নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যার ধরন দেখলেই বোঝা যায় ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিজস্য শক্তিশালি চ্যানেল ব্যাবহার করে জেনেছিল যে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনার মেসেজ পাঠিয়ে যান, এই নির্ভরযোগ্য সুত্রটি ধরে মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় প্রথম পাতায় লিখে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনা করে গেছেন।



তৎকালিন বা বর্তমান আওয়ামীলীগের সকল ভাষন শেষ হত 'জয়বাংলা' বলে। ৭ই মার্চের ভাষন সেভাবেই শেষ হয়েছিল 'জয়বাংলা' বলে। ভাষনের সুর বলে এখানেই ভাষন সমাপ্ত। উর্দু ভাষায় 'জিয়ে পাকিস্তান' বলে ভাষন শেষ হয়েছে একথা বিশ্বাসের অযোগ্য। মিথ্যার ধরন দেখলেই বোঝা যায়।

সম্পুর্ন ভাষনটি ৮ই মার্চ থেকে বেতারে বার বার প্রচারিত হয়েছে। এর অডিও রেকর্ড বিবসি রয়টার্স সহ সারা বিশ্বে সংরক্ষিত আছে, রেডিও পাকিস্তান করাচিতেও রেকর্ডের সম্পুর্ন কপি আছে। সত্য কখনো চাপা থাকেনা।





উনি বলছেন মুজিব বা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ছিল না।

গাধা কাকে বলে?

মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি জনযুদ্ধ, মোটেই সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ ছিলনা। মুজিব মোটেই সামরিক বাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকেন নি, কবে ওরা বিদ্রোহ করে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধিন করে দিবে!

মুজিবের মুল শক্তি ছিল জনগন। ৬ দফার মাধ্যমে মোটামুটি শান্তিপুর্ন ভাবেই পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সহিংসতা ছাড়া শান্তিপুর্ন ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ বানানোর প্রচেষ্টা কালরাতের পুর্ব পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তাই ২৫ শে মার্চ পাকি জান্তা ব্যপক হামলা চালালে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিপুল জনমত ও বিশ্ব জনমত শৃষ্টি হয়, আবাল খন্দকারের মত বেংগল রেজিমেন্ট কে আগেই বিদ্রোহের আহবান জানালে পাকিদের গনহত্যা বৈধতা পেত, আর আমাদের অবস্থা হত তামিল টাইগারদের মত ৫০ বছর যুদ্ধ করেও ফলাফল শুন্য।



১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ কারা করেছিল?



১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে সংগঠিত ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

৪৭ এর পর থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল।



আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ত্ব দিয়েছিল, মুক্তিবাহিনী সংগঠিত করেছিল। মুজিবনগর সরকার গঠিন করেছিল।



সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ত্বে আস্থাশীল হয়ে মুক্তিকামী সকল জনগন মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাঙ্গালি সামরিক সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্বক জনমত থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই মুক্তিযুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছে।



সবচেয় আপত্তিকর ব্যাপার উনি বলছেন উনি কোন স্বাধীনতার মেসেজ পাঠিয়ে যান নি, এতদিন রাজাকারেরা যা বলে এসেছে নির্লজ্জের মত সেটাই রিপিট করলেন। অতচ শত্রুপক্ষ পাকিস্তান ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিজস্য শক্তিশালি চ্যানেল ব্যাবহার করে জেনেছে যে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনার মেসেজ পাঠিয়ে যান, এই নির্ভরযোগ্য সুত্রটি ধরে মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় প্রথম পাতায় লিখে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনা করে গেছেন।



এখানে রাজাকাররাই সুধু 'কনফিউজ' খুজে বেড়ায়।

মুক্তিযুদ্ধ সুধু ৯ মাসের বন্দুক নিয়ে সামরিক যুদ্ধের ইতিহাস নয়।

৫০ দশক থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের ভেতরে বহু ত্যাগ স্বীকার করে জনমত সংগঠিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।



যেসব মিথ্যা ইশু নিয়ে রাজাকাররা এতদিন লাফালাফি করেছে, সেইসব মিথ্যা করে সমর্থন করে বই লিখলে তাকে কি বলা যায়?

