তর সেই ভদ্রলোক বিনয়ের সাথে উত্তর দিতে অপারগতা জানিয়ে পাশ কাটালেন।

একইভাবে এখন যেন মনে হচ্ছে এই রামপাল নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি সংলাপ অথবা তথ্য উপাত্ত সহকারে সরকার সরাসরি রামপাল বিরোধীদের সাথে আলোচনায় বসে এই বিষয়টি সমাধান করতে পারতেন কিন্ত বাস্তবে সেটি আর হলোনা। আমার কেন জানি সেদিনের সেই ভদ্রলোকের সাথে আজকের সরকারের অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতের কয়লার চেয়ে বড়পুকুরিয়ার কয়লা অনেক উন্নত, এটা ঠিক আছে।

কিন্তু "আমরা ভারত থেকে কয়লা আমদানী করছি" এটা ভুল।
আমরা ভারত থেকে তেমন কোন কয়লা আমদানী করছি না। ইট খোলা ও কামারদের হাঁপড়ে ব্যাবহারের জন্য সামান্য কয়লা আমদানি হয় তামাবিল দিয়ে।

৫২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্য। যদিও আমার প্রশ্নের উত্তর পাই নাই দুটো কমেন্টের। তবে কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন এটা শুনে খুশী হলাম


আসলে এসব বিষয়ে তর্ক করে লাভ নাই। হাসিনা তার কাজ করবেই। হাসিনাকে হঠিয়ে গোলাপী আসবে। গতবার তো শুধু সিরাজগন্জ্ঞ আর ঢাকায় বিদ্যূৎ থাকতো। এবার যে কি করবে আল্লাহ মালুম।

তাই এখন কোনো তর্কেই কোনো ইন্টারেস্ট ফিল করি না। তবে আপনার সাথে কথা বলে ভালো লাগলো।

যেহেতু হচ্ছেই সেহেতু দেখা যাক কি হয়! আপনাকে গালি দিয়ে বা মন্দ বললে তো এই সব কিচ্ছা কাহিনী তো বন্ধ হবে না। সবকিছুর খারাপ যেমন আছে ভালোও হয়তো থাকবে। তাই ভালোটা ভেবেই এখন নিরাসক্ত হয়ে গেছি অনেক ব্যাপারে

ভালো থাকুন! আর যদি খারাপ কিছু বলে থাকি, ক্ষমাপ্রার্থী

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ, একজন ভিন্নমতাবলম্বি হয়েও অনেকটাই ইতিবাচক দির্ঘ মন্তব্য করা এই পোষ্টকে সমৃদ্ধ করল।
আপনার অবশিষ্ট প্রশ্নের কিছু জবাব ৫৪ নং কমেন্টের নিচে দিয়েছি।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৫৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

শরিফ নজমুল বলেছেন: আমাদের সুন্দরবন দরকার নেই, বিদ্যুত দরকার, তারও চেয়ে বেশী দরকার দাদাদের খুশী করা। এক আওয়ামী সমর্থক কে দেখলাম রীতিমত তওবা পড়ে রামপাল বিরোধিতা থেকে সরে এসেছে।
আপনি চালিয়ে যান। বিদ্যুত কেন্দ্র হবেই হবে.....

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের সুন্দরবনও থাকবে রামপালও হবে।

অনেকেই তওবা পড়ে রামপাল বিরোধিতা থেকে সরে এসেছে, কারন আমি তথ্য সহকারে যুক্তি দিয়েছি, সাপোর্টিং ডকুমেন্টও দিয়েছি।

৫৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
এখানে কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
Click This Link

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
Click This Link

৫৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

সামু মামু বলেছেন: সবার জন্য

Coal-Fired Power in India May Cause More Than 100,000 Premature Deaths Annually
Click This Link


Click This Link

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফালতু ফেসবুকিও ভুয়া তথ্য!

তাহলে আপনার তথ্য মত কয়লা তাহলে একটি দুষিত জালানি!
তাহলে আমেরিকান পরিবেশ নিয়ন্ত্রন সংস্থা EPA কি কয়লাকে নিষিদ্ধ করেছে?
বা ভারত কি কয়লা জালানো নিষেধ করেছে?

