নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলছে চলবে

হাসান কালবৈশাখী

আমি দুর্বার, আমি ভেঙ্গে করি সব চুরমার। আমি কালবৈশাখীর ঝড়! আমার ফেসবুকইডি www.facebook.com/norwstorm

হাসান কালবৈশাখী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের প্রাইভেসির সর্বচ্চ লেভেল

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের প্রাইভেসির সর্বচ্চ লেভেল।
আমেরিকার মত নিরাপত্তা কাতর গোয়েন্দাবহুল দেশেও সুধু গ্রেফতার হলে (পুলিশ) বা ইমিগ্রেশন কাউন্টার (হোমল্যান্ড সিকুরিটি) ছাড়া কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার অধিকার কারও নেই। নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ না করলে সোশাল সিকুরিটি কার্ড, চাকুরি পেতে, ফোন কিনতে, বন্দুক/পিস্তল কিনতে বা অন্য কিছু করতে হাতের ছাপ কেউ নিতে পারে না। এই আমেরিকান প্রাইভেসি অধিকার ৮০ দশকেই মার্কিন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে বা বিদেশে যেতেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট লাগে না, সুধু ফিরে আসার সময় সে যেই হউক সম্প্রতি গঠিত 'হোমল্যান্ড সিকুরিটিকে' হাতের ছাপ দিতে হয়।



আমাদের মত অনিরাপদ, দেশ যার বিপুল ঘণবসতি, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, তখন হাওয়া ভবনের তৈরি অতিরিক্ত দেড় কোটি ভুয়া ভোটার। তাই ২০০৮ এ অতিগুরুত্ত্বপুর্ন নির্বাচন ও প্রথমবার ছবিসহ ভোটার তালিকা + NID করতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে কেউ হ্যাসিটেট করে নি।
আমার নিজস্য মত, আমেরিকার মত 'কেউ অপরাধ করে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে বাধ্য করে প্রাইভেসি বিপন্ন করার অধিকার কারো নেই।
NID করতে সরকারকে একবার হাতের ছাপ দি্যেছি, দরকার হলে ভেরিফিকেশন করতে আবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিব, কিন্তু বেনিয়া ফোন কম্পানীকে দেয়ার কোন মানে হয় না।
কিন্তু এখন চলছে যত্তসব ননসেন্স!!
কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়া চলতে থাকা কিছু অসাধু বেনিয়া টেলকম মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে এই অতি একান্ত ভয়ানক ডাটাবেস উম্মুক্ত করে দিয়ে রাষ্ট্রের এবং নাগরিকদের জীবন বিশ্বব্যাপি অনিরাপদ করার মচ্ছব চলছে!
ফিঙ্গারপ্রিন্ট একজন মানুষের চূড়ান্ত লেভেলের প্রাইভেট ম্যাটার,
এ জিনিস বিক্রিকরে কোন মহলের হাতে তুলে দিয়ে সারা বিশ্বে আমাদের জীবন বিপর্যস্ত করার সুযোগ দেয়ার কোন মানে হয় না।
আমার ধারনা মার্কিন গোয়েন্দারা অলরেডি আমাদের দেশের সমুদয় NID (with fingerprint) ডটাবেস হস্তগত করেছে। সেটা তত্তাবধায়ক সরকার কে হাত করে বা ঘুষ দিয়ে হস্তগত করেছে। এছাড়া তারা বিশ্বের সকল ফোনকল রেকর্ড করে, এটা ওপেন সিক্রেট। সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলারের ফোনও আড়িপেতে ধরা খাওয়ার পর আরো নিশ্চিত জানা যায়। হাতের ছাপ তো নিয়েছেই, এখন এরা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এদেশের মানুষের অতি গুরুত্ত্বপুর্ন DNA নমুনা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আমার নিজের চোখে দেখা, সেদিন স্কোয়ার হাসপাতালে এক রোগি দেখতে গেছিলাম, এর আগে আনোয়ারখান মর্ডানেও এরকম একজন দেখেছিলাম। একজনের অপেক্ষায় বসে আছি, পাসে একজন রিপ্রেজেন্টিটিভ দেখে আলাপ জমানোর চেষ্টা করলাম, কোন কম্পানী?
না ভাই, মেডিকেল রিপ্র না। বললো "স্যাম্পলের জন্য বসে আছি"।
যা বুঝলাম, ব্লাডটেষ্ট সম্পন্ন হওয়ার পর বারকোড/নাম্বার সহ পরিত্যাক্ত স্লাইড/টিউব নামের তালিকা সহ একটি এনজিওর কাছে চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। রাত ১০টার পর সে এগুলো নিয়ে যাবে।
জিজ্ঞেস করলাম এগুলো দিয়ে কি করেন? বললো "পরিক্ষা/গবেষনা এইসব ... আর জানি না"।
বললাম ভাই অফিস কোথায় আপনাদের? বলে পল্লবি, মিরপুর। আমি তিনমাস হল এই অফিসে কাজ পাইছি, বেশি কিছু জানিনা।
বোঝাই যাচ্ছে কারা নিচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার পরিত্যাক্ত রক্তনমুনা। এত ভয়ঙ্কর ব্যাপার জনসমক্ষে চলছে। দেশের তো দেখার কেউ নেই। মা বাপ কেউ নেই।

