নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে ইংরেজি বিভাগে ফেল!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

ঢাবি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে ১৩২ জনের জন্য সংরক্ষিত আসনে মাত্র দুইজনের চান্স পাওয়া নিয়ে যারা ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের বংশ উদ্ধার করছেন, তাদের বলি এবার থামেন।
২০০০ সালে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ধারাবাহিক ভাবেই পাশের হার বাড়ছে। উন্নত দেশের আলোকে প্রশ্নপত্র, শৃজনশীল পদ্ধতি আরোপ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, এমসিকিউ, মেশিন রিডেবল রেজাল্ট পদ্ধতি …. ইত্যাদির কারনে পাশের হার ধারাবাহিক ভাবেই বাড়ছে।

আমরা যদি মুল সমস্যার কথা না জেনে চিলের পিছনে দৌড়াই, তবে সমাধান কখনো পাবো না।
আজকের এইই সমস্যার জন্য যতটা শিক্ষামন্ত্রী দায়ী তারচেয়েও বেশি দায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের খামখেয়ালি পদ্ধতি।
একসময় নিয়ম ছিল ইংরেজিতে ১২ মার্কস না পেলে কেউ ইংরেজিতে ভর্তি হতে পারবে না। কিন্তু এবার ইংরেজির বাইরে সিলেবাসে এডভান্স ইংরেজি নামে একটি অংশ যোগ করা হয়েছে, ইংরেজির পাশাপাশি। কেউ যদি ইংরেজিতে চান্স পেতে চায় তবে তাকে অবস্যই ইংরেজির বদলে এডভান্স ইংরেজি আন্সার করতে হবে।
আর্টসের বেশির ভাগ স্টুডেন্ট গ্রামের দিকের, শহরেও, যাদের কাছে মৃত্যু ভয় থেকে ইংরেজির ভয় বেশি। সবাই তিনবার ঢোক গিলে, ইংরেজিতো নয়, একেবারে কঠিন এডভান্স ইংরেজি।
যেখানে ইংরেজিতে পাস করা মানে ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স, তাই তারা ভয়ে কেউ এডভান্স ইংরেজি আন্সার না করে সুধু ইংরেজি আন্সার করে, এই ভেবে যে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট গোল্লায় যাক। ঢাবিতে অন্য সাবজেক্টে চান্স পেলেই হলো। ইংরেজির আশা করে আম ছাল দুইটাই হারাবে নাকি?
কঠিন এডভান্স ইংরেজি যা নাকি অনেক ইংলিশ মিডিয়ামদের এমনকি টিচারদের কাছেও দুর্বোদ্ধ, আন্সার করেনি ইংলিশ মিডিয়াম স্টুডেন্টরাও। এডভান্স ইংরেজি স্কিপ করাতে সংগত কারনেই ইংরেজিতে ফেল এসেছে, কিন্তু অন্য সাবজেক্টের জন্য ঠিকই উত্রে গেছে।
ভর্তি পরিক্ষায় পাশ-ফেল বলে কিছু নেই এটা বুঝতে হবে।
ভর্তি পরিক্ষায় MCQ ও অন্যান্য পদ্ধতিতে মেশিন রিডেবল রেজাল্টশিট ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষাধিক স্টুডেন্টদের থেকে সর্ট-লিস্টেড করে ভর্তির জন্য তালিকা ভুক্ত করা হয় কয়েক হাজার জন ছাত্রছাত্রী মাত্র। এখানে পাশ-ফেল বলে কিছু নেই। এখানে হায় হায় করার মত কিছু হয় নি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

জাফরুল মবীন বলেছেন: অাপনার কথাটা ভেবে দেখার মত।ভার্সিটি তাহলে কিসের ভিত্তিতে ৭৮% বা তার চেয়েও বেশী ফেলের কথা বলছেন?ভর্তি পরীক্ষায় পাশ-ফেলের বিষয়টা কী আরেকটু পরিষ্কার করে বলবেন?

