নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকাশ্যে পশু জবাই, কিছু কথা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

ফেবুতে অনেকেই দিচ্ছে, তাই অনেকটা না বুঝেই গরু জবাইয়ের একটি ছবি ফেইসবুকে পোষ্ট করেছিল ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
রক্তাক্ত বিভৎস ছবি ফেবুতে অনেক দেখা গেলেও জনপ্রিয় একজন ক্রিকেটারের একটি বড় পাবলিক পেইজে থাকা অসোভন।
বাঙালি তরুণ প্রজন্ম সহ অনেকেই সে পোষ্টে মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছবিটি সরিয়ে নেয়ার আবেদন করে, প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়ায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করে। মুশফিককে সেই ছবি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জা্নায়। তারপর আর কোন বিতর্ক ছাড়াই মুসফিক সেই ছবি সরিয়ে ফেলে।
চারিদিকে চাপাতি-কোপাকুপি ভেতর এতোটা "প্রকাস্য প্লেসে রক্তাক্ত" ছবির বিরুদ্ধে এতটা সোচ্চার মানবিক অনুভূতি দেখে আজ আমি অনেকটা বিস্মিত আবেগাপ্লুত হয়ে যাচ্ছি। আমরা তো এমন বাংলাদেশই চেয়েছিলাম।
চ‍্যানেল আই পেইজে লিখেছে "বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম পশু জবাইতো দূরের কথা, কোরবানির পশুর রক্তও দেখায় না। এটাই অলিখিত কোড অব কন্ডাক্ট, এটাই সাধারণ সভ্যতা।"
পাকিস্তান-বাংলাদেশ বাদে আর কোন দেশের শহরে প্রকাশ্যে পশু জবাই দেয়া যায় না, ৯০% মুসলিম সংখাগরিষ্ঠ রাজধানী কুয়ালালামপুর, জাকার্তা, সিঙ্গাপুর, দুবাই, কাতার, ইস্তাম্বুল কোথাও প্রকাশ্যে গরু তো দুরের কথা একটি মুরগিও জবাই দেয়া যায় না, পৌর কতৃপক্ষের রেজষ্টার্ড কশাইখানাতেই সব জবাই, কোরবানি হয়।
আমরাও সেটাই চাই।
আমাদের তিন নবনির্বাচিত মেওর এই নিয়ম প্রাথমিক ভাবে নাগরিকদের অভ্যস্ত করার লক্ষে নগরের কয়েকটি মাঠ নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, কিন্তু পর্যাপ্ত কাঠামো, সুবিধা না থাকায়, সফল হয় নি।
এটা সুরু মাত্র।
আমি কোরবানির বিরুদ্ধে না, পশু হত্যা বিরোধী কোন শুশিলও না।
কোরবানি ওয়াজিব, এটা আছে থাকবে। তবে পরিচ্ছন্নতা মানসিকতা উন্নত চাই।
আমি চাই একদিন ঢাকাতেও পর্যাপ্ত সুবিধা সহ লাইসেন্সেড পাবলিক কশাইখানা থাকবে। অন্যন্য শহরের মত ঢাকার রাস্তা কখনো কোরবানির দিন রক্তে ভেসে যাবে না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে পুরাপুরি একমত। সরকার ঢাকাতে এই বছর চালু করেছে। আশা করা যায় এক সময় পুরা দেশ এর আওতায় আসবে। বহুদিন ধরে চলে আসা ঐতিহ্য ভেঙ্গে নতুন কিছু চালু করতে সময় লাগবে।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
কোন দেশের শহরে প্রকাশ্যে পশু জবাই দেয়া যায় না।
আমাদের দেশে দির্ঘদিন প্রচলিত একটি প্রতিষ্ঠিত নোংড়ামি দূর করতে সময় লাগবে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পশ্চিমারা সভ্যতার মানদন্ড ঠিক করে না, মানুষের সামাজিক সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সভ্যতার মানদন্ড অনেকে না চাইলেও গ্রাজুয়ালি পরিবর্তিত হয়।