ফোন/সিম কিনতে বা রেজিষ্ট্রশন করতে আবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার কোন মানে হয় না। সরকার দরকার হলে আবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে NID রিভেরিফাই করুক, শুধু সরকার করুক। সিম কিনতে সুধু NID/Passport/Driving licence/জন্মনিবন্ধন যথেষ্ট। দরকার হলে চোদ্দবার ভেরিফাই করুক। দ্বিতীয়বার সুধু মোবাইল কম্পানীকে সমুদয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া বিপর্যয়কর হবে। হচ্ছে।

অবৈধ সিম কার্ড ব্যবহার রোধে শুরু থেকে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, তার অধিকাংশই সরকার করতে ব্যর্থ হয়েছিল। সম্ভবত এর ব্যাপকতা কেউ অনুধাবন করতে পারেনি।
সরকারের ব্যার্থতার মধ্যে অন্যতম ছিল, সিম কার্ড সহজলভ্যতা এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বিনা মূল্যে ফুটপাতে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।
দ্বিতীয়টি হলো, সিম কার্ড অ্যাকটিভেশনে সরকারের বা বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণ না রাখা। ফুটপাত থেকে সিম কার্ড কিনে তখনই তা সচল করা হচ্ছিল। যার ফলে সিম কার্ড ব্যবহার করে অপরাধ করার পথটি পরোক্ষভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বললে ভুল হবে না। তৃতীয়টি হলো, মুঠোফোন অপারেটরদের যতেচ্ছ ভাবে সিম কার্ড বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধির কৌশল। এর মাধ্যমে অবৈধ VOipরা টোকাই, হতদরিদ্র মহিলার নামে ১৬ হাজার সিম কিনে নিরাপদে ব্যাবসা চালিয়ে গেছে।

২০০৮ এ সরকার যখন ভোটার আইডি বা NID জাতীয় পরিচয়পত্র যখন করা হলো, তখন কিন্তু শুরুতেই তৃতীয়পক্ষের হাতে এর ডাটাবেইজ হস্তান্তর করতে চায় নি সরকার। কারণটুকু খুবই ন্যায়সঙ্গত... জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা।
আমাদের দেশে নাগরিক পরিচিতির জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বিভিন্ন কাজে পাবলিক তথ্য সংগ্রহ করে সম্পুর্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে, এসব সংস্থা ডাটা সংগ্রহের সময় কখনোই অন্য সংস্থার ডাটা মিলিয়ে দেখে না। তাই সবার নামেই গোজামিল, বানানে ভুল, পিতার নামে মাতা, জন্মতারিখ উল্টাপাল্টা,
১। আদমসুমারির ডাটা,
২। ইপিআই টিকাদান, জনস্বাস্থ ডাটা
২। সিটি কর্পরেশনের হোল্ডিং ডাটা,
৩। ভোটার আইডি বা NID জাতীয় পরিচয়পত্র।
৪। MRP পাসপোর্ট।
৫। ড্রাইভিং লাইসেন্স।
৬। জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট

অন্তত NID, MRP, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জন্মনিবন্ধন, এই ৪ টি পরিচয় পত্র সমন্নিত অর্থাৎ একই ডাটা থাকা উচিত।
সময় বেশী লাগলেও এসব ত্রুটিমুক্ত করে এর যে কোন একটি মারফত সিম ভেরিফাই/বিক্রি করা যাতে পারে।
সিম ও সেট একজনকে দু-তিনটির বেশী অনুমতি না দেয়াই উচিত।

সিম ও সেট একসাথে নিবন্ধিত না হলে সরকারের মুল উদ্দেস্য সফল হবে না।
সিম ক্রয়ের সময়ই সেট/ডিভাইস নিবন্ধন করতে হবে, বা QR কোড বা ভিন্ন এক্টিভেশন কোড মারফত নিজেই নিবন্ধন করবে। সিমগুলোর সাথে সেট সমন্নিত করতে হবে, অর্থাৎ একব্যক্তির সিম অন্যকেউ বা ভিন্ননামে নিবন্ধিত সেটে কাজ করবে না। সেট হস্তান্তর/বিক্রি করলে ক্রেতার সিমের মাধ্যমে পুননিবন্ধন করতে হবে। সেট/ডিভাইস IMEI নম্বর ITU সমর্থিত একটি ইউনিক নম্বর। সিম-সেট সমন্নিত ভাবে নিবন্ধিত হলে ডুব্লিকেট চাইনিজ ডুব্লিকেট IMEI বা জিরো IMEI র দৌরাত্ত্ব বন্ধ হয়ে যাবে। প্রচলিত ভিওআইপি সিষ্টেমে কোন হ্যান্ড সেট ব্যবহৃত না হলেও ভিন্ন কৌশলে একটি IMEI থাকার কথা, তা না হলে বাংলাদেশী মোবাইল অপারেটর সিম কাজ করার কথা না।
এভাবে সিম ও সেট নিবন্ধনে মোবাইল চোর ও VOIP মেসিনগুলো অকার্যকর করা সম্ভব।

