নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাইরোবির সপিংমলে হামলা, আমাদেরও সতর্ক হতে হবে

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪





কিছু দিন আগে (21-9-13) কেনিয়ার নাইরোবি শহরের একটি অভিজাত জনবহুল সপিংমল ওয়েষ্টগেইট এ একটি ভয়াবহ সন্ত্রসি হামলা হয়। বিকেলে পিক টাইমে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসি ভারি অস্রসস্ত্র নিয়ে ভবনটিতে ঢুকে পরে। এরপর নির্বিচারে লোকজনদের উপর গুলি চালাতে থাকে। তারা আগেই ৪ তালা সপিং সেন্টারের সবগুলো বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেয়। অল্প কিছু লোক অবস্য তার আগেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিল। ৪-৫ দিন অবরুদ্ধ থেকে শতাধিক নিহত হওয়ার পরও আমাদের মিডিয়াতে অতি সামান্যই প্রাধান্য পেয়েছিল।



যেভাবে শুরু

মুখোশধারি ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রসি গুলি ছুড়তে ছুড়তে ভবনটির প্রধান গেট দিয়ে ঢুকে পরে। ভেতরে দোকানে ও লবিতে এলোপাথারি গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে





যেভাবে খুনে সন্ত্রাসিরা শপিংমলে তান্ডোব চালিয়েছিল, নৃশংস ভাবে শতাধিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল।



তারা নির্বিচারে যাকেই সামনে পেয়েছে তাকেই গুলি করেছে। এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে সন্ত্রাসিরা পার্শবর্তি সোমালিয়ার আলকায়দার সহযোগি আল-সাবাব মৌলবাদি, তারা ভাঙ্গা ইরেজিতে কথা বলছিল। তাদের সাথে থাকা স্মার্টফোনে কিছুক্ষন পরপর টুইট করছিল। প্রথম দিন কিছু মুসলিমকে ডেকে প্রধান গেট দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল।

এই আত্নঘাতি জঙ্গিদের মুলত কোন দাবি ছিল না। কাউকে জিম্মি করার ইচ্ছেও ছিলনা। কোন নিগোসিয়েশনের চেষ্টা করেনি। কাজ ছিল সুধু খুজে খুজে খুন করা, মহিলা কেন .. শিশু বাচ্চারাও রেহাই পায় নি।







সিসিটিভি তে ধরা পরা কয়েকজন খুনি .. পৈশাচিক হাসি!









নৃশংস! ফুড কোর্টের দোকানি, পরিবার-পরিজন সহ খেতে আসা লোকজন আসবাবের নীচে ঢুকেও বাচতে পারেনি। আহতদের আর্তনাদ!





মৃত্যুর আগে সঙ্গিকে নিজের পিঠ দিয়ে গুলি ঠেকানোর চেষ্টায় জড়িয়ে ধরেছিল সপিং এ আসা এক যুগল







গুলিবর্ষনের মুখে অনেকে এসির ডাক্টিঙ্গের ভেতর দিয়ে বের হয়ে আসে





জিম্মি মুক্ত করতে পরে সেনাবাহিনী তলব করা হয়। সেনাবাহিনীর দেখা পেয়ে বেপরোয়া ভাবে জিম্মিদের দিকে গুলি ও গ্রেনেড ছুড়তে থাকে, বোমা বিষ্ফোরন ঘটায়। কিছু জিম্মি পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকে। নিরুপায় কেনিয় সরকার ইসরাইলি কমান্ডোদের তলব করে। দ্রুতই একদল ইসরাইলি কমান্ডো চলে আসে কিন্তু তারা কোন অপারেশনে অংশগ্রহন করেনি, সুধু টেকনিক্যাল ও ইন্টেলিজেন্স সহায়তা দেয়।











আবদুল হাজির দল ঢুকছে মৃত্যুপুরিতে ...