ধন্যবাদ আপনাকে ভাবার মত যুক্তি উপস্থাপনের জন্য।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
‘খ’ ইউনিটের অধীনে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ২ হাজার ২২১ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ৫৬৫ জন।
এতে উত্তীর্ণ বা সর্ট লিস্টেড হয় মাত্র ৩ হাজার ৮৭৪ জন।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগ ইলেক্টিভ ইংরেজি স্কিপ করে যাওয়াতে বিষয়টির উত্তর করেছেন মাত্র ১৭ জন।
তাই MCQ মেশিন রিডেবল রেজাল্টে ইংরেজী বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র ২ জন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: মুল ব্যাপারটি হচ্ছে -

ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিপার্টমেন্টের সিটসংখা ১০০০ ওয়েটিং সহ নিতে হবে ২৫০০
আবেদন করেছে ৪০ হাজার।

ডিপার্টমেন্ট সিদ্ধান্ত নিল এই বিপুল সংখক ভর্তিচ্ছু আবেদনকারিদের বাদ দেয়ার জন্য প্রশ্ন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। সাধারন মাধ্যমের পাঠক্রোমের বাইরে 'ইলেক্টিভ ইংলিশ' বাধ্যতামুলক করে দিল যাতে ইংলিশ মিডিয়াম ছাড়া কেউ না বুঝে।

এই ফোর্সড ইলিমিনেশনের কারনে ৩৭,৫০০ ভর্তিচ্ছু আবেদনকারি পরিক্ষায় বাদ পরে গেল।

এই ৩৭,৫০০ মেধা থাক বা না থাক এদের ফোর্সলি বাদ দিতে হতই।

এদের মেধা নেই, ফেল করেছে, এসব ভাবাটা চরম ভুল।

কিন্তু আজকের টকশো তে দেখলাম নুরুল কবির বলছে -
এই ভর্তি পরিক্ষায় প্রমান হল দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা ধ্বংশ হয়ে গেছে, এরজন্য সম্পুর্ন দায়ী শিক্ষামন্ত্রী!

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ইফতেখার কাদির বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। কারণ, মাত্র ১৭ জন ছাত্র্র্র্র-ছাত্রী ইলেক্টিভ ই্ংলিশ আনসার করছে। তার মধ্যে ২জন চান্স পাইসে। মানুষ খালি সংখ্যা দেখে. ২জন!!!! এর পেছনের ইতিহাস কেউ জানতে চায় না।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন ইফতেকার ভাই।

মানুষ খালি সংখ্যা দেখে. ২জন!!!!
এর পেছনের ইতিহাস কেউ জানতে চায় না।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৯

ভোরের সূর্য বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম যে ইংরেজীতে মাত্র ২জন পাশ করেছে এই ডিপার্টমেন্টে চান্স পাবার জন্য। কিন্তু পুরা খ ইউনিটেই যে ৯০% এর বেশী ফেল করেছে সেটার কি উত্তর হবে? ইংরেজীতে ২জন পাশ এবং পুরো খ ইউনিটেই ৯% এর মত পাশ কিন্তু খুব বেশী পার্থক্য নয়। তাহলে কি পুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতিই ঠিক নয়?

আর আপনি নিজেই ইংরেজী বিভাগে ফেলের উত্তর দিয়েছেন যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ কে দ্বায়ী করে গেল না।

আর্টসের বেশির ভাগ স্টুডেন্ট গ্রামের দিকের, শহরেও, যাদের কাছে মৃত্যু ভয় থেকে ইংরেজির ভয় বেশি। সবাই তিনবার ঢোক গিলে, ইংরেজিতো নয়, একেবারে কঠিন এডভান্স ইংরেজি।
যেখানে ইংরেজিতে পাস করা মানে ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স, তাই তারা ভয়ে কেউ এডভান্স ইংরেজি আন্সার না করে সুধু ইংরেজি আন্সার করে, এই ভেবে যে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট গোল্লায় যাক। ঢাবিতে অন্য সাবজেক্টে চান্স পেলেই হলো। ইংরেজির আশা করে আম ছাল দুইটাই হারাবে নাকি?


বেশীরভাগ স্টুডেন্ট গ্রামের দিকে কিংবা ইংরেজিকে ভয় পাওয়ার জন্য কি ঢাকার ইংরেজী বিভাগ দ্বায়ী? ইংরেজী বিভাগ গোল্লায় যাক যারা এই মনোভাব নিয়ে পরীক্ষা দেয় কিংবা যারা ইংরেজীকে এতই কঠিন মনে করে ঢোক গিলে তাদের জন্য এই ফলাফল একদম ঠিক আছে।

আর ইংরেজী বিষয় টা কিন্তু এমন নয় যে এটা শুধুই একটা পরীক্ষা দেয়ার বিষয় বরং ইংরেজীটা এখন এমন যে আপনাকে, আমাকে জানতেই হবে মিনিমাম বেসিক ইংরেজী তো অবশ্যই কারন সবখানেই এটা লাগে আর পরীক্ষায় পাশ কিংবা ইংরেজীতে পরাশুনা করার জন্য অবশ্যই আমাদের কে আরো মনোযোগী এবং আরো বেশি করে অনুশীলন করতে হবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ত্রুটিপুর্ন প্রশ্ন পদ্ধতির কারনে শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ ইলেক্টিভ ইংলিশ স্কিপ করে যাওয়াতে বিষয়টির উত্তর করেছেন মাত্র ১৭ জন।
তাই MCQ মেশিন রিডেবল রেজাল্টে ইংরেজী বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র ২ জন।