সিম ভেরিফিকেশনের কাজটি করবে সরকারের পক্ষে বিটিআরসি। বা সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন মোবাইল কম্পানীও করতে পারে। সেটা করতে হবে NID / passport / Driving licence / জন্মনিবন্ধন, এই চার রকম ডকুমেন্ট যেকোন একটি মারফত। ভেরিফিকেশনে গরমিল পাওয়া গেলে সংশোধনের সুযোগ রেখে সিম কার্ড সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া যাবে। আর একজন ব্যক্তির নামে একই অপারেটরের দুটির বেশি সিম নিবন্ধন দেওয়া ঠিক না, (দিয়েছে ২০টি) একজনকে ২০টি সিমের অনুমতি দিলে একজন টোকাই বৈধভাবেই একশতটি সিমের মালিক হতে পারে, এতে সরকারের মুল উদ্দেস্য ব্যাহত হবে, অবৈধ voip র বৈধ প্রসার হবে। টেলকমের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডারের নিয়ন্ত্রন ১০০% বিটিআরসির থাকবে।

বায়োমেট্রিক আংগুল ছাপ সিম রিরেজিষ্ট্রেশনের যে মহাযজ্ঞ চলছে এর মারফতেই আমাদের NID ত্রুটিমুক্ত করা যেত। সিম ও সেট রেজিষ্ট্রি হয়ে বিপদমুক্ত হত রাষ্ট্র।





আমাদের বাংলাদেশটি একটি কাঁটাতারে ঘেরা জলবায়ু বিপর্যয়ে বিপন্ন পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনে অসাধু বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে জড়িত করা ঠিক হচ্ছে না। এরা যে হাসপাতালগুলোর মত এসব বিক্রি করে দিবে না তার কি গ্যারান্টি? আমেরিকা তো অলরেডি নিছেই, এবার ভারত নিবে। যে কোন মুল্যে কিনে নিবে। মাস মাইগ্রেশন ঠ্যাকাতে তাদের এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটাবেস খুবই প্রয়জন। নবাগতদের ঘাড় চেপে বলবে শালা জঙ্গি! 'তুইনা বাংলাদেশে থাকস ... থাইকা সিম কিনছিলি'।
আর DNA পাইলে আম্রিকা বলবে - "তুই কিছু না করে থাকলেও তর বাপে করছিল"।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

বিজন রয় বলেছেন: কোন সমস্যা নেই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সমস্যা নেই বলছেন?
এদেশ শুধু দরিদ্র ঘনবসতির দেশই না। নাগরিকরাও অধিকার সচেতনতায়ও দরিদ্র।
আপনার দেয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপনার বিরুদ্ধেই ইউজ হলে ভাল?

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনে অসাধু বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে জড়িত করা ঠিক হচ্ছে না। এরা যে হাসপাতালগুলোর মত এসব বিক্রি করে দিবে না তার কি গ্যারান্টি? আমেরিকা তো অলরেডি নিছেই, এবার ভারত নিবে। যে কোন মুল্যে কিনে নিবে। মাস মাইগ্রেশন ঠ্যাকাতে তাদের এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডাটাবেস খুবই প্রয়জন। নবাগতদের ঘাড় চেপে বলবে শালা জঙ্গি! 'তুইনা বাংলাদেশে থাকস ... থাইকা সিম কিনছিলি'।
আর DNA পাইলে আম্রিকা বলবে - "তুই কিছু না করে থাকলেও তর বাপে করছিল"।

মেইনস্ট্রীম মিডিয়াতো এক্কবারে স্পিকটি নট!!!!!

তিনারে মন্ত্রীর বানানোর টার্গেটই কি ইরাম ছিল নি? মন্ত্রী হইয়া আমাগো ডাটাবেজ কইরা দিবা!!!!!

ভাবনার বিষয়। ++++

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কি আর বলবো ভাই, দেশের তো দেখার কেউ নেই।
নাগরিক নিরাপত্তা? মনে হচ্ছে মা বাপ কেউ নেই।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আমি শুরুতেই পত্রিকার মন্তব্যে উল্লেখ করেছি একবার আইডি করার জন্য নেয়া হল আবার কেন? লক্ষ্য করবেন মুল সার্ভারের খোজ নেই যা থানায় বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভেরিফিকেশন কাজে লাগে। সরকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আঙ্গুলের ছাপ নিচ্ছেনা নিচ্ছে মোবাইলের জন্য। হটাত মোবাইল এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো কেন? আপনার বাকি বিষয়ে সহমত ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নাগরিক নিরাপত্তা দেখার কেউ নেই।
মুল সার্ভারের কোন খবর নেই যা থানায়, বিমানবন্দরে বা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভেরিফিকেশন কাজে লাগে।
সরকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আঙ্গুলের ছাপ মুল সার্ভারের সাথে মিলিয়ে কখনো দেখেছে বলে শুনি নি।
এখন নিচ্ছে নিচ্ছে মোবাইলের জন্য। হঠাৎ মোবাইল এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো?
এখন ফুটপাতের দোকানেও দেখি "বায়োমেট্রিক সিম বিক্রি / নিবন্ধন চলছে"