দেখছেন না ফরমায়েসি বইটি নিয়ে রাজাকাররা আর রাজাকারের বাচ্চারা বইটি নিয়ে কেমন লাফাচ্ছে!!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩২

চা-ওয়ালা বলেছেন: +

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ

২৮ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অবশেষে একে খন্দকারেরর বোধদয়।
দেখুন।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১

ট্রোল বলেছেন: ডাউনলোড করে দেখি বইএর পেজ ২৩


নিস:ন্দেহে এটাতে কাচা হাতের লেখার ছাপ পাওয়া যায়

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিঃসন্দেহে কাচা হাতের ফরমায়েসি লেখা।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: উনারা আমেরিকার দুতাবাসের টেলিগ্রামকে বিশ্বাস করেন না কিন্তু লোভ এবং ক্ষোভের প্রভাবে লিখাকে বিশ্বাস করেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ নিজস্য শক্তিশালি চ্যানেল ব্যাবহার করে জেনেছিল যে মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনার মেসেজ পাঠিয়ে যান,
এই নির্ভরযোগ্য সুত্রটি ধরে মার্কিন ও বিশ্ব মিডিয়ায় প্রথম পাতায় লিখে -
মুজিব গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতা ঘোষনা করে গেছেন।

মার্কিন টিভি চ্যানেলগুলো এই খবর টি ফলাও করে প্রচার করে। বিশ্বের প্রায় অর্ধশতাধিক সংবাদপত্র মুজিবের ঘোষনার খবরটি প্রথম পাতায় স্থান দিয়েছিল।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩০

ইমরান সামি ব্লগ বলেছেন: এইবার তবে এই বেটারেও রাজাকার বানানোর মোক্ষম সময় আইসা পড়ছে।বুঝতাছিনা কিছুই।।। দিন দিন রাজাকার আর আই এস আই এর দালালদের লিস্ট বাড়তাছে খালি।। তাও আবার মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিকগো লিষ্টে থাকাহেরাই।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রাজাকার বানানোর কিছু নেই।

কেউ যদি বিশেষ স্বার্থে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে,
সে অবস্যই রাজাকারের সহযোগি।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮

জহিরুলহকবাপি বলেছেন: এখানে রাজাকাররাই সুধু 'কনফিউজ' খুজে বেড়ায়।
মুক্তিযুদ্ধ সুধু ৯ মাসের বন্দুক নিয়ে সামরিক যুদ্ধের ইতিহাস নয়।
৫০ দশক থেকেই দির্ঘ সংগ্রামের ভেতরে বহু ত্যাগ স্বীকার করে জনমত সংগঠিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি জাতির সবচেয়ে বড় গর্ব মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও তার দোশররা বিভিন্ন অপকর্ম করিয়ে যাচ্ছে।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

আশমএরশাদ বলেছেন: মিথ্যা বলে বলে তারা আমাদের আর কত কষ্ট দেবে। আর কত পরিশ্রম করবো আমরা। দোহাই মিথ্যুকের দল একটু সবুর কর।
ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য। কলম থামালে চলবে না। দাঁতাল শুকরেরা উৎ পেতে আছে বাম আর ডানে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এ.কে.খন্দকার দ্বারা ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা দেখে বাংলাদেশের জন্ম বিরোধীরা খুশিতে বগল বাজাচ্ছেন।

তারা মনে করছেন “জয় পাকিস্থান” আর্বিভাব হওয়াতে “জয় বাংলা” ও আওয়ামীলীগ দলের উপর খরগ নেমে এসেছে। এতে তাদের এক হাত বদলা নেয়া হয়েছে।

মজার ব্যাপার হলো তারা বুঝে না বুঝেই খন্দকার সাহেবের ভক্ত বনে গিয়েছেন। বিষয়টা যতটুকু ছোট শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ মূলতঃ তা মোটেও ছোট নয়। এখানে একটি দেশের জন্মের মহান ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। যা রাস্ট্র বিরোধী ফৌজদারী অপরাধ।
এই অপচেস্টা সুধু অাওয়ামীলীগের ক্ষতি করা হয়েছে ভাবার কোন অবকাশ নেই। এটা রাস্ট্রের সবচেয়ে গর্বের বিষয় মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা ধারাবাহিক মিথ্যা অপপ্রচারকারিদের আরো উল্লাশ করার সুযোগ দিল।

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্যের উপর কোন আলোচনা করবো না, কারণ এই আলোচনায় যেতে চাইনা। একটা স্বাধীন দেশে জন্ম নিয়েছি বলে সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞ। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক, এটাই আমার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ঐতিহাসিক কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে নিজেকে জড়াতে চাই না।

ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সী (ডিআইএ) আর সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সী কিন্তু এক নয়। ডিআইএ সরাসরি ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স এর অধীনে কাজ করে আর সিআইএ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অধীনে কাজ করে। আমাদের দেশে ডিজিএফআই, এনএসআই, এসবি, ডিবি, এএসইউ, এফআইইউ, এফআইএস ইত্যাদি গোয়েন্দা সংস্থা আছে। এরা ভিন্ন ভিন্ন কার্যালয়ের অধীনে কাজ করে। ডিএফআই এবং সিআইএর বিষয়টাও কিন্তু ঐরকম।

সিআইএ কিন্তু ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র তথা ডাব্লিউএমডি থাকার কথা নিশ্চিত করেছিলো। পরবর্তী ইতিহাস সবার জানা।

কে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলো আর কে দেয় নাই, তা নিয়ে আমি আর ইন্টারেস্টেড নই। কে যুদ্ধ করলো আর কে করলো না, কে রাজাকার আর কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে শরণার্থী শিবিরে কাটিয়েছে আর কে সোনাগাছিতে কাটিয়েছে তা আমাকে আন্দোলিত করে না। শুধু একটা বিষয়ই বুঝি, দেশের কোন ক্ষতি করবো না, দেশকে বিক্রি করবো না, দেশকে নিয়ে ব্যাবসা করবো না, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করবো না। যতটুকু পারি, দেশের জন্য করে যাব।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টটিকেও সন্দেহ করলেন?

নিউইয়োর্ক টাইমস, BBC, NBC News, ABC News, রয়টার্স সহ সকল বিশ্ব মিডিয়া কমপক্ষে ৩টি সোর্স থেকে সত্যতা নিশ্চিত না পেলে প্রাপ্ত নিউজ রিপোর্টটিকে 'আনকনফার্ম রিপোর্ট সেইজ' বলে সংবাদটি সুরু করে।

আপনি আবার সন্দেহ প্রকাশ করে বলবেন - ওরাও তো মাঝে মাঝে ভুল রিপোর্ট করে।

আপনি ব্যাবসা করবেন না বলছেন, কিন্তু এইসব চিপা মন্তব্য অপশক্তিকেই ব্যাবসা করার সুযোগ করে দেয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন রাইট ও তথ্য অধিকার আইনের বলে হোম ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সকল গোপন রিপোর্ট ৩০ বছর পর ডি ক্লাসিফাইড করে দেয়।

সেই হিসাবেই এই গোয়েন্দা রিপোর্টটি বেশ কয়েক বছর আগেই অবমুক্ত করা হয়েছিল।

পরবর্তিতে এই ডিআইএ গোয়েন্দা রিপোর্টটিতে ভুল পাওয়া গেলে এটি কোন মতেই ডি ক্লাসিফাইড করা হত না।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: হুম!!!

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৬

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমার চিপা মন্তব্য নিয়ে চিন্তিত না হয়ে আপনার ত্যানা পেচানো বন্ধ করুন। এবার পূরো মন্তব্য পড়ুন।

ডিআইএর রিপোর্ট টি আমি বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করছি না। কেন জানতে চান?

ইন্টেলিজেন্স একটি কঠিন কিন্তু মজার খেলা। আপনি কতগুলো তথ্য পাবেন। সেগুলো কালেক্ট করে ডিসিমিনেট করে, এ্যানালাইসিস করে একটা ডিডাকশনে পৌছাবেন। দিনের শেষে হয়ত দেখবেন আপনার ডিডাকশন পুরোটাই বা আংশিক ভুল। গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরীর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পরিচিত কেউ থাকলে তাকে জিজ্ঞাসা করে বিষয়টি যাচাই করে নিতে পারেন। প্রতিদিন শত শত তথ্য আসে, কিন্তু তার সামান্য অংশেরই ইন্টেলিজেন্স ভ্যালু থাকে। এবং তারো বেশ কিছু অংশ পরবর্তীতে ভুল ডিডাকশনে পর্যবসিত হয়।