ভারতের বিহারে রান্না করার জন্য কয়লাই প্রধান জালানি। আমি বগুড়া, রংপুরেও অনেক কয়লার চুলা দেখেছি।

আমাদের দেশে গ্রামের বাজারে কয়লা পুড়িয়ে কামারেরা দা কুড়াল তৈরি করে, ফার্নেসের খুব কাছে বসেই সব কাজ করে, নিশ্বাস নেয়,
এতে কি কোন কামার মারা গেছে?

৫৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কারন আমাদের দুই বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত ও চীন যে পরিমান কার্ব ডাই-অক্সাইড এমিশন করে তা সারা পৃথিবীর মোট ভলিউময়ের চেয়েও বেশী। আমরা কার্যত তাদের নির্গত গ্যাসে ডুবে আছি।
এই রামপাল বিদ্যুত চালু হলে এই অঞ্চলের আবহাওয়ায় কার্ব ডাই-অক্সাইড সেই তুলনায় ১% ইম্প্যাক্টও হবে না, বিশাল পুকুর থেকে একগ্লাস পানি যেমনি, অনেকটা সেই রকমই"

এক লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে খুবই অসুস্থ হয়ে। ডাক্তার যখন তাকে একটা পুরোন ময়লা সিরিঞ্জ দিয়ে ইঞ্জেকশন দিতে উদ্যত হল তখন রুগির আত্মীয়রা বাধা দেয়ায় ডাক্তার বল্ল: 'এর শরিরে এমনিতে যে পরিমান রোগ জিবানু আছে এই সিরিঞ্জে তার ০.১% জিবানুও নাই। কাজেই এই জিবানুতে ১% ইম্প‌্যাক্টও হবে না, বিশাল সাগর থেকে এক গ্লাস পানি যেমনি, অনেকটা সেই রকামই'।

কি অসাধারণ যুক্তি - তাই না??

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কার্ব ডাই-অক্সাইড একপ্রকারই হয়।

জীবানু হাজার প্রকার।

সুতরাং আপনার এই যুক্তি খাটে না।

৫৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
ও তাই! তাহলে বেছে বেছে যেই জিবানুতে মানুষটা আক্রান্ত সেই জিবানু আরো কিছু পরিমান দেয়া যেতে পারে - কী বলেন? পুড়ে যাওয়া মানুষের গায়ে আরো কিছু আগুন দেয়া যেতে পারে - পোড়াতো একই রকম! পানিতে ডুবতে থাকা মানুষের ঘাড়ে আরো কিছু বোঝা চাপান যেতেই পারে - সেতো এমনিতেই ডুবে যাচ্ছে!

আচ্ছা আর একটা উদাহরণ দেই। গ্রামের বহু মানুষ খাল বিলের পানি পান করে। আমি নিজেও ছোট বেলায় গ্রামে ছিলাম - খাল বিলের পানি কম খাই নাই। তাই বলে আমি বা গ্রামের সব মানুষতো অসুস্থ হই নাই বা মরে যাই নাই। এখন এই যুক্তিতে আপনি কি আপনার ছোট বাচ্চাকে বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ফিলটার বা ফুটান ছাড়া খাল বিলের পানি খেতে দেবেন?? যদি না দেন তাহলে সেই চেতনা থেকে বোঝার চেস্টা করেন দেশের মানুষ কেন রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র করতে দিতে চাইছে না।

এই সরকারতো আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর বানাতে গিয়েছিল। তখনও অনেকেই বলেছিল কোন ক্ষতি হবে না, বিরাট উপকার হবে, দেশ উন্নত হয়ে যাবে .. . ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দেশের মানুষ ঠিকই বুঝেছিল - আর সরকারকে শেষ পর্যন্ত ঝাড়ুপিটা খেয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল। এখানেও সেইরকম কিছু না হওয়া পর্যন্ত সরকারের হুশ হবে বলে মনে হচ্ছে না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি তো আচ্ছা তর্কবাগিস দেখছি! আপনার সাথে তর্ক করলে পাতার পর পাতা লেখা হবে, কাজের কিছুই হবে না