পিলারের আড়ালে লুকিয়েও গুলির হাত থেকে বাঁচতে পারেনি শিশুটি





পুলিশ অফিসার আবদুল হাজি, পিস্তল হাতে কাভার দিয়ে বের করে আনছেন একজনকে



অকুতভয় কয়েকজন সাদা পোষাকে পুলিশ বিপদজনক অভিযান চালিয়ে প্রথমেই অনেককে বের করে আনতে সক্ষম হয়।

ছবিতে এই চেক শার্ট পরা লোকটির নাম আবদুল হাজি। নায়রোবি সিটি পুলিশ আফিসার। সেনা বাহিনীর কমান্ডোরা যখন হিমসিম খাচ্ছিল, ভেতরে ঢুকতে সাহস পাচ্ছিলনা, তখন এই আবদুল হাজি একাই ভেতরে ঢুকতে রাজি হয়। তার সাহসি ইচ্ছা তার সহকর্মিদেরও অনুপ্রানিত করে তার দুই সহকর্মিও তার সাথে মৃত্যুপুরিতে ঢুকতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। আবদুল হাজিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ভেতরে ঢুকতে বলেছিল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা, কিন্তু সে রাজি হয় নি। হাজি বলেছিল এতে মুভমেন্ট, ক্ষিপ্রতা কমে যাবে। হাজি খুব সন্তর্পনে ভেতরে ঢুকে এক অস্ত্রধারি সন্ত্রাসিকে পিস্তলের গুলিতে হত্যা করে টেবিলের নীচে লুকিয়ে থাকা একটি পরিবারকে নিরাপদ পথ দেখিয়ে বের করে আনে। এভাবে আরো অনেককে বের করে আনা হয়।





গ্রেনেডে আহত একজনকে বের করে আনা হচ্ছে









গো ...গো .. কিপ ইয়োর হেড ডাউন ..







মৃত্যুপুরি থেকে ফিরে আসার আনন্দাশ্রু



দুঃসাহসি পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল হাজি কেনিয় গনমাধ্যমের কাছে রিতিমত সুপার হিরো তে পরিনত হয়েছিল। যদিও আমাদের দেশে কেউ সুপার হিরো হতে পারে না। কিছু একটা ঘটলে সেটাকে 'সাজানো ঘটনা' বলার প্রতিযোগিতা সুরু হয়ে যায়।

চান মিয়া ১০০ ফিট পানির নীচে নিজের লাইফ লাইন খুজে পাওয়া বাসে বেধে নিজের জীবনের গুরুতর ঝুকি নিয়েছিলেন, রানাপ্লাজায় কায়কোবাদ, খায়েররা নিজেদের জীবনের ঝুকি নিয়ে শাহিনাকে উদ্ধার করতে ড্রিল মেশিন নিয়ে ৪০ ফুট নীচের পাতালে নেমেছিল। নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল অকুতভয় কায়কোবাদ।

আমারা তাকে সেই পরিমান সম্মান দেইনি, বরং রানা প্লাজার লাশ লুকানো হচ্ছে বলেছি, রেশমা ঘটনাও সাজানো বলেছি। পিলখানায় নানক একাই ঢুকেছিল একটি সাদা পতাকা হাতে নিয়ে, কেনিয়ায় আবদুল হাজির কাছে অস্ত্র ছিল, সাথে ছিল দুই-তিনজন সসস্ত্র সহকারি। নানকের সাথে কেউই ছিলনা এরপরও নানককে সুধু 'সাজানো'ই বলা হয় নি, খুনিদের সহযোগী বলে অপবাদ দেয়া হয়েছিল।

কেনিয়াতে হাজি সুপার হিরো বলে সম্মান পেয়েছে, কারন সে দেশটি আমাদের মত মুক্তিযুদ্ধ পন্থি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধি বলে বিভক্ত না, সে দেশে আমাদের দেশের মত রাজাকার প্রতিপালন করা হয় না। তাই সে দেশে আবদুল হাজিরা বিনা বিতর্কে সুপার হিরো।





পরাজিত হওয়ার আগে সন্ত্রাসিরা বিল্ডিংটি উড়িয়ে দেয়ার জন্য বিষ্ফোরন ঘটায়, এতে ভবনটির একটি অংশ ধসে পরে।





৫ দিন পরেও নিরাপদ হয়নি ওয়েষ্টগেট সপিংমল, লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোজে সৈনরা।



কেনিয় সামরিক বাহিনী কয়েক বার সপিংমলটি জঙ্গি মুক্ত নিরাপদ ঘোষনা করার পরও ভেতর থেকে জংগিদের চোরাগুপ্তা গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

ওয়েষ্টগেট সপিংমলটিতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ছিলনা বললেই চলে, অপর্যাপ্ত cctv তাও বেশির ভাগ ছিল বিকল। cctvর নিয়ন্ত্রন ভবনটির ভেতরে হওয়ায় কোন কাজে আসে নি। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালানোর সময় জংগিদের অবস্থানের ব্যাপারে অন্ধকারেই ছিল পুলিশ।