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

লিংকন১১৫ বলেছেন: আর DNA পাইলে আম্রিকা বলবে - "তুই কিছু না করে থাকলেও তর বাপে করছিল"।
ভাই অস্থির বলেছেন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সত্যই অস্থির।
ব্যাপারটি নিজ চোখে দেখেছিলাম। দুতিন মাস আগে,
স্কোয়ার হাসপাতালে, আনোয়ারখান মর্ডানেও। নিশ্চিতভাবেই সব হাসপাতালেই এইসব অতিমুল্যবান বর্জ্য নেয়ার লোক আছে।
দেখার কেউ নেই।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

তট রেখা বলেছেন: This is a project of NWO ' New World Order'

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোনটার কথা বলছেন?
অফিস কোথায় পল্লবি, মিরপুরেরটা। NWO র কামটা কি? একটু খুইলা বলেন।

৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

তট রেখা বলেছেন: "ছায়ার ভেতরে বসে তারা প্রতিটি বৃহৎ যুদ্ধ, বিপ্লব কিংবা মন্দার নকশা করেছে। আপনি যা পড়েন, শোনেন এবং দেখেন তার সবকিছুই তারা নিয়ন্ত্রণ করে । একটি পূর্ণ জনগোষ্ঠীকে তারা তাদের দীক্ষায় দীক্ষিত করতে পেরেছে যারা তাদের মত করে চিন্তা করে, তারা কর্তৃত্বের গুরুত্ব পূর্ণ স্থান গুলোতে তাদের প্রতিণিধিকে দায়িত্বে রাখতে পেরেছে এবং সেই ছায়ার ভেতর থেকে একটি নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় বিশ্ব-ব্যাবস্থা গড়ে তুলেছে । তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে পরিপূর্ণ বৈশ্বিক কর্তৃত্ব অর্জন করা, আর এটা তারা করবে যে কোনো মুল্যে, কোনো কিছুতেই তারা থামার নয়। এটা সেই লক্ষ্য যা ১৯৯০ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের (সিনিয়র) এর কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল, “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাস্ট্রগুলোর স্বার্থ বিপন্ন হলেও একটি বৃহৎ ধারণা অর্জিত হবে, যা একটি নতুন বিশ্ব ব্যাবস্থা” [A NEW WORLD ORDER]"

এটা একটি ইলুমিনাটি প্রকল্প, যার মূল উদ্দেশ্য একটি বিশ্ব সরকার প্রতিষ্ঠা, এর শেকড় অনেক দূর পর্যন্ত প্রোথিত।

৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পুর্ণ সহমত।

৮| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধরলাম সিআইএর হাতে গেলো ফিংগার-প্রিন্ট গেলো, তারা এটা দিয়ে কি করবে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি তো বিদেশে থেকে নাগরিক হয়ে বাংলাই ভুলে গেছেন।
আমরা তো কাঁটাতার ঘেরা দেশটি থেকে এখনো বের হতে পারিনি।
এই দেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বিদেশে কাজ খুঁজতে যায়। বৈধভাবে, অবৈধ ভাবে। সাগর পাড়ি, মরুভূমি পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকায় কিছুদিন পর পর অবৈধদের বাছাই করে গ্রিনকার্ড দিচ্ছে। এই গোপন ডাটাবেজ ওদের কাছে থাকলে পদে পদে ভুল ধরবে বলবে "আপনার ঘোষনার সাথে কার্যকলাপের মিল নেই"।
কারনটা খুবই স্বাভাবিক, বিভিন্ন কারনে এখানে মানুষের নামে, পিতা-মাতার নামে ভুল থাকে, বিভিন্ন কারনে ভারত-পাকিস্তান বা হজ-ওমরা করে থাকলেও ঝামেলার ভয়ে উল্লেখ করেনা, কারন উল্লেখ করলেই সাপোর্টিং কাগজ সাবমিট করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অবৈধ মালিক পাসপোর্ট আটকে রাখলে অনেকেই বাচার জন্য নাম পরিবর্তন করে দালাল মাধমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। ঝামেলার ভয়ে সঠিক দেশ ছাড়ার ডিপার্চার টাইম উল্লেখ করেনা।
ডাটাবেজ ওদের কাছে থাকলে বলবে আপনে অমুক তারিখে বাংলাদেশেই ছিলেন। বলবে "আপনার ঘোষনার সাথে কার্যকলাপের মিল নেই"।
হয়তো অনেক আগে বিভিন্ন কারনে অন্য একটি পাসপোর্টে আপনি ইয়ামেন বা পাকিস্তানে অল্পদিন ছিলেন।
এই ডাটাবেস ওদের হাতে থাকাতে এই সামান্য কারনে আপনাকে যেকোন বিমানবন্দরে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিলে আপনার ভাল লাগবে?

৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

জাতীয় পরিচয় পত্র যখন করা হলো, তখন কিন্তু শুরুতেই তৃতীয়পক্ষের হাতে এর ডাটাবেইজ হস্তান্তর করতে চায় নি সরকার। কারণটুকু খুবই ন্যায়সঙ্গত... জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা।

এখন কেন বিদেশি মুনাফাখোর কোম্পানিগুলোর হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের কর্তৃত্ব দেওয়া হলো, বিষয়টি বেশ ধোঁয়াচ্ছন্ন লাগছে।

অপরাধ দমনের কাজ তো সরকারের। তা করার জন্য যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট লাগেই, তবে তারা ন্যাশনাল আইডিকে আবার হালনাগাদ করে নিলেই পারে! শুনেছি স্মার্ট আইডি কার্ড হচ্ছে। অপরাধ দমনে যদি বিদেশি কোম্পানির ডাটাবেইজের ওপর ভরসা করতে হয়, ওটা কোন্ অর্থে স্মার্ট?

তার চেয়েও বড় প্রশ্নটি হলো, তথ্যের অধিকার। স্পর্শকাতর তথ্যগুলো গ্রহণ ও সংরক্ষণের অধিকার কি ফোন কোম্পানিগুলোর হাতে চলে গেলো না? একসময় দেখা যাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের চেয়ে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর হাতেই বেশি নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ মাইনুল ভাই। আপনি ব্যাপারটির গুরুত্ত্ব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।

১০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

যোগী বলেছেন:
আমার অফিসে বা এ্যাপার্টমেন্টে সব যায়গাতেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করা লাগে। এখন আমি কী করবো?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনিও ভুল বুঝলেন।
একজন দুজন একশো দুশো হাজার জনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিলেও সমস্যা না।

বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যে পাশের ফকিন্নি দেশ ভারত, থাইল্যান্ড-ক্যাম্বোডিয়াও ভিসা দিতে চায়না।
এই বিপদগ্রস্থ নেশানের ১২ কোটি লোকের টোটাল প্রাইভেট ডাটাবেস বিদেশীদের হাতে থাকলে আমাদের চলতে ফিরতে পদে পদে বিপদ হবে। সে নিরিহ হলেও যেখানে সেখানে উটকো বিপদে পরবে।

১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৪

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বেশ কয়েকবার ভাবছিলাম, এটা নিয়ে লিখা উচিৎ। আপনি মনের কথা গুলো বলেছেন।

একটি ব্যবসায়িক সম্পর্কের হেতু করার মেইন ইন্সট্রুমেন্টাল ডেটা হোল ভেরিফাইড এড্ড্রেস। তা নিশ্চিত করতে ভোটার আইডি রয়েছে, ডীজিটাইজড পাসস্পোর্ট রয়েছে, যেখানে আমরা বায়োমেট্রিক ডেটা দেই রাষ্ট্রকে, কারন রাষ্ট্রই নাগরিকের জন্য সরবোচ্চ দায়িত্বশীল, যেসব দেশের মানুষের রাস্ট্র নেই, তাদের আল্লাহ্‌ ছাড়া কেউ নেই।

এখন কথা হচ্ছে, যদি সরকার মনে করেন ভোটার আইডি রয়েছে, ডীজিটাইজড পাসস্পোর্ট এই দুই ডেটাবেইজে গ্যাপ আছে, অসামাঞ্জস্য আছে তাইলে এই গ্যাপ্টা ফিল করা দরকার। মানে এই আইডি গুলোর বিপরীতে এড্রেস ভেরিফাই ঠিক করা দরকার। বেসরকারি কোম্পানির কাছে শুধু ব্যাংক ইনফো এবং এড্রেস থাকতে পারে, এর বাইরে কিছুই নয়। কেউ ডিফল্টার হলে, তখন কোম্পানি রাষ্ট্রের পুলিশ বিভাগে/নিন্ম আদালতে যাবে উকিল মারফত, ব্যস এর বাইরে নাগরিকের সাথে ব্যবসায়িক কোম্পানির কন লেনা দেনা নেই।

এমনকি এমপ্লয়ারো বায়োমেট্রিক ডেটা বেইজ নেয় না, যদি না তারা খুব কনফেডেন্সিয়াল কাজ না করে (এক্সট্রিম রিসার্চ এন্ড মিলিটারি)।

আধুনিক সময়ে ভিন রাষ্ট্র তাদের নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক ডেটা নিচ্ছে, এটা একটা আন্তর্জাতিক ফসালার মাধ্যমে একটা ফ্রেইওয়ার্কের মধ্যে করা হয়, এখানে এন্টি থেফট কিছু চেক এন্ড ব্যালান্স আছে।

কি আর বলবো, ফোন কোম্পানিকে বায়োমেট্রিক ডেটা দেয়া। কতটা বিষাক্ত একটা সিদ্ধান্ত! একটা পুরো দেশের, একটা টেরেস্ট্রিয়াল ল্যান্ডের!!