কয়লার মত নিরাপদ প্রাচীন জালানিকে বিষাক্ত বলছেন!
শিল্প বিপ্লবের হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ কয়লার ব্যাবহার করছে। প্রথম মটরগাড়ীর ডিজেল ইঞ্জিন কয়লার গুড়ো দিয়েই চলতো, জেমস ওয়াটের স্টিম ইঞ্জিন প্রচলন হওয়ার পর এই কয়লা চালিত স্টিম ইঞ্জিন শত বছর রাজত্ব করেছে। রেলওয়ে ও জাহাজের ইঞ্জিন কয়লা চালিত ছিল শত বছর। প্রথম দিকের মটর গাড়ীও কয়লা চালিত ছিল। আধুনিক মেকানাইজ সভ্যতার শুরু হয়েছিল কয়লার উপর দিয়েই। কয়লা দিয়ে রান্নাবান্না চলতো, কোল গ্যাস দিয়ে লন্ডনের রাস্তার বাতি জলত।

আর আপনি কয়লার উদাহরন দিচ্ছেন ডায়ারিয়ার জীবানু দিয়ে!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আড়িয়াল বিলে বিমানবন্দর হলে পরিবেশের কি এমন ক্ষতি হত?

আড়িয়াল বিল এলাকাটি ছিল ৮০% খাস জমি, বিমান বন্দর হলে খুব কম লোকই ক্ষতিগ্রস্থ হত।
বিমানবন্দরটি হয়ে এলাকার চেহারা পালটে যেত। চওড়া রাজপথে সংযুক্ত হত রাজধানীর সাথে। টুরিষ্ট জোন, হোটেল, ইপিজ়েড। একটা উন্নত টাউনশিপএ পরিনত হত এলাকাটি।

এখন কি হচ্ছে? ধিরে ধিরে দখলদার ভুমিদ্যশ্যুদের কবলে পড়ছে বিলটি। বালুভরাট চলছে গলিঘুপচির মত চিকন রাস্তা, প্রতারনা মুলক দুইনম্বরি বেচাকেনা চলছে, দখল চলছে, নিরিহ গ্রামবাসি বেচে দিতে বাধ্য হচ্ছে ডেভেলপারদের কাছে। বালুভরাট চলছে, লাগাচ্ছে খাম্বা আর প্রতারনামুলক সাইনবোর্ড।
এই পরিবেশই তো চেয়েছিলেন আপনারা!

৫৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:

ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এতদিনে একটা জটিল প্রশ্নের উত্তর মনে হয় পেয়ে গেছি!

আমার অনেক দিনের চিন্তা ছিল যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল আজকে তার অবস্থা এতটা শোচনীয় বিপর্যস্ত দেশ-জাতি বিরোধী হল কিভাবে?

এখন মোটামুটি বুঝতে পারছি, আপনামত লোক যেই দলের পক্ষে কলম সৈনিক বা বুদ্ধিজীবির ভুমিকায় নামতে বাধ্য হয় (উপযুক্ত কেউ না থাকলে কাউকে না কাউকেতো দ্বায়িত্ব নিতেই হবে! ) সেই দলের পরিনতি এমন হওয়াই স্বাভাবিক!!

এমন দলের জন্য কার্যকর ওষুধ হচ্ছে আড়িয়াল বিলের সেই ঝাড়ু-পিটা। যদিও তাতে আপনাদের বোধদয় হবে না, তবে দেশর মানুষ আপনাদের উৎপাত থেকে কিছুদিন নিরাপদ থাকতে পারবে।

ভাল থাকুন - আওয়ামী লীগের পক্ষে আরো বেশী করে কাজ করুন যাতে দলটির চুড়ান্ত বিলুপ্তি তড়ান্মিত হয় আর জনগন এক উৎকট যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পায়। ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তা আপনাদের বুদ্ধিজীবিদের খুব মেধাবি মনে করেন নাকি।
এদের মেধা তো মিথ্যার উপর ভর করা। অবলিলায় বলে ফেলে ৩ হাজার নিহত!
বিদেশীদের সার্টিফিকেটও যোগার করে ফেলে।
দরিদ্র মানুষের ধর্মিয় আবেগ কে দলীয় নোংড়া কাজে ব্যাবহার করার জন্য চালিয়ে যায় বেপরোয়া মিথ্যাচার।