আমাদেরও সতর্ক হতে হবে

মুম্বাই গ্রান্ডতাজ হোটেল হামলা, রাশিয়াতে স্কুলে চেচেন হামলা ও সম্প্রতি নায়রোবি ওয়েষ্টগেট সপিং মলে হামলা থেকে আমাদেরও শিক্ষা গ্রহন করা উচিত।

বসুন্ধরা সহ দেশের বড় বড় সপিংসেন্টার, সংসদভবন, বাইতুলমকারম মসজিদ ও বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন ভবনের cctv নিয়ন্ত্রন ভবনের বাহিরে একটি গোপন যায়গায় করতে হবে। ভেতরে সাদা পোষাকে দোকানির ছদ্দবেশে নিরাপত্তা কর্মি থাকা বাধ্যতামুলক করতে হবে, তাতে পুরনো পদ্ধতির তার যুক্ত যোগাযোগ থাকবে যাতে ভবনে জ্যামার দিয়ে সন্ত্রসিদের মোবাইল বা বেতার যন্ত্র অকেজো করা হলেও নিরাপত্তা স্টাফদের যোগাযোগ অটুট থাকে। প্রতিটি ফ্লোরের অন্তত একটি দেয়াল গোপনে চিহ্নিত করে রাখতে হবে, যে দেয়ালটি রিয়েল অপারেশনের সময় বিষ্ফোরনে উড়িয়ে দিয়ে কমান্ডো প্রবেশ করবে ফায়ারব্রীগেডের লিফটার দিয়ে।



আমাদের অবস্য একটি প্রশিক্ষিত এন্টি টেরোরিষ্ট স্কোয়ার্ড আছে, 'সোয়াট' মার্কিন সহযোগিতায়। আরো দরকার।



ছবির কপিরাইট: - রয়টারস, সানডে টেলিগ্রাফ ও এসোসিয়েটেড প্রেস। কিছু গুগল থেকে প্রাপ্ত।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

হেডস্যার বলেছেন:

চরম চমৎকার একটা পোষ্ট পড়লাম। খুব ভালো লাগছে। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: কেন কালো বিড়াল ধরে বিডিয়ার পিলখানায় নেয়া হয়েছিল তার কথা উল্লেখ করলেন না ।
সরকার এর বিডিয়ার এর সাজানো বিদ্রোহে কি ভুমিকা ছিল তা পাবলিক জানে। এখানে নানক এর ওখানে যাওয়াটাও ভন্ডামি । কারণ প্রথম গিয়েছিল এরশাদই । তারপর নানক সাহারা বেকুব টা

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
না জেনে মন্তব্য করবেন না।
এরশাদ গিয়েছিল শেষদিন, সবাই অস্ত্রসমর্পন করে নিরাপদ ঘোষনার পর।
Click This Link

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি কালো বিড়ালকে তখনি লাথি দিয়ে বের করে দিতে বলেছিলাম।
আমার সেই দিনের লিখাটি দেখুন।
Click This Link

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
নৃশংস হত্যাকান্ড দেখলাম .... ভয়াবহ!
পোষ্টের ছবিগুলো একে একে দেখলে মনে হবে একশান থ্রীলার মুভি দেখছি!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, খুবই নৃশংস ভয়াবহ ঘটনা, কিন্তু আমাদের মিডিয়াগুলো এ ঘটনাকে খুব সামান্যই গুরুত্ব দিয়েছে।
আমাদের ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোকে এ থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

সাদা রং- বলেছেন: খুব ভালো লিখছেন, বিশেষ করে শেষে বাংলাদেশের চান মিয়া, কায়কোবাদ, খায়েরদের নাম লিখলেন খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুর্ধষ ডুবুরি চান মিয়া, অকুতভয় ফায়ার ফাইটার আবুল খায়ের, মৃত্যুঞ্জয়ী কায়কবাদ।
এরা অতিমানব। এরা বীরত্ত্বের প্রতীক হয়ে থাকবে দেশবাসির মনে।
কিন্তু আমরা তাদের প্রাপ্ত সম্মান দেই নি।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভয়ঙ্কর ব্যাপার, এই খুনিদের কোন একটা এজেন্ডা নাই, এটা ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ কামাল ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন, খুনি সন্ত্রাসিদের কোন এজেন্ডা বা দাবি নেই, এমনকি কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যও নেই।
মুম্বাই তাজ হোটেল অবরোধ, রাশিয়ান স্কুল অবরোধের সময়ও তাদের কোন দাবি ছিল না। ৯-১১ তে বিমান দখল করেও বলে নি - 'আমাদের এই দাবি মেনে নাও নতুবা টুইনটাওয়ারে বিমানটি চালিয়ে দেব'!
এদেরকে ব্রেনওয়াশ করে সেখানো হয় - 'মানুষ হত্যা করাই যেহাদ'!