বংগবন্ধু ২৫ মার্চ রাতে স্বাধীনতা দিয়েছেন কি দেন নাই তা নিয়ে গল্প বেশী হয়ে গেছে। কেউ বলে রেডিওতে দিয়েছেন, কেউ বলে লিখে গিয়েছিলেন যা অন্য কেউ পাঠ করেছে, কেউ বলে ইপিআরের ওয়ারলেসে দিয়েছেন। এত ত্যানা পেচানোর কি আছে? ৭ই মার্চে কি পরিষ্কার ভাবে বলেন নি "এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম"? কিভাবে বিচ্ছিন্ন হতে হবে তা কি নির্দেশনা দিয়ে যান নি? পরিষ্কার দিয়েছেন। কলকারখানা চলবে কি চলবে না, টাকা তোলা যাবে কি যাবে না অনেক কিছুই বলেছেন।

মাইয়া মুচকি হাসি মারলেই বুঝে যায় "আই লাভ ইউ"। বংগবন্ধুর সময় "আই লাভ ইউ" মুখেই বলা লাগবে? কথার ধরন থেকেই বুঝে নেওয়া এমন কোন রকেট সাইন্স না।

বংগবন্ধু জয় পাকিস্তান বলে থাকলেই বা সমস্যা কোথায়? উনাকে যদি ঐমুহুর্তেই গ্রেফতার করা হত, তাহলে দৃশ্যপট আজ অন্য থাকতে পারতো। উনি বাকি যা বলার তা তো বলেই দিয়েছেন।

বাস্কেটবল খেলেছেন কখনো? বাস্কেটবলে প্লে-মেকার খুব কমই ল্যাপ নিয়ে স্কোর করে। সে মূলত পোস্টের ২ খেলো্যাড়কে দিয়ে স্কোর করায়। পোস্টের ঐ প্লেয়ার ২ টারে বল ঠিকমত বানিয়ে দিতে না পারলে স্কোর হবে না।

বংগবন্ধু ছিলেন প্লে-মেকার। তিনি পুরো মাঠ নিজে খেলে স্কোর করার মত বল বানিয়ে দিয়েছিলেন ৭ই মার্চের ভাষনে। ৭ই মার্চের ভাষন যদি না হত, ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টের কোন ইউনিটই বিদ্রোহ করত না বলে আমার লজিক্যাল এ্যাসাম্পশন। সেনা ইউনিটুলো বিদ্রোহ করেছিলো, কেননা তারা পরিষ্কার জানত যে যেহেতু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মত স্বাধীনতার দিকে, সেহেতু ঝুঁকি নেওয়া যায়। ৭ই মার্চের ভাষন না হলে তৎকালীন মেজর জিয়া বলেন, আর জনাব এম এ হান্নান বলেন, কেউ ঘোষনা দিতেন না বা ঘোষনাপাঠ করতেন না, (যাই আপনার শুনতে ভালো লাগে)।

২৬শে মার্চ ১৪৩০ ঘটিকায় এত বড় বিষয় নিয়ে ডিআইএ যে রিপোর্ট তৈরী করেছে, তা আমি বাইবেল হিসাবে ধরি না। ইন্টেলিজেন্স খুব কঠিন এক খেলা। অভিজ্ঞ যে কারো কাছ থেকে খোঁজ নিতে পারেন।

আবারো একই, কিন্তু শেষ কথা। এত ত্যানা পেচানোর দরকার নেই। ৭ই মার্চের ভাষন যথেষ্ট। সেটা নিয়েই মানুষকে বোঝাবেন। কাউকে দাওয়াত করে খাওয়ালে সে খাবে, হাত ধুবে, পরে মলত্যাগ করবে, তারপরে শৌচকর্ম করবে। দাওয়াত করার পরে যাকে হাত ধোয়া, মলত্যাগ ও শৌচকর্মের কথা বলে পরিষ্কার করতে হবে, তার সাথে তর্কে না যাওয়াই ভালো।

আর যে সিআইএ এক লাদেনকে খুঁজে পেতে ১০ বছর সময় নেয়, ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র মজুদ আছে বলে যুদ্ধ বাধিয়ে পরে ঘোড়ার ডিমও পায় না, সেই সিআইএ (ডিআইএ) এর এতবড় ঘটনার ১২ ঘন্টা পরের রিপোর্ট নিয়ে আমাকে না বোঝালে ধন্য হব।

ধন্যবাদ।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার সাথে একমত।
৭ই মার্চের ভাষন যথেষ্ট।

বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চেই যা বলার বলে ফেলেছিলেন -

প্রত্যেক মহল্লায়, শহরে, গ্রামে, ইউনিয়নে যার যা অস্ত্র, লাঠিসোটা আছে তাই নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্যে সংগ্রাম পরিষদ (যুদ্ধপ্রস্তুতি) ....... আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ..........
... এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। এরপর মানুষের উল্লোসিত চিৎকার ....