কিন্তু ‘খ’ ইউনিটের অন্যান্য বিভাগে পরীক্ষায় ২ হাজার ২২১ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ৫৬৫ জন।

এতে মেশিন রিডেবল পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ বা সর্ট লিস্টেড হয় মাত্র ৩ হাজার ৮৭৪ জন।

‘খ’ ইউনিটের ইংরেজি ছাড়া ২৯ টি বিভাগে হাজার খানেক সিটের জন্য ওয়েটিং লিস্টের সহ ৩ হাজার ৮৭৪ জন সিলেক্ট হওয়াটা নর্মাল।

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই, আপনার বিষয়টই হচ্ছে পাশ হওয়া বা না হওয়া নিয়ে। আপনিতো পরিসংখ্যান দিয়েছেন কিন্তু আমি সেটিতে যাচ্ছিনা কিন্তু ধরুন কোন বিভাগে সিট আছে ১০০টি। পরীক্ষা দিয়েছেন ৬০০০জন এবং এর মধ্যে ১১০জন সিলেক্ট করবে। ১০০ জন নিবে এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকবে ১০জন তবে এই বিভাগ নির্ধারণ করে দিল যে ঐ ১১০ জনের মধ্যে আসতে হলেও আপনাকে মিনিমাম পাশ নাম্বার পেতে হবে ৫০ করে কিন্তু দেখা গেল ৬০০০হাজার জনের মধ্যে মধ্যে মাত্র ৬০০জন মানে মাত্র ১০% পাশ নাম্বার পেয়েছে। তার মানে ১১০জন পাওয়া গেল ঠিকই কিন্তু সার্বিক রেজাল্টের মান খুবই নিম্ন। তাই শুধু ইংরেজীই না পুরা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালইয়ের একই অবস্থা এবং এটা শুধু আজকের অবস্থা না কয়েকদিন আগে এক ভাই গত পাচ বছরের(এবারেরটার সহ) একটা হিসাব দিয়েছিলেন সেখানে ক্রমাগতই কমে পাশের হার এবং ৫বছ্র আগে খুব সম্ভবত ছিল ২০% এর এখন নেমে এসেছে ১০%।

আর আপনাকে আগেই বলেছি যে গ্রামের দিকের স্টুডেন্ট কিংবা ইংরেজী ভয় পাওয়া বে ঢোক গেলা এগুলো কন যুক্তিই হতে পারেনা।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
‘খ’ ইউনিটের এবারের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯% মানে ৩ হাজার ৮৭৪ জন মোটেই কম নাম্বার পায়নি।

কারন ঢাবি র এবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৪৮ নম্বর না পেলে পাশ তালিকায়ই থাকার কথা না।

সার্বিক রেজাল্টের মান খুবই নিম্ন, একথা ভাবাটা ভুল।

শুশিলরা না বুঝেই হায় হায় সুরু করে দিয়েছে।
ছাগুরা বলছে শিক্ষামন্ত্রী খারাপ, শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।

কিছুদিন পরে তাদের আসল দাঁত বের আইএস-তালেবান-বোকোহারামজাদা দের মত করে বলবে
শিক্ষার দরকার নেই।
স্কুল-কলেজ থাকারই দরকার নেই।
শরিয়া আইনে এসবের কোন স্থান নেই।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১২

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন:
আগে অনেক ভুল ধারনা ছিল।
সম্পুর্ন ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যারিয়ার।