৫৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
এই বিদ্যুত প্ল্যান্টএ সুন্দরবন বা এলাকার পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে না মানলাম,
তবে কয়লা আমদানি না করে আমাদের নিজেস্য কয়লা দিয়ে করা উচিত।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমদানি না করে আমাদের নিজেস্য কয়লা দিয়ে বিদ্যুত প্ল্যান্ট চালানো উচিত।

৬০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:২৯

অজানা বালক বলেছেন: বলেছেন: দারুন প্রতি মন্তব্য আপনার। আসলে আপনার সাথে আমি আশাহত হয়েই মন্তব্য করছি কারন আমাদের বঙ্গবন্ধুর শয়তান কন্যা শেখ হায়েনা অলরেডি ডিসিশন নিয়েই ফেলেছেন। এই ডাইনীটা যখন কোনো অকাজ করে তখন সে কারো কথাই শোনে না। দেশে রসাতলে যাক তাতে তার সমস্যা নাই। পুরো দেশটাকে বেচে খাওয়া এই হায়েনার বংশগত স্বভাব আর আফসোস যে এই হায়েনা এইবার নিয়ে আমাদের দু'বারের প্রধানমন্ত্রী। (দারুন বলেছেন)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টেকনোলজি কেউ বিনা স্বার্থে ছাড়তে চায় না। এছাড়াও এদেশের অবকাঠামো শক্তিশালি হলে বিদেশী কম্পানীগুলো বাংলাদেশে ছুটে আসবে কম শ্রমমুল্যের কারনে। এই কারনেই রাশিয়া চিন ভারত কেউ চাইবে না বাংলাদেশের আপরাইজিং।

ডাইনীটা নিরুপায় হয়েই ভারতের মুখাপেক্ষি হয়েছেন।
হায়না বদ্ধপরিকর বর্তমান ক্যাপাসিটি ৩ থেকে ৮ হাজার মেগাওয়াট করতে। এরপর একে ৩০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নিত করে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিনত করতে একুশ শতকের মধ্যে।

বকলম গোলাপির এতকিছু এইসব দরকার নেই, তার কথা - যা আছে এতেই চলবে! ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ১ মেগা কারেন্টও বাড়েনি।
খুনি মোজাহিদরা তাকে রক্ষা করবে, চোরা পোলা দুটো টাকা সাদা করে বিদেশ পাচার করতে পারলেই চলে।

৬১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বিদ্যুতকেন্দ্রের জন্য নিরাপদ দুরত্বে একটা বিকল্প স্থান খুঁজে পাওয়া আমার কাছে একটু কঠিন বলেই মনে হয়।
এই কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হতে হবে পশ্চিম জোনে। কারন দেশের বেশিরভাগ বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুর্ব জোনে অবস্থিত। ন্যাসানাল গ্রিড পুর্ব থেকে দির্ঘ পথ ট্রান্সমিশনে সিস্টেম লস হচ্ছে দির্ঘদিন। তাই সিদ্ধান হয়েছিল যে কোন বড় বিদ্যু কেন্দ্র যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে হবে।
বড় কয়লাবাহি জাহাজ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌছাতে দরকার চর বিহীন চালু বড় নদী, যার পাড়ে হতে হবে এই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সাথে ভারি ট্রাক চলার জন্য ন্যাসানাল হাইওয়ে কানেক্ট থাকাও জরুরি।
কাওরা কান্দিতে করা যাবেনা কারন চর পরা নদী, চাঁদপুরের পশ্চিমে শরিয়তপুরে করা যায়, কিন্তু চওড়া হাইওয়ে নেই, গোয়ালন্দ একই অবস্থা নদীতে চর। পিরোজপুর বা বরগুনার কাছেও করা যাতে পারে, আবার এতে কটকা (পুর্ব সুন্দরবন) আক্রান্ত হবে বলে আন্দলন শুরু হয়ে যেতে পারে।
মংলা বন্দরের কাছে হলেই সবচেয়ে কমখরচে অষ্ট্রেলিয়া বা দ:আফ্রিকা থেকে কয়লা এনে বিদ্যুত মুল্য কম রাখা সম্ভব বলেই হয়ত রামপালকে সিলেক্ট করা হয়েছিল । বাংলাদেশ একটি কাটাতারেঘেরা জলবায়ু বিপর্যস্ত অপর্যাপ্ত অবকাঠমো নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ দেশকে বাচাতে হলে আগামি দশ বছরের ভেতর বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ গুন বাড়িয়ে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে আনতে কোথাও বা কোথাও 'কিছু ক্ষতি' মেনে নিতে হবেই।
আমার এই লিখাটি পড়ুন - কমেন্টের জবাব সহ
http://www.somewhereinblog.net/blog/mmdhw/29879924