সেদিন রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ জনতা উত্তেজিত হয়ে বসেছিল মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করবেন, ...... বহু মানুষের হাতে বৈঠা-লাঠি …. সেই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে উর্দু ভাষায় ‘জিয়ে পাকিস্তান’ বলেছেন একথা বিশ্বাসের অযোগ্য।

লেখক খন্দকারের কাঁচা হাতের মিথ্যার ধরন দেখলেই বোঝা যায়।

মুজিব জিয়ে পাকিস্তান বলেছিলেন তার বছর খানেক আগে একটি সেমিনারে।
৭ই মার্চের জিয়ে পাকিস্তানের কথা আগে যারা বলেছিলেন সামসুর রহমান ও জাস্টিস হাবিবুর রহমান, তারা পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করে বইয়ের পরবর্তি এডিশনে ঐ বাক্যটি মুছে দিয়েছিলেন।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫০

াহো বলেছেন:

বই / ভিডিও প্রয়োজন নেই .বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কে, প্রথম রাষ্ট্রপতি কে এসবই বলা আছে .
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ ১০ এপ্রিল ১৯৭১
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিব নগর থেকে স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র জারি করা হয় এবং এর মাধ্যমে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।
স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর । যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।

সেদিন মুজিবনগরে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

এপ্রিল ১৭ তারিখে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন.


========================

২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া, আমেরিকান বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের নানা রিপোর্ট রয়েছে। যা রিপোর্ট করা হয়েছিল সেটা অবিকৃতভাবে দেয়া হলো
এখানে ।

লিস্টের কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হল রিপোর্টিং ডেইটসহ:

১. আমেরিকান ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সী (২৬শে মার্চ, ১৯৭১)

২. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট টেলিগ্রাম (৩১শে মার্চ, ১৯৭১)

৩. আমেরিকান সিনেট রিপোর্ট (জুলাই ২৭, ১৯৭১)

৪. নিউ ইয়র্ক টাইমস ,The Times UK(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)

৫. ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল (২৯শে মার্চ, ১৯৭১)

৬. টাইম, নিউজউইক (৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৭. বাল্টিমোর সান (৪ই এপ্রিল, ১৯৭১)

৮. আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেইট- রিসার্চ স্টাডি (ফেব্রুয়ারী ২,১৯৭২)
9-Times of India 27 March 1971


===========================

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,


যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান; এবং
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
মুজিবনগর, বাংলাদেশ
তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১




=======================



তাজউদ্দীনের ভাষণ

২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্থ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের যুদ্ধকালীন প্রথম ভাষণ
জিয়া সহ পাঁচ সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ তাদের যুদ্ধের জন্য
তাজউদ্দীনের ভাষণ link---http://www.samakal.net/2013/07/23/7512
Click This Link





=========================
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
(কার্যকর ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ ডিসেম্বর ১৬ তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান)


(১০ এপ্রিল, ১৯৭১)

যেহেতু ১৯৭০ সালের ০৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি শাসনতন্ত্র রচনার অভিপ্রায়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল

এবং

যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ১৬৭ জনই আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত করেছিলেন

এবং

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান একটি শাসনতন্ত্র রচনার জন্য ১৯৭১ সালের ০৩ মার্চ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন

এবং

যেহেতু আহূত এ পরিষদ স্বেচ্ছাচার ও বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়

এবং

যেহেতু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলাকালে একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে

এবং

যেহেতু উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একটি বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনাকালে বাংলাদেশের অসামরিক ও নিরস্ত্র জনসাধারণের বিরুদ্ধে অগুনতি গণহত্যা ও নজিরবিহীন নির্যাতন চালিয়েছে এবং এখনো চালাচ্ছে

এবং

যেহেতু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অন্যায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে ও নিজেদের সরকার গঠন করতে সুযোগ করে দিয়েছে

এবং

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের দ্বারা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডের উপর তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে

সেহেতু

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পক্ষে যে রায় দিয়েছে, সে মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য বিবেচনা করে আমরা বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এতদ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি

এবং

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন

এবং

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক হবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানই ক্ষমা প্রদর্শনসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী হবেন,

তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য নিয়োগ করতে পারবেন,

রাষ্ট্রপ্রধানের কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের এবং গণপরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবির ক্ষমতা থাকবে এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্যে আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি, যে কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধানকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসেবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছে তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, আমাদের স্বাধীনতার এ ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে কার্যকরী বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্যে আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে ক্ষমতা দিলাম এবং রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করলাম।

==================================


নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
Click this link for online archive of
নিউ ইয়র্ক টাইমস

Click This Link



LEADER OF REBELS IN EAST PAKISTAN REPORTED SEIZED; Sheik Mijib Arrested After a Broadcast Proclaiming Region's Independence DACCA CURFEW EASED Troops Said to Be Gaining in Fighting in Cities -Heavy Losses Seen

The Pakistan radio announced today that Sheik Mujibur Rahman, the nationalist leader of East Pakistan, had been arrested only hours after he had proclaimed his region independent and after open rebellion was reported in several cities in the East.
New York Times - Mar 27, 197


---------------------====================================================================================================================

1971/1972 সংবাদপত্রে
বিএনপি নেতার নাম খুঁজে পাচ্ছি না.
নিউ ইয়র্ক টাইমস
নিউজউইক
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে

===================

বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973






লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় ২৭শে মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর




নিউ ইয়র্ক টাইমস
(২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর





-Times of India 27 March 1971
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার খবর






এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971


এটা 75 এর 07 November পত্রিকা.Where it said Zia announce 27 March 1971



একে খন্দকার স্বীকার করছেন তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয় সংস্করণে নিজেই স্বীকার করছেন যে, প্রথম সংস্করণে তিনি সঠিক তথ্য ব্যবহার করেননি।
৩২ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় স্তবকে আমি লিখেছিলাম– এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। আসলে তা হবে ‘এই ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’।’’

যিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দেবেন তিনি ইতিহাসের ওই সময়টাতে ‘এমএলএ’ ছিল, নাকি এমপিএ ছিল সেটা জানবেন না, তা কী করে হয়? যদি না-ই জানেন, তাহলে তো স্পষ্টত বোঝা যায় তিনি রাজনীতির খবরাদি রাখতেন না, সেই সময়ের সরকারের অনুগত হিসেবে বিমানবাহিনীর চাকরিটিই ঠিকমতো করে গেছেন। তো, যিনি ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণের রাজনীতির গতিধারা সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতেন না, তিনি জাতিকে ইতিহাসের বয়ান দিতে আসেন কীভাবে? Click This Link




আব্দুল করিম খন্দকার
২৫ মার্চ ১৯৭১, রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে তাদের ঢাকা বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।
১২ মে ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যু্দ্ধে যোগ দেন। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১০ এপ্রিল ১৯৭১।

মুজিবনগর সরকার যে সরকারের প্রধান ছিলেন শেখ মুজিব, তাদের কাছ থেকেই মাসে মাসে মাইনে নিয়েছে জনাব আব্দুল করিম খন্দকার। কেন, কী কারণে আব্দুল করিমের ৪৭ দিন সময় লেগেছিলো পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করতে সে কারণটি অজানাই রয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষে ছোট একটি পদে থেকে মার্চ-এপ্রিল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কী ঘটেছে তা অনুমান করা নিঃসন্দেহে দূরহ কাজ এবং সেখানে সেই পাকিস্তানি দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করা অসম্ভব।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: 'জিয়ে পাকস্তিান' ছাড়া আর কোথায় কোথায় মিথ্যে কথা আছে? সামান্য এ দুটো শব্দের জন্য মুক্তযুদ্ধের উপ সর্বাধিনায়ককে ছুড়ে ফেলে দিলেন? তার বাকি কথাগুলোর কোন মূল্য/বিশ্লেষণ ছাড়াই?

সম্ভবত চার্চিলের একটা কথা আছে, ভিক্টররাই ইতিহাস রচনা করে। ড্যান ব্রাইনের উক্তি:

History is always written by the winners. When two cultures clash, the loser is obliterated, and the winner writes the history books-books which glorify their own cause and disparage the conquered foe. As Napoleon once said, 'What is history, but a fable agreed upon?”