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

ভার্চুয়াল সেলেব্রেটি বলেছেন: আপনার উপস্থাপন ছিল চমৎকার তবে, সত্যিই ভয়ংকর।
আমাদেরকেও সতর্ক হতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার উপস্থাপন চমৎকার!
প্রসংসার জন্য ধন্যবাদ।

তবে সানডে টেলিগ্রাফ ও ডেইলি মেইলে আরো নাটকিয় ভাবে উপস্থাপিত ছিল। পুরোটা অনুবাদ করে দিতে পারলে পোষ্ট অনেক লম্বা হয়ে যেত।তাই কয়েকটা ছবি সিলেক্ট করে খুবই সংক্ষিপ্ত ভাবে দিয়েছি।

আমাদের অবস্যই সতর্ক হতে হবে।

করাচি, মুম্বাই, নায়রোবি তে হামলা হতে পারলে ঢাকাতেও হতে পারে। আমাদের আগাম সতর্কতা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিতে হবে।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
:(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: :|

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: সোয়াট নেভীর।মনে হচ্ছে নৌবাহিনীকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।এটায় দরকার।উন্নত দেশগুলোতে নেভীকে বেশী গুরুত্ন দেওয়া হয়।বাংলাদেশেরও ভৌগলিক গুরুত্বানুসারে নেভীকে গুরুত্ন দেওয়া দরকার সেভাবেই।

ইসরাইল থেকে কমান্ডো আনতে হল দেখে অবাক হলাম।বোঝায় যাচ্ছে কেনিয়ার নিয়মিত সেনারা অতটা শক্তিশালী না কেননা এধরণের সিচ্যুয়েশনে বাংলাদেশের রেগুলার আর্মি এনাফ।ঘটনা ডিটেলস পড়তে পেরে ভালো লাগল কিন্তু আবদুল হাজি মনে হয় নেভীর বলে পড়েছিলাম সেদিন মূল খবরে,পুলিশের না।লিংক পেলে দিয়ে দেব।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার মনে হয় ভুল হচ্ছে। আপনি সিল ও সোয়াট কে গুলিয়ে ফেলেছেন।
'সিল' আমেরিকান নেভি পরিচালিত পৃথিবীর অন্যতম সেরা আন্টিটেররিষ্ট ফোর্স।
'সোয়াট' হচ্ছে আমেরিকার বন্ধু দেশ সমুহে আমেরিকার ট্রেনিং ও আমেরিকান অস্ত্রে সজ্জিত আন্টিটেররিষ্ট স্কোয়ার্ড।

ইসরাইল থেকে কমান্ডো আনাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, ইসরাইল-কেনিয়া বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। ১৯৭৯ এ ইসরাইলি যাত্রীবাহি বিমান হাইজ্যাক করে কেনিয়ার প্রতিবেশী উগান্ডায় অবতরন করে যাত্রিদের জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। ইসরাইল জিম্মিমুক্ত করতে এলে তাদের কমান্ডবাহি C130 বিমান রিফুয়েলিং অনুমতি দিয়েছিল কেনিয়া।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার ধারনা ভুল। এধরনের সিচ্যুয়েশনে রেগুলার আর্মি মোটেই উপযুক্ত নয়।

সাধারনত কনভেনশনাল মিলিটারি কমান্ডো ইউনিট গুলোকে ট্রেনিং দেয়া হয় ঝটিকা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ধ্বংশকান্ডের মাধ্যমে একটি শত্রু স্থাপনা দ্রুততার সাথে দখল করে নেয়ার ট্রেনিং। সেখানে শত্রু এলাকায় সিভিল নিরাপত্তা বিবেচনা নেয়ার খুব একটা সুযোগ থাকে না।