সরকারের সুমতি হোক!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। আপনি ব্যাপারটির গুরুত্ত্ব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
হ্যা, রাষ্ট্র আমাদের অবিভাবক। আমাদের ব্যক্তিনিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ত্ব রাষ্ট্রের।
এখনও একজিষ্টিং NID/passport/Driving licence/জন্মনিবন্ধন, এই চার রকম ডকুমেন্ট মারফত ভেরিফাই সম্ভব। সেটাই করা উচিত ছিল।
কিন্তু কেন হঠাৎ স্ক্যনার আমদানি করে বিদেশি মুনাফাখোর কোম্পানিগুলোর হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের কর্তৃত্ব দেওয়া হলো, স্পর্শকাতর তথ্যগুলো গ্রহণ ও সংরক্ষণের অধিকার তুলে দিল। কিছুই বুঝলাম না।

পত্রিকা ও টিভিগুলো এ ব্যাপারে সম্পুর্ন নিশ্চুপ। কারন আছে। এপর্যন্ত যারাই এদের বিরুদ্ধে টু শব্দ করেছে বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেছে।

১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এই দেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বিদেশে কাজ খুঁজতে যায়। বৈধভাবে, অবৈধ ভাবে। সাগর পাড়ি, মরুভূমি পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকায় কিছুদিন পর পর অবৈধদের বাছাই করে গ্রিনকার্ড দিচ্ছে। এই গোপন ডাটাবেজ ওদের কাছে থাকলে পদে পদে ভুল ধরবে বলবে "আপনার ঘোষনার সাথে কার্যকলাপের মিল নেই"।
কারনটা খুবই স্বাভাবিক, বিভিন্ন কারনে এখানে মানুষের নামে, পিতা-মাতার নামে ভুল থাকে, বিভিন্ন কারনে ভারত-পাকিস্তান বা হজ-ওমরা করে থাকলেও ঝামেলার ভয়ে উল্লেখ করেনা, কারন উল্লেখ করলেই সাপোর্টিং কাগজ সাবমিট করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অবৈধ মালিক পাসপোর্ট আটকে রাখলে অনেকেই বাচার জন্য নাম পরিবর্তন করে দালাল মাধমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। ঝামেলার ভয়ে সঠিক দেশ ছাড়ার ডিপার্চার টাইম উল্লেখ করেনা।
ডাটাবেজ ওদের কাছে থাকলে বলবে আপনে অমুক তারিখে বাংলাদেশেই ছিলেন। বলবে "আপনার ঘোষনার সাথে কার্যকলাপের মিল নেই"।
হয়তো অনেক আগে বিভিন্ন কারনে অন্য একটি পাসপোর্টে আপনি ইয়ামেন বা পাকিস্তানে অল্পদিন ছিলেন।
এই ডাটাবেস ওদের হাতে থাকাতে এই সামান্য কারনে আপনাকে যেকোন বিমানবন্দরে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিলে আপনার ভাল লাগবে? "


-যে কোন সরকারী কাজে সরকার অনুমোদিত উপায়ে কাজ করা হয়; সিআইএ মিআইএ, এফবিআই ইত্যাদির নিজস্ব ডাটাবেজ; এরা কারো নেয়া ডাটা ব্যবহার করে না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সিআইএ, এফবিআই ইত্যাদির নিজস্ব ডাটাবেজ; এরা কারো নেয়া ডাটা ব্যবহার করে না।

আপনিতো বাংলা একদম ভুলে গেছেন!
সিআইএ, এফবিআই ইত্যাদির নিজস্ব ডাটাবেজ, এসব বিদেশী ডাটা পুরোটাই চুরি করা, বা ঘুষদিয়ে হস্তগত করা তথ্য-উপাত্ত।
সিআইএ বিদেশিদের ফোনে আড়িপাতে কেন জানেন?