সেই জন্য আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা বিজয়ের পরে যে ইতিহাস রচনা, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করেছে---তাকে আমি অন্ধের মত বিশ্বাস করিনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে যেটা বুঝানো হয়---সেটা দল হিসেবে আওয়ামীলীগের নিজস্ব প্রণীত দলীয় মূলনীতি---যেটার বিষয়ে ২০১৪ তে এসে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন নাও থাকতে পারে। দেশকে স্বাধীন ও শত্রু মুক্ত করার জন্য জাসদ যদি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিত, তখন মার্কসবাদ-লেলিনবাদ মানেই হতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।


বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি---যাকে রাজাকারদের সহযোগী বলা হয়েছে, শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, "সে জামাতের সোল এজেন্ট"---সেই কাদের সিদ্দিকির বিরুদ্ধের অগণিত নিরীহ, নিরাপরাধ বিহারি নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ মানুষদের গণহত্যা করার ইতিহাস আছে।

এ কে খন্দকার যদি মোশতাকের সংসদে শপথ নেয়, তাহলে তাকে কেন মন্ত্রিত্ব দেয়া হলো---বঙ্গবন্ধু বিরোধী-বিদ্বেষী তাহেরকে কেন আওয়ামীলীগ এখন পুজো করছে --এসব বুঝতে কষ্ট হয়না। এই ইনু/জাসদ বঙ্গবন্ধুর আমলে কত সন্ত্রাস আর বোমাবাজি করেছে---তার বিচার কে করবে?


জিয়ে পাকিস্তান সত্য না মিথ্যা, তার চাইতে বড় কথা নিচের লেখকদের সমালোচনা করার আগে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ককে হামলা করে বসাটা কতটুকু ভদ্রোচিত?

বই - "আমার জীবনে একাত্তর" - সাংবাদিক নির্মল সেন ,প্রকাশকঃ বর্তমান সময়, দেখুনঃ বইয়ের ১১ পৃষ্ঠা

বই - "জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ৭৫" - অলি আহাদ,দেখুনঃ বইয়ের ৩৮৬ পৃষ্ঠা

বই - " A sector commanderremembers Bangladesh Liberation War 1971" -কর্নেল নূরুজ্জামান।

বই- "বাংলাদেশের তারিখ"- জাস্টিস হাবিবুর রহমান,দেখুনঃ পৃষ্টা ৩৮

বই- "বলেছি বলবো" - শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন , দেখুন পৃষ্টা ৩৭

বই - "বেহাত বিপ্লব ১৯৭১" - আহামেদ ছফা ও সলিমুল্লাহ খান

কলাম - "যেভাবে আমরা পেলাম দিনটি’ - আতাউস সামাদ দৈনিক যুগান্তর, ৭ মার্চ ২০১১


একটু গভীর গবেষণা করলেই জানতে পারবেন, কবি শামসুর রাহমান ছিলেন মূলত পাকিস্তান পন্থী। মরার আগ পর্যন্ত তার পাকিস্তানের প্রতি ভালোভাসা ছিল । ক্ষোভ ছিল শুধু পাকিস্তান মিলিটারি আর সরকারের প্রতি।

অধুনা কোথাকার কোন মাহবুবে আলম এসে কামাল হোসেন আর আমীর উল ইসলামকে রাজাকারের দোসর বলছেন। আপনারা পারেনও!

এসব করে আপনারা শত্রু বাড়াচ্ছেন এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। ইজরায়েল যেমন তার বিরোধিতা শুনলেই এন্টি-সেমিটিক বলে অসভ্যের মত সবাইকে গালি দিয়ে বেড়ায়, আওয়ামীলীগের অবস্থা তেমনি---তারা যাকে তাকে রাজাকার বা রাজকারের দোসর বলছে।


একটা মহাসত্য হল বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতা পাবার জন্য তদবির চালিয়ে গেছেন। দেশদোহীতার ভয়ে তাজউদ্দিনের কাগজে পর্যন্ত সই করেননি।

পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ আপনার । তারা এই ক্ষমতা হস্তান্তরে ঘাউরামিটা না করলে, দেশটা স্বাধীন হয়না। আর অবশ্যই জিয়াউর রহমানকে ধন্যবাদ জানাবেন। জিয়া যদি রাজাকারদের পাকিস্তুন থেকে ফিরিয়ে না আনতেন, আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতির দায়মুক্তি করতে পারতেন না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
একটি জাতির সবচেয়ে বড় গর্ব সবচেয়ে কষ্টের আবেগের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, বঙ্গবন্ধু খুনিচক্র ও তার দোশররা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে দির্ঘদিন জাবৎ বিভিন্ন ভাবে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। খন্দকারের বক্তব্যে এই চক্রের উল্লাশ দেখেলেইই বোঝা যায় কোন পক্ষের ফরমায়েসে এই বই। এই নির্লজ্জের দল দেশের সম্মানের বারোটা বাজিয়ে হলেও খুনি স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের পক্ষে কাজ করে।