আমরা মেতে উঠেছি এক অসুস্থ নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতায় এবং এর মাধ্যমে আমাদের সুপ্ত নোংড়া রাজনৈতিক জিদ মেটানোর চেষ্টা করছি। একটা সমস্যাকে তুলে ধরতে গিয়ে আমরা নিজেরা আরও সমস্যা তৈরি করছি।
এই সুযোগে ধুর্ত বুদ্ধিজীবিরা শিক্ষামন্ত্রীকে একহাত নিলেন, যা তষ্করের দল এজাবত করতে পারেনি।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন এনে উন্নত দেশের আলোকে ২০০০ সালে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয়। কার্যকরি হয় ২০০১ এর জানুয়ারী SSC পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি আরোপের মাধমে। উন্নত দেশসমুহের আলোকে জিপিএ নির্ধারন করা হয়। মুলত তখন থেকেই পরীক্ষায় নকলবাজি বন্ধ হয়, পাসের হারও বাড়তে থাকে। এর ধারাবাহিকতা পরবর্তি সরকারগুলোও চালু রাখে।
উন্নত দেশের আলোকে প্রশ্নপত্র, সৃজনশীল পদ্ধতি আরোপ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, এমসিকিউ, মেশিন রিডেবল রেজাল্ট পদ্ধতি ইত্যাদি কারনে জিপিএ৫ এর হার ২০০১ থেকেই ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে। অতিরিক্ত জিপিএ৫ এখন একটি মাথাব্যাথার কারন। চাইলেও প্রচলিত সিস্টেম একদিনে পরিবর্তন সম্ভব না।
বিদেশে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাই হয় না, গ্রেডিং দেখেই ভর্তি করে।
আমাদের দেশ বিপুল ঘণবসতির দেশ, বিদেশের সাথে সব ক্ষেত্র তুলনা করলে ভুল হবে।
বিদেশে এক হাজার সিটের জন্য ভর্তিচ্ছু থাকে ম্যাক্সিমাম দেড়-দুই হাজার, আমাদের দেশে এবার ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ! কিন্তু এবার বিপুল সংখক GPA 5 দেখে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগ একটি অনৈতিক নিয়ম আরোপ করে।
এই বিপুল সংখক ভর্তিচ্ছু থেকে হাজার খানেক সিলেক্ট করে লক্ষাধিক স্টুডেন্ট বাদ দেয়ার জন্য কঠিন শর্ত কঠিন পরীক্ষাপদ্ধতি আরোপ করতে নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য এক ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হতে হয়েছে, কে কত জটিল প্রশ্ন করতে পারে! আগে ভর্তি পরীক্ষায় সময় নিয়ম ছিল ইংরেজিতে ১২ মার্কস পেলেই ইংরেজিতে ভর্তি হতে পারতো। কিন্তু এবার ইংরেজির বাইরে সিলেবাসে এডভান্স ইংরেজি নামে একটি অংশ যোগ করা হয়েছে, ইংরেজির পাশাপাশি। কেউ যদি ইংরেজি বিভাগে চান্স পেতে চায় তবে তাকে অবস্যই ইংরেজির বদলে এডভান্স ইংরেজি আন্সার করতে হবে” প্রচলিত মাধ্যমে পড়া ৯৫% ভাগ ভর্তিচ্ছুদের পাঠক্রমে এডভান্স ইংরেজি ছিলনা।
কিন্তু বিধি বাম! যেখানে ইংরেজিতে ফেল মানে ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স শেষ, তাই তারা ভয়ে কেউ এডভান্স ইংরেজি ছুয়ে দেখেনি। শুধু সাধারন ইংরেজি আন্সার করে, এই ভেবে যে ইংরেজি ডিপার্টমেন্ট গোল্লায় যাক। ঢাবিতে অন্য ৩৯ সাবজেক্টের একটি চান্স পেলেই হল। ইংরেজির আশা করে আম-ছালা দুইটাই হারাবে নাকি? কঠিন এডভান্স ইংরেজি যা নাকি অনেক ইংলিশ মিডিয়ামদের এমনকি টিচারদের কাছেও দূর্বোদ্ধ, উত্তর করেনি ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীও। এডভান্স ইংরেজি স্কিপ করাতে সংগত কারনেই ইংরেজিতে ফেল এসেছে, কিন্তু অন্য সাবজেক্টের জন্য ঠিকই উতরে গেছে। MCQ কঠিন হওয়াতে এটি স্কিপ করেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্টুডেন্টরাও। ৪০,৫৬৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৭ জন আনসার করেছে অর্থাৎ ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে চেয়েছে, ১৭ জনের ২ জন পাস করেছে।
বাকি উত্তীর্ন ৩ হাজার ৮৭৪ জন ‘খ’ ইউনিটের ইংরেজি ছাড়া ২৯ টি বিভাগের জন্য ইছে পোষন করেছে, এরা কঠিন শর্তের কারনে ইংরেজি স্কিপ করে গেছে, ফেল করেনি, মতববাজ টকশো তারকারা অবলিলায় বলে যাছে চল্লিশ হাজারে মাত্র ২ জন পাস করেছে! শিক্ষা ব্যাবস্থা গোল্লায় গেছে!

তষ্করের দল ও ছাগুরা সোশাল মিডিয়াগুলোতে এখন বলছে শিক্ষানীতিও খারাপ শিক্ষানীতিও বাতিল করতে হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.