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি দরকার ছিল ২০০০ একর। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘণবসতির দেশ
বাংলাদেশের ৯০% খালি জমিই তিন ফসলি জমি। সমতল ভূমি এবং উর্বরতা বিবেচনায় ২০০০ একর জমি দেশের অন্য কোথাও একযোগে অধিগ্রহন করার তেমন সুযোগ ছিল না। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ভুমি থেকে উচ্ছেদ সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল, এর উদাহরন আড়িয়াল বিল। আমাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত, ঘনবসতিপূর্ণ দেশের ৩ ফসলি আবাদি ভুমি অধিগ্রহন করা আত্মঘাতী । দিনে ১২ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করার ব্যায়, যোগাযোগ , পরিবেশ দুষণ, এসব বিষয় মাথায় রেখেই তখনই খাসজমিবহুল রামপালকে সঠিক জায়গা বলে মতামত দেওয়া হয়েছিল।
অর্থনৈতিক ভাবেও এটি একটি বাংলাদেশের পক্ষে লাভজনক
বাংলাদেশের নগদ বিনিয়োগ শুন্য হলেও মালিকানা ৫০:৫০। এ সকল বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের জন্য লাভ জনক চুক্তি বলা যায়। এই প্রকল্প থেকে ২৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হলে এর ইমপ্যাক্ট হিউজ। অনেক অর্থনীতিবিদ বলছেন - মাথাপিছু আয় আরো ৫০০ ডলার বেড়ে যাবে। পদ্মা সেতুর মতই এটির ফলে ১% বাড়তি জিডিপি যোগ হবে।
আফটার অল যেখানেই কয়লা পুড়ুক কমবেশী পরিবেশ দূষণ হবেই। এটা পাগলেও জানে। এখানে সমাধান হল পরিকল্পিত বনায়ন করে ৮% বনায়নকে ২৫% বনায়নের জন্য কাজ করা।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেটিং অথোরিটি অব থাইল্যান্ড (EGAT) ক্রাবিতে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের সুধু কাছাকাছি না, এবার একদম বনভুমির মাঝে, বনের ৬.৭ কিলোমিটার এর ভিতরে একটি বিশাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রে স্থাপন করছে।
Krabi Power Plant নামের এই ৮০০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র অপারেশনে আসবে ২০১৯ সালে।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে মুল শহরের ভেতরেই ছোট, বড় কয়েকটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
পৃথিবীর সকল উন্নত দেশেই কমবেশী প্রায় ৫০% বিদ্যুৎ কয়লায়, যেখানে বাংলাদেশে মাত্র ২%

এত দ্রত বর্ধনশীল অর্থনীতির আমাদের দেশটিতে ২০০১ থেকে ২০০৯ এই আটটি বছরে কোন নতুন বিদ্যুতকেন্দ্র হয়নি, কেন?
কেন ১ মেগা বিদ্যুতও যোগ হলনা ৮ বছরে। কোন জবাব আছে?

৬২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । লিখাটিতে অনেক যুক্তিসঙ্গত কথা আছে । এটা নিয়ে ইদানিং বিতর্ক বেশ তুঙ্গে আছে পক্ষে বিপক্ষের সকল কথাগুলিকে রিকনসাইল করে একটি আপডেট পোস্ট দিতে পারেন , সঠিক জিনিসটা বেরিয়েই আসতে পারে সকলের আলোচনায়। তিন বছর আগে যে রকম ছিল বিষয়টাতে এখন বিরোধি পক্ষের যুক্তি তর্কের ধার কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ছে দেখা যায়। এখন যা আলোচনা হবে তা অনেকটা দু পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য যুক্তিতর্কের ভিত্তিতেই হবে বলে মনে হয় কারণ উভয়ের হাতেই এখন রয়েছে পরিক্ষিত বৈজ্ঞানিক তথ্য , কেও মনে হয় আর খোড়া যুক্তি দিবেন না পরিস্থিতির কারণে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.