কবি শামসুর রাহমান
ত্রুটি স্বীকার করে লজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থণা করে পত্রিকায় বিবৃতি ছাপিয়েছেন।

আহামেদ ছফা – চ্যালেঞ্জের জবাবে দ্বিধান্বিত, ঠিকঠাক মনে নেই বলে স্বীকার করছেন,

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলাদেশের তারিখ’ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ থেকে দুঃখ্যপ্রকাশ করে বইটি থেকে জয়পাকিস্তান শব্দটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বাকি লেখকরা এসব না জেনেই শামসুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের বইয়ের উধৃতির রেফারেন্স দিয়েই লিখেছেন।

কিন্তু ‘জিয়ে পাকিস্তান’ পন্থি স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও ছাগুপ্রেমিরা এখনো তাদের বই থেকে উধৃতি দিয়ে লাফাচ্ছে …..

সত্য খুজতে টাইম মেসিনে চড়া লাগেনা।

মুল ব্যাপারটা হচ্ছে ইতিহাস নিয়ে আগে কোন বিতর্ক বিকৃতি ছিলনা। মুজিবকে হত্যার পর হত্যাকারি চক্র ও তাদের দোশররা সুপরিকল্পিত ভাবে ইতিহাস বিকৃতি সুরুকরে।

মুল সত্য জানতে শত্রুপক্ষ অর্থাৎ পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল রিপোর্ট দেখুন।
৭১এ মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও বহুল আলোচিত পাকিস্তান বিচার বিভাগীয় তদন্ত হামিদুর রহমান কমিশন রিপোর্টে বিদ্রোহে জিয়াউররহমানের ভুমিকার কোন কথা লেখা নেই, শত পাতার রিপোর্টিতে পাকি দৃষ্টিতে ৭১এর সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত হয়েছে, এসব রিপোর্টে পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য সুধু মুজিব ও আওয়ামীলীগকে কে দায়ী করা হয়েছে। জিয়ার কোন নাম খুজে পাবেন না ঘোষনা তো দুরের কথা।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৪

াহো বলেছেন:


জয় পাকিস্তান ত্রুটি স্বীকার

কবি শামসুর রাহমান
করে লজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থণা করলেও এখনো তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে 'জিয়ে পাকিস্তান' বলে চিৎকার করে যাচ্ছেন অনেকে।
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
বাংলাদেশের তারিখ' বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ থেকেই উধাও হয়ে যায় 'জিয়ে পাকিস্তান' শব্দ দুটি।

আহমদ ছফা
নিজে যেখানে দ্বিধান্বিত, ঠিকঠাক মনে নেই বলে স্বীকার করছেন, সেখানে তাঁকে প্রামাণ্য সাক্ষী মেনে এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন আমাদের 'জয় পাকিস্তান'পন্থীরা!

বদরুদ্দীন উমর
নিজের কানে বঙ্গবন্ধুকে 'জয় পাকিস্তান' বলতে শুনেছেন।এবং সাক্ষী মেনেছেন কবি শামসুর রাহমান,বিচারপতি হাবিবুর রহমান,হুমায়ূন আহমেদ প্রমূখকে।সাক্ষীদের প্রত্যেকেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন আগেই। বদরুদ্দীন উমরের ভুলটা ভাঙবে কবে? আদৌ ভাঙবে কি?"



৬০ পৃষ্ঠায় একে খন্দকার বলেছেন, ‘মেজর জিয়ার ঘোষণাটিকে কোনোভাবেই স্বাধীনতার ঘোষণা বলা চলে না।
মেজর জিয়া রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না বা
ঘোষণা দেওয়ার মতো উপযুক্ত ব্যক্তিও ছিলেন না। যে ঘোষণা চট্টগ্রাম বেতার থেকে তিনি দিয়েছিলেন ঠিক একই ধরনের একাধিক ঘোষণা ২৬ ও ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ও ছাত্রনেতাও দিয়েছিলেন, এমন কি বেতারকর্মীরাও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।’ -
Click This Link





১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.