সেটা দেখা গেছে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ ভাঙ্গার প্রাণঘাতী প্রস্তুতি দেখে। প্রথমে নির্বিচারে ভারি আর্টিলারি হামলা, প্রতিরোধ দুর্বল হওয়ার পর ট্যাঙ্ক প্রবেশ করে হামলা করে পরাস্ত করা, জিম্মি নিরাপত্তার কোন প্রস্তুতি চোখে পরেনি।
Click This Link


সিল ও সোয়াট এর মত স্পেশ্যালাইড আন্টিটেররিষ্ট স্কোয়ার্ডগুলোর ট্রেনিংএ প্রধান বিবেচ্য থাকে জিম্মি ও সিভিল নিরাপত্তা।
তাদের কাছে থাকে বিশেষায়িত হাইটেক অস্ত্র। কম ধ্বংশকারি রকেট চালিত গ্রেনেড (RPG), দরজা বা দেয়াল ভেঙ্গে ঢুকার জন্য স্বল্পশক্তির এক্সপ্লোসিভ, যাতে অপর প্রান্তে থাকা লোকজন বেশী আহত না হয় বেশীরভাগ সৈনিকদের হাতে মেসিনগানের বদলে থাকে লং ব্যারেলের স্নাইপার রাইফেল। এরা প্রয়োজনে প্রচলিত বাহিনিগুলো থেকে ইউটিলিটি সহায়তা নেয়। প্রয়োজনে যৌথভাবে অপারেশন চালায়।

আবদুল হাজি পুলিশের। আমি কনফার্ম। সুত্র - সানডে টেলিগ্রাফ। লিঙ্কটা হারিয়ে ফেলেছি, খুজে পেলে দিব।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: দূ:খিত হাসান ভাই ভূলটা আমারই হইছে বানানের গন্ডগোল :P নেভীর সোয়াডসের সাথে আমেরিকার সোয়াট মিলিয়ে ফেলসি।সময় করে বিস্তারিত এপোস্টে দেখতে পারেন:
Click This Link

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ। পোষ্টটি আগেই পড়েছি।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

লোপা এসহক বলেছেন:
সত্যিই ভয়ংকর ব্যাপার!
আপনার ছবি উপস্থাপনা চমৎকার হয়েছে।

তবে জঙ্গিদের শেষ পরিনতি কি হল, তা তো বললেন না..

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কেনিয় কতৃপক্ষ প্রেসনোটে জানিয়েছে হামলাকারি জংগিরা ৬ জন ছিল। যদিও প্রথমে বলা হয়েছিল হামলাকারিরা ১৫-১৬ জন।
এদের সবাই নিহত হয়েছে। চার জনের নাম জানা গেছে। এরা সবাই আল-কায়দার সহযোগি সোমালিয়ার আল-সাবাব এর সদস্য।

আবু বারা আল-সুদানী। (কমান্ডার)
লিষ্টেড সন্ত্রাসি, সুদানী নাগরিক, তবে দির্ঘদিন সোমালিয়াতে বসবাসরত।

ওমর নাবহান।
লিষ্টেড সন্ত্রাসি, সোমালিয়ান।

খাত্তাব আল-কিনি।
সোমালিয়ান, মোগাদিসু বস্তির টপ টেরর।

উমার।
নামের বাকি আংশ জানা যায় নি, ন্যাসনালিটিও অজ্ঞাত।

আর বাকি দুজন জংগির পরিচয় জানা যায়নি।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
আমাদেরও সতর্ক হতে হবে
ওয়েষ্টগেট হামলা থেকে আমাদেরও শিক্ষা গ্রহন করা উচিত।
পোষ্টে + +

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বর্বর সন্ত্রাসি-জঙ্গিদের হাত থেকে আমরা মোটেই নিরাপদ নই।
আমাদেরও অবস্যই সতর্ক হতে হবে