১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

অ্যানালগ বলেছেন: ফেসবুকে একটা গ্রুপ করেন, নো বায়োমেট্রক ইনফরমেশন ফর মোবাইল নাম্বার রেজিস্ট্রেশ।

নাগরিকদের সচেতন করা জরুরী।

১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

অ্যানালগ বলেছেন: রেজিস্ট্রেশন।**

১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: মাল খেয়ে এসব কাজের জন্য একজনরে কন্ট্রাকট দিসে সেইটাতো শেষ করতে হপে! বিল তো উঠাইয়াই নিসে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মাল খেয়ে এসব কাজের জন্য কন্ট্রাকট দেয়নি।
মাল, দুইটাকা বাচানোন জন্য করেনি।
সিমবিক্রি বৃদ্ধির জন্য মোমাইল কম্পানিগুলো সম্মিলিত ভাবে প্রস্তাব দেয় যে , আপনাদের এক পয়শাও লাগবে না, আমরাই স্ক্যান করে নিবন্ধন করেদিবো। রথ দেখা কলা (ডাটা) বেচা দুটাই হল।

১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

সাদেক বলেছেন: কি আর বলবো, সবই কপাল, তবে আমি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেবোনা, সিম বন্ধ হলে হবে

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

রাষ্ট্র আমাদের অবিভাবক। আমাদের ব্যক্তিনিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনিয়তা রক্ষার দায়িত্ত্ব রাষ্ট্রের।
এখনও একজিষ্টিং NID/passport/Driving licence/জন্মনিবন্ধন, এই চার রকম ডকুমেন্ট মারফত সিম ভেরিফাই সম্ভব।
সেটাই করা উচিত ছিল।
কিন্তু কেন হঠাৎ স্ক্যনার আমদানি করে বিদেশি মুনাফাখোর কোম্পানিগুলোর হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের কর্তৃত্ব দেওয়া হলো, স্পর্শকাতর তথ্যগুলো গ্রহণ ও সংরক্ষণের অধিকার/সুযোগ তুলে দিল। কিছুই বুঝলাম না।
NID তে আঙ্গুলছাপে ত্রুটি থাকলে সুধু সরকার বা সরকারি সংস্থা NID টি ত্রুটিমুক্ত করবে, সিম বিক্রেতা সুধু NID/passport/Driving licence/জন্মনিবন্ধন, এই চার রকম ডকুমেন্ট যেকোন একটি মারফত সিম বিক্রি/ভেরিফাই করবে।

১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

মৈত্রী বলেছেন: শালা জঙ্গি! 'তুইনা বাংলাদেশে থাকস ... থাইকা সিম কিনছিলি
"তুই কিছু না করে থাকলেও তর বাপে করছিল"।

১৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে কেউ কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার বা সমস্যায় ফেলার যুক্তিটা কতটুক অকাট্য?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ফিংগারপ্রিন্ট নিয়ে কেউ কাউকে ব্যাক্তিগত শত্রুতায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা যারা অন্যত্র বলেছেন, আমি তাদের সাথে দ্বিমত।
তাই আমার লেখায় এটি স্কিপ করে গেছি।
ফিংগারপ্রিন্ট ডাটা হস্তগত করে কোন ব্যক্তি লাভ নেই। ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় সম্পুর্ন অমুলক।

মুলত যেসব উন্নত দেশ বাংলাদেশীদের ইমিগ্রেশন দিচ্ছে, অষ্ট্রেলিয়া, USA, কানাডা, সুইডেন, ভারত।
এসব রাষ্ট্রের হাতে এই ডাটা গেলে অভিবাসন প্রত্যাসিদের ব্যাপক বিপদে পরার সম্ভাবনা। ওরা পদে পদে বাংগালীদের ভুল খুজে পাবে। বিপদ হবে। সে নিরিহ হলেও যেখানে সেখানে উটকো বিপদে পরবে। ফালতু কারনে ফোর্সড ডিপোর্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

১৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশটি একটি কাঁটাতারে ঘেরা জলবায়ু বিপর্যয়ে বিপন্ন পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভেরিফিকেশনে অসাধু বেনিয়া মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানকে জড়িত করা ঠিক হচ্ছে না। - সহমত।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের বাংলাদেশটি একটি কাঁটাতারে ঘেরা জলবায়ু বিপর্যয়ে বিপন্ন পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি দরিদ্র একটি দেশ।
দু:ক্ষজনক হচ্ছে এর নাগরিকরাও অধিকার সচেতনতায় দরিদ্র।

২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

নতুন বলেছেন: গতকাল আরব আমিরাতে নতুন একটা সিম কিনলাম...

এখানের Emirates ID Copy and ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিলো সেটা একটা সুপারমাকে`টে।

এখানে ফোনে হুমকি, মুক্তিপনদাবি, নারীদের হয়রানী দেয় না জনগন... কারন জানে যে এদের ট্রেস করা যাবে..