মানুষের উন্নত আচার আচরন সোভন-অসোভন এসবই আপেক্ষিক ব্যাপার।
আড়াই কোটি বছর আগে মানবকুল আবির্ভাব হওয়ার পর প্রায় ৯৫ ভাগ সময় বনে জঙ্গলে গুহায় কাটিয়েছে।
এরপর মানুষ দুর্যোগ সামলাতে গোত্রবদ্ধ হয়েছে, পরে ধিরে ধিরে সমাজগঠন হয়েছে শিল্প বিপ্লব হয়েছে, যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে প্রবেশ করেছে। প্রতিটি ধাপে ধাপে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পালটে উন্নততর হয়েছে। বেশি দিন না মাত্র ২০-৩০ বছর আগে "বিদেশে পানি কিনে খেতে হয়" কথাটা শুনে হাসতাম, তখন আমারা বাইরে নরমাল পানিই খেতাম। এখন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে। আগে মানুষ যত্রতত্র ময়লা ফেলতো, এখন বাসা থেকে ময়লা নিয়ে যায়। এটাই সোভন, যত্রতত্র ফেললে অসোভন। যা অল্পদিন আগেও সোভন ছিল।
মাত্র দেড়শো বছর আগেও কৃতদাশ প্রথা চালু ছিল, রসুলুল্লাহ (স) আমলে ব্যাপকভাবে চালু ছিল। তখন এসব সবার কাছেই সোভন ছিল। এখন চরম অসোভন। কোন কট্টোর মোল্লাও এখন বলতে পারবেনা "রসুলুল্লাহ (স) আমলে ছিল, তাই এটা সুন্নত, দাশ প্রথা থাকতে হবে"।
প্রচলিত নাগরিক সভ্যতা বহাল থাকলে দিন দিন দৃষ্টিভঙ্গি উন্নতভাবে বদলাবেই।
প্রকাশ্যে জীবহত্যা, প্রকাস্য বলি, জবাই এমনকি প্রকাস্যে মুরগীজবাইও অন্যান্ন দেশের মত এদেশেও বন্ধ হবে। রক্তাক্ত ছবি প্রদর্শন সম্পুর্ন বন্ধ হবে। হতেই হবে, আশেপাসের দেশে হয়েছে, মুসলিম ও আরব দেশগুলোতে সম্ভব হয়েছে। আমাদের দেশ ব্যাতিক্রম থাকবে না।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি ছবি গণ মাধ্যমে দেয়া যাবে, সেটা ঢাকা ইউনিভার্রসিটি থেকে পাশ করা জার্নালিস্টরাও জানে না, ইডিয়টস

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কয়ডা সাংবাদিক দেখছেন ঢাকা ইউনিভার্রসিটি থেকে পাশ করা?

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সুমন কর বলেছেন: চ‍্যানেল আই পেইজে লিখেছে "বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম পশু জবাইতো দূরের কথা, কোরবানির পশুর রক্তও দেখায় না। এটাই অলিখিত কোড অব কন্ডাক্ট, এটাই সাধারণ সভ্যতা।"

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের সমাজে স্পর্শকাতর একটি বিষয়।
দির্ঘদিন প্রচলিত একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্মিয় আচার পালনে সুস্থতা ও পরিচ্ছন্নতা আনতে সময় লাগবে।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৩

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন: বাংলাদেশী গণমাধ্যম অনেক লাশের ছবি না জেনেই আংশিক বা সম্পুর্ন দেখায়।
বিশ্বের কোনো গণমাধ্যম লাশের আংশিকও দেখায় না।
ফ্রান্সের জঙ্গি হামলায় নিহত ৯ জনের একটি লাশের ছবিও কেউ দেখেনি।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠিক বলেছেন
বিশ্বের কোনো গণমাধ্যম লাশে বা রক্ত আংশিকও দেখায় না।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.