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৮

নীল জানালা বলেছেন: ছাগল তোমার সবি ভালো। ভালোনা শুধু আওয়ামি চামচামি। খালি খালি নানকের মতন এক রাজাকারেরও অধম শুওররে হিরো বানানির চেস্টা কেন করালা? নানক যখন হাসিনার টেকার বস্তা নিয়া সুইস ব্যাংকে রাখতে যায় সেইটাওতো দুঃসাহসি কাজ। হাসিনার লাইগা ডক্টরেট/পুরস্কার মাগতে নানান জায়গায় ধর্না দেয় সেইসবও বল। ঐগুলাও নানকের দুঃসাহসিকতার পরিচয় বহন করে। তোমার নিজের কথা বল। তুমি যখন আওয়ামিলীগের পক্ষে লেখ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র মোটেই পরিবেশ বিপর্যয়ের কারন হবেনা, ঐটাও দুঃসাহসি রাজাকারীয় কান্ড। লেখ... শালা পয়সা কামানির আর কোন উপায় যখন নাই তখন আওয়ামী চাটুকারিতা কৈরাই কামাও। তাও খায়া বাঁচ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার চলছে, দুটি তদন্ত কমিশন রিপোর্ট হয়েছে, একটি আর্মির নিজস্য তদন্ত কমিশন। কোন তদন্তেই নানককে বিদ্রোহের সাথে সামান্যতম সংশ্লিষ্টতা দেখাতে পারেনি। বেঁচে যাওয়া শতাধিক সেনা অফিসারের অনেকেই আদালতে শাক্ষ্য দিয়েছেন। এজাবৎ কোন বিদ্রোহী রিমান্ডেও নানকের নাম বলে নি, আসামির কাঠগড়ায় দাড়িয়েও বলেনি। নিশ্চিত ফাঁসির আসামী কখনো মিথ্যা বলে না।

তাহলে কিসের ভিত্তিতে নানককে খুনি বলছেন?

রক্তপিপাসু উল্লোসিত হায়নারা অপেক্ষা করছিল আরো রক্তপাতের, নানক নিজের জীবনের গুরুতর ঝূঁকি নিয়ে বিদ্রোহের অবসানের চেষ্টা করে। আর কোন রক্তপাত ছাড়াই বিদ্রোহের অবসান হলে হতাসায় মুষড়ে পরে হায়নার দল।
এরপর বিরস ভাবে বলে - নানকই হত্যাকারিদের সহযোগী।

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক আগের একটা লেখা। আপনার পোস্টের ভাবার্থের সাথে মিলে কিছুটা। তাই লিংক দিয়ে গেলাম

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আজ বিবিসি এ ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য দিয়েছে।
ভবনের আংশিক বিধ্বস্ত অংশে আরেক জঙ্গির লাশ পাওয়া গেছে। BBC বলছে - তার নাম -

Hassan Abdi Dhuhulow.
Aged 23, born in Somalia
Family fled Mogadishu to Norway in 1999, when he was 9
Returned to Somalia in 2009
Attended training camp in El-Bur, according to al-Shabab sources
Previously involved in operations in Mogadishu and Kismayo, al-Shabab says

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

েবনিটগ বলেছেন: ++++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

মো কবির বলেছেন:
যদি এই ঘটনা কোন মুসলিমের কারনে হতো কিংবা কোন মুসলিম সম্প্রদায়ের যোগ সুত্র খুঁজে পাওয়া যেত তাহলে এতক্ষণে পশ্চিমা মিডিয়া উঠে পড়ে লেগে যেত মুসলিমদের পেছেন আরো কিছু বানিয়ে পুরো পৃথিবীতে মুসলিমদের দোষী বানাত।


ধন্যবাদ এই সাহসী পুলিশ অফিসার আবদুল হাজি ভাইকে।
তার দুঃসাহসী অভিযানের জন্য।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ঘটনায় জরিত সবাই মৌলবাদি মুসলিম।
এরা সোমালিয়া ও সুদানি মুসলিম সম্প্রদায়ের, আলকায়দার আদর্শে সোমালিয়াতে অর্গানাইজড।

যোগসুত্র সবই খুঁজে পাওয়া গেছে কিন্তু ব্রীটিশ ও মার্কিন মিডিয়া কোন ক্ষেত্রেই সাধারন মুসলিমদের দায়ী করেনি, বরং মুসলিম পুলিশ অফিসার আবদুল হাজির প্রসংসায় পঞ্চমুখ!

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: এই নিউজটা পেপারে এতো ডিটেইল ছিল না। জানানোর জন্য ধন্যবাদ

০৩ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা, খুবই নৃশংস ভয়াবহ ঘটনা,
কিন্তু আমাদের পত্রিকা ও মিডিয়াগুলো এ ঘটনাকে খুব সামান্যই গুরুত্ব দিয়েছে। ডিটেইল ছিলনা কোন রিপোর্টিং।
আমাদের ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোকে এ থেকে শিক্ষা নেয়ার আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.