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরব আমিরাতে বিদেশীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ও তথ্য হয়ত ওরা সন্দেহের চোখে দেখে।
আরব সবগুলো দেশই অসভ্য বর্বর। বিদেশী/বাঙ্গালীদের ওরা সন্দেহের চোখে দেখে।

২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আরব আমিরাতে বিদেশীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ও তথ্য হয়ত ওরা সন্দেহের চোখে দেখে।
আরব সবগুলো দেশই অসভ্য বর্বর। বিদেশী/বাঙ্গালীদের ওরা সন্দেহের চোখে দেখে।

ওদের নিজেদের সবাই দেশের আইডি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হয়।

যারা অপরাধ করতে চায় তাদেরই শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে ভয় থাকবে... অন্যদের থাকার কথা না।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদেরকে সুধু সভ্য দেশগুলোকে ফলো করা উচিত।
আমেরিকার মত দেশে সুধু গ্রেফতার হলে (পুলিশ) বা (হোমল্যান্ড সিকুরিটি) ইমিগ্রেশন কাউন্টা্রে আগত ব্যক্তিকে ছাড়া কারো ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার অধিকার কারও নেই। নাগরিক বিদেশ ভ্রমণ না করলে সোশাল সিকুরিটি কার্ড, চাকুরি পেতে, ফোন কিনতে বা গাড়ী/বন্দুক/পিস্তল কিনতে বা অন্য কিছু করতে হাতের ছাপ কেউ নিতে পারে না। এই আমেরিকান প্রাইভেসি অধিকার ৮০ দশকেই মার্কিন আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে বা বিদেশে যেতেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট লাগে না, সুধু ফিরে আসার সময় সে যেই হউক সম্প্রতি গঠিত 'হোমল্যান্ড সিকুরিটিকে' হাতের ছাপ দিতে হয়।
সুতরাং আমরা সভ্য, তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হলে একবারই দিব, অন্য এজেন্সিগুলো প্রয়জনে NID নম্বর দেখে সারভার থেকে ভেরিফাই করবে।
NID তে আঙ্গুলছাপে ত্রুটি থাকলে সুধু সরকার বা সরকারি সংস্থা NID টি ত্রুটিমুক্ত করবে, সিম বিক্রেতা সুধু NID/passport/Driving licence/জন্মনিবন্ধন, এই চার রকম ডকুমেন্ট যেকোন একটি মারফত সিম বিক্রি/ভেরিফাই করবে।
কিন্তু এখন চলছে তোগলোকি কান্ড -
কেন হঠাৎ স্ক্যনার আমদানি করে বিদেশি মুনাফাখোর কোম্পানিগুলোর হাতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণের কর্তৃত্ব দেওয়া হলো, স্পর্শকাতর তথ্যগুলো গ্রহণ ও সংরক্ষণের অধিকার/সুযোগ তুলে দিল। কিছুই বুঝলাম না।

২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নতুন বলেছেন: এটা ঠিক প্রথমে আমাদের জাতীয় আইডি ঠিক করা দরকার তারপরে সেটাকে ব্যবহার করেই সব ব্যবস্তা করা সম্ভব।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হ্যা সেটাই।
অবৈধ সিম কার্ড ব্যবহার রোধে শুরু থেকে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, তার অধিকাংশই সরকার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সিম কার্ড সহজলভ্যতা এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রায় বিনা মূল্যে ফুটপাতে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।
দ্বিতীয়টি হলো, সিম কার্ড অ্যাকটিভেশনে সরকারের বা বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণ না থাকা। ফুটপাত থেকে সিম কার্ড কিনে তখনই তা সচল করা সম্ভব। যার ফলে সিম কার্ড ব্যবহার করে অপরাধ করার পথটি পরোক্ষভাবে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বললে ভুল হবে না। তৃতীয়টি হলো, মুঠোফোন অপারেটরদের সিম কার্ড বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধির কৌশল।
সেটও নিবন্ধন করতে হবে। সিম ও সেট একসাথেই নিবন্ধন না হলে সরকারের মুল উদ্দেস্য সফল হবে না।

আপনাকে ধন্যবাদ।
একজনের দু-তিনটি সেটের বেশী অনুমতি না দেয়াই উচিত। নিবন্ধিত সিমগুলোর সাথে সেট সমন্নিত করতে হবে, অর্থাৎ একব্যক্তির সিম অন্যকেউ বা ভিন্ননামে নিবন্ধিত সেটে কাজ করবে না। IMEI নম্বর একটা ইউনিক নম্বর ok. সিম-সেট সমন্নিত ভাবে নিবন্ধিত হলে ডুব্লিকেট চাইনিজ ডুব্লিকেট IMEI বা জিরো IMEI র দৌরাত্ত্ব বন্ধ হয়ে যাবে। ভিওআইপি সিষ্টেমে কোন হ্যান্ড সেট ব্যবহৃত না হলেও ভিন্ন কৌশলে IMEI থাকার কথা, তা না হলে বাংলাদেশী মোবাইল অপারেটর সিম কাজ করার কথা না।
এতে মোবাইল চোর ও VOIP মেসিনগুলো অকার্যকর করা সম্ভব।

সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে যুক্ত করতে হবে ভেরিফিকেশন। এই ভেরিফিকেশনের কাজটি করবে বিটিআরসি বা সরকারের পক্ষে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান। ভেরিফিকেশনে গরমিল পাওয়া গেলে সংশোধনের সুযোগ রেখে সিম কার্ড সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর একজন মানুষের নামে একই অপারেটরের দুটির বেশি সিম নিবন্ধন দেওয়া ঠিক না, (দিয়েছে ২০টি) টেলকমের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.